স্কুলটিতে যান , কি সমস্যা পর্যবেক্ষন করুন। নাকি শিক্ষকদের ব্যবসার জন্য স্কুলে ছাত্রদের কোন পাঠদান হয়না ? শুনেছি , স্কুল শিক্ষরা প্রাইভেট পড়াতে ক্লাসে তেমন উত্তম পাঠ দিতে চান না। আমি এই স্কুলের কথা বলছিনা। কিছুদিন আগে দেখেছি, ক্লাসের বাইরে যে সব শিক্ষক প্রাইভেট পড়াচ্ছে তাদের ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। কেন ? নিশ্চয় কারণ আছে। আর সেই কারণটি তলিয়ে দেখতে হবে। আমরা মানি , শিক্ষকরা উপযুক্ত পারিশ্রমিক পান না বলে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন। তাই শিক্ষকদের আর্থিক দিকেও স্কুলের গভর্ণিংবডিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে তাদের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করতে হবে। তবেই শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদানে মনোযোগী হবেন। ক্লাসে শিক্ষকদের পাঠদান উন্নত হলে স্কুলের শিক্ষামানও উন্নীত হবে। তাই স্কুল কমিটি ও স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের মানোন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
পুরো শাহনগর গ্রামটিতে মাত্র একটি মাত্রই স্কুল। এই স্কুলটিই যদি মানসম্মত না হয়, তবে সে লজ্জা কার ? পুরো গ্রামের মানুষদেরই। সবচেয়ে বেশী লজ্জা হবে সেইসব মানুষদের, যারা উক্ত গ্রামের বড় বড় শিক্ষিত ব্যক্তি। কারণ, অন্ধজনে দেহ আলো। অন্ধদের আলোর মুখ দেখানোর দায়িত্ব আলোকিত মানুষদেরই। যে সব বড় বড় শিক্ষিত আলোকিত মানুষ গ্রামের অধিবাসী তাদের দায়িত্ব হচ্ছে অন্ধকার গ্রামকে তাদের সেই আলো দিয়ে আলোকিত করা। আশাকরছি সব আলোকিতরাই গ্রামের অন্ধকার ঘুছাতে আত্মনিয়োজিত হবেন।
************************
পাশের হার বৃদ্ধি পেলেও জি.পি.এ ৫ গতবারের চেয়ে এবার অনেকাংশে কমেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জনা যায়, ফটিকছড়িতে চলতি বছরে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩হাজার ৩ শত ৪৯জন ।
যেখানে পাশ করেছে ২ হাজার ৯ শত শিক্ষার্থী । উপজেলায় এক মাত্র খিরাম উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাশ করেছে।
এছাড়া উপজেলার সর্বোচ্চ জি.পি.এ ৫ পাওয়া বিদ্যালয় হচ্ছে -
01.ফটিকছড়ি করোনেশন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় । যেখানে মোট ১৪ শিক্ষার্থী জি.পি.এ ৫ পেয়েছে।
02.নানুপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(১১জন),
03.নানুপুর আবু ছোবহান উচ্চ বিদ্যালয়(৬ জন),
04.ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চ বিদ্যালয় (৫জন),
05.শান্তিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়(৫ জন),
06.ধর্মপুর উচ্চ বিদ্যালয়(৪জন),
07.মাইজভান্ডার আহমদিয়া রহমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়(৪জন),
08.রোসাংগিরী উচ্চ বিদ্যালয়(৪ জন),
09.হেঁযাকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয়(৩জন),
10.উত্তর ধর্মপুর উচ্চ বিদ্যালয়,
11.সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
12.ফটিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
13.হারুয়ালছি উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
14.ভূজপুর ন্যাশনাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
15.হইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
16.আজিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
17.জাহানপুর লতিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়(২ জন),
18.গজারিয়া জেবুন্নসা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়(১জন),
19.সুয়াবিল উচ্চ বিদ্যালয়(১ জন),
20.দৌলতপুর এ বি সি উচ্চ বিদ্যালয়(১ জন),
21.গুলতাজ মেমেরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ (১ জন),
22.নাজিরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়(১ জন),
23.নাজিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(১ জন),
24.জাহানপুর আমজাদ আলী আব্দুল হাই ইনিষ্টিটিউট(১ জন)
25....................................................
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ বলেন - সার্বিক দিক থেকে জি.পি.এ-৫ গত বছরের চেয়ে কম পেলেও পাশের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।