আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১১

আমরা চাই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ [ সমগ্র বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের কাছে খোলাচিঠি ]



আমরা বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ নাগরিক

আমরা চাই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ
শান্তির লক্ষ্যে আহবান

[ সমগ্র বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের কাছে খোলাচিঠি ]
------------------------------------

সম্মানীত ,
দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী সকল স্তরের নাগরিক মহোদয়গন !
শুরুতেই সকলকে জানাচ্ছি যথাবিহীত সম্মান এবং সংগ্রামী শুভেচ্ছা ।

আমরা সকলেই অবগত যে , একটি দেশের সকল নাগরিক জাতীয়তা স্বত্বায় প্রত্যেকেই একই জাতি । আমরা যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক , সেহেতু আমরা প্রত্যেকেই একই পরিচয়ে পরিচিত , একই পরিচয় প্রত্যেকের । আর সেটা হলো - আমরা বাংলাদেশী ।

যদিও আমরা দেশ স্বাধীনের সময় সকল নাগরিক একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করলেও , সবাইকে একজাতি মেনে নিলেও পরবর্তীতে আমরা সকল নাগরিকদের একচোখে দেখিনি । একই জাতি হিসাবে গণ্য না করে দেশের একাংশ নাগরিকদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ে ভাগ করে ফেলেছি নিজেদের সুবিধার্থে , অবহেলিত করে রেখেছি তাদের । অথচ এরকম হবার কথা ছিলোনা । নাগরিকদের ধর্ম পালনের মধ্যে বিভিন্নতা থাকতে পারে , নাগরিক হিসাবে তাদের পরিচয় , তাদের অধিকার , তাদের দায়িত্ব সবারই একই মাপের হওয়ার কথাছিলো । কিন্তু আমরা তা না করে আমরা তাদের বিভিন্ন উপাধি দিয়ে ( আধিবাসী , উপজাতী ইত্যাদি ) গোত্রে ভাগ করে নাগরিক হিসাবে প্রাপ্ত সুযোগ - সুবিধাকেও বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ভাগ করে নিয়ে কোন কোন নাগরিকের সুযোগ - সুবিধা বৃদ্ধি করে কোন কোন নাগরিকের সুযোগ - সুবিধা কমিয়ে দিয়েছি ।

আমরা যদি আমাদের দেশের পাহাড়ী অঞ্চলের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাব বাংলাদেশের একাংশ নাগরিক দেশের বৃহৎ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত । অথচ তারাও একদিন এদেশ স্বাধীন করার জন্য বন্দুক কাঁধে নিয়েছিল । জীবনের স্বার্থ ত্যাগ করে তারাও সেদিন দেশের অভ্যান্তরে ভালোভাবে বাঁচার আশায় দেশরক্ষায় যুদ্ধের ময়দানে নেমেছিলো । অথচ যুদ্ধ পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হবার পর দেশের কোন সরকারই এসব অঞ্চলের মানুষদের নগরিক সুযোগ - সুবিধার দিকে নজর দেয়নি । তারা এসব অঞ্চলের নাগরিকদের বিভিন্ন উপাধি দিয়ে কোনঠাসা করে রেখেছে যুগযুগ । ফলে সেসব অঞ্চলে দেখা দিয়েছে চরম অশান্তি । তাদের অধিকার আদায়ে গঠিত হয়ে শান্তিবাহিনী ।

নাগরিক সুযোগ - সুবিধা বঞ্চিত এসব অঞ্চল তাদের হাতে ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে । তারা সুযোগ পাচ্ছে বলার দেশের অভ্যান্তরে আরও একটি দেশ গঠনের ! তারা আজ সেইসব অঞ্চলে স্বাধীনতার ডাক দিচ্ছে । কেন এমন হবে  ? একমাত্র কারন , সমগ্র দেশের নাগরিকদের প্রতি সরকারের দৃষ্টির বিভিন্নতা ।

সরকার আলোকিত জনপদকেই আলোকিত করনে ব্যস্ত , অন্ধকার জনপদের দিকে সরকারের দৃষ্টির অভাবে আজ দেশের অভ্যান্তরেই আর একটি দেশ গঠনের চেষ্ঠা চলছে , চাওয়া হচ্ছে একটি স্বাধীন দেশ থেকে আর কটি স্বাধীনতা ! এটা কোন স্বাধীন দেশের কাম্য নয় ।

যে কোন স্বাধীন দেশের নাগরিকদের সুযোগ - সুবিধা সকল নাগরিকদের জন্য একই হতে হবে , এটাই নিয়ম । নয়তো সেটা স্বাধীন দেশ থাকবেনা , সৈরাচারী দেশ হিসাবেই পরিগণিত হবে । দেশের নাগরিকগণ উশৃন্খল হয়ে উঠবে । চারিদিকে দেখা দিবে অশান্তির অগ্নোৎপাত ।

আমরা এদেশের নগরিক । এদেশ আমাদের মর্যাদার প্রতীক । কেননা , এদেশ আমাদের জন্মভূমি । আমরা মুসলিম , আমরা হিন্দু , আমরা খ্রীষ্টান , আমরা বুদ্ধ - আমাদের ধর্ম যাই হোক না কেন , আমরা এ দেশেই জন্মেছি । তাই এদেশ আমাদের । এদেশ আমাদের কাছে সবচেয়ে মর্যাদাবান । আমাদের গর্ভধারিনী - জন্মদাত্রী মাতা আমাদের গর্ভধারণ - জন্মদেবার কারনে যেরূপ আমাদের কছে মর্যাদাবান , তেমনি আমাদের জন্মের পর কিংবা আশ্রয় গ্রহনের পর এই ভূমি আমাদেরকে বুকে ধারণ করার কারনে , আমাদের আশ্রয়দেবার কারনে এদেশ  মা ’’ এর মতোই মর্যাদাবান । আমাদেরকাছে মায়ের যেরূপ মর্যাদা , আমাদের মা আমাদের কাছে যেরূপ সম্মনের যোগ্য , আমাদের কাছে আমাদের দেশেরও সেরূমর্যাদা , সেরূপ সম্মানের যোগ্য ।

সুপ্রিয় দেশপ্রেমিক !
আমরা এদেশে জন্মেছি বলেই এদেশ আাদের কাছে পরম পূঁজনীয় । মা - মাটি - মাতৃভূমি ; এ ত্রিমাতৃক আশ্রয়স্থল আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত । আমাদেরকে জন্মদিয়েছেন যিনি - সেই মা , আমা ভূমিষ্ঠ হয়েছি যে মাটিতে - সেই মাটি , আর আমার ভূমিষ্ঠকালীন মাটি যে দেশে অবস্থিত - সেই দেশ ; এ তিনের সমন্বয়েই আমাদের জীবনযাত্রা পথের সূচনা ।

মা-কে যেমন আমরা আমাদের জন্মদেবার কারনে অবমাননা করতে পারিনা । তেমনি অবমাননা করতে পারিনা সেই মাটি ও সেই দেশকে - যা আমাদের ধারণ করেছিলো । কিন্তু , আজ আমরা সেই বৃহৎভুল এবং গাদ্দারীটাই সকলে করছি । আজ আমরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থান্ধত্বের গেড়াকলে আটকে এবং লোভ - লালসা - কামনা - বাসনা তথা ষঢ়রিপু ( কাম , ক্রোধ , লোভ , মোহ , মদ , পরশ্রীকাতরতা ) এর অভিলাষে মত্ত হয়ে সেই মা - মাটি - মাতৃভূমির অবমাননা করছি প্রতিনিয়ত , প্রতিস্থানে । আমরা ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে স্বচেষ্ঠ হচ্ছিনা যে , কিভাবে আমরা জন্মস্থানের মাটি - মাতৃভূমির সম্মানকে লাঞ্চিত - পদদলিত করছি , করছি আমাদের মায়ের সম্মানকে ক্ষুন্ন ।

নির্দ্বিধায় আজ আমরা চুরি - ডাকাতি - রাহজানী - খুন - গুম - অপহরণ - ধর্ষণ - ব্যাভিচার - অবিচার - অন্যায় - অত্যাচার - জুলুম ইত্যাদি বিবিধ অপকর্ম ঘটিয়ে করছি মা - মাটি - মাতৃভূমির সম্মানের ক্ষতি । ক্ষণিকের সুখ ( ? ) ভোগে আমরানিজেদের কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাচ্ছি তা এতটুকু ও ভাবতে পারছিনা ! না পারছি সুখভোগ করতে , না পারছি শান্তিলাভ করতে । না পারছি পরিবারে খাঁপ খেতে , না পারছি সমাজে মুখ দেখাতে । আর না পারছি স্বাধীন দেশের স্বাধীন রাজপথে স্বাধীন ভাবে বিচরণ করতে ।

ক্ষণিকের সুখভোগে মত্ত হয়ে আজ আমরা সর্বক্ষেত্রে অবাঞ্চিত হয়ে গেছি । ক্ষণিকের সুখভোগে অংশ নিয়ে আজ আমরা নিজেদের জীবনে অশান্তিতো ডেকে আনছিই , সাথে সাথে অশান্তির আগুন জ্বালাচ্ছি পরিবার - প্রতিবেশী - সমাজ - সমগ্র দেশেও । মানুষ হয়ে অমানুষের কর্ম করে নিজেদের আড়াল করছি মানুষদের কাতার থেকে । দিক-বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পশুত্বের রূপ গ্রহন করছি মনের অজান্তে । মানুষ থেকে পশুতে রূপান্তর - কোন বিবেকবান মানুষের কাম্য হতে পারেনা ।

তাই ,  আর নয় ; আসুন আমরা মানুষ - মানুষ হয়েই থাকি । যারা মানুষ থেকে পশুতে রূপান্তর হয়েছি ; আসুন আবার আমরা মানুষে রূপান্তর হই । কারন , মানুষই সৃষ্টির সেরা । নষ্ট বিবেককে সংশোধন করে আসুন আমরা মায়ের সম্মান দিই, আমাদের বক্ষে ধারণ কারি মাটিকে মূল্যায়ন করি , স্বদেশের সুনাম রক্ষা করি ।

আসুন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হই , সকল প্রকার অন্যায় থেকে নিজেদের বাঁচাই , অন্যদেরও বাঁচতে সহযোগীতা করি । আসুন স্বদেশের সুনাম অর্জনে স্বচেষ্ঠ হই , দেশজ কল্যানে আত্মনিয়োগ করি , দেশের উন্নয়নে সৎচিন্তা করি ।

আসুন আত্মপরিচয় দানে এগিয়ে আসি , দেশীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বমানের করে তুলি , দেশীয় সংস্কৃতির ধ্বংস সাধনের কর্মকান্ড পরিহার করি , বিজাতীয় সংস্কৃতির অশুভ ছায়ার মূলোৎপাঠন করে ধারন করি স্বজাতীয় সংস্কৃতির সুন্দর রূপকে , ভিনদেশী সংস্কৃতির ভয়াল রূপ আমদানী না করে সাজাতে থাকি স্বদেশীয় সংস্কৃতির মনমুগ্ধকর রূপ দিয়ে সমগ্র দেশের সার্বিক অবয়ব ।

আসুন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের সকল নাগরিক এক হই , বিদেশ থেকে পণ্য আমদানী না করে বিদেশে নিজেদের পণ্য রফ্তানীর বাজার গঠন করি , পার্শবর্তী দেশ ভারতীয় নাগরিকদের মতো প্রতিজ্ঞা করি - আমরা বিশ্বের যেখানেই থাকিনা কেন বিদেশী মাল আমরা খরিদ করবোনা , আমাদের স্বদেশীয় পণ্যই হোক আমদের উপযুক্ত পণ্য ।

সুপ্রিয় সমাজসেবক !
আমরা যে সমাজে বাস করছি তা এখন ঘুণে ধরা সমাজে রূপান্তরিত । ধীরে ধীরে ঘুণপোকা সে সমাজকে নষ্ট করে চলেছে । আমাদের ঘুমের মধ্যে আমাদের ঘুণে কাটা সমাজ ধ্বংস হতে যাচ্ছে । ছোট - বড় অন্যায় - অপরাধে জন্মলাভ করছে সেইসব ঘুণপোকা । এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই সে সমাজ আমাদের জন্য বাসযোগ্যহীন হয়ে পড়বে । তাই , আসুন - আমরা জাগ্রত হই , নিদ্রা ভেঙ্গে সমাজের দিকে দৃষ্টি দিই , ঘুণে ধরা সমাজকে বাঁচাই , ধ্বংসপ্রায় সমাজকে বাসযোগ্য করে আবার গড়ে তুলতে সকলেই স্বচেষ্ঠ হই ।

সুপ্রিয় জনদরদী !
আমরা ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ সবাই । এমন কোন ব্যক্তি বা মানুষ নেই যার কোন ধর্ম নেই । প্রতিটি মুসলীম যেমন ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় বন্দনে আবদ্ধ । তেমনি , প্রতিটি হিন্দু , প্রতিটি বৌদ্ধ , প্রতিটি খ্রীষ্টান , এমনি আরো যারা আছে সকলেই স্ব স্ব ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ , যার কোন ধর্ম নাই বলে , তার ও একটা নিজস্ব ধর্ম রয়েছে - সেটা হচ্ছে তার নিজ জীবন পরিচালনার নিয়ম-নীতি , সে তার জীবন কিভাবে পরিচালনা করবে সেই চিন্তাটাই তার ধর্ম । একটা জীবনকে সুন্দর রূপে , সুশৃন্খলভাবে , বিশ্বজগতের কল্যানে , শান্তির সহিত পরিচালনা করার নামই ধর্ম ।

পৃথিবীতে প্রতিটি ধর্মের আবির্ভাবই হয়েছে শান্তির সওগাত নিয়ে । এমন কোন ধর্ম নেই যাতে শান্তির বার্তা দেয়া হয়নি । তৎসত্বেও আমরা দেখতে পাচ্ছি সমগ্র দেশব্যাপী তথা সমগ্র বিশ্বে অশান্তির দাবানল ধাউ ধাউ করে জ্বলছে । আর সেই অশান্তির দাবানল সৃষ্টি করছি আমরাই , ধর্মের বন্ধনে আবদ্ধ মানুষজাতিই 

কারণ কি ? কারণ একটাই - আমরা মানুষ হয়ে ও মনুষ্যত্বের গুণটা অর্জন করতে পারিনি , পারছিনা বা করছিনা । আমরা ধর্মের বন্ধনে থেকে ও ধর্ম মানছিনা । যেরূপ কোন সন্তান মায়ের উদর থকে জন্ম নিয়েও সে তার মা-কে মানেনা । মা-য়ের অবাধ্যতা করে । যেরূপ আমরা সমাজে বাস করেও সমাজকে মানছিনা , সমাজের নিয়মবদ্ধ আচার - আচরনের বিরোধীতা করছি ।

এর কমাত্র কারণ , আমাদের নির্মল মন এবং সুন্দর খোলা চোখ স্বার্থপরতার কালো আবরনে ঢেকে গেছে । আমরা সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিজাত হয়েও স্রষ্টার নিয়ম লঙ্গন করে অমানুষ হয়ে গেছি । ধর্মের গণ্ডীতে থেকেও ধর্মের নিয়ম বিরোধীতা করে ধর্মচ্যুত হয়ে গেছি । কোন সন্তান যেমন পিতামাতার অবাধ্য হয়ে ত্যাজ্য ঘোষিত হয় , কোন লোক যেমন সমাজবিরোধী কর্ম করে সমাজচ্যুত হয় , কোন নাগরিক যেমন দেশদ্রোহী কর্মে জড়িয়ে দেশান্তরী হয় । তেমনি , আজ আমাদের অবস্থা ।

আর তাই , আমরা আজ অশান্তির আগুনে জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হচ্ছি চতুর্দিকে । মানুষের পীঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে যেমন সে নববলে বলিয়ান হয়ে বাঁচার চেষ্ঠা করে , তেমনি আমাদের পীঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে । অশান্তির দাবানলে জ্বলতে জ্বলতে আর যায়গা নেই যে আমাদের জ্বলবার । এখন ধ্বংসের পাদপীঠে দন্ডায়মান আমরা ।


যদি আমরা বাঁচতে চাই , তবে এখনই আমাদের নব বলে বলিয়ান হয়ে বাঁচার চেষ্ঠা করতে হবে । এখনই ভাবতে হবে আমাদের কি করা উচিত । কি করলে আমরা বাঁচব - সে পথেই আমাদের ধাবিত হতে হবে ।


তাই , হে বন্ধু ! আসুন আমরা সেই পথ আবিস্কার করি , সে পথে অভিযান চালাই - যে পথে আমাদের বাঁচার দিক পরিলক্ষিত হবে , যে পথ দেখাবে আমাদেরকে সুখ - শান্তির সাম্রাজ্য । আপনি মুসলীম - হিন্দু - বৌদ্ধ - খ্রীষ্টান বা অন্য যাই ই হোন না কেন , নিজ নিজ ধর্মের নীতিমালা সঙ্গে নিয়ে শান্তির পথে অভিযান চালান ।


সুপ্রিয় মানবতার সৈনিক !

আমরা মানুষ । সৃষ্টিজাত হিসাবে আমরা একই জাতি । সমগ্র মানবধর্ম এক এবং অভিন্ন । আমরা সবাই বাংলাদেশের অধিবাসী । আমরা বাংলাদেশী জাতীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ একই জাতি । তাই , আর নয় সংখ্যালঘু  আর সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্যে প্রভেদ । আর নয় ধনী আর গরীবের মধ্যে ভেদাভেদ ।


আর নয় স্বার্থান্ধত্বের স্বরোষে একে অন্যকে আক্রমন । আর নয় - চুরি , ডাকাতি , রাহাজানী , সুদ , ঘুষ , খুন , গুম , অপহরণ , ধর্ষণ , অন্যায় , অবিচার , অনাচার , অত্যাচার ,  ব্যভিচার , জুলুম ইত্যাদি কুকর্মের মাঝে পথ চলা । আর নয় - আপন জাতিকে ধ্বংস করা ।

সময় এসেছে গান করার -
 গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান ,

মিলিয়া ভাউলা গান আর মুর্শীদি গাইতাম ,

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম -
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ! ’’


সময় এসেছে - আমাদের একে অপরকে জানার , ভাই হয়ে ভাইকে চেনার । সময় এসেছে - জাতিকে চেনার । সময় এসেছে - ব্যক্তিবিশেষ সংশোধন হবার ।


তাই , আসুন - আমরা মনুষ্য জাতি একে অপরকে চিনি , জানি । ভাই হয়ে ভাইকে চিনি , জানি । ব্যক্তিবিশেষ সংশোধিত হই । আসুন - সৎকাজের ব্রতী হই । সকল অসৎ , অপকর্ম থেকে অন্যদের বিরত রাখার চেষ্ঠা করি নিজেরাও বিরত থাকি । আসুন - শান্তির পথ ধরি । শান্তি রক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত করি ।


যুবকদের খুনরাঙ্গা পথেই হয়েছিলো একদিন এই পৃথিবী সভ্য । আসুন - সেইসব যুবকদের মতো মন নিয়ে শান্তি রক্ষার অভিযানে যোগ দিই । অস্ত্র নয় , যুদ্ধ নয় , রক্তের হোলিখেলা নয় । আসুন - বিনা অস্ত্রে , মনোবল নিয়ে , ধর্মের নিয়ম নিজ নিজ মুখে ও চরিত্রে ধারণ করে লাইফ ইনস্যুরেন্স করি ।

