আজ আমার ঘুমানোর সময়টায় ঘুমালামনা । নিমগ্ন হয়েছি নিজ জীবন ও পারিবারিক চিন্তায়। দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘন্টা বিছানায় এপাশ ওপাশ গড়াগড়ির মধ্য দিয়ে জীবনের সর্বশেষ বেঁচে থাকার লড়াইয়ে উপনিত হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর তা হচ্ছে । সৌদিতে আইনি ভাবে থেকে যখন জীবনাবস্থা পাল্টাতে পারিনি, আনতে পারিনি পারিবারিক জীবনের স্বচ্ছলতা, তাই বে-আইনি হয়ে যাব। যা হবে হউক স্পন্সরবিহীন হয়ে যাব।
স্পন্সরের কাছে ১২ বৎসর জীবনের মুল্যবান সময় কাটিয়ে দিয়ে যখন জীবন ও পরিবারের কোন কুল কিনারা হলোনা , তখন এ সিদ্ধান্তগ্রহণ ছাড়া আর কোন উপায় দেখছিনা। এখন জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার এটিই একমাত্র উপায় আমার জন্য। কারণ আমার স্পন্সরের কাছে ভবিষ্যত পুরো জীবন কাটিয়ে দিলেও আমার জীবন ও পরিবারের কোন কুল কিনারা হবেনা। তাই সর্বশেষ বেঁচে থাকার উপায় হিসাবে হজ্জের পর স্পন্সরহীন হয়ে সৌদিতে অবস্থানের চেষ্ঠা করাই উৎকৃষ্ট হবে মনে করছি।
যদিও এতে সৌদিতে অবস্থানের কোন নিশ্চয়তা নেই। আছে শত শত বিপদসঙ্কুল অবস্থার আয়োজন। যেমন যে কোনদিন ধরা পড়লে জেল কেটে দেশে চলে যেতে হবে চিরদিনের জন্য , দেশে টাকা পাঠানোর পথে প্রতিবন্ধকতা নিরন্তর , চাকরী পেতে সার্বক্ষণিক সমস্যা , ঘুমানোর জন্য বাসা ভাড়া করতে ভোগান্তি , চিকিৎসার জন্য হসপিটালে ভর্তি বা ডাক্তারের কাছে যেতে সমুহ বিপদ, বন্ধুত্বহীনতা , ছুটিতে দেশে যাওয়া যাবেনা কখনো , দেশে যাবার ইচ্ছা করলে একবারেই যাবার আয়োজন করতে হবে, ইত্যাদি হাজারো দুশ্চিন্তায় নিজেকে সার্বক্ষণিক মগ্ন রাখতে হবে।
তবুও মনে করছি আমার জন্য এ ছাড়া আর কোন পথ নেই। বে-আইনী হয়ে সৌদিতে অবস্থানের চেষ্ঠা করা ছাড়া জীবনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সর্বশেষ এইভাবে উপনিত হওয়া ছাড়া আমার আর কোন পথ খোলা নেই।