একদিন পুরুষটির এমন এক রোগ দেখা গেল , যে জন্য পুরুষটি তার পুরুষাঙ্গের শক্তি হারাল। কয়েকদিন পর রোড এক্সিডেন্টে হারাল দু’টি পা। এর কয়েকদিন পর গরম পানি চোখে পড়াতে হারাল দু’টি চোখ। এভাবে যখন সে অচল হয়ে গেল বেঁচে থাকার তাগিদে সে তার গ্রামের বাড়িটি বিক্রি করে খরচ করতে থাকল। একদিন বাড়ি বিক্রীর টাকাও যখন শেষ হয়ে গেল তখন মেয়েটি পুরুষটিকে অবহেলা করতে শুরু করল। ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতে থাকল নিত্য নতুন পুরুষ সঙ্গী। পুরুষটির তখন এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে থাকল ।উপায়ন্তর না দেখে পুরুষটি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু ,মরার আগে প্রথম বউ ও বাচ্ছাদের একবার দেখার ইচ্ছা জেগে উঠল মনে। পুরুষটির এক বন্ধু তার সবসময় খোজ খবর নিত। বলতে গেলে সে অচল হয়ে যাবার পর এ বন্ধুটিই অন্ধের যষ্টির মত কাছে কাছেই থাকত। এ বন্ধুকেই সে পাঠাল প্রথম বউয়ের বাপের বাড়ি , যাতে তাদের একবারের জন্য তার কাছে নিয়ে আসে। পরদিন পুরুষটির প্রথম পরিবার তার কাছে চলে আসে। তার এ অবস্থা দেখে তারা আর ঠিক থাকতে পারলনা। প্রথম বউ আর বাচ্ছাদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
প্রথম বউ স্বামীর কাছ থেকে এক পলকের জন্যও নড়েনা। স্বামীর যাতে কোন প্রকার কষ্ট না হয় তীক্ষ্ন দৃষ্টি প্রথম বউয়ের। এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েকমাস। প্রথম বউয়ের আন্তরিক ভালবাসার কাছে হার মেনে পুরুষটি আত্মহত্যার কথা ভুলে যায়।
একদিন তার দ্বিতীয় বউকে তার কাছে আসতে বলে। যখন সে আসে তখন পুরুষটি তাকে জিজ্ঞেস করে - তুমি যখন আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলে তখন তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম - তোমার মধ্যে এমন কি বেশী আছে যে , যা আমার বউয়ের কাছে নেই , যে জন্য বউ থাকা সত্বেও তোমাকে বিয়ে করতে হবে ? তুমি বিয়ের আগে বলেছিলে তুমি আমাকে আমার এই বউয়ের চেয়ে বেশী ভালবাসবে। এখন তোমার সেই ভালবাসা কোথায় ? এখন বলতো - আমার এই বউয়ের চেয়ে তোমার কাছে কি বেশী আছে ? এই কথা বলার সাথে সাথেই পুরুষটি দ্বিতীয় বউয়ের গলা টিপে ধরল। বলতে থাকল - তোমাদের মত মেয়েদের জন্যই কত শত সুন্দর পরিবার আজ ধ্বংসমুখী। তোকে বাঁচিয়ে রাখলে আমার পরিবারের মত আরও শত শত পরিবারে নেমে আসবে বিপর্যয়। মেরেই ফেলব তোকে। তোকেও মারব , আমিও মরব। দ্বিতীয় বউ যতক্ষণ পর্যন্ত মরলনা ততক্ষণ পর্যন্ত সে গলাটিপে ধরে থাকল। মরণ নিশ্চিত হয়েছে জেনে সে তার গলা ছেড়ে দিয়ে নিজেই নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে দিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন