যা হোক, নাস্তিক্যবাদী বর্তমান সরকারের সেই "টক অব দ্য কান্ট্রি" নিয়ে দেশ-জনতার পড়ে থাকলে চলবেনা। তাদেরকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কিভাবে জবাব দেয়া হবে সেটা নিয়েই এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভাবতে হবে। আর এই ভাবাভাবি ঘুমিয়ে করলে হবেনা। জাগ্রত হয়েই এই ভাবাভাবি করতে হবে। কারণ, এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবিতে দেশ-জনতার আনন্দোল্লাশে মত্ত হবার কোন বিষয় পরিলক্ষিত হয়নি। ভোট কালেকশানের ফিরিস্তি দেখে মনে হচ্ছে, বড় কিছু অর্জনের লক্ষ্যেই এ নির্বাচনে তাদের পরাজয় ছিল একটা লোক দেখানো আয়োজন। তারা দেশের বড় পদটি অর্জনের জন্য দেশের ছোট ছোট পদগুলো অন্যের জন্য ছেড়ে দিতেই পারে। এ যেন জামাতের ছোট ছোট নেতাগুলোকে লঘুদন্ড দিয়ে জামাত-শিবিরের উশৃন্খলতা প্রতিরোধ করে তাদের চুপ রেখে জামাতের বড় বড় নেতাদের ফাঁসির রায় ঘোষনা দেয়ার পথ পরিস্কার করার মতোই ঘটনা।
মনে হচ্ছে বর্তমান সরকারের চার সিটি কর্পোরেশন ছেড়ে দেবার মূলে তাদের রয়েছে জামাত-শিবিরকে ঘুমিয়ে দিয়ে তাদের বড় বড় নেতাদের ফাঁসির রায় দেয়ার মতোই একটা বৃহৎ পরিকল্পনা। যে পরিকল্পনায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সিংহাসন পুনর্বার অজর্নের লক্ষ্যে। গতকালকের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবার দোহায় দিয়ে, আগামী নির্বাচন তাদের দ্বারাই সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে দেশের সিংহাসন পুণঃদখল করার একটা বৃহৎ পরিকল্পনাই হচ্ছে চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। নয়তো দেশের একমাত্র অশান্ত সৃষ্টিকারী দলের কাছ থেকে এমন শান্ত-নীরবতা কখনো আশা করা যায়না।
তাই গতকালকের শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের টোপটি না গিলে দেশের জনকে আগামী নির্বাচনের পরিকল্পনা জাগ্রত হয়েই করতে হবে। নয়তো দেশের জনগণকে দেখতে হবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বিশ্বকে চমকে দেয়া অনিরপেক্ষ ও অশান্তকর এবং ভীতিকর অবস্থায় নিপতিত একটা নতুন বাংলাদেশকে। যেখানে থাকবে শুধুই অস্ত্রের ঝনঝনানী, যেতে পারবেনা কেউ ভোটকেন্দ্রে, প্রয়োগ করতে পারবেনা কেউ তাদের ভোটাধিকার। যেভাবেই হোক তারা চাইবে দেশের সিংহাসন পূনর্বার তাদের করায়ত্ব করার। কারণ তারা বুঝেই গেছে যদি আগামী নির্বাচনে তারা জয়ী না হয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের হবে রাজনৈতিক মৃত্যু। কারণ কোন স্বৈরশাসকই কখনো দ্বিতীয়বার শাসনকর্তৃত্বের অধিকারী হতে পারেনা। আর এ কারনেই তারা ছলে - বলে - কৌশলে শাসনভার অর্জনের লক্ষ্যে যে কোন প্রকার পদ্ধিত গ্রহণ করে শেষ চেষ্ঠা চালাবে।
তাই দেশের জনগণকে এখনই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে কিভাবে তারা তাদের মঙ্গল আনায়নে কোন্ পদক্ষেপটি গ্রহণ করবে ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন