আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

শনিবার, ৩০ জুন, ২০১২

ইতিহাসে ৩০শে জুন


ইতিহাসে ৩০শে জুন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------

*** ১৯৪৩ সালের এই দিনে - লেখক, কবি ও সমাজবিজ্ঞানী আহমদ ছফা (জুন ৩০, ১৯৪৩ - জুলাই ২৮ , ২০০১) চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা মরহুম হেদায়েত আলী ওরফে ধন মিয়া। মা মরহুমা আসিয়া খাতুন। দুই ভাই চার বোনের মধ্যে আহমদ ছফা ছিলেন বাবা-মার দ্বিতীয় সন্তান।
আহমদ ছফার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ গাছবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে নিজের গ্রামের নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম নাজিরহাট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ; একই বৎসরে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে। ১৯৬৭খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে প্রাইভেটে পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
আহমদ ছফার প্রথম গ্রন্থ একটি উপন্যাস- সূর্য তুমি সাথী। প্রকাশিত হয় এ সালেই। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে এমএ পরীক্ষা দেয়ার আগেই বাংলা একাডেমীর পিএইচডি গবেষণা বৃত্তির জন্য আবেদন করেন এবং তিন বছরের ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য মনোনীত হন। গবেষণার বিষয় ছিল ‘১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার মধ্যবিত্তশ্রেণীর উদ্ভব, বিকাশ, এবং বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার প্রভাব’। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে পিএইচডি অভিসন্দর্ভের জন্য জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সান্নিধ্যে আসেন। দীর্ঘকাল তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। মহাকবি গ্যোতের ফাউস্ট অনুবাদ শুরু করেন এ সালেই। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রাইভেটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পরীক্ষা দেন। মৌখিক পরীক্ষা হয় একুশে মার্চ।
পিএইচডি সম্পন্ন করা পরে আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ছাত্রাবস্থায় সুধাংশু বিমল দত্তের মাধ্যমে কৃষক সমিতি-ন্যাপ বা তৎকালীন গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন। মাস্টারদা সূর্যসেনের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইন উপড়ে ফেলেন। পরে গ্রেপ্তার এড়াতে কিছুকাল পার্বত্য চট্টগ্রামে আত্মগোপন করেন। ১৯৭১ সালে ‘লেখক সংগ্রাম শিবির’ গঠন ও এর বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশ নেন। সাতই মার্চ ‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা’ হিসেবে প্রতিরোধ প্রকাশ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম গ্রন্থ হিসেবে মুক্তধারা থেকে প্রকাশ পায় তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থ “ জাগ্রত বাংলাদেশ”। প্রকাশকাল শ্রাবণ ১৩৭৮ বা জুলাই ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এপ্রিল মাসে তিনি কলকাতা চলে যান। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সেখান থেকে দাবানল নামের পত্রিকা সম্পাদনা করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশে ফিরে লেখালেখি করতে থাকেন। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক গণকণ্ঠ ধারাবাহিকভাবে ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ রচনা প্রকাশ করেন। এর কারণে তৎকালীন সরকারের রোষে পড়তে হয় তাঁকে। ১৯৭৯ সালে ‘সিপাহী বিদ্রোহের ইতিহাস’ গ্রন্থ প্রকাশ পায়। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন মোস্তানের সহায়তায় কাঁটাবন বস্তিতে ‘শিল্পী সুলতান কর্ম ও শিক্ষাকেন্দ্র’ চালু করেন। এ সালেই ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। বাংলা একাডেমী থেকে বাঙালি মুসলমানের মন প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশ পায় ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে।
পরে ১৯৮৬-তে জার্মান ভাষার ওপর গ্যোটে ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ডিগ্রিও লাভ করেন তিনি, যে জ্ঞান তাঁকে পরবর্তী সময়ে গ্যাটের অমর সাহিত্যকর্ম ফাউস্ট অনুবাদে সাহস জুগিয়েছিল। মুক্তধারা থেকে ফাউস্টের অনুবাদ বের হয় এ সালেই। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস অলাতচক্র। স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতির গোপন-রহস্য, শৌর্য মৃত্যু ও কপটতার গীতিকা এই উপন্যাস। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ এবং অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী প্রকাশিত হয়। ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’ পূর্বে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রাণপূর্ণিমার চান নামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল। জাপানী ভাষায় পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণউপন্যাসের অনুবাদ প্রকাশ পায় ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে । পুষ্প, বৃক্ষ, বিহঙ্গ ঘুরে সুশীল সমাজের ব্যবচ্ছেদ হয়েছে তাঁর এই উপন্যাসে। বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ও সমসাময়িক কালের বিশিষ্ট পণ্ডিত অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের প্রসঙ্গে রচিত যদ্যপি আমার গুরু প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
২০০১ সালের আহমদ ছফা রচনাবলি দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশ পায়। তাঁর জীবদ্দশায় আহমদ ছফা রচনাবলি প্রকাশ শুরু হয়। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের আটাশে জুলাই অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবি গোরস্থানে তাঁর দাফন হয়। তাঁকে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয় । তিনি জীবদ্ধশায় প্রথাবিরোধী, নিমোর্হ, অকপট দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য বুদ্ধিজীবি মহলে বিশেষ আলোচিত ছিলেন। তিনি লেখক শিবির পুরস্কার ও বাংলা একাডেমী কর্তৃক সাদত আলী আখন্দ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তাঁর লেখায় বাংলাদেশী জাতিসত্তার পরিচয় নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। গল্প , গান , উপন্যাস , কবিতা , প্রবন্ধ , অনুবাদ ,ইতিহাস , ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তিরিশটির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। জীবিত থাকাকালীন আহমদ ছফা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কলাম লেখা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর রচনাবলীর মধ্যে  :
প্রবন্ধ - জাগ্রত বাংলাদেশ, বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস, বাংলা ভাষা : রাজনীতির আলোকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা, বাঙালি মুসলমানের মন, শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য প্রবন্ধ, Aspect of Social Harmony in Bangla Culture and Peace Song, রাজনীতির লেখা, আনুপূর্বিক তসলিমা ও অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ, নিকট ও দূরের প্রসঙ্গ, সঙ্কটের নানা চেহারা, সাম্প্রতিক বিবেচনা: বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস, শরবর্ষের ফেরারী: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শান্তিচুক্তি ও নির্বাচিত প্রবন্ধ, বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র, উপলক্ষের লেখা, আমার কথা ও অন্যান্য প্রবন্ধ, সেইসব লেখা। 
অনুবাদ - তানিয়া (মূল: পি. লিডভ), সংশয়ী রচনা: বার্টাণ্ড রাসেল, ফাউস্ট (মূল: ইয়োহান ভোলফ্‌ গাঙ ফন গ্যোতে)।
কবিতা - জল্লাদ সময়, দুঃখের দিনের দোহা, একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা, লেনিন ঘুমোবে এবার।
উপন্যাস - সূর্য তুমি সাথী, ওংকার, একজন আলী কেনানের উত্থান-পতন, মরণবিলাস, অলাতচক্র, গাভী বিত্তান্ত, অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী, পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ।
গল্পসংগ্রহ - নিহত নক্ষত্র।
ইতিহাসগ্রন্থ - সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস।
সৃজনশীল জীবনী - যদ্যপি আমার গুরু।
কিশোর গল্প - দোলো আমার কনকচাঁপা।
শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ - গো-হাকিম।
******************

*** ১৮৫৫ সালের এই দিনে - অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসক এবং শোষক জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে সান্তালদের গণ আন্দোলন শুরু হয়েছিল । দামিন-ই-কো বা সাঁওতাল পরগানা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জেগে উঠেছিল (চিত্তপ্রসাদের তুলিতে সাঁওতাল পরগানা মুর্শিদাবাদ আর বিহারের ভাগলপুরের মাঝখানের অঞ্চল)। ১৮৫৫ সালের এদিন সিধুঁ-কানহু নামক দুই সাঁওতাল সহোদর জীবন দিয়ে গড়ে তোলেন সাঁওতাল বিদ্রোহ, যা ইতিহাসে ব্রিটিশ রাজের সিংহাসন-কাঁপানো ‘সান্তাল হুল’ নামে পরিচিত। এ জন্য এ দিবসটিকে সাঁওতাল বিদ্রোহী দিবস হিসাবে পরিগণিত করা হয় । ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন এ যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়।
সাওতাঁলরা তীর-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলেও ইংরেজ বাহিনীর হাতে ছিলো বন্দুক ও কামান। তারা ঘোড়া ও হাতি যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা শাহাদত বরণ করেন। যুদ্ধে সিদ-কানহু-চান্দ ও ভাইরব পর্যায়ক্রমে নিহত হলে যুদ্ধ শেষ হয় ও বিদ্রোহের পরিসমাপ্তি ঘটে। সাঁওতাল বিদ্রোহের লেলিহান শিখা বৃটিশ সরকারের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
ইতিহাসবিদদের মতে সাঁওতাল জাতির ইতিহাসে সিধো-কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল যুদ্ধই ছিলো সর্বাধিক বৃহত্তম এবং গৌরবের বিষয়। তাদের এই বিদ্রোহই ভারতবর্ষে স্বাধীনতার বীজ বপন করে গিয়েছিল। এই যুদ্ধের ফলাফল হলো এই যে, ইংরেজ সরকার সাঁওতালদের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের ব্যবস্থা করলেন। ম্যাজিট্রেট এডন সাহেব সাঁওতালদের আবেদন শুনলেন। যুদ্ধের পরে সাঁওতালদের সমস্যা বিবেচনা করে আদিবাসী সাঁওতালদের জন্য একটি জেলা বরাদ্দ করা হলো। এই জেলার নাম হলো ডুমকা। এটাই সাঁওতাল পরগনা নামে পরিচিত।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাঁওতালরা সরাসরি সম্মুখ সমরে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বাধীন দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও রয়েছে তাঁদের সক্রিয় অবদান। আদিবাসীরা সহজ সরল জাতি। তারা দিনে আনে দিনে খায়। ইতিহাস আর ঐতিহ্য নিয়ে সময় ব্যয় করার সময় মোটেও তাদের নেই। তাই সাস্তাল হুলের মর্মকথা আজও তারা জানে না।
আদিবাসীরা লড়াকু জাতী। জীবণ সংগ্রামই তাদের চলার পথের পাথেয়। তাই আর থেমে থাকা নয়। সান্তাল হুলের মাধ্যমে ভারতে বসবাসরত আদিবাসীরা স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ২৫ লক্ষাধিক আদিবাসীকে তাদের অস্তিত্বের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। আজ থেকে ১৫৬ বছর আগে যে কারণে সিদ-কানহুকে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে হয়েছিল সেই একই কারণে আজো বাংলাদেশের আদিবাসীদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে।
আজ সান্তাল হুলের দিবস। সান্তাল বর্তমানে সাঁওতাল নামে পরিচিত। 'হুল' আদিবাসী সান্তাল ভাষার শব্দ। এর বাংলা আভিধানিক অর্থ হলো বিদ্রোহ বা সংগ্রাম বা যুদ্ধ। আজ থেকে ১৫৬ বছর আগে সান্তালরা যুদ্ধ করেছিল তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। তারা এ যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ইংরেজদের শাসন-শোষণ, সুদখোর, মহাজন ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এ বিদ্রোহের মহানায়ক চার ভাই সিদ-কানহু-চান্দ ও ভাইরোকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে কোন উদ্যোগ না থাকলেও বিভিন্ন বে-সরকারী সংগঠন ও আদিবাসী নেতৃবৃন্দ আজ থেকে শুরু করবে কয়েকদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী।
এ যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল বৃটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার, নীপিড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব সান্তাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। সান্তাল হুলের ইতিহাস হতে জানা যায় দামিন-ই কোহ ছিল সাঁওতালদের নিজস্ব গ্রাম, নিজস্ব দেশ। বহু কষ্ট করে জঙ্গল কেটে বন সাফ করে তারা তাদের জনপদ গড়ে তুলেছিল। অতীতে যে মাটিতে কোন মানুষের পা পড়েনি, সে মাটিকে তারা বাসযোগ্য করে গড়ে তুলেছিল আর সে মাটিতে ফলিয়েছিল ধান, ভুট্টা, নানা ধরণের সব্জি আর সোনালী ফসল। সুখে ছিল তারা দামিন-ই কোহতে। নিজেদের আলাদা একটি জগত তৈরী করেছিল তারা। সে জগতে কোন মহাজন, দালাল, জমিদার ছিলনা। কেউ ঋণী ছিলনা তখন।
কিন্ত তাদের এ শান্তির জনপদ কিছুদিন পর শান্তিতে থাকতে পারেনি । বণিকের দল ছিনিয়ে নেয় তাদের শান্তির সেই জনপদ । একে একে তাদের সকল অধিকার যখন এইসব বণিকের দল কেড়ে নিতে থাকে , তখন তাদের মনে জেগে উঠে বিদ্রোহের দাবানল।
নিরীহ ও শান্তি প্রিয় সান্তাল আদিবাসিরা ভারত বর্ষে জেগে উঠেছিল প্রতিবাদের দাবানল বুকে নিয়ে। বর্তমান সাঁওতালদের দেখে অনুমান করাই দুঃসাধ্য যে এ সান্তালরা একদিন ইংরেজ শাসকদের কঠিন বুকে কাপন ধরিয়ে দিয়েছিল । ক্রমাগত শোষন, বঞ্চানা, নির্যাতন, দাসত্ব এবং নারীদের অবমানোনা যখন ধৈর্যের বাধ ভেঙে দেয় তখন সাঁওতাল বিদ্রোহী দিবসে বিশেষ র‌্যালি এবং সাঁওতাল কৃষ্টিতে মহিলাদের নৃত্যের একাংশ শান্তিপ্রিয় সান্তালদের মধ্যে ক্ষোভের দাবানল জ্বলে উঠে এবং প্রতিবাদের ঝড় উঠে ।
সাঁওতালরা পূর্বভারত ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির একটি। তারা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাগোষ্ঠির অন্তর্গত একটি ভাষা সাঁওতালী ভাষায় কথা বলে । সাঁওতালরা দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বাস করে। দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট , ফুলবাড়ি, চিরিরবন্দর , কাহারোল এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জে সাঁওতালরা অধিক সংখ্যায় বাস করে। রাজশাহী এবং বগুড়া অঞ্চলে কিছু সংখ্যক সাঁওতাল আছে। প্রাচনিকাল থেকেই সাঁওতালরা এদেশে বসবাস করে আসছে। এরা মোট ১২ টি গোত্রে বিভক্ত সাঁওতালী ভাষায় এ গোত্র গুলো ‘পারিস‘ নামে অভিহিত যেমন - হাঁসদা, সরেন,টুডু, কিসকু, র্মুমু, মার্ড়ী, বাস্কে, ইত্যাদি ।
সাঁওতালরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালো বাসে। সাঁওতাল নারীরা খোপায় ফুল গুজতে ভালোবাসে। ভাত সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য। মাছ. কাঁকড়া , শুকর, মোরগ, মুরগি, বন জঙগলের পশু পাখি ও খরগোস গুইসাপ , ইঁদুর বিইজির মাংস এদের খুবই প্রিয় খাবার ।সাঁওতালরা কৃষিকাজের যন্তপাতি নিজেরা তৈরি করে। শিকার করার ব্যাপারে এদের উৎসাহ খুব বেশি। সা৭ওতালরা খুব আনন্দ প্রিয় মানুষ । বিভিন্ন পূজার্পাবণ ও সামাজিক উৎসবে এরা নাচ গানে মেতে ওঠে । এরা নিজস্ব সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলে । এদের জীবন যাপন সহজ ও সরল । শিল্পকলার প্রতিও এদের আগ্রহ রয়েছে। এরা তথা উপজাতিরাও বাংলাদেশের নাগরিক। তাই তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও আচর আচরণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাদের দিকে বিশেষ দষ্টি নয় প্রত্যেক নাগরিক ও নাগরিক অধিকারের দিকে যেভাবে দৃষ্টি দেয়া হয় সেভাবেই এদের দিকে দৃষ্টি দিলে গড়ে উঠবে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক। থাকবেনা নাগরিক ভেদাভেদ।

***********************************
০১। ২০১১ সালের এইদিনে - বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়। কমিউনিস্ট মতাদর্শের সংসদ সদস্যগণ দোদুল্যমান অবস্থার দোলাচলে অবশেষে চাপে পড়ে এ সংশোধনী পাশে ভোট দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে, এই সফল ভোট পর্ব সমাধা করেছিলেন। যিনি এই আইনের রচয়িতা, তথা মাননীয় আইনমন্ত্রী পক্ষে-বিপক্ষে কোথাও ভোট না দিয়ে, নীরবে ভোট পর্ব পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বহাল করার জন্য স্পীকার প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদকে বহাল করতে পারার জন্য, সর্ব প্রথমেই আল্লাহর শোকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরানের ২৬ নং আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে উপদেশও দিয়েছলেন এদিন।এ সংশোধনীর মাধ্যমেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। নারী অধিকার আইন রূপে কোরআন বিরোধী আইনের প্রবর্তন করা হয় ।
০২। ২০১১ সালের এইদিনে - দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আবেদ খান কালের কণ্ঠ থেকে পদত্যাগ করেন ।
০৩। ২০০৯ সালের এইদিনে - সমাপ্ত হয়েছে গ্রামীণ মহিলা উন্নয়ন প্রকল্প । প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গৃহীত কার্যক্রম সমূহের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারী নীতি, আদর্শ, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জুলাই ২০০৪ সাল থেকে জুন ২০০৯ মেয়াদে ১০১৭.৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয় সম্বলিত একটি প্রকল্প হিসেবে গ্রামীণ মহিলা উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ দুঃস্থ ও বেকার মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন কৃষি ও অকৃষি ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ শেষে আয়বর্ধক কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে আত্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের সংস্থান রাখা হয়েছিল। ১৩০টি উপজেলায় প্রকল্পের কর্মসূচীর আওতায় প্রকল্প মেয়াদকালে উপরোক্ত বিষয়ে জুন/২০০৯ পর্যন্ত ৫৪৬০০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং ৩২৪৭ জন মহিলাকে ২১৫.৭৪ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছিল।
০৪। ২০০৮ সালের এইদিনে - র‌্যাব সাইকি ভবনের মালিক পীরজাদা, মহাগুরু, জ্যোতিষ সম্রাট আর ভণ্ড বাবা ড. জীবন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে । জীবনের আখড়াসাইকি ভবন থেকে উদ্ধার করা হয় নানা ধরনের গোলক, বিভিন্ন রঙের পাথর, ছদ্মবেশ ধরার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের আলখাল্লা, মাদকদ্রব্য। সেই সঙ্গে জীবন চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা হয় অর্ধশতাধিক পর্নো ভিডিও। যেগুলোতে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে যৌনকাজে লিপ্ত দেখা যায় জীবন চৌধুরীকে। পরে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জীবন স্বীকার করে, যেসব নারীর বাচ্চা হয় না বা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসতো তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন তিনি। এতে অনেকে গর্ভবতী হয়ে যেতো।
০৫। ২০০৪ সালের এইদিনে - গণপূর্ত অধিদপ্তর মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। এতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৩ হাজার টাকা । বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিশেষ করে মুসলিম সাহিত্যিকদের প্রথম এবং প্রধান প্রাণপুরুষ মীর মশাররফ হোসেনের কবর সংলগ্ন ভূমিতে (রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার অন্তর্গত পদমদী গ্রামে) তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন ও কর্মের উপর গবেষণা পরিচালনার সুযোগ সুবিধাসহ স্মৃতিকেন্দ্র হিসাবে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৭ সালের ৩০শে অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনের প্রি-একনেক সভায় প্রকল্প সারপত্র অনুমোদিত হয়। পরবর্তীকালে ২০০০ সালের ২১শে মার্চ প্রকল্প ছক অনুমোদিত হয়। ১৯শে এপ্রিল ২০০১ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের জন্য ২ (দুই) পর্যায়ে সর্বমোট ১.৮৪ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
০৬। ২০০২ সালের এইদিনে - লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই পাটকলটি বন্ধ করে দেয় জোট সরকার৷ মিল বন্ধের ফলে ৩৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন৷ ৩শ' কোটি টাকা খরচ করলে মিলটি পুরো মাত্রায় উৎপাদনে যেতে পারত বলে বিভিন্ন মহলের ধারণা ছিল৷
০৭। ২০০০ সালের এইদিনে - সমাপ্য অর্থ বত্সরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয় ৷
০৮। ১৯৯৩ সালের এইদিনে - ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে লাখো জনতা অযোধ্যা অভিমুখে প্রতীকি লংমার্চ শুরু করেন।
০৯। ১৯৯১ সালের এ দিনে - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটে। ১৯৪৮ সাল থেকে দেশটির শতকরা মাত্র ২০ ভাগ শেতাঙ্গ সেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতাসহ অধিকাংশ সুযোগ সুবিধা শেতাঙ্গদের জন্য কুক্ষিগত করে রেখেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন নেলসন ম্যান্ডেলা। এ জন্য তাকে ২৭ বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন।
১০। ১৯৭৯ সালের এই দিনে - সুদানের জেনারেল ওমর আল বাশীর অভ্যন্তরীন সংকটের সম্মুখীন সুদানের সাদেক আল মাহদীর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। অভ্যুত্থানের পর তিনি হাসান আল তুরাবীর আদর্শিক নেতৃত্বের আওতায় সুদান জাতীয় কংগ্রেস দল গঠন করেন এবং জেনারেল বাশীর নিজের এ দলের প্রধান হন। বাশীর সুদানের প্রেসিডেন্ট হবার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হয়ে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করেন। ফলে মার্কিন সরকার বাশীরের শত্রুতে পরিনত হয়। মার্কিন সরকার তেল সমৃদ্ধ সুদানের বিদ্রোহীদের মদদ দিতে থাকে এবং ১৯৯৭ সালের আগষ্ট মাসে সুদানে মার্কিন ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হয়। কিন্তু এতসব বাধা সত্ত্বেও ওমর আল বাশীর অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশের সাথে এবং নিজ দেশের অভ্যন্তরে তার বিরোধীদের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হন।
১১। ১৯৭৮ সালের এইদিনে - পেরুর লিমায় জন্ম নেন ছোটবেলা থেকে রাজনীতির মাঠে এবং অসংখ্য তরুণের মনে ঝড় তুলা লুসিয়ানা লেওন লুসি।
১২। ১৯৭৪ সালের এইদিনে – মার্টিন লুথার কিং এর মা এ্যালবার্ট কিং আততায়ীর হাতে নিহত হন।
১৩। ১৯৭৪ সালের এইদিনে - বিশিষ্ট রাজনীতিক ভাষাসৈনিক জাতীয় লীগ প্রধান জনাব অলি আহাদ বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক হন।
১৪। ১৯৭৩ সালের এইদিনে - এবং ১লা জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সমাবেশে বাংলাদেশ সাংবাদিক ফেডারেশনের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বা বিএফইউজে রাখা হয়। বাবু নির্মল সেন বিএফইউজের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৫। ১৯৭১ সালের এইদিনে - 'নিউইয়র্ক টাইমস'- এর প্রতিনিধি সিডনি শ্যানবার্গকে ঢাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৬। ১৯৭১ সালের এইদিনে - মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে নীলমনিগঞ্জ, হালসা ও আলমডাঙ্গা রেল লাইন বিষ্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দিয়ে পাকসেনাদের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
১৭। ১৯৬৯ সালের এইদিনে - নাইজেরীয় সরকার বায়াফ্রায় পাঠানো রেডক্রসের সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করে দেন।
১৮। ১৯৬২ সালের এইদিনে – বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমীলা নজরুল সুদীর্ঘ রোগ ভোগের পর ইহলোক ত্যাগ করেন।
১৯। ১৯৬০ সালের এ দিনে - কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বা জায়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে। পেট্রিস লুমুম্বা দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। এর আগে কঙ্গো ছিল বেলজিয়ামের উপনিবেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পেট্রিস লুমুম্বার নেতৃত্বে কঙ্গোর স্বাধীনতা সংগ্রাম জোরদার হয়ে ওঠে এবং দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের পর বেলজিয়ামের মদদে কঙ্গোর বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহ দেখা দেয়। অন্যদিকে উপনিবেশবাদীদের দোসর মুসা চোম্বার সাথে লুমুম্বার সংঘাত দেশটির সংকটকে তীব্রতর কোরে তোলে। এ অবস্থায় বিজাতীয়দের অনুচর গোষ্ঠী পেট্রিস লুমুম্বকে হত্যা করায় কঙ্গোর পরনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়। ১৯৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট জেনারেল মোবোতো এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কঙ্গোর ক্ষমতা দখল করেন এবং তিনি জনগণের ওপর ব্যাপক দমন পীড়ন চালান। ১৯৭০ সালে কঙ্গো ডেমোক্রেটিক প্রজাতন্ত্রের নাম পরিবর্তন করে দেশটির নাম রাখা হয় জায়ার প্রজাতন্ত্র। কিন্তু ১৯৯৭ সালে জেনারেল মোবোতোর পতন ঘটলে দেশটির পুরনো নাম পুনর্বহাল করা হয়। আফ্রিকা মহাদেশের মাঝামাঝি অঞ্চলে অবস্থিত কঙ্গোর আয়তন ২৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। জাম্বিয়া, এঙ্গোলা, তাঞ্জানিয়া, কেন্দ্রীয় আফ্রিকা, সুদান, উগান্ডা, বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডা কঙ্গোর প্রতিবেশী দেশ।
২০। ১৯৫৭ সালের এইদিনে - আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক প্রধান, মাওলানা ভাসানী দলের সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন। কারণ ছিল এইচ এস সোহরাওয়ার্দীর পশ্চিমপন্থী নীতি, এর মধ্যে ছিল সুয়েজ সমস্যার ব্যাপারে 'সাম্রাজ্যবাদীদের' প্রতি তার সমর্থন, যা ছিল দলের নির্বাচনী ইশতেহারের পরিপন্থী।
২১। ১৯৪৫ সালের সালের এইদিনে - আমেরিকান সৈন্য কর্তৃক লুদুইগবারগ শহর থেকে গ্রেপ্তার এবং ১৯৪৭ সালের এইদিনে যাবজ্জীবন জেল হয় বিকৃত মস্তিস্কের পৃথিবীর এক কুখ্যাত মহিলা “Die Hexe von Buchenwald” বা Witch of Buchenwald বা Bitch of Buchenwald (জন্ম: ১৯০৬; মৃত্যু: ১৯৬৭ )। যার আসল নাম Ilse Koch। সে ছিল Karl Koch (commandant of the concentration camps Buchenwald from 1937 to 1941, and Majdanek from 1941 to 1943) এর স্ত্রী। স্বামীর ক্ষমতা ছাড়াও সে নিজেও ছিল ক্যাম্পের সুপারভাইজার। সেই সুবাদে সে বন্দীদের মধ্য থেকে যাদের শরীরে ট্যাটু আঁকা থাকত তাদের আর যাদের চামড়া সুন্দর তাদের আলাদা করে রাখত। তারপর যাদের শরীরে ট্যাটু ছিল তাদের হত্যা করে ট্যাটুটি চামড়া সহ কেটে সংরক্ষণ করত, সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও সে সংগ্রহ করত। তবে তার সবথেকে প্রিয় শখ ছিল সুন্দর চামড়াওয়ালা বন্দীদের হত্যা করে তাদের শরীরের চামড়া দিয়ে কুশন কভার, সাইড ল্যম্প, বালিশের কভার সহ অনন্যা জিনিস বানানো। কুখ্যাত এই মহিলাকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় ১৯৪৩ সালের ২৪শে অগাস্ট। কিন্তু প্রমানের অভাবে ছাড়া পায় সে , কিন্তু তার স্বামীর কারাদণ্ড হ্য়। জেল থেকে বেড়িয়ে সে চলে যায় লুদুইগবারগ শহরে। দ্বিতিয়বার ১৯৪৫ সালের এইদিনে গ্রেফতারের পর শুরু হয় তার বিচার। প্রমান হয় তার কুকীর্তির ইতিহাস। পাওয়া যায় মানুষের চামড়ার তৈরি তার সেই সব জিনিস। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই বিকৃত মস্তিস্কের মহিলা জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়।
২২। ১৯৩৪ সালের এই দিনে – হিটলার রাতে (নাইট অব দ্য লং নাইভস্‌ ) এসএ-র চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যার নির্দেশ দেন। তাঁর ওই নির্দেশ পালন করে স্কুৎসস্তাফেল (সংক্ষেপে এসএস) বা প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ হত্যা-অভিযানের সাঙ্কেতিক নাম ছিল ‘হামিংবার্ড’। স্টারমাবটেইলিং (সংক্ষেপে এসএ) বা ঝটিকা বাহিনী ছিল গুণ্ডাপাণ্ডাদের দল। তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় ওঠেন হিটলার। তারা হামলা চালাতো বিরোধীদের ওপর, আর হামলা ঠেকাতো হিটলারের সভায়। ১৯৩৪ সালে নাগাদ তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১০ লাখেরও বেশি। হিটলার কেন চড়াও হয়েছিলেন এসএ-র ওপর তা এখনও এক বিস্ময় হয়ে আছে ইতিহাসবিদদের কাছে । ১৯৩৪ সালের এই দিনে জার্মানীর তৎকালীন চ্যান্সেলর এডলফ হিটলার নিজ দল ন্যাশনাল সোসিয়ালিস্ট পার্টি বা নাৎসী দলের মধ্যে এক শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে তার বিরোধী বহু নেতাকে নির্মূল করেন। এ দিনে তিনি নাৎসী দলের সামরিক শাখা বা দমন-পীড়ক বাহিনী তথা এস. এ'কে বিলুপ্ত করেন। হিটলার এই ঘটনার কয়েকমাস আগে কমিউনিস্টদের ওপর দমন অভিযান চালিয়েছিলেন। তিনি ১৯৩৪ সালে জার্মানীর ক্ষমতায় পৌঁছেন এবং নাৎসী দলে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নিজের আধিপত্যকামী তৎপরতা অব্যাহত রাখেন।
২৩। ১৯২০ সালের এই দিনে - আয়াতুল্লাহ মীর্যা মোঃ ত্বাক্বী শিরাজীর নেতৃত্বে ইরাকের জনগণ বৃটিশ দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্রশক্তিগুলোর মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ওসমানীয় সাম্রাজ্যকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা হয়। এ সময় ইরাক, জর্দান ও ফিলিস্তিনের অভিভাবকত্ব ন্যস্ত করা হয় বৃটেনের ওপর। উপনিবেশবাদী বৃটিশরা এই সুযোগে প্রকাশ্যেই ইরাকের প্রাকৃতিক সম্পদসহ অন্যান্য সম্পদ লুট করতে থাকে। আয়াতুল্লাহ মীর্যা মোঃ ত্বাক্বী শিরাজী দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদের ফতোয়া দেয়ার পর গোটা ইরাকে বিপ্লব ও সশস্ত্র বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পাশ্চাত্যের অন্যান্য উপনিবেশবাদী সরকার বৃটেনকে সহায়তা দেয়ায় এবং তাদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের ফলে এ বিপ্লব তার লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারে নি।
২৪। ১৯১৬ সালের এইদিনে - রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২৫। ১৯০৮ সালের এইদিনে - রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বৈকাল হ্রদের উত্তর-পশ্চিমের দুর্গম পার্বত্য এলাকা টাঙ্গুস্কায় ঘটেছিল এক প্রচন্ড শক্তির বিস্ফোরন। এটি ছিল হাইড্রোজেন বোমা আবিস্কারের আগ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসের বৃহত্তম বিস্ফোরন । সে বিস্ফোরনের শক্তি ছিল হিরোশিমার পারমানবিক বোমার চেয়ে ১০০০ গুন বেশী শক্তি শালী। তখন গরমকাল, সকাল বেলা। সুর্য্যের মত উজ্জ্বল এবং উত্তপ্ত নীল আগুনের কুন্ড নেমে এল আকাশ থেকে। ৭-১৭ মিনিটে আঘাত হানল সে আগুন। এর প্রচন্ড শব্দ মনে হল লক্ষ কোটি কামান যেন একসাথে গর্জে উঠল, ৫০০ মাইল দুরেও শোনা গেল সে শব্দ।প্রচন্ড শব্দে চিরতরে শ্রবনশক্তি হারাল পশু চারনকারীরা। শুন্যে তুলে মাটির উপর আছড়ে ফেলল মানুষজন গবাদিপশুদেরকে। বিস্ফোরনে পুড়ে যাওয়ার পর শুরু হল কালো ছাইয়ের বৃস্টি, চলল কয়েকদিন। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মাইল দূরে কানস্ক ( Kansk) শহরে চলন্ত ট্রেন কেপে উঠে থেমে গেল। ১০,০০০ কিলোমিটার দূরে লন্ডনে বায়ুমন্ডলের চাপের তারতম্য ধরা পড়ল। পৃথিবীর উলটো দিকের ওয়াশিংটনের সিসমোগ্রাফ যন্ত্র জানান দিলো এই বিস্ফোরনের। ২১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে আনুমানিক ৮ কোটি গাছকে মাটির সাথে শুইয়ে দিয়েছিল এ বিস্ফোরন। এই বিস্ফোরনের মাত্রা ছিল ১০-১৫ মেগাটন টি,এন,টি’র সমান শক্তির। পারমানবিক বোমার আগে সবচে’ শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল টি,এন,টি বা ট্রাই,নাইট্রো টলুয়েন(TNT= Tri nitro toluene) আর মেগাটন সমান হল ১০ লক্ষ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ১কোটি ৫০ লক্ষ টন টি,এন,টি র সমান ছিল এর শক্তি। তাপমাত্রা উঠেছিল ৫০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এই বিস্ফোরন ছিল এ যাবৎ কালের সবচে বড় পারমানবিক বোমা রাশিয়ার “ জার বোম্বা”র তিনভাগের এক ভাগ সমান শক্তির।
২৬। ১৮৮৬ সালের এই দিনে - ন্যায়বান গভরমেন্ট দক্ষিণ সাহাবাজপুর পরগনা কোর্ট অব ওয়ার্ডসের শাষনাধীনে গ্রহণ করিয়া বাবু পিতাম্বর বন্ধ্যোপাধ্যায় মহায়শয়কে অস্থায়ী ম্যানেজার নির্ধারণ করিয়া দৌলতখায় প্রেরণ করে। দক্ষিণ সাহাবাজপুর পরগনা সাধারণত ২টি জমিদারিতে বিভক্ত। জমিদারির অন্তর্গত ১০৮টি তালুক, ২৪টি ওসত তালুক, ৪টি নিমওসত তালুক, ৩টি ইটমাম, ১৬১টি হাওলা, ২টি ওসত, ১৬টি নিমহাওলা ও ২টি ওসত হাওলা ছিল। ইলিশা নদীর উত্তর অংশ আজকের হিজলা মুলাদি এবং দক্ষিণ অংশে নতুন গড়ে ওঠা এই দ্বীপটিকে বলা হতো দক্ষিণ শাহবাজপুর। উনিশ শতকের প্রথমভাগে মেঘনার শাখা নদী ইলিশা ও তেতুলিয়া বৃহত্তর আকার ধারণ করে। ফলে ভয়ংকর কালাবাদুর নদী পাড়ি দিয়ে নৌকা পথে জেলা সদর দফতরের সাথে দক্ষিণ শাহবাজপুরের যোগাযোগ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বাকেরগঞ্জ হতে দক্ষিণ শাহবাজপুর (ভোলা) ও হাতিয়াকে নোয়াখালীর অর্ন্তভূক্ত করার। ১৮২২ সালের ২২ শে এপ্রিল জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দক্ষিণ শাহবাজপুরকে নোয়াখালীর অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করেন এবং ঐ বছর ৩রা জুলাই নোয়াখালীর জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেট এইচ পারকার দক্ষিণ শাহবাজপুরের দায়িত্ব বুঝে নেন। ১৮৪৫ সালে দক্ষিণ শাহবাজপুরকে মহকুমা করা হয়। তখন এই মহকুমা থানা ছিল মাত্র দুটি, ভোলা ও দৌলতখা। মহকুমা সদর দফতর দৌলতখায় অবস্থিত।
২৭। ১৮৫১ সালের এইদিনে – কবি এলিজাবেথ ব্যারেট ব্রাউনিং মৃত্যুবরণ করেন।
২৮। ১৭৫৭ সালের এই দিনে - নবাব সিরাজুদ্দৌলা স্বীয় পত্নী ও কন্যাসহ পালিয়ে যাবার সময় পথিমধ্যে রাজমহলে রাত কাটাতে গিয়ে ৩০শে জুন তিনি ধরা পড়েন। ২রা জুলাই রাতে সাধারণ বন্দীর মত শৃঙ্খলিত অবস্থায় সিরাজুদ্দৌলাকে নতুন নবাব মীরজাফরের সম্মুখে উপস্থিত করা হয়। ঐ রাতেই মীরজাফরের পুত্র মীরণের আদেশে মুহাম্মাদী বেগ তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বাংলার প্রাণপ্রিয় নবাব সিরাজুদ্দৌলা চিরবিদায় নেন।
২৯। ১৭২৭ নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ মৃত্যুবরণ করেন।
৩০। ৭১৩ ইমাম জয়নুল আবেদিন ইন্তেকাল করেন।
৩১। ৬৫৬ হযরত আলী (রাঃ) খেলাফত লাভ করেন।
=================

শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১২

ইতিহাসে ২৯শে জুন


ইতিহাসে ২৯শে জুন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------


*** মধুকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত :

১৮৭৩ সালের এই দিনে - উনিশ শতকের বাঙালি কবি , বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক , বাংলা সাহিত্যের যুগপ্রবর্তক , নাট্যকার , মহাকবি ও বেঙ্গল থিয়েটার - এর অন্যতম উপদেষ্টা মধুকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি, ১৮২৪ – ২৯ জুন, ১৮৭৩) মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী সাগরদাড়ি গ্রামে এক জমিদার বংশে। মাইকেলের বাবা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার প্রতিষ্ঠিত উকিল। সাগরদাড়ি গ্রামে মা জাহ্নবী দেবীই তাঁকে রামায়ণ , মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতির সঙ্গে সুপরিচিত করে তোলেন। সাগরদাড়ির পাশের গ্রাম শেখপুরা মসজিদের ইমাম মুফতি লুৎফুল হকের কাছে তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। বিদ্বান ইমামের কাছে তিনি বাংলা, ফারসী ও আরবি শিক্ষা লাভ করেন।

সাগরদাঁড়িতেই তাঁর বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। প্রথমে তিনি সাগরদাড়ি গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হন। সাত বছর বয়সে তিনি কলকাতায় যান এবং খিদিরপুর স্কুলে দুবছর পড়াশোনার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। হিন্দু কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় তার কিছু কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। এ সময় ১৮৪৩ সালে তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেন ও তার নামে মাইকেল শব্দটি যোগ করেন। ফলে হিন্দু কলেজে তার লেখাপড়া বন্ধ করতে হয় এবং তিনি ১৮৪৪ সালে বিশপস কলেজে ভর্তি হন।

ধর্মান্তরের কারণে তিনি তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এ কারণে ১৮৪৮ সালে মাদ্রাজ যান এবং ১৮৫২ সাল পর্যন্ত সেখানে শিক্ষকতা করেন। মাদ্রাজেই তিনি সাংবাদিক ও কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। মাদ্রাজে বসেই তিনি হিব্রু, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ইটালিয়ান, তামিল ও তেলেগু ভাষা শেখেন। তার প্রথম দুটি গ্রন্থ এখান থেকেই প্রকাশিত হয়। এখানেই তিনি প্রথমে রেবেকা ম্যাকটিভিস ও পরে হেনরিয়েটাকে বিয়ে করেন। রেবেকা ম্যাকটিভিসের সাথে দাম্পত্যজীবন কাটান সাত বছর । রেবেকার গর্ভে মধুসূদনের দুই পুত্র ও দুই কন্যার জন্ম হয়েছিল। এরপর ম্যাকটিভিসের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় ।

পিতার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্ত্রী হেনরিয়েটাকে নিয়ে তিনি ১৮৫৬ সালে কলকাতায় আসেন এবং প্রথমে কেরানি ও পরে দোভাষীর চাকরি করেন। এ সময় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন মাইকেল এবং বেলগাছিয়া নাট্য থিয়েটারের সঙ্গে জড়িত হন। ১৮৫৮ সালে রচনা করেন নাটক শর্মিষ্ঠা। প্রকৃতপক্ষে এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক নাটক।

১৮৬২ সালে মধুসূদন ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইংল্যান্ড যান। ১৮৬৩ সালে প্যারিস হয়ে ভার্সাই নগরীতে যান এবং সেখানে দু’বছর থাকেন। ভার্সাই-এ থাকার সময়ই তিনি সনেট লেখা শুরু করেন। ১৮৬৬ সালে গ্রেজ-ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করে ১৮৬৭ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টে আইন ব্যবসায় যোগ দেন ও পরে বিভিন্ন চাকরি করেন। তিনি বাংলায় ১২টি এবং ইংরেজি ভাষায় পাচটি বই প্রকাশ করেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদ বধ কাব্য নামক মহাকাব্য।

তাঁর রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে, কাব্য - মেঘনাদ বধ কাব্য, তিলোত্তমা সম্ভব, দি ক্যাপটিভ লেডী, ব্রজাঙ্গনা। নাটক – শর্মিষ্ঠা, কৃষ্ণকুমারী, পদ্মাবতী। প্রহসন - বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা। এ ছাড়াও - পত্রকাব্য বীরাঙ্গনা, সনেট বঙ্গভাষা, কপোতাক্ষ নদ, দ্য ক্যাপটিভ লেডি, চতুর্দশপদী কবিতাবলী , ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। হোমারের ইলিয়াড অবলম্বনে তিনি রচনা করেন হেক্টরবধ। তাঁর শেষ রচনা - মায়াকানন নাটক।

বাংলার এই মহান কবীর শেষ জীবন অত্যন্ত দুঃখ-দুর্দশায় কেটেছে। তিনি ছিলেন অমিতব্যয়ী। ঋণের দায়, অর্থাভাব, অসুস্থতা, চিকিৎসাহীনতা ইত্যাদি কারণে তার জীবন হয়ে উঠেছিল দূর্বিষহ। স্ত্রী হেনরিয়েটার মৃত্যুর তিনদিন পর মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতা আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে কপর্দকশূন্য করুণ অবস্থায় মৃত্যু হয় এই মহাকবির। কবির এ মৃত্যুদিনে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলী।

*******************

০১। ২০০৯ সালের এই দিনে - বার্নি ম্যাডোফ নামে এক ধনকুবেরকে ১৮০০ কোটি ডলার আত্মসাতের ঘটনায় ১৫০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এটা ছিল মার্কিন ইতিহাসে অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজার ঘটনা। 

০২। ২০০৮ সালের এই দিনে - দিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুদুচেরি ও কলকাতায় গৌরব পদযাত্রা আয়োজিত হয়।

০৩। ১৯৯৯ সালের এই দিনে - ই.ইউ.ল্যাটিন আমেরিকার প্রথম শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্ত হয় ।

০৪। ১৯৯২ সালের এই দিনে - আততায়ীর গুলিতে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোদিয়াফ নিহত হন।

০৫। ১৯৯১ সালের এই দিনে - কোমেকোন নামক অর্থনৈতিক জোটের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর জোটের প্রতিনিধিরা হাঙ্গেরির রাজধানীতে সমবেত হয়ে এই সংস্থাটির বিলুপ্তি ঘোষণা করে। ১৯৪৯ সালে পূর্বাঞ্চলীয় ব্লকের দেশগুলোর অর্থনীতিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে পরিচালিত করার লক্ষ্যে এই জোটটি গঠন করা হয়েছিল। পোল্যান্ড, রুমানিয়া, হাঙ্গেরি, চেকোস্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া, ভিয়েতনাম, কিউবা, মঙ্গোলিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিয়ে এই সংস্থাটি গঠিত হয়েছিল।

০৬। ১৯৮৬ সালের এইদিনে – প্রখ্যাত কৃষক নেতা ও রাজনীতিবিদ হাজী মোহাম্মদ দানেশ মৃত্যুবরণ করেন।

০৭। ১৯৭৬ সালের এই দিনে - সেইশেলস নামক দীপপুঞ্জটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬০ সাল থেকে দীপ দেশটিতে স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং ১৬ বছর ব্যাপী তীব্র সংগ্রামের পর দেশটির জনগণ স্বাধীনতা লাভ করতে সক্ষম হয়। ২৮০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট পূর্ব আফ্রিকার সেইশেলস প্রজাতন্ত্র, ভারত মহাসাগরের কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।

০৮। ১৯৬৬ সালের এইদিনে – মার্কিন বোমারু বিমান উত্তর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বোমা বর্ষণ করে।

০৯। ১৯৩৮ সালের এইদিনে – বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক অজিত রায় জন্ম জন্মগ্রহণ করেন। অজিত রায় (মৃত্যুঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১) ছিলেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী। প্রথিতযশা কন্ঠ শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ভুবনে অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে চার দশক কালেরও অধিক সময় ধরে তাঁর দৃপ্ত পদচারণায় মুখরিত ছিল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল।

শিক্ষা ও সঙ্গীত ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে রংপুর কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন অজিত রায়। কৈশোরেই তবলা বাজানো শিক্ষা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তাঁকে গানে হাতে খড়ি দিয়েছেন তার মা কণিকা রায়। তাঁর গান শেখার প্রেরণা ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। এরপর ১৯৬৩ সাল থেকে রেডিওতে গান গাইতে শুরু করেন। পরে টেলিভিশন প্রচলনের পর থেকে সেখানেও গান গেয়েছেন তিনি। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়কাল হতে প্রতি বছর ভাষা আন্দোলনের বিশেষ দিন হিসেবে ২১শে ফেব্রুয়ারীকে স্মরণ করে একটি করে নতুন গান করে আসছিলেন তিনি। এই রকমই একটি গান হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বিদ্রোহী কবিতায় আলতাফ মাহমুদের সুর করা গান।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সহকর্মী শিল্পীদের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের জুন মাসে তিনি কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। এসময় তাঁর সতীর্থ হিসেবে ছিলেন - আপেল মাহমুদ, আব্দুল জব্বার, সমর দাস, কাদেরী কিবরিয়া, সুজেয় শ্যাম-সহ অন্যান্য শিল্পীরা। এ সময়ে তাঁর রচিত ও সুরারোপিত বিখ্যাত গানগুলো রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীসহ সাধারণ মানুষদেরকে স্বদেশকে ঘিরে চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করেছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রচারিত আখতার হোসেন রচিত “ স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে আজ ’’ গানটিতে সুর ও কন্ঠ দিয়েছিলেন এ অজিত রায়।

১০। ১৯৩৮ সালের এইদিনে – সিরাজউদ্দৌলা বিষয়ক দ্বিতীয় উলেৱখযোগ্য ও শচীন সেনগুপ্তের সুবিখ্যাত নাটক সিরাজউদ্দৌলা প্রথম মঞ্চস্থ হয়। শচীন সেনগুপ্তের সিরাজউদ্দৌলা বাংলার রঙ্গমঞ্চে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় নাটক। এ নাটকটি ছিল ৩ অঙ্ক ও ৯ দৃশ্যের। এ নাটকে ইতিহাসের তথ্য যেমন ছিল তেমনি ইতিহাসের সম্ভাবনাসিদ্ধ কাল্পনিক চরিত্রের সমন্বয়ও ঘটেছিল। তৎকালীন বাঙালির দেশপ্রীতির সঙ্গে সিরাজের দেশ্রপ্রেমের সম্মেলন সাধন করে নাট্যকার সিরাজউদ্দৌলাকে বাঙালি জাতির নায়করূপে নির্ণয় করেছিলেন।

১১। ১৯২৯ সালের এইদিনে – ইতালির ফোরেন্সে জন্মগ্রহণ করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সক্রিয় কর্মী, আপসহীন রাজনৈতিক সাক্ষাতকার গ্রহণকারী , সাহসি সাংবাদিক ও ইটালিয়ান লেখিকা ওরিয়েনা ফাল্লাচি । তিনি এমন একজন সাংবাদিক ছিলেন যে, কথপোকথনের মাধ্যমে আসল সত্যকে উদ্ধার করতে পারতেন। সাংবাদিক হিসেবে ওরিয়ানা আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত রাজনৈতিক ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বের সাক্ষাতকার নিয়েছেন। তাদের মাঝে হেনরি কিসিঞ্জার, ইরানের শাহ, আয়াতুল্লাহ খোমিনি, উইলি ব্রান্ডিট, জুলফিকার আলী ভুট্টো, ওল্টার ক্রনকিট, ওমর খাদাফি, ফেডরিকো ফেলিনি, ইয়াসির আরাফাত, ইন্দিরা গান্ধী, শেখ মুজিব,শন কনারি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওরিয়ানা ফাল্লাচি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণতান্ত্রিক স্বশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী 'গুইয়াসতিজিয়া ই লিবার্তা'য় যোগ দেন। রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'এল ইউরোপীয়' তে দীর্ঘদিন বিশেষ রাজনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি বহু খ্যাতনামা সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেছেন। ১৯৬৮ সালে মেক্সিকান স্বশস্ত্র গোষ্ঠী ওরিয়ানার ওপর তিনবার বন্দুক হামলা চালায়। প্রতিবারই তিনি অল্পের জন্যে প্রাণে রক্ষা পান।

১৯৭৩ সালে সাক্ষাতকার নিতে গিয়ে আলেক্সজান্ডার প্যানাগোউলিস'র প্রেমে পড়েন তিনি। ১৯৬৭ সালের গ্রিক একনায়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন আলেক্সজান্ডার প্যানাগোউলিস।সাংবাদিকতায় ওরিয়ানা ফাল্লাচি দুইবার সম্মানজনক 'সেন্ট ভিনসেন্ট' পুরস্কার অর্জন করেন। শিকাগোর কলাম্বিয়া কলেজ তাঁকে 'ডি লিট' সম্মানে ভূষিত করে। ওরিয়ানা ফাল্লাচি ইউনির্ভার্সিটি অব শিকাগো, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, হার্ভাড ইউনিভার্সিটি এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে লেকচার দিয়েছেন। তাঁর লেখা বিশ্বের প্রায় ২১টি ভাষায় অনূদিত হয়।

তাঁর রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে - এ ম্যান , দ্য সেভেন সিনস অব হলিউড , দ্য ইউজলেস সেক্স : ভয়েজ অ্যারাউন্ড দ্য ওম্যান, পেনেলোপ এট ওয়ার , লাইমলাইটার্স , দ্য ইগোটিস্ট : সিক্সটিন সারপ্রাইজিং ইন্টারভিউস, কুয়েল জিওরনো সুলা লুনা, ইনশাল্লাহ, ইফ দ্য সান ডাইস, ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরি, লেটার টু অ্যা চাইল্ড নেভার বর্ন, নাথিং অ্যান্ড সো বি ইট, ওরিয়ানা ফাল্লাসি ইন্টারভিসতা ওরিয়ানা ফাল্লাচি, দ্য রেজ অ্যান্ড দ্য প্রাইড এবং দ্য ফোর্স অব রিজন উল্লেখযোগ্য। ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে নিজ শহর ইতালির ফোরেন্সে মৃত্যবরন করেন তিনি। ১৯৭২ সালের ফেব্রিয়ারীতে ফেল্লাচি বাংলাদেশে আসেন শেখ মুজিবের সাক্ষাতকার নেবার জন্য।

১২। ১৯১৩ সালের এই দিনে - বলকান অঞ্চলে দ্বিতীয় যুদ্ধের সূচনা হয়। এ যুদ্ধ ছিল বুলগেরিয়ার সাথে সার্বিয়া, গ্রীস, মন্টিনিগ্রো, রুমানিয়া ও ওসমানীয়দের। এর এক বছর আগেই প্রথম বলকান যুদ্ধে ওসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, গ্রীস ও মন্টিনিগ্রো বেরিয়ে যাবার ঘোষণা দেয় এবং ওসমানীয়দের দূর্বলতার কারণে এসব দেশ স্বাধীনতা লাভ করতে সক্ষম হয়। এভাবেই ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু প্রথম বলকান যুদ্ধে স্বাধীনতা লাভকারী এসব দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ অব্যাহত থাকে এবং অবশেষে ১৯১৩ সালের এই দিনে দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধের সূচনা হয়। এ যুদ্ধে বুলগেরিয়া নিরুপায় হয়ে শান্তির প্রস্তাব দেয় এবং বুখারেস্ট শান্তি চুক্তি অনুযায়ী বুলগেরিয়া,ওসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে দখলীকৃত ভূখন্ডের কিছু অংশ সার্বিয়া, রুমানিয়া, গ্রীস ও মন্টিনিগ্রোর নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেয়। বলকান যুদ্ধই আসলে ১৯১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রথম মহাযুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরী করেছিল।

১৩। ১৮৮৬ সালের এই দিনে - ফ্রান্সের বিখ্যাত চিত্র শিল্পী এডলফ মন্টিসেলি ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

১৪। ১৮৬৮ সালের এইদিনে – প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের নিউজ এজেন্সি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৫। ১৮৬৪ সালের এইদিনে – আইনজ্ঞ , বাংলার বাঘ (Tiger of Bengal - ২৯ জুন,১৮৬৪ - ২৫ মে, ১৯২৪) স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতার ভবানীপুরে সেসময়ের চিকিৎসক গঙ্গাপ্রসাদ মুখার্জী ও জগত্তারীনী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর। ১৮৭৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৮৮৪ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ডিগ্রী , ঈশান বৃত্তি এবং ১৮৮৫ সালে গণিতে এম.এ ও ১৮৮৬ সালে পদার্থবিদ্যায় এম.এ ডিগ্রী লাভসহ একই সালে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি (পি.আর.এস.) অর্জন করেন। ১৮৮৮ সালে তিনি বি.এল. ডিগ্রী লাভ করেন এবং তখন থেকেই আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৮৮০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে বিভিন্ন জার্নালে তিনি উচ্চতর গণিতের ওপর প্রায় বিশটির মতো প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।

ইন্ডিয়ান অ্যাসোশিয়েসন ফর দি কালটিভেশন অব সায়েন্স-এর সাথে তিনি সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ১৮৮৭ থেকে ১৮৯১ সালের মধ্যে তিনি গণিতের ওপর একাধিক লেকচার প্রদান করেন। তাঁর দুটি অসাধারণ অ্যাকাডেমিক অবদান হলো ১৮৯৩ সালে প্রকাশিত জিওমেট্টি অব কোণিক্স এবং ১৮৯৮ সালে প্রকাশিত ল অব পারপিচুইটিস। ১৯০৮ সালে তিনি ক্যালকাটা ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৪ সালে তিনি ল’ এর ওপর ডক্টরেট ডিগি্র লাভ করেন এবং ১৮৯৮ সালে ট্যাগোর ল প্রফেসর হন। ১৯০৪ সালে তিনি তাঁর কাঙ্খিত কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। এর আগে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ও ১৮৮৯ সালে এর সিন্ডিকেটের সদস্যের পদ অলংকৃত করেন।

তিনি ১৮৯৯ থেকে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯০২ সালে লর্ড কার্জন তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করেন। ১৯০৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৯১৪ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯২১ থেকে ১৯২৩ সালের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভাইস-চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত হন। এ সময়েই তিনি কলা ও বিজ্ঞান শাখার পি.জি. কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হন। ১৮৮৯ সাল থেকেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। আশুতোষ মুখার্জী ১৯২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯২৪ সালের ২৫ মে পাটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৬। ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের গোড়াপত্তন হয়েছিল। তখন বাহিনীর নাম ছিল রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন। সৈন্যসংখ্যা ছিল ৪৪৮। ছয় পাউন্ড গোলা, চারটি কামান এবং দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল নিয়ে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়। সীমান্ত এলাকায় সমস্যা বৃদ্ধির কারণে এ বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের অভিযানে অংশ নেয়।

১৮৬০ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়নের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ফ্রন্টিয়ার গার্ডস।

১৮৬১ সালে পূর্বাঞ্চলের নিয়মিত-অনিয়মিত পুলিশ বাহিনীর এক হাজার ৪৫৪ জনের সমন্বয়ে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়নকে পুনর্গঠিত করে নাম রাখা হয় ফ্রন্টিয়ার গার্ডস। এর সদর দপ্তর ছিল চট্টগ্রাম; কামরূপ, গোয়ালপাড়া, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও ত্রিপুরা সীমান্ত-ফাঁড়িগুলো এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৭৯ সালে স্পেশাল কোম্পানি নামে এই বাহিনীর তৎকালীন সদস্যরা পিলখানায় প্রথম ঘাঁটি স্থাপন করেন।

১৮৯১ সালে এ বাহিনীকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে ফ্রন্টিয়ার গার্ডসের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ। বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ বাহিনীকে চারটি কোম্পানিতে ভাগ করা হয়। এর স্থায়িত্বকাল ছিল ১৯১৯ সাল পর্যন্ত।

১৯২০ সালে বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করে নাম রাখা হয় ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলস। ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলসকে ১৬টি প্লাটুনে ভাগ করে সীমান্ত রক্ষায় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত করা হয়। এর স্থায়িত্বকাল ছিল ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত বিভাগের পর ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলসের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস। এর সংক্ষিপ্ত নামকরণ করা হয় ইপিআর। কলকাতা মেট্রোপলিটন আর্মড পুলিশের একটি দল এবং বাঙালি ও পশ্চিম পাকিস্তানের এক হাজার সেনা এ বাহিনীতে যোগ দেয়। দক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার জন্য ইপিআরে সামরিক বাহিনী থেকে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি আধাসামরিক সংস্থা। এর কাজ হল মূলত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা করা। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার পিলখানায় অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এর নাম ছিল ইপিআর অর্থাৎ ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্‌স। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ ইপিআর বাহিনীকে পুনর্গঠন করে এর নাম রাখা হয় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)। ১৯৮০ সালের ৩ মার্চ থেকে এ বাহিনীর স্বীকৃতি হিসেবে সরকার একে জাতীয় পতাকা প্রদান করে। ১৯৯৭ সালের ১৬ মার্চ বিডিআর বাহিনীর জন্য তিন রঙের সংমিশ্রণে ছাপা কাপড়ের ইউনিফর্মের প্রবর্তন করা হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে বিডিআরের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জওয়ান সংঘটিত করেন ইতিহাসের বিভীষিকাময় নারকীয় হত্যাকাণ্ড। পিলখানা সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের বিভীষিকাময় উক্ত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিডিআরের ২১৫ বছরের গৌরবময় অধ্যায়ের ছন্দপতন ঘটে। কিন্তু বিডিআর আইনে দোষীদের নগণ্য শাস্তির বিধান থাকায় আইন পরিবর্তনেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করে নতুন আইনও প্রবর্তন করা হয়। ২৩ জানুয়ারি ২০১১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবির পতাকা উত্তোলন করেন।

১৭। ১৭৫৭ সালের এইদিনে - লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন । মীর জাফরের প্রথম দরবারে মীর জাফরের আবদারক্রমেই ক্লাইভ মীর জাফরের হাত ধরে তাঁকে নবাবী মসনদে বসান । মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন। লোভী, বিশ্বাসঘাতক, অপদার্থ এ মীর জাফর ছিলেন এদেশের ইতিহাসের এক ঘৃণ্য চরিত্র, একটি ক্লীব, একটি ক্লেদ, একটি অপাঙক্তেয় নাম।

১৮। ৮৪৬ সালের এইদিনে - বিখ্যাত আরবি কবি আবু তাম্মাম মৃত্যুবরণ করেন।
================

বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২

ইতিহাসে ২৮শে জুন


ইতিহাসে ২৮শে জুন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------



০১। ১৯৪০ সালের এইদিনে - বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত সওদাগর পরিবারে পিতা দুলা মিয়া সওদাগর ও মাতা সুফিয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান এই ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের লামারবাজার অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে থাকতেই তেরো বছর বয়সে বয়স্কাউটের জাতীয় সমাবেশ জাম্বুরিতে যোগদানের জন্য ১৯৫৩ সালে করাচি ভ্রমন করেন। বয়স্কাউট হিসেবে ১৯৫৫ সালে কানাডা ও ১৯৫৯ সালে ফিলিপাইন ও জাপান সফর করেন। ১৯৫৫তে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়ে “ দু’পাতা ’’ নামে একটা লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদনা শুরু করেন। এ সময় তিনি কলেজের “সম্মিলিত ছাত্র প্রগতি সংঘের’’ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। এরই মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের যাবতীয় শিল্পজাত দ্রব্যের জন্য আবশ্যক প্যাকেজিং সামগ্রির পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য ১৯৬৪ সালে একটি প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন যা প্যাকেজিং সামগ্রির চাহিদা মেটাতে অনেকটা সক্ষম হয় এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৬৫ সালের মাঝামাঝি উচ্চশিক্ষার জন্য ফুলব্রাইট বৃত্তি নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান এবং ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। আমেরিকায় থাকাকালীন তিনি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় ও মধ্য টেনেসি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতায় নিযুক্ত থাকেন। এবং ১৯৭০ সালে তিনি রাশান বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক ভিরা ফোরোস্টেনকোর সাথে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি আমেরিকায মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আত্মনিয়োগ করেন এবং অর্থ সংগ্রহ, আন্দোলন, প্রচারণা ও জনমত গঠনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। “বাংলাদেশ নাগরিক সমিতির’’সচিব ও দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষে প্রকাশিত সংকলন সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দেন। এক পর্যায়ে কমিশনের দায়িত্বে ইস্তফা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে চলে যান। ১৯৭৪ সালে সৃষ্ট বাংলাদেশের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের হাত ধরেই ড. ইউনূসের চিন্তা জগতে উন্মেষ ঘটে নতুন ভাবনার। ক্ষুধায়, আহামারীতে মানুষের এতো মৃত্যু দেখে ভীষণ বিব্রত তিনি উপায় খুঁজতে গিয়ে প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে বিনাচাষে পড়ে থাকা বিস্তীর্ণ আবাদযোগ্য জমিতে প্রয়োজনীয় ফসল ফলানোর উদ্যোগ হিসেবে “নবযুগ তেভাগা খামার আন্দোলন” শুরু করেন এবং এতে সুফলও পান। পরবর্তীতে শ্রমসম্বল দরিদ্র মানুষগুলোকে মহাজনী জোঁকের হাত থেকে উদ্ধার করার নিমিত্তে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে যে বোধোদয়টি তাঁর হলো - প্রচলিত নিয়মে যাদের অর্থ আছে, জামানত দেয়ার যোগ্যতা আছে তারাই ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন, যার নেই তিনি পাবেন না। তিনি এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন এবং সদম্ভে ঘোষণা করলেন, “ঋণ মানুষের মৌলিক অধিকার।’’ কিন্তু রাষ্ট্রের এখানে কিছুই করণীয় নাই জেনে এবার নিজেই উল্টো স্রোতের কাণ্ডারি হয়ে ওঠলেন। স্থানীয় জোবরা গ্রামের ৪২টি হতদরিদ্র পরিবারকে নিজের পকেট থেকে মাত্র ৮৫৬ টাকা দৈনিক কিস্তিতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করলেন। এর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৬ সালের আগষ্ট মাসে চট্টগ্রামের বুড়িশ্চর ইউনিয়নের এই জোবরা গ্রামেই একটি প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প হিসেবে এককালে বিশ্বখ্যাত হয়ে ওঠা এই গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের শুরু। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থনে প্রকল্পটি টাঙ্গাইলের সুরুয গ্রামে সম্প্রসারণ ঘটে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)-এর আর্থিক সহায়তায় ১৯৮২ সালে প্রকল্পটি ঢাকা, রংপুর এবং পটুয়াখালী জেলায় সম্প্রসারিত হয়। সাফল্যের সাথে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার প্রেক্ষিতে ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকল্পটিকে গ্রামীণ ব্যাংক নামকরণ করে একটি বিশেষায়িত ঋণদান প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ জারি করা হয় এবং একটি স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রায় পঁচিশটি বছর, সিকি শতাব্দি। ইতোমধ্যে ড. ইউনূস হয়ে ওঠলেন বিশ্বজয়ী ক্ষুদ্রঋণের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রায়োগিক অর্থনীতির রূপকার একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিলে যাঁকে একদিন অনেকেই ‘পাগল’ সম্বোধন করতেও দ্বিধা করেনি, তারাই চোখ কপালে তুলে হাঁ করে দেখতে লাগলো কীভাবে কালে কালে ঈর্ষণীয় সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠলো ড. ইউনূসের স্বীকৃতির ঝুলি। বিশ্বের সব সেরা স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জনে বাদ না পড়া ইউনূসের সত্তরেরও অধিকটি পুরস্কার ও এওয়ার্ডের সুদীর্ঘ তালিকার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারে এমন ব্যক্তি গিনেজ বুক অব রেকর্ডসেও আর কেউ নেই। ব্যক্তিগতভাবে মাত্র ৮৫৬ টাকা দিয়ে যে স্বপ্নের শুরু, তাই কালে কালে আজ জোবরা থেকে বিশ্ব জয় করে অসলোতে গিয়ে ছুঁয়েছে তার আলো। “দুনিয়ায় কেউ গরীব থাকবে না, গরীব না থাকাই মানুষের অধিকার’’- এই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রো ক্রেডিটের জনক হিসেবে বিশ্বস্বীকৃত। তাঁর হাত ধরেই ১৯৮০ সালের পর ডিকশনারিতে যোগ হয় “micro-cradit+’’ শব্দটি। বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি দরিদ্র মানুষ সহ বিশ্বের ১৩১ টি দেশের ১২ কোটিরও অধিক মানুষ তাদের ভাগ্যোন্নয়নে বর্তমানে এই ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় এসেছে। ড. ইউনূসের এ ক্ষুদ্রঋণ তত্ত্বের সাফল্য গাঁথাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ ২০০৫ সালকে “আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্রঋণ বর্ষ’’ হিসেবেও পালন করে। ১৩ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে পুরস্কার ঘোষণার প্রাক্কালে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ওলে ডানবোল্ট মিউস তাঁর সাইটেশনে বলেন -“নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। সেদিন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ক্যামব্রিজ প্রোগ্রাম ফর ইন্ডাস্ট্রির (সিপিআই) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা তালিকায়ও বিশ্বের ৫০ জন অগ্রণী চিন্তকের অন্যতম চিন্তক হিসেবে ঘোষণা করা হলো প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নাম। ( ডঃ ইউনুসের এ তথ্যগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি - টাইমস্ আই বেঙ্গলী’র কাছে )।

০২। ২০১১ সালের এইদিনে - ভিকারুননিসা নুন স্কুলের এক ছাত্রীর ওপর যৌন নিপীড়নের আসামী ও শিক্ষক নামধারী শিক্ষক সমাজের এক কলঙ্ক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঐ স্কুলের দশম শ্রেণীর ৪০ জন ছাত্রী অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করে।

০৩। ২০০৯ সালের এইদিনে - এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধানদের নিয়ে চারদিন ব্যাপী সম্মেলন ঢাকায় শুরু করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল আবদুল হাফিজ এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

০৪। ২০০৭ সালের এইদিনে - চট্টগ্রামে জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন।

০৫। ২০০৬ সালের এইদিনে - আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফুটবলার জিয়ানলুকা পেসোটো৷ তিনি ছিলেন ১৯৯৮ এর বিশ্বকাপের ফাইনালে ইটালির স্কোয়াডে৷ তবে এসময় তিনি কাজ করছিলেন জুভেন্টাসের টিম ম্যানেজার হিসেবে৷

০৬। ২০০২ সালের এইদিনে - কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার কাশিমপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে মোঃ শাহআলম তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে সেখানে তাঁকে পাওনা টাকা না দিয়ে হত্যা করা হয়।

০৭। ১৯৯৮ সালের এই দিনে - আরেকটি রেকর্ড গড়েন ড্যানিশ ফুটবলার এবে স্যান্ড৷ নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার মাত্র ১৬ সেকেন্ডে গোল করেন তিনি৷ একই দিনে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গোল্ডেন গোল করেছিলেন ফ্রান্সের লরেন্ট ব্ল্যাঙ্ক৷ গোলটি হয়েছিল ১১৩ মিনিটে এবং সাথে সাথেই খেলা শেষ করার বাঁশি দিয়েছিলেন শ্রীলংকান রেফারি সামারাত্না বিক্রামাতুঙ্গে৷

০৮। ১৯৯৪ সালের এই দিনে - বিশ্বকাপের ফাইনালে পাঁচ গোল করার রেকর্ড গড়েন রুশ ফুটবলার ওলেগ স্যালেঙ্কো৷ ঐ ম্যাচে ক্যামেরুনকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল রাশিয়া৷ একই ম্যাচে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে একটি গোল করেন ক্যামেরুনের রজার মিলার৷ ঐ দিন তাঁর বয়স ছিল ৪২ বছর ৩৯ দিন৷

০৯। ১৯৯৩ সালের এইদিনে - ব্যাংক অব চায়না ইউরোপীয় বাজারে ফিরে আসে। এদিন ব্যাংক অব চায়নার ডেপুটি গভর্নর ইয়াং হুইছিউ লণ্ডনে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং গোষ্ঠীর সঙ্গে লণ্ডনের বাজারে ব্যাংক অব চায়নার ২০ কোটি মার্কিন ডলারের ইউরোপীয় বণ্ড ইস্যু করা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯৮৮ সালের পর থেকে ব্যাংক অব চায়না প্রথমবারের মতো ইউরোপের বাজারে ফিরে আসে।

১০। ১৯৯২ সালের এইদিনে - বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লাটভিয় দাবাড়ু মিখাইল তাল মৃত্যুবরণ করেন।

১১। ১৯৯২ সালের এইদিনে - চীনা বিজ্ঞানী ছিয়েন সানছিয়াং মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯২ সালের ২৮ জুন চীনের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী চীনের পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা , চীনের বিজ্ঞান একাডেমির একাডেমিশিয়ান, চীনের বিজ্ঞান সমিতির সাম্মানিক চেয়ারম্যান ছিয়েন সানছিয়াং রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

১২। ১৯৭৯ সালের এইদিনে - প্রাইড প্যারেড " ওরগুলো গে " নামে স্পেনের মাদ্রিদে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় । বর্তমানে এই উৎসব ইউরোপের বৃহত্তম প্রাইড প্যারেড। একাধিক বহুজাতিক সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও ট্রেড ইউনিয়ন এই প্যারেডে অর্থসাহায্য করে থাকে। ২০০৭ সালে ইউরোটাইড নামে ইউরোপিয়ান প্রাইড প্যারেড অনুষ্ঠিত হয় মাদ্রিদেই। ২,৫০০,০০০ মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন। এক সপ্তাহের মধ্যে ৩০০টির বেশি অনুষ্ঠানসূচি রাখা হয়। মাদ্রিদের গে ডিস্ট্রিক্ট চুয়েকা ইউরোপের বৃহত্তম গে ডিস্ট্রিক্ট। এই অঞ্চলটিই ছিল তাই উৎসবের কেন্দ্রভূমি। সেদেশের শহর, আঞ্চলিক ও জাতীয় সরকার এই উৎসবে সহায়তা করেন। এছাড়াও বার্সিলোনা, ভ্যালেনসিয়া ও সেভিল শহরেও স্থানীয় গৌরব পদযাত্রা আয়োজিত হয়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ২০০৬ সালে সাও পাওলো শহরেই বিশ্বের বৃহত্তম গৌরব পদযাত্রার আয়োজন করা হয় ; এই পদযাত্রায় অংশ নেন ২৫০০০০০ অংশগ্রহণকারী। গৌরব পদযাত্রা বা প্রাইড প্যারেড (ইংরেজি: Pride parades) নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী (এলজিবিটি) সংস্কৃতির উৎসব। অনেক সময় সমকামী বিবাহ সহ অন্যান্য আইনগত ইস্যুকে তুলে ধরার জন্যও এই জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অধিকাংশ গৌরব পদযাত্রাই বার্ষিক অনুষ্ঠান। আধুনিক এলজিবিটি অধিকার আন্দোলনের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা স্টোনওয়াল বিদ্রোহের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনেক গৌরব পদযাত্রার আয়োজন করা হয় জুন মাসে।

১৩। ১৯৭৮ সালের এইদিনে - পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের দেহভস্ম ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে সংরক্ষণ করা হয়।

১৪। ১৯৭৬ সালের এইদিনে - আমেরীকার বিমান বাহিনী ও কোস্টগার্ড একাডেমীতে প্রথম মহিলা ক্যাডেটদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।

১৫। ১৯৭৬ সালের এইদিনে - ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়।

১৬। ১৯৭১ সালের এই দিনে - এদেশে নিধনযজ্ঞের প্রধান হোতা ইয়াহিয়া আবারো তার মিথ্যা ভাষণ নিয়ে উপস্থিত হয় প্রচার মাধ্যমে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা না দিয়ে এদেশবাসীর উপর তখন লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় হানাদার দালালদের। সে তার ভাষণে ‘দেশ ও জাতির জন্যে কল্যাণকর পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে। এই পরিকল্পনা ছিল তাবেদার দালালদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের এবং গণহত্যার। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে সে তার ভাষণে বলে, ‘এসব মুষ্টিমেয় দুষ্কৃতকারীর হাতে নির্বাচনের ফলাফলকে নস্যাৎ হতে দেয়া যায় না।’ আর সেই উদ্দেশ্যে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সকল নির্বাচিত সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকে সে আখ্যায়িত করে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী, শঠ, বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে।এদেশের ছাত্র সমাজ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে অগ্রণী ও মুখ্য ভূমিকায়। আর তাই ঘাতকদের কাছে সবচেয়ে আতঙ্কের মানুষ ছিল সে সময়ের ছাত্রনেতারা। এজন্যে ২৮ জুন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্রনেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে তাদের অনুপস্থিতিতেই সামরিক কর্তৃপক্ষ ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। পাক-শাসকদের রোষ এতোই বেশি ছিল যে, তাদের দৃষ্টিতেও মূল ‘অপরাধ’ অর্থাৎ কথিত ‘দেশদ্রোহিতা’র বিচার না করে শুধুমাত্র আদালতে হাজির না হবার জন্যেই এ শাস্তি দেয়া হয়।

১৭। ১৯৭১ সালের এইদিনে - জেনারেল হামিদ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করে বিমান বাহিনীর সদস্যদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়ার নির্দেশ দেয়।

১৮। ১৯৭০ সালের এইদিনে - বিদ্রোহের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে গে লিবারেশন ফ্রন্ট গ্রিনউইচ ভিলেজের কর্নার উয়েইর থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্ক পর্যন্ত একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই সপ্তাহান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টের সমকামী অধিকার গোষ্ঠী লস এঞ্জেলসে একটি মিছিল ও সান ফ্রান্সিসকোতে একটি মিছিল ও 'গে-ইন'-এর আয়োজন করে। বর্ষপূর্তির ঠিক একদিন আগে, ১৯৭০ সালের ২৭ জুন,শনিবার, শিকাগো গে লিবারেশন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। এই মিছিলের আয়োজন করা হয় ওয়াশিংটন স্কোয়ার পার্ক ("বাগহাউস স্কোয়ার") থেকে ওয়াটার টাওয়ারের নিকটস্থ মিশিগান অ্যাভেনিউ ও শিকাগো অ্যাভেনিউয়ের সংযোগস্থল পর্যন্ত। তবে অংশগ্রহণকারীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে যান সিভিক সেন্টার (অধুনা রিচার্ড জে. ড্যালে) প্লাজা পর্যন্ত। দুটি কারণে এই দিনটিকে নির্বাচন করা হয়েছিল। প্রথমত, পূর্ববর্তী বছরের জুন মাসের শেষ শনিবারে স্টোনওয়ালের ঘটনাটি ঘটেছিল। দ্বিতীয়ত, উদ্যোক্তারা মিশিগান অ্যাভেনিউয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক কেনাকাটাকারীদের কাছে নিজেদের বক্তব্য পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। শিকাগোতে এরপর থেকে অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলের মিছিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে জুন মাসের শেষ রবিবার মিছিলের আয়োজন করা হতে থাকে। প্রথম বছরের “গৌরব পদযাত্রার” আয়োজন হয়েছিল ভাবগম্ভীর ও আমোদপ্রমোদমূলক পরিবেশের মধ্যে দিয়ে। সমকামী অধিকার আন্দোলনকারীদের মনে এই পদযাত্রা বিশেষ রেখাপাত করে। পরবর্তী বছরগুলির বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বার্ষিক পদযাত্রার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। নিউ ইয়র্ক ও আটলান্টা অঞ্চলে এই পদযাত্রাকে বলা হয় গে লিবারেশন মার্চ ও অনুষ্ঠানের দিনটি গে লিবারেশন ডে নামে পরিচিত ছিল। সান ফ্রান্সিসকো ও লস এঞ্জেলসের পদযাত্রা গে ফ্রিডম মার্চ ও অনুষ্ঠানের দিনটি গে ফ্রিডম ডে নামে চিহ্নিত হয়। অন্যান্য শহরে পদযাত্রা ও উৎসব শুরু হলে এই নামগুলি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৮০-এর দশকে সমকামী আন্দোলনে এক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। অপেক্ষাকৃত নরমপন্থী মনোভাবাপন্ন অধিকারকর্মীরা বিভিন্ন শহরে পদযাত্রা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে থাকেন। তাঁরা "গে লিবারেশন" বা "গে ফ্রিডম" জাতীয় শব্দ বর্জন করে "সমকামী গৌরব" বা "গে প্রাইড" শব্দটি গ্রহণ করেন।

১৯। ১৯৬৯ সালের এইদিনে - শনিবার অতি প্রত্যুষে নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী, রূপান্তরকামী ও জিজ্ঞাসু ব্যক্তিরা নিউ ইয়র্কের গ্রিনউইচ ভিলেজের স্টোনওয়াল ইনে পুলিশের আকস্মিক হানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। স্টোনওয়াল ইন ছিল একটি গে বার। এখানে বিভিন্ন ধরনের খরিদ্দারের আনাগোনা ছিল। তবে ক্রস-ড্রেসার, রূপান্তরকামী, মেয়েলি যুবক, যৌনকর্মী ও গৃহহীন যুবকদের মতো সমকামী সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কাছে এই বার ছিল বিশেষ জনপ্রিয়। মনে করা হয়, স্টোনওয়াল বিদ্রোহের মাধ্যমেই সূচিত হয় আধুনিক সমকামী অধিকার আন্দোলন। কারণ এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই আধুনিক ইতিহাসে এলজিবিটি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গ্রেফতারি প্রতিরোধ করে।

২০। ১৯৫৯ সালের এইদিনে - পানচানলামার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তুতি কমিটির দ্বিতীয় পূর্ণাংগ অধিবেশনে "সমগ্র তিব্বত অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সংস্কার চালানো সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত" গৃহীত হয়।

২১। ১৯৫৮ সালের এইদিনে - ৬-৩ গোলে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়েছিল ফ্রান্স৷ এটি ছিল বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা৷ এই দিনেই জাস্ট ফন্টাইন চারটি গোল করে বিশ্বকাপের ছয় ম্যাচে মোট ১৩ টি গোল করার রেকর্ড গড়েন৷ এই রেকর্ড ভাঙ্গেন ১৯৭৪ সালে জার্মান স্কোরার গেয়ার্ড ম্যুলার৷

২২। ১৯৫৭ সালের এইদিনে - কয়েকটি মুসলিম দেশের অর্থায়নে “The Islamic Center of Washington Dc" প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেন্টারটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডুইট ডি এইসেনহাওয়ার (Dwight D. Eisenhower) বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের অধিনে অন্যান্য ধর্মের ইমারাতের মতই এই কেন্দ্রটি, উপসনা করার এই জায়গাটিকেও স্বাগতম। তোমাদের নিজস্ব ধর্ম এবং নীতি অনুযায়ী উপসনা করা এবং নিজস্ব চার্চ (মসজিদ) থাকার অধিকারের ব্যাপারে আমেরিকানরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে যাবে।’’ এটিই ছিল মার্কিন যুক্টরাষ্টের ইতিহাসে প্রথম আনুষ্ঠানিক মসজিদ।

২৩। ১৯৫৪ সালের এইদিনে - জওহরলাল নেহেরু ও চৌ এন লাই ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল নীতি ঘোষণা করেন।

২৪। ১৯২৮ সালের এইদিনে - আয়ারল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী জন স্টুয়ার্ট বেল জন্মগ্রহণ করেন।

২৫। ১৯১৯ সালের এইদিনে - ভার্সাই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছিল। ভার্সাই চুক্তি একটি শান্তিচুক্তি , যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুদ্ধের মিত্রশক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহ এবং জার্মানির মধ্যে সম্পাদিত হয়।

২৬। ১৯১৪ সালের এইদিনে - বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানৎস ফার্ডিনান্ড এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত হন। সার্বিয়াকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে অস্ট্রিয়া। শুধু দায়ী করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, হত্যাকাণ্ডের মাত্র এক মাস পর ২৮ জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশটি। স্বাভাবিক কারণেই দু’দেশের বন্ধু দেশগুলোও এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইতিহাসে এই যুদ্ধই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি,তুরস্ক,বুলগেরিয়া। যাদের বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি। আর অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেনে, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও আমেরিকা। যাদের বলা হতো মিত্রশক্তি। এ যুদ্ধে জার্মানির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় শক্তি পরাজিত হয়।

২৭। ১৯০১ সালের এইদিনে - ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মণি সিং জন্মগ্রহণ করেন।

২৮। ১৮৯৪ সালের এইদিনে - ‘কল্লোল’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক গোকুলচন্দ্র নাগ জন্মগ্রহণ করেন।

২৯। ১৮৮৬ সালের এইদিনে - তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশ মৃত্যুবরণ করেন।

৩০। ১৮৬৭ সালের এইদিনে - নোবেলজয়ী (১৯৩৪) ইতালীয় সাহিত্যিক লুইজি পিরানদেল্লোর জন্মগ্রহণ করেন।

৩১। ১৮৪০ সালের এইদিনে - আফিম যুদ্ধ বাধে । আফিম যুদ্ধ ছিল ১৮৪০ সাল থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত চীনের ওপর ব্রিটেনের পরিচালিত এক আগ্রাসী যুদ্ধ। অষ্টাদশ শতাব্দির শেষ দিক থেকে ব্রিটেন চীনের কাছে প্রচুর আফিম রপ্তানি শুরু করে। অবিরাম ধারায় আমদানী করা আফিম শুধু যে চীনা জনগণের মনস্তাত্ত্বিক আর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তা নয়, উপরন্তু চীনের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ রূপা নিয়ে যাওয়া হয় , ফলে চীনের সরকার ও চীনা জনগণ গরীব হয়ে পড়ে । আফিমের মারাত্মক ক্ষতি উপলব্ধি করে চীনের বিচক্ষণ ব্যক্তিগণ এবং জনসাধারণ আফিম প্রতিরোধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে অপরাধমূলক আফিম ব্যবসা রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ শাসকরা প্রকাশ্যে চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আফিম যুদ্ধ চালায়।

৩২। ১৮৩৮ সালের এইদিনে - রানী ভিক্টোরিয়ার রাজ্যাভিষেক হয়।

৩৩। ১৮৩৬ সালের এইদিনে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি জেমস ম্যাডিসন জন্মগ্রহণ করেন।

৩৪। ১৭১২ সালের এইদিনে - বিশ্বখ্যাত ফরাসী দার্শনিক, বিখ্যাত লেখক ও চিন্তাবিদ জন জ্যাক রুসো সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জন্মগ্রহন করেন।

৩৫। ১৬৫৭ সালের এইদিনে - দারাশিকো অনূদিত ‘শির-ই-আকবর’ প্রকাশিত হয়।
==============

অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুনদের একটা স্বার্থক সংগ্রাম


অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুনদের একটা স্বার্থক সংগ্রাম
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
------------------------------------


অনেকে অনেক সংগঠন করে , কিন্তু এমন কোন কার্যকর সংগঠন দেখিনা যেগুলো প্রকৃতই মানবকল্যানে কর্ম করে ।

আমাদেশের দেশের তরুনদের দ্বারা বিদেশ থেকে শিল্পী এনে তাদের ভর্তি পেঠ ভরানোর জন্য সংগঠন সৃষ্টি করতে দেখা যায় , কিন্তু সেই তরুনদের দ্বারা দেশের সর্বহারা , অভুক্ত মানুষদের আশ্রয়দান ও খাদ্যের জোগানে কোন সংগঠন সৃষ্টি করতে দেখা যায়না , যদিও কিছু কিছু তরুনদের দেখা যায় এমন সংগঠন সৃষ্টি করতে , কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য হিসাবে দেখা যায় , কিছু ফটোসেসন আর নিজেদের বড়ত্ব প্রকাশের লক্ষ্যে থাকে তাদের ওসব কর্মসুচী , প্রকৃত ভাবে তরুনরা মানবকল্যানে কোন কাজে নামেনা ।
অথচ তরুনদের কাছেই সেই সুবর্ণ সময় অফুরন্ত , যা দিয়ে তারা মানবকল্যানে কাজ করতে পারে । আপনাদের মাঝে যারা তরুন , টগবগে রক্ত শরীরে ফুটন্ত পানির মত টগবগ করে ফুটছে , তাঁরা দেখিয়ে দিন এমন একটা সংগঠন সৃষ্টি করে , যে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে একমাত্র মানবকল্যান , পিছিয়ে পড়া মানুষদের সম্মুখে যাত্রায় সহযোগীতা করন ।
ধনীদের দ্বারা কোন কাজ হবে না , তাদের একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো সম্পদ আহরণ , সেই সম্পদ বিতরণ তাদের উদ্দেশ্য নয় । তাই লক্ষ লক্ষ ধনী দেশের অলিগলিতে বসবাস করলেও তাদের চোখে পড়েনা তাদের যাত্রাপথে পড়ে থাকা এইসব নিরন্ন - বুভুক্ষ - গৃহহীন মানুষদের । এদের দিকে যাদের চোখ পড়ে তারা হচ্ছে এদেরই মত মানুষদের ।
তাই ধনীদের আশা বাদ দিয়ে খালি হাতের তরুনদের মাধ্যমেই হতে পারে এইসব পথের মাঝে বসত করা বণিআদমদের কল্যান ।
যাঁদের নজর আজ এ দুটি শিশু দেখে থমকে গেছে - একমাত্র তারাই কিছু করতে পারে এদের জন্য , ধনীরা নয় । আজ যাঁরা এ শিশু দু'টি দেখে মনের মধ্যে ধাক্কা খেয়েছেন তারা অন্তত একটু চিন্তা করতে পারেন , তাদের নিজ নিজ সাথীদের নিয়ে এদের জন্য কি করা যায় ?
ধনীরা যতদিন এদের জন্য কিছু না করবে , ততদিন খালিহাতের তরুনরা ধনীদের কাছ থেকে ধন ছিনিয়ে নিয়ে এদের জন্য কিছু করতে পারে । এটা অন্যায় হবেনা , ধনীরা এদের জন্য কিছু না করে যে অন্যায় করে যাচ্ছে , খালি হাতের তরুনদের ধনীদের সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে এদের মাঝে বিতরণ করা হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুনদের একটা স্বার্থক সংগ্রাম ।
================

শৈশবের আষাঢ় মাস



শৈশবের আষাঢ় মাস
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------



টাপুর টুপুর বৃষ্টি ফোটায় নাচছে দেখ পুকুর পানি
তাই দেখে লুঙ্গী ফেলে বাচ্ছা দলের লাফলাফানী !
লম্ফ দিয়ে বাচ্ছারা সব পড়ছে দেখ পুকুর মাঝে ,
ন্যাংটা সে সব বাচ্ছা দেখে মেয়েরা সব মরে লাজে !


এমন মধুর সময় সে যে বৃষ্টিমাখা এই আষাঢ়ের দিন ,
বৃষ্টি ফোটায় ঝম্ ঝমা ঝম্ গান গেয়ে যায় ঘরের টিন !
বৃষ্টি ফোটা মাথায় নিয়ে মাছ ধরে যায় মানুষ সকল ,
বর্ষা দিনের আনন্দে হয় বাচ্ছাদের সব সেঁতু দখল ।


সেঁতু থেকে লাফিয়ে পড়ে আনন্দ পায় বাচ্ছা দলের সব ,
সেঁতুর নীচে গড়িয়ে পানি স্রোত বহে যায় যব !
কি মধুর শৈশবের সেই আষাঢ় মাসের বর্ষা দিন ,
খেলতাম সবে এমনি ভাবে সেই স্মৃতি আজও হয়নি মলিন !
========================= 

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১২

ইতিহাসে ২৭শে জুন


ইতিহাসে ২৭শে জুন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------- 

০১। ২০১১ সালের এইদিনে - চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও বৃটেনের বিজ্ঞান একাডেমীর প্রদান-করা 'রাজা দ্বিতীয় চার্লসের পদক' গ্রহণ করেন।

০২। ২০১১ সালের এইদিনে - পটুয়াখালীর দুমকিতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইনে মামলা দায়ের করেছে এক নির্যাতিত স্ত্রী।

০৩। ২০১১ সালের এইদিনে - কুড়িগ্রামের বালিয়ামারিতে সীমান্ত হাট চালু হয়।

০৪। ২০১১ সালের এইদিনে - নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে টানা ৮ বছর কর্তব্য পালন শেষে ডা.সেলিনা হায়াত আইভী দায়িত্ব ছেড়ে দেন। সংবাদ সম্মেলন করে সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘জনগণের উপস্থিতিতে আজ আমি চেয়ার ছেড়ে দিলাম, ইনশাল্লাহ উন্নয়নের স্বার্থেই নারায়ণগঞ্জবাসী আমাকে আবারো নির্বাচিত করবেন’।

০৫। ২০০৯ সালের এইদিনে - ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোবারকগঞ্জ রেলষ্টেশনের কাছে একটি যাত্রীবাহী চলন্ত ট্রেনের কামরায় শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ১০ যাত্রী আহত। ট্রেনটি খুলনা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল।

০৬। ২০০৮ সালের এইদিনে - গ্রামীণফোন অফিসে একটা গুজব রটে যে, গতকাল দুটি পত্রিকাকে গ্রামীণফোন ৫০ লাখ টাকা করে ঘুষ দিয়েছে যাতে করে তারা গ্রামীণফোনের আন্দোলনের খবর পত্রিকায় প্রকাশ না করে।

০৭। ২০০৭ সালের এইদিনে - গর্ডন ব্রাউন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

০৮। ২০০৪ সালের এইদিনে - খুলনার দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ূন কবির বালুকে বোমা মেরে খুন করা হয়।

০৯। ১৯৯৬ সালের এইদিনে - সংগ্রামী নেত্রীর প্রতিকৃতি, সফল মানবাধিকার নেত্রী, আদিবাসি অধিকার রক্ষা আন্দোলনের অগ্রনায়িকা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক , কল্পনা চাকমার মুক্তির লক্ষ্যে পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসিরা রাজপথে নেমে আসেন। তাঁদের দাবি ছিল, “এই মুহুর্তে কল্পনা চাকমার মুক্তি দাও”। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী গুলি চালায় তাঁদের শান্তিপূর্ণ সামাবেশে। এতে নিহত হয় স্কুল ছাত্র রুপম চাকমা (১৬)। বাঘাইছড়িতে সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাবার পথে অপহৃত হয় স্কুল ছাত্র সুকেশ চাকমা, মনতোষ চাকমা এবং সমর চাকমা। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে “জীবন মানেই সংগ্রাম” - এই দশর্নেই বিশ্বাসী কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করা হয়। ওই রাতে সেনাবাহিনীর লেফট্যানেন্ট ফেরদৌস এর নেতৃত্বে ১১ জনের একটি অপহরণকারি দল কল্পনাদের বাড়ি ঘেরাও করে এবং কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় । সংবাদে প্রকাশ হয় যে , ১৯৯৬ সালের ১৯ মার্চ লেফট্যানেন্ট ফেরদৌস এর নেতৃত্বে পরিচালিত হামলায় বেশ কিছু সংখ্যক জুম্মা জনগোষ্ঠী আহত হন। বহু বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে কল্পনা চাকমা সেনাবাহিনী ও সরকারেরর কঠোর সমালোচনা করেন। এরপরই কল্পনা চাকমার বাড়ি আক্রমণ করে সেনাবাহিনী। তারা সেদিন কল্পনা চাকমার দুই সহোদর কালীচরণ চাকমা ও ক্ষুদিরাম চাকমাকেও অপহরণ করেছিল। কিন্তু তারা কোনরকমে সেনাবাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে যান। তবে কল্পনা অপহরণকারিদের জালে আটকা পড়েন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কল্পনা অপহরণের ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়। বিচারপতি আবদুল জলিলের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা ছিলেন চট্রগ্রামের সেইসময়কার জেলা প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন এবং চট্রগ্রাম বিশ্ববিবদ্যালয়ের অধ্যাপক অনুপম সেন। ১৯৯৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কমিটি রিপোট পেশ করে সরকারের কাছে।

১০। ১৯৯১ সালের এইদিনে - বিখ্যাত ‘কমিউনিস্ট ইস্তেহারে’র প্রথম সংস্করণের একটি কপি লন্ডনে নিলামে ৬৮১০০ ডলারে বিক্রি হয়।

১১। ১৯৯১ সালের এইদিনে - শ্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

১২। ১৯৯১ সালের এইদিনে - যুগোস্লাভির সরকারী বাহিনী এবং স্লোভেনিয়ার সশস্ত্র শক্তির মধ্যে বিরাটাকারের সশস্ত্র সংঘর্ষ ঘটে। এর পর যুগোস্লাভিয়ার গৃহ যুদ্ধ বাঁধে।

১৩। ১৯৯০ সালের এইদিনে - নিকারাগুয়ার সরকার-বিরোধী সশস্ত্র বাহিনী সরকারের কাছে আত্মসর্মপন করে। যার ফলে নিকারাগুয়ার গৃহ যুদ্ধের অবসান ঘটে।

১৪। ১৯৮১ সালের এইদিনে - চীনের এয়োদশ অধিবেশন পেইজিংএ শুরু হয়। অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে 'চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর পাটির ইতিহাসের কতকগুলো প্রশ্ন সম্পর্কে প্রস্তাব' অনুমোদিত হয়।

১৫। ১৯৮০ সালের এইদিনে - ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত বিগ হিটার টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান , কেভিন পিটার পিটারসেন ( ডাক নাম - কেপি, কেলভস, ক্যাপস, কেভ ) পিটার ম্যারিজবার্গ, ন্যাটাল, ব্রাজিলে জন্মগ্রহণ করেন। খেলোয়াড় জীবনে তিনি - দিশান চার্জারস, দিল্লী ডেয়ারডেভিলস, ডলফিনস, হ্যাম্পশ্যায়ার, আইসিসি বিশ্ব একাদশ, কাওয়াজুলু-ন্যাটাল, ন্যাটাল, নটিংহ্যামশ্যায়ার, রয়েল চ্যালেঞ্জারস ব্যাঙ্গালোর, সাররি ও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁর খেলার পজিশন হলো - টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং ব্যাটিং পজিশন হলো - রাইট আর্ম অফব্রেক। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার এই খেলোয়াড় শিক্ষাগ্রহণ করেন - ম্যারিজবার্গ কলেজ, ইউনিভার্সিটি অফ এস এ-তে। তিনি ১৯৯৭ সালে প্রথম ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে প্রবেশ করেন। ইংল্যান্ড দলের ‘লম্বা, লাউড, ব্রাশ’ একমাত্র সুপার ব্যাটসম্যান পিটারসেনকেই বলা হয়ে থাকে। বিগ হিটিং, বিগ শর্ট ও দূর্দান্ত খেলার ফলশ্রুতিতে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান এই কেভিন পিটার পিটারসেন।

১৬। ১৯৭৭ সালের এইদিনে - স্পানিশ ফুটবল খেলোয়াড় রাউল গনজালেস জন্মগ্রহণ করেন।

১৭। ১৯৭৭ সালের এইদিনে - জিবুতি (সাবেক ফরাসি সোমালিল্যান্ড) স্বাধীনতা লাভ করে।

১৮। ১৯৭২ সালের এইদিনে - নওমুসলীম দাউদ হার্ন্সবাই আলী (Dawud Wharnsby Ali , পূর্বের নাম- David Howard Wharnsby ) জন্মগ্রহণ করেন। এই নওমুসলীম ১৯৯৩ সালে ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় নিজেকে প্রবিষ্ঠ করান। দাউদ হার্ন্সবাই একজন কানাডিয়ান গায়ক ও গীতিকার। ১৯৯১ সালে Three O'Clock Tea গানের মধ্যমে তিনি গানের জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৭ সালে তার Out Seeing The Fields এলবামে তিনি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনকারী মানবাধিকার কর্মী "Rachel" ইসরাইলীদের দ্বারা নিহত হওয়ার স্মরণে "Rachel" নামে একটি গান করেন, যা সেই সময় অনেক জনপ্রিয়তা পায়।

১৯। ১৯৬২ সালের এইদিনে - কাস্ত্রো দাবি করেন কিউবা এমন প্রতিরোধ ব্যাবস্থা নিচ্ছে যাতে আমেরিকার কন হামলার জবাবে বিশ্ব যুদ্ধের মত পাল্টা জবাব দেয়া যায়। এতে সোভিয়েত ইউনিয়ন সাহায্য করছে।

২০। ১৯৫৭ সালের এইদিনে - ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক ম্যালকম লাউরি মৃত্যুবরণ করেন।

২১। ১৯৫৪ সালের এইদিনে - সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।

২২। ১৯৫০ সালের এইদিনে - যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর তেইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে।

২৩। ১৯৪১ সালের এইদিনে - ক্রিস্তফ কিয়েশ্‌লফ্‌স্কি, পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা জন্মগ্রহণ করেন।

২৪। ১৯৪০ সালের এইদিনে - সৌভিয়েত ইউনিয়ন বলটিক সাগর বরাবরী তিনটি দেশ দখল করে নেয়।

২৫। ১৯৩৮ সালের এইদিনে - কুওমিনডাং সরকারের সামরিক কমিশনের প্রকাশিত ' জাপান-বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ বিজয়ের প্রথম বার্ষিকী সম্পর্কে প্রচার কর্মসূচিতে' উহান শহরকে রক্ষার স্লোগান উত্থাপিত হয়।

২৬। ১৯৩৫ সালের এইদিনে - চীন আর জাপানের মধ্যে ছিনথু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

২৭। ১৯২৭ সালের এইদিনে - চীনের মন্ত্রী সভায় চীনের উপর আক্রমণের সাধারণ নীতির তথাকথিত প্রাচ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

২৮। ১৯০০ সালের এইদিনে - সেন্ট্রাল লন্ডন ইলেকট্রিক রেলওয়ে উদ্বোধন করা হয়।

২৯। ১৮৮০ সালের এইদিনে - অন্ধ ও বধির মার্কিন লেখিকা হেলেন কেলার জন্মগ্রহণ করেন।

৩০। ১৭৫৯ সালের এইদিনে - কুইবেক যুদ্ধ শুরু হয়।
====================

ইতিহাসে ২৬শে জুন


ইতিহাসে ২৬শে জুন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

০১। আজ ও এই তারিখে CIH বা চেরনোবিল ভাইরাস কম্পিউটার আক্রমন করে । এছাড়াও প্রতি মাসের ২৬ তারিখে আক্রমণ করতে দেখা যায় । ১৯৯৯ এর ২৬শে এপ্রিল বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার CIH বা চেননোবিল নামক ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যয়ের সম্মূখীন হয়। টাইম বোমার মতো নির্দিষ্ট সময়ে এ ভাইরাসটি কম্পিউটারকে আক্রমণ করে। একই সময়ে সারাবিশ্বে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এটাই সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। কম্পিউটার সিস্টেমে সময় ও তারিখের জন্য ঘড়ি সেট করা আছে। ঘড়ির কাটায় ২৬শে এপ্রিল, ১৯৯৯ হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটারে লুকায়িত সিআইএইচ ভাইরাস বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ে । ১৯৯৮ এর জুনের শুরুতে তাইওয়ানে প্রথম সিআইএইচ ভাইরাস দেখা যায়।ভাইরাসের নির্মাতা একে স্থানীয় ইন্টারনেট কনফারেন্সে পাঠায়। তারপর তা ইন্টারনেটে বিশ্বব্যাপি ছড়ায়।
CIH ভাইরাস তৈরি করেন চেন ইং হাও –এর নামের অদ্যাক্ষর অনুযায়ী ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়। এ ভাইরাসকে চেরনোবিল ভাইরাসও বলা হয়। এটি ২৬শে এপ্রিল বিপর্যয় ঘটায়। ১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিল রাশিয়ার চেরনোবিলে মারাত্মক পারমাণবিক বিষ্ফরণ ঘটেছিল। চেরনোবিলের ২৬শে এপ্রিলের ঘটনাকের স্মরণ করে এ ভাইরাস ২৬শে এপ্রিল কার্যকর হয় বলে একে চেরনোবিল ভাইরাস বলা হয়। একে ‘স্পেস ফিলার’ও বলে। কারণ এটি ফাইলের ভিতরের খালি জায়গা দখল করে। এর কারণে এন্টিভাইরাস ভাইরাসটি ধরতে পারেনা। এই ভাইরাসের আক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখনই সর্তক থাকুন । CIH ভাইরাসের লক্ষণঃ
ক. কম্পিউটারের প্রোগ্রাম রান করে না। CIH ভাইরাসের একটি ভার্সন এর জন্য দায়ী। এই ভাইরাস প্রোগ্রামের .exe ফাইলের নাম পরিবর্তন করে ফেলে।
খ. কম্পিউটার অন হচ্ছে কিন্তু সি ড্রাইভ পাওয়া যাচ্ছে না।
গ. কম্পিউটার অন করলে কিছুই দেখা যায় না।
ক্ষতিঃ এটি মাদারবোর্ডের বায়োস নষ্ট করে দেয়। হার্ডডিস্কের পার্টিশন মুছে দেয়।

০২। আজ আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস । Life Does Not Rewind' শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস । মাদকের ভয়াবহতা রোধে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের ৪২তম অধিবেশনে এই তারিখে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

০৩। আজ নির্যাতিতদের পক্ষে আন্তর্জাতিক দিবস International Day in Support of Victims of Torture দিন দুই কারণের জন্য ইউনাইটেড Nations সাধারণ বিধানসভার দ্বারা নির্বাচন করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ১২ই ডিসেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২৬শে জুনকে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় , এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে।

০৪। ২০১১ সালের এইদিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আকতার হোসেনের ছেলে জিয়াদকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওয়াসিম, সাদেক, স্বপন, শাকিব গং। ওইরাতে ফতুল্লার ভূঁইগড়ে ওয়াসিম তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাকীর বাসায় জিয়াদকে নিয়ে যায়। পরে জিয়াদের মায়ের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে ৩ লাখ টাকা। ওয়াসিমকে চিনে ফেলায় ২৭শে জুন জিয়াদকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সন্ধ্যার পর একটি তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে কাঁচপুর ব্রিজের ওপর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ২৯শে জুন সকাল পৌনে ৮টায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে জিয়াদের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব।

০৫। ২০১১ সালের এইদিন দুপুরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাজারামপুর কাশীগঞ্জ গ্রামে প্রকাশ্যে এক সালিশ বসে। সালিশের মধ্যে অসহায় দুই নারীকে চরিত্রহীনা অপবাদ দিয়ে তাদের হাত-পা বাঁধা হয়। শ’ শ’ মানুষের সামনে তাদের ওপর চালানো হয় মধ্যযুগীয় নির্যাতন। নির্যাতনের পর তাদের তওবা পড়ানো হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল হকের উপস্থিতিতেই ঘটে এ ঘটনা। কিন্তু বিচার নামে চালানো এ পৈশাচিক নির্যাতনের কেউ প্রতিবাদ করেনি। বরং উল্লাসে ফেটে পড়ে অনেকে দিয়েছে হাততালি।

০৬। ২০১০ সালের এইদিনে শুধুমাত্র ঢাকায় " আমরা খাটি গরিব..." গ্রুপের পথ-শিশুদের মাঝে আম বিতরণ উৎসব হয়েছিল। ৩০শে জুন ২০১২ তারিখে পথ-শিশুদের জন্য আম উৎসব হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম এর পাশাপাশি খুলনাতেও। " পথ-শিশুদের জন্য আম উৎসব ২০১২ " নামে এ অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে । যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে ও সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন :- রাকিব কিশোর - ০১১৯০১৩৭২৮৩ (ঢাকা), রোহিত হাসান কিছলু - ০১৭১৬৬১৩৭০৭ (ঢাকা), মুন্তাসির অমি - ০১৬৭০৩৪৬০০৬ (চট্টগ্রাম), এম.এইচ. শরীফ - ০১৮১৪৭৮৩৬৯২ (চট্টগ্রাম), রিফাতুল ইসলাম রাফি - ০১৭১৭১২০৮৪৬ (চট্টগ্রাম), জনী চৌধুরী - ০১৮১৮০৭৭০৮৫ (চট্টগ্রাম), শেখ ফয়সাল - ০১৮১১১৪৯৮০৪ (চট্টগ্রাম), এছাড়া সাহায্য পাঠাতে পারেন এই ব্যাংক একাউন্টে - A/c name : Rohit hasan kislu, A/c number - 110.101.97783, Dutch Bangla Bank limited “ আমরা খাঁটি গরীব ” গ্রুপ এবং পেজ-এর লিংক -
http://www.facebook.com/home.php?sk=group_185022982468
http://www.facebook.com/amra.khati.gorib

০৭। ২০০৯ সালের এইদিনে ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে তিন ব্যবসায়ী নিহত এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যবসায়ী আহত হন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতির জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড চালান হয়।

০৮। ২০০৯ সালের এইদিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক স্থাপনা সমুহ সংরক্ষণের জন্য আদালতের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট মামলা দায়ের করা হয়েছিলো । মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতা অব: মে জে শফিউল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক মুনতাসির মামুন এ রিট আবেদনটি করেছিলেন।

০৯। ২০০০ সালের এইদিনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে।

১০। ১৯৯৪ সালের এইদিনে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মিশিগানের ডেট্টয়েট নগরীর সাইনাই হাসপাতালের বেডে ৬৫ বছর বয়সে দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে লেখিকা, শহীদ জননী, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম ( জন্ম : মে ৩, ১৯২৯ - মৃত্যু : জুন ২৬, ১৯৯৪ ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একাত্তরে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমীদেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই তিনি 'শহীদ জননী'র মযার্দায় ভূষিত হন ৷ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ একাত্তরের দিনগুলি।

১১। ১৯৭৯ সালের এইদিনে কিংবদন্তীর মুষ্ঠীযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী অবসর গ্রহণ করেন।

১২। ১৯৭৮ সালের এইদিনে উইনিপেগ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার কানাডা ফ্লাইট ১৮৯ বিধ্বস্ত হয়।

১৩। ১৯৭৭ সালের এইদিনে এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন।

১৪। ১৯৭৬ সালের এইদিনে তৎকালীন পৃথিবীর উঁচুতম ভবন সি এন টাওয়ার খুলে দেয়া হয়।

১৫। ১৯৭৫ সালের এইদিনে দেশের আভ্যন্তরীন পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন এবং নির্বাচন স্থগিত করে দেন।

১৬। ১৯৭৪ সালের এইদিনে প্রথম বারের মত বারকোড ব্যবহার করে কোন খুচরা পন্য বিক্রয় হয়। পন্যটি ছিল চিবানোর গাম।

১৭। ১৯৬০ সালের এইদিনে সোমালিল্যান্ড ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায়।

১৮। ১৯৫৯ সালের এইদিনে উত্তর আমেরিকার মহাসাগরগামী জাহাজ এর জন্য সেইন্ট লরেন্স সি-ওয়ে খুলে দেয়া হয়।

১৯। ১৯৫৫ সালের এইদিনে বহরমপুর, মূর্শিদাবাদে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয় । সোম থেকে শনিবার ১২টা থেকে ৭টা পর্যন্ত কর্মসময় এবং মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার বন্ধ থাকে এ গ্রন্থাগার।
২০। ১৯৪৮ সালের এইদিনে পশ্চিমা জোট বার্লিন এ এয়ার লিফট দেয়া শুরু করে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন পশ্চিম বার্লিন অবরুদ্ধ করে দেয়।

২১। ১৯৪৫ সালের এইদিনে জাতিসঙ্ঘ সনদ স্বাক্ষর হয়।

২২। ১৯৩৪ সালের এইদিনে প্রথম বারের মত ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্‌ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ আকাশে উড়ে।

২৩। ১৯২৪ সালের এইদিনে আমেরিকান সৈন্যরা ডোমিনিয়ন রিপাব্লিক ত্যাগ করে।

২৪। ১৮৯৩ সালের এইদিনে ইলিনয়ের গভর্ণর মে দিবসের ঘটনায় পুলিশ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন ।

২৫। ১৮৩৮ সালের এইদিনে উনিশ শতকের প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক , বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (জুন ২৬, ১৮৩৮- এপ্রিল ৮,১৮৯৪) বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁটালপাড়া গ্রামে । বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তাঁর অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। তাঁর প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁটালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র বঙ্কিমচন্দ্র।

২৬। ১৮১৯ সালের এইদিনে বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়।

২৭। ১৫৪১ সালের এইদিনে ২৬শে জুন লিমায় পিসার্‌রোর শত্রু আলমাগ্রোর পুত্র এবং তার বারো সহকারীরা পিসার্‌রোর প্রাসাদে আক্রমণ করে এবং সেখানে পিসার্‌রোকে হত্যা করে।

২৮। ১৪৮৩ সালের এইদিনে রাজা ৩য় রিচার্ড ইংল্যান্ড এর রাজা হন।

২৯। ১২৮৪ সালের এইদিনে কিংবদন্তীর হ্যামিলন এর বংশিবাদক ১৩০ শিশুকে নিয়ে হারিয়ে যান।
============