আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০১১

সরকার বা জনপ্রতিনিধির শাসন কর্তৃত্বের অধিকার বনাম জনগন বা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার



সরকার বা জনপ্রতিনিধির শাসন কর্তৃত্বের অধিকার 
বনাম 
জনগন বা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
============


মানুষ সামাজিক জীব । তাই ,মানুষ সমাজ গড়ে । সমাজের অধিবাসীদেরসুস্থ ও স্বাধীনরূপে জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন একটি সমাজ , একটি রাস্ট্র । সমাজের মানুষ বিশেষ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে । সামাজিক সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হলো রাস্ট্র ।

রাস্ট্র হলো একটি সার্বভৌম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান । রাস্ট্র চিন্তাবিদ অধ্যাপক গার্নারের মতে - "অত্যাধিক ব্যাক্তি নিয়ে গঠিত এমনই একটি জনসমাজ - যা নির্দিষ্ঠ ভুখণ্ডে একটি সুসংগঠিত সরকার নিয়ে বহিঃশত্রুর নিয়ন্ত্রনমক্ত অবস্থায় বসবাস করে এবং যার প্রতি জনগণ অনুগত - তাই হলো রাস্ট্র"। রাস্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিষ্টটলের মতে - "কিছু সংখ্যক পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠণই হলো রাষ্ট্র "।

সুতরাং , একটি রাস্ট্রগঠনে প্রয়োজন চারটি উপাদান । যথা - জনসমষ্ঠি , নির্দিষ্ঠ ভুখণ্ড , সার্বভৌমত্ব ও সরকার । এ চারটি উপাদান দ্বারা গঠিত বলেই রাস্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রাণী । আর উক্ত চারটি উপাদান হলো রাস্ট্র নামক প্রানীটির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ।

একটি প্রাণীর যে কোন একটি অঙ্গ অকেজো হয়ে গেলে যেমন সে প্রাণী চলতে পারেনা । তেমনি একটি রাস্ট্র নামক রাজনৈতিক প্রাণীর চারটি উপাদান বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যে কোন একটি অকেজো হয়ে গলে সে রাস্ট্র চলতে পারেনা বা রাস্ট্রগঠনের উপাদানগুলোর যে কোন একটিকে বাদ দিয়ে কোন রাস্ট্রের অস্থিত্ব কল্পনা করা যায়না ।

পৃথিবীর রাস্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি রাস্ট্র হলো বাংলাদেশ । একটি রাস্ট্র গঠনে যে চারটি উপাদান প্রয়োজন সেই চারটি উপাদান দ্বারা গঠিত বলেই বাংলাদেশ নামক ছোট্ট ভূ-খন্ডটি একটি রাস্ট্র । এর রয়েছে বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠী , রয়েছে নিদ্রিষ্ঠ ভু-খন্ড , রয়েছে সরকার আরও রয়েছে সার্বভৌমত্ব ।

কিন্তু ইদানিং মনে হচ্ছে , বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটি কিছু সংখ্যক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর দলপতিদের দ্বারা রাস্ট্রীয় সংজ্ঞা থেকে বিচ্ছিন্ন হবার ষড়যন্ত্রের ফাদে আঁটকে গেছে । তারা যেন চাইছে জনমানবহীন বা জনগোষ্ঠীহীন একটি রাস্ট্র । যেখানে থাকবে একটা ক্ষমতার গদি , একটা ভু-খন্ড আর সার্বভৌমত্ব । যেখানে তাদের পরিবার ব্যতিত বা তাদের দলের লোক ব্যতিত অন্য কোন জনগন থাকতে পারবেনা । তাই , তারা জনগনের তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র রাস্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মানসে ও রাস্ট্রীয় সম্পদ গ্রাস করার মহাপরিকল্পনায় অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে । আর জনগনের মৌলিক অধিকার বা চাহিদার পাত্তা না দিয়ে তাদের নিয়ে খেলছে নষ্ট রাজনীতির নোংরা খেলা ।

অথচ , যেখানে রাস্ট্র গঠনের জন্য জনগন অপরিহার্য , যেখানে জনসমষ্ঠি রাস্ট্রের প্রাণস্বরূপ , সেখানে সে রাস্ট্রে জনগনের কোন মূল্য নেই । নেই জনসমষ্ঠির প্রতি সরকারের কোন দরদ । যে জনসমষ্ঠি দ্বারা নির্বাচিত হয় সরকার , সে সরকার নির্বাচিত হবার পর যেন মনে করে জনগনতো কিছুইনা , রাস্ট্রই তাদের সব !

যেহেতু , সরকারবিহীন যেমন রাস্ট্র অচল , তেমনি জনগণ ব্যতিত সরকারও অচল । জনগণের প্রয়জনে যেমন সরকার , তেমনি সরকারের ও প্রয়োজন জনগণের । সেহেতু , সরকারকে মনে রাখতে হবে - তার সরকারের কর্তৃত্বের মূলেই হলো জনগণ । জনগণের প্রতিনিধিই হলো সরকার ।

তাই , সরকারকে জনগণের কথা ভাবতে হবে । জনসমষ্ঠির কলানে সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে । সরকারকে জনসমষ্ঠির মৌলিক চাহিদা পুরণ বা অধিকার রক্ষায় আত্মনিয়োগ করতে হবে । কেননা , জনগণের মৌলিক চাহিদা পুরণ বা অধিকার রক্ষার জন্যই সরকারর শাসন করার অধিকার জন্মে বা সরকারের উপর জনগণ কর্তৃক শাসনকর্তৃত্বের ভার অর্পিত হয় ।

ইসলামী বিধান অনুসারে মানুষের মৌলিক চাহিদা বা অধিকার ছয়টি । যথা - অন্ন , বস্ত্র , বাসস্থান , চিকিৎসা , নিরাপত্তা ও শিক্ষা । আর দেশের সার্বিক কল্যানে আরও একটি চাহিদা বা অধিকার নিরূপন করা যায় , তা হলো - কর্মসৃষ্ঠি বা বেকারত্ব দূরীকরন ।

যে লোক , যে সংগঠন , যে শাসক , যে সরকার উপরোক্ত মানুষের মৌলিক সাতটি চাহিদা পুরণ করতে পারবে ; সে লোক , সে সংগঠন , সে শাসক , সে সরকার চিরকাল মনের মণিকোঠায় জাগ্রত থাকবে । অক্ষুন্ন থাকবে তার ক্ষমতার সম্মান । শ্রদ্ধা করবে জনগণ তার ক্ষমতার শক্তিকে । সর্বোপরি , তার কর্তৃত্বের অবস্থানকে সুদৃঢ় রাখতে জনগণই ঢাল হিসাবে ব্যবহৃত হবে স্ব-ইচ্ছার ভিত্তিতে । তাই , যে লোক , যে সংগঠন , যে শাসক , যে সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করনে নির্বাচিত হবে , তাকে জনগণের উক্ত সাতটি মৌলিক চাহিদা পুরণ বা অধিকার রক্ষায় প্রাণপণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে , জনগণ ধ্বংসের লড়াইয়ে নয় ।

মানুষের প্রথম ও প্রধান মৌলিক চাহিদা বা অধিকার হলো - অন্ন সংস্থান বা আহারের ব্যবস্থা ঃ

মানুষের ভুখা নিবারনের বা বুভুক্ষ মানুষদের জন্য প্রয়োজন অন্ন সংস্থান । তাই , জনপ্রতিধিকে ভাবতে হবে , কিভাবে জনগণের মুখে আহার তোলা যায় , কিভাবে জনগণ আহারের সুষ্ঠব্যবস্থা করতে পারে । এলাকা ভিত্তিক জনপ্রতিনিধির উচিত হবে , তার এলাকায় জনগণের সুষ্ঠরূপে অন্নসংস্থান হচ্ছে কিনা তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া । জনগণের আহার সংস্থানের পথে প্রতিবন্ধকতা দুরীকরনে জনপ্রতিনিধি কর্তৃক ব্যবস্থা নিতে হবে ।

বাংলাদেশ নামক এ রাস্ট্রটির প্রায়ই সকল জনগণই একমুঠো ভাতের ব্যবস্থাপনায় সময় ক্ষ্যাপন করে । একমুঠো ভাতের জন্য হাহাকার করছে এ রাস্ট্রের প্রায়ই জনগণ । অথচ জনপ্রতিনিধিত্বকারী সরকারের সেদিকে দৃ্টি নেই ।

বর্তমানে এক কেজি চাউলের দাম যদি হয় নিম্নতম ২৫/৩০ টাকা , একজন খেটে খাওয়া মানুষের বেতন যদি হয় ২০০ টাকা দৈনিক , আর যদি তার থাকে পাঁচ সদস্যের পরিবার [ পরিবারের আহার যোগানদানকারী একমাত্র ব্যক্তি , তার ( কর্ম অক্ষম) বৃদ্ধ মা-বাবা , ( কর্মসক্ষম সদা পারিবারিক কর্মে ব্যস্ত ) তার স্ত্রী তার দুই সন্তান ( লেখা-পড়ায় ব্যস্ত । যেহেতু ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ঠ - সরকারের নির্ধারিত ) ] তবে কিভাবে সে তার অন্ন সংস্থান করবে ? যে সরকার জনগণকে অভুক্ত রাখে সে সরকারের প্রতি জনগণ কিভাবে সন্তুষ্ট থাকবে ?

বর্তানে লক্ষ্য করা যায় - জাতীয় বাজেটে যে সব জিনিসের দাম বাড়ানো হয় সে বই গরীবদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস , যা তারা ক্রয় না করলে পরিবার অচল হয়ে পড়বে । আর যে সব জিনিসের দাম কমানো হয় তার সবই উচ্চবিলাসী উঁচু মহলে অবস্থানকারী কোটিপতি তথা মন্ত্রীমিনিষ্টারদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস , যা ক্রয় না করলে তাদের কোটিপতি পদবীর সম্মানে বা মন্ত্রীমিনিষ্টারদের ইগোতে আঘাত হানবে বলে তারা মনে করে ।

জনগণের সন্তুষ্টি অর্জনে সরকারকে গরীব মারার বাজেট না করে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে এমন বাজেট করতে হবে । জনপ্রতিনিকে জনগণের সুষ্ঠ আহার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রথমেই চাউলের দাম কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে , সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক খাদ্যসামগ্রীরও দাম কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে । জনপ্রতিনিধির জন্য এটাই হবে জনগণের প্রধান মৌলিক চাহিদা পুরণ বা অধিকার রক্ষার কর্মসুচী ।

প্রাথমিক ভাবে এই একটা মাত্র চাহিদা বা অধিকার রক্ষা বা নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা নিতে পারলেই জনপ্রতিনিধি জনগণের বাহবা কুড়াবেন । জনপ্রতিনিধি হবেন জনগণর মাথার মুকট ।

জনপ্রতিনিধিকে ভাবতে হবে ৬০০০ ( ছয় হাজার ) টাকা বেতনধারী জনগণের আর্থিক ব্যবস্থাপনার কথা , ৬০০০০ ( ষাট হাজার ) টাকা বেতনধারীর ব্যবস্থাপনার কথা নয় । কেননা , বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটির বেশীরভাগই জনগণ অত্যন্ত গরীব । ধনী যারা আছে তারা অল্পসংখ্যক । তাই , বেশীরভাগ গরীবদের আর্থিক অসচ্ছলতার দিক বিবেচনায় এনে জাতীয় বাজেট নির্ধারন করতে হবে । ধনীদের আর্থিক স্বচ্ছলতার দিকবিবেচনা করে নয় । তবেই হবেন জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের আত্মার সাথী ।

মানুষের দ্বিতীয় মৌলিক চাহিদা বা অধিকার হলো - বস্ত্রের সংস্থান ঃ

মানুষের লজ্জাস্থান ঢাকবার জন্য প্রয়োজন বস্ত্র । বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটির পথে ঘাটে দৃষ্টি রাখলেই দেখা যায় দেশের এক বৃহদাংশ জনসমষ্ঠি বস্ত্রের অভাবে কিভাবে কালযাপন করছে । অগণিত মা - বোনদের লজ্জাস্থান ঢাকবার প্রয়োজনীয় বস্ত্রটি না থাকাতে ঘরের আবদ্ধ কুঠুরীতে আবদ্ধ থাকতে হচ্ছে । রাজধানীর ফুটপাত বা রেললাইনের ধারে ভাসমান সংসার গুলোর দিকে দৃষ্টি রাখলেই বুঝা যায় ওখানকার মা-বোন গুলোর নগ্নদেহ কিভাবে সভ্যসমাজের (?) পরিবেশ অলন্কৃত (?) করছে । এভাবেই দেশের প্রতিটি জনপদে শোভা পাচ্ছে বস্ত্রের অভাবে নারীজাতির অসম্মানতা , বণীআদমদের নগ্নদেহের প্রদর্শনী ।

তাই , জনপ্রতিনিধিকে ভাবতে হবে বস্ত্রহীন জনগনের মাঝে বস্ত্রের সুষ্ঠ সংস্থান কিভাবে করা যায় ? এ জন্য বস্ত্রের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে । এলাকা ভিত্তিক বস্তহীনদের কাছে বস্ত্রের সুস্ঠ ব্যবস্থাপনায় জনপ্রতিনিধির আত্মনিয়োগ জনগণের বস্ত্রাধিকার রক্ষা বা জনগণের দ্বিতীয় মৌলিক চাহিদা বা অধিকার রক্ষার কর্মসূচী হিবে প্রতীয়মান হবে ।

মানুষের তৃতীয় মৌলিক চাহিদা বা অধিকার হলো - বাসস্থানের সংস্থান ঃ

মানুষের মাথা গুঁজার ঠাই হিসাবে প্রয়োজন একটা বাসস্থান । যেখানে তারা শান্তিতে নিদ্রাযাপন করতে পারবে । বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটির পল্লীঅঞ্চল , শহরতলী এবং শহরগুলোর রাস্তার ধারে দৃ্ষ্টি দিলে দেখা যায় অগণিত বণি আদম কিভাবে বসতিগড়ে তোলে দিনযাপন করছে । তাদের না আছে ঘর , না আছে সমাজ আর না আছে শান্তিতে নিদ্রা যাবার পরিবেশ ।

তাই , জনপ্রতিনিধিকে ভাবতে হবে কিভাবে বাসস্থানহীন জনগণের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যায় ? এজন্য বাসস্থান নির্মানের সকল সামগ্রীর মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এলাকা ভিত্তিক বাসস্থানহীন জনগণের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করনে জনপ্রতিনিধির পদচারণা জনগণের তৃতীয় মৌলিক চাহিদা বা অধিকার রক্ষার কর্মসূচী হিসাবে বিবেচিত হবে ।

মানুষের চতুর্থ মৌলিক চাহিদা বা অধিকার হলো - চিকিৎসা প্রাপ্তি ঃ

মানুষের অসুস্থতাজনিত সমস্যা থেকে নিস্কৃতি পাবার জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা সেবা । দেশের বৃহদাংশ জনগণ পয়োজনীয় এই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত । বিবিধ অসুবিধার কারনে এসব জনগণ সুচিকিৎসার অভাবে বিভিন্ন দূরারোগ্য রোগে ভুগছে , পতিত হচ্ছে মৃত্যুমুখেও ।

একটা তথ্য এখানে না দিলেই নয় । প্রথমেই বলতে হয় দেশের ডাক্তারদের কমার্শিয়াল হয়ে যাওয়াতে বা ডাক্তারদের সেবানীতি বাদ দিয়ে বানিজ্যনীতির মুখাপেক্ষী হয়ে যাওয়াতে দেশের জনগণ আজ চিকিৎসা সেবার কাছে অসহায় । নামধারী চিকিৎসা সেবার কাছে বন্দী আজ মানবতা । বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে দেশের লক্ষ লক্ষ জনগণ । অনির্ধারিত সিরিয়াল ফি এবং ৩০০ টাকা ভিজিট দিয়ে ডাক্তারের টেবিল পর্যন্ত পৌঁছলেই ধরিয়ে দেয়া হয় একটা রিসিট প্যাথলজি টেস্টের জন্য , সেটা জ্বর হোক কিংবা সর্দি-কাশি । টেস্ট করতেই হবে নয়তো ডাক্তার কিছুই বুঝতে পারবেননা ! টেস্ট আবার একটাও না কয়েকটা । সব মিলিয়ে ১০০০ টাকার উপর থেকে নিয়ে সাধারণ চিকিৎসার জন্য ১০০০০ টাকা পর্যন্ত প্যাথলজি টেস্ট । এই টেস্ট রিপোর্ট ডাক্তারের কছে নিয়ে যাবার পরও ওনার সঠিক রোগ চেনা হয়না ! প্রেসক্রিপশনে লিখতে থাকেন ঔষধের ফিরিস্তি । সর্দি জ্বরের জন্য লেখা হয় ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার ঔষধ । সবগুলো খাওয়ার পর অবনতি ছাড়া কোন উন্নতি না হলে আবার প্রথমবারের মতো ডাক্তারের কছে গমন । এভাবে তিন চারবারে ৫/১০ হাজার টাকার ঔষধ খাবার পর কিছু না হলে আবার নতুন করে টেস্ট । এ শুধু সর্দি জ্বরের জন্য । এটা শুধু ডাক্তারদের বর্তমান সেবানীতির বদলে বানিজ্যনীতির কথা বলছি । তাঁরা এতই বানিজ্যিক হয়ে গেছেন যে, রোগীদের ভালো করার দিকে তাদের নজর নেই , তাদের নজর কমিশনের দিকে । তাদের প্রথম কমিশন ডায়াগনিস বা প্যাথলজি সেন্টার থেকে । দ্বিতীয় কমিশন ঔষধ কোম্পানীগুলো থেকে । তৃতীয় কমিশন প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো থেকে ।

তাই , আজ ডাক্তারের অভাব নেই , বেঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে , উঠছে রোগীদের চিকিৎসা সেবাদানের নামে প্যাথলজি সেন্টার - ডায়াগনিস সেন্টার - প্রাইভেট ক্লিনিক । তিন মাসের কোর্স , ছয় মাসের কোর্স , এক বৎসরের প্রাইভেট কোর্সে নামধারী ডাক্তার হয়ে রোগীদের নিয়ে জমজমাট ব্যবসায় মেতে উঠছে , উঠেছে সেইসব নামধারী ডাক্তার । যারা বিদেশের ডিগ্রীধারী ডাক্তার তারাতো নেমেছে প্রতিযোগিতায় শহরের অলিগলিতে বড় বড় সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে রোগীদের মনোযোগ আকর্ষণে । কোনমতে তারা একটা রোগী ধরতে পারলেই তাদের এক বৎসরের কামাই হয়ে যায় , আর ঐ রোগী চলে যায় চির বাসস্থানে । এই হলো বর্তানকার চিকিৎসা সেবা !

তাই , জনপ্রতিনিধিকে ভাবতে হবে কিভাবে অসুস্থ জনগণের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানের সুব্যবস্থা করা যায় ? এজন্য সহজলভ্য ও সুলভ মুল্যের চিকিৎসা - পথ্য প্রাপ্তির ব্যবস্থা নিতে হবে । এলাকা ভিত্তিক অসুস্থ রোগীদের সুচিকিৎসা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করনে জনপ্রতিনিধির বিশেষ অবদান জনগণের চতুর্থ মৌলিক চাহিদা বা অধিকার রক্ষার পদক্ষেপ হিসাবে জনগণের দৃষ্টিগোচরহবে ।

মানুষের পঞ্চম মৌলিক চাহিদা বা অধিকার হলো - নিরাপত্তা প্রাপ্তি ঃ

জনগণের জান - মাল - ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধান সুনিশ্চিত করাই জনপ্রতিনিধির অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্ম ।

তাই , জনপ্রতিনিধিকে ভাবতে হবে কিভাবে জনগণের জান - মাল - ইজ্জতের নরাপত্তা দান করা যায় ? এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে । এলাকা ভিত্তিক জনগণ ও প্রশাসন সঙ্গে নিয়ে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা দানে জনপ্রতিনিধির সর্বোচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণে আত্মনিয়োগ মানুষের পঞ্চম মৌলিক চাহিদা বা অধিকার রক্ষায় বৃহৎ অবদান বলে বিবেচিত হবে ।

মানুষের ষষ্ট মৌলিক চাহিদা বা অধিকার হলো - বেকারের কর্মসংস্থান ঃ

দেশের লক্ষ লক্ষ জনগণ বেকার অবস্থায় কালযাপন করছে । দেশে কর্মের অভাবে অনেক শিক্ষিত জনগণ বিপথে পা বাড়াচ্ছে । জনশক্তি থাকা সত্বেও দেশ কর্মসংস্থানের অভাবে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারছেনা । মানুষের বেকারত্ব গুছিয়ে দেশকে স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য প্রয়োজন বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরন ।

তাই , জনপ্রতিনিধিকে ভাবতে হবে কিভাবে বেকারত্ব দুরীকরনের ব্যবস্থা নেয়া যায় ? এজন্য বেকারদের পূণর্বাসন বা কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নতুন নতুন কর্মপন্থা আবিষ্কার করে নতুন নতুন কর্ম প্রতিষ্ঠান গঠণ করতে হবে । এলাকাভিত্তিক বিপুল সংখ্যক বেকার জনসমষ্ঠকে কজে লাগিয়ে দেশের উন্নতির পথ সুগম করনে জনপ্রতিনিধির আত্মউদ্যোগ জনগণের ষষ্ঠ মৌলিক চাহিদা বা অধিকার রক্ষার বিশেষ কর্মসূচী হিসাবে গণ্য হবে ।

মানুষের সপ্তম মৌলিক চাহিদা বা অধিকার হলো - শিক্ষার্জন ঃ

মানুষের আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠার , একজন আলোকিত মানুষ হিসাবে পরিচিতি পাবার এবং দেশের আদর্শ নাগরিক হিসাবে স্থান পাবার লক্ষ্যে প্রয়োজন শিক্ষা ।

তাই , জনপ্রতিনিধিকে ভাবতে হবে কিভাবে অশিক্ষিত মানুষদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায় ? এজন্য জনগণর শিক্ষালাভের পথ সুগম করতে হবে । এলাকা ভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা , উৎকৃষ্ঠতম শিক্ষাদাতা নিয়োগ , শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করনসহ অশিক্ষিতদের শিক্ষাগ্রহণের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরনে জনপ্রতিনিধির আত্মপ্রচারণা জনগণের সপ্তম মৌলিক চাহিদা বা অধিকার রক্ষার পরিচায়ক হিসাবে গণ্য হবে ।

এভাবে প্রত্যেক এলাকার জনপ্রতিনিধি নিজ নিজ এলাকার মানুষ বা জনগণের মৌলিক চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে তাঁর আত্মনিয়োগ ও বিশেষ ভুমিকা পালনের মধ্য দিয়ে জনগণের অন্তরে স্থান করে নিতে পারেন । ফলে তিনি জনগণের অন্তর থেকে ছিটকে পড়বেননা কখনো । জনগণ তাঁকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে ধরে রাখতে চাইবে আজিবন ।

জনপ্রতিনিধিদের মনে রাখতে হবে - জনগণ আর কিছুই চায়না । চায় - তাদের মৌলিক চাহিদা বা অধিকারের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা । আর চায় - তাদের মৌলিক অধিকারের কথা সরকারের কাছে জানানোর জন্য এবং মৌলিক অধিকার সরকারের কাছ থেকে আদায়ের জন্য একজন যোগ্যতম প্রতিনিধি । আর সে প্রতিনিধি যদি তাদের চাহিদাকে সরকারের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য সদা স্বচেষ্ঠ থাকেন , আর তাদের মৌলিক অধিকার আদায় বা রক্ষায় সে প্রতিনিধি সদা আত্মনিমগ্ন থাকেন , তবে সে প্রতিনিধিকে জনগণ বয়কট করতে চাইবে কেন ? তার পক্ষে ভোট না দিয়ে জনগণ অন্যের পক্ষে ভোট দিতে যাবে কেন ?

আসলে আমাদের তথা বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটির সরকার তথা জনগণের প্রতিনিধিরা তাঁদের আপন আপন কর্তব্যকে অবহেলা করে , জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সর্বদাই নিজেদের থলে ভর্তিতে বা জনগণের জন্য বরাদ্দ অংশ আত্মসাত করে নিজেদের উদরপূ্তি করনে নিমগ্ন বিধায় তাঁরা “ আমও গেলো , থলেও গেলো ’’ অবস্থায় পতিত হন ।

তাঁরা যদি একটু চিন্তা করতেন বা ভাড়া নেয়া বাগানের ফলগুলো প্রতিশ্রতি মোতাবেক তাঁরা নিতেন আর বাগানটি যথাযতভাবে মালিককে ফেরত দেয়ার পক্ষপাতি হতেন । তবে কোন জনপ্রতিনিধিই পূণর্বার ঐ বাগান ভাড়া পেতে চাপের মুখে পড়তেননা ।

অথচ , এখন প্রায়ই জনপ্রতিনিধি বাগান ভাড়া নিয়ে বাগানটি সহ দখলে নেবার চেষ্ঠায় থাকেন । ফলে তাঁদের বাগানতো ছাড়তেই হয় , কখনো কখনো নিজেদের জন্য নির্ধারিত ফল প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হন তাঁরা । এমনকি অনৈতিক কর্মে জড়িত হয়ে বাগান মালিকের কাছ থেকে উত্তম-মধ্যম প্রাপ্তিসহ লাল দালানের বাসিন্দাও হন কোন কোন জনপ্রতিনিধি ।

তাই প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিকে প্রথমেই জনগণের কথাই ভাবতে হবে । ভাবতে হবে জনগণের দুঃখ দূর্দশা দুরীকরনেই তাঁকে জনপ্রতিনিধি বানানো হয়েছে , তাই তাদের দুঃখ দুর্দশা দুরীকরনের ব্যবস্থা নিতে হবে , তাদের অধিকার বা রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে , তাদের অন্ন - বস্ত্র - বাসস্থান - শিক্ষা - চিকিৎসার ব্যবস্থা করন সহ তাদের নিরাপত্তা দান ও বেকারত্ব দূরীকরনে সুষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে । তবে সম্ভব জনপ্রতিনিধি হয়ে আজিবনের জন্য জনগণের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নেয়া ।

অতএব , মানুষ বা জনগণের সাতটি মৌলিক চাহিদা বা অধিকার রক্ষার গ্যারান্টিই হলো প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির ক্ষমতায় টিকে থাকার বা ক্ষমতায় আরোহনের মুল চাবিকাঠি । যে জনপ্রতিনিধি জনগণের উক্ত সাতটি মৌলিক অধিকার রক্ষার গ্যারান্টি দিতে পারবেন সে জনপ্রতিনিধিই হবেন আজিবন ক্ষমতাপ্রাপ্ত জননেতা । যে দল জনগণের উক্ত সাতটি মৌলিক অধিকার রক্ষার গ্যারান্টি দিতে পারবেন সে দলই হবে আজিবন ক্ষমতাপ্রাপ্ত জননন্দিত দল । যে সংগঠন জনগণের উক্ত সাতটি মৌলিক অধিকার রক্ষার গ্যারান্টি দিতে পারবে সে সংগঠনই হবে আজিবনের জন্য জনস্বীকৃত কল্যানকামী সংগঠন । যে শাসক জনগণের উক্ত সাতটি মৌলিক অধিকার রক্ষার গ্যারান্টি দিতে পারবেন সে শাসকই হবেন আজিবনের জন্য জনস্বীকৃত উপযুক্ত শাসক। যে সরকার রাস্ট্রের জনগণের উক্ত সাতটি মৌলিক চাহিদা পুরণ বা অধিকার রক্ষার সুনিশ্চিত গ্যারান্টি দিতে পারবে সে সরকারই হবে আজিবনের জন্য শাসন কর্তৃত্বের অধিকারী । সে সরকারই হবে রাস্ট্রের জন্য অনন্তকাল অবধি একটি জনপ্রতিনিধিত্বকারী উত্তম সরকার । যার আনুগত্য করতে প্রত্যেক নাগরিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।

মহান আল্লাহ পাক পরওয়ারদিগার সকল জনপ্রতিনিধিকে উত্তম বিবেক দানে সহায়তা করুন । আমীন ।
==============

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন