আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা
বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী
সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত
সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
বিষয় সূচী
APNAKE SHAGOTOM
সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা
অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি ।
conduit-banners
Powered by Conduit |
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
সকলকে শরতের শুভ্র মেঘে সাথে ভেসে আসা হিমেল পরশমাখা কাঁশফুলের শুভেচ্ছা
সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৩
ডঃ জাকির নায়েক ও কিছু প্রশ্ন
আমাদের কওমী আলেমরা এ মুহুর্তে বলবেন আমি ডঃ জাকির নায়েকের সাপোর্টার ! বলতেই পারেন , আর আমিও মনে করলাম এক মুহুর্তের জন্য আমি ডঃ জাকির নায়েকের সাপোর্টার। কিন্তু কেন আমি এক মুহুর্তের জন্য সাপোর্টার হলাম তা নিয়ে প্রশ্ন তো ? সেটারও উত্তর দিচ্ছি। আমি অনেকদিন একটা হাজি বিল্ডিং এ চাকরী করেছি, দেখেছি, সাক্ষাত করেছি বিভিন্ন দেশের হাজিদের সাথে। নাইজেরীয়া - যেখানে ডঃ জাকির নায়েকের এ লেকচার ট্যুর। সেখানে , সেখানকার মুসলীমরা এখনও ইসলামী আচার আচরণ ঠিকভাবে দেখেনি। ডঃ জাকির নায়েকের মতো ইসলামী স্কলাররা সেখানে ইংলিশে লেকচার দিয়ে তাদেরকে ইসলামের আচার আচরণ দেখাতে চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন। পৃথিবীর অনেক জনপদ এখনও অন্ধকারে নিমজ্জিত। সেসব জনপদে গিয়ে ডাঃ জাকির নায়েকের মত ইংরেজী শিক্ষিত ইসলামী জ্ঞানের ধারকরা সেসব জনপদ আলোকিত করনে নিজেদের নিয়োজিত করছেন। আমাদের কওমী আলেমরা শুধুমাত্র আঞ্চলীক ভাষায় যেখানে গাঁও গেরামে ইসলামের আলো জ্বালাতে হিমসীম খাচ্ছেন, সেখানে ইংরেজী শিক্ষিত কিছু আলেমে দ্বীন বিশ্বের দিক বিদিকে ইসলামের আলো জ্বালাতে সক্ষম হচ্ছেন। ডঃ জাকির নায়েক তাদের মধ্যে অন্যতম। ডাঃ জাকির নায়েকদের মত মানুষদের কল্যানে বিশ্বের দিক বিদিকে ইসলামের বানী পৌঁছে যাচ্ছে। তাই ডঃ জাকির নায়েককে এক মুহুর্তের জন্য সাপোর্ট দিলাম।
প্রশ্ন করতে চাই, আমাদের কওমী আলেমরা ইসলামের সঠিক জ্ঞানের অধিকারী হয়েও কেন তাদের দ্বারা পৃথিবীর অন্ধকার জনপদগুলো অন্ধকারেই নিমজ্জিত থাকবে ? কেন তারা পৃথিবী ব্যাপী গ্রহণযোগ্য হতে পারছেনা ? কেন তারা বিশ্ব বরেণ্য হতে পারছেনা ? আজ যে সব স্থানে জাকির নায়েকরা পদচারণা করতে পারছেন, সেসব স্থানে আপনারা কেন পদচারণা করতে পারছেননা ? আপনারা জাকির নায়েককে ভ্রষ্টতা প্রমাণের জন্য চেষ্ঠা করছেন, কিন্তু আপনারা তো সত্যের মশাল নিয়ে পৃথিবীর মানুষদের কাছে যেতে পারছেননা , কেন ? যদি জাকির নায়েক ভ্রষ্ট হন, আর তাঁর দ্বারা যদি বিশ্বের একাশ মানুষ ভ্রষ্টতার দিকে ধাবিত হয়, তবে তার দায়ভার কি আপনাদের উপর বর্তাবেনা ? কেন আপনারা নিজেদেরকে জাকির নায়েকের মত গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারছেননা ?
আমাদের কওমী আলেমদের ভিতরে এমন কোন এক ইসলামী স্কলার কি আছেন , যিনি জাকির নায়েকের জায়গায় উপনিত হয়ে বিশ্বব্যাপী ইসলামের আলো ছড়াতে পারবেন, বা জাকির নায়েকের মত বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য হতে পারবেন ? যদি পারেন জাকির নায়েকের মত বিশ্বব্যাপী চষে বেড়িয়ে বুঝিয়ে দিন, আপনারাই সত্যের ধারক, জাকের নায়েক ভ্রষ্ট। অন্ততঃ কওমী ওলামাদের একজনকে খাড়া করে দিন, জাকির নায়েককে ভ্রষ্টতা প্রমানের জন্য।
কুনো ব্যাঙের মত ঘরের কোণে বসে, মাদ্রাসার দফতর থেকে ফতোয়া দানের মাধ্যমে মানুষদের বিভ্রান্ত করার চেয়ে, জাকির নায়েকের মতো ফিল্ডে নামুন। স্বচক্ষে দেখিয়ে দিন জাকির নায়েকের ভ্রষ্টতা।
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৩
বাংলাদেশে ডিজিটাল শবেবরাত পালন : সৌভাগ্য রজনীকে টেনে নিয়ে আসা হয় সৌভাগ্য দিনেও !!!
সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৩
"ছোট্ট একটা কাজ, যদি করে দেখাও আজ জেগে উঠবে সবাই , নতুন করে আবার !"
"ছোট্ট একটা কাজ, যদি করে দেখাও আজ
জেগে উঠবে সবাই , নতুন করে আবার !"
আমার ধারণা, নাস্তিক্যবাদী বর্তমান সরকারের তলিয়ে যাবার অবস্থা থেকে তাদের আবার তুলে আনার লক্ষ্যে তাদের একটু সাহস দানে এই এ্যাডটি বারবার প্রচার করা হচ্ছে।
কিন্তু, যেখানে হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারের লুঠকরা কোটি কোটি টাকা ঢেলে দিয়েও বর্তমান সরকারকে চার সিটিতে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়নি, সেখানে এই - "ছোট্ট একটা কাজ, যদি করে দেখাও আজ
জেগে উঠবে সবাই , নতুন করে আবার !"-
এ্যাডভার্টাইজটি এই ডুবন্ত সরকারকে কি আদৌ রক্ষা করা যাবে ? সরকার কি পারবে - সেই ছোট্ট একটা কাজ দিয়ে আবার দিকহারা তীরে নৌকা ভীড়াতে ?
যে সরকার হাজার হাজার আলেম হত্যার মধ্য দিয়ে ইসলামের মুলোৎপাঠনের ঔদ্যত্ব দেখিয়েছে সেই সরকার কি পারবে আবার দেশের ৯০ শতাংশ মুসলীমের হৃদয় জয় করতে ? যে সরকার একটি মুসলীম দেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করে সে দেশকে নাস্তিক্যবাদী দেশরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে বেপরোয়া হয়ে উঠে, সে সরকার কি পারবে মুখ ফিরিয়ে নেয়া মুসলীমদের তাদের দিকে ফেরাতে ? যে সরকার নাস্তিকদের প্রিয়ভাজন হতে তাদের আদেশে দেশের মুসলীমদের রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি, সে সরকার কিভাবে পারবে ছোট্ট একটা কাজ করে দেশের মুসলীমদের সরকার বাঁচানোর লক্ষ্যে জাগাতে ?
রবিবার, ১৬ জুন, ২০১৩
আজ বিশ্ব বাবা দিবসে আমার কিছুই করার নেই। আছে শুধু "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা (হে আমার রব ! আমার পিতামাতা উভয়কে রহম কর, যেমনিভাবে তারা আমাকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছেন)" এতটুকু বলে আমার সেই বাবা-মা'কে একটু স্মরণ করে চোখের জলে নিজেকে সিক্ত করা।
আজ বিশ্ব বাবা দিবসে আমার কিছুই করার নেই।
আছে শুধু "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা
(হে আমার রব ! আমার পিতামাতা উভয়কে রহম কর,
যেমনিভাবে তারা আমাকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছেন)"
এতটুকু বলে
আমার সেই বাবা-মা'কে একটু স্মরণ করে
চোখের জলে নিজেকে সিক্ত করা।
------------------------
FATHER'S DAY
আজ নাকি বিশ্ব বাবা দিবস। আজকাল কোন দিবসই আমার মনে থাকেনা। আজ টিভিতে দেখলাম বাবা দিবস চলছে। তাই স্মরণে এলো বাবার অনেকগুলো কষ্টের স্মৃতি। বাবার সেইসব কষ্টের স্মৃতিগুলো মনে উঠলেই চোখ দিয়ে ঝরতে থাকে অবিরাম ঝর্ণা স্রোত।
আমার বাবা ছিলেন একজন সৎ ব্যবসায়ী, ঢাকার নির্মাণ প্রতিষ্ঠাণগুলোর একজন সাব কন্ট্রাকটর, বিশেষ করে ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেড । প্রথমে তদানিন্তন বার্মার রেঙ্গুন এবং শেষ বিশ্বযুদ্ধের পর রেঙ্গুনের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে গেলে সেখান থেকে সকল অবলম্বন ছেড়ে দেশে ফিরে যখন অসহায় হয়ে পড়েছিলেন, তখন আমাদের বাড়ীর সামনের দোকান্দার আমাদের ভাই সম্পর্কীয় মফজল আহমদ সওদাগর থেকে মাত্র দেড় টাকা ঋণ গ্রহণ করে ঢাকায় পাড়ি জমান তিনি। সেই থেকে অনেক চড়াই উৎরায় পেরিয়ে তিনি ঢাকায় প্রতিষ্টিত হন। সেখানে তৃতীয় শ্রেনীর সরকারী লাইসেন্সধারী একজন কন্ট্রাক্টর হিসাবে আজিজুল হক এণ্ড সন্স নামে একটি প্রতিষ্টান দাঁড় করিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ওনার কষ্টের সামান্য অংশ আমি দেখেছি । আমি বুদ্ধিজ্ঞান অর্জন করার পর যে দিনগুলোতে আমি তাঁর সাথে মাঝে মাঝে যাতায়াত করতাম। স্মরণ পড়ে ওনার কষ্টকর একটা দিনের কথা। আমি ও বাবা একদিন রিক্সা করে যাচ্ছিলাম মগবাজার থেকে ৩/সি পুরানা পল্টনের আমাদের সাইটে স্নোসাম (বিল্ডিং রং করনের পাউডার) এর ড্রাম নিয়ে । বিজয়নগরে পৌছলেই রিক্সাটি উল্টে যায়। স্নোসেমের ড্রাম দু'টি আমার বাবার উপর। আর আমি ছিটকে পড়ি রাস্তার আইল্যান্ডে। বাবার সেদিনের কষ্টটা আমি সহ্য করতে পারিনি। এমনই বহু কষ্টের ঘটনাগুলো আমার চোখে ভাসছে আজ। তাঁর সুখের দিনগুলো যেন মলিন হয়ে গেছে তাঁর কষ্টের দিনগুলোর আবরণে। তাই বরাবরই তার সুখের দিনগুলো আমার চোখে ভাসেনা, ভাসে শুধু ওনার কষ্টের দিনগুলো।
স্মরণ করছি সেই বাবাকে যাঁর মাধ্যমে আমি দুনিয়া দেখেছি। যাঁর রক্তঝরা মেহনতে আমি লালিত হয়েছি, যারা সুখহারা জীবনের মাঝে আমি নির্লজ্জ - পাষাণের মত সুখলাভে মত্ত থেকেছি। সেই বাবাকে দিতে পারিনি আমি সুখের ছোঁয়া, দিয়েছি কেবলই দুঃখ , কেবলই কষ্ট। আজ আমার সেই বাবার অনুপস্থিতি, আমার বাবার শেষ দিনকার সময়গুলো যেন আমাকে নিয়ত কুঁকড়ে কুঁকড়ে খাচ্ছে।
কিন্তু কিছুই করার নেই। আছে শুধু "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা (হে আমার রব ! আমার পিতামাতা উভয়কে রহম কর, যেমনিভাবে তারা আমাকে ছোটবেলায় লালন পালন করেছেন)" এতটুকু বলে আমার সেই বাবা-মা'কে একটু স্মরণ করে চোখের জলে নিজেকে সিক্ত করা।
"টক অব দ্য কান্ট্রি - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতে চার সিটি কর্পোরেশনের জনগণ নাস্তিক্যবাদী সরকারের বৃহৎ চার এজেন্টকে তাদের সিটি থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছে !!"
যা হোক, নাস্তিক্যবাদী বর্তমান সরকারের সেই "টক অব দ্য কান্ট্রি" নিয়ে দেশ-জনতার পড়ে থাকলে চলবেনা। তাদেরকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কিভাবে জবাব দেয়া হবে সেটা নিয়েই এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভাবতে হবে। আর এই ভাবাভাবি ঘুমিয়ে করলে হবেনা। জাগ্রত হয়েই এই ভাবাভাবি করতে হবে। কারণ, এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবিতে দেশ-জনতার আনন্দোল্লাশে মত্ত হবার কোন বিষয় পরিলক্ষিত হয়নি। ভোট কালেকশানের ফিরিস্তি দেখে মনে হচ্ছে, বড় কিছু অর্জনের লক্ষ্যেই এ নির্বাচনে তাদের পরাজয় ছিল একটা লোক দেখানো আয়োজন। তারা দেশের বড় পদটি অর্জনের জন্য দেশের ছোট ছোট পদগুলো অন্যের জন্য ছেড়ে দিতেই পারে। এ যেন জামাতের ছোট ছোট নেতাগুলোকে লঘুদন্ড দিয়ে জামাত-শিবিরের উশৃন্খলতা প্রতিরোধ করে তাদের চুপ রেখে জামাতের বড় বড় নেতাদের ফাঁসির রায় ঘোষনা দেয়ার পথ পরিস্কার করার মতোই ঘটনা।
মনে হচ্ছে বর্তমান সরকারের চার সিটি কর্পোরেশন ছেড়ে দেবার মূলে তাদের রয়েছে জামাত-শিবিরকে ঘুমিয়ে দিয়ে তাদের বড় বড় নেতাদের ফাঁসির রায় দেয়ার মতোই একটা বৃহৎ পরিকল্পনা। যে পরিকল্পনায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সিংহাসন পুনর্বার অজর্নের লক্ষ্যে। গতকালকের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবার দোহায় দিয়ে, আগামী নির্বাচন তাদের দ্বারাই সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে দেশের সিংহাসন পুণঃদখল করার একটা বৃহৎ পরিকল্পনাই হচ্ছে চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। নয়তো দেশের একমাত্র অশান্ত সৃষ্টিকারী দলের কাছ থেকে এমন শান্ত-নীরবতা কখনো আশা করা যায়না।
তাই গতকালকের শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের টোপটি না গিলে দেশের জনকে আগামী নির্বাচনের পরিকল্পনা জাগ্রত হয়েই করতে হবে। নয়তো দেশের জনগণকে দেখতে হবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বিশ্বকে চমকে দেয়া অনিরপেক্ষ ও অশান্তকর এবং ভীতিকর অবস্থায় নিপতিত একটা নতুন বাংলাদেশকে। যেখানে থাকবে শুধুই অস্ত্রের ঝনঝনানী, যেতে পারবেনা কেউ ভোটকেন্দ্রে, প্রয়োগ করতে পারবেনা কেউ তাদের ভোটাধিকার। যেভাবেই হোক তারা চাইবে দেশের সিংহাসন পূনর্বার তাদের করায়ত্ব করার। কারণ তারা বুঝেই গেছে যদি আগামী নির্বাচনে তারা জয়ী না হয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের হবে রাজনৈতিক মৃত্যু। কারণ কোন স্বৈরশাসকই কখনো দ্বিতীয়বার শাসনকর্তৃত্বের অধিকারী হতে পারেনা। আর এ কারনেই তারা ছলে - বলে - কৌশলে শাসনভার অর্জনের লক্ষ্যে যে কোন প্রকার পদ্ধিত গ্রহণ করে শেষ চেষ্ঠা চালাবে।
তাই দেশের জনগণকে এখনই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে কিভাবে তারা তাদের মঙ্গল আনায়নে কোন্ পদক্ষেপটি গ্রহণ করবে ?
বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩
শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি পরম শ্রদ্ধা ও তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁর প্রতি জানাচ্ছি অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী
আজও বাংলাদেশের জনসাধারণ এই রাষ্ট্রনায়কের সফল সব কর্মসমুহ নিয়ে গর্বে কাতর। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে তাঁকে।
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এর প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাস্ট্রপতি, স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শ্রমিক-মেহনতি মানুষদের অকৃত্রিম বন্ধু, সফল সেনা ও রাষ্ট্রনায়ক, আদর্শবান সরকারী অফিসার, আধুনীক বাংলাদেশের রূপকার বা স্থপতি, দিশেহারা বাংলাদেশী জাতির দিশারী, বাকশক্তি-ব্যক্তি-সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দানকারী, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের প্রবক্তা, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল এলাকার বাংলাদেশের অতন্দ্র প্রহরী এবং অকুতোভয় বীর, মাতৃভূমিকে শকুনদের থাবা থেকে রক্ষাকারী লড়াকু সৈনিক, ক্ষুধা-দারিদ্র-শ্রেণীবৈষম্য ও নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী আমৃত্যু যোদ্ধা, বাংলাদেশী জাতীকে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড় করানোর স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বনির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি রচনাকারক, সততা-কর্তব্যনিষ্টা-দেশপ্রেমের মহান ধারক, তেজোদীপ্ত ও প্রজ্ঞাবান সফল রাস্ট্রনায়ক, সার্কের স্বপ্নদ্রস্টা, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটা টগবগে রাস্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে পরিণতকারী এই শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহদাত বার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।
-------------------------
***আমার এই শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানোর কারণে যদি কেউ আমাকে জিয়ার আদর্শচ্যুত বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এর সমর্থক মনে করেন , তবে তারা ভুল করবেন। কারণ , আমি জিয়ার আদর্শচ্যুত বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) কে সমর্থন করিনা। আমি সমর্থনকরি সেই জিয়ার সফল কর্মসমুহকে, আমি সমর্থনকরি জিয়ার সেই আদর্শ তার ১৯ দফার আন্দোলনকে।