তবেই হবে সমাজে শান্তির আবাসন । তবেই হবে মানবতার মুক্তি । নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ হাতে নিন । কিভাবে ? কোথায় ? কি করতে হবে ? তাহাই দিবে সঠিক নির্দেশনা ।


গণ্ডারের চামড়া গায়ে জড়িয়ে জীবন উপভোগ করাতে আনন্দ নেই , নেই সুখ । শান্তির মখমল পোশাক গায়ে জড়িয়ে নিজকে প্রদর্শন করাতেই আনন্দ , সুখ । তাই , বাস্তবতার আলোকে সুখ - শান্তির জীবন সাজাতে আসুন - শাশ্বত সত্যের শান্তি পথে । পদ সঞ্চালন করুন অস্ত্রের ঝনঝনাতিতে নয় , শান্তি ও নিরস্ত্রভাবে সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিচালনায় । সকলকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ।
======================= 

সুপ্রিয় বন্ধু !
আপনি যদি জনদরদী , সমাজসেবী ও দেশপ্রমিক মনোভাবাপন্ন হোন , তবে নিশ্চয়ই  শুনে আনন্দিত হবেন যে  , দেশের প্রত্যেক জিলার তারুণ্যদ্বিপ্ত বেশ কিছু লোকের আমরা একদল শান্তিকামী জনতা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবে দাঙ্গা - হাঙ্গামা বিহীন নিরস্ত্র হাতে জনগন , সমাজ ও দেশের শান্তিরক্ষা কল্পে সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে বাধা দান ’’ মুলক দেশব্যাপী সার্বিক অনিয়ম - জুলুম - দূর্নীতি - অন্যায় এবং অশান্তিকর কর্মকান্ডসমুহের বিরুদ্ধে একটি দলমত নবায়নী বা সংশোধন ভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ শান্তিকামী একটা আদর্শ জনগোষ্ঠি গঠন বা সমাজসেবা মূলক একটা প্রতিষ্ঠান গঠনের লক্ষ্যে দেশর সকল ধর্মাবলম্বী , চিন্তাবিদ , দার্শনিক , সমাজসেবক , দেশপ্রমিক , আদর্শিক ব্যক্তিদের সৎ চিন্তার ফসল নিয়ে একটি আদর্শ সমাজের মডেল বাস্তবায়নের অভিপ্রায়ে ইনশাআল্লাহ শিঘ্রই মাঠে নামতে যাচ্ছি ।
তাই , সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদের সকল ধর্মাবলম্বী প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে শান্তিকামী লোক আত্মনিবেদিত সমাজকর্মী হিসাবে আমাদের সদস্যভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । এমতাবস্থায়  , আপনি এদেশের প্রকৃত নাগরিক হিসাবে মুসলীম - হিন্দু - বৌদ্ধ - খ্রীষ্টান কিংবা অন্য যে কোন ধর্মাবলম্বীই হোন না কেন , আমরা আপনাকে আমাদের শান্তিরক্ষার অভিযাত্রী দলের একজন একনিষ্ঠ আত্মনিবেদিত শান্তিকর্মী হিসাবে পেতে চাই । তাই , আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে , আমাদের অভিযাত্রী দলের সদস্য হয়ে শান্তির সংগ্রামে যোগ দিতে তৈরী হবার জন্য ।
মহান আল্লাহ পাক অধম ও অকল্যানকর সকল পথ পরিহার করে উত্তম ও কল্যানকর পথ অবলম্বনে সকলকে সহায়তা করুন । আমীন ।

যোগাযোগ -
আহবায়ক ,
আমরা শান্তিকামী বাংলাদেশী নাগরিক

ই-মেইল  
amra.shantikami.bangladeshi@gmail.com
            Amra.manush.hote.chai@gmail.com
        amrashantikamibangladeshinagorik@hotmail.com


ফেইসবুক প্রোফাইল -
 আমরা বাংলাদেশের শান্তিকামী নাগরিক (আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই) ’’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন