আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা
বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী
সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত
সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
বিষয় সূচী
APNAKE SHAGOTOM
সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা
অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি ।
conduit-banners
Powered by Conduit |
শনিবার, ৩০ জুন, ২০১২
ইতিহাসে ৩০শে জুন
শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১২
ইতিহাসে ২৯শে জুন
১৮৭৩ সালের এই দিনে - উনিশ শতকের বাঙালি কবি , বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক , বাংলা সাহিত্যের যুগপ্রবর্তক , নাট্যকার , মহাকবি ও বেঙ্গল থিয়েটার - এর অন্যতম উপদেষ্টা মধুকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি, ১৮২৪ – ২৯ জুন, ১৮৭৩) মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী সাগরদাড়ি গ্রামে এক জমিদার বংশে। মাইকেলের বাবা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার প্রতিষ্ঠিত উকিল। সাগরদাড়ি গ্রামে মা জাহ্নবী দেবীই তাঁকে রামায়ণ , মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতির সঙ্গে সুপরিচিত করে তোলেন। সাগরদাড়ির পাশের গ্রাম শেখপুরা মসজিদের ইমাম মুফতি লুৎফুল হকের কাছে তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। বিদ্বান ইমামের কাছে তিনি বাংলা, ফারসী ও আরবি শিক্ষা লাভ করেন।
সাগরদাঁড়িতেই তাঁর বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। প্রথমে তিনি সাগরদাড়ি গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হন। সাত বছর বয়সে তিনি কলকাতায় যান এবং খিদিরপুর স্কুলে দুবছর পড়াশোনার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। হিন্দু কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় তার কিছু কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। এ সময় ১৮৪৩ সালে তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেন ও তার নামে মাইকেল শব্দটি যোগ করেন। ফলে হিন্দু কলেজে তার লেখাপড়া বন্ধ করতে হয় এবং তিনি ১৮৪৪ সালে বিশপস কলেজে ভর্তি হন।
ধর্মান্তরের কারণে তিনি তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এ কারণে ১৮৪৮ সালে মাদ্রাজ যান এবং ১৮৫২ সাল পর্যন্ত সেখানে শিক্ষকতা করেন। মাদ্রাজেই তিনি সাংবাদিক ও কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। মাদ্রাজে বসেই তিনি হিব্রু, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ইটালিয়ান, তামিল ও তেলেগু ভাষা শেখেন। তার প্রথম দুটি গ্রন্থ এখান থেকেই প্রকাশিত হয়। এখানেই তিনি প্রথমে রেবেকা ম্যাকটিভিস ও পরে হেনরিয়েটাকে বিয়ে করেন। রেবেকা ম্যাকটিভিসের সাথে দাম্পত্যজীবন কাটান সাত বছর । রেবেকার গর্ভে মধুসূদনের দুই পুত্র ও দুই কন্যার জন্ম হয়েছিল। এরপর ম্যাকটিভিসের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় ।
পিতার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্ত্রী হেনরিয়েটাকে নিয়ে তিনি ১৮৫৬ সালে কলকাতায় আসেন এবং প্রথমে কেরানি ও পরে দোভাষীর চাকরি করেন। এ সময় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন মাইকেল এবং বেলগাছিয়া নাট্য থিয়েটারের সঙ্গে জড়িত হন। ১৮৫৮ সালে রচনা করেন নাটক শর্মিষ্ঠা। প্রকৃতপক্ষে এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক নাটক।
১৮৬২ সালে মধুসূদন ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইংল্যান্ড যান। ১৮৬৩ সালে প্যারিস হয়ে ভার্সাই নগরীতে যান এবং সেখানে দু’বছর থাকেন। ভার্সাই-এ থাকার সময়ই তিনি সনেট লেখা শুরু করেন। ১৮৬৬ সালে গ্রেজ-ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করে ১৮৬৭ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টে আইন ব্যবসায় যোগ দেন ও পরে বিভিন্ন চাকরি করেন। তিনি বাংলায় ১২টি এবং ইংরেজি ভাষায় পাচটি বই প্রকাশ করেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদ বধ কাব্য নামক মহাকাব্য।
তাঁর রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে, কাব্য - মেঘনাদ বধ কাব্য, তিলোত্তমা সম্ভব, দি ক্যাপটিভ লেডী, ব্রজাঙ্গনা। নাটক – শর্মিষ্ঠা, কৃষ্ণকুমারী, পদ্মাবতী। প্রহসন - বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা। এ ছাড়াও - পত্রকাব্য বীরাঙ্গনা, সনেট বঙ্গভাষা, কপোতাক্ষ নদ, দ্য ক্যাপটিভ লেডি, চতুর্দশপদী কবিতাবলী , ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। হোমারের ইলিয়াড অবলম্বনে তিনি রচনা করেন হেক্টরবধ। তাঁর শেষ রচনা - মায়াকানন নাটক।
বাংলার এই মহান কবীর শেষ জীবন অত্যন্ত দুঃখ-দুর্দশায় কেটেছে। তিনি ছিলেন অমিতব্যয়ী। ঋণের দায়, অর্থাভাব, অসুস্থতা, চিকিৎসাহীনতা ইত্যাদি কারণে তার জীবন হয়ে উঠেছিল দূর্বিষহ। স্ত্রী হেনরিয়েটার মৃত্যুর তিনদিন পর মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতা আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে কপর্দকশূন্য করুণ অবস্থায় মৃত্যু হয় এই মহাকবির। কবির এ মৃত্যুদিনে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলী।
*******************
০১। ২০০৯ সালের এই দিনে - বার্নি ম্যাডোফ নামে এক ধনকুবেরকে ১৮০০ কোটি ডলার আত্মসাতের ঘটনায় ১৫০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এটা ছিল মার্কিন ইতিহাসে অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজার ঘটনা।
০২। ২০০৮ সালের এই দিনে - দিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুদুচেরি ও কলকাতায় গৌরব পদযাত্রা আয়োজিত হয়।
০৩। ১৯৯৯ সালের এই দিনে - ই.ইউ.ল্যাটিন আমেরিকার প্রথম শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্ত হয় ।
০৪। ১৯৯২ সালের এই দিনে - আততায়ীর গুলিতে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোদিয়াফ নিহত হন।
০৫। ১৯৯১ সালের এই দিনে - কোমেকোন নামক অর্থনৈতিক জোটের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর জোটের প্রতিনিধিরা হাঙ্গেরির রাজধানীতে সমবেত হয়ে এই সংস্থাটির বিলুপ্তি ঘোষণা করে। ১৯৪৯ সালে পূর্বাঞ্চলীয় ব্লকের দেশগুলোর অর্থনীতিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে পরিচালিত করার লক্ষ্যে এই জোটটি গঠন করা হয়েছিল। পোল্যান্ড, রুমানিয়া, হাঙ্গেরি, চেকোস্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া, ভিয়েতনাম, কিউবা, মঙ্গোলিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিয়ে এই সংস্থাটি গঠিত হয়েছিল।
০৬। ১৯৮৬ সালের এইদিনে – প্রখ্যাত কৃষক নেতা ও রাজনীতিবিদ হাজী মোহাম্মদ দানেশ মৃত্যুবরণ করেন।
০৭। ১৯৭৬ সালের এই দিনে - সেইশেলস নামক দীপপুঞ্জটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬০ সাল থেকে দীপ দেশটিতে স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং ১৬ বছর ব্যাপী তীব্র সংগ্রামের পর দেশটির জনগণ স্বাধীনতা লাভ করতে সক্ষম হয়। ২৮০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট পূর্ব আফ্রিকার সেইশেলস প্রজাতন্ত্র, ভারত মহাসাগরের কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
০৮। ১৯৬৬ সালের এইদিনে – মার্কিন বোমারু বিমান উত্তর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বোমা বর্ষণ করে।
০৯। ১৯৩৮ সালের এইদিনে – বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক অজিত রায় জন্ম জন্মগ্রহণ করেন। অজিত রায় (মৃত্যুঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১) ছিলেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী। প্রথিতযশা কন্ঠ শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ভুবনে অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে চার দশক কালেরও অধিক সময় ধরে তাঁর দৃপ্ত পদচারণায় মুখরিত ছিল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল।
শিক্ষা ও সঙ্গীত ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে রংপুর কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন অজিত রায়। কৈশোরেই তবলা বাজানো শিক্ষা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তাঁকে গানে হাতে খড়ি দিয়েছেন তার মা কণিকা রায়। তাঁর গান শেখার প্রেরণা ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। এরপর ১৯৬৩ সাল থেকে রেডিওতে গান গাইতে শুরু করেন। পরে টেলিভিশন প্রচলনের পর থেকে সেখানেও গান গেয়েছেন তিনি। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়কাল হতে প্রতি বছর ভাষা আন্দোলনের বিশেষ দিন হিসেবে ২১শে ফেব্রুয়ারীকে স্মরণ করে একটি করে নতুন গান করে আসছিলেন তিনি। এই রকমই একটি গান হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বিদ্রোহী কবিতায় আলতাফ মাহমুদের সুর করা গান।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সহকর্মী শিল্পীদের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের জুন মাসে তিনি কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। এসময় তাঁর সতীর্থ হিসেবে ছিলেন - আপেল মাহমুদ, আব্দুল জব্বার, সমর দাস, কাদেরী কিবরিয়া, সুজেয় শ্যাম-সহ অন্যান্য শিল্পীরা। এ সময়ে তাঁর রচিত ও সুরারোপিত বিখ্যাত গানগুলো রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীসহ সাধারণ মানুষদেরকে স্বদেশকে ঘিরে চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করেছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রচারিত আখতার হোসেন রচিত “ স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে আজ ’’ গানটিতে সুর ও কন্ঠ দিয়েছিলেন এ অজিত রায়।
১০। ১৯৩৮ সালের এইদিনে – সিরাজউদ্দৌলা বিষয়ক দ্বিতীয় উলেৱখযোগ্য ও শচীন সেনগুপ্তের সুবিখ্যাত নাটক সিরাজউদ্দৌলা প্রথম মঞ্চস্থ হয়। শচীন সেনগুপ্তের সিরাজউদ্দৌলা বাংলার রঙ্গমঞ্চে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় নাটক। এ নাটকটি ছিল ৩ অঙ্ক ও ৯ দৃশ্যের। এ নাটকে ইতিহাসের তথ্য যেমন ছিল তেমনি ইতিহাসের সম্ভাবনাসিদ্ধ কাল্পনিক চরিত্রের সমন্বয়ও ঘটেছিল। তৎকালীন বাঙালির দেশপ্রীতির সঙ্গে সিরাজের দেশ্রপ্রেমের সম্মেলন সাধন করে নাট্যকার সিরাজউদ্দৌলাকে বাঙালি জাতির নায়করূপে নির্ণয় করেছিলেন।
১১। ১৯২৯ সালের এইদিনে – ইতালির ফোরেন্সে জন্মগ্রহণ করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সক্রিয় কর্মী, আপসহীন রাজনৈতিক সাক্ষাতকার গ্রহণকারী , সাহসি সাংবাদিক ও ইটালিয়ান লেখিকা ওরিয়েনা ফাল্লাচি । তিনি এমন একজন সাংবাদিক ছিলেন যে, কথপোকথনের মাধ্যমে আসল সত্যকে উদ্ধার করতে পারতেন। সাংবাদিক হিসেবে ওরিয়ানা আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত রাজনৈতিক ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বের সাক্ষাতকার নিয়েছেন। তাদের মাঝে হেনরি কিসিঞ্জার, ইরানের শাহ, আয়াতুল্লাহ খোমিনি, উইলি ব্রান্ডিট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, ওল্টার ক্রনকিট, ওমর খাদাফি, ফেডরিকো ফেলিনি, ইয়াসির আরাফাত, ইন্দিরা গান্ধী, শেখ মুজিব,শন কনারি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওরিয়ানা ফাল্লাচি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণতান্ত্রিক স্বশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী 'গুইয়াসতিজিয়া ই লিবার্তা'য় যোগ দেন। রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'এল ইউরোপীয়' তে দীর্ঘদিন বিশেষ রাজনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি বহু খ্যাতনামা সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেছেন। ১৯৬৮ সালে মেক্সিকান স্বশস্ত্র গোষ্ঠী ওরিয়ানার ওপর তিনবার বন্দুক হামলা চালায়। প্রতিবারই তিনি অল্পের জন্যে প্রাণে রক্ষা পান।
১৯৭৩ সালে সাক্ষাতকার নিতে গিয়ে আলেক্সজান্ডার প্যানাগোউলিস'র প্রেমে পড়েন তিনি। ১৯৬৭ সালের গ্রিক একনায়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন আলেক্সজান্ডার প্যানাগোউলিস।সাংবাদিকতায় ওরিয়ানা ফাল্লাচি দুইবার সম্মানজনক 'সেন্ট ভিনসেন্ট' পুরস্কার অর্জন করেন। শিকাগোর কলাম্বিয়া কলেজ তাঁকে 'ডি লিট' সম্মানে ভূষিত করে। ওরিয়ানা ফাল্লাচি ইউনির্ভার্সিটি অব শিকাগো, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, হার্ভাড ইউনিভার্সিটি এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে লেকচার দিয়েছেন। তাঁর লেখা বিশ্বের প্রায় ২১টি ভাষায় অনূদিত হয়।
তাঁর রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে - এ ম্যান , দ্য সেভেন সিনস অব হলিউড , দ্য ইউজলেস সেক্স : ভয়েজ অ্যারাউন্ড দ্য ওম্যান, পেনেলোপ এট ওয়ার , লাইমলাইটার্স , দ্য ইগোটিস্ট : সিক্সটিন সারপ্রাইজিং ইন্টারভিউস, কুয়েল জিওরনো সুলা লুনা, ইনশাল্লাহ, ইফ দ্য সান ডাইস, ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরি, লেটার টু অ্যা চাইল্ড নেভার বর্ন, নাথিং অ্যান্ড সো বি ইট, ওরিয়ানা ফাল্লাসি ইন্টারভিসতা ওরিয়ানা ফাল্লাচি, দ্য রেজ অ্যান্ড দ্য প্রাইড এবং দ্য ফোর্স অব রিজন উল্লেখযোগ্য। ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে নিজ শহর ইতালির ফোরেন্সে মৃত্যবরন করেন তিনি। ১৯৭২ সালের ফেব্রিয়ারীতে ফেল্লাচি বাংলাদেশে আসেন শেখ মুজিবের সাক্ষাতকার নেবার জন্য।
১২। ১৯১৩ সালের এই দিনে - বলকান অঞ্চলে দ্বিতীয় যুদ্ধের সূচনা হয়। এ যুদ্ধ ছিল বুলগেরিয়ার সাথে সার্বিয়া, গ্রীস, মন্টিনিগ্রো, রুমানিয়া ও ওসমানীয়দের। এর এক বছর আগেই প্রথম বলকান যুদ্ধে ওসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, গ্রীস ও মন্টিনিগ্রো বেরিয়ে যাবার ঘোষণা দেয় এবং ওসমানীয়দের দূর্বলতার কারণে এসব দেশ স্বাধীনতা লাভ করতে সক্ষম হয়। এভাবেই ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু প্রথম বলকান যুদ্ধে স্বাধীনতা লাভকারী এসব দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ অব্যাহত থাকে এবং অবশেষে ১৯১৩ সালের এই দিনে দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধের সূচনা হয়। এ যুদ্ধে বুলগেরিয়া নিরুপায় হয়ে শান্তির প্রস্তাব দেয় এবং বুখারেস্ট শান্তি চুক্তি অনুযায়ী বুলগেরিয়া,ওসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে দখলীকৃত ভূখন্ডের কিছু অংশ সার্বিয়া, রুমানিয়া, গ্রীস ও মন্টিনিগ্রোর নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেয়। বলকান যুদ্ধই আসলে ১৯১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রথম মহাযুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরী করেছিল।
