জীবনাবধি লিখে যাব প্রেমের কবিতা
-----------------------------------
আমার লেখালেখি বন্ধ হবে শুধু সেইদিন ,
আমার জীবন থেকে ভালোবাসা বিলীন হবে যেইদিন ।
তোমার ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে আমি লিখছি অবিরত ,
আমাকে নিয়ে পড়শীরা তাই কানাঘুষা করছে সতত ।
আমাদের প্রেমের কারনে কি ক্ষতি তাদের !
কেন যে তারা বন্ধ করতে বলে প্রেম আমাদের !
অসম্ভব , কখনো তা হতে দেবোনা ,
স্বইচ্ছায় শত্রুর বুলেট বুক পেতে নেবোনা ।
থাকবে আমাদের প্রেম এই পৃথিবীতে যতদিন থাকি ,
এসো এ প্রতিজ্ঞায় নিজেদের রাখি ।
জীবনাবধি প্রেমের কবিতা লিখে যাব -
জীবনে যতদিন ভালোবাসা থাকে ;
তোমাকেই শুধু ভালোবেসে যাবো ;
জীবন মোর যতদিন রহে এ খাকে ।
======================================
আমার জীবন : আমার অর্ধাঙ্গিনী
---------------------------
কৈশোর পেরিয়ে সদ্য ঊষালগ্ন
আচানক পারিবারিক কলরোল উদ্ভাসিত হলো
সেই উত্তর বাড্ডার সেমিপাকা দালানে !
মধ্যখানে টেবিল আর চতুর্পার্শে পাতানো চেয়ার ;
পারিবারিক ট্যাবুলেশান বৈঠক !
বড় বুবুর জামাই আর তার বড় ভাই
আমাকে নিয়ে কি যেন বলছে তারা !
আঁড়ি পেতে শুনলাম - আমার বিয়ের আলাপ !
কিংকর্তব্যবিমুঢ় আমি - বেকার যুবক ,
এরই মাঝে বিয়ের সানাইয়ের সূর !
প্রথম নয় , দ্বিতীয় নয় , তৃতীয় নাম্বারেই
একটা মেয়ে দর্শনে আমাকে ও নাকি যেতে হবে !
পরনে কালো প্যান্ট , সফেদ পাঞ্জাবী গায়ে ,
চোখে রেভন সানগ্লাস , আর পায়ে সেণ্ডেল সু -
এভাবেই বর সেজে বেরিয়ে গেলাম ।
সেজ ভাবী ভরসার মাকে ( চাচাতো ভগ্নিপতি
চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের
জনাব মুফতী মামুনুর রশীদ আল আজহারী কর্তৃক প্রদত্ত নাম ) ।
ত্রিচক্রযানের হুড তোলে উঠে পড়লাম আমরা ।
ভিন্ন যানে বড় বুবু ও তার স্বামী ।
অর্ধঘন্টা পথ মাড়িয়ে যখন
হবুস্ত্রীর পিতৃ আঙ্গিনায় আমরা -
গ্রাম্যবালাদের উঁকিঝুঁকিতে সচকিত আমি
হাঁটতে লাগলাম সকলের পীঁছু ।
আমি আর দুলাভাই আসন পাতলাম ।
আপ্যয়ন করানো হলো আমাদের ;
অল্পক্ষণপর আমার হবু স্ত্রী
লাল - খয়েরী জরীর কাঁচ করা সেলোয়ার কামিজ
আর মাথায় মেজেন্ট রঙ্গের দোপাট্টা জড়িয়ে
আার সম্মুখে পাতানো সোপায় আসীন হলো ।
আর মনের মাধুরী মেশানো স্বর্গীয়সঙ্গিতের রাগ
পুরোটা ঘরে ঝমঝম করে উঠলো !
আন্দোলিত হলো আমার সর্বাঙ্গ ,
এক পুলকিত শিহরিত মধুর গুঞ্জনে ,
স্বর্গীয় আবেশে আমুদিত হলো
চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকা
কি যেন আলাপচারিতা করেছিলাম তখন -
ইংরেজীতে নাম ঠিকানা লিখে দাও ।
খসখস করে লিখতে লাগলো সে -
MISS. MOMTAJ SULTANA SHILPI …
আর আমি ও লিখে দিলাম ইংরেজীতেই
যদিও ইচ্ছা ছিলোনা তাকে অর্ধাঙ্গিনী বানাবার ,
তবুও সৃষ্টিকর্তার অমোঘ বিধান ;
যার সাথে আমার বন্ধনের কলম
তিনি তাঁর দফতরে মেরে রেখেছেন ,
তা কি কখনো খন্ডানো যায় ?
তাই , সানাইয়ের সুরে সুরে
সেই মমতাজ সুলতানা শিল্পীই
আমার জীবনের সাথে মিশে গেলো !
আমার রক্তকণিকায় তার অবাধ বিচরন ;
অহর্নিশ করে শুধু আমায় জ্বালাতন ,
তার আড়াল হয়েও যদি - কোথাও কভু লুকাই ,
হঠাৎ করেই দেয় হানা - সামনে এসে দাঁড়ায় !
অর্ধাঙ্গিনী আমার বলে শুধু -
আমি না তোমার সাকী ! ’’
===============================
দাদা, প্রথম লেখাটির ভিতর যে শক্তির সংকেত অনুরণীত হয়েছে তা অতুলনীয়। অসাধারন। পরবর্তি রচনাটি বেশ মনোজ্ঞ। প্রেম নিবেদন সম্পর্কে আপনার একটি পুস্তক প্রকাশের আশায় রইলো এই ভাইটি। আপনি অসাধারন। ধন্যবাদ দাদা।
উত্তরমুছুনদাদা !
উত্তরমুছুন" ভালোবাসার পদবিন্যাস " আমার প্রথম বইটির পান্ডুলিপি । প্রায় ৮০টি কবিতার একটা প্রেমের কবিতার বই । চেয়েছিলাম তা প্রকাশ করবো । কিন্তু সময় ও সুযোগ কোনটাই আমার হলোনা । তাই ভাবলাম এতগুলো লিখা কি আমার আলমারীতে আবদ্ধ হয়ে থাকবে ? সেই কারনে মানুষের সম্মুখে প্রকাশের বিকল্প চিন্তা স্বরূপ আমার ব্লগের আশ্রয় ।
ব্লগের নিম্নাংশে আমার অন্যান্য বইগুলোর একটা ফিরস্তি দিয়েছি । ভালোবাসারপদবিন্যাস শেষ হলেই অন্যান্য বইগুলো ও ব্লগের মাধ্যমে জনসম্মুখে প্রকাশের ইচ্ছা রাখছি ।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ।