আমার জীবনী লিখতে গিয়ে অনুভব করলাম , আমার জীবনতো শুধু আমার সাথেই সম্পৃক্ত নয়। আমার চারিপাশ,আমার আত্মীয়-স্বজন,আমার পাড়া-প্রতিবেশী মোটকথা আমার চলমান জীবনের সাথে যা কিছুরই সম্পর্ক সবকিছুকে নিয়েই আমার জীবন। আমার জীবনী যদি সত্যনির্ভর করে লিখতে যাই তবে তো এ সকল কিছু নিয়েই লিখতে হবে। তবেই হবে একটা বাস্তব জীবনের চিত্র প্রদর্শন। যাতে উটে আসবে একটা জীবনের ভাল মন্দ সকল কিছুই।
মানুষ অনেকেই জীবনী লিখে। কিন্তু তাতে দেখা যায় সেই জীবনের অনেক কিছুই বাদ দিয়ে যায়, তারা নীজ জীবনের ভাল দিকগুলো তুলে ধরে কিন্তু খারাপ দিকগুলো প্রদর্শন না করে এড়িয়ে যায়। তাতে কি বুঝা যায় মানুষটা কিরূপ ? নিশ্চয় না। তাই তাদের সে জীবনী আমি জীবনীকে আমি জীবনী বলতে চাইনা , বড়জোর এটুকু বলতে পারি - সেগুলো হল লেখকদের জীবনের ভালো দিকগুলোর আলোচনা করে নিজেদের ভাল মানুষ রূপে উপস্থান করে বাহবা কুড়ানোর একটা অপ্রপ্রয়াস। আর যিনি নিজের খারাপ দিকগুলো লুকিয়ে রেখে ভালো দিকগুলো লিখে নিজেদের প্রদর্শন করেন তারা মুলতঃ মানুষকে বোকা বানিয়ে সমাজে নিজের একটা ভাল স্থান গড়ে নিতেই চেষ্ঠা করেন। মানুষদের তারা কিছু শিক্ষা দেয়ার জন্য তাদর জীবনী লিখেননা।
আমি জীবনী বলতে যা বুঝি তাহলো - জীবনী একটা মানুষের আভ্যন্তরীন দর্পণ। যাতে মানুষের ভাল মন্দের দিকগুলো প্রস্ফুটিত হয়ে অন্য মানুষদের জীবনকে সুন্দর রূপে গড়ে তুলতে শিক্ষা দেয়। একজন মানুষের ভুলগুলো অন্য মানুষ দেখে তা থেকে তারা নিজেদের শুধরে নেয়।
আমি আমার জীবনী লিখতে গিয়ে এমন একটা সমষ্যার সম্মুখীন হয়েছি , যাতে বাধ্যগত ভাবে এসে অন্যদের কালো অধ্যায়গুলো। তাই লিখতে বাধ্য হতে হয় যা অন্যরা আমকে প্রতি পদে পদে জীবনের মাঝে কষ্টকর অধ্যায়গুলো সৃষ্টি করে দিয়ে আমার জীবনকে করে তুলেছে অতীষ্ট। আর যা লিখতে গেলেই আমার অনেকে কাছের মানুষগুলো জড়িয়ে পড়বে। যা লিখতে গেলে তাদের সম্মানে হানবে আঘাত।
তাই জীবনী লিখতে গিয়ে যদি সেসব বাদ দিতেই হয় , তবে সে জীবনী লেখা আদৌ কোন জীবনী হবেনা। বড়জোর তা হবে একজন ধুঁকাবাজের ধুঁকাবাজির নামান্তর। আর তাই জীবনী লিখে অন্যদের মুখোশ উন্মোচনের চাইতে জীবনী লেখাটা বাদ দেয়াই শ্রেয় মনে করলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন