আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১২

শবেবরাত এবং কিছু প্রশ্ন ও প্রত্যাশা


শবেবরাত এবং কিছু প্রশ্ন ও প্রত্যাশা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------
আজ ছিল চন্দ্রমাসের ১৪ই শাবান । চন্দ্রতারিখ অনুযায়ী ১৪ই শাবান দিবাগত রাত শবে বরাত আমাদের দেশে এই শবেবরাতকে এক পূণ্যরজনী হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় । পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এ রাতটা মুসলমানরা মহাপূণ্যময় রজনী হিসাবে বরণ করে ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত হয় । মুসলমানরা এ রজনীটিকে আগামী এক বৎসরের ভাগ্য নির্ধারণী রাত হিসাবে মেনে নিয়ে তাদের প্রতিপালকের কাছে উত্তম ভাগ্য নির্ধারণ ও তাঁর সন্তুষ্টি অরজনের জন্য রাতভর প্রার্থনায় রত থাকেন ।
কিন্তু আমরা এমন একটা দেশে অবস্থান করছি , না আমি কোন অমুসলীম দেশের কথা বলছিনা । আমি বলছি ইসলামের মুলকেন্দ্রস্থল মদিনা মুনাওয়ারার মসজিদে নববীর কথা । এখানে ইসলামের বড় দু'টি দিন ছাড়া অন্য কোন দিন বিশেষ ভাবে পালন করা হয় না । এখানে শবেবরাত , শবেক্বদরের রাত বলে কোন বিশেষ দিন নেই । এখানে না মহররম , না আছে মি'রাজ আর না আছে ঈদে মিলাদুন্নবী । এখানে আছে শুধু মুসলমানদের দু'টি বড়দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। আমি বুঝিনা আমাদের দেশগুলোতে এ দু'টি দিন ছাড়া হাজার হাজার পালনীয় দিন কিভাবে নির্ধারণ করে নিয়েছে । কয়েকদিন আগে আমি একটা নোট পোষ্ট করেছিলাম , যা ছিল ঈদে মিলাদুননবী নিয়ে । এঈ ঈদে মিলাদুন্নবীর উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে গিয়ে শত শত ইন্টারনেট সাইট ঘেঁটে যা পেলাম তাতে চক্ষু ছানাবড়া । ঈদে মিলাদুন্নবী নামে আমরা যে অনুষ্টানটা পালন করি সেটার উৎপত্তির মূলে ছিল ইসলামের একটি বিতর্কিত দল এবং খ্রীষ্টানদের দেখানো একটা পথের অনুস্মরণ । যা রাসুল (সাঃ), রাসূল (সাঃ) এর প্রকৃত ও পরীক্ষিত ভালোবাসার বন্ধু এবং একনিষ্ট সহচর সাহাবাগণ , তৎপরবর্তী তাবেয়ী , তাবে তাবেয়ীগণ কর্তৃক অনুমুদিত নয়।

আজ শবেবরাত পালন করতে গিয়ে আমাদের দেশের কথা মনে করে মনে হলো শবেবরাতের আয়োজন ও ঈদে মিলাদুন্নবীর মত নয় তো ? যদি না হয় , এখানে শবেবরাত পালন হয় না কেন ? আমাদের দেশের মুসলীম আর এদেশের মুসলীমদের মধ্যে এতটা ব্যবধান কেন ? তবে কি আমাদের দেশের আলেমরা আমাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন , নাকি এদেশের আলেমরা ইসলাম সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন ? কোন আলেমদের তথ্যকে আমরা সঠিক ভাববো - এদেশের নকি আমাদের দেশের আলেমদের ? আমরা সাধারণ মুসলমানরা আল্লাহর পথে যতে হলে কোনদিকে ধাবমান হব ? কেন মুসলমানদের মধ্যে এত বিভক্তি? সাধারণ মুসলমানরা কিভাবে বুঝবে কোনটা আল্লাহর পথ ? এভাবে দুইদিকের আল্লাহর পথে চলতে গিয়ে যদি সাধারণ মুসলমানরা আল্লাহভক্তির পরিবর্তে আল্লাহকে বিভক্ত করে ফেলে , তবে সে দায়দায়িত্ব কে নিবে ? আমাদের দেশের আলেমরা নাকি এদেশের আলেমরা ? এভাবেই অনেক প্রশ্ন এসে ভীড় করে মনের কোণে । কেন আলেমদের মাঝে এত বিভক্তি ?
যা হোক এ লেখা লিখে কোন ফায়দা নেই । কারণ আলেমরা আলেমদের মতই থাকবে । এ বিভক্ত নিরসনে তারা কোন পদক্ষেপ নিবেনা । কারণ তারা জানে পদক্ষেপ নিতে গেলেই তাদের পেঠপূঁজা বন্ধ হয়ে যাবে । এক এক আলেম এক এক স্থান দখল করে তাদের পেঠ পূঁজা করে যাচ্ছে । সাধারণ মানুষদের আল্লাহর পথ দেখানোর নামে তাদের বোকা বানিয়ে করে যাচ্ছে তারা নিজ নিজ পেঠপূঁজা। প্রকৃত পক্ষে তারা নিজেরাও জানেনা আল্লাহকে পাওয়ার পথ কোনটি , আল্লাহর নিকটবর্তী হবার পথ কোনটা ? নয়তো কেন আল্লাহকে পাওয়ার একটি মাত্র রাস্তার মধ্যে এত বিভক্তি ?
সে যাক, আর বিশেষ কিছু বলতে চাইনা । মসজিদে নববীতে মাগরীব ও এশার নামাজ শেষ করে এলাম কিছুক্ষণ আগে । যখন দেখলাম আমাদের দেশের মতো এখানে কেহই শবেবরাত পালন করেনা , তখন কিছুটা মনের অনুভুতি শেয়ার করনে এই লেখা । জানি আলেমরা এ লেখা পড়বেনা , পৌঁছবেনা তাদের কাছে আমার মনের কথা । তবুও কামনা করি প্রত্যেক আলেম একই পথের পথিক হোক , এক রাসুল (সাঃ) আর এক আল্লাহ , এক কোরআন আর এক হাদীস এই দু'টি অবলম্বন করেই বিশ্বের সকল আলেম একই রাস্তায় উপণিত হয়ে সাধারণ মুসলীমদের এক আল্লাহর পথে ধাবিত করুক - এটাই হলো শেষ প্রত্যাশা।
================== 

ইতিহাসে ৪ জুলাই


ইতিহাসে ৪ জুলাই

মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------

স্বপ্নের পদ্মাসেতু ঃ ২০০১ সালের এইদিনে - মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এবার ক্ষমতা গ্রহণ ও সরকার গঠনের ১৩ দিনের মাথায় ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় এবং ২৯ জানুয়ারি থেকে বিস্তারিত ডিজাইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ পরামর্শে সরকার ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ৩৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা নিশ্চিত হয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক, জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে (সংসদে)। কিন্ত উক্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের দূর্নীতির কারণে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক তার সাহায্য প্রদানের হাত গুঠিয়ে নিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেছিলেন “এ (মহাজোট) সরকারের আমলেই পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে তিনি গোপালগঞ্জ যেতে পারবেন (৬ জানুয়ারি ২০১১)[আমার দেশ-৩ জুলাই ২০১২ থেকে সংগৃহীত]”।

সমাজসংস্কারক স্বামী বিবেকানন্দ ঃ ১৯০২ সালের এইদিনে - বেলুড় মঠে মৃত্যুবরণ করেন সমাজসংস্কারক স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের সেবাই সর্বোৎকৃষ্ট। ঈশ্বরের উপাসনা ও ধর্মই সত্য। তিনি ছিলেন বেদ, যোগশাস্ত্র ও হিন্দু ধর্মকে বিশ্বসভায় পরিচিত করে তোলার প্রতিনিধি। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রধান শিষ্য তিনি। জীবসেবার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। বাংলা সাহিত্যে কথ্য ভাষাকে তিনি জনপ্রিয় করেছেন। ভারতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়েরও সূচনা করেন তিনি। হিন্দু ধর্মকে করেছেন সর্বজনীন। আজ সেই মহামনীষীর প্রয়াণ দিবস। স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতার শিমুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মা-বাবা তাঁর নাম দেন নরেন্দ্রনাথ। বাবা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা আইনজীবী। তিনি ছিলেন যেমন দানশীল, তেমনি সংস্কৃতিমনা। আর মা ভুবনেশ্বরীদেবী ছিলেন ধর্মপরায়ণা গৃহিণী। বাবার যুক্তিবাদী মন আর মায়ের ধর্মীয় চেতনা নরেন্দ্রনাথের ব্যক্তিত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এ কারণে উপযুক্ত প্রমাণ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ছাড়া কোনো বক্তব্যকে তিনি গ্রহণ করতেন না। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে লক্ষ করা গিয়েছিল আধ্যাত্মিক পিপাসা এবং ঈশ্বরের প্রতি প্রবল ভক্তি। নরেনের বাল্যশিক্ষা শুরু বাড়িতেই। ১৮৭১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। ১৮৭৯ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, শিল্পকলা ও সাহিত্যে তাঁর ব্যাপক পাণ্ডিত্য লক্ষ করা যায়। বেদ, উপনিষদ, ভগবদ্গীতা, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণসহ অনেক ধর্মগ্রন্থের প্রতিও ছিল তাঁর প্রবল আগ্রহ। এ ছাড়া সংগীত, যন্ত্রসংগীত ও শাস্ত্রীয় সংগীতের সব শাখায়ই ছিল তাঁর বিশেষ আগ্রহ। সেই ছেলেবেলা থেকেই খেলাধুলা, ব্যায়ামচর্চা এবং নানা সাংগঠনিক কাজে যুক্ত থাকতেন তিনি। ১৮৮০ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। পরের বছর চলে যান স্কটিশ চার্চ কলেজে। এ সময় তিনি পাশ্চাত্য যুক্তিবিজ্ঞান ও দর্শন এবং ইউরোপীয় ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৮৮১ সালে এখান থেকে এফএ পাস করেন। ১৮৮৪ সালে পাস করেন বিএ। নরেন্দ্রনাথের স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর। তাঁর আধ্যাত্মিক বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মায়ের। মা বলতেন, 'সারা জীবন পবিত্র থেকো, নিজের সম্মান রক্ষা কোরো, অন্যের সম্মানে আঘাত কোরো না। কোমল হও। কিন্তু প্রয়োজনে নিজের হৃদয়কে শক্ত রেখো।' ১৮৮৭ সালে নরেন্দ্রনাথ ও তাঁর আট গুরুভাই আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাস নেন। এরপর নরেন্দ্রনাথ দত্ত নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান বিবেকানন্দ। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি শুরু করেন বিশ্বভ্রমণ। ১৮৯৩ সালে তিনি যান আমেরিকায়। শিকাগোতে যোগ দেন এক মহাধর্মসভায়। এরপর আমন্ত্রণ পান যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংঘ থেকে। এ সময় তিনি সারা বিশ্বে বেদ, যোগশাস্ত্র ও হিন্দু ধর্মকে পরিচিত করেন। ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় প্রতিষ্ঠা করেন বেদান্ত সোসাইটি। ১৯০০ সালে ফিরে আসেন ভারতে। ওই বছরই মানবকল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। এই সংগঠনটি ছড়িয়ে আছে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে; এমনকি আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে এর বিস্তৃতি। স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন ভারতীয়দের অন্যতম পথপ্রদর্শক। মাত্র ৩৯ বছর বয়স হয়েছিল স্বামীজির। জীবনের শেষ কয়টি বছরে অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন। কাজ তাঁর দর্শন প্রচার। যেন বুঝে গিয়েছিলেন, 'হাতে সময় নেই, যত দ্রুত যত বেশি কাজ করা যায়'। শিষ্যদের অনেককে বলেছিলেনও সে কথা। অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। শরীর ভেঙে গিয়েছিল। তার পরও কাজ করতেন। মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত হতে পারেননি কেন তাঁর এই অকালপ্রয়াণ।

যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম জোরালো কন্ঠ রোন্যাল্ড লরেন্স কভিচ ঃ ১৯৪৬ সালের এইদিনে - যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম জোরালো কন্ঠস্বর, হলিউডের “মুভি বর্ন অন দ্য ফোর্থ অফ জুলাই” এর প্রাণ, সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা রোন্যাল্ড লরেন্স কভিচ(রন কভিচ) যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের লেডিস্মিথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। হলিউডের নামকরা উক্ত মুভিটি তাকে নিয়েই করা হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি রন কভিচের আত্মজীবনী “বর্ন অন দ্য ফোর্থ অব জুলাই” এর মুভিচিত্র। মুভিটিতে রন কভিচের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা টম ক্রুজ। মুভিটি আটটি অস্কারের জন্য মনোনীত হয় এবং দুটিতে বিজয়ী হয়। সেরা স্ক্রিনপ্লে লেখার জন্য অস্কার লাভ করেন রন কভিচ। তার আত্মজীবনী বেস্ট সেলার হিসেবে জায়গা করে নেয়। ভিয়েনতনাম যুদ্ধে এই সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা আহত হয়েছিলেন এবং এর ফলে তার শরীরের নিম্নাংশ পুরোপুরি প্যারালাইজড হয়ে পড়ে। দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার প্রত্যয় নিয়ে ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তরুণ রন কভিচ নাম লেখান মার্কিন মেরিন বাহিনীতে। ১৯৬৮ সালের ২০ জুন তিনি ভিয়েতনামে একটি অপারেশনে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় গুরুতর আহত হন এবং যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধে নিজ আত্মত্যাগের জন্য গর্বিত হলেও কিছুদিন পরেই তিনি বাস্তবতা টের পেতে শুরু করেন। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠছিল এবং কভিচের ছোট ভাই তাতে যোগ দিয়েছিল। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডাও হয়। তবে কিছুদিন পরে প্যারালাইজড কভিচ বুঝতে শুরু করেন যুদ্ধ তার কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নিয়েছে, কিছু দেয়নি। বরং গোটা জাতিকেই একটি ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কভিচ এক সময় বুঝতে পারেন ভিয়েতনাম যুদ্ধ আসলে কত বড় ভুল। এরপর হুইলচেয়ারে করেই তিনি শুরু করেন যুদ্ধ বিরোধী প্রচারণা। এজন্য তাকে বিশ্বাসঘাতক, কম্যুনিস্ট, দেশবিরোধী বলে সাবেক প্রেসিডেন্ট নিক্সন এর সমর্থকরা গালি দিয়েছে। পুলিশের পিটুনি খেয়েছেন বহুবার, সরকারের রোষানলে পড়ে বার বার জেল খেটেছেন কভিচ। কিন্তু এরপরও তিনি থেমে থাকেননি বরং যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম জোরালো কন্ঠ হয়ে উঠেন তিনি। কেবল ভিয়েতনাম যুদ্ধ নয়, ৯০ এর পারস্য যুদ্ধ ও ইরাক যুদ্ধের সক্রিয় বিরোধীতা করে তিনি একের পর এক মিছিল সমাবেশে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে দেশে দেশে যুদ্ধ বিরোধী জনমত গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন এই বর্ষিয়ান সাবেক সেনা। বিগত ২০০৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ যখন লন্ডন সফরে যান তখন কোভিচ সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন ইরাক যুদ্ধের প্রতিবাদ জানানোর জন্য। ২০০৮ সালে গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের পর গত বছরের জুলাই মাসে তিনি সেখানে যান মানবিক সহায়তা নিয়ে। ফিলিস্তিনী জনগণের সাহায্যের জন্য তিনি ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালোয়ের সঙ্গে কাজ করছেন। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমমোক্রেট দলের কনভেনশনে তিনি যুদ্ধ বিরোধী ভাষণ দেন। প্রতি বছরের ২০ জানুয়ারি দিনটি বিশেষভাবে পালন করেন রন কভিচ, কারণ ১৯৬৮ সালের এই দিনটিতে তিনি ভিয়েতনামের যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হয়েছিলেন। (সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলামের ব্লগ থেকে)।

ইতিহাসে প্রথম নোবেল জয়ী নারী মাদাম মেরী কুরী (মানিয়া)ঃ ১৯৩৪ সালের এইদিনে - পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ এবং ইতিহাসে প্রথম নোবেল জয়ী নারী মাদাম মেরী কুরী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সর্বমোট দু’বার নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর জন্ম ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর পোল্যান্ড। ১৮৯১ সালে তিনি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরিচয় ঘটে বিজ্ঞানী পিয়েরে কুরীর সাথে যিনি ইতিমধ্যে পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ১৮৯৫ সালে ফ্রান্সের পদার্থবিজ্ঞানী পিয়ারে কুরির সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৮ সালেই এই দম্পতি প্রথমে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পলোনিয়াম এবং পরে ইউরোনিয়াম হতে দশ লক্ষগুণ বেশি শক্তিশালী রেডিয়াম আবিষ্কার করেন। তাদের কাজের অবদান স্বরূপ ১৯০৩ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে হ্যানরী বেকেরেলের সাথে তাদেরকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। এরপর ১৯১১ সালে পুনরায় এককভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বিজ্ঞান এবং মানবতার এই সেবক ১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতি একসাথে ফ্রান্সের পদার্থবিজ্ঞানী বেকরেয়ালের আবিষ্কৃত বিকিরণ নিয়ে গবেষণা করেন এবং পরপর পলোনিয়াম আর রেডিয়াম এই দুটি প্রাকৃতিক বিকিরণ পদার্থ আবিষ্কার করেন। ১৯০৬ সালে তাঁর স্বামী পিয়ারে কুরির মৃত্যুর পর তিনি অব্যাহতভাবে বিকিরণ গবেষণা করেন এবং সাফল্য অর্জন করেন। এই ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ১৯০৩ সালে ম্যাডাম কুরি এবং বেকরেয়াল উভয় নোবেল পদার্থ পুরস্কার অর্জন করেন, ১৯১১ সালে তিনি আবার নোবেল রসায়ন পুরস্কার অর্জন করেন।

সিলেট জেলা খেলাফত কমিটি গঠিত ঃ ১৯২০ সালের এইদিনে - সিলেটে সিলেট জেলা খেলাফত কমিটি গঠিত হয় এবং হাওয়া পাড়ায় মৌলবী আবদুল্লাহ বিএল-এর বাসভবনে এর অস্থায়ী অফিসও প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২২ সালে তা স্থানান্তরিত হয় নয়া সড়কস্থ মানিক পীরের টিলা সংলগ্ন খেলাফত বিল্ডিং-এ। মাওলানা মাদানী এখানে সরকারী মাদরাসার ত্যাগী ছাত্রদের হাদীসের দরস দিতেন। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসানের কাছে পত্র লিখে অনুরোধ করে মাওলানা মাদানীকে এ উদ্দেশ্যে প্রথমে আনিয়েছিলেন কোলকাতায়। তারপর তিনি সিলেটে আসেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বৃটিশ-ফরাসী-ইটালি মিত্রশক্তি যখন মুসলিম জাহানের কেন্দ্রীয় শক্তি তুরস্ককে খণ্ড বিখণ্ড করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছিল তখন বৃটিশ ভারতে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে থাকে। বিশেষত এদেশের সিলেট জেলায় এর তীব্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ যখন ‘তরকে মুয়ালাত’ বা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন এবং একই সাথে হিন্দু-ভারতের জাতির জনক মোহন চাঁদ করম চাঁদ গান্ধীও এই আহ্বান জানান তখন সংবাদপত্রে, সভাসমিতিতে, মসজিদের খুতবায় সর্বত্র অসহযোগের আহ্বান ঘোষিত হতে থাকে। ১৯২০ সালের ৩০ আগস্ট সিলেট টাউন হলে সুরমাভেলী রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের পঞ্চম অধিবেশন এবং সুরমাভেলী মুসলিম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা সিলেটের পৈলনিবাসী বাগ্মী বিপিন পাল এবং মাওলানা আকরাম খাঁর সভাপতিত্বে। তখন সিলেট ও কাছাড় জেলাকে (বর্তমান আসাম) সম্মিলিতভাবে সুরমাভেলী বোঝানো হত। ১৯২১ সালে মৌলবী বাজার মহকুমার (বর্তমানে জেলা) যোগী ডহরে ‘খেলাফত নগর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সর্বভারতীয় নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। দেওবন্দের মাওলানা সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানীর আগমনে খেলাফত নগর আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে। গঠিত হয় আসাম প্রাদেশিক খেলাফত কমিটি। অনেক টাকা চাঁদা উঠানোর পরও ব্যয় সংকুলান না হওয়ায় ডা. মুর্তজা চৌধুরী নিজের জমি বিক্রি করে ব্যয় সঙ্কুলান করেন। এই ডা. মুর্তজা চৌধুরী চৌধুরী ছিলেন খেলাফত কমিটির সেক্রেটারী। দেশপ্রেম, স্বাধীনতার স্পৃহা ও জাতীয় চেতনা তখন কত তুঙ্গে ছিল এ থেকেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় এক ঝাঁক দেশপ্রেমিক কর্মী ময়দানে অবতীর্ণ হন। বৃটিশ বিরোধী এ স্বাধীনতা-সংগ্রামের প্রচণ্ডতা ১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

বিবিসি'র সদর দফতর “বুশ হাউস” ঃ ১৯৩৫ সালের এইদিনে - লন্ডনের কিংসওয়ে শহরের দক্ষিণে অ্যাল্ডউইচ (Aldwitch) এবং দি স্ট্র্যান্ট (The Strant) স্ট্রিটের মাঝামাঝি স্থানের ওয়েস্ট মিনিস্টারে অবস্থিত বিবিসি'র সদর দফতর “বুশ হাউস” ভবনটি প্রায় ১৩ বছরের নির্মাণকাল শেষে লর্ড ব্যালফারের নেতৃত্বে উন্মোচন করা হয়। এ ভবনটির নামকরণ করা হয় এর পরিকল্পনাকারী ইরভিং টি. বুশ (Irving T. Bush)-এর নামানুসারে। যিনি এটাকে ক্রেতাদের সার্বিক চাহিদা মেটানোর একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছিলেন । আর এর নকশা করেছেন আমেরিকান স্থপতি এইচ ডবি্লউ করবেট। সম্পূর্ণ ভবনটি মোট পাঁচটি ব্লকে বিভক্ত। ১৯৩০ সালে এর নির্মাণকাজ চলাকালে মাটির নিচ থেকে একটি মার্বেল পাথরে তৈরি মাথার প্রতিমূর্তি পাওয়া যায়, যা প্রদর্শনীর জন্য এখন কেন্দ্রীয় ব্লকে শোভা পাচ্ছে। ১৯২৯ সালে এটি সর্বাধিক ব্যয়বহুল ভবন হিসেবে স্বীকৃতি পায় যার মূল্য ছিল তৎকালীন এক কোটি ডলার। ১৯৪৪ সালে ঠ-১ নামক একটি উড়ন্ত বোমার আঘাতে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর একটি প্রতিমূর্তির হাত ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯৭০ সালে ইন্ডিয়ানা মাইনস্টোন কোম্পানিতে চাকরিরত একজন কর্মকর্তা তার মেয়েকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স দেখতে এসে বুশ হাউসের এই ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি দেখেন এবং ফিরে গিয়ে তার কোম্পানির মাধ্যমে এটি সংস্কার করান।

ভৈরব বাজারে দালাল শিরমনি মমতাজ পাগলার আড্ডায় মুক্তিযুদ্ধাদের আক্রমণ ঃ ১৯৭১ সালের এইদিনে - প্রকাশ্য দিবালোকে পাক বাহিনী বেষ্টিত ভৈরব বাজারে দালাল শিরমনি মমতাজ পাগলার আড্ডায় তরকারী ওয়ালার ছদ্মবেশে অতর্কিত আক্রমন চালায় নুরু , আতিক ও মোহন, হত্যা করে মমতাজ পাগলা ও তার দূসরদের। ঘটনাস্খলে শহীদ হন আতিক এবং মারাত্মক আহত অবস্খায় নুরু পাকবাহিনীর কাছে ধরা পড়েন আর পালিয়ে আসে মোহন। নুরুকে বর্বরোচিত ভাবে গুলি করে হত্যা করে পাক সেনারা।

বঙ্গ প্রজা সমিতি গঠন ঃ ১৯২৯ সালের এইদিনে - বঙ্গীয় আইন পরিষদের ২৫ জন মুসলিম সদস্য কলকাতায় একটি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। এই সম্মেলনে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি নামে একটি দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলার কৃষকদের উন্নতি সাধনই ছিল এই সমিতির অন্যতম লক্ষ্য।

থাইল্যান্ডের ইতিহাসে ২৬তম সাধারণ নির্বাচন ঃ ২০১১ সালের এইদিনে - থাইল্যান্ডের ইতিহাসে ২৬তম ৫০০ আসনের সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ছোট বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বাধীন পুয়ে থাই পার্টি নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী হন ইংলাক।

চীনের তেং সিয়াও পিং এর বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত ঃ ১৯৮৭ সালের এইদিনে – চীনের তেং সিয়াও পিং বাংলাদেশের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত করার সময় দুটি মৌলিক তত্ত্ব উত্থাপন করেন । তিনি বলেছিলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১১তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টি চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতি প্রণয়ন করেছে। এই মৌলিক নীতির দুটি মৌলিক ধারার একটি হচ্ছে, চারটি মৌলিক নীতি অনুসরণ করা। আরেকটি হচ্ছে সংস্কার, উন্মুক্তা, প্রাণচঞ্চলে অবিচল থাকা। এই দুটি ধারা হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়ন গঠন কাজের সাধারণ রীতিনীতি। এই দুটি ধারা মিলে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১১তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে গৃহীত মূল নীতির সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু।

দুই কোরিয়া একত্রী করণের ঘোষণা ঃ ১৯৭২ সালের এইদিনে – দুই কোরিয়া পুনরায় একত্রী করণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত সরকারি ভাবে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়।

যশোর সমিতি ঢাকার ঃ ১৯৫৯ সালের এইদিনে –“যশোর সমিতি ঢাকা’র” আট হাজার টাকার বিনিময়ে শাহজাহানপুরে নিজেস্ব ৪ কাঠা জমি ক্রয় করা হয়। একই বছর অর্থাৎ ১৯৫৯ সালেই বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ সমিতির সদ্য ক্রয়কৃত জমি হুকুম দখল করে নেয়।১৯৭১ সাল পর্যন্ত সমিতির এই জায়গাটি দখলে রাখা সম্ভব হয়। দেশ স্বাধীনের সময় বেদখল হয়ে যায় । দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব কবি গোলাম মোস্তফা ও যশোরের কিছু ব্যক্তিবর্গ একতাবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টায় ১৯৪৮ সালের মে মাসে যশোর সমিতি, ঢাকা’র একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আর ১৯৪৮ সালে এ সমিতি যাত্রা শুরু করে ।

পূর্ববাংলায় গভর্ণর শাসন প্রবর্তন ঃ ১৯৫৪ সালের এইদিনে – ৯২(ক) জারীর মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ববাংলায় গভর্ণর শাসন প্রবর্তিত হয়। মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জা গভর্নর হয়ে আসে।

ফিলিপাইনের স্বাধীনতা লাভ ঃ ১৯৪৬ সালের এইদিনে – যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। এদিন ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র ম্যানিলায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

ফিলিপাইন স্বাধীনতা ঘোষণা ঃ ১৯৪২ সালের এইদিনে - ফিলিপাইন স্বাধীনতা ঘোষণা করে। স্পেন তিন'শ বছর লুটপাট চালানোর পর ১৮৯৮ সালে ফিলিপাইনকে দুই কোটি ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। স্প্যানিশদের শাসন আমল থেকেই দেশটিতে স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বেধে উঠে। এ অবস্থায় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালে ১৯৪১ সালে জাপান ফিলিপাইনের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তবে যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ফিলিপাইন আবারও মার্কিনীদের দখলে চলে যায় এবং ১৯৪৬ সালে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

কুর্স্কের যুদ্ধ শুরু ঃ ১৯৪৩ সালের এইদিনে – কুর্স্কের যুদ্ধ শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এবং আগস্ট মাসে পূর্ব ফ্রন্টে সোভিয়েত রাশিয়ার কুর্স্ক নামক জায়গায় জার্মান এবং সোভিয়েত সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সামরিক সংঘর্ষগুলি হয়েছিল তাকেই সম্মিলিতভাবে কুর্স্কের যুদ্ধ বলা হয়। এই যুদ্ধে সোভিয়েত সেনাবাহিনী বিজয় লাভ করে। এই সামরিক সংঘর্ষ গুলির মধ্যে প্রধান ছিল প্রোখোরোভকার যুদ্ধ যেখানে বিরাট ট্যাঙ্কের যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধটি সোভিয়েত রেড আর্মির রক্ষনাত্মক ভূমিকার জন্য উল্লেখযোগ্য।

ইসরাইলের অনুচর ফ্যালানজিস্ট বাহিনী কর্তৃক ইরানি কূটনীতিক ও সাংবাদিক অপহরণ ঃ ১৩৬১(ফার্সি) সালের এইদিনে - লেবাননে নিযুক্ত তিন জন ইরানি কূটনীতিক ও একজন সাংবাদিককে দখলদার ইসরাইলের অনুচর ফ্যালানজিস্ট বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ করে ইসরাইলে পাঠিয়ে দেয়। অপহৃতদের মধ্যে বৈরুতে নিযুক্ত ইরানের তৎকালীন চার্জ দ্য এফেয়ার্সও ছিলেন।

ইমাম মোহাম্মদ বাকের (রাঃ) ঃ ৫৭(হিজরী) সালের এইদিনে - বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)-র বংশধর ইমাম মোহাম্মদ বাকের (রাঃ) জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি হযরত যেইনুল আবেদিন (রাঃ)-র পুত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস
  ১৭৭৬ সালের এইদিনে - কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন থেকে থেকেস্বাধীন হয় ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। আমেরিকার ১৩ টি অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধিরা ফিলাডেলফিয়া শহরে স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর। ভার্জিনিয়ার জেমসটাউনে ১৬০৭ সালে প্রথম ইংরেজ উপনিবেশ স্থাপন করা হয়। এরপর আটলান্টিক উপকূলসংলগ্ন ১৩টি রাজ্য নিয়ে গড়ে ওঠে ব্রিটিশ উপনিবেশ। এই তেরোটি রাজ্য থেকেই বর্তমান আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ চলে ১৭৭৫ থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই স্বাক্ষরিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ব্রিটেনের আমেরিকান উপনিবেশ ভেঙে যায়। এরপর প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে ১৭৮৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। উনিশ ও বিশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে ১৩টি প্রধান রাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন ৩৭টি রাষ্ট্র যুক্ত হয়ে উত্তর আমেরিকা মহাদেশে এক বৃহৎ অঞ্চলব্যাপী বিসতৃত হয়। মার্কিন জাতির ইতিহাসের দুটি অতিগুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে গৃহযুদ্ধ (১৮৬১-৬৫) এবং ১৯৩০ সালের মহামন্দা। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৯১ সালের শেষ ঠাণ্ডা লড়াইয়ে জয়ের মধ্য দিয়ে দেশটির ক্রমোন্নয়ন ঘটতে থাকে। এভাবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। অর্থনীতির স্থিতিশীল উন্নতি, স্বল্প বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি এবং কারিগরির ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিশ্ব পরিচিতি অর্জন করেছে। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের সীমান্তবর্তী এবং কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যবর্তী অঞ্চলে দেশটির অবস্থান। প্রাথমিক পর্যায়ে আটলান্টিক মহাসাগর তীরস্থ উত্তর আমেরিকার তেরোটি ব্রিটিশ উপনিবেশ নিয়ে গঠিত হযয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই এই উপনিবেশগুলি একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। এর মাধ্যমে উপনিবেশগুলি তাঁদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ঘোষণা করে এবং একটি সমবায় সংঘের প্রতিষ্ঠা করে। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বিদ্রোহী রাজ্যগুলি গ্রেট ব্রিটেনকে পরাস্ত করে। এই যুদ্ধ ছিল ঔপনিবেশিকতার ইতিহাসে প্রথম সফল স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া কনভেনশন বর্তমান মার্কিন সংবিধানটি গ্রহণ করে। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই উত্তর আমেরিকান মহাদেশ অধিবেশনে "স্বাধীনতা ঘোষণা" খসড়া গৃহীত হয়। আজ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস।

আমেরীকার ঘোষণাপত্র গৃহীত ঃ ১৭৭৪ সালের এইদিনে - "unanimous Declaration of the thirteen united States of America" নামে এই ঘোষণাপত্রটি "Representatives of the united States of America" কর্তৃক গৃহীত হয়।

আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার আলফ্রেডো ডি স্টিফানো ঃ ১৯২৬ সালের এইদিনে - আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার আলফ্রেডো ডি স্টিফানো বুয়েন্স আয়ার্সে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার গণ্য করা হয়। তবে আর্জেন্টাইন হলেও তার মূল পরিচিতি স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হিসেবে । ১৯৪৩ সালে আর্জেন্টিনার রিভারপ্লেট ক্লাবে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয়। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার হয়েও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডি স্টিফানোর কখনো বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা হয়নি। ১৯৫০ সালের বিশ্ব কাপে আর্জেন্টিনা খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সুযোগ পায়নি। ১৯৫৬ সালে ডি স্টিফানো স্পেনের নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং স্পেনের হয়ে পরবর্তী বিশ্বকাপ ১৯৫৮ এর বাছাই পর্বে অংশ নেন, কিন্তু স্পেন কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়। ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বেও তিনি স্পেনের হয়ে অংশ নেন, এবার স্পেন মূল পর্বে কোয়ালিফাইও করে, কিন্তু বিশ্বকাপের আগে ডি স্টিফানো ইনজুরিতে পড়ে মূল পর্বে খেলতে পারেননি।

‘টাইটানিকে’র অভিনেত্রী গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট ঃ ১৯১০ সালের এইদিনে - ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজ থেকে কিছু মানুষের প্রাণে বাঁচার বাস্তব কাহিনীর ভিত্তিতে নির্মিত পরিচালক জেমস ক্যামেরন পরিচালিত অসাধারণ প্রেমের ছবি ‘টাইটানিকে’র অভিনেত্রী গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মনিকোতে জন্মগ্রহণ করেন। এ ছবিতে বেঁচে যাওয়া ১০১ বছর বয়সী রোজ ক্যালভাট্রের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট। প্রথম অভিনয় শুরু করেন ১৯৩০ এর দশকে। ১৯৪৬ সালের পর দীর্ঘদিন তিনি আর অভিনয় করেননি। এরপর ১৯৭৫ সাল থেকে তিনি আবার অভিনয় শুরু করেন । ১৯৯৭ সালে ৮৭ বছর বয়সে তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি অভিনয়ে সক্রিয় ছিলেন। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ পশ্চিম লস এঞ্জেলেস এর নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী ইয়োহানেস শ্মি‌ট‌ ঃ ১৯০১ সালের এইদিনে - জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী ইয়োহানেস শ্মি‌ট‌ ৫৭ বছর বয়সে বার্লিনে মৃত্যুবরণ করেন । তিনি ভাষার বিকাশের তরঙ্গ তত্ত্ব (জার্মান ভাষায়Wellentheorie) আবিষ্কার করেন। ২৯শে জুলাই, ১৮৪৩ ব্রান্ডেনবুর্গ প্রদেশের প্রেন্‌ৎসলাউ শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ১৮৬৮ সালে বন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে জার্মান ও স্লাভীয় ভাষাসমূহের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করার অনুরোধ করে। ১৮৭৩ থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত শ্মিট অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক ছিলেন। ১৮৭৬ সালে তিনি বার্লিনে ফিরে আসেন।

শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু ঃ ১৮৮১ সালের এইদিনে - ভারতের শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ইতিপূর্বে ১৮৮০ সালের ২৩ অগস্ট শিলিগুড়ি-কার্শিয়াং অংশটি চালু হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০তম রাষ্ট্রপতি ক্যালভিন কুলিজ্‌ ঃ ১৮৭২ সালের এইদিনে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০তম রাষ্ট্রপতি ক্যালভিন কুলিজ্‌ জন্মগ্রহণ করেন। ক্যালভিন কুলিজ্‌ জানুয়ারি ৫,১৯৩৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

ফরাসি কবি ও লেখক ফ্রান্সোয়া শাতুব্রায়ান ঃ ১৮৪৮ সালের এইদিনে - ফরাসি কবি ও লেখক ফ্রান্সোয়া শাতুব্রায়ান মৃত্যুবরণ করেন। ১৭৬৮ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি জেমস মন্‌রো ঃ ১৮৩১ সালের এইদিনে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি (এপ্রিল ২৮, ১৭৫৮ – জুলাই ৪, ১৮৩১) জেমস মন্‌রো মৃত্যুবরণ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি টমাস জেফারসন ঃ ১৮২৬ সালের এইদিনে - মার্কিন রাজনীতিবিদ , দার্শনিক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি টমাস জেফারসন (এপ্রিল ১৩, ১৭৪৩ – জুলাই ৪, ১৮২৬) মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সমর্থন করতেন ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের। তিনি ভার্জিনিয়ার মুক্তধর্ম আইন Virginia Statute for Religious Freedom লিখেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি জন এডাম্‌স ঃ ১৮২৬ সালের এইদিনে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি জন এডাম্‌স Quincy, Massachusetts এ মৃত্যুবরণ করেন । তাঁর দাপ্তরিক কার্যকাল ছিল - মার্চ ৪, ১৭৯৭ – মার্চ ৩, ১৮০১। তিনি অক্টোবর ৩০, ১৭৩৫ সালে ব্রেইনট্রি, Massachusetts এ জন্মগ্রহণ করেন।

মার্কিন ওয়েস্ট পয়েন্ট সামরিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত ঃ ১৮০২ সালের এইদিনে - মার্কিন ওয়েস্ট পয়েন্ট সামরিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

থাং রাজবংশের সম্মানিত বৌদ্ধ পুরোহিত স্যুয়ান চুয়াং ঃ ৬৬৪ সালের এইদিনে - থাং রাজবংশের সম্মানিত বৌদ্ধ পুরোহিত স্যুয়ান চুয়াং মৃত্যু বরণ করেন। সাধারণতঃ স্যুয়ান চুয়াংকে সান জানং পন্ডিত বলে ডাকা হয়। তাঁর আরেক নাম থাং পুরোহিত। থাং রাজবংশের থাই জোং সম্রাটের জানকুয়াং তিন সালে তিনি লিয়াং চৌ থেকে রওয়ানা হয়ে ইউ মেন কুয়াং পার হয়ে পশ্চিম দিকের ভারত সফর করেন। মোট ১৭ বছর সময় ব্যয় করে অবশেষে জানকুয়াং ১৯ সালে থাং রাজবংশের রাজধানী চাং আনে ফিরে আসেন। তিনি তাঁর জীবনে মোট ১৩৩৯টি বৌদ্ধ ধর্মের প্রন্থ চীনা ভাষায় অনুবাদ করেন।

লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু ঃ ১৮২৯ সালের এইদিনে - লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু।

কমিউনিস্ট ইস্তাহার প্রকাশ ঃ ১৮৪৮ সালের এইদিনে - কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস কমিউনিস্ট ইস্তাহার প্রকাশ করেন।

নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আইজাক সিঙ্গার ঃ ১৯০৪ সালের এইদিনে - নোবেলজয়ী পোলিশ-আমেরিকান সাহিত্যিক আইজাক সিঙ্গার জন্মগ্রহণ করেন।

হিব্রু কবি হাইইম বিয়ালিক ঃ ১৯৩৪ সালের এইদিনে - হিব্রু কবি হাইইম বিয়ালিক মৃত্যুবরণ করেন।
==============