আমরা বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ নাগরিক
আমরা চাই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ
[ সমগ্র বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের কাছে খোলাচিঠি ]
------------------------------------
দেশের
বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী সকল স্তরের নাগরিক মহোদয়গন !
শুরুতেই
সকলকে জানাচ্ছি যথাবিহীত সম্মান এবং সংগ্রামী শুভেচ্ছা ।
আমরা
সকলেই অবগত যে , একটি
দেশের সকল নাগরিক জাতীয়তা স্বত্বায় প্রত্যেকেই একই জাতি । আমরা যেহেতু
বাংলাদেশের নাগরিক , সেহেতু
আমরা প্রত্যেকেই একই পরিচয়ে পরিচিত , একই
পরিচয় প্রত্যেকের । আর সেটা হলো - আমরা বাংলাদেশী ।
যদিও
আমরা দেশ স্বাধীনের সময় সকল নাগরিক একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করলেও , সবাইকে
একজাতি মেনে নিলেও পরবর্তীতে আমরা সকল নাগরিকদের একচোখে দেখিনি । একই জাতি হিসাবে
গণ্য না করে দেশের একাংশ নাগরিকদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ে ভাগ করে ফেলেছি নিজেদের
সুবিধার্থে , অবহেলিত
করে রেখেছি তাদের । অথচ এরকম হবার কথা ছিলোনা । নাগরিকদের
ধর্ম পালনের মধ্যে বিভিন্নতা থাকতে পারে , নাগরিক
হিসাবে তাদের পরিচয় , তাদের
অধিকার , তাদের
দায়িত্ব সবারই একই মাপের হওয়ার কথাছিলো । কিন্তু আমরা তা না করে আমরা তাদের
বিভিন্ন উপাধি দিয়ে ( আধিবাসী , উপজাতী
ইত্যাদি ) গোত্রে ভাগ করে নাগরিক হিসাবে প্রাপ্ত সুযোগ - সুবিধাকেও বিভিন্ন
ক্যাটাগরীতে ভাগ করে নিয়ে কোন কোন নাগরিকের সুযোগ - সুবিধা বৃদ্ধি করে কোন কোন
নাগরিকের সুযোগ - সুবিধা কমিয়ে দিয়েছি ।
আমরা
যদি আমাদের দেশের পাহাড়ী অঞ্চলের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাব বাংলাদেশের একাংশ
নাগরিক দেশের বৃহৎ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত । অথচ তারাও একদিন এদেশ স্বাধীন করার
জন্য বন্দুক কাঁধে নিয়েছিল । জীবনের স্বার্থ ত্যাগ করে
তারাও সেদিন দেশের অভ্যান্তরে ভালোভাবে বাঁচার আশায় দেশরক্ষায় যুদ্ধের ময়দানে
নেমেছিলো । অথচ যুদ্ধ পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হবার পর দেশের কোন সরকারই এসব অঞ্চলের
মানুষদের নাগরিক সুযোগ - সুবিধার দিকে নজর দেয়নি । তারা
এসব অঞ্চলের নাগরিকদের
বিভিন্ন উপাধি দিয়ে কোনঠাসা করে রেখেছে যুগযুগ । ফলে সেসব অঞ্চলে দেখা দিয়েছে
চরম অশান্তি । তাদের অধিকার আদায়ে গঠিত হয়ে শান্তিবাহিনী ।
নাগরিক
সুযোগ - সুবিধা বঞ্চিত এসব অঞ্চল তাদের হাতে ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে । তারা
সুযোগ পাচ্ছে বলার দেশের অভ্যান্তরে আরও একটি দেশ গঠনের ! তারা আজ সেইসব অঞ্চলে
স্বাধীনতার ডাক দিচ্ছে । কেন এমন হবে ? একমাত্র কারন , সমগ্র
দেশের নাগরিকদের প্রতি সরকারের দৃষ্টির বিভিন্নতা ।
সরকার
আলোকিত জনপদকেই আলোকিত করনে ব্যস্ত , অন্ধকার
জনপদের দিকে সরকারের দৃষ্টির অভাবে আজ দেশের অভ্যান্তরেই আর একটি দেশ গঠনের চেষ্ঠা
চলছে , চাওয়া
হচ্ছে একটি স্বাধীন দেশ থেকে আর একটি
স্বাধীনতা ! এটা কোন স্বাধীন দেশের কাম্য নয় ।
যে
কোন স্বাধীন দেশের নাগরিকদের সুযোগ - সুবিধা সকল নাগরিকদের জন্য একই হতে হবে , এটাই
নিয়ম । নয়তো সেটা স্বাধীন দেশ থাকবেনা , সৈরাচারী
দেশ হিসাবেই পরিগণিত হবে । দেশের নাগরিকগণ উশৃন্খল হয়ে উঠবে । চারিদিকে দেখা দিবে
অশান্তির অগ্নোৎপাত ।
আমরা
এদেশের নাগরিক । এদেশ আমাদের মর্যাদার প্রতীক । কেননা , এদেশ
আমাদের জন্মভূমি । আমরা মুসলিম , আমরা
হিন্দু , আমরা
খ্রীষ্টান , আমরা
বুদ্ধ - আমাদের ধর্ম যাই হোক না কেন , আমরা
এ দেশেই জন্মেছি । তাই এদেশ আমাদের । এদেশ আমাদের কাছে সবচেয়ে মর্যাদাবান ।
আমাদের গর্ভধারিনী - জন্মদাত্রী মাতা আমাদের গর্ভধারণ - জন্মদেবার কারনে যেরূপ
আমাদের কছে মর্যাদাবান , তেমনি
আমাদের জন্মের পর কিংবা আশ্রয় গ্রহনের পর এই ভূমি আমাদেরকে বুকে ধারণ করার কারনে , আমাদের
আশ্রয়দেবার কারনে এদেশ “ মা ’’ এর
মতোই মর্যাদাবান । আমাদেরকাছে মা’য়ের যেরূপ
মর্যাদা , আমাদের
মা আমাদের কাছে যেরূপ সম্মনের যোগ্য , আমাদের
কাছে আমাদের দেশেরও সেরূপ মর্যাদা , সেরূপ
সম্মানের যোগ্য ।
আমরা
এদেশে জন্মেছি বলেই এদেশ আাদের কাছে পরম পূঁজনীয় । মা - মাটি - মাতৃভূমি ; এ
ত্রিমাতৃক আশ্রয়স্থল আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত । আমাদেরকে
জন্মদিয়েছেন যিনি - সেই মা , আমা
ভূমিষ্ঠ হয়েছি যে মাটিতে - সেই মাটি , আর
আমার ভূমিষ্ঠকালীন মাটি যে দেশে অবস্থিত - সেই দেশ ; এ
তিনের সমন্বয়েই আমাদের জীবনযাত্রা পথের সূচনা ।
মা-কে
যেমন আমরা আমাদের জন্মদেবার কারনে অবমাননা করতে পারিনা । তেমনি অবমাননা করতে
পারিনা সেই মাটি ও সেই দেশকে - যা আমাদের ধারণ করেছিলো । কিন্তু , আজ
আমরা সেই বৃহৎভুল এবং গাদ্দারীটাই সকলে করছি । আজ আমরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত
স্বার্থান্ধত্বের গেড়াকলে আটকে এবং লোভ - লালসা - কামনা - বাসনা তথা ষঢ়রিপু (
কাম , ক্রোধ , লোভ , মোহ , মদ , পরশ্রীকাতরতা
) এর অভিলাষে মত্ত হয়ে সেই মা - মাটি - মাতৃভূমির অবমাননা করছি প্রতিনিয়ত , প্রতিস্থানে
। আমরা ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে স্বচেষ্ঠ হচ্ছিনা যে , কিভাবে
আমরা জন্মস্থানের মাটি - মাতৃভূমির সম্মানকে লাঞ্চিত - পদদলিত করছি , করছি
আমাদের মায়ের সম্মানকে ক্ষুন্ন ।
নির্দ্বিধায়
আজ আমরা চুরি - ডাকাতি - রাহজানী - খুন - গুম - অপহরণ - ধর্ষণ - ব্যাভিচার -
অবিচার - অন্যায় - অত্যাচার - জুলুম ইত্যাদি বিবিধ অপকর্ম ঘটিয়ে করছি মা - মাটি
- মাতৃভূমির সম্মানের ক্ষতি । ক্ষণিকের সুখ ( ? ) ভোগে
আমরানিজেদের কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাচ্ছি তা এতটুকু ও ভাবতে পারছিনা ! না
পারছি সুখভোগ করতে , না
পারছি শান্তিলাভ করতে । না পারছি পরিবারে খাঁপ খেতে , না
পারছি সমাজে মুখ দেখাতে । আর না পারছি স্বাধীন দেশের স্বাধীন রাজপথে স্বাধীন ভাবে
বিচরণ করতে ।
ক্ষণিকের
সুখভোগে মত্ত হয়ে আজ আমরা সর্বক্ষেত্রে অবাঞ্চিত হয়ে গেছি । ক্ষণিকের সুখভোগে
অংশ নিয়ে আজ আমরা নিজেদের জীবনে অশান্তিতো ডেকে আনছিই , সাথে
সাথে অশান্তির আগুন জ্বালাচ্ছি পরিবার - প্রতিবেশী - সমাজ - সমগ্র দেশেও । মানুষ
হয়ে অমানুষের কর্ম করে নিজেদের আড়াল করছি মানুষদের কাতার থেকে । দিক-বিদিক জ্ঞান
হারিয়ে পশুত্বের রূপ গ্রহন করছি মনের অজান্তে । মানুষ থেকে পশুতে রূপান্তর - কোন
বিবেকবান মানুষের কাম্য হতে পারেনা ।
তাই , আর নয় ; আসুন
আমরা মানুষ - মানুষ হয়েই থাকি । যারা মানুষ থেকে পশুতে রূপান্তর হয়েছি ; আসুন
আবার আমরা মানুষে রূপান্তর হই । কারন , মানুষই
সৃষ্টির সেরা । নষ্ট বিবেককে সংশোধন করে আসুন আমরা মায়ের সম্মান দিই, আমাদের
বক্ষে ধারণ কারি মাটিকে মূল্যায়ন করি , স্বদেশের
সুনাম রক্ষা করি ।
আসুন
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হই , সকল
প্রকার অন্যায় থেকে নিজেদের বাঁচাই , অন্যদেরও
বাঁচতে সহযোগীতা করি । আসুন স্বদেশের সুনাম অর্জনে স্বচেষ্ঠ হই , দেশজ
কল্যানে আত্মনিয়োগ করি , দেশের
উন্নয়নে সৎচিন্তা করি ।
আসুন
আত্মপরিচয় দানে এগিয়ে আসি , দেশীয়
সংস্কৃতিকে বিশ্বমানের করে তুলি , দেশীয়
সংস্কৃতির ধ্বংস সাধনের কর্মকান্ড পরিহার করি , বিজাতীয়
সংস্কৃতির অশুভ ছায়ার মূলোৎপাঠন করে ধারন করি স্বজাতীয় সংস্কৃতির সুন্দর রূপকে , ভিনদেশী
সংস্কৃতির ভয়াল রূপ আমদানী না করে সাজাতে থাকি স্বদেশীয় সংস্কৃতির মনমুগ্ধকর রূপ
দিয়ে সমগ্র দেশের সার্বিক অবয়ব ।
আসুন
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের সকল নাগরিক এক হই , বিদেশ
থেকে পণ্য আমদানী না করে বিদেশে নিজেদের পণ্য রফ্তানীর বাজার গঠন করি , পার্শবর্তী
দেশ ভারতীয় নাগরিকদের মতো প্রতিজ্ঞা করি - আমরা বিশ্বের যেখানেই থাকিনা কেন
বিদেশী মাল আমরা খরিদ করবোনা , আমাদের
স্বদেশীয় পণ্যই হোক আমদের উপযুক্ত পণ্য ।
আমরা
যে সমাজে বাস করছি তা এখন ঘুণে ধরা সমাজে রূপান্তরিত । ধীরে ধীরে ঘুণপোকা সে
সমাজকে নষ্ট করে চলেছে । আমাদের ঘুমের মধ্যে আমাদের ঘুণে কাটা সমাজ ধ্বংস হতে
যাচ্ছে । ছোট - বড় অন্যায় - অপরাধে জন্মলাভ করছে সেইসব ঘুণপোকা । এভাবে চলতে
থাকলে অচিরেই সে সমাজ আমাদের জন্য বাসযোগ্যহীন হয়ে পড়বে । তাই , আসুন
- আমরা জাগ্রত হই , নিদ্রা
ভেঙ্গে সমাজের দিকে দৃষ্টি দিই , ঘুণে
ধরা সমাজকে বাঁচাই , ধ্বংসপ্রায়
সমাজকে বাসযোগ্য করে আবার গড়ে তুলতে সকলেই স্বচেষ্ঠ হই ।
আমরা
ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ সবাই । এমন কোন ব্যক্তি বা মানুষ নেই যার কোন ধর্ম নেই ।
প্রতিটি মুসলীম যেমন ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় বন্দনে আবদ্ধ । তেমনি , প্রতিটি
হিন্দু , প্রতিটি
বৌদ্ধ , প্রতিটি
খ্রীষ্টান , এমনি
আরো যারা আছে সকলেই স্ব স্ব ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ , যার
কোন ধর্ম নাই বলে , তার
ও একটা নিজস্ব ধর্ম রয়েছে - সেটা হচ্ছে তার নিজ জীবন পরিচালনার নিয়ম-নীতি , সে
তার জীবন কিভাবে পরিচালনা করবে সেই চিন্তাটাই তার
ধর্ম । একটা জীবনকে সুন্দর রূপে , সুশৃন্খলভাবে , বিশ্বজগতের
কল্যানে , শান্তির
সহিত পরিচালনা করার নামই ধর্ম ।
পৃথিবীতে
প্রতিটি ধর্মের আবির্ভাবই হয়েছে শান্তির সওগাত নিয়ে । এমন কোন ধর্ম নেই যাতে
শান্তির বার্তা দেয়া হয়নি । তৎসত্বেও আমরা দেখতে পাচ্ছি সমগ্র দেশব্যাপী তথা
সমগ্র বিশ্বে অশান্তির দাবানল ধাউ ধাউ করে জ্বলছে । আর সেই অশান্তির দাবানল সৃষ্টি
করছি আমরাই , ধর্মের
বন্ধনে আবদ্ধ মানুষজাতিই।
কারণ
কি ? কারণ একটাই - আমরা মানুষ হয়ে ও
মনুষ্যত্বের গুণটা অর্জন করতে পারিনি , পারছিনা
বা করছিনা । আমরা ধর্মের বন্ধনে থেকে ও ধর্ম মানছিনা । যেরূপ কোন সন্তান মায়ের
উদর থকে জন্ম নিয়েও সে তার মা-কে মানেনা । মা-য়ের অবাধ্যতা করে । যেরূপ আমরা
সমাজে বাস করেও সমাজকে মানছিনা , সমাজের
নিয়মবদ্ধ আচার - আচরনের বিরোধীতা করছি ।
এর
কমাত্র কারণ , আমাদের
নির্মল মন এবং সুন্দর খোলা চোখ স্বার্থপরতার কালো আবরনে ঢেকে গেছে । আমরা
সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিজাত হয়েও স্রষ্টার নিয়ম লঙ্গন
করে অমানুষ হয়ে গেছি । ধর্মের গণ্ডীতে থেকেও ধর্মের নিয়ম বিরোধীতা করে ধর্মচ্যুত
হয়ে গেছি । কোন সন্তান যেমন পিতামাতার অবাধ্য হয়ে ত্যাজ্য ঘোষিত হয় , কোন
লোক যেমন সমাজবিরোধী কর্ম করে সমাজচ্যুত হয় , কোন
নাগরিক যেমন দেশদ্রোহী কর্মে জড়িয়ে দেশান্তরী হয় । তেমনি , আজ
আমাদের অবস্থা ।
আর
তাই , আমরা
আজ অশান্তির আগুনে জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হচ্ছি চতুর্দিকে । মানুষের পীঠ দেয়ালে ঠেকে
গেলে যেমন সে নববলে বলিয়ান হয়ে বাঁচার চেষ্ঠা করে , তেমনি
আমাদের পীঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে । অশান্তির দাবানলে জ্বলতে জ্বলতে আর যায়গা নেই
যে আমাদের জ্বলবার । এখন ধ্বংসের পাদপীঠে দন্ডায়মান আমরা ।
যদি
আমরা বাঁচতে চাই , তবে
এখনই আমাদের নব বলে বলিয়ান হয়ে বাঁচার চেষ্ঠা করতে হবে । এখনই ভাবতে হবে আমাদের
কি করা উচিত । কি করলে আমরা বাঁচব - সে পথেই আমাদের ধাবিত হতে হবে ।
তাই , হে
বন্ধু ! আসুন আমরা সেই পথ আবিস্কার করি , সে
পথে অভিযান চালাই - যে পথে আমাদের বাঁচার দিক পরিলক্ষিত হবে , যে
পথ দেখাবে আমাদেরকে সুখ - শান্তির সাম্রাজ্য । আপনি মুসলীম - হিন্দু - বৌদ্ধ -
খ্রীষ্টান বা অন্য যাই ই হোন না কেন , নিজ
নিজ ধর্মের নীতিমালা সঙ্গে নিয়ে শান্তির পথে অভিযান চালান ।
আমরা
মানুষ । সৃষ্টিজাত হিসাবে আমরা একই জাতি । সমগ্র মানবধর্ম এক এবং অভিন্ন । আমরা
সবাই বাংলাদেশের অধিবাসী । আমরা বাংলাদেশী জাতীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ একই জাতি । তাই , আর
নয় সংখ্যালঘু আর
সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্যে প্রভেদ । আর নয় ধনী আর গরীবের মধ্যে ভেদাভেদ ।
আর
নয় স্বার্থান্ধত্বের স্বরোষে একে অন্যকে আক্রমন । আর নয় - চুরি , ডাকাতি , রাহাজানী , সুদ , ঘুষ , খুন , গুম , অপহরণ , ধর্ষণ , অন্যায় , অবিচার , অনাচার , অত্যাচার , ব্যভিচার , জুলুম
ইত্যাদি কুকর্মের মাঝে পথ চলা । আর নয় - আপন জাতিকে ধ্বংস করা ।
“ গ্রামের
নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান ,
মিলিয়া ভাউলা গান আর মুর্শীদি গাইতাম ,
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম -
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ! ’’
সময়
এসেছে - আমাদের একে অপরকে জানার , ভাই
হয়ে ভাইকে চেনার । সময় এসেছে - জাতিকে চেনার । সময় এসেছে - ব্যক্তিবিশেষ সংশোধন
হবার ।
তাই , আসুন
- আমরা মনুষ্য জাতি একে অপরকে চিনি , জানি
। ভাই হয়ে ভাইকে চিনি , জানি
। ব্যক্তিবিশেষ সংশোধিত হই । আসুন - সৎকাজের ব্রতী হই । সকল অসৎ , অপকর্ম
থেকে অন্যদের বিরত রাখার চেষ্ঠা করি নিজেরাও বিরত থাকি । আসুন - শান্তির পথ ধরি ।
শান্তি রক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত করি ।
যুবকদের
খুনরাঙ্গা পথেই হয়েছিলো একদিন এই পৃথিবী সভ্য । আসুন - সেইসব যুবকদের মতো মন
নিয়ে শান্তি রক্ষার অভিযানে যোগ দিই । অস্ত্র নয় , যুদ্ধ
নয় , রক্তের
হোলিখেলা নয় । আসুন - বিনা অস্ত্রে , মনোবল
নিয়ে , ধর্মের
নিয়ম নিজ নিজ মুখে ও চরিত্রে ধারণ করে লাইফ ইনস্যুরেন্স করি ।
তবেই
হবে সমাজে শান্তির আবাসন । তবেই হবে মানবতার মুক্তি । নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ হাতে নিন
। কিভাবে ? কোথায় ? কি
করতে হবে ? তাহাই
দিবে সঠিক নির্দেশনা ।
গণ্ডারের
চামড়া গায়ে জড়িয়ে জীবন উপভোগ করাতে আনন্দ নেই , নেই
সুখ । শান্তির মখমল পোশাক গায়ে জড়িয়ে নিজকে প্রদর্শন করাতেই আনন্দ , সুখ
। তাই , বাস্তবতার
আলোকে সুখ - শান্তির জীবন সাজাতে আসুন - শাশ্বত সত্যের শান্তি পথে । পদ সঞ্চালন
করুন অস্ত্রের ঝনঝনাতিতে নয় , শান্তি
ও নিরস্ত্রভাবে সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিচালনায় । সকলকে সংগ্রামী
শুভেচ্ছা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন