আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা
বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী
সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত
সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
বিষয় সূচী
APNAKE SHAGOTOM
সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা
অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি ।
conduit-banners
Powered by Conduit |
সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২
ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা
রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২
থার্টি ফাস্ট নাইট সভ্য মানুষ(?)দের অসভ্য কর্মের উৎসব
আমি গতবৎসর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে এভাবেই লিখেছিলাম - " আজ ৩১/ ১২ / ২০১১ ইংরেজী । রাত ১২টার পর শুরু হবে নতুন বর্ষ । আর এ বর্ষবরণ শুরু হবে মদ খাওয়া মাতালদের উম্মত্ব উলঙ্গ নৃত্যের মাধ্যমে । পালন করা হবে অসভ্য মানুষদের সভ্যতার পরিপন্থি ( তথাকথিত সভ্য মানুষদের বিশ্ব বেহায়াপনার একটি উলঙ্গ প্রদর্শনীর প্রতীক - " থার্টি ফাস্ট নাইট '' !
বাংলাদেশে পালনোম্মুখ একটা বিদেশী কুরুচিপূর্ণ , বাংলার সভ্য রূপকে অসভ্যতার রূপ দিয়ে কলঙ্কিত করার বিদেশী পায়তারা । যাতে অংশ নেয় বাংলা মায়ের গর্ভ জন্ম নেয়া , নিজ মাতাকে অসম্মানকারী বিত্তশালীদের বিদেশী মদের নেশায় মাতাল সূর্যসন্তানরা । যার দেখাদেখি জড়িয়ে পড়ে বাংলা মায়ের সহজ সরল সন্তানরাও ।
আমি সকল নারীকে একই পাল্লায় তুলিনি , তাই ষ্ট্যাটাসে বলেছি " যে সকল মেয়ে " । নারীদের অশ্রদ্ধা করে নয় , নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তাদের সতর্ক করণে আমার এই ষ্ট্যাটাস। আশা করছি ভুল বুঝবেননা। বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটু অশোভন ভাবেই ষ্ট্যাটাসটি দিতে হলো।
আপনারা নারী হয়ে কোন অপরাধ করেননি। তবে নারী হয়ে আপনারা যে সম্মানটি প্রাপ্য , আপনাদের নিজেদের কারণেই সে সম্মান প্রাপ্তি থেকে আপনারা বঞ্চিত হচ্ছেন সেটাই বুঝাতে চাচ্ছি। বৃহদাংশ মেয়েদের উশৃন্খল জীবন যাপনের কারনে আজ আপনারা সমগ্র নারী জাতি অসম্মানীত। সেই সম্মান প্রাপ্তির পথে আপনাদের দৃষ্টি ফেরানোর লক্ষ্যে আমার এই ষ্ট্যাটাস। আপনাদেরকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য নয়।
আপনার কথাটা পুরাপুরি মানতে পারছিনা। ভবিষ্যত ওপেন সেক্সের নগরী ঢাকাতে এখনও অনেক ভাল ও ধর্মপরায়ন নারী আছেন , যাঁদের কারনে এখনো ঢাকা ওপেন সেক্সের নগরী হিসাবে খ্যাতি পেতে পারেনি। তবে ঢাকার উদ্যানগুলোর দিকে চোখ দিলে মনে হয় ঢাকা ওপেন সেক্সের নগরী হিসাবে খ্যাতি পেতে আর বেশী দেরী নেই।
এখনকার বেশীর ভাগ মা বাবাদের বানিজ্যিক ইচ্ছায়ই তাদের মেয়েরা খারাপ ও উশৃন্খল পথে পা বাড়াচ্ছে। বেশী দূরে যেতে চাইনা । শুধু এটুকু বলতে চাই মা বাবার অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের বিশ্ববাজারে পণ্য রূপে প্রদর্শন করতে পারেননা।
মেয়েরা এ ক্ষেত্রে যতটুকু অপরাধী তার দ্বিগুন অপরাধী ছেলেরা , যারা মেয়ে দেখলেই লুলোপ দৃষ্টি হানে , পথে ঘাটে মেয়েদের উপর অহেতুক ভাবেই ছড়াও হয়। আমি এখানে সেসব উল্লেখ করতে চাইনি । আমি শুধু একটা বিশেষ দিনের সংঘটিত ঘটনার দিকে আলোকপাত করতে চেয়েছি। যাতে অধিকাংশ মেয়ে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের উপর বিপদ ডেকে আনে। তার তিনটা জলজ্যান্ত উদাহরণও দেখিয়েছি উপরের মন্তব্যে। এ ধরণের ঘটনা যাতে মেয়েরা স্বেচ্ছায় বরণ করতে বেরিয়ে না পড়ে সেদিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছি। যা আগামীকাল দিবাগত রাতে ঘটতে যাচ্ছে। যে রাতে অধিকাংশ মেয়ে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিতে যাচ্ছে তাদের আগামী দিনের দুঃসহ যন্ত্রণার যাত্রাপথ।
এখানেই তথাকথিত প্রেমের প্রতি আমাদের যুদ্ধ। যে প্রেম সুন্দর করে মানুষকে বাঁচতে শেখায়না , যে প্রেম মানুষকে অন্ধকার গলিপথে ঠেলে দেয় , সে প্রেম কখনো প্রেম হতে পারেনা। সেটা ক্ষণিকের মোহে জড়িয়ে পড়া। একজন পুরুষ সঙ্গী যদি মেয়েসঙ্গীকে যত্রতত্র নিয়ে যেতে চায় , তবে সে মেয়েটির উচিত উক্ত পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গ ত্যাগ করা । এটাই বুঝাতে চাচ্ছি। মেয়েদের যদি এতই নববর্ষ উদযাপনের প্রয়োজন হয় তবে তারা মেয়েদের সাথেই নববর্ষ উদযাপন করুক , তারা পুরুষদের মাঝে যাবে কেন ? এতো হবে কাঁটা নিয়ে খেলতে গিয়ে স্বেচ্ছায় কাঁটার আঘাত খাওয়ার মত ঘটনা , তাতে কাঁটার দোষ কি ?
গত পরশু আমি মদিনা মুনাওয়ারার একটা আবাসিক হোটেলের সভাকক্ষে ইংরেজী নববর্ষ উদযাপনের আয়োজনের উপর অনুষ্টিত "থার্টি ফাস্ট নাইট সভ্য মানুষদের অসভ্য কর্মের উৎসব" নামের একটা কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। যাতে প্রায় ১৫০ জনের মত মানুষ উপস্থিত হন তম্মধ্যে নারীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ এর উপরে। উক্ত অনুষ্টানে আমিও কিছু বলার সুযোগ পাই। অন্যান্যদের মত আমার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেও নারীদের পক্ষ থেকে আমাকে কিছু প্রশ্ন করা হয় , আমাকে তাদের সেসব প্রশ্নর উত্তরও দিতে হয় । আমার সেসব উত্তরের কিছু এখানে তুলে ধরলাম যাতে যে সকল বোন আমাকে ভুল বুঝছেন তাদের ভুল ভাঙ্গে। এসব উত্তরগুলো গতকাল আমি অন্য ষ্ট্যাটাসের উপর মন্তব্য রূপেও লিখেছিলাম। আজ এখানে এসে দেখলাম কয়েকজন বোন আমাকে ভুল বুঝে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তাই তাঁদের সেই প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই উত্তরগুলো তুলে ধরছি,অবশ্য কিছু উত্তর গতকাল এ স্ট্যাটাসের মন্তব্যের রিপ্লাই হিসাবে দিয়েছিলাম যা উপরে দেয়া আমার মন্তব্যগুলো দেখলেই বুঝা যাবে । যা হোক - আমার প্রথম উত্তরটি দিয়েছিলাম একটা কবিতা রূপে , আর সেটি হল -
আমার অন্যান্য উত্তরগুলোর মধ্যে -
" পুরুষ আর নারী দুই ভাগে বিভক্ত সেই মানব জন্মের শুরু থেকে তাই মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত, এক ভাগে নারী অন্য ভাগে নর। এটাই স্রষ্টার নিয়ম। এখানে আমি কেন বিভক্ত করতে যাব ? স্রষ্টার নিয়মই বা আমি খন্ডাই কি করে ? আমি কি কখনো কোন নরকে নারী বা কোন নারীকে নর বানাতে পারব ? কখনোই না , সেটা স্রষ্টার হাতে।
বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২
আমার জীবনের দিনপঞ্জী (সমাপ্ত)
আমার জীবনী লিখতে গিয়ে অনুভব করলাম , আমার জীবনতো শুধু আমার সাথেই সম্পৃক্ত নয়। আমার চারিপাশ,আমার আত্মীয়-স্বজন,আমার পাড়া-প্রতিবেশী মোটকথা আমার চলমান জীবনের সাথে যা কিছুরই সম্পর্ক সবকিছুকে নিয়েই আমার জীবন। আমার জীবনী যদি সত্যনির্ভর করে লিখতে যাই তবে তো এ সকল কিছু নিয়েই লিখতে হবে। তবেই হবে একটা বাস্তব জীবনের চিত্র প্রদর্শন। যাতে উটে আসবে একটা জীবনের ভাল মন্দ সকল কিছুই।
মানুষ অনেকেই জীবনী লিখে। কিন্তু তাতে দেখা যায় সেই জীবনের অনেক কিছুই বাদ দিয়ে যায়, তারা নীজ জীবনের ভাল দিকগুলো তুলে ধরে কিন্তু খারাপ দিকগুলো প্রদর্শন না করে এড়িয়ে যায়। তাতে কি বুঝা যায় মানুষটা কিরূপ ? নিশ্চয় না। তাই তাদের সে জীবনী আমি জীবনীকে আমি জীবনী বলতে চাইনা , বড়জোর এটুকু বলতে পারি - সেগুলো হল লেখকদের জীবনের ভালো দিকগুলোর আলোচনা করে নিজেদের ভাল মানুষ রূপে উপস্থান করে বাহবা কুড়ানোর একটা অপ্রপ্রয়াস। আর যিনি নিজের খারাপ দিকগুলো লুকিয়ে রেখে ভালো দিকগুলো লিখে নিজেদের প্রদর্শন করেন তারা মুলতঃ মানুষকে বোকা বানিয়ে সমাজে নিজের একটা ভাল স্থান গড়ে নিতেই চেষ্ঠা করেন। মানুষদের তারা কিছু শিক্ষা দেয়ার জন্য তাদর জীবনী লিখেননা।
আমি জীবনী বলতে যা বুঝি তাহলো - জীবনী একটা মানুষের আভ্যন্তরীন দর্পণ। যাতে মানুষের ভাল মন্দের দিকগুলো প্রস্ফুটিত হয়ে অন্য মানুষদের জীবনকে সুন্দর রূপে গড়ে তুলতে শিক্ষা দেয়। একজন মানুষের ভুলগুলো অন্য মানুষ দেখে তা থেকে তারা নিজেদের শুধরে নেয়।
আমি আমার জীবনী লিখতে গিয়ে এমন একটা সমষ্যার সম্মুখীন হয়েছি , যাতে বাধ্যগত ভাবে এসে অন্যদের কালো অধ্যায়গুলো। তাই লিখতে বাধ্য হতে হয় যা অন্যরা আমকে প্রতি পদে পদে জীবনের মাঝে কষ্টকর অধ্যায়গুলো সৃষ্টি করে দিয়ে আমার জীবনকে করে তুলেছে অতীষ্ট। আর যা লিখতে গেলেই আমার অনেকে কাছের মানুষগুলো জড়িয়ে পড়বে। যা লিখতে গেলে তাদের সম্মানে হানবে আঘাত।
তাই জীবনী লিখতে গিয়ে যদি সেসব বাদ দিতেই হয় , তবে সে জীবনী লেখা আদৌ কোন জীবনী হবেনা। বড়জোর তা হবে একজন ধুঁকাবাজের ধুঁকাবাজির নামান্তর। আর তাই জীবনী লিখে অন্যদের মুখোশ উন্মোচনের চাইতে জীবনী লেখাটা বাদ দেয়াই শ্রেয় মনে করলাম।
বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১২
দাবী আদায়ের জন্য "হরতাল" বর্তমান ডিজিটাল যুগে অকার্যকর একটি পদ্ধতি
বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২
ভাল লাগার পংক্তিমালা
সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২
১৯৭১ এর পূর্বাবস্থায় ফিরে এল বাংলাদেশ ! প্রয়োজন নতুন একটা মুক্তির যুদ্ধ …
রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২
বিশ্বসেরা বাংলাদেশের বিজয় দিবস
দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা
আজ বিজয় নয় মুক্তিযুদ্ধের ৪১ বৎসর পূর্ণ হলো। ৪১ বৎসর পূর্বের সেই মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় দেশের মানুষদের নতুনভাবে শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে উদ্ভাসিত আজকের এই দিন।আনন্দে আত্মহারা হয়ে মুক্তিযুদ্ধের মুল লক্ষ্য থেকে বিচ্ছ্যুত হয়ে নিজেদের গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে নিতর দেহ আর নিস্তেজ প্রাণ নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আজকের এদিন স্মরণ করা নয়, আজকের এদিনটি নতুনভাবে দেশজ কল্যান ও প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য নতুন প্রত্যয় নিয়ে শোষকগোষ্ঠীর শোষনের বিরুদ্ধে লেলিহান অগ্নিশিখার মত দেশের মানুষদের জ্বলে উঠার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করার দিন।
১৯৭১ এর সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশবাসীর অন্তর - মন -মস্তিক আবারও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রজ্জ্বলিত হোক এই কামনায় - শুরু হোক আরও একটা মুক্তির যুদ্ধ।
============
এ কোন্ বিজয়ের আনন্দ !
বিজয় দিবস-২০১২ |
শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১২
সফল অভিযান
মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১২
শীতার্ত দিনের শীতল মন
শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১২
চলতে হবে বিজয় ও স্বাধীনতার মূলপথে
গতকাল একটা প্রবাসী সংগঠনের আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে তাদের এক অনুষ্টানে যোগ দিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ৮০/৯০ জন তাতে অংশগ্রহণ করি। অনুষ্টানটি মুলতঃ বিজয় মাসের বরণ উপলক্ষ্যে আহবান করা হয়েছিল। যদিও আমি ঐ সংগঠনের কেউনা। তবুও দাওয়াত পেয়ে বন্ধুত্ব রক্ষার তাগিদে যেতে হয়েছিল। অনেকে অনেক ভাবে বিজয় দিবস নিয়ে এবং যুদ্ধকালীন স্মৃতির উপর আলোচনা করেন। শেষে এক বন্ধু বলে উঠল - এখানে একজন ভাই আছেন যিনি লেখালেখির সাথে যুক্ত। যদিও তিনি আমাদের সংগঠনের কেউ নন। আমার মনে হয় ওনার মুখ থেকে কিছু না শুনলে আজকের অনুষ্টানটা পরিপূর্ণ হবেনা। বুঝতে পারলামনা ঐ লোকটা কে ? আমি তখন অন্য রুমে একজনের সাথে কথা বলছিলাম।
কি আর করা "যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়" এ পরিস্থিতিতে নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করব ঠিক করে নিয়ে উঠে গেলাম মঞ্চে। শুরু করলাম ওয়াজের মত করে। দেখুন আমার ভাষনটা কেমন হলো -"
আম্মা বাদ- আউজু বিল্লাহিমিনাশশায়ত্বানির রাজীম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ক্বালাল্লাহ তাআলা -
আলিফ লাম মীম। যালিকাল কিতাবু লা রায়বা ফিহি হুদাল্লিল মুত্তাক্বীন। আল্লাজিনা ইউ'মিনুনা বিলগাইবি ওয়ুক্বিমুনাস্সালাতা ওয়ামিম্মা রাজাকনাহুম ইউনফিকুন। ওয়াল্লাজীনা ইউ'মিনুনা বিমা উনযিলা ইলায়কা ওয়মা উনযিলা মিন ক্বাবলিকা ওয়াবিল আখিরাতিহুম ইউক্বিনুন। উলায়িকা আলা হুদাম্মিররাব্বিহীম ওয়াউলায়িকা হুমুল মুফলিহুন।ওক্বালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - ইন্নামাল আম'মালু বিন্নিয়্যাত।
আমি প্রথমেই হামদ্ ও নাতের পর আলকোরান থেকে সুরা বাক্বারার পাঁচটি আয়াত এবং আল হাদীসের অগণিত হাদিস থেকে একটি হাদিস পাঠ করেছি। আপনারা হয়তো মনে মনে ভাববেন লোকটারে বলতে বললাম কি আর সে বলে কি ! তারে কইলাম বিজয় দিবসের আলোচনা করতে আর সে কিনা করে ওয়াজ ! আপনাদের মনের এই জল্পনা দূরী করণে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে আমি কি বলতে কি বলছি মোটেই জানিনা। এ ধরণের বক্তব্য দানে আমি অভিজ্ঞ নই। তাই এই অবস্থা। আশা করছি আমাকে ক্ষমা করবেন। কিছু বলতে যখন এখানে উঠেছি, কিছু না বলে নেমে গেলে সেটা শোভনীয় হবেনা। তাই চেষ্টা করব অন্তত কিছু বলতে। তার আগে শ্রদ্ধা জানাই সেইসব শহীদ - বীর মুক্তিযোদ্বাদের, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন (?)।
আমি যখন ইংরেজী শিক্ষা থেকে বের হয়ে তাবলীগে কিছুদিন সময় দিই, তখন আমাকে এক বিশেষ চিন্তার সাগরে ডুব দিতে হয়, যে চিন্তা আমাকে নিয়ে যায় মাদ্রাসা লাইনে। ভর্তি হই মাদ্রাসায়। তখন দারুন কোরান শামসুল উলুম মাদ্রাসা, চৌধুরী পাড়া, ঢাকায় হোষ্টেলে থেকেই শুরু করি আরবী পড়া। সেখানে উক্ত মাদ্রাসাসার মুহতামিম জনাব মাওলানা ইসহাক ফরিদী হজুরের তত্বাবদানে পরিচালিত হত বক্তৃতা শিক্ষার কোর্স। যাতে সকল ছাত্রকেই অংশ নিতে হত। সেই কোর্স থেকেই আমার বক্তৃতা শিক্ষা। আর তাই আমার আলোচনার শুরুটা ওয়াজের মত হয়ে গেল।
সে যাক, আমি উক্ত আয়াত ও হাদীসের আলোকে বিজয় দিবসের আলোচনাকে একটু ভিন্নতা দেয়ার চেষ্ঠা করছি। তাই বলে আমার এই আলোচনা ওয়াজ হিসেবে মনে করলে ভুল হবে। আমার পাঠকৃত আয়াত সমুহের বাংলা হলো - " আলিফ-লাম মীম। এই সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নাই, এ সাবধানীদের জন্য পথ নির্দেশক। (সাবধানী ওরাই ) যারা অদৃশ্যে বিশ্বাষ করে, সালাত কায়েম করে এবং তাদের যা দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। এবং যারা তাতে বিশ্বাষ করে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমার পুর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর পরকালের প্রতি যারা দৃঢ় আস্থা রাখে। তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই পূর্ণ সফলকাম।" আর হাদিসটির বাংলা হলো - "প্রত্যেক কর্মই নিয়তের উপর নির্ভর্শীল।"
এখন আসুন আমরা বিজয় দিবস নিয়ে কিছু আলাপ করার চেষ্ঠা করি। যদি আমরা বিজয় দিবসের আলোচনা করতে যাই তবে উঠে আসে আমাদের স্বাধীনতার কথা। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস দুটোই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না পড়লে আমরা বিজয় দিবস পেতামনা। তাই স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস একসাথেই আমাদের আলোচনায় উঠে আসে। বিজয় দিবসের কথা বলতে গেলেই বলতে হয় স্বাধীনতার কথাও।
আমরা বাংলাদেশীরা স্বাধীন জাতি। রয়েছে আমাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনের গৌরব। আমরা একটা বৃহৎ শোষক গোষ্টির পরাধীন থেকে নির্যাতন-নীপীড়নের অসহনীয় জ্বালায় অতীষ্ট হয়ে তাদের শৃন্খল থেকে নিজেদের ক্ষুদ্র শক্তি দিয়ে যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে স্বাধীন হয়েছি। এটা আমদের কম গৌরবের কথা নয়।
কিন্তু সেই বিজয়ের গৌরব সেই স্বাধীনতার স্বাদ আমরা ঠিক কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি বা আদৌ অর্জন করতে পেরেছি কিনা তা আমাদের ভাববার বিষয়। যদি এই গৌরব ও স্বাদ অর্জন করতে না পারি, তবে কেন পারলামনা - তা একটা প্রশ্নাধীন বিষয় বৈকি। আজ আমরা যদি ভাবি স্বাধীনতার তেতাল্লিশ বছর পরও দেখতে পাব আমরা কখনো স্বাধীন ছিলামনা। আমরা যে স্বাধীনতা চেয়েছি তা আমরা পাইনি। আমরা বিজয়ের গৌরবে গৌরান্বিত হতে পারিনি। এক ভিনদেশী শোষক গোষ্টির নির্যাতন সেল থেকে আমরা পরিবর্তিত হয়ে স্বদেশী শোষক গোষ্টির নির্যাতন সেলে স্থানান্তর হয়েছি। সেটা স্বাধীনতা নয়। সেটা বিজয় নয়। সেটা এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তরের মত ঘটনা মাত্র। অথবা এক কারারক্ষীর মৃত্যুর পর নতুন আসা কারারক্ষীর অধীন সেলের আমরা বন্ধী ।
সেদিন আমরা যে নিয়তে দেশ স্বাধিনের যুদ্ধে নেমেছিলাম। আমাদের সে নিয়ত ঠিক ছিলনা বিধায় আমরা আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত। যেহেতু রাসুলের হাদীস - "প্রত্যেক কর্মই নিয়তের উপর নির্ভর্শীল।" নিয়ত ঠিক থাকলে সেই স্বাদ পাওয়া থেকে আমরা বঞ্চিত থাকতামনা। সেই নিয়তটি মুলতঃ নির্যাতকদের নির্যাতনের নতুন একটা ফর্মূলা। দেশের মানুষদের মুক্তিদান সে সময়কার নেতৃত্বের বাহিরের খোলস ছিল, সেই নেতৃত্বের আভ্যন্তরে ছিল যুদ্বে পরাজিত শোষকদের ন্যায় সেইসব নেতাদের স্বার্থসিদ্ধির একটা ইচ্ছা বা নিয়ত। ফলে, আমরা আজও রয়ে গেছি সেই একই শ্রেনীর শোষকগোষ্টির পেষন যন্ত্রের বলি হয়ে।
তাছাড়া, আমরা স্বাধারণ মানুষ সেদিন আমরা ভুল পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আজও আমরা সেই ভুলপথ ধরেই হাঁটছি। ফলে আমরা আমাদের অভিষ্ঠ্য লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছিনা। আর যতদিন আমরা সেই ভুল পথ ধরে হাঁটবো, ততদিন সেই অভিষ্ঠ্য লক্ষ্যে পৌঁছা আমাদের দ্বারা সম্ভব হবেনা। কারন, মানবজাতির স্রষ্টার বিধান অমান্য করে কখনো সেই মানুষ নিদ্রিষ্ট লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে সফলকাম হবেনা। তাই স্রষ্টা তার মানবজাতি পরিচালনার বিধানগ্রন্থে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন - "এই সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নাই, এ সাবধানীদের জন্য পথ নির্দেশক। (সাবধানী ওরাই) যারা অদৃশ্যে বিশ্বাষ করে, সালাত কায়েম করে এবং তাদের যা দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। এবং যারা তাতে বিশ্বাস করে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমার পুর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর পরকালের প্রতি যারা দৃঢ় আস্থা রাখে। তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই পূর্ণ সফলকাম।"
অতএব, আমাদেরকে চলতে হবে বিজয় ও স্বাধীনতার মূলপথে। খুঁজে নিতে হবে আমাদের সেই মুলপথ। মানতে হবে সেই মুল পথের দিক নির্দেশককে এবং স্রষ্টার সর্বশ্রষ্টে, সর্বত্র ও সার্বজনীন রূপে গ্রহণযোগ্য সেই বিধানকে। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে দুনিয়ায় স্বাধীন থাকার মুল বিধানের আলোকে চলতে সহায়তা করুন। আমীন।
এক মুক্তিযোদ্ধার প্রশ্ন
শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২
আমার আমিরে আমি হারিয়ে খুঁজি
অজানা আহবান
বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১২
বাংলাদেশের টপ মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বেশিরভাগ সময়ই আমি জামদানি ব্যবহার করি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশীয় এ পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা। বিদেশে যখন যাই, তখনও বিশ্ববাসীর কাছে এ শাড়ি তুলে ধরতে আমি ব্যবহার করি। আমাদের লক্ষ্য জামদানি শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন করা।"
তিনি আরও বলেন, " ঢাকার জামদানি এরই মধ্যে বিশ্বের কাছে একটি ব্র্যান্ডিং হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। তবে আইনগতভাবে এটা হওয়া দরকার। আমাদের এ পণ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্থাত্ কপিরাইট আদায় করতে হবে। এজন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশও (ভারত) জামদানি শাড়িকে তাদের দেশের পণ্য হিসেবে পেটেম্লট অর্জনে আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরাও প্রতিযোগিতায় তাদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। আমরাও স্বীকৃতি অর্জনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
প্রধানমন্ত্রী নিজে মডেল হয়ে দেশের একটি উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাজারে বাজারজাতকরণের এই প্রচেষ্টা সত্যিই এক মহৎ উদ্বেগ এবং দেশের জন্য কল্যানীয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর মডেল হিসেবে উপস্থাপনে রইল শুভকামনা।
(আমার দেশের সৌজন্যে - http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/11/22/174628#.UK2dV-T5yQw)