সে সময়ের ডাক্তারগণের লক্ষ্য থাকতো রোগীর রোগ কিভাবে নির্মূল করা যায় সেদিকে। আর এখনকার ডাক্তারগণের লক্ষ্য থাকে কিভাবে রোগীদের রোগ দীর্ঘস্থায়ী করা যায় সেদিকে। সেসময়ের ডাক্তারগণের লক্ষ্য ছিল জনসেবা দিয়ে নিজের পেঠে অন্নদান। আর এখনকার ডাক্তারগণের লক্ষ্য হলো মানুষ বলি দিয়ে নিজেদের বিত্তশালী করনের ধ্যান।
বন্ধুরা ! ভাবছেন নিশ্চয় - কেন আমি ডাক্তারদের নিয়ে আজ লাগলাম ? তার একটাই কারণ - ডাক্তার যদি রোগী দেখে রোগই ধরতে না পারেন , তবে তিনি ডাক্তার সার্টিফিকেট নিলেন কিভাবে ? যদি ডাক্তার অনুমানের উপর ভর করে শুধুই ঔষধ দিয়ে যান আর রোগী সেই ঔষধ খেয়ে কোন উপকারই না পান তবে সে ডাক্তারকে কিভাবে ডাক্তার বলা যায় ? আগেকার কম শিক্ষিত ও উপাধীহীন ডাক্তারগণ কোন প্রকার ঠেস (টেস্ট) ছাড়াই ঔষধ দিয়ে রোগ সারাতেন। আর এখনকার উন্নত শিক্ষিত ও বড় বড় ডিগ্রীধারী ডাক্তারগণ শত শত ঠেস (টেস্ট) দিয়েও রোগ সারাতে পারছেননা, কেন ?
মূলতঃ বর্তমান ডাক্তারগণ এতই বাণিজ্যিক হয়ে গেছেন যে,রোগীদের রোগ সারানোর চেয়ে তারা রোগ বাড়াতেই রয়েছেন তৎপর, যাতে তারা রোগীদের শুয়ে রেখে তাদের রক্ত চুষতে পারে দীর্ঘমেয়াদী। তাদের কাছে ডাক্তারের মহৎ পেশাটি হয়ে গেছে একমাত্র টাকা উপার্জনের মাধ্যম , তাদের কাছে ডাক্তারের সেবা মুলক পেশাটি এখন আর সেবা হিসাবে গণ্য নয় । এখনকার ডাক্তারগণ তাই সেবক নন, হয়ে গেছেন তারা পেষক।
ডাক্তারদের এই বাণিজ্যিক ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে সেবামন নিয়ে ডাক্তারী পেশাকে ধারণ করা জরুরী। রোগীদের রোগ সারানোর ব্যবস্থা না করে দীর্ঘমেয়াদী রক্তচোষা তাদের কাছ থেকে কাম্য নয়। জরুরী ছাড়া যেন কোন রোগীকে ডায়াগনিস সেন্টারে পাঠানো না হয় সেরূপ পর্যবেক্ষণের চোখ থাকা প্রতিটি ডাক্তারের একান্ত প্রয়োজন। রোগ বাড়ানোর ডাক্তার নয়, চাই রোগ তাড়ানোর ডাক্তার। নামকরা ডিগ্রীধারী মানুষ মারার ডাক্তার চাইনা, চাই মানুষ বাঁচাবার প্রকৃত ডাক্তার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন