মহান দেশপ্রেমিক শহীদ
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
স্মরণ করি
মহান দেশপ্রেমিক শহীদ
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে
- মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
( মদিনা প্রবাসী )
============================================================================
হে মহান দেশপ্রেমিক ! দেশ মৃত্তিকার গর্ব !
মানব প্রেমিক আপনি জিয়াকে এই স্মরণ দিনে
আমাদের সশ্রদ্ধ সালাম আর মরণোত্তর সংগ্রামী অভিনন্দন ।
আপনাকে নিয়ে আজ আমরা গর্ব করি আপনার উত্তরসূরীরা ,
আপনার আদর্শের পথ ধরে চলমান আমরা
প্রতিনিয়ত স্মরণ করি আপনার মহান কীর্তিসমূহ ।
আপনার সৈনিক জীবনের চাতুর্যপনায়
এসেছিল সহসা আমাদের জাতীয় মুক্তি ;
অবনত মস্তক উন্নীত হয়েছিল তড়িৎ গতিতে
সমগ্র বাংলাদেশর আপামর জনতার ।
একাত্তরের সেই রাতে সুবহে সাদিকের যাত্রালগ্নে
দুমড়ানো মোছরানো কালুর ঘাটের ট্রানজিষ্টার থেকে
ভেসে আসা সেই আপনি জিয়ার কন্ঠধ্বনি -
আমি মেজর জিয়া বলছি , আমাদের দেশ আজ স্বাধীন হলো !
মুক্তির লড়াইয়ে আজ আমরা জয়ের মুকুট ছিনিয়ে এনেছি !
আমরা এখন মুক্ত , আমরা এখন স্বাধীন !
আমরা আজ স্বাধীন একটা জাতিতে পরিণত হলাম !
আমরা আজ হাতে পেলাম স্বাধীনতার লাল টুকটুকে সূর্য !
পরাধীণতার গ্লানী দূর করে স্বধীনতার সবুজ আবরন
গায়ে জড়িয়ে নিতে আজ আমরা সক্ষম হয়েছি !
পরাধীণতার শৃন্খল থেকে মুক্ত বিহঙ্গ
আজ আমরা সকল বাংলাদেশী !
আপনি জিয়ার সেই স্বাধীন কন্ঠধ্বণি ধ্বণিত হলো
সমগ্র দেশের আপামর জনতার কর্ণকুহরে !
মুহুর্তেই পাল্টে গেলো সমগ্র দেশের জনপদ জনগন !
বিজয়োল্লাসে মেতে উঠল দেশবাসী ।
আপনি জিয়ার সেই ঘোষনা
ম্লান হয়ে এলো যেন কিছুদিন পর ;
স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষেরা অক্টোপাশে আটকে গেলো ।
স্বাধীন দেশের অবারিত রাজপথে দেখা দিল পরাধীণতার মিশ্রন ।
হতে লাগলো ব্যাংক লুঠ - চুরি - ডাকাতি - রাহাজানী ,
নির্যাতন - নিষ্পেষন আর অত্যাচারের খড়ক হাতে
স্বাধীন দেশের মসনদে যেন আসীন হলেন স্বৈরাচারের দোসর ।
রইলোনা তাই তাদের মসনদে থাকার ক্ষমতা ।
পাল্টে গেলো স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক ক্যানভাস ।
পূণর্বার স্বাধীনতার ডাক দিলো সিপাহী - জনতা ,
বিপ্লবের মাধ্যমে সাতই নভেম্বর লাল দালানের জিঞ্জির ভেঙ্গে
ছিনিয়ে এনে বসালো সেই মসনদে আপনাকে ।
স্বাধীনতার উজ্জ্বল আলো বিকিরনের দীক্ষা নিয়ে
মসনদে আসীন হলেন আপনি
সেই স্বাধীনতার মহান ঘোষক - মেজর জিয়া !
স্বাধীন দেশের মসনদ আপনাক পেয়ে হলো ধন্য !
আপনার স্পর্শ পেয়ে আন্দোলিত হলো সমগ্র দেশ !
স্বাধীনতার উজ্জ্বল আলোর বিচ্ছুরণ ঘটতে থাকলো সমগ্র দেশ ব্যাপী ।
আপনার উনিশ দফা কর্মসূচীর আলোকে আলোকিত হতে থাকলো
দেশের সকল জনপদ - জনগন !
শহর বন্দর ছাড়িয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
গণমানুষের মুখে মুখে ধ্বণিত হতে লাগলো আপনার যশ - খ্যাতি ,
আপনার মহান কীর্তি গাঁথা গাইতে থাকলো
দেশের আবাল - বৃদ্ধ - বণিতা সহ সকল শ্রেনীর জনসাধারণ !
আপনার দেশ প্রেমের অতুলনীয় নিদর্শন প্রদর্শিত হতে থাকলো
সমগ্র দেশের আনাচে কানাচে , জনপদ জনসঙ্গমে ।
আপনার দেশ প্রেমের ছোঁয়ায় ফুটতে থাকলো দেশব্যাপী প্রেমের ফুল !
ফুটন্ত ফুলের বাগান রূপে বিকশিত হতে লাগলো পুরোটা দেশ ।
চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে থাকলো ফুটন্ত ফুলের সুরভিত সৌরভ !
নিন্দুক আর হিংসুকদের নাসিকায় সেই সৌরভ সহ্য হলোনা ।
ভাড়াটে দিয়ে খতম করলো তারা আপনাকে ।
বন্ধ করলো প্রেমের ফুল ফোটানো ,
আপনার সাজানো বাগান ধ্বংস করলো ,
সুরভিত সৌরভ বন্ধ করে ঢেলে দিলো দূর্গন্ধযুক্ত বিষের বোতল !
চারিদিকে প্রকৃতি আজ বিষাক্ত দ্রবণে দাহ্য ।
পঁচে গলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ,
দুর্গন্ধে ছেয়ে গেছে সমস্ত লোকালয় ।
বড়ই প্রয়োজন আজ এ সময় - সুবাসিত সৌরভের আয়োজন ।
তাইতো , মনের আঙ্গিনায় দোল খায় সেই প্রেমের ফুল ;
এই সময়ে - আমাদের নাসিকায় এসে ধরা দেয়
আপনার ফুটানো ফুলের সেই সুবাসিত সৌরভ ।
আপনার অনুপস্থিতিতে স্মরণ করি আজ আপনাকে ,
হে মহান দেশপ্রেমিক !
হে ফুটন্ত ফুলবাগানের মহান রূপকার !
আমরা আবার পেতে চাই সুবাসিত সৌরভ
আপনার সেই সাজানো বাগান থেকে ;
স্বাধীনতার স্বাদ পেতে চাই আমরা পূনর্বার
স্বাধীনতার মহান ঘোষক - আপনি জিয়ার কাছ থেকেই ।
হে আমাদের পথ প্রদর্শক জিয়া !
আপনার আদর্শের রজ্জু ধরিয়া
আমরা আপনার উত্তরসূরী চলিতেছি সকলে মিলিয়া -
দেশ মাতৃকার উন্নয়নে বন্ধুর পথ সকল পশ্চাতে ফেলিয়া ।
করবোনা আপনার সম্মানের অপমান -
আপনার আদর্শের রোশনী যতদিন থাকবে
আমাদের মনে প্রবাহমান ।
আপনাকে স্মরণ করার এই দিনে
আমাদের জীবনে জেগে উঠুক নব উদ্দীপনা
আপনার উনিশ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়ন যেন হয় -
আপনার এই উত্তরসূরীদের মাধ্যমেই ।
================================================================
শুভ হোক নববর্ষের আগমন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
=================================================
সূচিত হলো নতুন শতাব্দির দ্বিতীয় দশকের নতুন বর্ষের দ্বার-২০১১ খ্রীষ্টাব্দ । শুভ হোক এই নববর্ষের আগমন ।
আজকের এই নতুন দিনের নব প্রভাতে সকলকে জানাই নববর্ষের শুভেচ্ছা । নববর্ষের এই নতুন প্রভাতের লাল টুকটুকে সূর্যের মতো সকলের জীবন হোক রঙীনময় । সূচিত হোক সক মানব জীবনে শান্তির সওগাত । উম্মোচিত হোক অশান্তির ধুম্রজাল ভেদ করে শান্তির ঝর্ণাধারা ।
এই কামনায় আসুন সবাই বরন করি নব প্রভাতের নতুন দিন , হিংসা - অশান্তি - অমিল - শত্রুতার দেয়াল ভাঙ্গতে অহিংসা - শান্তি - ঐক্যতা - মিত্রতার সুদৃঢ শপথ নিয়ে ।
৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত বারোটার কাঁটা ডানদিকে হেলে যাবার সাথে সাথেই কালের গহ্বরে হারিয়ে গেলো মানবজীবন থেকে আরও একটা বৎসর । মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি বছর তড়িৎ গতিতে মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেলো । সীমাহীন সময়ের সীমিত বারো মাসের পঞ্জিকার আরও একটি পাতা উল্টে গেলো । সময়ের স্রোতে এমনি ভাবেই উল্টে যাবে আরও একটা পাতা । ক্রমশঃ উল্টাতে থাকবে পঞ্জিকার পাতা এভাবেই । অনন্ত সময় বৃক্ষের আরও একটা পাতা ঝরে পড়ে গেলো , সময়ের স্রোতে তা পড়ে যাবেই । জীবনের অন্যবিধ কর্মের মতোই ইতিহাস - ঐতিহ্য , শিল্প - সাহিত্য , শিক্ষা - সংস্কৃতি , তাহযীব - তামাদ্দুন স্থবির হয়ে নেই । সবকিছুই এগিয়ে চলছে আমাদের বাস্তব জীবন অপরাপর ধারার মতোই । এগিয়ে চলেছে জীবন-মৃত্যুও । কাল যে ছিলো আজ সে নেই । আর কাল যার অস্থিত্ব ছিলোনা আজ তার উপস্থিতি সদর্পে বিদ্যমান ।
মানুষের জীবন তো আসলে ঘড়ির কাঁটার কিছু সংক্ষিপ্ত সময় মাত্র । জীবনে যা আর কখনোই ফিরে পাওয়া যায়না তার নাম সময় । আর জীবন হচ্ছে এই সময়েরই সমষ্ঠি । মানুষের কাছে তার জীবনের ছেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নেই , যে জীবন সে একবারই পায় । একটি বছরের বিদায় মানে জীবন থেকে একটি বছর খসে যাওয়া । যেভাবে শুকনো পাতা প্রায়ই নিঃশব্দে ঝরে যায় সেভাবেই জীবন থেকে একটি বছরও হারিয়ে যায় । এভাবেই একটি জীবনের আয়ুষ্কাল শেষ হয় ।
সময় ! মানুষের জীবনে ভালো সময় খুব বেশী নেই । তার যা কিছু সুখের স্মৃতি তা এই চলে যাওয়া দিনগুলোকে নিয়ে । মানুষের জীবনে সুখের সময় খুব কম । আর আনন্দের সময় খুবই ক্ষণস্থায়ী । সুখ - দুঃখ - আনন্দ - বেদনা মিলিয়ে এই যে মানুষের জীবন , এই জীবনের চেয়ে প্রিয় আর কিছুই নেই তার কাছে । বিগত দিনের সেই হারানো মুহূর্ত , তার আনন্দ - বেদনা গুলোও ফিরে পাওয়া যাবেনা । ফিরে পাওয়া যায়না বলেই এইসব স্মৃতি এত মধুর , এত সুখকর ।
একটি বছরে কোন মানুষের জীবনেই সবইতো আর সুখের স্মৃতি নেই , অনেক দুঃখের স্মৃতিও আছে । আছে অনেক চোখের জল । এই সুখ - দুঃখ - আনন্দ - বেদনা পেরিয়ে জীবন এগিয়ে যাবে । এই চলমানতাই জীবন । তেমনি চলমান সময় , দিন , মাস , বৎসর । তাইতো সময়ের অতীত গর্ভে তলিয়ে একটি বৎসর ।
নতুন শতাব্দির দশতম বৎসরটি মানুষের হাজারো কামনা , আশা , আকান্খার অসমাপ্ত ঝুড়ি নিয়ে হতাশার ঢালা উপহার দিয়ে কখন যে তলিয়ে গেলো আমাদের বুদ্ধিজীবিদের কেহই বলতে পারেননি । তাবৎ বুদ্ধিজীবিদের নতুন শতাব্দির শুরুতে আশা ছিলো নতুন শতাব্দিতে তাঁরা আগামী প্রজন্মের জন্য কিছু করবেন । বলে যাবেন কিছু । কিন্তু বহতা সময়ের স্রোতে মহাকালের গর্ভে সব আশা নিমিষেই হারিয়ে গেলো । কিছুই করতে পারলেন না বুদ্ধিজীবিমহল । বলে যেতে পারলেন না সেই অসীম আশার বাণী -
“ নতুন বছরে প্রথম প্রহরে আগামী পৃথিবীকে কি বলবো ?
বলবো সরবে অথবা নীরবে ।
বলবো সমস্বরে অথবা একা কা সঙ্গোপনে ,
এসেছে নতুন শিশু ; তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান ;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ , মৃত আর ধ্বংস স্তুপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের চলে যাব
তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপনে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি -
নবজতকর কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার ।
অবশেষে দেহের রক্তে নতুন শিশুকে করে যাব আশীর্বাদ
তারপর হবো ইতিহাস । ’’
বর্ষ পরিক্রমায় আরও একটি নতুন বছর আমাদের সামনে উপস্থিত । পহেলা জানুয়ারীর উদয় লগ্ন থেকে খ্রীস্টীয় দিন পঞ্জীর নতুন সালের যাত্রা শুরু । পহেলা জানুয়ারী নতুন বৎসরের প্রথম দিন । ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে শুরু নতুন বৎসর । আর পহেলা জানুয়ারী প্রভাতের সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই নতুন বৎসরর কর্মকান্ডের সূচনা । মানুষের জীবনে এক এক বৎসর পার হয় , আর মানুষ নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে । কিন্তু প্রতিটি বৎসরেই সেইসব স্বপ্নভঙ্গই যেন নিয়তী হয়ে দাঁড়ায় । তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে । বারবার সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে । তাই , নতুন বৎসরের নতুন স্বপ্নের সমারোহে স্বপ্নের রাত যেন হয় আনন্দময় । নতুন বৎসরের নতুন পথে সকলের পদচারণা হোক এ কামনায় -
স্বাগতম শুভ নববর্ষ । একুশ শতকের একাদশ বৎসরের প্রথম প্রভাতে কবির উপরোক্ত অমর প্রত্যাশা নিয়েই শুরু হোক আমাদের নতুন অভিযাত্রা । একুশ শতকের একাদশ সালের প্রথম প্রভাতে শান্তকামী বিশ্ববাসীর কামনা - নতুন বৎসরের শ্লাগান যেন না হয় - “ শিষ্ঠের দমন , দুষ্টের পালন ’’ , “ জোর যার , মুল্লুক তার ’’। নতুন বৎসরের নতুন ঘোষণা যেন না হয় - “ সুবচন নির্বাসন ’’- এ কামনায় নতুন শতাব্দির একাদশ নববর্ষকে জানাই উষ্ণ সম্ভাষণ । এ নববর্ষ আমাদের সকলের জন্যে বয়ে আনুক আনন্দ , সুখ ও শান্তির বার্তা ।
বিগত বছরে কি করেছি , না করেছি , কি লাভ হয়েছে , আর কি লোকশান - এর হিসাব মিলিয়ে ভুল - ভ্রান্তি - গ্লানী সংশোধন করে , আলস্য ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নব উদ্দীপনায় জীবন সংগামে নিয়োজিত হবার সুযোগ এনে দেয় যে কোন নববর্ষ ।
আমাদের জীবনে বিগত বৎসরে কি এলো , কি গেলো এর একটা খতিয়ান সমাজের চিন্তাশীল মণিষীদের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় অভিব্যক্তি , নিস্ক্রীয় জীবনের সক্রিয়তায় বিধৃত । বিগত ৩৬৫ দিন আমাদের দেনা - পাওনা , শোক - আনন্দ , সুখ - দুঃখ , স্বপ্ন - বাস্তবতা , প্রত্যাশা - সাফল্য জীবনের নানাক্ষেত্রে যে চিহ্ন রেখে গেছে তারই নিকেশের সময় এটি , এ নতুন বর্ষ ।
প্রত্যাশাতে সীমাহীন উদ্যাম ও কর্মধারা সীমিত । তাই , বিগত বৎসরে আশাপূর্ণ বা আশাতিরিক্ত কিছু না পেলেও আমাদের হতাশ হবার কারণ নেই । চলমান গতি প্রবাহ অগ্রসরমান রাখার প্রচেষ্ঠায় সাধনা করতে হবে । তাতেই সফলতার দ্বার উম্মোচিত হবার সম্ভাবনা । কেননা , প্রতিটি নববর্ষ আসে মানুষের প্রত্যাশার ডালা সাজিয়ে ।
পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনক সাদরে বরণ করে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই প্রকৃতির নিয়ম । প্রকৃতির এ বিধানকে মেনে নিয়ে , অতীতের সকল দুঃখ - ক্লেশ ভুলে গিয়ে , হিংসা - বিদ্বেষ ঝেড়ে ফেলে নব উদ্যমে সামন অগ্রসর হওয়াই আমাদের আবশ্যকিয় কর্তব্য ।
প্রতিটি নতুন বছর মানব সমাজের জন্য বয়ে আনে নববার্তা । তাই , আমাদের সেই নববার্তার শ্লোগান হোক এভাবেই - “ আমরা যুদ্ধ , ক্ষুধা ও সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্ব চাই । আমরা চাই - দক্ষ , উদ্ভাবনী ও উদ্যোগী মানব সম্পদ ’’। আর এ শ্লোগানকে বাস্তবতা দানের চাবিকাঠি হচ্ছে - একটা সুষ্ঠ , সুশীল ও সুন্দর সমাজের ব্যবস্থাপনা । এর জন্য প্রয়োজন একটা মানব কল্যানমুখী জীবনাদর্শ । যে জীবনাদর্শে সুষ্ঠ , সুশীল ও সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা বিদ্যমান , সে জীবনাদর্শ খুঁজে বের করে সে আদর্শ নিয়েই এ নববর্ষে আমাদের পদচারণা করতে হবে ।
সকলের আন্তরিক শুভবুদ্ধি সমগ্র বিশ্বের কল্যান বয়ে আনুক । মানবপ্রেম ও উদার দেশাত্ববোধের পরিচর্যায় অব্যাহত প্রগতি প্রত্যাশা সফল হোক । এই নববর্ষের প্রথম সূর্যোদয়ের মঙ্গল মুহূর্তে এই হোক সকলের প্রার্থনা ।
সকলকে ধন্যবাদ
[ কৃতজ্ঞতা স্বীকার : নিবন্ধটি লিখতে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বাণী - বিবৃতির সহযোগীতা নেয়া হয়েছে । যাদের বাণী - বিবৃতির সহযোগীতা নেয়া হয়েছে , তাদের নাম এ মুহূর্তে স্মরণ করতে পারছিনা বলে দুঃখিত । আমি তাদেরকে সম্মানের সহিত কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । ]
দাদা, অসাধারন লিখেছেন। কল্পণাশক্তির এই ব্যাপ্তি অসামান্য। আপনার ধৈর্য্য, আগ্রহ, বিষয়বস্তুর ব্যাপারে অপরিসীম জ্ঞান এবং নয়ণাভীরাম পরিবেশন হৃদয়কে ছুঁয়ে গেল। অপূর্ব। আমি বলে বোঝাতে পারব না যে আপনাকে আপনার এই প্রচেষ্টার জন্য আমি কতখানি শ্রদ্বা করি। আপনার পরিশ্রম ও একাগ্রতার ফল আপনি অবশ্যই পাবেন, এই আশা রাখি নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা সহ। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনআপনার অজয়।
দাদা !
উত্তরমুছুনআদাব । আশা করি পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো আছেন । আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো ।
আপনার ভালোবাসা মিশ্রিত অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যটি পড়ে আমার লেখার শক্তি আরও বহুগুনে বেড়ে গেলো । বেড়ে গেলো আপনার প্রতি অপরসীম শ্রদ্ধা ।
দাদা ,
আপনিই একজন ব্যক্তি যিনি প্রতিনিয়ত আমাকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে যাচ্ছেন । আপনার এই ঋণ ভুলার নয় । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন এই কামনায় -
জাকারিয়া