১৩। ১৮৮৬ সালের এই দিনে - ফ্রান্সের বিখ্যাত চিত্র শিল্পী এডলফ মন্টিসেলি ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
১৪। ১৮৬৮ সালের এইদিনে – প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের নিউজ এজেন্সি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫। ১৮৬৪ সালের এইদিনে – আইনজ্ঞ , বাংলার বাঘ (Tiger of Bengal - ২৯ জুন,১৮৬৪ - ২৫ মে, ১৯২৪) স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতার ভবানীপুরে সেসময়ের চিকিৎসক গঙ্গাপ্রসাদ মুখার্জী ও জগত্তারীনী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর। ১৮৭৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৮৮৪ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ডিগ্রী , ঈশান বৃত্তি এবং ১৮৮৫ সালে গণিতে এম.এ ও ১৮৮৬ সালে পদার্থবিদ্যায় এম.এ ডিগ্রী লাভসহ একই সালে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি (পি.আর.এস.) অর্জন করেন। ১৮৮৮ সালে তিনি বি.এল. ডিগ্রী লাভ করেন এবং তখন থেকেই আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৮৮০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে বিভিন্ন জার্নালে তিনি উচ্চতর গণিতের ওপর প্রায় বিশটির মতো প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।
ইন্ডিয়ান অ্যাসোশিয়েসন ফর দি কালটিভেশন অব সায়েন্স-এর সাথে তিনি সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ১৮৮৭ থেকে ১৮৯১ সালের মধ্যে তিনি গণিতের ওপর একাধিক লেকচার প্রদান করেন। তাঁর দুটি অসাধারণ অ্যাকাডেমিক অবদান হলো ১৮৯৩ সালে প্রকাশিত জিওমেট্টি অব কোণিক্স এবং ১৮৯৮ সালে প্রকাশিত ল অব পারপিচুইটিস। ১৯০৮ সালে তিনি ক্যালকাটা ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৪ সালে তিনি ল’ এর ওপর ডক্টরেট ডিগি্র লাভ করেন এবং ১৮৯৮ সালে ট্যাগোর ল প্রফেসর হন। ১৯০৪ সালে তিনি তাঁর কাঙ্খিত কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। এর আগে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ও ১৮৮৯ সালে এর সিন্ডিকেটের সদস্যের পদ অলংকৃত করেন।
তিনি ১৮৯৯ থেকে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯০২ সালে লর্ড কার্জন তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করেন। ১৯০৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৯১৪ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯২১ থেকে ১৯২৩ সালের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভাইস-চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত হন। এ সময়েই তিনি কলা ও বিজ্ঞান শাখার পি.জি. কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হন। ১৮৮৯ সাল থেকেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। আশুতোষ মুখার্জী ১৯২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯২৪ সালের ২৫ মে পাটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৬। ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের গোড়াপত্তন হয়েছিল। তখন বাহিনীর নাম ছিল রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন। সৈন্যসংখ্যা ছিল ৪৪৮। ছয় পাউন্ড গোলা, চারটি কামান এবং দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল নিয়ে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়। সীমান্ত এলাকায় সমস্যা বৃদ্ধির কারণে এ বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের অভিযানে অংশ নেয়।
১৮৬০ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়নের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ফ্রন্টিয়ার গার্ডস।
১৮৬১ সালে পূর্বাঞ্চলের নিয়মিত-অনিয়মিত পুলিশ বাহিনীর এক হাজার ৪৫৪ জনের সমন্বয়ে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়নকে পুনর্গঠিত করে নাম রাখা হয় ফ্রন্টিয়ার গার্ডস। এর সদর দপ্তর ছিল চট্টগ্রাম; কামরূপ, গোয়ালপাড়া, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও ত্রিপুরা সীমান্ত-ফাঁড়িগুলো এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৭৯ সালে স্পেশাল কোম্পানি নামে এই বাহিনীর তৎকালীন সদস্যরা পিলখানায় প্রথম ঘাঁটি স্থাপন করেন।
১৮৯১ সালে এ বাহিনীকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে ফ্রন্টিয়ার গার্ডসের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ। বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ বাহিনীকে চারটি কোম্পানিতে ভাগ করা হয়। এর স্থায়িত্বকাল ছিল ১৯১৯ সাল পর্যন্ত।
১৯২০ সালে বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করে নাম রাখা হয় ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলস। ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলসকে ১৬টি প্লাটুনে ভাগ করে সীমান্ত রক্ষায় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত করা হয়। এর স্থায়িত্বকাল ছিল ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত বিভাগের পর ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলসের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস। এর সংক্ষিপ্ত নামকরণ করা হয় ইপিআর। কলকাতা মেট্রোপলিটন আর্মড পুলিশের একটি দল এবং বাঙালি ও পশ্চিম পাকিস্তানের এক হাজার সেনা এ বাহিনীতে যোগ দেয়। দক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার জন্য ইপিআরে সামরিক বাহিনী থেকে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি আধাসামরিক সংস্থা। এর কাজ হল মূলত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা করা। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার পিলখানায় অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এর নাম ছিল ইপিআর অর্থাৎ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্স। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ ইপিআর বাহিনীকে পুনর্গঠন করে এর নাম রাখা হয় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)। ১৯৮০ সালের ৩ মার্চ থেকে এ বাহিনীর স্বীকৃতি হিসেবে সরকার একে জাতীয় পতাকা প্রদান করে। ১৯৯৭ সালের ১৬ মার্চ বিডিআর বাহিনীর জন্য তিন রঙের সংমিশ্রণে ছাপা কাপড়ের ইউনিফর্মের প্রবর্তন করা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে বিডিআরের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জওয়ান সংঘটিত করেন ইতিহাসের বিভীষিকাময় নারকীয় হত্যাকাণ্ড। পিলখানা সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের বিভীষিকাময় উক্ত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিডিআরের ২১৫ বছরের গৌরবময় অধ্যায়ের ছন্দপতন ঘটে। কিন্তু বিডিআর আইনে দোষীদের নগণ্য শাস্তির বিধান থাকায় আইন পরিবর্তনেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করে নতুন আইনও প্রবর্তন করা হয়। ২৩ জানুয়ারি ২০১১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবির পতাকা উত্তোলন করেন।
১৭। ১৭৫৭ সালের এইদিনে - লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন । মীর জাফরের প্রথম দরবারে মীর জাফরের আবদারক্রমেই ক্লাইভ মীর জাফরের হাত ধরে তাঁকে নবাবী মসনদে বসান । মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন। লোভী, বিশ্বাসঘাতক, অপদার্থ এ মীর জাফর ছিলেন এদেশের ইতিহাসের এক ঘৃণ্য চরিত্র, একটি ক্লীব, একটি ক্লেদ, একটি অপাঙক্তেয় নাম।
১৮। ৮৪৬ সালের এইদিনে - বিখ্যাত আরবি কবি আবু তাম্মাম মৃত্যুবরণ করেন।
বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২
ইতিহাসে ২৮শে জুন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------
০২। ২০১১ সালের এইদিনে - ভিকারুননিসা নুন স্কুলের এক ছাত্রীর ওপর যৌন নিপীড়নের আসামী ও শিক্ষক নামধারী শিক্ষক সমাজের এক কলঙ্ক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঐ স্কুলের দশম শ্রেণীর ৪০ জন ছাত্রী অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করে।
০৩। ২০০৯ সালের এইদিনে - এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধানদের নিয়ে চারদিন ব্যাপী সম্মেলন ঢাকায় শুরু করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল আবদুল হাফিজ এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
০৪। ২০০৭ সালের এইদিনে - চট্টগ্রামে জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন।
০৫। ২০০৬ সালের এইদিনে - আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফুটবলার জিয়ানলুকা পেসোটো৷ তিনি ছিলেন ১৯৯৮ এর বিশ্বকাপের ফাইনালে ইটালির স্কোয়াডে৷ তবে এসময় তিনি কাজ করছিলেন জুভেন্টাসের টিম ম্যানেজার হিসেবে৷
০৬। ২০০২ সালের এইদিনে - কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার কাশিমপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে মোঃ শাহআলম তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে সেখানে তাঁকে পাওনা টাকা না দিয়ে হত্যা করা হয়।
০৭। ১৯৯৮ সালের এই দিনে - আরেকটি রেকর্ড গড়েন ড্যানিশ ফুটবলার এবে স্যান্ড৷ নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার মাত্র ১৬ সেকেন্ডে গোল করেন তিনি৷ একই দিনে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গোল্ডেন গোল করেছিলেন ফ্রান্সের লরেন্ট ব্ল্যাঙ্ক৷ গোলটি হয়েছিল ১১৩ মিনিটে এবং সাথে সাথেই খেলা শেষ করার বাঁশি দিয়েছিলেন শ্রীলংকান রেফারি সামারাত্না বিক্রামাতুঙ্গে৷
০৮। ১৯৯৪ সালের এই দিনে - বিশ্বকাপের ফাইনালে পাঁচ গোল করার রেকর্ড গড়েন রুশ ফুটবলার ওলেগ স্যালেঙ্কো৷ ঐ ম্যাচে ক্যামেরুনকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল রাশিয়া৷ একই ম্যাচে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে একটি গোল করেন ক্যামেরুনের রজার মিলার৷ ঐ দিন তাঁর বয়স ছিল ৪২ বছর ৩৯ দিন৷
০৯। ১৯৯৩ সালের এইদিনে - ব্যাংক অব চায়না ইউরোপীয় বাজারে ফিরে আসে। এদিন ব্যাংক অব চায়নার ডেপুটি গভর্নর ইয়াং হুইছিউ লণ্ডনে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং গোষ্ঠীর সঙ্গে লণ্ডনের বাজারে ব্যাংক অব চায়নার ২০ কোটি মার্কিন ডলারের ইউরোপীয় বণ্ড ইস্যু করা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯৮৮ সালের পর থেকে ব্যাংক অব চায়না প্রথমবারের মতো ইউরোপের বাজারে ফিরে আসে।
১০। ১৯৯২ সালের এইদিনে - বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লাটভিয় দাবাড়ু মিখাইল তাল মৃত্যুবরণ করেন।
১১। ১৯৯২ সালের এইদিনে - চীনা বিজ্ঞানী ছিয়েন সানছিয়াং মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯২ সালের ২৮ জুন চীনের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী চীনের পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা , চীনের বিজ্ঞান একাডেমির একাডেমিশিয়ান, চীনের বিজ্ঞান সমিতির সাম্মানিক চেয়ারম্যান ছিয়েন সানছিয়াং রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
১২। ১৯৭৯ সালের এইদিনে - প্রাইড প্যারেড " ওরগুলো গে " নামে স্পেনের মাদ্রিদে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় । বর্তমানে এই উৎসব ইউরোপের বৃহত্তম প্রাইড প্যারেড। একাধিক বহুজাতিক সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও ট্রেড ইউনিয়ন এই প্যারেডে অর্থসাহায্য করে থাকে। ২০০৭ সালে ইউরোটাইড নামে ইউরোপিয়ান প্রাইড প্যারেড অনুষ্ঠিত হয় মাদ্রিদেই। ২,৫০০,০০০ মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন। এক সপ্তাহের মধ্যে ৩০০টির বেশি অনুষ্ঠানসূচি রাখা হয়। মাদ্রিদের গে ডিস্ট্রিক্ট চুয়েকা ইউরোপের বৃহত্তম গে ডিস্ট্রিক্ট। এই অঞ্চলটিই ছিল তাই উৎসবের কেন্দ্রভূমি। সেদেশের শহর, আঞ্চলিক ও জাতীয় সরকার এই উৎসবে সহায়তা করেন। এছাড়াও বার্সিলোনা, ভ্যালেনসিয়া ও সেভিল শহরেও স্থানীয় গৌরব পদযাত্রা আয়োজিত হয়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ২০০৬ সালে সাও পাওলো শহরেই বিশ্বের বৃহত্তম গৌরব পদযাত্রার আয়োজন করা হয় ; এই পদযাত্রায় অংশ নেন ২৫০০০০০ অংশগ্রহণকারী। গৌরব পদযাত্রা বা প্রাইড প্যারেড (ইংরেজি: Pride parades) নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী (এলজিবিটি) সংস্কৃতির উৎসব। অনেক সময় সমকামী বিবাহ সহ অন্যান্য আইনগত ইস্যুকে তুলে ধরার জন্যও এই জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অধিকাংশ গৌরব পদযাত্রাই বার্ষিক অনুষ্ঠান। আধুনিক এলজিবিটি অধিকার আন্দোলনের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা স্টোনওয়াল বিদ্রোহের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনেক গৌরব পদযাত্রার আয়োজন করা হয় জুন মাসে।
১৩। ১৯৭৮ সালের এইদিনে - পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের দেহভস্ম ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে সংরক্ষণ করা হয়।
১৪। ১৯৭৬ সালের এইদিনে - আমেরীকার বিমান বাহিনী ও কোস্টগার্ড একাডেমীতে প্রথম মহিলা ক্যাডেটদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
১৫। ১৯৭৬ সালের এইদিনে - ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়।
১৬। ১৯৭১ সালের এই দিনে - এদেশে নিধনযজ্ঞের প্রধান হোতা ইয়াহিয়া আবারো তার মিথ্যা ভাষণ নিয়ে উপস্থিত হয় প্রচার মাধ্যমে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা না দিয়ে এদেশবাসীর উপর তখন লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় হানাদার দালালদের। সে তার ভাষণে ‘দেশ ও জাতির জন্যে কল্যাণকর পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে। এই পরিকল্পনা ছিল তাবেদার দালালদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের এবং গণহত্যার। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে সে তার ভাষণে বলে, ‘এসব মুষ্টিমেয় দুষ্কৃতকারীর হাতে নির্বাচনের ফলাফলকে নস্যাৎ হতে দেয়া যায় না।’ আর সেই উদ্দেশ্যে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সকল নির্বাচিত সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকে সে আখ্যায়িত করে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী, শঠ, বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে।এদেশের ছাত্র সমাজ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে অগ্রণী ও মুখ্য ভূমিকায়। আর তাই ঘাতকদের কাছে সবচেয়ে আতঙ্কের মানুষ ছিল সে সময়ের ছাত্রনেতারা। এজন্যে ২৮ জুন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্রনেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে তাদের অনুপস্থিতিতেই সামরিক কর্তৃপক্ষ ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। পাক-শাসকদের রোষ এতোই বেশি ছিল যে, তাদের দৃষ্টিতেও মূল ‘অপরাধ’ অর্থাৎ কথিত ‘দেশদ্রোহিতা’র বিচার না করে শুধুমাত্র আদালতে হাজির না হবার জন্যেই এ শাস্তি দেয়া হয়।
১৭। ১৯৭১ সালের এইদিনে - জেনারেল হামিদ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করে বিমান বাহিনীর সদস্যদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়ার নির্দেশ দেয়।
১৮। ১৯৭০ সালের এইদিনে - বিদ্রোহের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে গে লিবারেশন ফ্রন্ট গ্রিনউইচ ভিলেজের কর্নার উয়েইর থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্ক পর্যন্ত একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই সপ্তাহান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টের সমকামী অধিকার গোষ্ঠী লস এঞ্জেলসে একটি মিছিল ও সান ফ্রান্সিসকোতে একটি মিছিল ও 'গে-ইন'-এর আয়োজন করে। বর্ষপূর্তির ঠিক একদিন আগে, ১৯৭০ সালের ২৭ জুন,শনিবার, শিকাগো গে লিবারেশন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। এই মিছিলের আয়োজন করা হয় ওয়াশিংটন স্কোয়ার পার্ক ("বাগহাউস স্কোয়ার") থেকে ওয়াটার টাওয়ারের নিকটস্থ মিশিগান অ্যাভেনিউ ও শিকাগো অ্যাভেনিউয়ের সংযোগস্থল পর্যন্ত। তবে অংশগ্রহণকারীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে যান সিভিক সেন্টার (অধুনা রিচার্ড জে. ড্যালে) প্লাজা পর্যন্ত। দুটি কারণে এই দিনটিকে নির্বাচন করা হয়েছিল। প্রথমত, পূর্ববর্তী বছরের জুন মাসের শেষ শনিবারে স্টোনওয়ালের ঘটনাটি ঘটেছিল। দ্বিতীয়ত, উদ্যোক্তারা মিশিগান অ্যাভেনিউয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক কেনাকাটাকারীদের কাছে নিজেদের বক্তব্য পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। শিকাগোতে এরপর থেকে অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলের মিছিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে জুন মাসের শেষ রবিবার মিছিলের আয়োজন করা হতে থাকে। প্রথম বছরের “গৌরব পদযাত্রার” আয়োজন হয়েছিল ভাবগম্ভীর ও আমোদপ্রমোদমূলক পরিবেশের মধ্যে দিয়ে। সমকামী অধিকার আন্দোলনকারীদের মনে এই পদযাত্রা বিশেষ রেখাপাত করে। পরবর্তী বছরগুলির বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বার্ষিক পদযাত্রার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। নিউ ইয়র্ক ও আটলান্টা অঞ্চলে এই পদযাত্রাকে বলা হয় গে লিবারেশন মার্চ ও অনুষ্ঠানের দিনটি গে লিবারেশন ডে নামে পরিচিত ছিল। সান ফ্রান্সিসকো ও লস এঞ্জেলসের পদযাত্রা গে ফ্রিডম মার্চ ও অনুষ্ঠানের দিনটি গে ফ্রিডম ডে নামে চিহ্নিত হয়। অন্যান্য শহরে পদযাত্রা ও উৎসব শুরু হলে এই নামগুলি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৮০-এর দশকে সমকামী আন্দোলনে এক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। অপেক্ষাকৃত নরমপন্থী মনোভাবাপন্ন অধিকারকর্মীরা বিভিন্ন শহরে পদযাত্রা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে থাকেন। তাঁরা "গে লিবারেশন" বা "গে ফ্রিডম" জাতীয় শব্দ বর্জন করে "সমকামী গৌরব" বা "গে প্রাইড" শব্দটি গ্রহণ করেন।
১৯। ১৯৬৯ সালের এইদিনে - শনিবার অতি প্রত্যুষে নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী, রূপান্তরকামী ও জিজ্ঞাসু ব্যক্তিরা নিউ ইয়র্কের গ্রিনউইচ ভিলেজের স্টোনওয়াল ইনে পুলিশের আকস্মিক হানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। স্টোনওয়াল ইন ছিল একটি গে বার। এখানে বিভিন্ন ধরনের খরিদ্দারের আনাগোনা ছিল। তবে ক্রস-ড্রেসার, রূপান্তরকামী, মেয়েলি যুবক, যৌনকর্মী ও গৃহহীন যুবকদের মতো সমকামী সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কাছে এই বার ছিল বিশেষ জনপ্রিয়। মনে করা হয়, স্টোনওয়াল বিদ্রোহের মাধ্যমেই সূচিত হয় আধুনিক সমকামী অধিকার আন্দোলন। কারণ এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই আধুনিক ইতিহাসে এলজিবিটি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গ্রেফতারি প্রতিরোধ করে।
২০। ১৯৫৯ সালের এইদিনে - পানচানলামার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তুতি কমিটির দ্বিতীয় পূর্ণাংগ অধিবেশনে "সমগ্র তিব্বত অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সংস্কার চালানো সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত" গৃহীত হয়।
২১। ১৯৫৮ সালের এইদিনে - ৬-৩ গোলে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়েছিল ফ্রান্স৷ এটি ছিল বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা৷ এই দিনেই জাস্ট ফন্টাইন চারটি গোল করে বিশ্বকাপের ছয় ম্যাচে মোট ১৩ টি গোল করার রেকর্ড গড়েন৷ এই রেকর্ড ভাঙ্গেন ১৯৭৪ সালে জার্মান স্কোরার গেয়ার্ড ম্যুলার৷
২২। ১৯৫৭ সালের এইদিনে - কয়েকটি মুসলিম দেশের অর্থায়নে “The Islamic Center of Washington Dc" প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেন্টারটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডুইট ডি এইসেনহাওয়ার (Dwight D. Eisenhower) বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের অধিনে অন্যান্য ধর্মের ইমারাতের মতই এই কেন্দ্রটি, উপসনা করার এই জায়গাটিকেও স্বাগতম। তোমাদের নিজস্ব ধর্ম এবং নীতি অনুযায়ী উপসনা করা এবং নিজস্ব চার্চ (মসজিদ) থাকার অধিকারের ব্যাপারে আমেরিকানরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে যাবে।’’ এটিই ছিল মার্কিন যুক্টরাষ্টের ইতিহাসে প্রথম আনুষ্ঠানিক মসজিদ।
২৩। ১৯৫৪ সালের এইদিনে - জওহরলাল নেহেরু ও চৌ এন লাই ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল নীতি ঘোষণা করেন।
২৪। ১৯২৮ সালের এইদিনে - আয়ারল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী জন স্টুয়ার্ট বেল জন্মগ্রহণ করেন।
২৫। ১৯১৯ সালের এইদিনে - ভার্সাই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছিল। ভার্সাই চুক্তি একটি শান্তিচুক্তি , যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুদ্ধের মিত্রশক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহ এবং জার্মানির মধ্যে সম্পাদিত হয়।
২৬। ১৯১৪ সালের এইদিনে - বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানৎস ফার্ডিনান্ড এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত হন। সার্বিয়াকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে অস্ট্রিয়া। শুধু দায়ী করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, হত্যাকাণ্ডের মাত্র এক মাস পর ২৮ জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশটি। স্বাভাবিক কারণেই দু’দেশের বন্ধু দেশগুলোও এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইতিহাসে এই যুদ্ধই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি,তুরস্ক,বুলগেরিয়া। যাদের বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি। আর অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেনে, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও আমেরিকা। যাদের বলা হতো মিত্রশক্তি। এ যুদ্ধে জার্মানির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় শক্তি পরাজিত হয়।
২৭। ১৯০১ সালের এইদিনে - ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মণি সিং জন্মগ্রহণ করেন।
২৮। ১৮৯৪ সালের এইদিনে - ‘কল্লোল’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক গোকুলচন্দ্র নাগ জন্মগ্রহণ করেন।
২৯। ১৮৮৬ সালের এইদিনে - তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশ মৃত্যুবরণ করেন।
৩০। ১৮৬৭ সালের এইদিনে - নোবেলজয়ী (১৯৩৪) ইতালীয় সাহিত্যিক লুইজি পিরানদেল্লোর জন্মগ্রহণ করেন।
৩১। ১৮৪০ সালের এইদিনে - আফিম যুদ্ধ বাধে । আফিম যুদ্ধ ছিল ১৮৪০ সাল থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত চীনের ওপর ব্রিটেনের পরিচালিত এক আগ্রাসী যুদ্ধ। অষ্টাদশ শতাব্দির শেষ দিক থেকে ব্রিটেন চীনের কাছে প্রচুর আফিম রপ্তানি শুরু করে। অবিরাম ধারায় আমদানী করা আফিম শুধু যে চীনা জনগণের মনস্তাত্ত্বিক আর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তা নয়, উপরন্তু চীনের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ রূপা নিয়ে যাওয়া হয় , ফলে চীনের সরকার ও চীনা জনগণ গরীব হয়ে পড়ে । আফিমের মারাত্মক ক্ষতি উপলব্ধি করে চীনের বিচক্ষণ ব্যক্তিগণ এবং জনসাধারণ আফিম প্রতিরোধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে অপরাধমূলক আফিম ব্যবসা রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ শাসকরা প্রকাশ্যে চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আফিম যুদ্ধ চালায়।
৩২। ১৮৩৮ সালের এইদিনে - রানী ভিক্টোরিয়ার রাজ্যাভিষেক হয়।
৩৩। ১৮৩৬ সালের এইদিনে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি জেমস ম্যাডিসন জন্মগ্রহণ করেন।
৩৪। ১৭১২ সালের এইদিনে - বিশ্বখ্যাত ফরাসী দার্শনিক, বিখ্যাত লেখক ও চিন্তাবিদ জন জ্যাক রুসো সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জন্মগ্রহন করেন।
৩৫। ১৬৫৭ সালের এইদিনে - দারাশিকো অনূদিত ‘শির-ই-আকবর’ প্রকাশিত হয়।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুনদের একটা স্বার্থক সংগ্রাম
অনেকে অনেক সংগঠন করে , কিন্তু এমন কোন কার্যকর সংগঠন দেখিনা যেগুলো প্রকৃতই মানবকল্যানে কর্ম করে ।
আমাদেশের দেশের তরুনদের দ্বারা বিদেশ থেকে শিল্পী এনে তাদের ভর্তি পেঠ ভরানোর জন্য সংগঠন সৃষ্টি করতে দেখা যায় , কিন্তু সেই তরুনদের দ্বারা দেশের সর্বহারা , অভুক্ত মানুষদের আশ্রয়দান ও খাদ্যের জোগানে কোন সংগঠন সৃষ্টি করতে দেখা যায়না , যদিও কিছু কিছু তরুনদের দেখা যায় এমন সংগঠন সৃষ্টি করতে , কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য হিসাবে দেখা যায় , কিছু ফটোসেসন আর নিজেদের বড়ত্ব প্রকাশের লক্ষ্যে থাকে তাদের ওসব কর্মসুচী , প্রকৃত ভাবে তরুনরা মানবকল্যানে কোন কাজে নামেনা ।
শৈশবের আষাঢ় মাস
মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১২
ইতিহাসে ২৭শে জুন
০১। ২০১১ সালের এইদিনে - চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও বৃটেনের বিজ্ঞান একাডেমীর প্রদান-করা 'রাজা দ্বিতীয় চার্লসের পদক' গ্রহণ করেন।
০২। ২০১১ সালের এইদিনে - পটুয়াখালীর দুমকিতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইনে মামলা দায়ের করেছে এক নির্যাতিত স্ত্রী।
০৩। ২০১১ সালের এইদিনে - কুড়িগ্রামের বালিয়ামারিতে সীমান্ত হাট চালু হয়।
০৪। ২০১১ সালের এইদিনে - নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে টানা ৮ বছর কর্তব্য পালন শেষে ডা.সেলিনা হায়াত আইভী দায়িত্ব ছেড়ে দেন। সংবাদ সম্মেলন করে সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘জনগণের উপস্থিতিতে আজ আমি চেয়ার ছেড়ে দিলাম, ইনশাল্লাহ উন্নয়নের স্বার্থেই নারায়ণগঞ্জবাসী আমাকে আবারো নির্বাচিত করবেন’।
০৫। ২০০৯ সালের এইদিনে - ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোবারকগঞ্জ রেলষ্টেশনের কাছে একটি যাত্রীবাহী চলন্ত ট্রেনের কামরায় শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ১০ যাত্রী আহত। ট্রেনটি খুলনা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল।
০৬। ২০০৮ সালের এইদিনে - গ্রামীণফোন অফিসে একটা গুজব রটে যে, গতকাল দুটি পত্রিকাকে গ্রামীণফোন ৫০ লাখ টাকা করে ঘুষ দিয়েছে যাতে করে তারা গ্রামীণফোনের আন্দোলনের খবর পত্রিকায় প্রকাশ না করে।
০৭। ২০০৭ সালের এইদিনে - গর্ডন ব্রাউন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
০৮। ২০০৪ সালের এইদিনে - খুলনার দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ূন কবির বালুকে বোমা মেরে খুন করা হয়।
০৯। ১৯৯৬ সালের এইদিনে - সংগ্রামী নেত্রীর প্রতিকৃতি, সফল মানবাধিকার নেত্রী, আদিবাসি অধিকার রক্ষা আন্দোলনের অগ্রনায়িকা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক , কল্পনা চাকমার মুক্তির লক্ষ্যে পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসিরা রাজপথে নেমে আসেন। তাঁদের দাবি ছিল, “এই মুহুর্তে কল্পনা চাকমার মুক্তি দাও”। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী গুলি চালায় তাঁদের শান্তিপূর্ণ সামাবেশে। এতে নিহত হয় স্কুল ছাত্র রুপম চাকমা (১৬)। বাঘাইছড়িতে সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাবার পথে অপহৃত হয় স্কুল ছাত্র সুকেশ চাকমা, মনতোষ চাকমা এবং সমর চাকমা। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে “জীবন মানেই সংগ্রাম” - এই দশর্নেই বিশ্বাসী কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করা হয়। ওই রাতে সেনাবাহিনীর লেফট্যানেন্ট ফেরদৌস এর নেতৃত্বে ১১ জনের একটি অপহরণকারি দল কল্পনাদের বাড়ি ঘেরাও করে এবং কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় । সংবাদে প্রকাশ হয় যে , ১৯৯৬ সালের ১৯ মার্চ লেফট্যানেন্ট ফেরদৌস এর নেতৃত্বে পরিচালিত হামলায় বেশ কিছু সংখ্যক জুম্মা জনগোষ্ঠী আহত হন। বহু বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে কল্পনা চাকমা সেনাবাহিনী ও সরকারেরর কঠোর সমালোচনা করেন। এরপরই কল্পনা চাকমার বাড়ি আক্রমণ করে সেনাবাহিনী। তারা সেদিন কল্পনা চাকমার দুই সহোদর কালীচরণ চাকমা ও ক্ষুদিরাম চাকমাকেও অপহরণ করেছিল। কিন্তু তারা কোনরকমে সেনাবাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে যান। তবে কল্পনা অপহরণকারিদের জালে আটকা পড়েন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কল্পনা অপহরণের ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়। বিচারপতি আবদুল জলিলের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা ছিলেন চট্রগ্রামের সেইসময়কার জেলা প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন এবং চট্রগ্রাম বিশ্ববিবদ্যালয়ের অধ্যাপক অনুপম সেন। ১৯৯৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কমিটি রিপোট পেশ করে সরকারের কাছে।
১০। ১৯৯১ সালের এইদিনে - বিখ্যাত ‘কমিউনিস্ট ইস্তেহারে’র প্রথম সংস্করণের একটি কপি লন্ডনে নিলামে ৬৮১০০ ডলারে বিক্রি হয়।
১১। ১৯৯১ সালের এইদিনে - শ্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
১২। ১৯৯১ সালের এইদিনে - যুগোস্লাভির সরকারী বাহিনী এবং স্লোভেনিয়ার সশস্ত্র শক্তির মধ্যে বিরাটাকারের সশস্ত্র সংঘর্ষ ঘটে। এর পর যুগোস্লাভিয়ার গৃহ যুদ্ধ বাঁধে।
১৩। ১৯৯০ সালের এইদিনে - নিকারাগুয়ার সরকার-বিরোধী সশস্ত্র বাহিনী সরকারের কাছে আত্মসর্মপন করে। যার ফলে নিকারাগুয়ার গৃহ যুদ্ধের অবসান ঘটে।
১৪। ১৯৮১ সালের এইদিনে - চীনের এয়োদশ অধিবেশন পেইজিংএ শুরু হয়। অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে 'চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর পাটির ইতিহাসের কতকগুলো প্রশ্ন সম্পর্কে প্রস্তাব' অনুমোদিত হয়।
১৫। ১৯৮০ সালের এইদিনে - ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত বিগ হিটার টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান , কেভিন পিটার পিটারসেন ( ডাক নাম - কেপি, কেলভস, ক্যাপস, কেভ ) পিটার ম্যারিজবার্গ, ন্যাটাল, ব্রাজিলে জন্মগ্রহণ করেন। খেলোয়াড় জীবনে তিনি - দিশান চার্জারস, দিল্লী ডেয়ারডেভিলস, ডলফিনস, হ্যাম্পশ্যায়ার, আইসিসি বিশ্ব একাদশ, কাওয়াজুলু-ন্যাটাল, ন্যাটাল, নটিংহ্যামশ্যায়ার, রয়েল চ্যালেঞ্জারস ব্যাঙ্গালোর, সাররি ও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁর খেলার পজিশন হলো - টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং ব্যাটিং পজিশন হলো - রাইট আর্ম অফব্রেক। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার এই খেলোয়াড় শিক্ষাগ্রহণ করেন - ম্যারিজবার্গ কলেজ, ইউনিভার্সিটি অফ এস এ-তে। তিনি ১৯৯৭ সালে প্রথম ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে প্রবেশ করেন। ইংল্যান্ড দলের ‘লম্বা, লাউড, ব্রাশ’ একমাত্র সুপার ব্যাটসম্যান পিটারসেনকেই বলা হয়ে থাকে। বিগ হিটিং, বিগ শর্ট ও দূর্দান্ত খেলার ফলশ্রুতিতে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান এই কেভিন পিটার পিটারসেন।
১৬। ১৯৭৭ সালের এইদিনে - স্পানিশ ফুটবল খেলোয়াড় রাউল গনজালেস জন্মগ্রহণ করেন।
১৭। ১৯৭৭ সালের এইদিনে - জিবুতি (সাবেক ফরাসি সোমালিল্যান্ড) স্বাধীনতা লাভ করে।
১৮। ১৯৭২ সালের এইদিনে - নওমুসলীম দাউদ হার্ন্সবাই আলী (Dawud Wharnsby Ali , পূর্বের নাম- David Howard Wharnsby ) জন্মগ্রহণ করেন। এই নওমুসলীম ১৯৯৩ সালে ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় নিজেকে প্রবিষ্ঠ করান। দাউদ হার্ন্সবাই একজন কানাডিয়ান গায়ক ও গীতিকার। ১৯৯১ সালে Three O'Clock Tea গানের মধ্যমে তিনি গানের জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৭ সালে তার Out Seeing The Fields এলবামে তিনি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনকারী মানবাধিকার কর্মী "Rachel" ইসরাইলীদের দ্বারা নিহত হওয়ার স্মরণে "Rachel" নামে একটি গান করেন, যা সেই সময় অনেক জনপ্রিয়তা পায়।
১৯। ১৯৬২ সালের এইদিনে - কাস্ত্রো দাবি করেন কিউবা এমন প্রতিরোধ ব্যাবস্থা নিচ্ছে যাতে আমেরিকার কন হামলার জবাবে বিশ্ব যুদ্ধের মত পাল্টা জবাব দেয়া যায়। এতে সোভিয়েত ইউনিয়ন সাহায্য করছে।
২০। ১৯৫৭ সালের এইদিনে - ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক ম্যালকম লাউরি মৃত্যুবরণ করেন।
২১। ১৯৫৪ সালের এইদিনে - সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
২২। ১৯৫০ সালের এইদিনে - যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর তেইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে।
২৩। ১৯৪১ সালের এইদিনে - ক্রিস্তফ কিয়েশ্লফ্স্কি, পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা জন্মগ্রহণ করেন।
২৪। ১৯৪০ সালের এইদিনে - সৌভিয়েত ইউনিয়ন বলটিক সাগর বরাবরী তিনটি দেশ দখল করে নেয়।
২৫। ১৯৩৮ সালের এইদিনে - কুওমিনডাং সরকারের সামরিক কমিশনের প্রকাশিত ' জাপান-বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ বিজয়ের প্রথম বার্ষিকী সম্পর্কে প্রচার কর্মসূচিতে' উহান শহরকে রক্ষার স্লোগান উত্থাপিত হয়।
২৬। ১৯৩৫ সালের এইদিনে - চীন আর জাপানের মধ্যে ছিনথু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২৭। ১৯২৭ সালের এইদিনে - চীনের মন্ত্রী সভায় চীনের উপর আক্রমণের সাধারণ নীতির তথাকথিত প্রাচ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
২৮। ১৯০০ সালের এইদিনে - সেন্ট্রাল লন্ডন ইলেকট্রিক রেলওয়ে উদ্বোধন করা হয়।
২৯। ১৮৮০ সালের এইদিনে - অন্ধ ও বধির মার্কিন লেখিকা হেলেন কেলার জন্মগ্রহণ করেন।
৩০। ১৭৫৯ সালের এইদিনে - কুইবেক যুদ্ধ শুরু হয়।
====================
ইতিহাসে ২৬শে জুন
CIH ভাইরাস তৈরি করেন চেন ইং হাও –এর নামের অদ্যাক্ষর অনুযায়ী ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়। এ ভাইরাসকে চেরনোবিল ভাইরাসও বলা হয়। এটি ২৬শে এপ্রিল বিপর্যয় ঘটায়। ১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিল রাশিয়ার চেরনোবিলে মারাত্মক পারমাণবিক বিষ্ফরণ ঘটেছিল। চেরনোবিলের ২৬শে এপ্রিলের ঘটনাকের স্মরণ করে এ ভাইরাস ২৬শে এপ্রিল কার্যকর হয় বলে একে চেরনোবিল ভাইরাস বলা হয়। একে ‘স্পেস ফিলার’ও বলে। কারণ এটি ফাইলের ভিতরের খালি জায়গা দখল করে। এর কারণে এন্টিভাইরাস ভাইরাসটি ধরতে পারেনা। এই ভাইরাসের আক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখনই সর্তক থাকুন । CIH ভাইরাসের লক্ষণঃ
ক. কম্পিউটারের প্রোগ্রাম রান করে না। CIH ভাইরাসের একটি ভার্সন এর জন্য দায়ী। এই ভাইরাস প্রোগ্রামের .exe ফাইলের নাম পরিবর্তন করে ফেলে।
খ. কম্পিউটার অন হচ্ছে কিন্তু সি ড্রাইভ পাওয়া যাচ্ছে না।
গ. কম্পিউটার অন করলে কিছুই দেখা যায় না।
ক্ষতিঃ এটি মাদারবোর্ডের বায়োস নষ্ট করে দেয়। হার্ডডিস্কের পার্টিশন মুছে দেয়।
০২। আজ আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস । Life Does Not Rewind' শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস । মাদকের ভয়াবহতা রোধে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের ৪২তম অধিবেশনে এই তারিখে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
০৩। আজ নির্যাতিতদের পক্ষে আন্তর্জাতিক দিবস International Day in Support of Victims of Torture দিন দুই কারণের জন্য ইউনাইটেড Nations সাধারণ বিধানসভার দ্বারা নির্বাচন করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ১২ই ডিসেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২৬শে জুনকে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় , এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে।
০৪। ২০১১ সালের এইদিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আকতার হোসেনের ছেলে জিয়াদকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওয়াসিম, সাদেক, স্বপন, শাকিব গং। ওইরাতে ফতুল্লার ভূঁইগড়ে ওয়াসিম তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাকীর বাসায় জিয়াদকে নিয়ে যায়। পরে জিয়াদের মায়ের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে ৩ লাখ টাকা। ওয়াসিমকে চিনে ফেলায় ২৭শে জুন জিয়াদকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সন্ধ্যার পর একটি তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে কাঁচপুর ব্রিজের ওপর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ২৯শে জুন সকাল পৌনে ৮টায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে জিয়াদের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
০৫। ২০১১ সালের এইদিন দুপুরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাজারামপুর কাশীগঞ্জ গ্রামে প্রকাশ্যে এক সালিশ বসে। সালিশের মধ্যে অসহায় দুই নারীকে চরিত্রহীনা অপবাদ দিয়ে তাদের হাত-পা বাঁধা হয়। শ’ শ’ মানুষের সামনে তাদের ওপর চালানো হয় মধ্যযুগীয় নির্যাতন। নির্যাতনের পর তাদের তওবা পড়ানো হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল হকের উপস্থিতিতেই ঘটে এ ঘটনা। কিন্তু বিচার নামে চালানো এ পৈশাচিক নির্যাতনের কেউ প্রতিবাদ করেনি। বরং উল্লাসে ফেটে পড়ে অনেকে দিয়েছে হাততালি।
০৬। ২০১০ সালের এইদিনে শুধুমাত্র ঢাকায় " আমরা খাটি গরিব..." গ্রুপের পথ-শিশুদের মাঝে আম বিতরণ উৎসব হয়েছিল। ৩০শে জুন ২০১২ তারিখে পথ-শিশুদের জন্য আম উৎসব হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম এর পাশাপাশি খুলনাতেও। " পথ-শিশুদের জন্য আম উৎসব ২০১২ " নামে এ অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে । যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে ও সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন :- রাকিব কিশোর - ০১১৯০১৩৭২৮৩ (ঢাকা), রোহিত হাসান কিছলু - ০১৭১৬৬১৩৭০৭ (ঢাকা), মুন্তাসির অমি - ০১৬৭০৩৪৬০০৬ (চট্টগ্রাম), এম.এইচ. শরীফ - ০১৮১৪৭৮৩৬৯২ (চট্টগ্রাম), রিফাতুল ইসলাম রাফি - ০১৭১৭১২০৮৪৬ (চট্টগ্রাম), জনী চৌধুরী - ০১৮১৮০৭৭০৮৫ (চট্টগ্রাম), শেখ ফয়সাল - ০১৮১১১৪৯৮০৪ (চট্টগ্রাম), এছাড়া সাহায্য পাঠাতে পারেন এই ব্যাংক একাউন্টে - A/c name : Rohit hasan kislu, A/c number - 110.101.97783, Dutch Bangla Bank limited “ আমরা খাঁটি গরীব ” গ্রুপ এবং পেজ-এর লিংক -
http://www.facebook.com/amra.khati.gorib
০৭। ২০০৯ সালের এইদিনে ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে তিন ব্যবসায়ী নিহত এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যবসায়ী আহত হন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতির জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড চালান হয়।
০৮। ২০০৯ সালের এইদিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক স্থাপনা সমুহ সংরক্ষণের জন্য আদালতের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট মামলা দায়ের করা হয়েছিলো । মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতা অব: মে জে শফিউল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক মুনতাসির মামুন এ রিট আবেদনটি করেছিলেন।
০৯। ২০০০ সালের এইদিনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে।
১০। ১৯৯৪ সালের এইদিনে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মিশিগানের ডেট্টয়েট নগরীর সাইনাই হাসপাতালের বেডে ৬৫ বছর বয়সে দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে লেখিকা, শহীদ জননী, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম ( জন্ম : মে ৩, ১৯২৯ - মৃত্যু : জুন ২৬, ১৯৯৪ ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একাত্তরে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমীদেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই তিনি 'শহীদ জননী'র মযার্দায় ভূষিত হন ৷ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ একাত্তরের দিনগুলি।
১১। ১৯৭৯ সালের এইদিনে কিংবদন্তীর মুষ্ঠীযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী অবসর গ্রহণ করেন।
১২। ১৯৭৮ সালের এইদিনে উইনিপেগ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার কানাডা ফ্লাইট ১৮৯ বিধ্বস্ত হয়।
১৩। ১৯৭৭ সালের এইদিনে এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন।
১৪। ১৯৭৬ সালের এইদিনে তৎকালীন পৃথিবীর উঁচুতম ভবন সি এন টাওয়ার খুলে দেয়া হয়।
১৫। ১৯৭৫ সালের এইদিনে দেশের আভ্যন্তরীন পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন এবং নির্বাচন স্থগিত করে দেন।
১৬। ১৯৭৪ সালের এইদিনে প্রথম বারের মত বারকোড ব্যবহার করে কোন খুচরা পন্য বিক্রয় হয়। পন্যটি ছিল চিবানোর গাম।
১৭। ১৯৬০ সালের এইদিনে সোমালিল্যান্ড ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায়।
১৮। ১৯৫৯ সালের এইদিনে উত্তর আমেরিকার মহাসাগরগামী জাহাজ এর জন্য সেইন্ট লরেন্স সি-ওয়ে খুলে দেয়া হয়।
১৯। ১৯৫৫ সালের এইদিনে বহরমপুর, মূর্শিদাবাদে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয় । সোম থেকে শনিবার ১২টা থেকে ৭টা পর্যন্ত কর্মসময় এবং মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার বন্ধ থাকে এ গ্রন্থাগার।
২০। ১৯৪৮ সালের এইদিনে পশ্চিমা জোট বার্লিন এ এয়ার লিফট দেয়া শুরু করে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন পশ্চিম বার্লিন অবরুদ্ধ করে দেয়।
২১। ১৯৪৫ সালের এইদিনে জাতিসঙ্ঘ সনদ স্বাক্ষর হয়।
২২। ১৯৩৪ সালের এইদিনে প্রথম বারের মত ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ আকাশে উড়ে।
২৩। ১৯২৪ সালের এইদিনে আমেরিকান সৈন্যরা ডোমিনিয়ন রিপাব্লিক ত্যাগ করে।
২৪। ১৮৯৩ সালের এইদিনে ইলিনয়ের গভর্ণর মে দিবসের ঘটনায় পুলিশ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন ।
২৫। ১৮৩৮ সালের এইদিনে উনিশ শতকের প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক , বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (জুন ২৬, ১৮৩৮- এপ্রিল ৮,১৮৯৪) বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁটালপাড়া গ্রামে । বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তাঁর অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। তাঁর প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁটালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র বঙ্কিমচন্দ্র।
২৬। ১৮১৯ সালের এইদিনে বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়।
২৭। ১৫৪১ সালের এইদিনে ২৬শে জুন লিমায় পিসার্রোর শত্রু আলমাগ্রোর পুত্র এবং তার বারো সহকারীরা পিসার্রোর প্রাসাদে আক্রমণ করে এবং সেখানে পিসার্রোকে হত্যা করে।
২৮। ১৪৮৩ সালের এইদিনে রাজা ৩য় রিচার্ড ইংল্যান্ড এর রাজা হন।
২৯। ১২৮৪ সালের এইদিনে কিংবদন্তীর হ্যামিলন এর বংশিবাদক ১৩০ শিশুকে নিয়ে হারিয়ে যান।