গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের নবগঠিত ফটিকছড়ি পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ সমর্থক প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। তিনি ফটিকছড়ি পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসাবে নিজেকে দাঁড় করার গৌরব অর্জন করেছেন। পৌরসভা গঠনের এক বছর পর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার এ প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে একটানা এ ভোটগ্রহণ চলে। অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ছাড়াই চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার এ প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নবগঠিত উক্ত পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন,সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১১ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৫ হাজার ৪৪০ জন ভোটার প্রথম পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোট দানে অংশ নেন । এর মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৯৪৯ জন ও নারী ভোটার ১৩ হাজার ৪৯১ জন । নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন চশমা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৬৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এম সিরাজুল ইসলাম তালা প্রতীকে নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০১ ভোট।
এ নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীরা ছিলেন বিএনপি সমর্থিত মোবারক হোসেন কাঞ্চন (দোয়াত-কলম) ও মো. ইদ্রিস রায়হান (আনারস) ও নাগরিক কমিটি থেকে আসা মো. করিম উল্লাহ চৌধুরী (দেয়ালঘড়ি)।
ভোট গ্রহণ উপলক্ষে পৌর এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ । এছাড়া র্যাব-পুলিশ-বিজিবি’র সমন্বয়ে স্পেশাল ব্রাঞ্চ গঠন করা হয়। ১৭ টি ভোট কেন্দ্রে ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেড এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য প্রতি কেন্দ্রে ১১ জন পুলিশ, ১৪ জন আনসার মোতায়ন করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৫টি পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল, দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) সার্বক্ষণিক টহলে থাকে।
ভোটগ্রহণ নিয়ে কোন ধরনের অভিযোগ না থাকলেও দুপুরে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কে এম টেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করায় দু`জনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ্দ করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আকরাম হোসেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালের ৩১ মার্চ ঘোষিত এ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনী তফশিল গত ১৩ আগষ্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষনা করে। ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়নি উল্লেখ করে হাইকোর্টে রীট আবেদন করায় ১৭ আগষ্ট স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচন। পরে সুপ্রীম কোট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলে নতুন নির্বাচনের তারিখ ৬ অক্টোবর শনিবার ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষনা অনুষারে গতকাল শনিবার এ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন