সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী দখল করে নিয়েছে সেসব মুখপত্রের প্রতিষ্টান ,
লুন্ঠন করে নিয়ে গেছে সে সব প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু মূল্যবান সম্পদ সরকারী লুঠেরা বাহিনীরা।
অগুণিত সংবাদকর্মীদের রুটি-রোজগারের পথ বন্ধ করে দিয়েছে ফ্যাসিস্ট এই আওয়ামী সরকার।
পুলিশের গুলিতে রক্তাক্ত দেশের মিডিয়া জগত ও রুদ্ধ সেই সত্যের ধারক মিডিয়ার দ্বার।
**************************
COLLECTED FROM "TIMES WORLD 24.COM |
"আজ সরকার লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে নিরস্ত্র শান্তিকামী হেফাজতে ইসলামের উপর যেভাবে গুলি চালিয়েছে , তাতে মনে হলো আজকের রাতটি ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চের সেই কালোরাত। যে রাতে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার বাঙ্গালী জাতির নিধনযজ্ঞে একটা জাতির বিনাশ সাধনে নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষদের উপর অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। চালিয়েছিল বাংলার জনপদে মহা হত্যাযজ্ঞ। প্রাণ হারিয়েছিল অগুণিত বাঙ্গালী।
আজ রাতে সরকার লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে নিরস্ত্র শান্তিকামী হেফাজতে ইসলামের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সেই কালো রাতেরই পুণঃআয়োজন করে মুসলীম নিধনযজ্ঞে অবতীর্ণ হয়েছে। সরকার এদেশ থেকে মুসলীম জাতির বিনাশ সাধনের অভিপ্রায় নিয়েই এইভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে অগুণিত হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের। চেয়েছে সরকার বাংলাদেশের মুসলমানদের বিনাশ করে এদেশকে একটা নাস্তিক্যবাদী বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে।
লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে নিরস্ত্র শান্তিকামী হেফাজতে ইসলামের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ হলো - এই মুসলীম দেশকে নাস্তিক্যবাদী দেশে রূপান্তর করতে সরকারের একটা বৃহৎ পরিকল্পনা।
কিন্তু সরকারের এ অপ-পরিকল্পনা বাংলার এ মুসলীম দেশের জমিনে কখনো সফল হবেনা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তারা। যে ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ফেরাউন - নমরূদ সহ সকল আল্লাহ বিদ্রোহী মানুষেরা। যেভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ইসলাম বিরোধী আবু জাহেল - আবু লাহাবরা।"
যেন আজ রাতে পুনরায় সংগঠিত হলো সেই ইয়াহিয়া খানের দোষরদের ১৯৭১ এর ২৫শের সেই কালো রাতের ঘটনা, এভাবেই ১৯৭১ এ ২৫শে মার্চের কালোরাতে ইয়াহিয়া খানের দস্যুরা রাতের আঁধারে বাংলার নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অস্ত্র নিয়ে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল হাজার হাজার ঘুমন্ত মানুষদের। আপন জন হত্যার এই প্রতিশোধের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে বাংলার আবাল – বৃদ্ধ – বণিতা যোগ দিয়েছিল মুক্তির যুদ্ধে। সৃষ্টি হয়েছিল এই বাংলাদেশ।
আজ আবার ও সকলের কাছে উপণিত হয়েছে সেই সময়। হায়েনাদের দোষর বর্তমান সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত সমগ্র বাংলাদেশ। দেশের সকল নাগরিকদের কাছে ধরা দিয়েছে বর্তমান সরকারের স্বৈরতন্ত্রের আচরণ। ১৯৭১ এ ২৫শে মার্চের কালোরাতে ইয়াহিয়া খানের দস্যুদের নির্বিচারে বাঙ্গালী হত্য হার মানিয়েছে বর্তমান সরকারের আজকের রাতের আঁধারে হেফাজতে ইসলামের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণের মহড়া। সময় এসেছে সকলের এক হবার। সময় এসেছে দ্বিতীয় মুক্তিরযুদ্ধে অংশগ্রহণের। সময় এসেছে সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যার দাঁতভাঙ্গা জবাব দানের। গর্জে উঠো বাংলাদেশ। ঝাঁপিয়ে পড় ইয়াহিয়া খানের দোষর এই আওয়ামী সরকারের ধ্বংস সাধনে।****************************
ধুমায়িত সমগ্র দেশ, জ্বলছে আগুন, যাচ্ছে প্রান, লুঠিয়ে পড়ছে তৌহিদী জনতা ও জনসাধারণ দেশের সকল রাজপথে। এ যেন ১৪শত বৎসর পূর্বের ফোরাতের কুলে সংঘটিত সেই এজিদ বংশের সাথে মুসলমানদের সাথে ধর্মরক্ষার যুদ্ধ। এ যেন খায়বারের ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ। এ যেন সেই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির অত্যাচার থেকে রেহায় পেতে সেই একাত্তরের মুক্তির যুদ্ধ।
শহীদী মৃত্যু প্রাপ্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০০ জন তৌহীদী জনতা ও সাধারণ জনগণ। লক্ষ লক্ষ মুজাহিদ ও মুক্তিকামী জনতা পুলিশ ও সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর গুলিতে গুরুতর আহত। এ যেন সেই ১৪শত বৎসর পূর্বের সেই বদর প্রান্তর। এ যেন সেই ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ময়দান। বাংলাদেশের এ বদরপ্রান্তরে ধ্বণিত হচ্ছে বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদের জন্মদাতা ধর্মদ্রোহী আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক। নারায়ে তাকবির , আল্লাহু আকবার ধ্বণিতে প্রকম্পিত দেশের সকল গলিপথ। বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধের ময়দানে ধ্বণিত হচ্ছে - স্বৈরশাসক নিপাত যাবে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।
গর্জে উঠো সমগ্র বাংলাদেশের তৌহীদী জনতা, গর্জে উঠো বাংলাদেশ।
ঝাঁপিয়ে পড়ো যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই নব্য ফেরাউন ও এজিদ বংশের ধ্বংস সাধনে।
***********************