শুভ বাংলা নববর্ষ
HAPPY BANGLA NEW YEAR
সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
আর বিবেকহীন মানুষদের জন্য নববর্ষের গজবীয় শুভেচ্ছা
****************************
নতুন বছরের যাত্রালগ্নে সকলের জীবনযাত্রা সূচীত হোক নতুন ধারায় সুখ-শান্তির আয়োজনে। ভরে উঠুক সকলের জীবন আনন্দের সমারোহে।
এই নতুন বৎসরের প্রথম দিনে সূচিত হোক সবার জীবনে সুন্দরের যাত্রা। আর সকলের ভবিষ্যত জীবন হোক কল্যান, শান্তি ও মানবতার আলোয় আলোকিত এবং ভবিষ্যত জীবনের চলার পথ হোক মসৃণ ও উন্নত। সকলের চিন্তা ও মননে উদ্ভাসিত হোক মানবিক কল্যান। মানবতার তরে নব বলে বলিয়ান হয়ে নতুন রূপে ধরা দিক সকলের আপন বিবেক। সকলের হৃদয় পরিণত হোক দেশপ্রেমের ভান্ডারে। ভরপুর হোক সকলের মন সকলের প্রতি ভালোবাসায়।
বৈশাখ এসেছে আজ
খুশির বারতা নিয়ে পান্তা-ইলিশ খাওয়ানোর লাগি
ধনীর সন্তানদের ঘরে,
অভুক্ত পথসন্তানদের কাছে এসেছে বৈশাখ
পান্তা-ইলিশ দেখে আসা মুখের লালায়
জটর জ্বালা নিবারণের তরে।
হে জীর্ণ কায়ার পথশিশু !
দশহাজার টাকার একটা ইলিশ কিনে অপচয় করতে জাত যায়না, কিন্তু দশ হাজার টাকা সাহায্য দানের মাধ্যমে একটা জীবন বাঁচাতে জাত চলে যায়। তাই ...
তোমাদের শরীর গঠন ও জীবন বাঁচাতে তোমাদের তারা এক টাকা দিতে পারবেনা। কিন্তু তারা চল্লিশ হাজার টাকায় ইলিশ কিনে স্ফূর্তিতে উন্মাদ হয়ে নাচতে পারবে।
তাই তোমরা একটা কাজ করতে পার এসব অপচয়কারীদের অর্থ চিন্তাই করে ছিনিয়ে নিয়ে তোমাদের অভাব পুরণ কর। এতে আইনের দিক দিয়ে অপরাধ হলে ও মানবিক দিক দিয়ে হবে উত্তম।
যারা তোমাদের মৃতপ্রায় শরীর দেখেও না দেখান ভান করে চল্লিশ হাজার টাকায় ইলিশ কিনে স্ফূর্তিতে মত্ত হয়, তাদের কাছ থেকে ধন-সম্পদ কেড়ে নিতে মানবিক আইনে কোন বাধা নেই।
তারাই ১লা বৈশাখে হাজার টাকার ইলিশ কিনে খায় ও খাইতে পারে, নীরন্ন-বুভুক্ষ শিশুদের ক্ষুধার চোটে আসা চোখের জল দেখেও যাদের চোখে জল ঝরেনা। এইসব জরাজীর্ণ দেহের শিশুদের দেখেও যাদের অন্তর তোলপাড় দিয়ে উঠেনা। যাদের হাত দিয়ে ঝরে পড়ে হাজার হাজার টাকার নষ্ট খাদ্য তাদের হাত দিয়ে কিভাবে বের হবে এদের বেঁচে থাকার জন্য একমুঠো অন্যের জন্য সামান্য টাকা ?
কোন এক ভিক্ষুক বলেছিলেন - আপনারা যখন চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে ইলিশ কিনতে যান তখন আমরা ভিক্ষুকরা নির্বাক চেয়ে থাকি। মুখে পড়ে লালা। আহ যদি এই ইলিশটি একদিন আমি খেতে পারতাম। এই ইচ্ছার বশঃবর্তী হয়ে আপনাদের পিছু নিই। নির্জন স্থানে গিয়ে কাগজ কুড়ানো ঝুড়ি থেকে জং ধরা ছুরিটা নিয়ে যখন আপনাদের পিঠে ঠেকাই তখন আপনারা অসহায় হয়ে পড়েন। আর ঠিক তখনি আপনারা মনে করেন এ কোন গজব আপতিত হলো আমার উপর ? এভাবেই শুর হয় আপনার আর আমার দুটি মানুষের দুইভাবে বর্ষবরণ। কি সুন্দর বিবেক বর্ষবরণীয় আপনাদের মত মানুষদের !
বিবেকহীন মানুষ পশুর সমতুল্য।
বিজাতি ও নাস্তিক্যবাদী সংস্কৃতির আড়ালে হারিয়ে গেছে স্বদেশী সংস্কৃতি ও সভ্যতা।
পহেলা বৈশাখ পালনের নামে আমরা আজ যা করছি তা বিজাতীয় সংস্কৃতিকে আমদানী করে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করারই নামান্তর। যা সম্পূর্ণরূপে আমাদের বিবেকহীনতার পরিচয়।
তাই এই নববর্ষে বিজাতীয় সংস্কৃতিকে আমদানী না করে দেশীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপন করব, এই হোক আমাদের অঙ্গীকার –
এ প্রত্যাশায় আবারও সকলকে শুভেচ্ছা।
**************************
বিবেকহীন মানুষদের জন্য নববর্ষের গজবীয় শুভেচ্ছা
******************
অশুভ নববর্ষ !
সকলকে অমঙ্গল প্রদীপের শুভেচ্ছা।
এখন আসুন জানিয়ে দেই - কেন আমি এমন ব্যাঙ্গাত্বক শুভেচ্ছা জানালাম ?
কারণ হলো - প্রতিবছর আমরা শুভ নববর্ষ বলে মঙ্গল প্রদীপের শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু তার ফলে আমরা প্রতিবছরই দেখি বছরটা উল্টাভাবে আমাদের সামনে ধরা দিতে, যেমন প্রতিটি নতুন বছর অশুভ সব কর্ম দিয়ে আমাদেরকে পরিচালিত করে। ফলে আমাদের কোন মঙ্গল তো হয় ই না, অমঙ্গল সব কর্মে আমাদের জাতীয় জীবনকে করে তোলে বিষাক্ত।
যেমন ইলিশ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার কথাই ধরুণ- সেদিন খবরে দেখলাম দেড় কেজী ওজনের এক হালী ইলিশের দাম মাত্র চল্লিশ হাজার টাকা। একটা ইলিশ কিন্তে গেলে দশ হাজার টাকা বিক্রেতাকে দিতে হবে। এখন বলুন তো এই টাকা কিভাবে দিবেন ? চুরি করে, ঘুষ খেয়ে, চিন্তাই করে,ডাকাতি করে, রাহাজানী করে, পকেট কেটে, খুন করে ছাড়া এতটাকা কিভাবে আসবে ? একজন চাকরীজীবি কি পারবে দশ হাজার টাকায় ইলিশ কিনে পান্তাভাত খেতে ? হ্যা পারবে তারাই যারা উপরোক্ত অপরাধ গুলো করে টাকা উপার্জন করতে পারবে। একজন সৎ ব্যবসায়ীও কিন্তু দশ হাজার টাকায় ইলিশ কিনে পান্তা ভাত খেতে পারবেনা। পথশিশুদের কথা নাই বা বললাম। এই হলো গজবীয় শুভেচ্ছার আমার আজকের বাণী।
তাই আমার পক্ষ থেকে বিবেকহীন সকলের জন্য এই গজবীয় শুভেচ্ছার বানী। যাতে বিপরীতমুখী হয়ে অর্থাৎ শুভ সব কর্ম ও সকল প্রকার মঙ্গল নিয়ে নতুন বছরটি আমাদের কাছে ধরা দেয়।
তাই সবাই বলুন,
জয় বাংলা !
শুভ নববর্ষকে অশুভ শুভেচ্ছা দিয়ে কররে সবাই হামলা।
জয় বাংলা !
নববর্ষের গজবীয় শুভেচ্ছা সামলা।