গত দু’দিন ধরে দেশের মানুষ একটা ক্ষুদ্র স্বার্থে রাজাকারদের ক্ষুদ্র একটি দলকে পতন করতে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। এভাবে কি দেশের মানুষ দেশ গঠনের বৃহত্তর স্বার্থে দেশ লুন্ঠনকারী বৃহৎ দলগুলোর পতনে বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারেনা ? দেশলুন্টনকারী বৃহৎ দলগুলোর পতনে যদি এসব বিদ্রোহীরা বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে না চায় , তবে কি তারা মনে করে - যে দেশ গত বিয়াল্লিশ বছরে গঠিত হয়নি, সে দেশ রাজাকারদের নির্মূল হলেই গঠন হয়ে যাবে ? যদি এসব বিদ্রোহীরা এটা মনে না করে, তবে তাদের এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই রাজাকারদের পতনের সথে সাথে দেশ লুন্ঠনকারী দলগুলোর পতনের লক্ষ্যেও তাদের বিদ্রোহ ঘোষনা করুক। যাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে একাত্তরের মত দেশের অবশিষ্ঠ সর্বশ্রণীর-সর্বস্তরের জনগণ।
দেশ লুন্ঠনে ব্যস্ত যারা – আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহ।
সন্ত্রাসের জনক যারা - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহ।
দেশ বন্টনে লিপ্ত যারা - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহ।
দেশদ্রোহী মানুষ যেথায় - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহে।
নাগরীকদের রক্তচোষায় লিপ্ত যারা - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহ।
রাজাকারদের দল যদি হয় – ইসলামী দল আর জামাত,
সুবিধাভোগী দল তবে – জাতীয় পার্টি আর অন্য সব দল।
তাই , দেশ গঠনের বৃহত্তর স্বার্থে এইসব দল পতনের লক্ষ্যে দেশের মানুষদের “রাজাকারের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করণে বিদ্রোহ”এর মতই বিদ্রোহ সৃষ্টি করা একান্ত আবশ্যক। দেশের মানুষদের বুঝে নিতে হবে যে, শুধুমাত্র দেশকে রাজাকারমুক্ত করলেই দেশে শান্তি আসবেনা, মুক্ত হবেনা দেশ হায়েনাদের কবল থেকে। তাতে লাভবান হবে দেশের লুন্ঠনকারীরা। রয়ে যাবে আসল হায়েনারা, যারা দেশ ও দেশের মানুষদের রক্ত চুষে খাচ্ছে।
অতএব, যেভাবে শুরু হয়েছে দেশকে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করণে যুদ্ধাপরাধীদের পতনে দেশব্যাপী গণবিদ্রোহ , সেভাবেই শুরু হোক দেশ গঠনে দেশ লুন্টনকারী দলসমুহের বিরুদ্ধেও দেশব্যাপী গণবিদ্রোহ।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন