আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা
বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী
সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত
সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
বিষয় সূচী
APNAKE SHAGOTOM
সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা
অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি ।
conduit-banners
Powered by Conduit |
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৩
বাংলাদেশে ডিজিটাল শবেবরাত পালন : সৌভাগ্য রজনীকে টেনে নিয়ে আসা হয় সৌভাগ্য দিনেও !!!
সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৩
"ছোট্ট একটা কাজ, যদি করে দেখাও আজ জেগে উঠবে সবাই , নতুন করে আবার !"
"ছোট্ট একটা কাজ, যদি করে দেখাও আজ
জেগে উঠবে সবাই , নতুন করে আবার !"
আমার ধারণা, নাস্তিক্যবাদী বর্তমান সরকারের তলিয়ে যাবার অবস্থা থেকে তাদের আবার তুলে আনার লক্ষ্যে তাদের একটু সাহস দানে এই এ্যাডটি বারবার প্রচার করা হচ্ছে।
কিন্তু, যেখানে হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারের লুঠকরা কোটি কোটি টাকা ঢেলে দিয়েও বর্তমান সরকারকে চার সিটিতে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়নি, সেখানে এই - "ছোট্ট একটা কাজ, যদি করে দেখাও আজ
জেগে উঠবে সবাই , নতুন করে আবার !"-
এ্যাডভার্টাইজটি এই ডুবন্ত সরকারকে কি আদৌ রক্ষা করা যাবে ? সরকার কি পারবে - সেই ছোট্ট একটা কাজ দিয়ে আবার দিকহারা তীরে নৌকা ভীড়াতে ?
যে সরকার হাজার হাজার আলেম হত্যার মধ্য দিয়ে ইসলামের মুলোৎপাঠনের ঔদ্যত্ব দেখিয়েছে সেই সরকার কি পারবে আবার দেশের ৯০ শতাংশ মুসলীমের হৃদয় জয় করতে ? যে সরকার একটি মুসলীম দেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করে সে দেশকে নাস্তিক্যবাদী দেশরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে বেপরোয়া হয়ে উঠে, সে সরকার কি পারবে মুখ ফিরিয়ে নেয়া মুসলীমদের তাদের দিকে ফেরাতে ? যে সরকার নাস্তিকদের প্রিয়ভাজন হতে তাদের আদেশে দেশের মুসলীমদের রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি, সে সরকার কিভাবে পারবে ছোট্ট একটা কাজ করে দেশের মুসলীমদের সরকার বাঁচানোর লক্ষ্যে জাগাতে ?
রবিবার, ১৬ জুন, ২০১৩
আজ বিশ্ব বাবা দিবসে আমার কিছুই করার নেই। আছে শুধু "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা (হে আমার রব ! আমার পিতামাতা উভয়কে রহম কর, যেমনিভাবে তারা আমাকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছেন)" এতটুকু বলে আমার সেই বাবা-মা'কে একটু স্মরণ করে চোখের জলে নিজেকে সিক্ত করা।
আজ বিশ্ব বাবা দিবসে আমার কিছুই করার নেই।
আছে শুধু "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা
(হে আমার রব ! আমার পিতামাতা উভয়কে রহম কর,
যেমনিভাবে তারা আমাকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছেন)"
এতটুকু বলে
আমার সেই বাবা-মা'কে একটু স্মরণ করে
চোখের জলে নিজেকে সিক্ত করা।
------------------------
FATHER'S DAY
আজ নাকি বিশ্ব বাবা দিবস। আজকাল কোন দিবসই আমার মনে থাকেনা। আজ টিভিতে দেখলাম বাবা দিবস চলছে। তাই স্মরণে এলো বাবার অনেকগুলো কষ্টের স্মৃতি। বাবার সেইসব কষ্টের স্মৃতিগুলো মনে উঠলেই চোখ দিয়ে ঝরতে থাকে অবিরাম ঝর্ণা স্রোত।
আমার বাবা ছিলেন একজন সৎ ব্যবসায়ী, ঢাকার নির্মাণ প্রতিষ্ঠাণগুলোর একজন সাব কন্ট্রাকটর, বিশেষ করে ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেড । প্রথমে তদানিন্তন বার্মার রেঙ্গুন এবং শেষ বিশ্বযুদ্ধের পর রেঙ্গুনের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে গেলে সেখান থেকে সকল অবলম্বন ছেড়ে দেশে ফিরে যখন অসহায় হয়ে পড়েছিলেন, তখন আমাদের বাড়ীর সামনের দোকান্দার আমাদের ভাই সম্পর্কীয় মফজল আহমদ সওদাগর থেকে মাত্র দেড় টাকা ঋণ গ্রহণ করে ঢাকায় পাড়ি জমান তিনি। সেই থেকে অনেক চড়াই উৎরায় পেরিয়ে তিনি ঢাকায় প্রতিষ্টিত হন। সেখানে তৃতীয় শ্রেনীর সরকারী লাইসেন্সধারী একজন কন্ট্রাক্টর হিসাবে আজিজুল হক এণ্ড সন্স নামে একটি প্রতিষ্টান দাঁড় করিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ওনার কষ্টের সামান্য অংশ আমি দেখেছি । আমি বুদ্ধিজ্ঞান অর্জন করার পর যে দিনগুলোতে আমি তাঁর সাথে মাঝে মাঝে যাতায়াত করতাম। স্মরণ পড়ে ওনার কষ্টকর একটা দিনের কথা। আমি ও বাবা একদিন রিক্সা করে যাচ্ছিলাম মগবাজার থেকে ৩/সি পুরানা পল্টনের আমাদের সাইটে স্নোসাম (বিল্ডিং রং করনের পাউডার) এর ড্রাম নিয়ে । বিজয়নগরে পৌছলেই রিক্সাটি উল্টে যায়। স্নোসেমের ড্রাম দু'টি আমার বাবার উপর। আর আমি ছিটকে পড়ি রাস্তার আইল্যান্ডে। বাবার সেদিনের কষ্টটা আমি সহ্য করতে পারিনি। এমনই বহু কষ্টের ঘটনাগুলো আমার চোখে ভাসছে আজ। তাঁর সুখের দিনগুলো যেন মলিন হয়ে গেছে তাঁর কষ্টের দিনগুলোর আবরণে। তাই বরাবরই তার সুখের দিনগুলো আমার চোখে ভাসেনা, ভাসে শুধু ওনার কষ্টের দিনগুলো।
স্মরণ করছি সেই বাবাকে যাঁর মাধ্যমে আমি দুনিয়া দেখেছি। যাঁর রক্তঝরা মেহনতে আমি লালিত হয়েছি, যারা সুখহারা জীবনের মাঝে আমি নির্লজ্জ - পাষাণের মত সুখলাভে মত্ত থেকেছি। সেই বাবাকে দিতে পারিনি আমি সুখের ছোঁয়া, দিয়েছি কেবলই দুঃখ , কেবলই কষ্ট। আজ আমার সেই বাবার অনুপস্থিতি, আমার বাবার শেষ দিনকার সময়গুলো যেন আমাকে নিয়ত কুঁকড়ে কুঁকড়ে খাচ্ছে।
কিন্তু কিছুই করার নেই। আছে শুধু "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা (হে আমার রব ! আমার পিতামাতা উভয়কে রহম কর, যেমনিভাবে তারা আমাকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছেন)" এতটুকু বলে আমার সেই বাবা-মা'কে একটু স্মরণ করে চোখের জলে নিজেকে সিক্ত করা।
"টক অব দ্য কান্ট্রি - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতে চার সিটি কর্পোরেশনের জনগণ নাস্তিক্যবাদী সরকারের বৃহৎ চার এজেন্টকে তাদের সিটি থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছে !!"
যা হোক, নাস্তিক্যবাদী বর্তমান সরকারের সেই "টক অব দ্য কান্ট্রি" নিয়ে দেশ-জনতার পড়ে থাকলে চলবেনা। তাদেরকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কিভাবে জবাব দেয়া হবে সেটা নিয়েই এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভাবতে হবে। আর এই ভাবাভাবি ঘুমিয়ে করলে হবেনা। জাগ্রত হয়েই এই ভাবাভাবি করতে হবে। কারণ, এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবিতে দেশ-জনতার আনন্দোল্লাশে মত্ত হবার কোন বিষয় পরিলক্ষিত হয়নি। ভোট কালেকশানের ফিরিস্তি দেখে মনে হচ্ছে, বড় কিছু অর্জনের লক্ষ্যেই এ নির্বাচনে তাদের পরাজয় ছিল একটা লোক দেখানো আয়োজন। তারা দেশের বড় পদটি অর্জনের জন্য দেশের ছোট ছোট পদগুলো অন্যের জন্য ছেড়ে দিতেই পারে। এ যেন জামাতের ছোট ছোট নেতাগুলোকে লঘুদন্ড দিয়ে জামাত-শিবিরের উশৃন্খলতা প্রতিরোধ করে তাদের চুপ রেখে জামাতের বড় বড় নেতাদের ফাঁসির রায় ঘোষনা দেয়ার পথ পরিস্কার করার মতোই ঘটনা।
মনে হচ্ছে বর্তমান সরকারের চার সিটি কর্পোরেশন ছেড়ে দেবার মূলে তাদের রয়েছে জামাত-শিবিরকে ঘুমিয়ে দিয়ে তাদের বড় বড় নেতাদের ফাঁসির রায় দেয়ার মতোই একটা বৃহৎ পরিকল্পনা। যে পরিকল্পনায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সিংহাসন পুনর্বার অজর্নের লক্ষ্যে। গতকালকের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবার দোহায় দিয়ে, আগামী নির্বাচন তাদের দ্বারাই সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে দেশের সিংহাসন পুণঃদখল করার একটা বৃহৎ পরিকল্পনাই হচ্ছে চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। নয়তো দেশের একমাত্র অশান্ত সৃষ্টিকারী দলের কাছ থেকে এমন শান্ত-নীরবতা কখনো আশা করা যায়না।
তাই গতকালকের শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের টোপটি না গিলে দেশের জনকে আগামী নির্বাচনের পরিকল্পনা জাগ্রত হয়েই করতে হবে। নয়তো দেশের জনগণকে দেখতে হবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বিশ্বকে চমকে দেয়া অনিরপেক্ষ ও অশান্তকর এবং ভীতিকর অবস্থায় নিপতিত একটা নতুন বাংলাদেশকে। যেখানে থাকবে শুধুই অস্ত্রের ঝনঝনানী, যেতে পারবেনা কেউ ভোটকেন্দ্রে, প্রয়োগ করতে পারবেনা কেউ তাদের ভোটাধিকার। যেভাবেই হোক তারা চাইবে দেশের সিংহাসন পূনর্বার তাদের করায়ত্ব করার। কারণ তারা বুঝেই গেছে যদি আগামী নির্বাচনে তারা জয়ী না হয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের হবে রাজনৈতিক মৃত্যু। কারণ কোন স্বৈরশাসকই কখনো দ্বিতীয়বার শাসনকর্তৃত্বের অধিকারী হতে পারেনা। আর এ কারনেই তারা ছলে - বলে - কৌশলে শাসনভার অর্জনের লক্ষ্যে যে কোন প্রকার পদ্ধিত গ্রহণ করে শেষ চেষ্ঠা চালাবে।
তাই দেশের জনগণকে এখনই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে কিভাবে তারা তাদের মঙ্গল আনায়নে কোন্ পদক্ষেপটি গ্রহণ করবে ?