আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১১

আমার লেখালেখির অন্তরালে ...( পর্ব - ৬ )




আমার লেখালেখির অন্তরালে ...
        ( পর্ব - ৬ ) 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------------- 

“ শাহানাজ নামের মেয়েটি ’’ কবিতাটা লেখার পরদিন দুপুরে যখন আমি রেষ্ট নিতে যাব , তখন জানালায় টোকা পড়ল । দেখলাম শাহানাজ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে । সে জানালা খুলতে বললো ইশারায় ।
জানালা খুলে জিজ্ঞেস করলাম -
“ কি হয়েছে ? ’’
- “ কিছু হয় নাই , হবে । আজ আছরের পর একখানে আমার সাথে যেতে হবে ’’।
“ কোথায় ? ’’
- “ পার্কে ’’ !
আমি আশ্চর্যাম্বিত হয়ে গেলাম । বললাম -
“ কি বললে ? আবার বলো , আমি শুনি নাই ’’ ?
- “ পার্কে বেড়াতে যাবো দু’জন ’’।
“ লাজবতীর লজ্জা ভাঙ্গলো নাকি ? হঠাৎ আমাকে নিয়ে বেড়াতে যাবার মানে কি ’’ ?  
- “ আমাকে নিয়ে কবিতা লেখার শাস্তি ’’ !
“ মাথা খারাপ ! আমি তোমাকে নিয়ে বেড়াতে যাব ? অন্ততঃ তোমার মতো দস্যি মেয়ের সাথে মোটেই না ’’।
- “ কি ! আমি দস্যি মেয়ে ? দস্যিপনার কি দেখিয়েছি আমি ’’ ?
রাগ প্রকাশ হতে থাকলো তার চোখে মুখে । যেন সে ঝগড়া শুরু করেছে আমার সাথে । এই প্রথম তার ভিন্ন একটা চেহারা দেখলাম । সদা হাস্যমুখে যেন নেমে এলো মেঘের ঘনঘটা । এখনই শুরু হবে ঝড়ের তান্ডবলীলা । বললাম -
“ তুমি যা করছো , দস্যিপনা ছাড়া তা আর কি হতে পারে ? শাস্তি দেয়ার জন্য আমাকে পার্কে নিয়ে যাওয়া মানেই তো সবার সামনে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে আমার পর অত্যাচার - সেটা তোমার দস্যিপনা নয় ’’ ?
এবার যেন মেঘটা কেটে গেলো তার মুখ থেকে । বললো সে ,
- “ এ দস্যিপনা না দেখালে যে তোমাকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবেনা মশাই । আমি আর কিছু শুনতে চাইনা , আছরের পর রেডী থাকবে ’’ ।
এবার মনে মনে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম । এই সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না । তাই বললাম -
“ যেতে পারি এক শর্তে ’’ !
- “ কি শর্ত ’’ ?
“ আমার যতক্ষণ থাকতে ইচ্ছা করবে থাকবো , তুমি চলে আসার জন্য বলতে পারবেনা ’’।
- সেটা হবেনা , মাগরীবের আগেই ঘরে আসতে হবে ।
মনে মনে আমিও তাই চাইছি । কিন্তু সেটা বুঝতে না দিয়ে তাকে নাচানোর উদ্দেশ্যে বললাম -
“ সেটা হবেনা , শাস্তি যখন পেতেই হবে , দেখি তুমি কতক্ষণ শাস্তি দিতে পারো , আর আমি কতক্ষণ শাস্তি ভোগ করতে পারি ? তাই , তোমার ইচ্ছাতেই যখন আমি যাচ্ছি , আমার ইচ্ছাতেই তোমার আসতে হবে , রাজি ’’ ? - আমার শাস্তি দেয়া মাগরিবের আগেই হয়ে যাবে । এর বেশী শাস্তি দিতে হবে না ’’।
“ তার মানে - তুমি ভীতু , সন্ধ্যার পরে আমার সাথে থাকতে তোমার ভয় , তাই না ’’ ? - “ ভয় লাগবে কেন ? ভয় লাগলে কি আর তোমার সাথে যাচ্ছি ? মাগরিবের আগে বাসায় না আসলে সবাই চিন্তা করবে তাই ’’।
এবার আমি তার কথায় রাজি হলাম । বললাম -
“ ঠিক আছে , তুমি রেডী হয়ে থেকো । আমি যখন তোমাকে ঘরের দরজায় দেখবো , আমি বের হবো । তুমি আমার আগেই মেইন রোডে গিয়ে দাঁড়াবে । পারলে রিক্সা নিয়ে বসে থাকবে রিক্সায় ’’।
কথামত আছরের পর আমরা বের হয়ে গেলাম । রিক্সায় গুলশান দুই নাম্বার আজাদ মসজিদের সামনের পার্কে এসে গেলাম । তখনও এ পার্কটি বর্তমানের ওয়ান্ডারল্যান্ডের রুপে পরিণত হয়নি । সেখানে ছিলো বসার জন্য কিছু বেঞ্চি , শিশুদের খেলনার জন্য কয়েকটা উপকরণ আর কিছু ফুলগাছ । সমগ্র পার্কটা ছিলো উম্মুক্ত একটা ফুল বাগান । রমনা পার্কের মতো ঘুরাফিরা করে গায়ে প্রকৃতির নির্মল হাওয়া লাগানোর স্থান । দুই টাকায় টিকেটের ব্যবস্থা ছিলো । যা হোক , গুলশান পার্কে ডুকে আমরা কিছুক্ষণ হাঁহাঁটি করলাম । রঙ্গীন সব ফুলের সাহচর্য নিলাম । লাগালাম গায়ে প্রকৃতির নির্মল হাওয়া । তারপর একটা বেঞ্চিতে বসে দুজনের কথোপকথন শুরু করলাম । এই প্রথম দু’জন দু’জনার কাছে আসলাম । বললাম -
“ বলো এবার আমার কি শাস্তি ’’ ?
- “ শাস্তি তো হয়েই গেছে । তোমার সাথে এভাবে এখানে এসে কিছুক্ষণ বেড়ানোই ছিলো তোমার শাস্তি । সে যাক , আসলে আমি জানতামনা তুমি এতো সুন্দর লিখতে পারো । তাই বলেছিলাম - তুমি কি লিখবে সেটা আমি জানি । কিন্তু তোমার লেখাটি যখন দেখলাম , আমি মন হারিয়ে ফেললাম তোমার তোমাতে । অনেক সুন্দর লাগলো তোমার লেখা । জানো , তোমার কবিতাটা আজ আমার বান্ধবীদের দেখিয়েছি । তারাও বলেছে - লেখাটি খুব সুন্দর । তারা নাকি তোমাকে দেখতে আসবে ’’।
“ বাহ্ ! তবে তো আমি লেখক হয়ে গেলাম । যদি ওরা আমাকে দেখতে আসে তবে তো একটা কলম লাগবে তাদেরকে অটোগ্রাফ দেবার জন্য । কলমটা কিনে রেখো ’’ ।
- “ চমৎকার ! লেখক তুমি , বিখ্যাত হলে তুমি , দেখতে আসবে তোমাকে , জয়গান গাইতে আসবে তোমার , অটোগ্রাফ দিবে তুমি , তোমার জন্য আমি কেন কলম কিনব ? তাতে আমার কি লাভ ’’ ?
“ তোমার কি লাভ মানে ? তোমার বান্ধবীরা যেখানে খুশি , সেখানেই তোমার গৌরব । এটা তোমার লাভ নয় ? সুতাং কলমটা তোমাকেই কিনতে হবে ’’ ।
- “ তুমি তো খুবই কৃপণ দেখছি , একটা কলম কিনতেও তোমার গায়ে লাগছে ’’ !
“ এখানে কৃপণতার কি দেখলে ? তোমার বান্ধবীদের খুশি করলে আমার কি লাভ ’’ ?
- “ ঠিক আছে , বুঝতে পারছি তুমি তোমার কলম ব্যবহার করতে চাওনা । ওকে , সময় হলে দেখা যাবে । কলমের প্রয়োজন হলে আমিই দেবো ’’ ।
“ এই তো লক্ষ্মী মেয়র মতো কথা । ক্যাচাল কি ভালো লাগে ? সে যাক , দেখি এবার তোমাকে ভালোভাবে । এতোদিন তো দূর থেকে দেখেছি । এবার একটু কাছ থেকে দেখি । একটু দাঁড়াও তো সামনে ’’।
সে দাঁড়াতে চাচ্ছিলোনা , জোর করে উঠিয়ে দিলাম । তার আপাদমস্তক ভালো করে দেখে বললাম -
“ একটা কবিতা লিখলে কেমন হয় এখন ’’ ?
- “ মন্দ হয় না । আমি দেখতে পারবো তোমার মেধার প্রকাশধারা ’’ ।
“ ঠিক আছে । তবে লেখা শুরু করা যাক ’’।
আমার পকেটে সব সময় কাগজ কলম থাকতো । যখন যা মনে আসতো , তখন তা নোট করে রাখাই ছিলো আমার অভ্যাস । সে ধারাবাহিকতায় পকেট থেকে কাগজ কলম বের করে শুরু করে দিলাম লিখা -

তুমি সেই শাহানা
--------------------

হে ললনা ! তুমি কি সেই ? 
আমার হৃদয়টা তোলপাড় করেছে যেই ? 
তাই তো ! 
নাম তো তোমার শাহানাজ , 
তবে , কেন তুমি কর লাজ ? 
তুমি তো মোর হৃদয়ের রাণী , 
তবে , কেন তুমি 
করতে চাও মোর জীবন হানি ? 
এমন করোনা তুমি আমার সাথে -
এসো , কাছে এসো ! 
চুপে চুপে এসে বসো ! 
রাখো তোমারই হাত আমারই হাতে । 
========================
===========
চলমান > আমার লেখালেখির অন্তরালে ... ( পর্ব - ৭ )
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
===========================================     

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন