মানুষ দাঁত হারানোর আগে দাঁতের মূল্য বুঝেনা
তেমনই বাংলাদেশের মানুষ ডক্টর ইউনুচের মূল্য বুঝছেনা
বাংলাদেশের পঁচা রাজনীতি এবং দেশের মানুষদের গোবর ভরা মন - মানষিকতার কারণে এভাবে হচ্ছে দেশের মেধা পাচার বহির্বিশ্বে । দেশের মেধাগুলো দেশে মূল্যমান হয়না , বিদেশেদীদের কাছে তাদের মূল্যায়ন তোলায় তোলায় । বাঙ্গালী এভাবেই থাকবে পড়ে পীঁছিয়ে । তাদের টেনে তোলার মানুষগুলোকে তারা যতদিন মূল্যায়ন না করবে , ততদিন বাঙ্গালীদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবেনা । বিশ্বজাতির কাছে তারা সর্বদায়ই নতমস্তকে ভিক্ষার হাত পেতে থাকবে । বিশ্বজাতির সম্মুখে সর্বদায়ই তারা পণ্য হয়ে প্রদর্শিত হতে থাকবে । এভাবেই বাংলাদেশ মেধাশূণ্য হয়ে পঙ্গু হয়ে থাকবে অনন্তকাল । আর বাংলাদেশের মেধাগুলো দিয়ে বহির্বিশ্বের দেশগুলো উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হতে থাকবে ।
স্বদেশে ডক্টর ইউনুচের মত একজন বিশ্বমেধার জায়গা হয়নি , তাই বলে ডক্টর ইউনুচ মরে যাননি , তিনি বিশ্বজনতার মাথার মুকুট হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মানবতার কর্ম ।
এমনভাবে যতগুলো বাংলাদেশের মেধা স্বদেশ থেকে বিচ্যুত হয়ে বহির্বিশ্বে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে সবগুলোই উন্নতির শিখরে আরোহন করেছে । মাঝখানে ধ্বংস হয়েছে দেশের ভবিষ্যত । অবনতির করাল করাল গ্রাসে বিলীন হয়েছে দেশের জনগণের আশা আকান্খা বোঝাই বিরাট জাহাজ , হয়েছে জনগণের ভাগ্য বিপর্জয় ।
এইভাবে দেশের মেধাপাচারে মেধাগুলোর কোনই ক্ষতি হয়না , ক্ষতি হয় এসব মেধা পাচারে যাদের দুষ্ঠ চিন্তা , যাদের হাত তাদেরই ।
ডক্টর ইউনুচকে বাংলাদেশের মানুষ চিনতে পারেনি , যেদিন এদেশের মানুষ তাঁকে চিনবে সেদিন বাংলাদেশের আর কিছুই করার থাকবেনা । মানুষ দাঁত হারানোর আগে দাঁতের মূল্য বুঝেনা । তেমনই বাংলাদেশের মানুষ ডক্টর ইউনুচের মূল্য বুঝছেনা ।
ডক্টর ইউনুছের বিরুদ্ধবাদীদের কাছে প্রশ্ন ?
যাঁরা ডক্টর ইউনুছের মতো একজন বিশ্বমেধার নানাধরণের অসম্মানজনক কথায় এবং অশ্লীল ভাষায় বিরুদ্ধাচরণ করছেন , আসলে তাঁরা কি করছেন তাঁরা নজেরাও বুঝেননা। তাঁদের ঘরে মা - বোন থাকলে তাঁরা নিশ্চিত বুঝতেন , তাতে ক্ষতি কার হয় বা কার অসম্মান হয় ? যদি তাঁদের মা-বোনের ইজ্জতহানী হতো (এমন ঘটনা কখনো কাম্য নয়) আর সেই ঘটনা তারা বাইরে বলে বেড়াতেন , তবে তাঁদের কি হতো তাঁরা বুঝতেন , তাঁরা বুঝতেন নিজ ঘরের অপকর্ম বাইরে বলে বেড়ালে তাতে কার সম্মানহানী হয়।
মানলাম ডক্টর ইউনুছ সুদখোর এবং দেশের নারীদের রাস্তায় নামিয়েছেন। কিন্তু যারা ব্যাংকে ফিক্স ডেপোজিট করে ব্যাংক থেকে লাভ নিচ্ছেন , বলুনতো তারা সুদ গ্রহণ থেকে মুক্ত কি না ? যে দেশের পুরা ব্যাংক ব্যবস্থা সুদের উপর নির্ভর , সে দেশে সুদখোর কে নয় বলুন ? যাঁরা ব্যাংকে লেনদেন করেন তারা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন – তাঁরা সুদখোর নন ? বাংলাদেশে অনেক ইসলামী ব্যাংক হয়েছে , সেইসব ব্যাংকগুলোও সুদ থেকে মুক্ত নয়। কারণ , ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে গেলেই বাংলাদেশ সুদী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে ধর্ণা দিতে হয়। তাই যে ব্যাংক ব্যবস্থা সুদ থেকে মুক্ত নয় , সেই ব্যাংক ব্যবস্থায় যাঁরা লেনদেন করেন তাঁরা বলতে পারবেননা তাঁরা সুদের উর্ধ্বে।
আসুন নারীদের রাস্তায় নামানোর ব্যাপারে কিছু জানি। যদি ডক্টর ইউনুছ দেশের নারীদের রাস্তায় নামিয়ে থাকেন , তবে কেন নামিয়েছেন ? আর বাংলাদেশে যারা সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে, মডেলিং করানোর নামে, গায়িকা বানানোর নামে নারীদের বস্ত্রহরণ করে নারীদের উলঙ্গ শরীর প্রদর্শনের প্রদর্শনীর আয়োজন করছে , তারা কেন এভাবে নারীদের রাস্তায় নামাচ্ছে ?
ডক্টর ইউনুছনারীদের রাস্তায় নামালেও সেটা দেশের অভ্যান্তরে, ঘরের ভিতরে। আর যারা নারীদের উলঙ্গ শরীর প্রদর্শনের আয়োজন করছে , তারা নারীদের শুধু রাস্তায়ই নামাচ্ছেনা , তারা নারীদের বিশ্ব বাজারের উম্মুক্ত ময়দানে পণ্য স্বরূপ প্রদর্শন করছে , লেলিয়ে দিচ্ছে বিশ্ব জনতাকে তাদের কোমলাঙ্গ ভক্ষনে। যদি ডক্টর ইউনুছকে নারীদের দেশের অভ্যান্তরে রাস্তায় নামিয়ে দেশত্যগে বাধ্য হতে হয়, তবে যারা দেশের নারীদের বিশ্ব বাজারের পণ্যরূপে উলঙ্গ করে শো করছে , লেলিয়ে দিচ্ছে তাদের উপর বিশ্বজনতাকে - তাদের কি করা উচিৎ ? ডক্টর ইউনুছের বিরুদ্ধবাদীরা তার জবাব দিবেন কি ?
===========
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন