ভুলতে পারিনি তোমায়
-------------------------
আমার হৃদয়োদ্যানে
উজ্জ্বলতর হয়ে ফুটে আছ
তুমি ।
আশা সব পূর্ণ হবে
যদি তোমায় আমার করে পাই ,
সবকিছুকেই ভুলতে পেরেছি ;
তবুও ,
ভুলতে পারিনি তোমায় !
উতলা মন ছুটে যেতে চায়
কেবলি - তুমিআছো যেথায় ।
======================================================
নতুন পরিচয়ে আমার অর্ধাঙ্গিনী
-------------------------------
আমার অর্ধাঙ্গিনী হয়ে সে
যেদিন কাবিন নামায় স্বাক্ষর করলো ,
তার পূর্বে ছিলো সে
নিতান্তই এক দূরন্ত বালিকা ;
নাম ছিল তার
“ মিস মমতাজ সুলতানা শিল্পী ’’।
উনিশ শ’ তিরান্নবই সাল
জুন মাসের তেইশ তারিখ ,
কাবিন নামায় স্বাক্ষর দানের মাধ্যমে
নতুন পরিচয়ে সে
যাত্রা করলো জীবনতরী নিয়ে ;
যাত্রা শুরুতে তার নাম ছিল
“ মিসেস মমতাজ সুলতানা শিল্পী ’’ ।
সেই দূরন্ত বালিকা
পরিণত হলো একজন রমণীতে ,
অথবা তখন সে
নারীতে হলো রূপান্তরিত ।
যৌবনের ঊষাকাল তখন তার ,
চঞ্চলা যুবতীর মতো
যৌবন সুধা আহরন করার মানসে
মানস সরোবর ভেবে
আমার জীবন সাগরে অবগাহন করলো ,
হয়ে গেলো আমার অর্ধাঙ্গিনী !
অতিক্রান্ত হলো যৌবনের সাতটি বসন্ত
আমার জীবন সাগরে অবগাহনর মাধ্যমে ।
মায় - মমতা - প্রেম - প্রীতি
আশা - কামনা - ভালোবাসা
আদর - সোহাগ - মান - অভিমান
ইত্যাদিতে কেটে গেলো যৌবনের সাতটি সিঁড়ি ।
প্রেমের মাঝে সাময়িক বিচ্ছেদ
প্রেমকে করে মধুময় ,
আর ভালোবাসার মাঝে এনে দেয়
সুদৃঢ় ভিত্তি ।
তাইতো , হঠাৎ সাময়িক বিচ্ছদের সুর বেজে উঠলো ,
ছিটকে পড়লাম দু’জন দু’দিকে ;
যেমন ছিটকে পড়েছিলেন
বাবা আদম ( আঃ ) এবং মা হাওয়া ( আঃ )
চির শান্তির আবাস থেকে ।
দূর-দূরান্তে দু’দিক পালে
আমরা দু’জনার বসতি আজ ,
বিচ্ছেদের অনলদাহে দগ্ধমান আমরা
অহর্নিশ প্রেমের বানে ডুবে মরছি ,
ভালোবাসার টানে সাঁতার কাটছি
বিচ্ছেদের তাপদগ্ধ জীবন নদীতে ,
প্রেমের স্বীকারোক্তি দিচ্ছি দু’জন দু’জনকে
চিঠিতে - ক্যাসেটের ফিতায় - টেলিফোন আর মুঠোফোনে ,
ভালোবাসার অনুরাগে পাগল করছি দু’জন দু’জনকে
শব্দচয়নে - কবিতা লিখে - হৃদয়ের কথা দিয়ে ।
সত্যিই এমন করে ভালোবাসতে পারিনি দু’জন দু’জনকে
যতদিন কাছে ছিলাম একে অপরের ,
যতদিন ছিলাম একে অপরের সহিত নিবীড়ভাবে আবদ্ধ ।
তাই , বিচ্ছেদর বিয়োগ ব্যথায় জর্জরিত
আমি একদিন বললাম তাকে -
“ প্রিয়া ! আর পারছিনা সইতে বিচ্ছেদের তাপদাহ্ ’’।
যেদিন প্রিয়া সম্বোধনে চিঠি লিখলাম
সেদিন থেকেই তার আবার নতুন পরিচয় - “ প্রিয়া ’’ ।
আমার অর্ধাঙ্গিনী এখন আমার “ প্রিয়া ’’ ;
যাকে নিয়ে রচনা করছি অহর্নিশ শব্দের মালা ।
আমার প্রেমের পরিচিতি - “ প্রিয়া ’’;
যা একান্তই আমার প্রেমের ভুবনে সৌরভ ছড়াবে ।
বাহিরের কোন আঙ্গিনায় “ প্রিয়া ’’ প্রকাশ পাবেনা ,
বহিঃরাঙ্গনে তার পরিচয় হবে ভিন্ন ।
যেদিন আমি থাকবোনা ,
কখনো ফিরে আসবোনা ,
আর তখন যদি সে চায় -
বহিঃরাঙ্গনে পরিচিতি লাভ করবে সে
আমার অর্ধাঙ্গিনী হয়েই ;
ঠিক তখনই হবে তার আর এক নতুন পরিচয় ,
যার নির্ধারণ করার একমাত্র অধিকার তারই ... ।
===================================================================
রঙ্গীন হোক তোমার জীবন
----------------------------
আনন্দময় ছন্দের তানে সুরের ঝংকার উদ্ভাসিত হোক
তোমার জীবনে ,
সুখের পায়রা উড়ে এসে দোলা দিক
তোমার মননে ।
শান্তির শীতল সমীরণ এসে জুড়িয়ে দিক
তোমার দেহ ,
হাসি-খুশি আর উচ্ছলতায় ভরে উঠুক
তমার জীবন যাত্রার রাঙ্গাপথ ।
=========================================================================
অপূর্ব,অনবদ্য,অসাধারণ। স্মৃতিচারণের নিপূণতায় আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। নির্মল হৃদয়ে জমে থাকা প্রেম সাগরের জলোচ্ছাস অকল্পণীয় মাধূর্য্য নিয়ে দেহ ও মনকে এক প্রশান্তির স্পর্শে যেন পবিত্র করে তুলেছে। শাবাশ লেখক। শাবাশ প্রকৃত প্রেমী। অনেক আপনার লেখার এবং অনুভূতির যত প্রশংসা করা যায়, কম। ধন্যবাদ দাদা। আপনার সর্বাঙ্গীন কুশল কামনায়। আপনার অনুগামী।
উত্তরমুছুনদাদা !
উত্তরমুছুনআপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে কি লেখব আমি নিজেই বুঝতে পারছিনা । শুধু বলবো , আপনার মন্তব্যগুলো আমাকে নিমজ্জিত করছে আনন্দের মহাসাগরে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার এবং আপনার পরিবারেরপ্রতি রইল শুভকামনা ।