আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

মুসলমানরা শিক্ষা নাও কিভাবে গঠন করতে হয় সকল মুসলীমদের একটা ঐক্যমঞ্চ

মুসলমানরা শিক্ষা নাও কিভাবে গঠন করতে হয়
সকল মুসলীমদের একটা ঐক্যমঞ্চ
- মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------
সংগৃহীত ছবি

হে মুসলীম !
তোমরা যারা আল্লাহ ও রাসূল (সঃ) এর নির্দেশীত পথকে মানবজাতির জন্য একটা সুশৃন্খল পথ মনে কর, তবে তোমরা এক হও। গণনা করে দেখ নাস্তিক ও ধর্মবিরোধী কতজন আর তোমরা কতজন। তবেই বুঝতে পারবে নাস্তিক ও ধর্মবিরোধীদের পাল্লা ভারী নাকি মুসলীমদের পাল্লা ভারী।

শিখে নাও
কিভাবে সমমনা মানুষদের নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে হয়, তোমাদের মুসলমানদের মধ্যে যদি সে জ্ঞান না থাকে তবে নাস্তিকদের কাছ থেকে সে জ্ঞান অর্জন করে নাও। কারণ . তারা ক্ষুদ্র সমষ্টি হলেও ঐক্যের কারণে মুসলমানদের চেয়ে আজ তারা শক্তিশালী। তাদের এই শক্তি দিয়ে আজ ৯০ শতাংশ মুসলীম অধ্যুষিত বাংলাদেশ থেকে মুসলীম বিতাড়ন তথা ইসলামী সংস্কৃতি-তাহযীব-তামাদ্দুন ধ্বংসের ডাক দিয়েছে ! যদি এদেশের মুসলীমরা আজ একতাবদ্ধ থাকত, তবে কি করে পারত এইসব নাস্তিকরা বাংলাদেশ থেকে সকল ধর্মীয় রাজনীতি তথা সকল ধর্মীয় দল নিষিদ্ধের নির্দেশ দিতে ? কিন্তু তারা সেই ডাক দিয়েছে।

তারা চায় না
কোন ধর্মীয় রাজনীতি। তারা চায় না এদেশের মুসলমানরা রাষ্ট্রীয় কর্মে জড়িত হোক। তারা চায় , মুসলমানদের নতশীর। তারা চায় এদেশের সভ্য সংস্কতি ধ্বংস করে অসভ্যতার লালন করে এদেশকে উলঙ্গ করে পতিতালয় বানাতে। তারা চায় এদেশের মুসলীমদের ঈমান হরণ করে বেঈমান বানিয়ে স্রস্টার বিরোধী বানাতে। তারা চায় এদেশের পর্দানশী নারীদের পর্দা হটিয়ে রাস্তায় বের করে তাদের ভোগ বিলাসের সামগ্রী বানাতে।

তাই,
যদি এদেশের মুসলীমরা দেশকে নাস্তিকপূর্ণ উলঙ্গ পতিতালয় রূপে দেখতে চায়,দেখতে চায় নিজেদের নাস্তিক রূপে , দেখতে চায় নাস্তিকদের কাছে তাদের নতশীর, তবে মুসলীমরা ঘরের কোনে বসে ব্যাঙের মত ডাক দিয়ে যাক।

আর যদি
মুসলীমরা তা ন চায়, তবে তারা ঘর থেকে বের হয়ে যাক বাংলাদেশ থেকে নাস্তিক নিধনের আন্দোলনে , দেশের সভ্যতা রক্ষার আন্দোলনে, দেশের আপামর জনতার সুখ-শান্তি রক্ষার আন্দোলনে, দেশের সার্বিক কল্যান আনায়নের আন্দোলনে সর্বোপরী ধর্ম রক্ষার আন্দোলনে। তারা সকল মুসলীম একই মঞ্চে এক আল্লাহ ও রাসূল(সঃ) এর নির্দেশীত একই পথে ঐক্যের ভিত্তিতে সম্মিলিত হোক।
=============

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা


বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

শোক সংবাদ : চট্টগ্রাম মুরাদপুর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আবদুল মাবুদ সওদাগরের ইন্তেকাল

শোক সংবাদ
চট্টগ্রাম মুরাদপুর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
জনাব আবদুল মাবুদ সওদাগরের ইন্তেকাল
---------------------------------


আমার বড় ভগ্নিপতি চট্টগ্রাম মুরাদপুর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আবদুল মাবুদ সওদাগর আজ ১৪ই ফেব্রোয়ারী-২০১৩ ইং, ২ ফাল্গুন-১৪১৯ বঙ্গাব্ধ, ০৩ রবিউস সানি ১৪৩৪-হিজরী, বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে চট্টগ্রাম শহরস্থ বিবিরহাট নিজ ব্যবসা প্রতিষ্টানের নিকট হার্ট এ্যাটাক্ট হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলায়হি রাজিউন।



মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ বছর এবং তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, দুই মেয়ে, দুই পুত্রবধু সহ নাতি - নাতনী, আত্মীয়-স্বজন, অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব এবং গুণগ্রাহী রেখে যান । ব্যক্তিগত জীবনে তিনি জনহিতৈষী , মানবদরদী ও সমাজউন্নয়নমুলক কর্মে নিজেকে নিয়োজিত রেখে চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুরে আলম স্টীল এবং বিবির হাটে এস.এম ব্রাদার্স নামের দু'টি লৌহজাত সামগ্রীর দোকানের কর্ণধার হয়ে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্টিত করেন। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল মালেক কন্ট্রাক্টরের আপন ছোট ভাই।

কিছুক্ষণ আগে তাঁকে দাফনের উদ্দেশ্য তাঁর গ্রামের বাড়ি ছাদেক নগর (আরবানীয়া সওদাগরের বাড়ির দক্ষিন পার্শে), ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামী কাল জুমার নামাজের পর জানাযা শেষে তাঁকে সেখানেই তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

তাঁর আত্মার শান্তির লক্ষ্যে দোয়া কামনা করছি।
====================


আজ ভালোবাসার দিন

আজ ভালোবাসার দিন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------


দূরে দূরে থেকোনা আর কাছে আসোনা ,
ভালোবাসার দিন যে আজ ভালোবাসোনা।।

একটু ফিরে তাকাওনা
একটুখানি দাঁড়াওনা ।
ফুল প্রদানের দিন যে আজ
ফুলটা হাতে নাওনা ।।

ভালবাসার ধুম পড়েছে
মনে প্রেমের রং ধরেছে !
মন বিনিময়ের দিন যে আজ
মনের কথাটি কওনা।।

আর কতদিন রাখবে আমায়
এভাবে তোমার অপেক্ষায় ?
ঘুরতে যাবার দিন যে আজ
ঘুরে আসি দু'জন আজ চলনা।।

এখনো কি ভাববো আমি
দূর গগনের তারা তুমি ?
কাছে আসার দিনযে আজ
কাছে এসে বসোনা।।

ভালবাসার ঢেউ যে মনে
ভালোবাসবো আজ দু'জনে।
ভালোবাসার দিন যে আজ
একটু ভালোবেসোনা।।
--------------------

বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ভালবাসা দিবসের উপহার - ০২ , সমাজ সংস্কার : প্রেম বা ভালবাসা

<<<<< ০১ এর পর  >>>>> 

ভালবাসা দিবসের উপহার - ০২
সমাজ সংস্কার : প্রেম বা ভালবাসা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------



পক্ষান্তরে , পুরুষের জন্য কর্মক্ষেত্র করা হয়েছে বাইরের জগত। তারা বাইরের উপযোগী। তাছাড়া, নারীদের দেহসৌষ্টব, নমনীয়তা, সৌন্দর্য, ঙ্গ-প্রতাঙ্গের কোমলতা প্রভৃতি পুরুষের কাছে লোভনীয়। অপরপক্ষে, পুরুষদের শক্তি, দেহাবয়ব ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠনভঙ্গী জন্ম থেকেই অপেক্ষাকৃত রুক্ষ – শক্ত ও কঠিন। এ পার্থক্যই নারীকে করেছে গৃহের আভ্যন্তরীন কাজকর্মের উপযোগী। আর পুরষকে করেছে বাহিরের কঠিন কাজ আঞ্জাম দিয়ে জীবিকা নির্বাহের উপযুক্ত।

অথচ, আজ নারীরা সমানাধিকারের লড়াইয়ে রাজপথে নেমে সকল কর্মক্ষেত্রে অবস্থান নিয়েছে। সমানাধিকার অর্জন করতে গিয়ে তারা দ্বিগুণ কর্মে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে, এতে নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুমের খড়ক তুলছে। যা ইসলাম চায়নি। ইসলাম নারীদের সমানাধিকার দিয়েছে পুরুষ ও নারীর কর্মসমুহের সমবিভাজন দিয়ে। যতে নারীদের উপর কোন জুলুম না হয়। আর সেই জুলুমের স্বীকার হচ্ছে নারীরা তাদের ইচ্ছা মাফিক সমানাধিকার চাইতে গিয়েই। নিজেরাই সমানধিকারের নামে নিজেদের করে যাচ্ছে জুলুমের শিকলে বন্ধী ! যদি তারা আল্লাহ ও রাসুলের আইন বাদ দিয়ে সমানাধিকার চায়, তবে তাদের চাওয়া উচিত সন্তানের গর্ভধারণ–প্রসব-লালনের কর্মকেও সমানভাগে পুরুষদের কাছে বন্টন করা। নারীদের সমানাধিকার যারা চায় , তারা কি পারবে এই কাজটিকে সমভাগে বন্টন করতে ? তারা কি পারবে পুরুষদের দ্বারাও সন্তান গর্ভ ধারণ করিয়ে প্রসব করাতে ? যদি তারা তা না পারে, সমানাধিকার তারা কিভাবে বন্টন করবে ? তবে কি সমানাধিকারের ধ্বজাধারীরা আল্লাহ রাসূলের আইন বাদ দিয়ে নারীদের সমানাধিকারের নিশ্চয়তার বিধান রচনা করতে পারবে , বা নারীরা কি আদৌ তাদের চাহিদা মোতাবেক সমানাধিকার অর্জন করতে পারছে ? যদি পুরুষরাও সন্তান গর্ভে ধারণ ও প্রসব করতে পারত , তবেই তো হতো , নারীদের প্রকৃত সমানাধিকার অর্জন। তাই বলতে হয়, নারীদের সমানাধিকার চাইতে গিয়ে তারা পুরুষদের চেয়েও অধিক কর্মে নারীদের জড়িত করে তাদের উপর জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে নারীর সমানাধিকারে আগ্রহীরা। আর নারীদের উপর এ অন্যায় - অবিচার ও অত্যাচারের খড়ক তুলতে সহয়তা করেছে-করছে বেশ কিছু স্বার্থপর – নারী মাংসলোভী পুরূষরূপী পিশাচ। যারা নারীদের ঘরের বের করে প্রতিনিয়ত তাদের সুবিধা ভোগ করে চলেছে। আর নারীরা হচ্ছে তাদের শিকার।
ফলশ্রুতিতে, অধুনা জগতের সর্বনাশী অবৈধ প্রেমের বন্যায় সয়লাব হয়ে গেছে সর্বত্র, সকল স্তরে। বেহায়াপনার প্রদর্শনী চলছে আমাদের সমগ্র দেশব্যাপী। শালীনতার মোহনীয় রূপ নির্লজ্জ প্রেমবাজারের উম্মুক্ত অন্ধকার গলিতে বিক্রি হয়ে গেছে। চতুর্দিকে চলছে বেলাল্লপনার উম্মুক্ত প্রদর্শনী, যে প্রদর্শনীর দর্শনার্থী সমগ্র বিশ্বের মানুষ। এই অবৈধ প্রেমবাজারের ধ্বংসাত্মক ছোঁয়ায় ধ্বংসের পাদপীঠে দন্ডায়মান আজ ব্যক্ত – সমাজ – রাস্ট্র।
নারীদের কোমল, লোভনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দর্শন করতে করতে পুরুষদের চোখে সৃষ্টি হয়ে গেছে কামুকতার দৃষ্টিফাঁদ। তাই, নারীরা তুলতুলে শরীর নিয়ে যখনই মুক্তভাবে মাঠে নামছে, তখনই তারা পুরুষদের সেই কামুকতার দৃষ্টিফাঁদে আটকে যাচ্ছে। ফলে, যত্রতত্র নারীদের কোমলাঙ্গ পুরুষদের রুক্ষ-শক্ত-কঠিন অঙ্গের চাপে পিষ্ঠ হচ্ছে। চারদিকে চলছে নারীদেহের উপর পুরুষদের ষ্টিমরোলার। নারীদেহের সৌন্দর্য র্শনের পরিবর্তে তাদের দেহের উপর নেমে আসছে গণধর্ষণের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অবৈধ প্রেম করতে গিয়ে ধরা খাচ্ছে নারীরাপুরুষ্দের দুই হাতের মুঠোয়।
তাই বর্তমান আধুনীক হালফ্যাশানের প্রেমের মাধ্যমে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অশান্তির দাবানল না ছড়িয়ে প্রকৃত প্রেম-ভালোবাসার শান্তিময় রাজ্য গড়ে তুলুন। তাতেই সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রশান্তির পরশ পাথর অর্জিত হবে।
সর্বস্তরের নারী-পুরুষের কাছে আকুল আর্তি, প্রেম – ভালবাসা – বন্ধুত্ব করতে হলে আল্লাহর সাথে করুন, ভালবাসুন আল্লাহ ও রাসূল(সাঃ) এর আদেশ নিষেধকে। নিয়ম ও যথাযোগ্যানুষারে প্রেম করুন – মাতা-পিতার সহিত, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সহিত, সন্তান-সন্ততির সহিত, আপন ভাই-বোনের সহিত, রক্ত সম্পর্কীয় বন্ধনের সহিত, আপন আত্মীয়-স্বজনের সহিত, পাড়া-প্রতিবেশীর সহিত, অন্যান্য আত্মীয়ের সহিত, দ্বীন রক্ষার্থে মুসলমান ভাই-বোনদের সহিত, উস্তাদ-সাগরেদ একে অপরের সহিত, পীর-মুরীদ একে অপরের সহিত, আল্লাহর সৃষ্টি সকল মানুষ – প্রাণী – বস্তুর সহিত।
এছাড়া অন্য কোন অবৈধ প্রেম – ভালবাসা – বন্ধুত্ব করে নিজের, সমাজের, দেশের ধ্বংসের জন্য জোগান গ্রহণ করবেননা। যে সব কিশোর-কিশোরী, তরুন-তরুনী, যুবক-যুবতী এবং সর্বস্তরের নারী-পুরুষ অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে আছেন, প্রেম নামের সর্বনাশা হোলি খেলায় মত্ত্ব , তাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ, আপনারা ফিরে আসুন সঠিক পথে। দেশ আজ আপনাদের উজ্জল ভবিষ্যতের পথের দিকে চেয়ে আছে, প্রেম নামক সর্বনাশা মরণফাঁদ থেকে ফিরে বৈধ প্রেমের রাজত্ব গড়ে তুলুন। বিয়ে করুন। তারপর স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে নিয়ে যত ইচ্ছা প্রেম করুন, ভালবাসুন, বন্ধুতব করুন। কারন, আল্লাহ পাক বলেন – “ আল্লাহর কুদরতের অন্যত নিদর্শন এইযে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন। তোমরা যেন তাদের নিকট থেকে প্রশান্তি লাভ করতে পার। আর তোমাদের মধ্যে প্রেম-ভালবাসা-মায়া-মমতা সৃষটি করেছেন। নিশ্চয় এতে আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল লোকদের জন্য’’। রাসূল (সাঃ) বলেন – “স্বামী ও স্ত্রী যখন পরষ্পরের দিকে ভালবাসার দৃষ্টিতে তাকায়, তখন আল্লাহ পাক তাদের দিকে অনুগ্রহের দৃষ্টিতে তাকান। তারপর স্বামী যখন তার স্ত্রীর হাত ধারণ করে, তখন তাদের আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে গুনাহগুলো ঝরে যেতে থাকে”।
তাই, স্বামী-স্ত্রীর প্রেমই নর-নারীর মধ্যকার দৈহিক মিলনের সার্বজনীন স্বীকৃত ও বৈধ পন্থার প্রকৃত প্রেম, যা আল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের একটি সোপান বিশেষ। আর মুসলমানদের আদর্শই হচ্ছে বিবাহের পরই নর-নারী একে অপরের সহিত প্রেম করা, ভালবাসা, বন্ধুত্ব করা। কারণ, স্বামীর একটু আলতু স্পর্শ, স্ত্রীর একটু স্বলাজ ভঙ্গি, একটুকরো মিষ্টি হাসি, দু’জনার এক পলকের দৃষ্টিতে দু’জনার মাঝে যে প্রেম-ভালবাসার জন্ম দেয়, তা উভয়ের মাঝেই পরিপূর্ণতা নিয়ে আসে। এ প্রেম সমাজে শান্তির জন্ম দেয়।
পক্ষান্তরে, অবিবাহিতা নারী ও অবিবাহিত পুরুষের প্রেমের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে শয়তান এসে উপস্থিত হয়। সে তাদের মাঝে কুমন্ত্রণা দিয়ে শেষ পর্যন্ত দৈহিক ম্পর্কের ইন্ধন জোগায়। এ প্রসঙ্গে রাসূল(সাঃ) বলেন-“কোন পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে একান্তে থাকে, তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয় শয়তান। সে উভয়ের ভাবাবেগকে উৎসাহিত করে এবং উভয়ের মনে খারাপ ও কুমন্ত্রণা দিতে থাকে”। ফলশ্রুতিতে উক্ত দু’জনের মনে জাগে একে অপরকে পুরোপুরি সমর্পন করারা সর্বনাশা ইচ্ছা। এর ফলে ঘটে যায় উভয়ের দেহের মিলন। ঐ মিলন সমাজে পরিচিতি পায় “জেনা”হিসাবে। সমাজবিরোধী ও অবৈবধ মিলনের ফল স্বরূপ নারী দেহের অভ্যন্তরে জন্ম নেয় আরেক মানবজীবন। প্রকাশ হয়ে পড়ে সমাজে ঐ নারীর কুকীর্তির কথা। সমাজ বিচারের ব্যবস্থা করে। উভয়ের জন্য শাস্তি নির্ধারিত হয়। সামাজিক নিয়মানুষারে শাস্তি নির্ধারিত হলে সর্বোচ্ছ শাস্তি হয়, সমাজ বিচ্যুতের মাধ্যমে। আর আল্লাহর নিয়মে শাস্তি দিতে হলে, আল্লাহ পাক বলেন- “জিনাকারিনী নারী ও জিনাকারী নর বা পুরুষ (যদি অবিবাহিত হয় উভয়কে) একশত করে বেত্রাঘাত করো”। আর রাসূল (সাঃ) বলেন- “তাদের প্রাণদন্ড দাও, প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদন্ড দাও”।
সমাজের অবৈধ না হলে এ প্রেম স্বীকৃতি পেত সমাজে। অথচ তা স্বীকৃতি পেল অবৈধ রূপে। তাই, বিবাহপূর্ব প্রেম অবৈধ, অগ্রাহ্য। ইসলামী দৃষ্টিতে যে প্রেম-ভালবাসা , তাতে রয়েছে মানব সমাজের জন্য কল্যানকর ও নিরাপদ জীবনের গ্যারান্টি। তাই, ইসলাম বিয়ের পর প্রেম-ভালবাসায় জড়িত হতে বলে। সমাজ বিয়ের পরের প্রেমকে নির্দ্বিধায় স্বীকৃতি দেয় বলেই সমাজ নিজ উদ্যোক্তায় ঐ প্রেম শুরু করার জন্য দু’টি নর-নারীকে একই বন্ধনে একই ঘরে সমাজের অভ্যান্তরে অবস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বৈধতার সনদ প্রদান করে সমাজ বিয়ে নামের একটি জৌলুসপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে। উক্ত নর-নারী সমাজে অবস্থানের মাধ্যমে প্রেমের ভুবন গড়ে তোলে। তাই, বিয়ের পরের প্রেমই বৈধ। আর এ প্রেমই প্রকৃত প্রেম। আর এ প্রেমের পরিসমাপ্তি স্বরগের উদ্যানে। এ প্রেমেরই উদাহরণ দিতে গিয়ে কবি বলেন- “স্বর্গ থেকে আসে প্রেম, আবার স্বর্গে যায় চলে”।
তাই সকল বয়সী নর-নারীদের প্রতি অনুরোধ, শালীনতা রক্ষা করে চলুন। কারণ, লজ্জা ঈমানের অঙ্গ বিশেষ। লজ্জাহীনতাই দেশ ও জাতিকে বেহায়াপনার দিকে ঠেলে দেয়। যদি আজ আমাদের মাঝে লজ্জা নামের অংশ বিশেষও থাকত, তবে আমরা প্রেম নামক মুক্তবাজ প্রেমখেলা খেলতামনা। রাস্তায়, ড্রেনে, ডাস্টবিনে, সাগরের জলে নিষ্পাপ মানবশিশুকে ভাসিয়ে দিতামনা। সমাজের ভয়ে, মুখে চুনকালী লাগার লজ্জাতে, পথে-ঘাটের কুকুর হবার ভয়ে জলজ্যান্ত আদম সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করতামনা, করতামনা জ্যান্ত কবরস্থ।
আজ বিশ্ব দেখছে আমাদের বেহায়াপনা, আমাদের এই অশালীনতার নোংরা রূপ। দেশ ও জাতির নিকৃষ্টতম কর্মের এই পরিণতি নিউজ পেপারের হেডলাইন হয়ে বিশ্বের আনাচে কানাচে কখনো পৌঁছতনা। সর্বনাশা প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে দেশ ও জাতিকে বেহায়াপনার দিকে ঠেলে না দিয়ে মনের আবেগকে সমাজ ও ঘরের চারদেয়ালে আঁটকে রাখুন। সর্বনাশা কীট প্রেমের ফাঁদে পা দিবেননা। 143 (I LOVE YOU) এর মত সস্তা ও অবৈধ ভালবাসা করবেননা। সুন্দর জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেননা। মানুষের মত মানুষ হয়ে বাঁচতে শিখুন। সমাজের ফুল হয়ে প্রস্ফুটিত হোন। আল্লাহর দেয়া বিবেককে কাজে লাগান। দেখবেন, কঠিনতর সবকিছুই সহজ।

ইসলামী অনুশাসন মেনে চলুন। বাস্তবতার আলোকে জীবন পরিচালনা করুন। ইসলামী সভ্যতাই সকল সভ্যতার রাজা। তাই ইসলামী অনুশাসন মেনে চলে সভ্য হোন। সময়ের সদ্ব্যবহার করুন। ধর্ষণ নয় দর্শনের ভিত্তিতে ক্ষণিক জীবনের সময়গুলো কাজে লাগান। ইসলামী আদর্শে জীবন গড়তে চেষ্ঠা করুন। কয়েকটি ইসলামী উপদেশ জীবন চলার পথে সম্বল করুন। যথা –

চলতি পথে চোখের দৃষ্টি নত রাখুন।

নারী বা পুরুষ একে অন্যকে দেখার সাথে সাথেই চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নিন।

রাস্তার ডানদিকে চলুন।

মুসলমান তথা আল্লাহর সৃষ্টিজগতের হক আদায় করুন।

রাস্তা থেকে মানুষের কষ্টদায়ক বস্তু উঠিয়ে নিন।

পুরুষগণ স্ত্রী ছাড়া অন্যান্য নারীদের মা ও বোন হিসাবে ভাবতে শিখুন।

নারীগণ স্বামী ছাড়া অন্য সকল পুরুষকে বাপ বা ভাই হিসাবে ভাবতে শিখুন।

আল্লাহ ও রাসূলে(সাঃ)র আদেশ নিষেধ মেনে চলুন।

কারো ঘরে যেতে ইসলাম মনোনীত তিন সময় মেনে চলুন অর্থাৎ ফজর নামাজের পূর্বে,দুপুরের বিশ্রাম গ্রহণের সময় এবং এশার নামাজের পরে এই তিন সময়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। উক্ত তিন সময়ে যেতে হলে আগে অনুমতি নিয়ে নিন।

কারো ঘরে প্রবেশ করতে সালাম দিন, তারপর প্রবেশের অনুমতি নিন।

কারো ঘরে প্রবেশ করে কোন নারীর সাথে কথা বলতে হলে দৃষ্টি নত রেখে পর্দা রক্ষা করে কথা বলুন।

সকল অন্যায় কর্ম ও পথ পরিহার করুন।

সালামের জবাব দিন।

সৎকাজের আদেশ দিন, সৎকাজ করুন এবং অসৎ কাজে বাধা দিন, অসৎ কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।

নারীদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক বলেন – “তোমরা তোমাদের ঘরে থাক এবং বাহিরে খোলামেলা হয়ে বের হয়োনা”।
পুরুষদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক বলেন – “তোমরা যখন তাদের (নারীদের) নিকট কিছু চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে”।
নারী-পুরুষ উভয়ের প্রত আল্লাহ পাক বলেন- “নিঃসন্দেহে ইসলামের বিধিবিধান পালনকারী পুরুষ ও নারী, ঈমান্দার পুরুষ ও নারী, আনুগত্যকারী পুরুষ ও নারী, সভ্য পরায়ন পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, বিনীত পুরুষ ও নারী, দানশীল পুরুষ ও নারী, রোজা পালনকারী পুরুষ ও নারী, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহর অধিক জিকিরকারী পুরুষ ও নারীদের জন্য রয়েছে – আল্লাহর ক্ষমা, মাগফিরাত ও উত্তম পুরস্কার।
(খ) পিতা, মাতা ও অভিভাবকগণের প্রতি

পিতা, মাতা ও অভিভাবকগণের প্রতি অনুরোধ, নিজ নিজ সন্তানদের আদর্শবান করে গড়ে তুলুন, তার জন্য ইসলামী শিক্ষার সাহায্য নিন। তাদের দিকে অতন্দ্র প্রহরীর মত তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখুন, যাতে তারা খরাপের পথে পা না বাড়ায়, খারাপের সাথে মিশতে না পারে। একমাত্র ইসলামী শিক্ষাই সন্তানকে আদর্শবান করে গড়ে তুলতে পারে। তাই ইসলামী শিক্ষা দিয়ে তাদের রক্ষা করুন।
আল্লাহ পাক পিতা-মাতার উদ্দেশ্য বলেন- “হে মুসলীমগণ ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকেজাহান্নামের অগ্নি থেকে রক্ষা কর”। প্রয়োজনে তাদেরকে হুঁশিয়ারী সংকেত দিন। হাদীসে আছে – “ঘরের এমন স্থানে একটা বেত টাঙ্গিয়ে রাখ, যাতে সবার নজরে পড়ে, প্রয়োজনে শাসনও করবে”।

সন্তানদের আদর্শবান করে গড়ে তোলার ব্যাপারে রাসূল(সাঃ) বলেন – “কোন পিতা-মাতা সন্তানকে উত্তম আদব-কায়দা শিক্ষাদান অপেক্ষা ভাল কোন দান দিতে পারেনা”।অভিভাবকগণের উদ্দেশ্যে আল্লাহ পাক বলেন – “হে পুরুষগণ ! তোমরা তাদের (নারীদের) কে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দিওনা। আর তারাও যেন বের না হয়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে আল্লাহর সীমা লঙ্গন করবে সে নিজের জানের উপর জুলুমকারী সাব্যস্থ হবে”। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে রাসূল (সাঃ) বলেন – “তোমার দ্বারা যদি আল্লাহ একজন মানুষকে হেদায়েত দেন, তা তোমার জন্য লাল উষ্ট্রী অপক্ষা উত্তম সম্পদ”।
(গ) সরকারের প্রতি

দেশের সরকারের প্রতি অনুরোধ, দেশের সকল বিদ্যাপীঠ থেকে (নারী-পুরুষের সহাবস্থানের) সহ শিক্ষার প্রচলন বাতিল করুন। জিনার বিকল্প পথ স্বরূপ সহশিক্ষার প্রচলনই দেশ ও জাতিকে বেহায়াপনার দিকে ঠেলে দিবার মুল চাবিকাঠি। যদি তা নাই হতো, তবে দেশের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে সুবহে সাদিকের পর শুভ প্রভাতে কাপড় প্যাঁচানো আদম শিশুর লাশ পড়ে থাকতোনা। রমনার লেকের পানিতে সদ্যজাত শিশুর মরা লাশ ভাসতোনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পঁচা গলিত মানব শিশুর হাঁড় মিলতোনা। জাহাঙ্গীর নগর ভার্সিটিতে ধর্ষনের সেঞ্চুরী ঘটতোনা।
তাই, সকল প্রকার বিদ্যাপীঠ থেকে সহশিক্ষার প্রচলণ উঠিয়ে নিন। রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল, ইডেন হল সহ সকল ছাত্রী হোষ্টেল ধ্বংস করুন। নারী শিক্ষার প্রয়োজনে আলাদা বিদ্যাপীঠ স্থাপন করুন। তারা যাতে ঘর থেকে আসা-যাওয়া করে পড়া-লেখা করতে পারে সে ব্যবস্থা নিন। যদি তা না করা হয়, দেশব্যাপী অহরহ ধরষণের সেঞ্চুরী ঘটতে থাকবে। সমগ্র দেশ মানুষ পঁচা গন্ধে ছেঁয়ে যাবে। দেশের পরিবেশ নষ্ট হবে। মৃত্যু না আসলেও আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগবে।
তাই, ইসলামী নীতিমালায় দেশ পরিচালনা করুন, দেখবেন সকল অঘটন-ঘটনা শুনা থেকে মুক্তি পাবেন। দেশ শান্ত হবে। সমাজের অশান্তির দাবানল আস্তে আস্তে নিভতে থাকবে। চারদিকে ফত্ ফত্ করে উড়তে থাকবে মহাজোট সরকারের বিজয় কেতন।
তথ্যসুত্র :

ক) আদর্শ নারী , অক্টোবর-২০০১, মার্চ- ২০০২, এপ্রিল-২০০২ সংখ্যা।
খ) ইনকিলাব উপহার, ২২শে মার্চ – ২০০২,
গ) ইসলামী জীবন পদ্ধতি, আল্লামা শায়খ জামিল জাইনু।
বিঃ দ্রঃ এ লেখাটি সম্ভবতঃ ২০০২ সালে আদর্শ নারীতে পাঠানো হয়েছিল, তবে প্রকাশ হয়েছিল কিনা জানিনা। লেখাটি ঈষৎ সংশোধন করে এখানে প্রকাশ করা হল।
==============

ভালবাসা দিবসের উপহার - ০১ , সমাজ সংস্কার : প্রেম বা ভালবাসা



ভালবাসা দিবসের উপহার - ০১
সমাজ সংস্কার : প্রেম বা ভালবাসা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------



ভুমিকা :
সৎকাজের আদেশ দান এবং অসৎকাজে বাধা দান – এ দু’টি মূল স্তম্ভের উপরই সমাজ সংস্কারের মূলভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। এ দু’টি মূল স্তম্ভের আলোকে আলোচনা বা সৎকাজের প্রতি মানব সমাজের আগ্রহ সৃষ্টি, প্রেরণা দান, উৎসাহ জোগানো এবং অসৎ কাজর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি, অসৎ কাজ থেকে লোকসমাজকে ফিরিয়ে রাখার স্বার্থে বিবিধ উদাহরণ ও বাস্ত ধারণা দিয়ে আদেশ - উপদেশ – পরামর্শ দানের মাধ্যমে জনসমাজকে অন্ধকার থেকে আলোকের পথে টেনে আনার কর্মই হলো কলমধারীদের “সমাজ সংস্কার’’।
সমাজের এক একটি নষ্ট দিক নিয়ে আলোচনা করে সমাজের সব নষ্ট পথের গলি সংস্কার করনের জেহাদে কলমধারী যুদ্ধা তথা মুজাহিদগণের অবতীর্ণ হবার মধ্য দিয়ে যে সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি হয়, তাই-ই পরিণত হয় কলমধারীদের সমাজ সংস্কারের এক একটা পদক্ষেপ হিসাবে। 
সমাজ সংস্কারমূলক লেখায় সকল কলম সৈনিক, বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্ছারিত মুজাহিদ এমনভাবে তাঁদের আলোচনা উপস্থাপন করতে স্বচেষ্ঠ থাকবেন, যাতে জনসমাজ আলোচিত বিষয়ের সঠিক দিক সহজেই অনুধবন করতে পারে। সঠিক দিক অবলম্বনে উৎসাহ পায়। যেন বুঝতে পারে আলোচিত বিষয়ের সমুহ লাভ-ক্ষতির বিষয়ে। অপরপক্ষে, লোক সমাজ ক্ষতির দিক অনুধাবনের মাধ্যমে সেদিক থেকে যেন সহজেই নিরুৎসাহিত হতে বাধ্য হয়।
এক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে আলোচনার সর্বাঙ্গ জুড়ে যদি বাস্তব প্রমাণ দাঁড় করানো যায়, তবে ফলাফল নব্বই শতাংশে এসে দাঁড়াবে বলে মনে করি। কারণ, একজন ছাত্র থিউরিক্যাল ক্লাস করে যতটা উপকৃত হয়, তার চেয়ে বেশী উপকৃত হয় প্রাক্টিক্যাল ক্লাস করে। অর্থাৎ, মানুষ অবাস্তব বা অদেখা বিষয়ের উপর যতটা জ্ঞানার্জন করতে পার, তার চেয়ে বেশী জ্ঞানার্জন করতে পারে বাস্তব বা চোখে দেখা বিষয়ের উপর।
যেহেতু, মনের চোখে দেখার চেয়ে চরর্মচক্ষে দেখাতেই ইস্পিত বিষয়ে বেশী আকর্ষণ করে, সেহেতু মানুষ অবাস্তব ধারণার চেয়ে বাস্তব ধারণাতেই বেশী আকর্ষিত হতে বাধ্য। যেমন – বর্তমান যুগের সবচেয়ে বেশী আকর্ষিত গণমাধ্যম হল ইন্টারনেট। যার সৌন্দর্য – উৎকৃষ্টতম – নিকৃষ্টতম দিক সম্পর্কে পরো বিশ্বের মানুষই কমেশী অবগত। অথচ, যরা এ ইন্টারনেট দেখেছে, ইন্টারনেটের ভিতরে যারাই প্রবেশ করেছে তারা সেদিক থেকে আর কোনদিকে ফিরছেনা। দুনিয়া চলে যাক চোখ তাদের ইন্টারনেটে। আর যারা এ ইন্টারনেট জগতকে এখনো দেখেনি তারা বলছে – ইন্টারনেট নিয়ে যারা বসে রয়েছে তারা এক একটা বদ্ধ পাগল ! কোন মানুষ এভাবে না খেয়ে না পরে কি রাত দিন ইন্টারনেট নিয়ে বসে থাকতে পারে ?
এই হলো বাস্তব ও অবাস্তব ধারণা। যারা ইন্টারনেট সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পেয়েছে, তারা রাত-দিন ইন্টারনেট নিয়ে বসে আছে, আরা যারা বাস্তব ধারণা পায়নি তারা বাস্তব ধারণারণার অধিকারীদের বলছে পাগল। আর তেমনই হলো , আমাদের বর্তমান সমাজের অবস্থা। মানুষ বর্তমানে নষ্ট দিকগুলোর বাস্তব ধারণা বেশী পেয়েছে বলেই পড়ে আছে তারা সেইসব নষ্ট পথের গলিতে। এখন তাদেরকে সেইসব নষ্ট পথের গলি থেকে ফেরাতে হলে প্রয়োজন উৎকৃষ্ট পথের দিশা স্বরূপ এক একটা ইন্টারনেট ওয়েব সাইট। যেগুলোতে দেখতে পাবে মানুষ মনোরম সকল দৃশ্য। জানতে পারবে মানুষ যে সাইটগুলো থেকে নতুন এক শান্তির জগতকে।
তাই, বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে সমাজকে সংস্কার করতে প্রতিদিন কলমযোদ্ধাদের অত্যাধুনীক গণমাধ্যমের দৃশ্যপঠে হাজির হতে হবে ইন্টারনেটের নোংরা সাইটগুলোর মত শক্তিশালী ও জনপ্রিয়তার লক্ষ্যে এক একটি সমাজ সংস্কার মূলক ওয়েবসাইট নিয়ে।

বর্তমান সমাজের নোংরা গলিতে সেইরূপ কতইনা নিত্য নতুন ওয়েব সাইটের ঠিকানা। প্রদর্শিত হচ্ছে যাতে বিবিধ নোংরা প্রদর্শনী। অথচ, এসব নোংরা সাইটের বিরুদ্ধে সমাজ সংস্কারমুলক তেমন সাইট পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। ফলে ইন্টারনেট বিশ্ব হয়ে পড়ছে সভ্যতা বিধ্বংসী কর্ম নির্ভর এক বিশ্ব ফ্ল্যাটফরম রূপে। আর এই সভ্যতা বিধ্বংসী বিশ্ব ফ্ল্যাটফরমকে সভ্য রূপে রূপায়ীত করতে প্রয়োজন কলমধারীদের সভ্য সব লেখা দিয়ে ভরিয়ে দেবার। আলোচ্য “সমাজ সংস্কার’’ হোক তেমনই একটা উদ্যাগ। সমাজের নোংরা গলিতে বিচরণকারীদের জন্য “সমাজ সংস্কার’’ হোক কম্পিউটারের মণিটর সদৃশ। যাতে চোখ দিলে লোক সমাজ দেখতে পাবে নতুন নতুন এক একটি ওয়েব সাইট থেকে নতুন নতুন এক একটি সভ্য জগত।
আশাকরি প্রত্যেক কলম সৈনিক তাঁদের সমাজ সংস্করমূলক লেখায় সমাজের এক একটি নষ্ট দিক সম্পর্কে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটাতে স্বচেষ্ট থাকবেন। সেই সাথে সমাজ সংস্কার মূলক বিভিন্ন সাইট খুলে সেগুলোর মাধ্যমে সমাজ সংস্কার মূলক বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ইন্টারনেটকে একটি বিশ্ব সভ্যতার বিশ্ব ফ্ল্যাটফরম হিসেবে রূপ দিতে সকলেই এগিয়ে আসবেন।
এ অধম সমাজ সংস্কার ও আত্মসংস্কারের অভিপ্রায় নিয়ে “সমাজ সংস্কার” মূলক এ লেখাটি সকলের সম্মুখে উপস্থাপন করলাম। নাকের ডগায় প্রদর্শিত সভ্য সমাজে আক্রান্ত একটা বিষব্যধি , নষ্ট সভ্যতার একটা নোংরা আয়োজন, বিশ্বকে কলুষিত ও কলঙ্কিত করার একটা বিশেষ দিন “বিশ্ব ভালোবাসা দিবস” আয়োজনের প্রতিবাদে উপস্থাপিত “সমাজ সংস্কার” মূলক আমার আজকের লেখার বিষয় হলো – “প্রেম বা ভালোবাসা”।
(ক) যা বলতে চাই
সাধারণভাবে বলতে গেলে, প্রেম বা ভালোবাসা হলো – মানবহৃদয়ের একটা টান বা আকর্ষনীয় দিক। একে অপরের প্রতি অনুরক্ত হওয়া। ভালোভাবে যুগোপযোগী ভাবনার আলোকে বুঝাতে গেলে, প্রেম বা ভালোবাসা হলো – দু’টি নরনারীর বিশেষ রূপে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত হবার আকুল বাসনার প্রকাশ্য পদচারণা। যা সাধারণতঃ আমাদের দেশের ভার্সিটি এলাকায় আর পার্কগুলোতে ঘুরতে গেলে দেখা যায় ! দেখা যায় ভালবাসা দিবস নামের বিশেষ দিনের নির্লজ্জতা ও সভ্য মানুষদের অসভ্য কর্মের উৎসবে। যে প্রেম মানুষকে নিয়ে যায় অধঃপতনের শেষ প্রান্তে। যে প্রেমে সুখ – শান্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকে দুঃসহ যন্ত্রণা।
আর সভ্যতার পরিভাষায় প্রেম বা ভালোবাসা হলো – একটা চিরন্তন শ্বাশত সত্য কথা। প্রেম বা ভালোবাসা সাময়িক একটা প্রাণচাঞ্চল্যতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং এটা মানুষের নৈতিক – দৈহিক ও মানষিক বিষয়েরও প্রচুর উন্নতির সোপান বিশেষ, যা মানুষকে এক সময় মহান করে তোলে। এ প্রেমই মানুষকে তার সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে যেতে সহায়তা করে। তাই এ প্রেম বা ভালবাসা মহান সৃষ্টিকর্তার এক বিশেষ নেয়ামত।
কিন্তু অধুনা যুগে যে প্রেম নামক সংক্রামক ব্যধীটা এই মানব সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছোঁয়াছে রোগের মত ছড়িয়ে পড়ছে, সেই প্রেম কখনোই সৃষ্টিকর্তার নেয়ামত হিসাবে ধর্তব্য বা গণ্য হবার নয়। কারণ, অধুনা যুগের এই সর্বনাশা প্রেম কাম বা রিপুর একটা সাময়িক চাঞ্চল্যের বহিঃপ্রকাশ তথা দেহজ তাড়না নির্ভর একটা অসভ্য কর্ম ব্যতিত আর কিছু নয়। এই প্রেম বা ভালবাসা সভ্য সমাজকে আক্রান্তকারী একটা বিশেষ ব্যধি, যার সংক্রমণে দেখা দিয়েছে সর্বত্র অসভ্যতার সব প্রতিফলন। আর এই প্রেমকে বিশ্ব স্বীকৃতি দিতে করা হয় নষ্ট সভ্যতার একটা নোংরা আয়োজন। সমগ্র বিশ্বকে কলঙ্কিত ও কলুষিত করার একটা বিশেষ দিন হিসাবে ১৪ই ফেব্রোয়ারীকে ঘোষনা করা হয় বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসাবে। যেদিন সংঘটিত হয় উম্মত মাতালদের মত বেশীর ভাগ তরুন - তরুনীদের মাঝে প্রেমের নামে দেহ আদান – প্রদানের অসভ্য কর্ম।
এই সেই প্রেম ! যাহা স্রেফ কাম – শিহরণ – বেডরুমের কোমল বিছানায়, মহানগরীর কোলাহলমুখর স্থানে গড়ে উঠা অভিজাত আবাসিক হোটেলের বদ্ধ কক্ষে , অভিজাত এলাকার অভিজাত গেষ্ট হাউজের রঙ্গমঞ্চে, রাস্তার পাশে গড়ে উঠা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মত পার্কের গাছের চিপায় বা নির্জন স্থানে, জাতীয় জাদুঘরের স্মরণীয়-বরনীয় ক্যাপসানের আড়ালে – চুমাচুমি, দেহ বিনিময় আর নাইট ক্লাবের প্রমোদবিহারেই সীমাবদ্ধ। আর এটাইতো এই সভ্যযুগের (?) প্রেম বা ভালবাসা ! যদি তা নাই-ই হতো , তবে এই প্রেম বা ভালবাসা মানুষদের সুন্দর জীবনকে অসুন্দর, কলষময় ও বিষাদময় করে তুলতোনা, গড়ে তুলতোনা মানুষদের মহান করে গড়ে তোলার স্থানে সমাজের এক নিকৃষ্ট জীব হিসাবে পরিগণিত করতে, মানব সমাজের কল্যান বয়ে আনার স্থলে অশান্তির দাবানল ছড়াতোনা, মানুষদের নৈতিক-দৈহিক ও মানষিক বিকাশের পরিবর্তে বিপর্যয় ঘটাতোনা।
আজকের এই প্রেম সমাজের প্রতিটি স্তরে একটা সংক্রামক রোগের কীট হিসাবে সকল কিশোর-কিশোরী, তরুন-তরুনী, যুবক-যুবতী সহ পরিণত বয়সের সকল মানুষের নির্দাঘ জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে। যার ফলে প্রায়ই সকলেই উক্ত প্রেম নামক সংক্রামক রোগের ছোঁয়ায় নিজেদের তীলে তীলে ধ্বংসের পাদপীঠে উপনীত করছে। নিজেদের নির্মল জীবনকে খুঁকড়ে খুঁকড়ে খাওয়াচ্ছে প্রেম নামক সংক্রামক ব্যাধির কীটকে। ফলশ্রুতিতে সমাজের প্রতিটি শাখা প্রশাখায় অশান্তির আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলছে।
মনের ভাবাবেগের উম্মত্ততায় বিকল্প পথহীন প্রেম বা ভালবাসা নামক মরণ ফাঁদে পা দিয়ে প্রেমের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখে অধুনা যুগের প্রায়ই কিশোর-কিশোরী, তরুন-তরুনী, যুবক-যুবতী সহ পরিণত বয়সের কিছু বিশেষ শ্রেণীর জনগোষ্ঠী। যে প্রেমের একমাত্র মুখ্য উদ্দেশ্য ও গতানুগতিক ভাবধারাই হচ্ছে একটা দেহাতীত প্রেম, যা দেহের সাময়িক উত্তেজনা প্রশমনের মধ্যেই সীমিত। দেহজ উত্তেজনা প্রশমনের পরপরই উক্ত মানবশ্রেণীর প্রায়ই নর-নারী জীবনের বৃহত্তম ফাউলটিই করে বসে। নিষিদ্ধ কর্মের অথৈ সাগরে ডুব দিয়ে এ মানবশ্রেনী নিজ নিজ ব্যক্তিস্বত্তার সকল কিছুই জলাঞ্জলী দিয়ে হতাশায় আচ্ছাদিত হয়। তমসাচ্ছন্ন অন্ধকার গলিতে ঘুরপাক খেতে থাকে। প্রতারণার বিপদ সঙ্কুল পথে পা রেখে পিছলে পড়ে মসৃণ সরল রেখার জীবন পথে। কান্নাভরা জীবনের আঁখিযুগল থেকে নোনতা জল গিয়ে পড়ে জন্ম দেয় বেদনার মহাসরোবরে। যে সরোবর পাড়ি দেবার পথ খুঁজতে গিয়ে প্রায়ই এ মানবশ্রেণী গৃহছাড়া হয়, সমাজচ্যুত হয়। মরণপথের অচিন গলিতে এ মানবশ্রেণী প্রতিনিয়ত পদক্ষেপ ফেলছে। নেশার নীল রাজ্যের অধিবাসী হয়ে জীবন্ত লাশ হিসাবে পৃথিবীতে জীবনের ঘানী টানছে। জারজ সন্তান গর্ভে নিয়ে সমাজের অবাঞ্চিত কীট হিসাবে মুখে চুনকালী মেখে ঘুরছে সমাজপতিদের ধারে ধারে। আহ্ ! কতইনা জ্বালা !! কতইনা অশান্তি !!! কতইনা নরকযন্ত্রনার অনলদহন !!!!
প্রেম নামক দেহের জ্বালা সারতে না পেরে প্রেমিক নামক পশুরা এ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে কতনা মায়াময় মুখ, যারা আজ বিকৃত রূপ নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে, গুঙ্গাচ্ছে ! আহ্ ! কিই না নির্যাতন সইতে হয় এই সভ্য সমাজের অবিনাশী প্রেমে !!
নেশাগ্রস্থ হয়ে রাস্তার নিয়নবাতির আলোয় দুলছে মা-এর বুকের ধন ! পিতা-মাতার একমাত্র আদরের মেয়েটি তাদের মুখে চুনকালী লাগিয়ে হয়েছে প্রেমের টানে ঘরছাড়া !! স্বামীর প্রিয়তমা স্ত্রী পরকিয়া প্রেমে মত্ত হয়ে আপন গর্ভজাত তিন সন্তান ফেলে এক কচি ছেলের হাত ধরে বেরিয়ে গেছে অজানায় !!! পাঁচ সন্তানের পরিণত বয়সী পিতার সাথে ধনীর ঘরের আদরের দুলালী ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছে !!!!
আহ্ ! কিই না রুচি আজকের যুগের মহাগ্রাসী প্রেমে ! কতই না সভ্য বর্তমান সভ্য সমাজের মানুষেরা !! প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে আদরের সন্তান নীজ পিস্তলের গুলি বুকে ডুকিয়ে দুলছে !! রূপবতী একমাত্র মেয়েটি সতীত্ব বিসর্জন দিয়েও প্রেম প্রত্যাখাত হয়ে স্লিপীং পিল খেয়ে আত্মহত্যা করছে !!! ঘর বাঁধার স্বপ্ন ভঙ্গের কারনে প্রেমিক জুটি বিয়ের আসর থেকে লুকিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে !!! প্রেম প্রত্যাখান করায় বাসর ঘরে খুন হচ্ছে নব বর-বধু !!!! এসব কত অহরহ ঘটনাইতো ঘটছে বর্তমান যুগের এ প্রেম নামের সংক্রামক ব্যাধির কারণে !!!!!
বর্তমান যুগের এ প্রেম তাই অবৈধ, অশান্তির দাবানল, নিশ্চিত মরণ ফাঁদ, বিষধর সর্প, জীবন নাশক কটা সংক্রামক ব্যাধি, সমাজের বিনষ্টের একটা দুষ্ট কীট আর জাতীয় দুষমন – এহেন প্রেম। অধুনা যুগের এ প্রেম বা ভালবাসা হচ্ছে – দেশের মুল্যবান জনশক্তির ক্ষতিকর এক মারণাস্ত্র।এক নষ্ট সভ্যতার করুন রূপ। তাই, এ প্রম পরিত্যাজ্য, এ প্রেম অস্বীকার্য, এ প্রেম অমানানশীল ও অগ্রহণীয়।
যদি প্রেম করার এতই শখ জাগে, তবে মানানসই এক গ্রহণীয় প্রেমের সন্ধান করতে হবে। অনস্বীকার্য, গঠনশীল , সামাজিক প্রেম বাচাই করতে হবে। অপরিত্যাজ্য প্রেমের জগত সৃষ্টি করতে হবে ।কিন্তু, কোথায় সে প্রেম ?
হ্যাঁ, সে প্রেম এখনো জীবিত, শাশ্বত ও চিরন্তন। চিরজীবন্ত, গ্রহণীয় সেই প্রেম। চির অম্লান, অনস্বীকার্য সেই প্রেমই হলো – ইসলামী অবকাঠামোয় গঠিত প্রেম। যে প্রেমকে সমাজবদ্ধ মানুষ বিনা দ্বিধায় আজও স্বীকৃতি দান করে।
ইসলামী অবকাঠামোর প্রেম – ভালবাসা – বন্ধুত্বের একটা নিরধারাত গণ্ডি রয়েছে। ইসলামে প্রেম – ভালবাসা – বন্ধুত্ব প্রধানত দু’টি প্রকারেই দৃশ্যমান। তার মধ্যে প্রথমটি হলো - আল্লাহ বা আপন সৃষ্টিকর্তার সহিত প্রেম বা ভালবাসা ও বন্ধত্ব এবং দ্বিতীয়টা হলো – মাখলুক বা আল্লাহর সৃষ্টিকুলের সহিত প্রেম বা ভালবাসা ও বন্ধুত্ব।
প্রথম প্রকারের প্রেম বা ভালবাসা - আল্লাহর সহিত প্রেম :- ইহাই প্রকৃত প্রেম বা ভালবাসা। যে ভালবাসায় স্বর্গের পরশমাখা সুখানুভুতি শিহরণ জাগায় মানব মনে। আল্লাহ্ , যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা , রিযিকদাতা , তাঁকেই আমাদের আপন ছেলে-মেয়ে, মাতা-পিতা, স্বামী-স্ত্রী সবার চেয়ে বেশী ভালবাসতে হবে। তাঁর সাথেই সকলের চেয়ে বেশী প্রেম করতে হবে। তাঁর সাথেই সবচেয়ে বেশী বন্ধু্ব করতে হবে। প্রেম করে যদি মরতেই হয় একমাত্র তাঁরই মরতে হবে। তাঁরই জন্য সমাজ ছাড়তে হবে। তাঁরই জন্য পরিবার ত্যাগ করতে হবে। তাঁরই জন্য পিতামাতার অবাধ্য হতে হবে। তাঁরই জন্য পথে পথে উন্মাদ হয়ে ঘুরতে হবে। তিনি ব্যাতিত অন্য কারো জন্যই এসব করা যাবেনা। তাইতো মহান আল্লাহ বলেন – “যারা ঈমান্দার আল্লাহর জন্য ভালবসা তাদেরই সবচেয়ে প্রকট।’’
আল্লাহকে ভালবাসার নিদর্শন হচ্ছে , তার আদেশ নিষেধ মেনে চলা। তাঁর নবীকে ভালবাসা। তাঁর নবীকে অনুসরণ করা। আর এটাই আল্লাহর আদেশ। বিশেষ করে তাঁর নবী মুহাম্মদ(সঃ) কে ভালবাসতে হবে। তাঁর অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। তাই আল্লাহ পাক বলেন – “ হে নবী ! বলুন- যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো , তাহলে আমাকেই অনুসরণ করো’’।
অতএব, আল্লাহকে ভালবাসার ব্যাপারে যার দাবী যতটুকু সত্যি হবে, হযরত মুহাম্মদ(সঃ) কে অনুসরণ ও অনুকরণে সে ততটুকু যত্নবান হবে, তাঁর শিক্ষার আলোকে সে জীবনের পথ অবলম্বন করবে।

