আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা
বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী
সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত
সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
বিষয় সূচী
APNAKE SHAGOTOM
সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা
অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি ।
conduit-banners
Powered by Conduit |
বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৩
বিলুপ্তাধীন বাংলাদেশ : গর্জে উঠ দেশ-জনতা
মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩
ছলা-কলায় ভালবাসা দেয়না ধরা (ইসলামী খেলাফতের একটা সত্য ঘটনা)
আনসারদের ঐ বসতিতে ছিল এক উশৃন্খল যুবতীর বাস। রূপে গুণে ছিল সে অনন্যা। কিন্তু, নিজ ইজ্জত আবরুর দিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপই ছিলনা। সর্বদা সে উদাসী, অশ্লীল ও উশৃন্খলভাবে যত্রতত্র চলাফেরা করত। বেপর্দায় উদ্ভাসিত ছিল তার উশৃন্খল জীবন। হঠাৎ একদিন যুবতীটি খলিফার দরবারে উগ্রবেশে গিয়ে উপস্থিত হল। খলিফার দরবর তখন লোকে লোকারণ্য। আমীর-ওমরাগণ নিজ নিজ আসনে সমাসীন।
যুবতীটির ফরিয়াদ প্রকাশের নির্দেশ দিলেন খলিফা। যুবতীটি কালবিলম্ব না করেই চিৎকার করে জানাতে শুরু করল তার ফরিয়াদ - “ আমীরুল মু’মেনীন ! এক আনসারী যুবক আমার ক্ষতি করেছে। আমার সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। আমার সঙ্গে জোর করে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেছে। এই দেখুন তার কুকর্মের নিদর্শন’’- এই বলেই যুবতীটি পর্দালঙ্গন করে তার একটি নিদ্রিষ্ট অঙ্গের দিকে ইশারা করল !
সভাসদবর্গের সকলে হতবাক ! নিস্তব্ধ খেলাফত মজলিস। আমীরুল মু’মেনীন উদ্ধিগ্ন। উপস্থিত সকলেই পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকাতে লাগলেন। কার কোন শব্দ নেই। যুবতীটি দাঁড়িয়ে। মনের মাঝে সৃষ্টি হলো তার খুশির ফোয়ারা। হাস্যোজ্জ্বল তার মুখাবয়ব।
আমীরুল মু’মেনীন প্রমাণের ভিত্তিতে যুবকটিকে অপরাধী সাব্যস্ত করলেন। আনসার যুবকটিকে দরবারে ডেকে আনা হল।বিচারের কাঠগড়ায় উপনীত হল যুবকটি। সুদর্শন, লাজুক চেহারা ও সভ্য স্বভাবের নিষ্পাপ যুবকটির চতুর্দশী চাঁদের মত উজ্জ্বল প্রভাকর রূশনীতে আলোকিত হয়ে গেল খলিফার দরবার কক্ষ। কারো কাছেই বিশ্বাস হচ্ছেনা এ যুবক তেমন একটা গর্হিত কর্মে জড়িত হতে পারে !
যুবকটি দরবারের অভ্যান্তরে পা’ রেখে খলিফার দিকে তাকিয়ে সকলের প্রতি সালাম প্রদান করল। তারপর অবনত মস্তকে জিজ্ঞেস করল খলিফার কাছে , কেন তাকে দরবারে ডেকে আনা হয়েছে ? তারপর চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। খলিফা যুবকের দিকে দৃষ্টি রাখলেন। অগ্নিশর্মা খলিফার চোখ যেন কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আদেশ দিলেন যুবকটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তাকে শুনানোর জন্য। যুবতীটির অভিযোগ তাকে শুনানো হল।
খলিফা কর্তৃক তার উপর শাস্তির বিধান জারী করা হল। এমতাবস্থায় যুবকটি কি করবে ভেবে পাচ্ছিলনা। সে কাতরকন্ঠে বলতে লাগল – “ হে আমীরুল মু’মেনীন ! আপনি আমার দিকে কটু মহত্বের দৃষ্টি দিন। আমার বিষয়ে একটু ভাবুন। মহান আল্লাহর কসম ! আমি মোটেও কখনো অশ্লীল পথে পা’ বাড়াইনি। জীবনে এ পর্যন্ত কোন বেগানা নারীর দিকে চোখ তুলে তাকাইনি। মহানুভব ! যুবতীটির কাছে গমনতো আমার পক্ষে মোটেই সম্ভবপর ছিলনা। ঐ নারী আমার বিরূদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র করেছে। আমি নিজে আমার আত্মপক্ষে আমার নির্দোষীতার আর্জি পেশ করছি”।
যুবকটির আর্জি শুনে সভাসদগণ সকলেই আশ্চর্যাম্বিত ! খলিফা তার আর্জি শুনে বিব্রত হয়ে পড়লেন। ভেবে পাচ্ছেননা তিনি কি করবেন ? কিভাবে বিচারের রায় দিবেন বুঝতে পারছেননা। এক সংকটময় সমষ্যার বেড়াজালে বন্ধী সবাই। অথচ প্রমাণসর্বস্ব অভিযোগ নিয়ে দণ্ডায়মান। সময় ক্ষ্যাপনের পরিস্থিতি নেই। একটা কিছু করতেই হবে।
আমীরুল মু’মেনীন হযরত আলী (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেন – “ হে আবুল হাসান ! এ বিষয়ে আপনার মতামত ব্যক্ত করুন’’। হযরত আলী (রাঃ) কিছুণ নীরব ও স্থীর থাকলেন। ভাবলেন কিছুক্ষণ। তারপর মেয়েটির কাপড় তীক্ষ্ন দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলেন। তারপর কিছু গরম পানি আনার নির্দেশ দিলেন। গরম পানি আনা হল। গরমপানি যুবতীটির কাপড়ে লেগে থাকা প্রমাণের উপর ঢালতে নির্দেশ দিলেন তিনি। কাপড়ে গরম পানি ঢালা হল। গরমপানি লেগে কাপড়ে লেগে থাকা সফেদ জিনিসটি জমাটবদ্ধ হয়ে গেল। হযরত আলী (রাঃ) প্রমাণটি হাতে নিয়ে ঘ্রাণ নিলেন নাক দিয়ে। আস্বাদন করে দেখলেন যে, জিনিসটি আসলেই ডিম। রহস্য উদঘাটিত হল। যুবতীটিকে তিনি মিথ্যা অভিযোগকারিনী হিসেবে অভিযুক্ত করলেন।
যুবতীটি তার ষঢ়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে বলতে লাগল – “ আমীরুল মু’মেনীন ! আমি যুবকটির পাশের বাড়ীতে থাকি। একদিন যুবকটি আমার নজরে আসলে তাকে আমার ভাল লেগে যায়। অনেকদিন আগে থেকে তাকে আমি মনে মনে ভালবাসতে শুরু করি। আমার একপক্ষীয় ভালবাসা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, তাকে আমি অনকবার কাছে পাবার চেষ্ঠা করি। কিন্তু অনেক চেষ্ঠার পরও যুবকটির কোন সাড়া মেলেনি। তাই তাকে ফাঁদে ফেলানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে থাকি। অবশেষে এ বুদ্ধিটা আমার মাথায় আসে। তাই, ডিম নিয়ে তার কুসুম ফেলে দিই। তারপর ডিমের সাদা অংশটুকু আমার রানদ্বয়ে এবং কাপড়ে মেখে নিই। তারপর তড়িৎ গতিতে উদ্ভ্রান্তের মত দৌড়ে খলিফার দরবারে উপস্থিত হই। অভিযোগ করি যুবকটির বিরুদ্ধে। এইভাবে মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে যুবকটিকে কাছে পাবার শেষ চেষ্ঠা চালাই। মনে করেছিলাম এই অভিযোগই তাকে আমার কাছে টেনে আনবে।
এভাবেই মিথ্যা অভিযোগকারীরা পদে পদে লাঞ্চিত হয় আর সৎ মানুষরা তাদের সততার গুণ দিয়ে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে মুক্তি লাভ করে।
শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩
চাই একজন বিদ্রোহী ও জাগরণের কবি
সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৩
এমন যেন না হয় কোন পুরুষের জীবন
একদিন পুরুষটির এমন এক রোগ দেখা গেল , যে জন্য পুরুষটি তার পুরুষাঙ্গের শক্তি হারাল। কয়েকদিন পর রোড এক্সিডেন্টে হারাল দু’টি পা। এর কয়েকদিন পর গরম পানি চোখে পড়াতে হারাল দু’টি চোখ। এভাবে যখন সে অচল হয়ে গেল বেঁচে থাকার তাগিদে সে তার গ্রামের বাড়িটি বিক্রি করে খরচ করতে থাকল। একদিন বাড়ি বিক্রীর টাকাও যখন শেষ হয়ে গেল তখন মেয়েটি পুরুষটিকে অবহেলা করতে শুরু করল। ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতে থাকল নিত্য নতুন পুরুষ সঙ্গী। পুরুষটির তখন এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে থাকল ।উপায়ন্তর না দেখে পুরুষটি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু ,মরার আগে প্রথম বউ ও বাচ্ছাদের একবার দেখার ইচ্ছা জেগে উঠল মনে। পুরুষটির এক বন্ধু তার সবসময় খোজ খবর নিত। বলতে গেলে সে অচল হয়ে যাবার পর এ বন্ধুটিই অন্ধের যষ্টির মত কাছে কাছেই থাকত। এ বন্ধুকেই সে পাঠাল প্রথম বউয়ের বাপের বাড়ি , যাতে তাদের একবারের জন্য তার কাছে নিয়ে আসে। পরদিন পুরুষটির প্রথম পরিবার তার কাছে চলে আসে। তার এ অবস্থা দেখে তারা আর ঠিক থাকতে পারলনা। প্রথম বউ আর বাচ্ছাদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
প্রথম বউ স্বামীর কাছ থেকে এক পলকের জন্যও নড়েনা। স্বামীর যাতে কোন প্রকার কষ্ট না হয় তীক্ষ্ন দৃষ্টি প্রথম বউয়ের। এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েকমাস। প্রথম বউয়ের আন্তরিক ভালবাসার কাছে হার মেনে পুরুষটি আত্মহত্যার কথা ভুলে যায়।
একদিন তার দ্বিতীয় বউকে তার কাছে আসতে বলে। যখন সে আসে তখন পুরুষটি তাকে জিজ্ঞেস করে - তুমি যখন আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলে তখন তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম - তোমার মধ্যে এমন কি বেশী আছে যে , যা আমার বউয়ের কাছে নেই , যে জন্য বউ থাকা সত্বেও তোমাকে বিয়ে করতে হবে ? তুমি বিয়ের আগে বলেছিলে তুমি আমাকে আমার এই বউয়ের চেয়ে বেশী ভালবাসবে। এখন তোমার সেই ভালবাসা কোথায় ? এখন বলতো - আমার এই বউয়ের চেয়ে তোমার কাছে কি বেশী আছে ? এই কথা বলার সাথে সাথেই পুরুষটি দ্বিতীয় বউয়ের গলা টিপে ধরল। বলতে থাকল - তোমাদের মত মেয়েদের জন্যই কত শত সুন্দর পরিবার আজ ধ্বংসমুখী। তোকে বাঁচিয়ে রাখলে আমার পরিবারের মত আরও শত শত পরিবারে নেমে আসবে বিপর্যয়। মেরেই ফেলব তোকে। তোকেও মারব , আমিও মরব। দ্বিতীয় বউ যতক্ষণ পর্যন্ত মরলনা ততক্ষণ পর্যন্ত সে গলাটিপে ধরে থাকল। মরণ নিশ্চিত হয়েছে জেনে সে তার গলা ছেড়ে দিয়ে নিজেই নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে দিল।
শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৩
রং নাম্বার যখন আইনী প্যাঁচে
আমাদের দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর অভাব নেই , তবে মোবাইল পরিচালনা জানা লোকের বড়ই অভাব। তাই মোবাইল ব্যবহার করতে গেলেই রং নাম্বারে কল চলে যায় সবসময় সর্বত্র।
যদি এই ভয়টা আমাদের দেশেও থাকে তবে কি আর কোন রং নাম্বারে কল যাবে ? কোন মেয়ের সাথে কোন পুরুষের রং নাম্বারে কথা বলে কি কখনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে ?
বুধবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩
তিনজনের কাছে তিনটা প্রশ্ন
বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৩
ধর্ষণ এড়াতে মেয়েদের জন্য কয়েকটা প্রয়োজনীয় টিপস
২। পোশাক আশাকে শালীনতা ধারণ করুন।
৩। অপরিচিত মোবাইল/ল্যান্ড ফোনকল গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
৪। আপন পিতা, আপন ভাই, আপন মামা , আপন চাচা , স্বামী, পুত্র ব্যতিত সকল পুরুষ সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।
৫। আপন পুরুষদের সম্মুখে শরীরের শালীনতা বজায় রাখুন।
৬। জীবনের প্রয়োজনে অনেক সময় ভিন্ন পুরুষদের বন্ধু বানাতে হয় , এই সব বন্ধুদের সাথে দুরত্ব বজায় রাখুন। এবং তাদের যে কোন কথাকে বিবেক দিয়ে বিচার করুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
৭। নিজের বান্ধবীদের উপর পূর্ণ আস্থা রাখবেননা।
৮। নির্জন জায়গায় না দাড়িয়ে জনাকীর্ণ জায়গায় দাঁড়ান।
৯। কোন জায়গায় যেতে অত্যান্ত আপনজনের কাউকে সঙ্গে নিন।
১০। পথচলায় শালীনতা বজায় রাখুন , যতটুক পারা যায় শরীরের সর্বাঙ্গ ঢেকে নিন, অপরিচিতদের সাথে কর্কষ স্বরে কথা বলুন, সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং কালো চশমা চোখে দিন।
১১। গাড়ীতে চড়াকালীন নিজের শরীরকে অন্যদের সাথে স্পর্শ করা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
১২। উচ্চস্বরে আলাপ করা ও হাসি দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
১৩। যে কোন কর্মে কথা কম বলার প্রশিক্ষণ নিন।
১৪। সম্ভব হলে লাইসেন্স যুক্ত কোন অস্ত্র সাথে রাখুন।
বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৩
মানুষের গুণাবলী না হোক , কামনা হোক - অন্তত আমরা যেন পশুদের গুণাবলী ধারণ করতে পারি
এই অনুচ্ছদটা লেখা শেষ করার পর যোগ করতে মন চাইল সামান্য কথা , তাই পোষ্ট দেয়ার পরও আবার সংশোধন করলাম। যা বলতে চাইছি - আমার শেষ ঘটনা থেকে আমি দুটি শিক্ষা পাচ্ছি। তার একটা হলো একটা পশুর মালিকের হুকুম মানতে দ্বিধা না করা , আর দ্বিতীয়টা হল - অন্য পশুটির মালিকের হুকুম মানতে দ্বিধা করা। মানুষ যদি তার বিবেক দিয়ে ভাবে তবে দেখতে পাবে পশুদের মাঝেও রয়েছে বিবেক। কিন্ত স্রষ্টা তাদের বিবেক দেননি। এটাই সত্য কথা। যদি তাদের বিবেক জিনিসটি দিতেন তবে তারা পশু না হয়ে হয়ে যেত মানুষ। কারণ , স্রষ্টা মানুষের স্রেষ্টত্বের প্রমাণ হিসাবে দেখিয়েছেন মানুষের বিবেককে। যাই হোক, বলতে চাইছিলাম দু'টি শিক্ষা নিয়ে। প্রথম পশুটি তার মালিকের হুকুম মেনে নিয়েছে ঠিকই কিন্তু , কারো উপকার করে এক্সট্রা মার্ক অর্জন করতঃ তার শ্রেষ্টত্ব অর্জন করতে পারেনি। আর একটা পশু মালিকের হুকুম তো মেনেছেই সেই সাথে অন্যের উপকার করে এক্সট্রা মার্ক নিয়ে তার শ্রেষ্টত্বেরও প্রমাণ দিয়েছে, যাতে অর্জিত হয়েছে মালিকের সন্তুষ্ট এবং নিজের সাফল্যতা। অপর দিকে প্রথম পশুটি শুধুমাত্র মালিককে সন্ত্রুষ্টি করছে , তার নিজের জন্য জন্য কিছু অর্জিত হয়নি। আমাদের দেশে যারা সরকারের পদলেহন করে তারা শুধুমাত্র প্রথমোক্ত পশুটির ন্যায় সরকারের সন্তুষ্টি অর্জন করে যাচ্ছে। নিজেদেরকে শ্রেষ্টত্বের প্রমাণ দিয়ে জনতার প্রতিনিধি রূপে উপস্থাপন করতে তারা অপারগ। তাদের নিজেদের জন্য অর্জন তাদের কিছুই হচ্ছেনা। মানুষের বড় অর্জন তার সম্পদে নয় , মানুষের কাছে মহান রূপে প্রতিষ্ঠা করতে পারাই মানুষের বড় অর্জন।