আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২

থার্টি ফাস্ট নাইট সভ্য মানুষ(?)দের অসভ্য কর্মের উৎসব



থার্টি ফাস্ট নাইট সভ্য মানুষ(?)দের অসভ্য কর্মের উৎসব
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------

যে সব মেয়েরা ইতিমধ্যেই থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনের কঠোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে বসে আছেন , তাদের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় টিপস - পড়নের কাপড় ব্যতিত আরও দুই তিন সেট এক্সট্রা কাপড় নিয়ে যাবেন যাতে অনুষ্টানে বার বার দেহদানে কাপড় নষ্ট হয়ে গেলে সুন্দর ভাবেই বাড়ি ফিরতে পারেন। মায়াবড়ি অথবা জন্মনিয়ন্তন বড়ি সঙ্গে নিবেন। যাতে বার বার দেহদানের পরও অবৈধ সন্তান পেঠে আসতে না পারে। চেতনা আনায়নকারী ঔষধ সঙ্গে নিবেন যাতে দেহদানের পর চেতনা হারিয়ে ফেললে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরে মা বাবাকে ধুকা দিতে পারেন। অনুষ্টানে যদি একের অধিক বন্ধুদের দেহদানের নিমন্ত্রন পান , তবে বিরক্ত না হয়ে তাদের কথা মেনে নিন , নয়তো মেনে নিতে হবে নিজের উপর ইন্ডিয়ায় সংঘটিত সেই চলন্ত বাসে গণধর্ষণের মতো নির্মম ঘটনা।

আমি গতবৎসর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে এভাবেই লিখেছিলাম - " আজ ৩১/ ১২ / ২০১১ ইংরেজী । রাত ১২টার পর শুরু হবে নতুন বর্ষ । আর এ বর্ষবরণ শুরু হবে মদ খাওয়া মাতালদের উম্মত্ব উলঙ্গ নৃত্যের মাধ্যমে । পালন করা হবে অসভ্য মানুষদের সভ্যতার পরিপন্থি ( তথাকথিত সভ্য মানুষদের বিশ্ব বেহায়াপনার একটি উলঙ্গ প্রদর্শনীর প্রতীক - " থার্টি ফাস্ট নাইট '' !

বাংলাদেশে পালনোম্মুখ একটা বিদেশী কুরুচিপূর্ণ , বাংলার সভ্য রূপকে অসভ্যতার রূপ দিয়ে কলঙ্কিত করার বিদেশী পায়তারা । যাতে অংশ নেয় বাংলা মায়ের গর্ভ জন্ম নেয়া , নিজ মাতাকে অসম্মানকারী বিত্তশালীদের বিদেশী মদের নেশায় মাতাল সূর্যসন্তানরা । যার দেখাদেখি জড়িয়ে পড়ে বাংলা মায়ের সহজ সরল সন্তানরাও ।
দেশে কুরুচিপূর্ণ শো প্রদর্শনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী সকল সভ্য যুব-তরুন সমাজএকতাবদ্ধ হয়ে উদ্যোগ নিলে দেশের সভ্য রূপ ধ্বংসকারী আজকের এই অসভ্য কর্মসমূহ দেশের কোথাও চলতে পারবেনা । কারণ , বাংলাদেশের মানুষ যারা বিদেশী সংস্কৃতির ধারক তাদের চেয়ে বালাদেশকে নিজের মায়ের চেয়েও বেশী সম্মান দেয় এমন সভ্য সুনাগরিক অনেক বেশী । তাই সেইসব সভ্য সুনাগরিকদের প্রতি আহবান - জাগ্রত হোন বাংলার সভ্য জনগণ ও মহান দেশপ্রেমিক আজকের এই বিদেশী সংস্কৃতির প্রতীক " থার্টি ফাস্ট নাইট '' উদযাপনের বিরুদ্ধে । বাংলা মায়ের রক্ত যে সকল বালাদেশীদের শরীরে প্রবাহমান , আশা করছি তাঁরা আজকের এই বিদেশী সংস্কৃতিকে বর্জন করে , যারা না বুঝে অথবা বুঝেও গাদ্দার সেজে নিজ সভ্যতাকে পদদলিত করে বিদেশী সংস্কৃতির এই থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্টানে অংশ নিবে তাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে গর্জে উঠবেন । জাগ্রত হোক জাতীয় বিবেক - সকলকে ধন্যবাদ । "

সেই লেখা পড়ে তিনটা মেয়ে আমাকে ইমেইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ২ জানুয়ারী আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল। বলেছিল-ভাইয়া আগামী বছর যদি কিছু লেখেন তবে সভ্য মানুষ হিসাবে নয় , অসভ্য মানুষ হয়ে অশালীন ভাষায় কিছু লিখবেন। কারন সভ্য ভাষার কথা এখনকার ছেলেমেয়েরা শুনতে চায়না। আর যদি আপনি সভ্য ভাষায় লিখেন তবে তারা আপনাকে অসভ্য বানিয়ে যা তা বলে আপনকে হেনস্থা করে ছাড়বে।

তারপর তাদের এমন আবদারের কারণ জানতে চাইলাম। তারা যা বললো তা শুনে আমি সেদিন শিওরে উঠেছিলাম। শুধু এটুকুই বলছি - উক্ত তিনটি মেয়ে থার্টি ফাস্ট নাইটে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে নিজেদর জীবনকে জলাঞ্জলী দিয়েছিল।

তাদের একজন গত ১০ই জানুয়ারী আত্মহত্যা করে, একজন নেশার নীল রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে দিনাতিপাত করছে। আর অন্যজন সমাজবিচ্যুত হয়ে এখনও কলগার্ল হিসাবে লোক সমাজে বেঁচে আছে।

আমি সকল নারীকে একই পাল্লায় তুলিনি , তাই ষ্ট্যাটাসে বলেছি " যে সকল মেয়ে " । নারীদের অশ্রদ্ধা করে নয় , নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তাদের সতর্ক করণে আমার এই ষ্ট্যাটাস। আশা করছি ভুল বুঝবেননা। বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটু অশোভন ভাবেই ষ্ট্যাটাসটি দিতে হলো।

আপনারা নারী হয়ে কোন অপরাধ করেননি। তবে নারী হয়ে আপনারা যে সম্মানটি প্রাপ্য , আপনাদের নিজেদের কারণেই সে সম্মান প্রাপ্তি থেকে আপনারা বঞ্চিত হচ্ছেন সেটাই বুঝাতে চাচ্ছি। বৃহদাংশ মেয়েদের উশৃন্খল জীবন যাপনের কারনে আজ আপনারা সমগ্র নারী জাতি অসম্মানীত। সেই সম্মান প্রাপ্তির পথে আপনাদের দৃষ্টি ফেরানোর লক্ষ্যে আমার এই ষ্ট্যাটাস। আপনাদেরকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য নয়।

আপনার কথাটা পুরাপুরি মানতে পারছিনা। ভবিষ্যত ওপেন সেক্সের নগরী ঢাকাতে এখনও অনেক ভাল ও ধর্মপরায়ন নারী আছেন , যাঁদের কারনে এখনো ঢাকা ওপেন সেক্সের নগরী হিসাবে খ্যাতি পেতে পারেনি। তবে ঢাকার উদ্যানগুলোর দিকে চোখ দিলে মনে হয় ঢাকা ওপেন সেক্সের নগরী হিসাবে খ্যাতি পেতে আর বেশী দেরী নেই।

এখনকার বেশীর ভাগ মা বাবাদের বানিজ্যিক ইচ্ছায়ই তাদের মেয়েরা খারাপ ও উশৃন্খল পথে পা বাড়াচ্ছে। বেশী দূরে যেতে চাইনা । শুধু এটুকু বলতে চাই মা বাবার অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের বিশ্ববাজারে পণ্য রূপে প্রদর্শন করতে পারেননা।

মেয়েরা এ ক্ষেত্রে যতটুকু অপরাধী তার দ্বিগুন অপরাধী ছেলেরা , যারা মেয়ে দেখলেই লুলোপ দৃষ্টি হানে , পথে ঘাটে মেয়েদের উপর অহেতুক ভাবেই ছড়াও হয়। আমি এখানে সেসব উল্লেখ করতে চাইনি । আমি শুধু একটা বিশেষ দিনের সংঘটিত ঘটনার দিকে আলোকপাত করতে চেয়েছি। যাতে অধিকাংশ মেয়ে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের উপর বিপদ ডেকে আনে। তার তিনটা জলজ্যান্ত উদাহরণও দেখিয়েছি উপরের মন্তব্যে। এ ধরণের ঘটনা যাতে মেয়েরা স্বেচ্ছায় বরণ করতে বেরিয়ে না পড়ে সেদিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছি। যা আগামীকাল দিবাগত রাতে ঘটতে যাচ্ছে। যে রাতে অধিকাংশ মেয়ে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিতে যাচ্ছে তাদের আগামী দিনের দুঃসহ যন্ত্রণার যাত্রাপথ।

এখানেই তথাকথিত প্রেমের প্রতি আমাদের যুদ্ধ। যে প্রেম সুন্দর করে মানুষকে বাঁচতে শেখায়না , যে প্রেম মানুষকে অন্ধকার গলিপথে ঠেলে দেয় , সে প্রেম কখনো প্রেম হতে পারেনা। সেটা ক্ষণিকের মোহে জড়িয়ে পড়া। একজন পুরুষ সঙ্গী যদি মেয়েসঙ্গীকে যত্রতত্র নিয়ে যেতে চায় , তবে সে মেয়েটির উচিত উক্ত পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গ ত্যাগ করা । এটাই বুঝাতে চাচ্ছি। মেয়েদের যদি এতই নববর্ষ উদযাপনের প্রয়োজন হয় তবে তারা মেয়েদের সাথেই নববর্ষ উদযাপন করুক , তারা পুরুষদের মাঝে যাবে কেন ? এতো হবে কাঁটা নিয়ে খেলতে গিয়ে স্বেচ্ছায় কাঁটার আঘাত খাওয়ার মত ঘটনা , তাতে কাঁটার দোষ কি ?

গত পরশু আমি মদিনা মুনাওয়ারার একটা আবাসিক হোটেলের সভাকক্ষে ইংরেজী নববর্ষ উদযাপনের আয়োজনের উপর অনুষ্টিত "থার্টি ফাস্ট নাইট সভ্য মানুষদের অসভ্য কর্মের উৎসব" নামের একটা কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। যাতে প্রায় ১৫০ জনের মত মানুষ উপস্থিত হন তম্মধ্যে নারীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ এর উপরে। উক্ত অনুষ্টানে আমিও কিছু বলার সুযোগ পাই। অন্যান্যদের মত আমার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেও নারীদের পক্ষ থেকে আমাকে কিছু প্রশ্ন করা হয় , আমাকে তাদের সেসব প্রশ্নর উত্তরও দিতে হয় । আমার সেসব উত্তরের কিছু এখানে তুলে ধরলাম যাতে যে সকল বোন আমাকে ভুল বুঝছেন তাদের ভুল ভাঙ্গে। এসব উত্তরগুলো গতকাল আমি অন্য ষ্ট্যাটাসের উপর মন্তব্য রূপেও লিখেছিলাম। আজ এখানে এসে দেখলাম কয়েকজন বোন আমাকে ভুল বুঝে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তাই তাঁদের সেই প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই উত্তরগুলো তুলে ধরছি,অবশ্য কিছু উত্তর গতকাল এ স্ট্যাটাসের মন্তব্যের রিপ্লাই হিসাবে দিয়েছিলাম যা উপরে দেয়া আমার মন্তব্যগুলো দেখলেই বুঝা যাবে । যা হোক - আমার প্রথম উত্তরটি দিয়েছিলাম একটা কবিতা রূপে , আর সেটি হল -

" ঐখানে যেওনা কো তোমরা
খেওনা ঐ গাছেরই ফল ,
এ নির্দেশ অমান্য করোনা কভু
মান্য করোনা আইন অমান্যের দল।
এভাবেই নির্দেশ ছিলো স্রষ্টার
পৃথিবীর সেই প্রথম নর-নারীর প্রতি,
একদিন নারী ভুল করে খেয়েছিল সেই ফল
স্রষ্টার নির্দেশ অমান্য করে সে হারালো তার গতি।
নিক্ষিপ্ত হলো তৎক্ষণাৎ ঐ নর-নারী এই পৃথিবীর বুকে,
সুখের সাম্রাজ্য হারিয়ে তারা ফরিয়াদ করলো স্রষ্টার কাছে ঝুঁকে।
পেলোনা তারা আর সেই সুখের জগত
শাস্তি স্বরূপ বরণ করতে হলো তাদের এই কষ্টের দুনিয়া,
মনের খাহেশে দিল তারা জীবনের সুখ জলাঞ্জলী
শয়তানের সেই শয়তানী প্রলোভনে শুনিয়া।

এমনই আজ নারীদের মনের খাহেশ
যে খাহেশে তারা দিচ্ছে জীবন বলি ,
সাময়িক সুখ ভোগে লোভাতুর হয়ে
যাচ্ছে কেবল তারা ভুল পথে চলি । "

আমার অন্যান্য উত্তরগুলোর মধ্যে -
" পুরুষ আর নারী দুই ভাগে বিভক্ত সেই মানব জন্মের শুরু থেকে তাই মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত, এক ভাগে নারী অন্য ভাগে নর। এটাই স্রষ্টার নিয়ম। এখানে আমি কেন বিভক্ত করতে যাব ? স্রষ্টার নিয়মই বা আমি খন্ডাই কি করে ? আমি কি কখনো কোন নরকে নারী বা কোন নারীকে নর বানাতে পারব ? কখনোই না , সেটা স্রষ্টার হাতে।

এই আধুনীক যুগে এসেও কোন বৈজ্ঞানীক মায়ের পেঠে জন্ম নেয়া নরকে নারী আর নারীকে নর বানাতে পারবেনা। সে ক্ষমতা স্রষ্টা মানবজাতির কোন মানুষকে দেয়নি। স্রষ্টা যেমন মানুষকে দুইভাগে বিভক্ত করে তাদের দুনিয়ায় এনেছেন , তেমনি সেই মানুষদের জীবন পরিচালনার জন্যও দুইভাবে নিয়ম করে দিয়েছেন। এই দু'টি নিয়মকে যদি মানুষ একত্র করে একটি নিয়মে পরিবর্তন করতে যায় তবে দেখা দিবে বিশৃন্খলা।

তাই তো মানুষ দিনকে রাত করতে পারেনা আবার রাতকে দিন। যেমন করতে পারেনা মানুষ স্রষ্টার নিয়ম চন্দ্র - সূর্যের পথকে এক করতে। নর ও নারীর চলার পথ ও তেমনি। যে চলার পথটি সৃষ্টি করে দিয়েছেন স্বয়ং স্রষ্টা। চন্দ্র - সূর্য - রাত - দিনের নিয়মকে যেমন একত্র করতে গেলে বিশৃন্খলা দেখা দিবে তেমন নর - নারীর চলার পথকে এক করতে গেলেও দেখা দিবে বিশৃন্খলা। নর - নারীর মধ্যে চলমান আজকের যে সব বিশৃন্খলা দেখা যাচ্ছে তা শুধু ঐ স্রষ্টার বিধিবদ্ধ নিয়ম লঙ্গনের কারণেই।

আমি নর-নারীকে আলাদা কোন বিচ্ছিন্ন প্রাণী ভাবছিনা। তাই আমিও বলি তারা একে অপরের পরিপুরক। তাদের একজন ছাড়া অন্যজন অচল। তবে তাদের সেই সঙ্গ দেয়ার নিয়মটিকেই আমি ভিন্ন ভাবে দেখছি। তাদের সেই সঙ্গ দেবার একটা মাপকাঠির পরিচিতি দিতে চাচ্ছি। আমি শুধু তাদের চলার পথের নিয়মকেই বিভক্তির দৃষ্টিতে দেখছি , যে বিভক্তি স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত।

যদি নর-নারী উভয়েই তাদের চলার পথে স্রষ্টা কর্তৃক আরোপিত বিধিবদ্ধ নিয়মানুষারে চলত , তবে আজকে দৃশ্যমান উভয়ের মধ্যকার যে বিশৃন্খলা তা কখনো পরিলক্ষিত হতোনা। যদিও মেয়েদের কোন পার্টিতে কোন পুরুষ যায়না , কিন্তু পুরুষদের পার্টিতে মেয়েদের উপস্থিতি যেন হতেই হয়। যদি মেয়েদের অনুষ্টানে পুরুষ না গিয়ে থাকতে পারে , তবে মেয়েরা কেন পুরুষদের পার্টিতে না গিয়ে থাকতে পারবেনা।

কোন পুরুষ কোন মেয়েকে যেখানে সেখানে যেতে বললেই কি যেতে হবে ? কোন পুরুষের অন্যায় আবদার মেয়েরা রক্ষা করতে যাবে কেন ? তাদের কি আত্মসম্মান বা ব্যক্তিত্ববোধ বলতে কিছুই নেই ? আজ পুরুষদের বল্গাহীন আহবানে সাড়া দিয়ে নারীদের লগামহীন ভাবে সহযাত্রার কারণে সমগ্র নারী জাতীর ইজ্জত সম্মান পদদলিত। নারীদের সম্মান যাতে এইভাবে পদদলিত না হয় সেজন্যই তাদের সতর্ক করণে ছিল আমার এই ষ্ট্যাটাস। "
====================

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন