আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা
বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী
সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত
সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
বিষয় সূচী
APNAKE SHAGOTOM
সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা
অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি ।
conduit-banners
Powered by Conduit |
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৩
চলো চলো ঢাকায় চলো...
সরকারী ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবার ভয়ে কুষ্টিয়ার সাহিনাকে খুন করা হয়েছে আগুন লাগার নাটকের মাধ্যমে ... !
সরকারী ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবার ভয়ে
কুষ্টিয়ার সাহিনাকে খুন করা হয়েছে
আগুন লাগার নাটকের মাধ্যমে ... !
|
মানুষদের এ মন্তব্য যেন সত্যি হয়েই ধরা দিচ্ছে চিন্তাশীলদের চিন্তার জগতে। কারণ, যখন সাভার ট্র্যাজেডির বিভৎস চিত্র গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল, তখন আমাদের মন্ত্রী মহোদয়গণ গণমাধ্যমগুলোর প্রতি একটা মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, গণমাধ্যমগুলো সাভার ট্র্যাজেডির লাইভ অনুষ্ঠান দেখিয়ে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।
মন্ত্রীদের এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ জনতার মনে জেগে উঠল আর একটা ভিন্ন প্রশ্ন - সাভার ট্র্যাজেডির লাইভ সম্প্রচার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে , নাকি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে ? যা হোক, মন্ত্রীদের মন্তব্যে ধরা খেল সাভার ট্র্যাজেডির লাইভ সম্প্রচার সরকারের কাছে ভাল লাগেনি।
তাই মনে হচ্ছে - সরকার আসলেই চেয়েছে তড়িগড়ি করে সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপ সরিয়ে ফেলার মধ্য দিয়ে সাভার ট্র্যাজেডির বিশ্বব্যাপী সম্প্রচারের কবর দিতে। যাতে তাদের রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট না হয়।
দ্বিতীয়তঃ সাভার ট্র্যাজেডির উদ্ধারকারী দলের সদস্য আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির ভাষ্যের মধ্য দিয়ে ধরা খায় মন্ত্রীদের দেয়া উপরোক্ত মন্তব্যের সাথে এক প্রকার সম্পৃক্ততা।
যখন ঐ আবুল খায়েরদের উদ্ধারকারী দলের উদ্ধারকারীরা 'সাহিনা' নামের একটা নারীকে টানা ত্রিশ ঘন্টা ধরে চেষ্ঠা করে রানা প্লাজার মৃত্যুকুপ থেকে জীবন্ত উদ্ধারের চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছিল, তখন তাকে উদ্ধার করার কর্ম প্রায় শেষ করে এনে উদ্ধারকারীরা তাকে উপরে তুলে আনার পরামর্শ করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেই একজন অপরিচিত (উদ্ধারকারী দলসমুহের কোন সদস্য নয়) এক ব্যক্তি নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে উদ্ধারকারীদের অসমাপ্ত সামান্য কাজ শেষ করার জন্য সকল বাধা উপেক্ষা করে লেগে গেল। আর সে ব্যক্তি কাজ শুরু করার সাথে সাথেই লেগে গেল আগুন। ছড়িয়ে পড়ল সেই আগুন মৃত্যুকুপের অভ্যান্তরে। উদ্ধারকারীরা আহত হয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে উপরে উঠে যেতে পারলেও তুলে আনা সম্ভব হয়নি সেই 'সাহিনা'কে। টানা ত্রিশ ঘন্টার শাঁসরুদ্ধকর একটা উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়ে গেল। পরাজিত উদ্ধারকারীদল এই পরাজয়ের গ্লানীর ভার সইতে না পেরে নিজেদের শোকসন্তপ্ত মনের বহিপ্রকাশ ঘটাল অঝোর ধারায় চোখের জল ঝরিয়ে। তারা উপরে উঠে বর্ণনা করল তাদের পরাজয়ের সে অসফল কাহিনী। সেই সাথে তারা ধিক্কার জানাল সেই অপরিচিত ইঞ্জিনিয়ারকে (যদিও এই ব্যক্তির শরীরের এক বৃহদাংশ ঐ অগ্নিকান্ডে ঝলসে যায়)।
প্রশ্ন জাগল সবার মনে- ঐ ব্যক্তি কে ? কেন এ ব্যক্তির হঠাৎ উদয় ? কেন সকল বাধা উপেক্ষা করে তার মৃত্যুকুপে উদ্ধারকর্মে যোগদান ? কেন সে কাজ শুরু করার সাথে সাথেই অগ্নিকান্ডের সেই ঘটনার উৎপত্তি ? কেন উদ্ধারকর্মী আবুল খায়ের বললেন - "ঐ লোককে নাকি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে মেরে ফেলা উচিত" ? তবে কি হয়েছিল সেই মৃত্যুকুপে ? কেন উদ্ধারকারী দল একজন (সাহিনা) কে জীবিত উদ্ধার করতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দিতে চেয়েও আরেকজন (অজ্ঞাত ইঞ্জিনিয়ার) কে মেরে ফেলতে চায় ? তবে কে ছিল সেই ইঞ্জিনিয়ার,কার পক্ষ নিয়ে সে কাজ করতে নেমেছিল,কি উদ্দেশ ছিল তার ?
এভাবেই কি শুরু হয়েছে হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়ে 'সাহিনা উদ্ধার' এর পরিসমাপ্তি টেনে কুষ্টিয়ার 'সাহিনা'কে পরিকল্পিতভাবে খুন করার মধ্য দিয়ে তড়িগড়ি করে সাভার ট্র্যাজেডির বিশ্বব্যাপী সম্প্রচারের কবর দিতে সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপ সরিয়ে ফেলার সরকারের পরিকল্পিত সরকারের ইমেজ নষ্টের প্রতিরোধ কর্ম ?
শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩
"বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান" এমনই চলছে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের আন্দোলন
কারণ ,যখনই কারখানাগুলোতে কোন দূর্ঘটনা ঘটে তখনই তারা সাংবাদিক সমাবেশ করে, বিভিন্ন টক শোর মাধ্যমে বিভিন্ন মন ভুলানো বাহারী কথায় শ্রমিকদের অসন্তোষকে সন্তোষজনক অবস্থায় নিয়ে আসে। দূর্ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই সব অসন্তোষ সন্তোষে রূপান্তর হয়ে যায় এসব নেতাদের নিস্ক্রীয়তায়।
শুনা যাচ্ছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির মাধ্যমে শত শত শ্রমিক হত্যার মূলে ছিল সরকারের কালো ছায়া। সেদিন ছুটি থাকা সত্যেও শ্রমিকদের জোর করে সেই ভবনে ডুকানো হয়েছিল বিরোধী দলের হরতাল বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করানোর জন্য। এ তথ্যটি ফেলনার মত নয়। কারণ সব সময় ক্ষমতাসীনরা নীরিহ শ্রমিকদের দাবার গুঁটি হিসাবে ব্যবহার করে এসেছে। এর ফলে দূর্ঘটনায় যে সব শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে তাদের পরিবার ও সকল প্রকার সমস্যা দূরীকরনে হাত করা হয় শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের। কারণ মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের পক্ষে মুখ খুলবে এ সব নেতারাই। তাই ক্ষমতাসীনরা সেসব নেতাদের চড়া দামে কিনে তাদের মুখে কলুপ এটে দেয়। ফলে তাদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়।
আসলে এসব নেতারা বিক্রি হয়ে যায় সরকারের কাছে। ফলে শ্রমিকদের আর্তি ধামাচাপা পড়ে সবসময়। এবার ও তার ব্যতিক্রম হবেনা। কয়েকদিন তারা সরগরম থাকবে। তারপর সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে তারা মুখ বন্ধ করে ফেলবে। এমনই দেখা যাচ্ছে অবস্থাদৃষ্টে। সরকারী কর্মকর্তা, এমপি ও মন্ত্রীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শুরু করেছে সাংবাদিক সম্মেলন, টক শো মালিক পক্ষের সংগঠনের নেতারা। কয়দিন পর শ্রমিক নেতারা তাদের সাথে যোগ দিবে।
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৩
যেসব সংগঠনের নারীদের নিয়ে সরকার আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল সেইসব নারীরাই আজ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এ যেন ইসলাম ও আল্লাহ বিরোধীদের জন্য আল্লাহর গজবের বাস্তব প্রতিফলন
বিভিন্ন খবরে প্রকাশ ঢাকার আরও কয়েকটি গার্মেন্টস ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেসব ভবন থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ,'রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি'র মত আর কোন ঘটনা যাতে না ঘটে সেসব ভবনের মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করছি।
'রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি'তে শ্রমিক ভাই-বোনদের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত, আমরা মর্মাহত, আমরা নির্বাক, আমরা হতবাক, আমরা নিস্তব্ধ, আমরা আতঙ্কিত, আমরা স্বজনহারা, আমরা দিকহারা, আমরা হতাশাগ্রস্থ, আমরা বেদনাগ্রস্থ, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শোকাহত, মর্মাহত সমগ্র বাংলাদেশ।
এই ট্র্যাজেডিতে নিহত,আহত,ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর ভাষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। এই ট্র্যাজেডির লাশের মিছিলে আমরাও হয়ে গেছি জীবন্ত লাশ। আমরা এই ট্র্যাজেডিতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাদের পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা। যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন তাদের দ্রুত আরোগ্যতা কামনা করছি। যারা ক্ষতিগ্রস্থ তারা এই ক্ষতি থেকে যাতে শীঘ্রই বেরিয়ে আসতে পারে তার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে চাই, সরকার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (আল্লাহর সন্তুষ্টির একমাত্র পথ ইসলামের হেফাজতকারী বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য সংগঠন) – এর ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের বিরুদ্ধে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে অবস্থান করতে গিয়ে এখন সরকার নিজেই সেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়েছে।
গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে গেছে। সর্বত্র চলছে তাদের বিক্ষোভ, অবরোধ। 'রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি'র ক্ষোভের আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলছে চারিদিকে। চলছে সরকারী নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ। এ সব সংঘর্ষে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ছে তারা রাজপথে। তবুও তাদের ক্ষোভের আগুন নির্বাপিত হচ্ছেনা। তারা চালাচ্ছে বিভিন্ন গার্মেন্টসে ভাংচুর। তাদের প্রতিবাদ জানাতে করছে তারা যানবাহনের উপর হামলা। রাজধানীর বৃহদাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক এখন ঘীরে রেখেছে বিজিএমই ভবন সহ বিভিন্ন সাংগঠনিক দফতর। পুরা রাজধানী তথা সমগ্র দেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে হয়ে গেছে বেপরোয়া। যেন সমগ্র দেশ আজ জ্বলন্ত এক অগ্নিকুন্ড। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতনকারী অপরাধী মালিক ও কর্তৃপক্ষের গ্রেফতার ও সর্বোচ্ছ শাস্তির দাবীতে সমগ্র রাজধানী সহ দেশের সর্বত্র চলছে প্রতিবাদের উত্থাল জোয়ার।
সরকার কয়েকদিন ধরে এসব শ্রমিকদের নিয়েই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (আল্লাহর সন্তুষ্টির একমাত্র পথ ইসলামের হেফাজতকারী বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য সংগঠন) – এর ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থানের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু, মনে হয় সরকারের স্রষ্টাবিরোধী সেই মহাপরিকল্পনায় প্রতিবন্ধকতা করতেই সংঘটিত হয়েছে 'রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি'।
ঢাকাস্থ সাভার বাসস্ট্যান্ডের নিকটস্থ 'রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি'
হেফাজতের রক্তদান |
হেফাজতের রক্তদান |