- থাপ্পর দিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়ে আবার জিজ্ঞেস করছস আমার কি হয়েছে ?
= কি ! আমি তোকে থাপ্পর দিয়েছি ? আরে আমি তো স্বপ্নের মাঝে খুশিতে টেবিলে থাপ্পড় দিয়েছি !
- তুই টেবিলে থাপ্পড় দিছস না ! দেখ এখন কি অবস্থা ? শালা ! এত খুশি কিল্লাই কস ত ?
= সরি দোস্ত ! আরে আমি কি স্বপ্ন দেখেছি তুই ত জানস না। জানলে তুই শুধু টেবিলে থাপ্পড় না, পুরা টেবিলটাই ভাইঙ্গে ফেলতি।
- তাই ! শুনি কি সেই স্বপ্ন ?
= দাঁড়া আগে তোর রক্ত পড়া বন্ধ করার ব্যবস্থা করি ([চট্টগ্রামের ভাষায়] "তুআইন্যা পাতা" পিষে রস বের করে তা নাকে লাগিয়ে দিল সে, মিনিটের মধ্যেই রক্ত বন্ধ হয়ে গেল বন্ধুর )।
- রক্ত বন্ধ হইছে এবার বল কি স্বপ্ন দেখছস, যার জন্য আমার নাকটাই ফাটাইয়্যা দিতে হল।
= আরে স্বপ্ন দেখি দেশে তত্ববধায়ক সরকার গঠন হইছে। আর হাসিনা সদলবলে গেফতার হইয়া রিম্যান্ডে গেছে। তত্ববধায়ক সরকারের প্রধান হইছে হেফাজতে ইসলামের আল্লামা আহমদ শফি সাহেব। তিনি নির্দেশ দিছেন মাওলানা হাফেজ জোনায়েদ সাহেবরে যেভাবে হাসিনা রিম্যান্ডে নিয়ে কথা আদায়ের চেষ্ঠা করেছে ঠিক সেভাবেই যেন হাসিনার মুখ থেকে কথা আদায় করা হয় যে , হাসিনার বাপকে কে মেরেছিল তা যেন সে বলে। রিম্যান্ডে হাসিনার কাছ থেকে কথা আদায়ের দায়িত্ব পড়ে নতুন সরকারের সেনা প্রধান মাওলানা হাফেজ জোনায়েদ সাহেবের উপর। এখন বুঝতে পারছস কি ঘটেছে হাসিনার উপর? শেষমেষ হাসিনা স্বীকার করতে বাধ্য হল, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে তার অর্ডারেই। হাসিনা নিজে ক্ষমতা দখলের জন্য তার বাবাকে হত্যা করতে মেজর ডালিমরে নির্দেশ দিয়েছিল। রিম্যান্ড শেষ হল। আদালতে পিতৃ হত্যার আদেশ দাতা হিসাবে হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষনা করা হল। এই ঘোষনা শুনেই তো টেবিলে থাপ্পড় দিয়েছিলাম আনন্দের ঠেলায়।