আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১১

আকাশ নদীর মোহনায় দাঁড়িয়ে



আকাশ নদীর মোহনায় দাঁড়িয়ে 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-------------------------------

অসীম আকাশ আর অকুল নদী
এ দু’য়ের মোহনায় দাঁড়িয়ে আমি
জীবন সম্ভোগে লিপ্ত এক জীবন সৈনিক !
জীবনের ধাপে ধাপে
হোঁচট খেতে খেতে
আজ হয়েছি আমি এক পরাজিত সৈনিক !
নেইতো কেউ পাশে
বেঁচে থাকা কোন আশে ?
ভাবনায় দোল খায় পরাজয় গ্লানী ,
জীবন নদীর তীরে
উপচে পড়ে আজ
সকলই দূরাশা আর হতাশবাণী ।
এক প্রভাকর রোশনীতে
আমার মনের আকাশ
উজ্জ্বল ছিলো এতদিন ,
সেই রোশনীটা একদিন
হারিয়ে যাবে
ভাবিনি আমি তা কোনদিন ।
হারিয়ে গেলো আজ
মনের আকাশে দেখা
সেই প্রভাকর রোশনী ,
উজ্জ্বল সেই আলোটা নিভে গিয়ে
আঁধার জগতে বিলীনমুখো
আমার মনের আকাশখানি । 
================================= 

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১১

আমার লেখালেখির অন্তরালে ...( পর্ব - ৬ )




আমার লেখালেখির অন্তরালে ...
        ( পর্ব - ৬ ) 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------------- 

“ শাহানাজ নামের মেয়েটি ’’ কবিতাটা লেখার পরদিন দুপুরে যখন আমি রেষ্ট নিতে যাব , তখন জানালায় টোকা পড়ল । দেখলাম শাহানাজ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে । সে জানালা খুলতে বললো ইশারায় ।
জানালা খুলে জিজ্ঞেস করলাম -
“ কি হয়েছে ? ’’
- “ কিছু হয় নাই , হবে । আজ আছরের পর একখানে আমার সাথে যেতে হবে ’’।
“ কোথায় ? ’’
- “ পার্কে ’’ !
আমি আশ্চর্যাম্বিত হয়ে গেলাম । বললাম -
“ কি বললে ? আবার বলো , আমি শুনি নাই ’’ ?
- “ পার্কে বেড়াতে যাবো দু’জন ’’।
“ লাজবতীর লজ্জা ভাঙ্গলো নাকি ? হঠাৎ আমাকে নিয়ে বেড়াতে যাবার মানে কি ’’ ?  
- “ আমাকে নিয়ে কবিতা লেখার শাস্তি ’’ !
“ মাথা খারাপ ! আমি তোমাকে নিয়ে বেড়াতে যাব ? অন্ততঃ তোমার মতো দস্যি মেয়ের সাথে মোটেই না ’’।
- “ কি ! আমি দস্যি মেয়ে ? দস্যিপনার কি দেখিয়েছি আমি ’’ ?
রাগ প্রকাশ হতে থাকলো তার চোখে মুখে । যেন সে ঝগড়া শুরু করেছে আমার সাথে । এই প্রথম তার ভিন্ন একটা চেহারা দেখলাম । সদা হাস্যমুখে যেন নেমে এলো মেঘের ঘনঘটা । এখনই শুরু হবে ঝড়ের তান্ডবলীলা । বললাম -
“ তুমি যা করছো , দস্যিপনা ছাড়া তা আর কি হতে পারে ? শাস্তি দেয়ার জন্য আমাকে পার্কে নিয়ে যাওয়া মানেই তো সবার সামনে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে আমার পর অত্যাচার - সেটা তোমার দস্যিপনা নয় ’’ ?
এবার যেন মেঘটা কেটে গেলো তার মুখ থেকে । বললো সে ,
- “ এ দস্যিপনা না দেখালে যে তোমাকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবেনা মশাই । আমি আর কিছু শুনতে চাইনা , আছরের পর রেডী থাকবে ’’ ।
এবার মনে মনে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম । এই সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না । তাই বললাম -
“ যেতে পারি এক শর্তে ’’ !
- “ কি শর্ত ’’ ?
“ আমার যতক্ষণ থাকতে ইচ্ছা করবে থাকবো , তুমি চলে আসার জন্য বলতে পারবেনা ’’।
- সেটা হবেনা , মাগরীবের আগেই ঘরে আসতে হবে ।
মনে মনে আমিও তাই চাইছি । কিন্তু সেটা বুঝতে না দিয়ে তাকে নাচানোর উদ্দেশ্যে বললাম -
“ সেটা হবেনা , শাস্তি যখন পেতেই হবে , দেখি তুমি কতক্ষণ শাস্তি দিতে পারো , আর আমি কতক্ষণ শাস্তি ভোগ করতে পারি ? তাই , তোমার ইচ্ছাতেই যখন আমি যাচ্ছি , আমার ইচ্ছাতেই তোমার আসতে হবে , রাজি ’’ ? - আমার শাস্তি দেয়া মাগরিবের আগেই হয়ে যাবে । এর বেশী শাস্তি দিতে হবে না ’’।
“ তার মানে - তুমি ভীতু , সন্ধ্যার পরে আমার সাথে থাকতে তোমার ভয় , তাই না ’’ ? - “ ভয় লাগবে কেন ? ভয় লাগলে কি আর তোমার সাথে যাচ্ছি ? মাগরিবের আগে বাসায় না আসলে সবাই চিন্তা করবে তাই ’’।
এবার আমি তার কথায় রাজি হলাম । বললাম -
“ ঠিক আছে , তুমি রেডী হয়ে থেকো । আমি যখন তোমাকে ঘরের দরজায় দেখবো , আমি বের হবো । তুমি আমার আগেই মেইন রোডে গিয়ে দাঁড়াবে । পারলে রিক্সা নিয়ে বসে থাকবে রিক্সায় ’’।
কথামত আছরের পর আমরা বের হয়ে গেলাম । রিক্সায় গুলশান দুই নাম্বার আজাদ মসজিদের সামনের পার্কে এসে গেলাম । তখনও এ পার্কটি বর্তমানের ওয়ান্ডারল্যান্ডের রুপে পরিণত হয়নি । সেখানে ছিলো বসার জন্য কিছু বেঞ্চি , শিশুদের খেলনার জন্য কয়েকটা উপকরণ আর কিছু ফুলগাছ । সমগ্র পার্কটা ছিলো উম্মুক্ত একটা ফুল বাগান । রমনা পার্কের মতো ঘুরাফিরা করে গায়ে প্রকৃতির নির্মল হাওয়া লাগানোর স্থান । দুই টাকায় টিকেটের ব্যবস্থা ছিলো । যা হোক , গুলশান পার্কে ডুকে আমরা কিছুক্ষণ হাঁহাঁটি করলাম । রঙ্গীন সব ফুলের সাহচর্য নিলাম । লাগালাম গায়ে প্রকৃতির নির্মল হাওয়া । তারপর একটা বেঞ্চিতে বসে দুজনের কথোপকথন শুরু করলাম । এই প্রথম দু’জন দু’জনার কাছে আসলাম । বললাম -
“ বলো এবার আমার কি শাস্তি ’’ ?
- “ শাস্তি তো হয়েই গেছে । তোমার সাথে এভাবে এখানে এসে কিছুক্ষণ বেড়ানোই ছিলো তোমার শাস্তি । সে যাক , আসলে আমি জানতামনা তুমি এতো সুন্দর লিখতে পারো । তাই বলেছিলাম - তুমি কি লিখবে সেটা আমি জানি । কিন্তু তোমার লেখাটি যখন দেখলাম , আমি মন হারিয়ে ফেললাম তোমার তোমাতে । অনেক সুন্দর লাগলো তোমার লেখা । জানো , তোমার কবিতাটা আজ আমার বান্ধবীদের দেখিয়েছি । তারাও বলেছে - লেখাটি খুব সুন্দর । তারা নাকি তোমাকে দেখতে আসবে ’’।
“ বাহ্ ! তবে তো আমি লেখক হয়ে গেলাম । যদি ওরা আমাকে দেখতে আসে তবে তো একটা কলম লাগবে তাদেরকে অটোগ্রাফ দেবার জন্য । কলমটা কিনে রেখো ’’ ।
- “ চমৎকার ! লেখক তুমি , বিখ্যাত হলে তুমি , দেখতে আসবে তোমাকে , জয়গান গাইতে আসবে তোমার , অটোগ্রাফ দিবে তুমি , তোমার জন্য আমি কেন কলম কিনব ? তাতে আমার কি লাভ ’’ ?
“ তোমার কি লাভ মানে ? তোমার বান্ধবীরা যেখানে খুশি , সেখানেই তোমার গৌরব । এটা তোমার লাভ নয় ? সুতাং কলমটা তোমাকেই কিনতে হবে ’’ ।
- “ তুমি তো খুবই কৃপণ দেখছি , একটা কলম কিনতেও তোমার গায়ে লাগছে ’’ !
“ এখানে কৃপণতার কি দেখলে ? তোমার বান্ধবীদের খুশি করলে আমার কি লাভ ’’ ?
- “ ঠিক আছে , বুঝতে পারছি তুমি তোমার কলম ব্যবহার করতে চাওনা । ওকে , সময় হলে দেখা যাবে । কলমের প্রয়োজন হলে আমিই দেবো ’’ ।
“ এই তো লক্ষ্মী মেয়র মতো কথা । ক্যাচাল কি ভালো লাগে ? সে যাক , দেখি এবার তোমাকে ভালোভাবে । এতোদিন তো দূর থেকে দেখেছি । এবার একটু কাছ থেকে দেখি । একটু দাঁড়াও তো সামনে ’’।
সে দাঁড়াতে চাচ্ছিলোনা , জোর করে উঠিয়ে দিলাম । তার আপাদমস্তক ভালো করে দেখে বললাম -
“ একটা কবিতা লিখলে কেমন হয় এখন ’’ ?
- “ মন্দ হয় না । আমি দেখতে পারবো তোমার মেধার প্রকাশধারা ’’ ।
“ ঠিক আছে । তবে লেখা শুরু করা যাক ’’।
আমার পকেটে সব সময় কাগজ কলম থাকতো । যখন যা মনে আসতো , তখন তা নোট করে রাখাই ছিলো আমার অভ্যাস । সে ধারাবাহিকতায় পকেট থেকে কাগজ কলম বের করে শুরু করে দিলাম লিখা -

তুমি সেই শাহানা
--------------------

হে ললনা ! তুমি কি সেই ? 
আমার হৃদয়টা তোলপাড় করেছে যেই ? 
তাই তো ! 
নাম তো তোমার শাহানাজ , 
তবে , কেন তুমি কর লাজ ? 
তুমি তো মোর হৃদয়ের রাণী , 
তবে , কেন তুমি 
করতে চাও মোর জীবন হানি ? 
এমন করোনা তুমি আমার সাথে -
এসো , কাছে এসো ! 
চুপে চুপে এসে বসো ! 
রাখো তোমারই হাত আমারই হাতে । 
========================
===========
চলমান > আমার লেখালেখির অন্তরালে ... ( পর্ব - ৭ )
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
===========================================     

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১১

তোমার প্রেমে / তেরী মোহাব্বত মে



তোমার প্রেমে
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------------

[ আমার এ লেখাটি মূল উর্দূ থেকে অনুবাদকৃত । মূল উর্দূটি ছিল পাকস্তানী একটা মেয়েকে লেখা আমার একটা প্রেমের চিঠি । যা ২০০৮ সালে লিখিত । আমার এ লেখাটি ঐ চিঠির একটা অংশ। তাই মূল উর্দূটি নিম্নে ইংরেজী অক্ষরে দিয়ে দিলাম ]


তুমি আমার সাথে এ কি কথা বলো !
প্রেমের আদালতে এ কি রায় !!
তোমার জীবনের আসে পাশে
চলছে আমার জীবনের পদচারণা ,
আর তুমি আমার জীবনের শিকার
নষ্ট করে দেবার ইচ্ছা পোষণ করে চলছো !
প্রেমের আগুন জ্বেলে তুমি
কিভাবে মুখ ফিরিয়ে নেবে !
এ আমি বুঝিনা যে
মানুষের প্রেমের দৃষ্টি লেগে যায় কিভাবে ?
তোমার জন্য অপেক্ষায় আমি
সর্ব সময় প্রতিটি মুহূর্ত ,
প্রেমের মাঝে হয়ে গেছি বন্দি আমি
এখন আমার মন তোমারই অন্তরে ।
বুঝে আসেনা আমার
চলছে কি তোমার মনে ?
কিন্তু তোমার জন্য চলছে সমুদ্রের তুফান
প্রতিটি সময় প্রতিটি মুহূর্ত আমার মনে ।
===================================



তেরী মোহাব্বত মে
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------------- 

মেরে সাত ইয়ে কিয়া বাত করতে হুঁ তুম !
মোহাব্বাত কি আদালত মে ইয়ে কিয়া ফয়সালা হায় !!
তেরে জিন্দেগী কে আছ পাছ
মেরে জিন্দেগী দুন্ডনে লাগা ,
আউর তুম মেরে জিন্দেগী কা নিশানা
বরবাদ করদেনে কা ইরাদা করনে লাগা !
মোহাব্বত কি আঁগ জ্বালাকর তুম
কেয়সা তুম মুহ ফিরা লেগা !
ইয়ে নেহী সমজতাহু ম্যায় কেহ্
ইনসান কি মোহাব্বত কা নজর কেয়সা লাগ জায়েগা ?
তেরে লিয়ে ইনতেজার করতাহু ম্যায়
হার ওয়াক্ত হার পল মে ,
মোহাব্বাত মে পকড় গেয়া হুঁ ম্যায়
আবহি মেরা দিল হায় তেরা দিল মে ।
সমজ মে নেহী আতা হায় মেরা
চলতা হায় কিয়া তেরা দিল মে ,
লেকিন তেরে লিয়ে সমন্দর কা তুফান চলতা হায়
হার ওয়াক্ত হার পল মেরে দিল মে ।
==============================  

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১১

আমার লেখালেখির অন্তরালে ...( পর্ব - ৫ )




আমার লেখালেখির অন্তরালে ...
        ( পর্ব - ৫ ) 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
------------------------------- 


১৯৮১ সাল । বাবার ৩০ বৎসরের স্মৃতিময় মগবাজারের ভাড়া বাসা ছেড়ে চলে আসি শ-১৭২ ( পরবর্তীতে শ - ৭২ / এ ) , উত্তর বাড্ডায় , নিজেদের বাড়িতে । শুরু হয় নতুন পথ চলা । আমাদের বাড়িটায় ভাড়া দেয়ার জন্য কয়েকটা টিনের ঘর নির্মান করা হয়েছিলো । আর আমাদেরটা ছিল সেমিপাকা । আমাদের টিনের ঘর গুলোতে তখন কয়েকটা পরিবার ভাড়ায় থাকতো । তখনও আমাদের ওখানে ওয়াসার লাইন ছিলোনা । নলকুপ ছিলো পানি প্রাপ্তির মাধ্যম । নলকুপের সাথেই ছিলো আমার প্রিয় কামরাঙ্গার গাছ ।
সময়টা ছিল ১৯৮৫ সাল ।  আমাদের ভাড়াটিয়া একটা পরিবারের শাহনাজ নামের একটা মেয়েকে ভীষন ভালো লাগতো । তার , হাটা , চলাফেরা , কথা বার্তা মুগ্ধ করতো আমায় । সুন্দর ও ছিলো অশেষ । সব সময় সেজেগুঁজে থাকতো । খুবই চঞ্চল স্বভাবের ছিলো । পাখিদের মতো শুধু উড়াল দিতে চাইতো । স্কুল থেকে আসার পর চড়ুই পাখির মতো খিচির মিছির আওয়াজ দিয়ে  দৌড়াদৌড়িই ছিল তার প্রধান কাজ । আর আমার রুমের জানালার কাঁচে টোকা দিয়ে আমাকে বিরক্ত করা যেন তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো ।
একদিন যখন সে আমার জানালায় টোকা দিতে আসলো , ধরে ফেললাম তাকে । বললাম -  “ তোমার সব দুষ্টামী নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখবো এবং সেটা সবাইকে পড়তে দেবো । তারপর দেখবো তোমার দুষ্টামী কোথায় যায় । ’’ সে বললো - “ তুমি যে কি লিখবে সেটা আমি জানি । আমার দুষ্টামী বন্ধ করতে চাচ্ছো তো ? আজ থেকে আরও বেশী করবো । এখন থেকে ঘুমাতেও দিবোনা । ’’ তার কথা শুনে আমার তাকে নিয়ে লেখার ইচ্ছাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো । শুরু করলাম লেখা এভাবে -

শাহানাজ নামের মেয়েটি
--------------------------- 

একটা মেয়ে সে - নাম তার শাহানাজ ,
নিত্য সময় করে সে শরীরেতে সাজ ।
আমার দিকে চেয়ে সে দেয় মিস্টি মিস্টি হাসি ,
মাঝে মাঝে দেয় সে ফিফটি ফিফটি কাঁশী ।
আমাকে দেখলেই সে লাল ওড়নায় ঢাকে মুখ ,
চকিত চাহনী ফেলে দৌড়ে গিয়ে দেয় সে দরজায় হুক !
সাথে সাথে পুনর্বার বের হয়ে দেখে সে চারিদিক ,
ফরসা বদনে তার রোদ পড়ে করে ঝিকমিক ।
নলকুপের পানি নিতে যখন সে আসে নলকুপ ধারে ,
সুন্দর সুবচনে সে তার মুখবুলি ছাড়ে ।
মাঝে মাঝে দেয় সে গলা খাঁখারী  ,
কামরাঙ্গা পাড়তে গিয়ে দেয় সে গাছ ঝাঁখাড়ী ।
তীর্যক দৃষ্টিতে দেখে দেখে আমায় সে কামরাঙ্গা তোকায় ,
চোখাচোখি হয়ে গেলে নীচ দিকে দেয় সে মাথাটা ঝুঁকায় ।
ভিন্ন দিকে ফিরে আমি যখন আঁড়চোখে তারে দেখি ,
মুখ ভেংচি দিয়ে সে লাগায় মোরে ভেলকি !
তার কান্ডকীর্তন দেখে যখন হই আমি বোকা ,
লুকিয়ে এসে দেয় সে মোর জানালায় টোকা !
**********************************************

কবিতাটি লিখেই তাদের টয়লেটে যাবার রাস্তার ধারের ওয়ালে গাম দিয়ে সেটে দিলাম যাতে তার নজরে পড়ে ।

=================================================
চলমান >  আমার লেখালেখির অন্তরালে ... ( পর্ব - ৬ )
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী  
=================================================    

সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১১

আমার লেখালেখির অন্তরালে ...( পর্ব - ৪ )



আমার লেখালেখির অন্তরালে ...

        ( পর্ব - ৪ )
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-------------------------------

মনে পড়ে ক্লাস এইট এ থাকাকালীন পাগলামীর কথা । ১৯৮৩ সাল । থাকতাম ৬৩০ , পেয়ারা বাগ , বড় মগবাজার , ঢাকার ভাড়া বাসায় । তখন বাসায় নিয়মিত পত্রিকা আসতো - দৈনিক বাংলা ( এ পত্রিকাটি ১৯৯৭ সালে বন্ধ হয়ে যায় ) । কিন্তু প্রতি শুক্রবার আমি ইত্তেফাক নিতাম সবার কাছ থেকে লুকিয়ে ,  সিনেমা এ্যাড দেখার জন্য । তখন সিনেমা দেখার জন্য বাসা থেকে অনুমতি ছিলোনা । কিন্তু শুক্রবার আসলেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চুরি করে সিনেমা দেখা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল । মধুমিতা এবং জোনাকি হল ছিল আমার প্রিয় । যা হোক , নতুন সিনেমা কোন হলে কোনটা চলছে তা দেখার জন্যই ইত্তেফাক নিতাম । বোনাস হিসাবে পেতাম সাহিত্য পাতা । ভালো লাগতো সাহিত্য পাতা ।
বিভিন্ন কবিদের কবিতা পড়তে ভীষন ভালো লাগতো । একদিন কোন এক কবির ( নাম মনে নেই ) ছন্দ দিয়ে লেখা একটা কবিতা ভীষন ভালো লাগলো । কবিতাটির অনুকরনে একটা কবিতা লিখতে ইচ্ছা হলো । তবে সেটির নকল করতে গিয়ে হয়ে গেল ভিন্ন একটা কবিতা । যা ঐ কবিতাটি থেকে সম্পূর্ণ রূপে ভিন্ন হয়ে গেলো । সম্পূর্ণ নিজ খেয়ালে নিজস্ব চিন্তায় হয়ে গেলো বারো লাইনের একটা কবিতা । কবিতাটি বানাতে আমার দুইদিনে বারো ঘন্টা সময় লেগেছিলো । কবিতাটি বানিয়ে পড়তে লাগলাম এইভাবে -

আমার ভবিষ্যত যাত্রা
=================

আকাশের পূর্বদিগন্তে সূর্যের লালিমাময় ঊষাকাল -
আমার মনে জাগছে নিত্য নব সব আবিস্কার ,
সুদূর দিগন্তে নতুন এক উদ্ভাবিত বস্তু দেখা যাচ্ছে পরিস্কার ;
দেখতে পেলাম , অদূর ভবিষ্যতে ধরা দিবে আমায় আনন্দের মহাকাল !

পশ্চিমাকাশে জেগেছে সূর্যের গোধূলী লগ্ন -
অন্ধকারে ছেঁয়ে যাবে অল্প পর এই ধরা ,
আবার উঠবে সূর্য আগামীকাল , হবে আলোয় ভরা ;
তেমনি আমার ভবিষত করবে অতীতকে ভগ্ন !

মধ্যমাকাশের তীব্রতেজী সূর্য হেলে যাবে পশ্চিমে হবে শুরু বিকালের -
সূর্যের ক্ষীপ্রতা মিন হয়ে পৃথিবী হবে শান্ত ,
অল্প পর রাতকানা রোগীদের পথ হবে ভ্রান্ত ;
তেমনি আমার জীবন এগিয়ে যাবে অন্তের পথে শেষ হবে কর্মকালের !
********************************************  
এ কবিতাটি পরবর্তীতে মাসিক দ্বীন-দুনিয়া , জুন - ২০০৩ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ।
---------------------------------------------------------------   
চলমান >  আমার লেখালেখির অন্তরালে ... ( পর্ব - ৫ )
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী  
================================================= 

শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১১

আমার লেখালেখির অন্তরালে ...( পর্ব - ৩ )


আমার লেখালেখির অন্তরালে ...
    ( পর্ব - ৩ ) 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------------------   


কিছুদিন পর আর একটা ছন্দের দুটি লাইনের প্যারোডী রচনা করি । মেয়েটিকে একদিন না দেখে মনের কষ্টে এ প্যারোডী রচনা । মূল ছন্দটি ছিল -
             “ ডালিম পাকিলে পরে নিজ ফেটে যায় ,
              ছোট লোক বড় হলে বন্ধুকে কাঁদায় । “  

আর আমি রচনা করেছিলাম -
              চেনা লোক চলে গেলে স্মৃতি রেখে যায় ,
              মনেতে দাগ লাগলে মুছেনা যে হায় ।
একদিন পর যখন মেয়েটি স্কুলে আসলো ক্লাস শেষে যাবার পথে সেটিও আগেরটার মতো তাকে দিয়ে দিই । বেশ ক’দিন পর মেয়েটি একদিন তাদের বাড়ির কাছে আমার পথ আগলে দাঁড়ালো । আমর সাথে ছিলো আরও তিনটা ছেলে । মেয়েটি আমার হাত ধরে টান দিলে ছেলে গুলো দাঁড়িয়ে যায় । তারা খ্যাঁপে যায় মেয়েটির উপর । মেয়েটিকে মারতে আসলে আমি তাদেরকে সরিয়ে দিই । তারপর মেয়েটি আমাকে নিয়ে কি করতে চায় তা দেখতে থাকি । “ তোরা হাঁটা দে , আঁই আইর “ ( তোমরা হাঁটা দাও , আমি আসছি ) এ কথা বলে আমি ছেলেগুলোকে যেতে বলি । তারা কিছুদূর চলে গেলে মেয়েটি আমাকে একটা আমগাছের নীচে নিয়ে যায় । তারপর বলে - “ বয় “( বস্ )। আমি বসলে মেয়েটিও আমার পাশে বসে ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদতে থাকে। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই সে বলল - “ তোরে ন দেইলি আঁর ভালা লাগেনা , এতদিন তোর ল কথা ন কই বহত কষ্ট পাই “ ( তোরে না দেখলে আমার ভালো লাগেনা , এতদিন তোর সাথে কথা না বলে অনেক কষ্ট পেয়েছি )। কথা শেষ করে সে তার ফ্রকের ভিতর থেকে একটা কাগজ বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে দৌড়ে ঘরের দিকে চলে যায় । আমিও বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করি ।
কাগজটা বের করে খুলে দেখি পথেই । তাতে চারটি লাইন কাঠপেন্সিল দিয়ে লেখা - “ তোমার সাথে কথা বন্ধ করে অনেক কষ্ট পাচ্ছি । তোমার লেখাগুলো পড়েছি । খুব ভালো লেগেছে । এ রকম প্রত্যেকদিন একটা করে লেখা দিও । জানো , তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে । তোমাকে না দেখলে খুব কষ্ট লাগে - আমি তোমার সাথী “ ।
এভাবেই প্রতিনিয়ত শামসুন্নাহার নামের মেয়েটি আমার প্যারোডী রচনায় প্রেরণা জুগিয়েছিলো । ফলশ্রুতিতে ক্লাস ফাইভ শেষ করা পর্যন্ত রচনা করি কয়েকটি পদ্য । সবই দুই লাইনের মধ্যে । সেগুলোর মধ্যে যে গুলো সংরক্ষিত আছে তা নিম্নে তুলে ধরলাম -

০১ ) তোমার সঙ্গে দেখা হলে আমার মন যে কেমন করে ,
তোমায় কাছে পেলে আমার মনটা যায় যে ভরে ।

০২ ) কাল পরশু দু’দিন থেকে দেখছিনা যে তোমায় ,
মনটা আমার চায় যে শুধুই তোমায় কাছে পাই ।

০৩ ) তোমার বাড়ি অনেক দূরে রাত্রে যেত ভয় করে ,
কি করে যে থাকি আমি তোমায় ছাড়া এই ঘরে ?  

০৪ ) চাঁদ সুন্দর ফুল সুন্দর আরও সুন্দর তুমি ,
তোমার দেখা না পেলে হয় মনটা আমার মরুভূমি ।

০৫ ) সবাই জানে আমার খবর তোমার সাথে কই যে কথা ,
বল বন্ধু আমায় নিয়ে কেন তাদের মাথা ব্যথা ?

০৬ ) পড়া লেখায় যায় না মন তোমার পানেই মন শুধু ,
যতই দেখি লাগে তোমায় দেখতে যেন চাকের মধু !

০৭ ) আর ক’টা দিন দেখবো তোমায় যাবো চলে সঙ্গ ছেড়ে ,
সঙ্গ ত্যাগে যেওনা ভুলে মনটা যে মোর নিলে কেড়ে !

০৮ ) ঝড়ের দিনে তোমার সাথে একই সাথে গেলাম যখন ,
লোকে দেখে বললো ঘরে ছেলেটি ঘরে আসে কখন ?

০৯ ) সঙ্গীরা সব আমায় এখন ঠাট্টা করে বেড়ায় শুধু ,
তুমিই নাকি আরও পরে হয়ে যাবে আমার বধু !

১০ ) এক সঙ্গী বললো আমায় কি দেখিলাম কি দেখিলাম !
সেদিনের সেই ঘটনাটি সে বললে - আমি লজ্জা পেলাম !

১১ ) আসবে তুমি কাল সন্ধ্যায় তোমাদের ঐ পুকুর পাশে ,
দেখবো তোমায় দু’চোখ ভরে ঐ পুকুরের ঘাটে বসে ।

১২ ) কেঁদোনা গো সাথী আমার তুমিও তো যাবে চলে ,
একখানেই তো থাকবো মোরা কথা বলবো দেখা হলে ।

১৩ ) নতুন স্কুল কেমন লাগছে জানাবে সাথী বলবে মোরে ,
অনেকদিন পর দেখা হবে ভাবতে আমার মাথা ঘুরে ।

১৪ ) আজকে তোমায় মারছে স্যারে দেখে আমি কষ্ট পেলাম ,
বুকের ভিতর ব্যথা করে তাই যে তোমায় দেখতে এলাম ।

১৫ ) স্কুলে তুমি আসবে সাথী ভালো করে পড়া শিখে ,
উঠতে যেন পারো তুমি উপর ক্লাসে এক-এ টিকে ।

১৬ ) রিডিং পড়ো ভালো করে শুনতে যেন ভালো লাগে ,
ভোরে উঠে পড়ো তুমি তখন পড়ার নেশা জাগে ।

১৭ ) চেষ্ঠা করবে সর্ব সময় ভালো করতে হাতের লেখা ,
অনবরত লিখতে থাকো তাতেই হবে লেখা শেখা ।

১৮ ) নিত্য নতুন শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন করতে থাকো ,
বাক্য গুলো দিবে যে কাজ মনের মাঝে ভরে রেখো ।

১৯ ) সময়সূচি মেনে চলো পড়া লেখার মাঝে ,
করোনা কভু অবহেলা নিত্য আপন কাজে ।

২০ ) জীবনেরে সাজাও তুমি নিত্য নতুন সাজে ,
করোনা কভু এমন কাজ দেখতে যাহা বাজে ।

তখনকার সে পাগলামী আজও মনে দাগ কাটে । সেই থেকে চিন্তা জন্মালো মনে - কবি হবো । কবিতা লিখবো ।
---------------------------------------------------------------

চলমান > আমার লেখালেখির অন্তরালে ... ( পর্ব - ৪ )
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
==========================================