দ্বিতীয় প্রকারের প্রেম বা ভালবাসা – মাখলুক বা আল্লাহর সৃষ্টিকুলের সহিত ভালবাসা ঃ- এ প্রেম বা ভালবাসা আবার দুই প্রকার। যথা – ক) মানুষ জাতির প্রতি প্রেম বা ভালবাসা। খ) কোন প্রাণী বা বস্তুর প্রতি প্রেম বা ভালবাসা।
ক) প্রথমতঃ মানুষ জাতির প্রতি প্রেম বা ভালবাসা :- এ প্রেম ও কয়েকটি স্তরে বিভক্ত।যেমন –

১) নবী-রাসূলগণের প্রতি আত্মার বিশ্বাসের প্রেম।

২) মাতা-পিতার প্রতি ভক্তি ও মায়া এবং আত্মার প্রেম।

৩) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার আত্মার ও নিবীড় ভালবাসা এবং দৈহিক বন্ধনের প্রেম।

৪) সন্তান-সন্ততির প্রতি স্নেহ ও আদরের প্রেম।

৫) আপন ভাই-বোনের প্রতি মায়া ও মমতার প্রেম।

৬) রক্ত সম্পর্কীয় বন্ধনের প্রতি আত্মার প্রেম।

৭) আপন আত্মীয়-স্বজনের প্রতি আত্মার প্রেম।

৮) পাড়া-প্রতিবেশীর প্রতি আত্মার প্রেম।

৯) অন্যান্য আত্মীয়ের প্রতি আত্মার প্রেম।

১০) এক মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের আত্মার ও ধর্মীয় প্রেম।

১১) উস্তাদ-সাগরেদের মধ্যকার আত্মার ও শিক্ষার প্রেম।

১২) পীর-মুরীদের মধ্যকার আত্মার ও শিক্ষার প্রেম।

১৩) নিজ ধর্ম ব্যতিত অন্য ধর্মের মানুষদের প্রতি মানব প্রেম।
উপরোক্ত তেরো স্তরের প্রেম বা ভালবাসার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও প্রকৃত ভালবাসা হচ্ছ, প্রথম স্তরের প্রেম অর্থাৎ নবী-রাসূলগণের প্রতি আত্মার ও বিশ্বাসের প্রেম। আবার নবী-রাসূলগণের প্রতি প্রেমের মধ্যে সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) এর প্রতি প্রেম-মহব্বত-বন্ধুত্ব-ভালবাসার সম্পর্ক স্থাপনই সর্বশ্রেষ্ট, যার অবস্থান উভয় জাহানে সমভাবে স্থায়িত্বশীল। ইহাই প্রকৃত প্রেম। এ প্রেমই বর্তমান দুনিয়ার সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য একটা উৎকৃষ্টতম প্রেম।
দ্বিতীয় উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হল, দ্বিতীয় স্তরের প্রেম - মাতা-পিতার প্রতি ভক্তি ও মায়া ও আত্মার প্রেম। আল্লাহ ও রাসূলের পর নিজ পিতা-মাতার প্রতি প্রেমের সুনিবীড় সম্পর্ক স্থাপন একটা উৎকৃষ্টতম প্রেম হিসাবে আল্লাহ ও রাসূলের কাছে গণ্য। তাই আল্লাহ ও রাসুলের পর আপন পিতা-মাতাকেই বেশী ভালবাসতে হবে।
তৃতীয় উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, তৃতীয় স্তরের প্রেম – স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার আত্মার ও নিবীড় ভালবাসা এবং দৈহিক বন্ধনের প্রেম। মাতা-পিতার প্রতি প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর এবং স্ত্রীর প্রতি স্বামীর প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনই হলো উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা। যার দ্বারা নতুন একটা সুন্দর পরিবার গঠিত হয়। দৈহিক প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একমাত্র মাধ্যম স্বামী–স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক। কোন নারী বা কোন পুরুষের জন্য প্রেমের (দৈহিক) সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শর্ত হলো – তারা এই স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনে বা বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। নয়তো কোন নারীর সহিত নরের এবং কোন নরের সহিত নারীর দৈহিক বন্ধনে আবদ্ধ হবার বা প্রেমে বন্দী হবার কোন বৈধতা নেই।
চতুর্থ উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, চতুর্থ স্তরের প্রেম - সন্তান-সন্ততির প্রতি স্নেহ ও আদরের প্রেম। স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর আপন সন্তান-সন্ততিদের প্রতি প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনই হল উৎকৃষ্টতম প্রেম। যা একটি পরিবারের সুন্দর ও নীবিড়ভাবে টিকে থাকার জন্য খুবই জরুরী।
পঞ্চম উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, পঞ্চম স্তরের প্রেম - আপন ভাই-বোনের প্রতি মায়া ও মমতার প্রেম। আপন সন্তান-সন্ততির প্রতি প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর আপন ভাই-বোনের প্রতি প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনই উৎকৃষ্টতম প্রেম। যা একটি পরিবারের সৌন্দর্য রক্ষা ও পারিবারিক উন্নতি এবং কল্যানে বৃহৎ শক্তি জোগায়।
ষষ্ট উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, ষষ্ট স্তরের প্রেম - রক্ত সম্পর্কীয় বন্ধনের প্রতি আত্মার প্রেম। রক্তসম্পর্কীয় বন্ধনের মধ্যে আপন দাদা এবং তার পরিবার, চাচা এবং তার পরিবার, চাচাজাত ভাই-ভগ্নি এবং তাদের রক্তজাত সিলসিলার মানুষগুলো, ফুফু এবং তার পরিবার, ফুফুজাত ভাই-ভগ্নি এবং তাদের রক্তজাত সিলসিলার মানুষগুলো , আপন ভাই-বোনের সন্তান-সন্ততি এবং তাদের পরিবার, আপন ভাই-বোনের সন্তান-সন্ততিদের রক্তজাত সিলসিলার মানুষগুলো , নানা ও নানী এবং তাদের রক্তজাত সিলসিলার মানুষগুলো। আপন ভাই-বোনের প্রতি প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর এদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করাই উৎকৃষ্টতম প্রেম। যার দ্বারা একটা রক্ত সম্পর্ক চির অম্লান ও চির জীবন্ত থাকতে বহুদূর ব্যাপী কাজ করে এবং একটা রক্ত সম্পর্কীয় বিস্তৃত পরিবার গঠনে সহায়তা করে। আর এ প্রেমের মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের হিংসা-জিঘাংসা-শত্রুতাবিহীন এক একটি বিশাল পরিবার। গঠিত হতে পারে এ প্রেমের মধ্য দিয়ে এক একটি সভ্য সমাজ। যার মাধ্যমেই রচিত হতে পারে এক একটি শান্তির সাম্রাজ্য। এই রক্ত সম্পর্কীয় বন্ধনের প্রতি প্রেমই প্রতিষ্টিত করতে পারে, বিশ্বকে একটা শান্তির জগত রূপে।
সপ্তম উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, সপ্তম স্তরের প্রেম - আপন আত্মীয়-স্বজনের প্রতি আত্মার প্রেম। আর এ আত্মীয় স্বজনের মধ্যে আপন চাচীর বাবা ও মা ও তাদের পরিবার ও তাদের রক্তজাত সিলসিলার মানুষগুলো ও তাদের পরিবার, সৎ মা ও সৎ বাবা এবং তাদের বাবা ও মা ও তাদের পরিবার ও তাদের রক্তজাত সিলসিলার মানুষগুলো ও তাদের পরিবার, আপন ভাগিনা-ভাগিনীর পরিবার ও তাদের পরিবারভুক্ত মানুষগুলো। আপন ভাতিজা-ভাতিজীর পরিবার ও তাদের পরিবারভুক্ত মানুষগুলো, আপন মামা-মামী ও তাদের পরিবারভুক্ত মানুষগুলো, আপন খালা-খালু ও তাদের পরিবারভুক্ত মানুষগুলো। আপন ফুফি-ফুফা ও তাদের পরিবারের মানুষগুলো, চাচাত, খালাত, ফুফাতো, মামাতো এবং সৎ ভাই-বোনদের পরিবার ও তাদের পরিবারভুক্ত মানুষগুলো। রক্ত সম্পর্কীয় বন্ধনের প্রতি আত্মার প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর এদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করাই উৎকৃষ্টতম প্রেম।
অষ্টম উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, অষ্টম স্তরের প্রেম – পাড়া-প্রতিবেশীর প্রতি আত্মার প্রেম। আপন আত্মীয়-স্বজনের প্রতি প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর পাড়া-প্রতিবেশীর প্রতি আত্মার প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন একটা উৎকৃষ্টতম প্রেম হিসেবে বিবেচ্য। এ প্রেম নিজেদের পারিপার্শিক নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ ভুমিকা পালন করে।
নবম উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, নবম স্তরের প্রেম – অন্যান্য আত্মীয়ের প্রতি আত্মার প্রেম। অন্যান্য আত্মীয়ের মধ্যে পাড়া- প্রতিবেশীদের আত্মীয়, আপনজনদের পরিচিত ও বন্ধুদের আত্মীয়, আপন বন্ধু তাদের বন্ধুদের আত্মীয় অর্থাৎ যাদের দূর সম্পর্কীয় আত্মীয় বলে ধরা হয় সেসব আত্মীয়। এদের সহিত আত্মীক প্রেমের সম্পর্কও একটা উৎকৃষ্টতম প্রেম। যা দ্বারা একটা বৃহৎ ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি হয়।
দশম উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, দশম স্তরের প্রেম – এক মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের আত্মার ও ধর্মীয় প্রেম। হাদীসে আছে – “প্রত্যেক মুসলমান একে অপরের ভাই’’। তাই এক মুসলমানের সাথে অন্য মুসলমানের আত্মীক ও ধর্মীয় প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন একটা উৎকৃষ্ট ও আবশ্যকীয় বিষয়। যা দ্বারা মুসলমানদের মধ্যে একাত্মতার সৃষ্টি হয়।

একাদশ উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, একাদশ স্তরের প্রেম – উস্তাদ-সাগরেদের মধ্যকার আত্মার ও শিক্ষার প্রেম। মুসলমানের সহিত মুসলমানের প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর উৎকৃষ্টতম প্রেম হলো – উস্তাদ ও সাগরেদের মধ্যে গড়ে উঠা আত্মীক ও সাধারণ জ্ঞান আদান-প্রদানের প্রেম। যা দ্বারা দু’টি মানুষের জ্ঞান আহরনে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
দ্বাদশ উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, দ্বাদশ স্তরের প্রেম – পীর-মুরীদের মধ্যকার আত্মার ও শিক্ষার প্রেম। উস্তাদ-সাগরেদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর উৎকৃষ্টতম প্রেম হলো – পীর-মুরীদের মধ্যকার আত্মার ও ইহলৌকিক এবং আধ্যাত্বিক শিক্ষার লক্ষ্যে একে অপরের ঘনিষ্ট সহচর হিসাবে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন। যা দ্বারা মুরিদ পীরের কাছ থেকে জাগতিক ও আধ্যাত্বিক জ্ঞান অর্জন করে একজন খাঁটি মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
ত্রয়োদশ উৎকৃষ্টতম প্রেম বা ভালবাসা হলো, ত্রয়োদশ স্তরের প্রেম – নিজ ধর্ম ব্যতিত অন্য ধর্মের মানুষদের প্রতি মানব প্রেম। পীর-মুরীদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর উৎকৃষ্টতম প্রেম হলো – মানব প্রেম বা মানুষের প্রতি মানুষের মানবতা সুলভ আচরণ। যদিও জগতের সকল মানুষ এ প্রেমে অন্তর্ভুক্ত। জগতের সকল মানুষকে এই প্রেমের চোখে দেখতে হবে যে , তারাও আল্লাহর প্রিয় সৃষ্টি। তাঁদের যখন আল্লাহ পাক পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রেখেছেন , প্রতিবেশী হিসাবে তাদের সুখ-দুঃখ-নিরাপত্তার বিধানে তাদের দিকে মানুষ হিসাবে সম্মানের দৃষ্টি দিতে হবে। আল্লাহর নির্দেশীত পথে চলার জন্য তাদেরকে আহ্বান করতে হবে। যদি তারা আল্লাহর নির্দেশীত পথে যেতে রাজি না হয়, তবে তাদেরকে জোর করা যাবেনা। সে জন্য তাদের উপর জুলুম করা যাবেনা। তাদের সাথে প্রতিবেশী সুলভ আচরণ করতে হবে।
অবশ্য তারা যদি আল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে যুদ্ধ ঘোষনা করে , তবে মুসলমানদের উচিত হবে তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া। আল্লাহর জন্যই তখন মুসলমানদের জন্য জরুরী হয়ে যাবে, এসব অমুসলীমদের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার।
উপোক্ত তেরোটি স্তরের প্রেম ছাড়া অন্য কোন প্রেম মানুষের জন্য বৈধ নয়।

খ) দ্বিতীয়তঃ কোন প্রাণী বা বস্তুর প্রতি প্রেম বা ভালবাসা ঃ- মানুষ ব্যতিত কোন প্রাণী বা বস্তুর সাথে প্রেম বা ভালবাসা স্থাপন একটা উৎকৃষ্টতম প্রেম বলে বিবেচিত হবে। যেমন – কেউ তার ঘোড়া কিংবা ঘড়িকে ভালবাসে।
প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য স্মরণ রাখা একান্ত কর্তব্য যে, উপরোক্ত ভালবাসার পাত্র সমষ্টির সবগুলোর সাথেই যেখানে যেভাবে বলা হয়েছে সে নিয়মানুষারে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন বৈধ। সমাজে গ্রহণীয়। তাই উপরোক্ত নিয়ানুষারে যার যত ইচ্ছা প্রেম করুন।
কিন্তু মনে রাখতে হবে – কোন মুসলীম মেয়ের সাথে যেমন কোন অমুসলীম ছেলের বিয়ে নামের দৈহিক মেলামেশার সামাজিক বৈধ স্বীকৃতি প্রেমের বন্ধন নিষিদ্ধ, তেমনি কোন মুসলীম ছেলের সাথে কোন অমুসলীম মেয়ের বিয়ে নামের দৈহিক মেলামেশার সামাজিক বৈধ স্বীকৃতি প্রেমের বন্ধন নিষিদ্ধ। আর মুসলীম হোক বা অমুসলীম কোন অবিবাহিত ছেলের সহিত কোন অবিবাহিত মেয়ের যেমন বিয়ের বন্ধন ব্যতিত দৈহিক মেলামেশার প্রেমের বন্ধন নিষিদ্ধ , তেমনি মুসলীম হোক বা অমুসলীম কোন অবিবাহিত মেয়ের সহিত কোন অবিবাহিত ছেলের বিয়ের বন্ধন ব্যতিত দৈহিক মেলামেশার প্রেমের বন্ধন নিষিদ্ধ।
বিশেষ করে প্রেমের নামে মুসলীম অবিবাহিত, বেগানা নর-নারীর মধ্যে ঘনিষ্টভাবে চলাফেরা অবৈধ। কেননা, তা ইসলাম মনোনীত নয়। সমাজ নীতিতেও তা পরিত্যাজ্য। আর এ অবৈধ প্রেম প্রতিরোধ কল্পেই ইসলামে পর্দার বিধান প্রবর্তীত হয়েছে। সমাজ নিয়মে বালক-বালিকা ও নর-নারীকে দেখা সাক্ষাতে বিধি-বিধান আরোপ করা হয়েছে। যাতে এভাবে তাদের চলাফেরাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে বাধা প্রদান করা হয়েছে।
নর-নারী উভয়ের জন্যই সততা, সতীত্ব এবং ব্যক্তিত্ব সংরক্ষনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে – পর্দা ব্যবস্থা। নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা দমন এবং নর-নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে আল্লাহ পাক বলেন –“মু’মীনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে। তাদের যৌনাঙ্গ হেফাজত করে’’।

স্বয়ং স্রষ্টাই মানবজাতীকে নর ও নারী দু’টি শ্রেনীতে বিভক্ত করে সৃজন করে একের প্রতি অপরের আকর্ষণ দিয়েছেন অবিচ্ছেদ্যভাবে। এ থেকে বাহ্যতঃ মুক্তিলাভের কোন ব্যবস্থা নেই, চাই এ দুই শ্রেণী একত্রে থাকুক কিংবা পৃথকভাবে বসবাস করুক। নরের প্রতি নারীর এবং নারীর প্রতি নরের এ আগ্রহ ও আকর্ষণ চিরন্তন। নর-নারী মানবজাতীর অভিন্ন স্বত্তা হলেও তারা পৃথক স্বতন্ত্র শ্রেণীর। এদের মধ্যে সহজাত তীব্র আকর্ষণ বিদ্যমান। আর সে কারণে রয়েছে অঘটনের নানা উপছায়া উপস্থিত। এ আকর্ষণজনিত দূর্ঘটনা থেকে নর-নারীকে রক্ষা কল্পে পর্দা প্রথার অপরিহার্য। আর এ পর্দা দু’ভাবে পালনীয়। যথা : 
১) ভিতরের পর্দা বা মনের পর্দা :- নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এ পর্দা অপরিহার্য। এটা মানব মনের জন্য একটা আবরণ বিশেষ। এ পর্দায় নারীর মনে চেতনা থাকবে যে, সে কোন পরপুরুষের দৃষ্টি সীমানায় যাবেনা। ভিন্ন পুরুষের খেয়াল তার মনে জাগাবেনা। তার ইজ্জত আবরু ভিন্ন পুরুষ থেকে রক্ষা করতে সচেষ্ঠ থাকবে। আর এ পর্দায় নরের মনে চেতনা থাকবে যে, সে কোন পরনারীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেনা। কোন পরনারীকে নিয়ে মনে কোনরূপ জল্পনা-কল্পনা করবেনা। কোন পরনারীর দিকে দৃষ্টি পড়লে সাথে সাথে তার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিবে।
২) বাহিরের পর্দা বা হিজাব :- বিশেষতঃ এ পর্দা নারীকেন্দ্রীক। এ পর্দার বিধান হচ্ছে – নারী কখনো পর্দাহীনভাবে ( চেহারা, বুক, পেঠ, পীঠ, চতর প্রভৃতি খোলা রেখে) পুরুষের সামনে যাবেনা। প্রয়োজন ব্যতিরেকে ঘর থেকে বের হবেনা। অন্তঃপরে বসবাস করবে। পুরুষদের সহিত পর্দাহীনভাবে অফিস করবেনা। পারঙ্গম অবস্থায় বাজার-মার্কেটে যাবেনা। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-ভার্সিটি-যানবাহনে পুরুষের পাশাপাশি বসবেনা। জরুরী প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে যেতে হাত-পা সহ আপাদমস্তক বোরকা বা স্পষ্ঠমান অঙ্গ ঢাকা যায় এমন কাপড় দ্বারা আবৃত করবে। কোন পরপুরুষের সাথে জরুরী প্রয়োজনে কথা বলতে পর্দার আড়াল থেকে কর্কশ ভাষায় কথা বলবে ইত্যাদি।
পর্দা ভিতর ও বাহিরের দু’টোই রক্ষা করে চলতে হবে। এ দু’দিকের পর্দাই হলো প্রকৃত পর্দা। যে সমাজে এ পর্দা প্রথার প্রচলন হবে, সে সমাজে কোন ব্যভিচার থাকবেনা, অন্যায় – অপকর্ম থাকবেনা। নারীগণ নির্যাতিত হবেনা। পর্দা রক্ষা করা নর-নারী উভয়েরই প্রয়োজন।
পর্দা প্রথার কারণেই নারীরা দেয়ালের ভিতরে থাকবে। তাই তারা ঘরের ভিতরে থাকার উপযোগী। তাদের কর্মক্ষেত্র হচ্ছে - ঘরের আভ্যন্তরীন জগত। তারা ঘরের ভিতরে থেকে একদিকে করবে ঘরের যাবতীয় ব্যবস্থাপনা। অন্যদিকে করবে গর্ভধারণ, সন্তান প্রসব-লালন-ভবিষ্যতের উপযুক্ত নাগরীক গড়ে তোলার কাজ। তাই রাসূল(সাঃ) বলেন- “নারী-স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের পরিচালিকা, রক্ষণাবেক্ষনকারিনী ও কর্ত্রী”।

চলবে >>>>>>>>>>> ০২

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

দেখতে চাই তরুনদের সেই তারুণ্যের অগ্নিশিখা, যা রপান্তরিত হবে দেশের জন্য শান্তির সুবাতাস রূপে

দেখতে চাই তরুনদের সেই তারুণ্যের অগ্নিশিখা,
যা রপান্তরিত হবে দেশের জন্য শান্তির সুবাতাস রূপে
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

আজকের তরুনদের চিন্তাশক্তির বাহার দেখলে চোখ কামড়ায়। সোজা পথ তারা দেখেনা। বাকা পথই যেন তাদের অন্যতম যাত্রাপথ। আজকের শাহবাগের বিক্ষুব্ধ মঞ্চে যে তারুণ্যের জোয়ার বইছে সে জোয়ার দেশজ কল্যানে, দেশ গঠনের লক্ষ্যে যদি বইত, সমগ্র দেশ তাদের সাথে স্বেচ্ছায় যোগ দিত কোন প্রকার আহ্বান ছাড়াই।
যদি তাদের শপথের বিষয় হতো -
" আজ আমরা শপথ নিলাম , আমরা সকল দূর্নীতি থেকে দেশকে বাঁচাতে আজ থেকে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করলাম। দেশ লুন্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে তাদের মূলোৎপাঠনে আমরা আজ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। সকল প্রকার অন্যায় - অনাচারের বিরুদ্ধে আমরা আজ থেকে রুখে দাঁড়ালাম। চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি-সুদ-ঘুষ-খুন-গুম-অপহরণ-ধর্ষণ-নির্যাতন ইত্যাদি অনৈতিক কর্মের বিরুদ্ধে আজ আমরা অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে নিজেদের নিয়োজিত করলাম। আজ আমরা এমন একটা পৃথিবী বিখ্যাত কর্ম ধারণ করলাম যা দিয়ে আমরা আমাদের দেশকে একটা পৃথিবী বিখ্যাত সভ্য দেশ হিসাবে চিহ্নিত করব। "
তবে এ বিদ্রোহ হত পৃথিবী বিখ্যাত একটা তারুণ্য শক্তি নির্ভর তরুণদের মহাবিদ্রোহ। আর এ পৃথিবী বিখ্যাত মহাবিদ্রোহের একমাত্র দাবীদার হতো বাংলাদেশের তরুনরা।

কিন্তু নাহ ! আমাদের তরুনদের মাথায় এ তারুণ্য শক্তি ডুকবেনা। কারণ আমাদের তরুনদের সেই তারুণ্য শক্তি ক্ষয়মান আমাদের দেশের নোংরা রাজনীতির ডাস্টবিনে পড়ে। আমাদের দেশের তরুনদের সেই তারুণ্য শক্তি ধ্বংসমান আমাদের দেশের অসৎ রাজনীতিবিদদের অসৎ মেধার করালগ্রাসে।

প্রশ্ন জাগে - আমাদের দেশে সেই তরুণ জাগবে কবে , যারা শুধুমাত্র দেশগঠনেই লড়বে ? আমাদের দেশের তরুণদের সেই তারুণ্য শক্তি উদগীরন হবে কবে , যেদিন তাদের তারুণ্য অগ্নিশিখা রূপান্তরিত হবে শান্তির সুবাতাস রূপে ?
=================

বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

যেভাবে শুরু হয়েছে দেশকে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করণে দেশব্যাপী গণবিদ্রোহ , সেভাবেই শুরু হোক দেশ গঠনে দেশ লুন্টনকারী দলসমুহের বিরুদ্ধেও দেশব্যাপী গণবিদ্রোহ

যেভাবে শুরু হয়েছে দেশকে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করণে দেশব্যাপী গণবিদ্রোহ , সেভাবেই শুরু হোক দেশ গঠনে দেশ লুন্টনকারী দলসমুহের বিরুদ্ধেও দেশব্যাপী গণবিদ্রোহ
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী দিয়ে রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশের লক্ষ্যে যদি দেশের মানুষ একটা ক্ষুদ্র স্বার্থে জাগ্রত হয়ে সমগ্র দেশব্যাপী বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারে, তবে দেশ গঠনের মত একটা বৃহৎ স্বার্থ অর্জনের লক্ষ্যে জাগ্রত হয়ে বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারছেনা কেন ? যদি রাজাকারের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করণে বিদ্রোহ করতে কোন বাধা না থাকে, তবে দেশ লুন্ঠনকরীদের থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করণে বিদ্রোহ করতে বাধা কোথায় ? রাজাকার নিধনে বিদ্রোহী হয়ে উঠা মানুষরা কি পারেনা দেশলুন্ঠনকারীদের নিধনেও বিদ্রোহী হয়ে উঠতে ?

গত দু’দিন ধরে দেশের মানুষ একটা ক্ষুদ্র স্বার্থে রাজাকারদের ক্ষুদ্র একটি দলকে পতন করতে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। এভাবে কি দেশের মানুষ দেশ গঠনের বৃহত্তর স্বার্থে দেশ লুন্ঠনকারী বৃহৎ দলগুলোর পতনে বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারেনা ? দেশলুন্টনকারী বৃহৎ দলগুলোর পতনে যদি এসব বিদ্রোহীরা বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে না চায় , তবে কি তারা মনে করে - যে দেশ গত বিয়াল্লিশ বছরে গঠিত হয়নি, সে দেশ রাজাকারদের নির্মূল হলেই গঠন হয়ে যাবে ? যদি এসব বিদ্রোহীরা এটা মনে না করে, তবে তাদের এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই রাজাকারদের পতনের সথে সাথে দেশ লুন্ঠনকারী দলগুলোর পতনের লক্ষ্যেও তাদের বিদ্রোহ ঘোষনা করুক। যাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে একাত্তরের মত দেশের অবশিষ্ঠ সর্বশ্রণীর-সর্বস্তরের জনগণ।

দেশ লুন্ঠনে ব্যস্ত যারা – আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহ।
সন্ত্রাসের জনক যারা - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহ।
দেশ বন্টনে লিপ্ত যারা - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহ।
দেশদ্রোহী মানুষ যেথায় - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহে।
নাগরীকদের রক্তচোষায় লিপ্ত যারা - আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংঘটন সমুহ।
রাজাকারদের দল যদি হয় – ইসলামী দল আর জামাত,
সুবিধাভোগী দল তবে – জাতীয় পার্টি আর অন্য সব দল।

তাই , দেশ গঠনের বৃহত্তর স্বার্থে এইসব দল পতনের লক্ষ্যে দেশের মানুষদের “রাজাকারের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করণে বিদ্রোহ”এর মতই বিদ্রোহ সৃষ্টি করা একান্ত আবশ্যক। দেশের মানুষদের বুঝে নিতে হবে যে, শুধুমাত্র দেশকে রাজাকারমুক্ত করলেই দেশে শান্তি আসবেনা, মুক্ত হবেনা দেশ হায়েনাদের কবল থেকে। তাতে লাভবান হবে দেশের লুন্ঠনকারীরা। রয়ে যাবে আসল হায়েনারা, যারা দেশ ও দেশের মানুষদের রক্ত চুষে খাচ্ছে।

অতএব, যেভাবে শুরু হয়েছে দেশকে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করণে যুদ্ধাপরাধীদের পতনে দেশব্যাপী গণবিদ্রোহ , সেভাবেই শুরু হোক দেশ গঠনে দেশ লুন্টনকারী দলসমুহের বিরুদ্ধেও দেশব্যাপী গণবিদ্রোহ।।