কারণ ,যখনই কারখানাগুলোতে কোন দূর্ঘটনা ঘটে তখনই তারা সাংবাদিক সমাবেশ করে, বিভিন্ন টক শোর মাধ্যমে বিভিন্ন মন ভুলানো বাহারী কথায় শ্রমিকদের অসন্তোষকে সন্তোষজনক অবস্থায় নিয়ে আসে। দূর্ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই সব অসন্তোষ সন্তোষে রূপান্তর হয়ে যায় এসব নেতাদের নিস্ক্রীয়তায়।
শুনা যাচ্ছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির মাধ্যমে শত শত শ্রমিক হত্যার মূলে ছিল সরকারের কালো ছায়া। সেদিন ছুটি থাকা সত্যেও শ্রমিকদের জোর করে সেই ভবনে ডুকানো হয়েছিল বিরোধী দলের হরতাল বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করানোর জন্য। এ তথ্যটি ফেলনার মত নয়। কারণ সব সময় ক্ষমতাসীনরা নীরিহ শ্রমিকদের দাবার গুঁটি হিসাবে ব্যবহার করে এসেছে। এর ফলে দূর্ঘটনায় যে সব শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে তাদের পরিবার ও সকল প্রকার সমস্যা দূরীকরনে হাত করা হয় শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের। কারণ মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের পক্ষে মুখ খুলবে এ সব নেতারাই। তাই ক্ষমতাসীনরা সেসব নেতাদের চড়া দামে কিনে তাদের মুখে কলুপ এটে দেয়। ফলে তাদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়।
আসলে এসব নেতারা বিক্রি হয়ে যায় সরকারের কাছে। ফলে শ্রমিকদের আর্তি ধামাচাপা পড়ে সবসময়। এবার ও তার ব্যতিক্রম হবেনা। কয়েকদিন তারা সরগরম থাকবে। তারপর সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে তারা মুখ বন্ধ করে ফেলবে। এমনই দেখা যাচ্ছে অবস্থাদৃষ্টে। সরকারী কর্মকর্তা, এমপি ও মন্ত্রীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শুরু করেছে সাংবাদিক সম্মেলন, টক শো মালিক পক্ষের সংগঠনের নেতারা। কয়দিন পর শ্রমিক নেতারা তাদের সাথে যোগ দিবে।