আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১২

হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!


হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
---------------------- 


হরতাল , হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !! 
মাতাল সব রাজনীতিবিদ দেশ তাই উথ্থাল !
মাতলামীর খেলা চলে রাজনীতিবিদ প্লেয়ার
জয় দেখেনা চোখে তাদের ডাকে তাই হরতাল ,
হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!

দেশ যাক গোল্লায় , রাজনীতিবিদ সুখে থাক
দেশের মানুষ মরবে - মরুক , সুখ - শান্তি নিপাত যাক ।
চলছে খেলা , চলতে থাক , রাজনীতিবিদ খুশি থাক
হরতালে যদি সুখ তাদের , ডাকুক তারা হরতাল ,
হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!

দাবার গুঁটি পার্টি কর্মী , চলছে চলুক লিডারদেরই চালে
ঘর - গেরস্থী চুলোয় যাক , নাচুক তারা লীডারদেরই তালে ।
পার্টি কর্মী নাচছে নাচুক , মাতাল থাকুক নাচের তালে
পীছন দিকে বাঁশ ঢুকে যাক , বলছে বলুক হরতাল !
হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!
==================

নীলকন্যার ভালোবাসায়



নীলকন্যার ভালোবাসায়
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------------


এমন একটা শাড়ী পড়েছিলে সেদিন
নীল আকাশের সাথে গিয়েছিলে মিশে ,
হয়েছিলে নীলাম্বরী !
নীল সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে যখন তুমি
গিয়েছিলে মিশে সাগরের নীল জলের সাথে ,
হয়েছিলে তুমি নীলকন্যা !
বাগানের নীল গোলাপের সম্মুখে দাঁড়ীয়ে যখন তুমি
মিশে গিয়েছিলে নীল ফুলের সাথে ,
হয়েছিলে তুমি নীল প্রজাপতি !
জলে ভাসা নীলপদ্ম নিয়ে যখন খেলছিলে খেলা
নীলপদ্মের সাথে তুমি গিয়েছিলে মিশে ,
হয়েছিলে তুমি নীলাঞ্জনা !
নীলরঙ্গা শাড়ীর দোকানে যখন তুমি
ঘুরছিলে শাড়ীর প্রান্ত ধরে ধরে ,
হয়েছিলে তুমি নীলপরি !
নজর লাগছিল তোমাতে সেদিন বড় বেশী ।

তাই আজ এই অভিসার রজনীতে
করেছি শুধুই নীলের আয়োজন ।
সাজিয়েছি নীলাসন তোমার তরে ,
সাজিয়েছি নীল দিয়ে আজকের অভিসার তরণী
দেখবো বলে তোমার নীলমাখা রূপ ।

সাজঘরে দেখবে শুধুই নীলের সমাহার ;
সাজাবে তোমার চোখ নীল দিয়ে ,
দেখবো আমি , নীলনয়না তোমাকে , অপলক নেত্রে ।
সাজাবে তোমার মুখ নীলরঙ্গা প্রসাধন দিয়ে ,
দেখবো আমি , তোমার নীল রূপের দ্যুতি ।
সাজাবে তোমার অঙ্গ নীল বসনে ,
দেখবো আমি , তোমার শরীরের নীলাঙ্গন ।
চড়াবে তোমার চুলে নীল চুমকী ,
আমি দেখবো , তোমার চুলে নীলের ঝলক ।

যেখানে করেছি অভিসারের আয়োজন
দেখবে শুধুই চতুর্দিক নীলের শোভায় শোভিত ।
যে পথ দিয়ে ডুকবে তুমি
বিছিয়ে দিয়েছি নীল কার্পেট ।
লাগিয়ে দিয়েছি পথের দু’পাশে  
সব নীল আলোর বাতি ।
প্রতিটি বাতির মধ্যখানে দেখবে
তোমার প্রিয় সব নীল গোলাপের টব ।
তোমার মাথার উপরে দেখতে পাবে
জ্বলছে আর নিবছে শুধুই নীল আর লাল রঙ্গা বাতি ,
যাতে ভেসে উঠছে শুধুই একটা লেখা –
“ নীলকন্যার ভালোবাসায় ’’ !
আর সব বাতির মাঝখানে উড়িয়ে দিয়েছি সব বড় বড় বেলুন ,
যেগুলোর দু’পাশে দেখতে পাবে তোমায় নিয়ে লেখা –
“ নীলকন্যা ! আমি তোমায় ভালবাসি ।
আজ আমাদের ভালোবাসার অভিসার ,
স্বাগতম তোমায় আমার ভালোবাসার ভুবনে । ’’

যেখানে পেতেছি তোমার বসার আসন
ছড়িয়ে দিয়েছি যত নীল ফুল ,
করে দিয়েছি চতুর্দিকে নীল ফুলের বাগান ।
দেখবে তুমি তোমার চারপাশে
নেচে যাচ্ছে ঘুরে ঘুরে নীল জল তোমায় দেখার আনন্দে !
মাঝখানে বসে আছি তুমি আর আমি
নীলেরা খেলছে চারিপাশে শুধুই জলকেলি !
পানির ফোয়ারার নীলজলে চতুর্দিকে ভাসছে
নীলরঙ্গা সব মৎস্য আর হংসপাল ,
আর নীল আলোতে দেখবে তুমি
ছাউনি নীচের চারিপাশের বেষ্টনীতে
শুধু দু’জন মানব-মানবীর ছায়ার অঙ্গভঙ্গী ,
চলছে যেথায় তাদের প্রেমাভিসারের ভঙ্গিমা !
======================================


অধ্যাবসায় সফলতা প্রাপ্তির মুলমন্ত্র



অধ্যাবসায় সফলতা প্রাপ্তির মুলমন্ত্র 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------------  


আজ কি বিষয় নিয়ে লেখব , কি লেখব , কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলামনা । হঠাৎই মনে হলো কম্পিউটার আবিস্কারের কথা
যদি কম্পিউটার দিয়ে পুরা দুনিয়া ঘুরে আসা যায় , যদি কম্পিউটারে পৃথিবীর যাবতীয় তথ্য ধরে রাখা যায় , যদি কম্পিউটার থেকে সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায় , যদি কম্পিউটার দিয়ে সবকিছুই করা যায় , তবে আমার ব্রেইন বা মস্তিস্ক কম কিসে ? কম্পিউটারতো মানুষেরই ব্রেইন দিয়ে তৈরী আর কম্পিউটার তো মানুষের ব্রেইনের কাছে কছুই নয় ।
আমিও তো মানুষ । যদি একজন মানুষ তার ব্রেইন দিয়ে কম্পিউটার নামক একটা শূন্যস্থানে দুনিয়ার সবকিছু ভরে দিতে পারে – তবে আমি কেন পারবনা ? আমি কেন পারবনা খাতার দু’টি খালি পৃষ্ঠা ভরিয়ে দিতে ? যদি না পারি তবে আমি কেমন মানুষ ? মানুষ হিসাবে কেন আমার মানুষের মাঝেই বসবাস ?
আসলে আমিও মানুষ , ঠিক তাঁরই মত যিনি কম্পিউটার সৃষ্টি করে নিজেকে মানুষ রূপে পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন । যিনি মানুষের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁর ক্ষুদ্র ব্রেইন দিয়ে । যিনি তাঁর মানবিক জ্ঞান দিয়ে সূর্যের আলোর ন্যায় পৃথিবী ব্যাপী সমগ্র মানব মনে আলোর ঝলসানো রূপ ঢেলে দিয়েছেন ।
আমার গায়ের শক্তিও সেই মানুষটির চেয়ে কোন অংশে কম নয় । আমার বাকশক্তিও তাঁর চেয়ে নিম্ন নয় । আমার খাদ্যগ্রহণও তাঁর চেয়ে কম নয় । আমার চলার শক্তিও তাঁর চেয়ে ধীর নয় । আমার বুঝশক্তিও তাঁর চেয়ে কম হতে পারেনা । আমার স্মরণ শক্তিও তাঁর কাছে নত হতে পারেনা । আমার জ্ঞান শক্তিও চাইলে করতে পারি তাঁরই মত । যদি সেই মানুষটি পৃথিবীকে আলোকিত করতে পারে , তবে আমি কেন পারবনা ?
প্রত্যেক মানুষ বিধাতা প্রদত্ত একই ক্ষমতা ও শক্তির অধিকারী । একজন মানুষ যা পারবে অন্য মানুষও তাই পারবে , যদি তারা চেষ্ঠা করে,আরাধনা করে,অধ্যবসায় করে । কারণ , সকলের কাছেই সেই ক্ষমতা রয়েছে যা অন্যজনের কাছে রয়েছে । যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়না । যা লুকানো রয়েছে আমাদের অভ্যান্তরেই । সবাই চেষ্ট করেনা বলেই সবার কাছে সেই শক্তি ধরা দেয়না । তাই এই সুপ্ত প্রতিভা বা লুকিয়ে থাকা শক্তিকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করতে হবে । সেই ক্ষমতা অর্জনে করতে হবে অধ্যবসায় ।
অথচ আমরা সেই চেষ্টা করি না । আমরা গড়তে চেষ্টা করিনা , আমরা ভাঙ্গতে চেষ্টা করি । আমরা ঐক্য হতে চেষ্টা করিনা , আমরা বিভাজন হতে চেষ্টা করি । আমরা গর্তে পড়া মানুষকে উঠাতে চেষ্টা করিনা , মানুষকে গর্তে ফেলে দেবার চেষ্টা করি । আমরা বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চেষ্টা করিনা , আমরা বন্ধনকে ছিন্ন করার চেষ্টা করি । আমরা মানুষ হবার চেষ্টা করিনা , অমানুষ হবার চেষ্টা করি । আমরা সভ্য রূপ দিয়ে নিজেদের সাজাতে চেষ্টা করিনা , অসভ্যতার রূপ দিয়ে সাজতে চেষ্টা করি । আমরা কিছু সৃষ্টি করতে চেষ্টা করিনা , সৃষ্টিকে ধ্বংস করতে চেষ্টা করি । আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চেষ্টা করিনা , অজ্ঞতা দিয়ে অন্ধ থাকতে চেষ্টা করি । আমরা কল্যান মূলক কর্ম করতে চেষ্টা করিনা , অকল্যানমূলক কর্ম দিয়ে নিজেদের ধ্বংস করতে চেষ্টা করি ।
আমরা যা চেষ্টা করি তা হচ্ছে শুধুমাত্র একে অপরকে দমানোর চেষ্টা । আমরা যা চেষ্টা করি তা শুধু একে অপরের চেয়ে বড় হবার চেষ্টা । আমরা যা চেষ্টা করি তা শুধু অপরের সম্মানহানীর চেষ্টা । আমরা যা চেষ্টা করি তা শুধু নিজে বেঁচে থেকে অপরকে মারার চেষ্টা । আমরা যা চেষ্টা করি তা শুধু অপরের মুখে কালিমা লেপনের চেষ্টা । আমরা যা চেষ্টা করি তা শুধু সভ্যতা ধ্বংসকরে অসভ্যতাকে ধারণ করার চেষ্টা । আমরা যা চেষ্টা করি তা শুধু উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অনুন্নয়নের চেষ্টা । আমরা যা চেষ্টা করি তা শুধু সৎকর্মের বিরোধীতা করে অসৎ কর্ম সম্পাদনের চেষ্টা । আমরা যা চেষ্টা করি তা শুধু মানুষ মেরে অমানুষের পরিচয় দেয়ার চেষ্টা ।
আমরা যা চেষ্টা করি তা দিয়ে কেবল প্রকাশ করি - আমাদের শক্তির অপচয় , আমাদের কাপুরুষতা , আমাদের অজ্ঞতা , আমাদের নির্লজ্জতা , আমাদের মনের কালিমা , আমাদের অসভ্যতা , আমাদের দস্যুতা , আমাদের অপারগতা , আমাদের অবাধ্যতা , আমাদের অলসতা , আমাদের শত্রুতা , আমাদের হিংস্রতা , আমাদের অমানুষতা ।
এই যদি আমাদের চেষ্টা হয় তবে আমাদের সুপ্ত প্রতিভা বা লুকায়িত শক্তি প্রকাশ হবে কিভাবে ? আমাদের যা শক্তি প্রকাশ্য তাই যদি আমরা ধ্বংস করার চেষ্টা করি , আমাদের লুকায়িত শক্তি অর্জনের চেষ্টা করার সময় কিভাবে হবে আমাদের ? মানুষ টাকা বিনিয়োগ করে লাভের আশায় , লোকশানের আশায় নয় । তেমনি আমাদের যা শক্তি আমাদের কাছে বর্তমান তা বিনিয়োগ করতে হবে নতুন শক্তি অর্জনে , তাকে ধ্বংস করে শূণ্য হতে নয় । বর্তমান শক্তি কাজে লাগিয়েই আমাদের নতুন শক্তি অর্জনে স্বচেষ্ট তে হবে ।
মানুষদের মধ্যে যাঁরা অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন , যে আলোতে তাঁরা পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন , তাঁদের সেই শকতি অর্জনের লক্ষ্যে আমাদেরকে তাঁদেরই পথে ধাবিত হতে হবে । তাঁদেরই চিন্তায় আমাদেরকে চিন্তিত হতে হবে । তাঁদেরই দীক্ষায় আমাদেরকে দীক্ষা নিতে হবে ।
একটা মানুষের কাছে একটা হিংস্র বাঘ এসে তার দুই পাও সম্মুখে দিয়ে মাথাটি তার পদদ্বয়ের উপরে রেখে ঐ মানুষটির কাছে বাঘটি তার বশ্যতা স্বীকার করে ! আর ঐ বাঘটিকে দেখে অন্য মানুষ ভয়ে পালায় ! কি সেই শক্তির জোরে ঐ মানুষটি বাঘটিকে নিজের অধিনস্থ করে বন্ধু করে নিয়েছে ? আমাদের ভাবতে হবে , এ ভাবনার ফলেই বেরিয়ে আসবে বাঘকে বশিভুত করে অধিনস্থ করার শক্তি ।
এটা বিষধর সাপ নিয়ে সাপুড়ে তার শক্তির জোরে খেলা দেখায় ! সাপটি সাপুড়ের হাতের ইশারায় নাচে তারই কথামত ! অথচ সেই সাপটিকে অন্যেরা দেখলেই তাদের জান যাবার মত অবস্থা হয় ! কি সেই শক্তি সাপুড়ের কাছে ? ভাবতে হবে সেই শক্তি নিয়ে । বেরিয়ে আসবে সেই শক্তির সুত্র ।
প্রথম কম্পিউটার নির্মাতা কম্পিউটার নির্মান করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ! করে দিয়েছেন আলোকিত বিশ্বভূবন ! আজ সেই কম্পিউটার দিয়েই আমেরীকা মিশাইল ছুড়ছে আফগানিস্তানে বসে ইয়েমেনে । সেই কম্পিউটার দিয়েই দখল করে নিয়েছে পৃথিবীর সকল মানুষ পৃথিবীর সকল জনপদ । কোন সেই শক্তির জোর ছিল প্রথম কম্পিউটার নির্মাতার ? ভাবতে হবে সেই শক্তি নিয়ে । বেরিয়ে আসবে কম্পিউটার নির্মাতার সেই শক্তির খণি ।
দুই ভাই যখন হাওয়াই জাহাজ বানিয়ে আকাশে উড়ালেন , তখন বিশ্ব চমকে গিয়েছিল ! তাঁদের কি শক্তি ছিল হাওয়াই জাজ বানানোর মূলে ? ভাবতে হবে সেই শক্তি নিয়ে । এসে যাবে বিমান আবিস্কারের কৌশল শক্তি নিজেদের আয়ত্বে ।
একটা মানুষ পানির উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কোন প্রকার বাহন ছাড়াই ! কি সেই শক্তি মানুষটির কাছে ? ভাবতে হবে সেই শক্তি অর্জনে কি করতে হবে ?
একটা মানুষ রয়েছে বাংলাদেশ আর সেই তাওয়াফ করছে মক্কার বাইতুল্লাহয় ! কোন সেই শক্তির বলে ঐ মানুষটি এ অলৌকিক কাজটি করছেন ? ভাবতে হবে এ ক্তি অর্জনে তাঁরই মত ।
একটা মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত আর অন্য একজন মানুষ তাঁর হাতের ইশারায় তাকে জীবন দানে সাহায্য করছে । আর মৃত্যুমুখ থেকে উঠে আসছে ঐ ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ ! কোন সেই শক্তির জোরে এ দূরুহ কাজটি সফল হয়েছে ? ভাবতে হবে এ শক্তি অর্জনে , সেই মানুষটি ঠিক যেভাবে ঐ শক্তি অর্জন করেছিলেন সেভাবে । এভাবেই মানুষের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সকল সুপ্ত প্রতিভাকে ধাপে ধাপে জাগিয়ে তুলতে হবে ।
মানুষের কল্যানেই মানুষ , মানুষের অকল্যানে নয় । মানুষের কল্যানে যে মানুষ এক ধাপ অগ্রসর হবে , সে মানুষ দুইধাপ পরিমাণ সফলতা অর্জন করবে । যে মানুষ মানুষের অকল্যানে এক ধাপ অতিক্রম করবে , সেই মানুষ দুই ধাপ সমান অগ্রসর হতে পিছিয়ে যাবে । এটাই মানব জীবনের রীতি ।
আজ আমরা মানুষের কল্যানে নয় , মানুষের অকল্যানেই আমাদের তাবৎ কর্ম । তাই আমরা সর্বত্রই হচ্ছি অসফল । আমাদের সবখানেই হতে হচ্ছে নাজেহাল । আমাদের জীবন যাপনে আসছে দুর্ভোগ – দুর্যোগ – দুর্গতি । যেদিন থেকে আমরা মানুষের অকল্যান ভাবনা ছেড়ে কল্যান ভাবনায় আত্মনিয়োগ করতে পারব , সেদিন থেকেই আমাদের জীবন যাপন হয়ে উঠবে সুন্দর – সুষমামন্ডিত। যেদিন থেকে আমরা মানুষদের অকল্যানের চেষ্টা ছেড়ে কল্যানমুখী চিন্তা-চেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারব , সেদিন থেকেই আমাদের কাছে আসতে শুরু করবে সফলতা । যেদিন থেকেই আমাদের সৃষ্টিশীল কর্মে মনোনিবেশ হবে , সেদিন থেকেই আমাদের লুকায়িত শক্তি সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত হতে থাকবে । যেদিন থেকেই আমাদের জ্ঞান মানবোপকারে বিতরণ হতে থাকবে , সেদিন থেকেই আমাদের অলৌকিক জ্ঞান অর্জিত হতে থাকবে ।
আমাদের লুকায়িত শক্তি অর্জনে , সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করনে আমাদের প্রতিটি বিষয়ে চেষ্টা করতে হবে , হতে হবে অধ্যবসায়ী । যে কোন শক্তি অর্জনে আমাদের ঐ শক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । তবেই হবে , হওয়া যাবে সেই চেষ্টায় সফল ।

বলছিলাম – আজ কি বিষয়ে লিখব , কি লিখব বুঝে উঠতে পারছিলামনা । এতক্ষণ যা লিখলাম তা যে লিখতে পারব সেটাও ভাবতে পারিনি । ওই যে বললাম – কম্পিউটারের জন্মদাতা হচ্ছে মানুষ বা মানুষের মাথা বা মস্তিস্ক বা ব্রেইন । যেখানে কম্পিউটার সব পারে , সেখানে কম্পিউটারের জন্মদাতা মানুষ সব পারবেনা কেন ? আমিও আজ দেখিয়ে দিলাম – যা পারবনা বলে ভেবেছিলাম , তা আমি পেরেছি । যে হাতে লেখা আসছিলনা , সে হাতে লিখে এ নাতিদীর্ঘ রচনা সৃষ্টি করতে পেরেছি !
মানুষ চেষ্টা করলে সব পারে । বিধাতা প্রদত্ত জ্ঞান ও শক্তি যতটুকু মানুষের মাঝে বিদ্যমান ঠিক ততটুকুই মানুষ তা ব্যবহার করতে পারবে । এর বেশী নয় । যে জ্ঞান ও শক্তি বিধাতা তার নিজ হাতে রেখে দিয়েছেন , সেগুলো ছাড়া মানুষ সবগুলোই অর্জন করতে পারবে । আমি , আপনি সবাই তা পারব । যদি ত অর্জনের চেষ্টায় নিয়োজত রাখা যায় ।
তাই বলতে হয় – চেষ্টায়ই সফলতার সোপান । অধ্যাবসায় সফলতা প্রাপ্তির মুলমন্ত্র । সাধনার ফলই সফলতা । লেগে থাকতে হবে কর্মপীঁছু । সফলতা দেখা দেবে তবেই ।
======================================