আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

শনিবার, ৩০ জুন, ২০১২

ইতিহাসে ৩০শে জুন


ইতিহাসে ৩০শে জুন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------

*** ১৯৪৩ সালের এই দিনে - লেখক, কবি ও সমাজবিজ্ঞানী আহমদ ছফা (জুন ৩০, ১৯৪৩ - জুলাই ২৮ , ২০০১) চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা মরহুম হেদায়েত আলী ওরফে ধন মিয়া। মা মরহুমা আসিয়া খাতুন। দুই ভাই চার বোনের মধ্যে আহমদ ছফা ছিলেন বাবা-মার দ্বিতীয় সন্তান।
আহমদ ছফার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ গাছবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে নিজের গ্রামের নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম নাজিরহাট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ; একই বৎসরে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে। ১৯৬৭খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে প্রাইভেটে পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
আহমদ ছফার প্রথম গ্রন্থ একটি উপন্যাস- সূর্য তুমি সাথী। প্রকাশিত হয় এ সালেই। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে এমএ পরীক্ষা দেয়ার আগেই বাংলা একাডেমীর পিএইচডি গবেষণা বৃত্তির জন্য আবেদন করেন এবং তিন বছরের ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য মনোনীত হন। গবেষণার বিষয় ছিল ‘১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার মধ্যবিত্তশ্রেণীর উদ্ভব, বিকাশ, এবং বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার প্রভাব’। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে পিএইচডি অভিসন্দর্ভের জন্য জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সান্নিধ্যে আসেন। দীর্ঘকাল তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। মহাকবি গ্যোতের ফাউস্ট অনুবাদ শুরু করেন এ সালেই। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রাইভেটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পরীক্ষা দেন। মৌখিক পরীক্ষা হয় একুশে মার্চ।
পিএইচডি সম্পন্ন করা পরে আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ছাত্রাবস্থায় সুধাংশু বিমল দত্তের মাধ্যমে কৃষক সমিতি-ন্যাপ বা তৎকালীন গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন। মাস্টারদা সূর্যসেনের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইন উপড়ে ফেলেন। পরে গ্রেপ্তার এড়াতে কিছুকাল পার্বত্য চট্টগ্রামে আত্মগোপন করেন। ১৯৭১ সালে ‘লেখক সংগ্রাম শিবির’ গঠন ও এর বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশ নেন। সাতই মার্চ ‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা’ হিসেবে প্রতিরোধ প্রকাশ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম গ্রন্থ হিসেবে মুক্তধারা থেকে প্রকাশ পায় তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থ “ জাগ্রত বাংলাদেশ”। প্রকাশকাল শ্রাবণ ১৩৭৮ বা জুলাই ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এপ্রিল মাসে তিনি কলকাতা চলে যান। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সেখান থেকে দাবানল নামের পত্রিকা সম্পাদনা করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশে ফিরে লেখালেখি করতে থাকেন। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক গণকণ্ঠ ধারাবাহিকভাবে ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ রচনা প্রকাশ করেন। এর কারণে তৎকালীন সরকারের রোষে পড়তে হয় তাঁকে। ১৯৭৯ সালে ‘সিপাহী বিদ্রোহের ইতিহাস’ গ্রন্থ প্রকাশ পায়। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন মোস্তানের সহায়তায় কাঁটাবন বস্তিতে ‘শিল্পী সুলতান কর্ম ও শিক্ষাকেন্দ্র’ চালু করেন। এ সালেই ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। বাংলা একাডেমী থেকে বাঙালি মুসলমানের মন প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশ পায় ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে।
পরে ১৯৮৬-তে জার্মান ভাষার ওপর গ্যোটে ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ডিগ্রিও লাভ করেন তিনি, যে জ্ঞান তাঁকে পরবর্তী সময়ে গ্যাটের অমর সাহিত্যকর্ম ফাউস্ট অনুবাদে সাহস জুগিয়েছিল। মুক্তধারা থেকে ফাউস্টের অনুবাদ বের হয় এ সালেই। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস অলাতচক্র। স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতির গোপন-রহস্য, শৌর্য মৃত্যু ও কপটতার গীতিকা এই উপন্যাস। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ এবং অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী প্রকাশিত হয়। ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’ পূর্বে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রাণপূর্ণিমার চান নামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল। জাপানী ভাষায় পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণউপন্যাসের অনুবাদ প্রকাশ পায় ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে । পুষ্প, বৃক্ষ, বিহঙ্গ ঘুরে সুশীল সমাজের ব্যবচ্ছেদ হয়েছে তাঁর এই উপন্যাসে। বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ও সমসাময়িক কালের বিশিষ্ট পণ্ডিত অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের প্রসঙ্গে রচিত যদ্যপি আমার গুরু প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
২০০১ সালের আহমদ ছফা রচনাবলি দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশ পায়। তাঁর জীবদ্দশায় আহমদ ছফা রচনাবলি প্রকাশ শুরু হয়। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের আটাশে জুলাই অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবি গোরস্থানে তাঁর দাফন হয়। তাঁকে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয় । তিনি জীবদ্ধশায় প্রথাবিরোধী, নিমোর্হ, অকপট দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য বুদ্ধিজীবি মহলে বিশেষ আলোচিত ছিলেন। তিনি লেখক শিবির পুরস্কার ও বাংলা একাডেমী কর্তৃক সাদত আলী আখন্দ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তাঁর লেখায় বাংলাদেশী জাতিসত্তার পরিচয় নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। গল্প , গান , উপন্যাস , কবিতা , প্রবন্ধ , অনুবাদ ,ইতিহাস , ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তিরিশটির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। জীবিত থাকাকালীন আহমদ ছফা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কলাম লেখা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর রচনাবলীর মধ্যে  :
প্রবন্ধ - জাগ্রত বাংলাদেশ, বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস, বাংলা ভাষা : রাজনীতির আলোকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা, বাঙালি মুসলমানের মন, শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য প্রবন্ধ, Aspect of Social Harmony in Bangla Culture and Peace Song, রাজনীতির লেখা, আনুপূর্বিক তসলিমা ও অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ, নিকট ও দূরের প্রসঙ্গ, সঙ্কটের নানা চেহারা, সাম্প্রতিক বিবেচনা: বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস, শরবর্ষের ফেরারী: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শান্তিচুক্তি ও নির্বাচিত প্রবন্ধ, বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র, উপলক্ষের লেখা, আমার কথা ও অন্যান্য প্রবন্ধ, সেইসব লেখা। 
অনুবাদ - তানিয়া (মূল: পি. লিডভ), সংশয়ী রচনা: বার্টাণ্ড রাসেল, ফাউস্ট (মূল: ইয়োহান ভোলফ্‌ গাঙ ফন গ্যোতে)।
কবিতা - জল্লাদ সময়, দুঃখের দিনের দোহা, একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা, লেনিন ঘুমোবে এবার।
উপন্যাস - সূর্য তুমি সাথী, ওংকার, একজন আলী কেনানের উত্থান-পতন, মরণবিলাস, অলাতচক্র, গাভী বিত্তান্ত, অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী, পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ।
গল্পসংগ্রহ - নিহত নক্ষত্র।
ইতিহাসগ্রন্থ - সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস।
সৃজনশীল জীবনী - যদ্যপি আমার গুরু।
কিশোর গল্প - দোলো আমার কনকচাঁপা।
শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ - গো-হাকিম।
******************

*** ১৮৫৫ সালের এই দিনে - অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসক এবং শোষক জমিদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে সান্তালদের গণ আন্দোলন শুরু হয়েছিল । দামিন-ই-কো বা সাঁওতাল পরগানা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জেগে উঠেছিল (চিত্তপ্রসাদের তুলিতে সাঁওতাল পরগানা মুর্শিদাবাদ আর বিহারের ভাগলপুরের মাঝখানের অঞ্চল)। ১৮৫৫ সালের এদিন সিধুঁ-কানহু নামক দুই সাঁওতাল সহোদর জীবন দিয়ে গড়ে তোলেন সাঁওতাল বিদ্রোহ, যা ইতিহাসে ব্রিটিশ রাজের সিংহাসন-কাঁপানো ‘সান্তাল হুল’ নামে পরিচিত। এ জন্য এ দিবসটিকে সাঁওতাল বিদ্রোহী দিবস হিসাবে পরিগণিত করা হয় । ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন এ যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়।
সাওতাঁলরা তীর-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলেও ইংরেজ বাহিনীর হাতে ছিলো বন্দুক ও কামান। তারা ঘোড়া ও হাতি যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা শাহাদত বরণ করেন। যুদ্ধে সিদ-কানহু-চান্দ ও ভাইরব পর্যায়ক্রমে নিহত হলে যুদ্ধ শেষ হয় ও বিদ্রোহের পরিসমাপ্তি ঘটে। সাঁওতাল বিদ্রোহের লেলিহান শিখা বৃটিশ সরকারের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
ইতিহাসবিদদের মতে সাঁওতাল জাতির ইতিহাসে সিধো-কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল যুদ্ধই ছিলো সর্বাধিক বৃহত্তম এবং গৌরবের বিষয়। তাদের এই বিদ্রোহই ভারতবর্ষে স্বাধীনতার বীজ বপন করে গিয়েছিল। এই যুদ্ধের ফলাফল হলো এই যে, ইংরেজ সরকার সাঁওতালদের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের ব্যবস্থা করলেন। ম্যাজিট্রেট এডন সাহেব সাঁওতালদের আবেদন শুনলেন। যুদ্ধের পরে সাঁওতালদের সমস্যা বিবেচনা করে আদিবাসী সাঁওতালদের জন্য একটি জেলা বরাদ্দ করা হলো। এই জেলার নাম হলো ডুমকা। এটাই সাঁওতাল পরগনা নামে পরিচিত।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাঁওতালরা সরাসরি সম্মুখ সমরে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বাধীন দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও রয়েছে তাঁদের সক্রিয় অবদান। আদিবাসীরা সহজ সরল জাতি। তারা দিনে আনে দিনে খায়। ইতিহাস আর ঐতিহ্য নিয়ে সময় ব্যয় করার সময় মোটেও তাদের নেই। তাই সাস্তাল হুলের মর্মকথা আজও তারা জানে না।
আদিবাসীরা লড়াকু জাতী। জীবণ সংগ্রামই তাদের চলার পথের পাথেয়। তাই আর থেমে থাকা নয়। সান্তাল হুলের মাধ্যমে ভারতে বসবাসরত আদিবাসীরা স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ২৫ লক্ষাধিক আদিবাসীকে তাদের অস্তিত্বের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। আজ থেকে ১৫৬ বছর আগে যে কারণে সিদ-কানহুকে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে হয়েছিল সেই একই কারণে আজো বাংলাদেশের আদিবাসীদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে।
আজ সান্তাল হুলের দিবস। সান্তাল বর্তমানে সাঁওতাল নামে পরিচিত। 'হুল' আদিবাসী সান্তাল ভাষার শব্দ। এর বাংলা আভিধানিক অর্থ হলো বিদ্রোহ বা সংগ্রাম বা যুদ্ধ। আজ থেকে ১৫৬ বছর আগে সান্তালরা যুদ্ধ করেছিল তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। তারা এ যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ইংরেজদের শাসন-শোষণ, সুদখোর, মহাজন ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এ বিদ্রোহের মহানায়ক চার ভাই সিদ-কানহু-চান্দ ও ভাইরোকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে কোন উদ্যোগ না থাকলেও বিভিন্ন বে-সরকারী সংগঠন ও আদিবাসী নেতৃবৃন্দ আজ থেকে শুরু করবে কয়েকদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী।
এ যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল বৃটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার, নীপিড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব সান্তাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। সান্তাল হুলের ইতিহাস হতে জানা যায় দামিন-ই কোহ ছিল সাঁওতালদের নিজস্ব গ্রাম, নিজস্ব দেশ। বহু কষ্ট করে জঙ্গল কেটে বন সাফ করে তারা তাদের জনপদ গড়ে তুলেছিল। অতীতে যে মাটিতে কোন মানুষের পা পড়েনি, সে মাটিকে তারা বাসযোগ্য করে গড়ে তুলেছিল আর সে মাটিতে ফলিয়েছিল ধান, ভুট্টা, নানা ধরণের সব্জি আর সোনালী ফসল। সুখে ছিল তারা দামিন-ই কোহতে। নিজেদের আলাদা একটি জগত তৈরী করেছিল তারা। সে জগতে কোন মহাজন, দালাল, জমিদার ছিলনা। কেউ ঋণী ছিলনা তখন।
কিন্ত তাদের এ শান্তির জনপদ কিছুদিন পর শান্তিতে থাকতে পারেনি । বণিকের দল ছিনিয়ে নেয় তাদের শান্তির সেই জনপদ । একে একে তাদের সকল অধিকার যখন এইসব বণিকের দল কেড়ে নিতে থাকে , তখন তাদের মনে জেগে উঠে বিদ্রোহের দাবানল।
নিরীহ ও শান্তি প্রিয় সান্তাল আদিবাসিরা ভারত বর্ষে জেগে উঠেছিল প্রতিবাদের দাবানল বুকে নিয়ে। বর্তমান সাঁওতালদের দেখে অনুমান করাই দুঃসাধ্য যে এ সান্তালরা একদিন ইংরেজ শাসকদের কঠিন বুকে কাপন ধরিয়ে দিয়েছিল । ক্রমাগত শোষন, বঞ্চানা, নির্যাতন, দাসত্ব এবং নারীদের অবমানোনা যখন ধৈর্যের বাধ ভেঙে দেয় তখন সাঁওতাল বিদ্রোহী দিবসে বিশেষ র‌্যালি এবং সাঁওতাল কৃষ্টিতে মহিলাদের নৃত্যের একাংশ শান্তিপ্রিয় সান্তালদের মধ্যে ক্ষোভের দাবানল জ্বলে উঠে এবং প্রতিবাদের ঝড় উঠে ।
সাঁওতালরা পূর্বভারত ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির একটি। তারা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাগোষ্ঠির অন্তর্গত একটি ভাষা সাঁওতালী ভাষায় কথা বলে । সাঁওতালরা দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বাস করে। দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট , ফুলবাড়ি, চিরিরবন্দর , কাহারোল এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জে সাঁওতালরা অধিক সংখ্যায় বাস করে। রাজশাহী এবং বগুড়া অঞ্চলে কিছু সংখ্যক সাঁওতাল আছে। প্রাচনিকাল থেকেই সাঁওতালরা এদেশে বসবাস করে আসছে। এরা মোট ১২ টি গোত্রে বিভক্ত সাঁওতালী ভাষায় এ গোত্র গুলো ‘পারিস‘ নামে অভিহিত যেমন - হাঁসদা, সরেন,টুডু, কিসকু, র্মুমু, মার্ড়ী, বাস্কে, ইত্যাদি ।
সাঁওতালরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালো বাসে। সাঁওতাল নারীরা খোপায় ফুল গুজতে ভালোবাসে। ভাত সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য। মাছ. কাঁকড়া , শুকর, মোরগ, মুরগি, বন জঙগলের পশু পাখি ও খরগোস গুইসাপ , ইঁদুর বিইজির মাংস এদের খুবই প্রিয় খাবার ।সাঁওতালরা কৃষিকাজের যন্তপাতি নিজেরা তৈরি করে। শিকার করার ব্যাপারে এদের উৎসাহ খুব বেশি। সা৭ওতালরা খুব আনন্দ প্রিয় মানুষ । বিভিন্ন পূজার্পাবণ ও সামাজিক উৎসবে এরা নাচ গানে মেতে ওঠে । এরা নিজস্ব সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলে । এদের জীবন যাপন সহজ ও সরল । শিল্পকলার প্রতিও এদের আগ্রহ রয়েছে। এরা তথা উপজাতিরাও বাংলাদেশের নাগরিক। তাই তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও আচর আচরণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাদের দিকে বিশেষ দষ্টি নয় প্রত্যেক নাগরিক ও নাগরিক অধিকারের দিকে যেভাবে দৃষ্টি দেয়া হয় সেভাবেই এদের দিকে দৃষ্টি দিলে গড়ে উঠবে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক। থাকবেনা নাগরিক ভেদাভেদ।

***********************************
০১। ২০১১ সালের এইদিনে - বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়। কমিউনিস্ট মতাদর্শের সংসদ সদস্যগণ দোদুল্যমান অবস্থার দোলাচলে অবশেষে চাপে পড়ে এ সংশোধনী পাশে ভোট দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে, এই সফল ভোট পর্ব সমাধা করেছিলেন। যিনি এই আইনের রচয়িতা, তথা মাননীয় আইনমন্ত্রী পক্ষে-বিপক্ষে কোথাও ভোট না দিয়ে, নীরবে ভোট পর্ব পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বহাল করার জন্য স্পীকার প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদকে বহাল করতে পারার জন্য, সর্ব প্রথমেই আল্লাহর শোকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরানের ২৬ নং আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে উপদেশও দিয়েছলেন এদিন।এ সংশোধনীর মাধ্যমেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। নারী অধিকার আইন রূপে কোরআন বিরোধী আইনের প্রবর্তন করা হয় ।
০২। ২০১১ সালের এইদিনে - দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আবেদ খান কালের কণ্ঠ থেকে পদত্যাগ করেন ।
০৩। ২০০৯ সালের এইদিনে - সমাপ্ত হয়েছে গ্রামীণ মহিলা উন্নয়ন প্রকল্প । প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গৃহীত কার্যক্রম সমূহের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারী নীতি, আদর্শ, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জুলাই ২০০৪ সাল থেকে জুন ২০০৯ মেয়াদে ১০১৭.৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয় সম্বলিত একটি প্রকল্প হিসেবে গ্রামীণ মহিলা উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ দুঃস্থ ও বেকার মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন কৃষি ও অকৃষি ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ শেষে আয়বর্ধক কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে আত্বকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের সংস্থান রাখা হয়েছিল। ১৩০টি উপজেলায় প্রকল্পের কর্মসূচীর আওতায় প্রকল্প মেয়াদকালে উপরোক্ত বিষয়ে জুন/২০০৯ পর্যন্ত ৫৪৬০০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং ৩২৪৭ জন মহিলাকে ২১৫.৭৪ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছিল।
০৪। ২০০৮ সালের এইদিনে - র‌্যাব সাইকি ভবনের মালিক পীরজাদা, মহাগুরু, জ্যোতিষ সম্রাট আর ভণ্ড বাবা ড. জীবন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে । জীবনের আখড়াসাইকি ভবন থেকে উদ্ধার করা হয় নানা ধরনের গোলক, বিভিন্ন রঙের পাথর, ছদ্মবেশ ধরার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের আলখাল্লা, মাদকদ্রব্য। সেই সঙ্গে জীবন চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা হয় অর্ধশতাধিক পর্নো ভিডিও। যেগুলোতে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে যৌনকাজে লিপ্ত দেখা যায় জীবন চৌধুরীকে। পরে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জীবন স্বীকার করে, যেসব নারীর বাচ্চা হয় না বা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসতো তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন তিনি। এতে অনেকে গর্ভবতী হয়ে যেতো।
০৫। ২০০৪ সালের এইদিনে - গণপূর্ত অধিদপ্তর মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। এতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৩ হাজার টাকা । বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিশেষ করে মুসলিম সাহিত্যিকদের প্রথম এবং প্রধান প্রাণপুরুষ মীর মশাররফ হোসেনের কবর সংলগ্ন ভূমিতে (রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার অন্তর্গত পদমদী গ্রামে) তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন ও কর্মের উপর গবেষণা পরিচালনার সুযোগ সুবিধাসহ স্মৃতিকেন্দ্র হিসাবে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৭ সালের ৩০শে অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনের প্রি-একনেক সভায় প্রকল্প সারপত্র অনুমোদিত হয়। পরবর্তীকালে ২০০০ সালের ২১শে মার্চ প্রকল্প ছক অনুমোদিত হয়। ১৯শে এপ্রিল ২০০১ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের জন্য ২ (দুই) পর্যায়ে সর্বমোট ১.৮৪ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
০৬। ২০০২ সালের এইদিনে - লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই পাটকলটি বন্ধ করে দেয় জোট সরকার৷ মিল বন্ধের ফলে ৩৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন৷ ৩শ' কোটি টাকা খরচ করলে মিলটি পুরো মাত্রায় উৎপাদনে যেতে পারত বলে বিভিন্ন মহলের ধারণা ছিল৷
০৭। ২০০০ সালের এইদিনে - সমাপ্য অর্থ বত্সরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয় ৷
০৮। ১৯৯৩ সালের এইদিনে - ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে লাখো জনতা অযোধ্যা অভিমুখে প্রতীকি লংমার্চ শুরু করেন।
০৯। ১৯৯১ সালের এ দিনে - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটে। ১৯৪৮ সাল থেকে দেশটির শতকরা মাত্র ২০ ভাগ শেতাঙ্গ সেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতাসহ অধিকাংশ সুযোগ সুবিধা শেতাঙ্গদের জন্য কুক্ষিগত করে রেখেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন নেলসন ম্যান্ডেলা। এ জন্য তাকে ২৭ বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন।
১০। ১৯৭৯ সালের এই দিনে - সুদানের জেনারেল ওমর আল বাশীর অভ্যন্তরীন সংকটের সম্মুখীন সুদানের সাদেক আল মাহদীর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। অভ্যুত্থানের পর তিনি হাসান আল তুরাবীর আদর্শিক নেতৃত্বের আওতায় সুদান জাতীয় কংগ্রেস দল গঠন করেন এবং জেনারেল বাশীর নিজের এ দলের প্রধান হন। বাশীর সুদানের প্রেসিডেন্ট হবার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হয়ে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করেন। ফলে মার্কিন সরকার বাশীরের শত্রুতে পরিনত হয়। মার্কিন সরকার তেল সমৃদ্ধ সুদানের বিদ্রোহীদের মদদ দিতে থাকে এবং ১৯৯৭ সালের আগষ্ট মাসে সুদানে মার্কিন ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হয়। কিন্তু এতসব বাধা সত্ত্বেও ওমর আল বাশীর অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশের সাথে এবং নিজ দেশের অভ্যন্তরে তার বিরোধীদের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হন।
১১। ১৯৭৮ সালের এইদিনে - পেরুর লিমায় জন্ম নেন ছোটবেলা থেকে রাজনীতির মাঠে এবং অসংখ্য তরুণের মনে ঝড় তুলা লুসিয়ানা লেওন লুসি।
১২। ১৯৭৪ সালের এইদিনে – মার্টিন লুথার কিং এর মা এ্যালবার্ট কিং আততায়ীর হাতে নিহত হন।
১৩। ১৯৭৪ সালের এইদিনে - বিশিষ্ট রাজনীতিক ভাষাসৈনিক জাতীয় লীগ প্রধান জনাব অলি আহাদ বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক হন।
১৪। ১৯৭৩ সালের এইদিনে - এবং ১লা জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সমাবেশে বাংলাদেশ সাংবাদিক ফেডারেশনের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বা বিএফইউজে রাখা হয়। বাবু নির্মল সেন বিএফইউজের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৫। ১৯৭১ সালের এইদিনে - 'নিউইয়র্ক টাইমস'- এর প্রতিনিধি সিডনি শ্যানবার্গকে ঢাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৬। ১৯৭১ সালের এইদিনে - মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে নীলমনিগঞ্জ, হালসা ও আলমডাঙ্গা রেল লাইন বিষ্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দিয়ে পাকসেনাদের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
১৭। ১৯৬৯ সালের এইদিনে - নাইজেরীয় সরকার বায়াফ্রায় পাঠানো রেডক্রসের সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করে দেন।
১৮। ১৯৬২ সালের এইদিনে – বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমীলা নজরুল সুদীর্ঘ রোগ ভোগের পর ইহলোক ত্যাগ করেন।
১৯। ১৯৬০ সালের এ দিনে - কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বা জায়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে। পেট্রিস লুমুম্বা দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। এর আগে কঙ্গো ছিল বেলজিয়ামের উপনিবেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পেট্রিস লুমুম্বার নেতৃত্বে কঙ্গোর স্বাধীনতা সংগ্রাম জোরদার হয়ে ওঠে এবং দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের পর বেলজিয়ামের মদদে কঙ্গোর বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহ দেখা দেয়। অন্যদিকে উপনিবেশবাদীদের দোসর মুসা চোম্বার সাথে লুমুম্বার সংঘাত দেশটির সংকটকে তীব্রতর কোরে তোলে। এ অবস্থায় বিজাতীয়দের অনুচর গোষ্ঠী পেট্রিস লুমুম্বকে হত্যা করায় কঙ্গোর পরনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়। ১৯৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট জেনারেল মোবোতো এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কঙ্গোর ক্ষমতা দখল করেন এবং তিনি জনগণের ওপর ব্যাপক দমন পীড়ন চালান। ১৯৭০ সালে কঙ্গো ডেমোক্রেটিক প্রজাতন্ত্রের নাম পরিবর্তন করে দেশটির নাম রাখা হয় জায়ার প্রজাতন্ত্র। কিন্তু ১৯৯৭ সালে জেনারেল মোবোতোর পতন ঘটলে দেশটির পুরনো নাম পুনর্বহাল করা হয়। আফ্রিকা মহাদেশের মাঝামাঝি অঞ্চলে অবস্থিত কঙ্গোর আয়তন ২৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। জাম্বিয়া, এঙ্গোলা, তাঞ্জানিয়া, কেন্দ্রীয় আফ্রিকা, সুদান, উগান্ডা, বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডা কঙ্গোর প্রতিবেশী দেশ।
২০। ১৯৫৭ সালের এইদিনে - আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক প্রধান, মাওলানা ভাসানী দলের সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন। কারণ ছিল এইচ এস সোহরাওয়ার্দীর পশ্চিমপন্থী নীতি, এর মধ্যে ছিল সুয়েজ সমস্যার ব্যাপারে 'সাম্রাজ্যবাদীদের' প্রতি তার সমর্থন, যা ছিল দলের নির্বাচনী ইশতেহারের পরিপন্থী।
২১। ১৯৪৫ সালের সালের এইদিনে - আমেরিকান সৈন্য কর্তৃক লুদুইগবারগ শহর থেকে গ্রেপ্তার এবং ১৯৪৭ সালের এইদিনে যাবজ্জীবন জেল হয় বিকৃত মস্তিস্কের পৃথিবীর এক কুখ্যাত মহিলা “Die Hexe von Buchenwald” বা Witch of Buchenwald বা Bitch of Buchenwald (জন্ম: ১৯০৬; মৃত্যু: ১৯৬৭ )। যার আসল নাম Ilse Koch। সে ছিল Karl Koch (commandant of the concentration camps Buchenwald from 1937 to 1941, and Majdanek from 1941 to 1943) এর স্ত্রী। স্বামীর ক্ষমতা ছাড়াও সে নিজেও ছিল ক্যাম্পের সুপারভাইজার। সেই সুবাদে সে বন্দীদের মধ্য থেকে যাদের শরীরে ট্যাটু আঁকা থাকত তাদের আর যাদের চামড়া সুন্দর তাদের আলাদা করে রাখত। তারপর যাদের শরীরে ট্যাটু ছিল তাদের হত্যা করে ট্যাটুটি চামড়া সহ কেটে সংরক্ষণ করত, সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও সে সংগ্রহ করত। তবে তার সবথেকে প্রিয় শখ ছিল সুন্দর চামড়াওয়ালা বন্দীদের হত্যা করে তাদের শরীরের চামড়া দিয়ে কুশন কভার, সাইড ল্যম্প, বালিশের কভার সহ অনন্যা জিনিস বানানো। কুখ্যাত এই মহিলাকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় ১৯৪৩ সালের ২৪শে অগাস্ট। কিন্তু প্রমানের অভাবে ছাড়া পায় সে , কিন্তু তার স্বামীর কারাদণ্ড হ্য়। জেল থেকে বেড়িয়ে সে চলে যায় লুদুইগবারগ শহরে। দ্বিতিয়বার ১৯৪৫ সালের এইদিনে গ্রেফতারের পর শুরু হয় তার বিচার। প্রমান হয় তার কুকীর্তির ইতিহাস। পাওয়া যায় মানুষের চামড়ার তৈরি তার সেই সব জিনিস। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই বিকৃত মস্তিস্কের মহিলা জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়।
২২। ১৯৩৪ সালের এই দিনে – হিটলার রাতে (নাইট অব দ্য লং নাইভস্‌ ) এসএ-র চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যার নির্দেশ দেন। তাঁর ওই নির্দেশ পালন করে স্কুৎসস্তাফেল (সংক্ষেপে এসএস) বা প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ হত্যা-অভিযানের সাঙ্কেতিক নাম ছিল ‘হামিংবার্ড’। স্টারমাবটেইলিং (সংক্ষেপে এসএ) বা ঝটিকা বাহিনী ছিল গুণ্ডাপাণ্ডাদের দল। তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় ওঠেন হিটলার। তারা হামলা চালাতো বিরোধীদের ওপর, আর হামলা ঠেকাতো হিটলারের সভায়। ১৯৩৪ সালে নাগাদ তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১০ লাখেরও বেশি। হিটলার কেন চড়াও হয়েছিলেন এসএ-র ওপর তা এখনও এক বিস্ময় হয়ে আছে ইতিহাসবিদদের কাছে । ১৯৩৪ সালের এই দিনে জার্মানীর তৎকালীন চ্যান্সেলর এডলফ হিটলার নিজ দল ন্যাশনাল সোসিয়ালিস্ট পার্টি বা নাৎসী দলের মধ্যে এক শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে তার বিরোধী বহু নেতাকে নির্মূল করেন। এ দিনে তিনি নাৎসী দলের সামরিক শাখা বা দমন-পীড়ক বাহিনী তথা এস. এ'কে বিলুপ্ত করেন। হিটলার এই ঘটনার কয়েকমাস আগে কমিউনিস্টদের ওপর দমন অভিযান চালিয়েছিলেন। তিনি ১৯৩৪ সালে জার্মানীর ক্ষমতায় পৌঁছেন এবং নাৎসী দলে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নিজের আধিপত্যকামী তৎপরতা অব্যাহত রাখেন।
২৩। ১৯২০ সালের এই দিনে - আয়াতুল্লাহ মীর্যা মোঃ ত্বাক্বী শিরাজীর নেতৃত্বে ইরাকের জনগণ বৃটিশ দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্রশক্তিগুলোর মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ওসমানীয় সাম্রাজ্যকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা হয়। এ সময় ইরাক, জর্দান ও ফিলিস্তিনের অভিভাবকত্ব ন্যস্ত করা হয় বৃটেনের ওপর। উপনিবেশবাদী বৃটিশরা এই সুযোগে প্রকাশ্যেই ইরাকের প্রাকৃতিক সম্পদসহ অন্যান্য সম্পদ লুট করতে থাকে। আয়াতুল্লাহ মীর্যা মোঃ ত্বাক্বী শিরাজী দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদের ফতোয়া দেয়ার পর গোটা ইরাকে বিপ্লব ও সশস্ত্র বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পাশ্চাত্যের অন্যান্য উপনিবেশবাদী সরকার বৃটেনকে সহায়তা দেয়ায় এবং তাদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের ফলে এ বিপ্লব তার লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারে নি।
২৪। ১৯১৬ সালের এইদিনে - রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২৫। ১৯০৮ সালের এইদিনে - রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বৈকাল হ্রদের উত্তর-পশ্চিমের দুর্গম পার্বত্য এলাকা টাঙ্গুস্কায় ঘটেছিল এক প্রচন্ড শক্তির বিস্ফোরন। এটি ছিল হাইড্রোজেন বোমা আবিস্কারের আগ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসের বৃহত্তম বিস্ফোরন । সে বিস্ফোরনের শক্তি ছিল হিরোশিমার পারমানবিক বোমার চেয়ে ১০০০ গুন বেশী শক্তি শালী। তখন গরমকাল, সকাল বেলা। সুর্য্যের মত উজ্জ্বল এবং উত্তপ্ত নীল আগুনের কুন্ড নেমে এল আকাশ থেকে। ৭-১৭ মিনিটে আঘাত হানল সে আগুন। এর প্রচন্ড শব্দ মনে হল লক্ষ কোটি কামান যেন একসাথে গর্জে উঠল, ৫০০ মাইল দুরেও শোনা গেল সে শব্দ।প্রচন্ড শব্দে চিরতরে শ্রবনশক্তি হারাল পশু চারনকারীরা। শুন্যে তুলে মাটির উপর আছড়ে ফেলল মানুষজন গবাদিপশুদেরকে। বিস্ফোরনে পুড়ে যাওয়ার পর শুরু হল কালো ছাইয়ের বৃস্টি, চলল কয়েকদিন। ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মাইল দূরে কানস্ক ( Kansk) শহরে চলন্ত ট্রেন কেপে উঠে থেমে গেল। ১০,০০০ কিলোমিটার দূরে লন্ডনে বায়ুমন্ডলের চাপের তারতম্য ধরা পড়ল। পৃথিবীর উলটো দিকের ওয়াশিংটনের সিসমোগ্রাফ যন্ত্র জানান দিলো এই বিস্ফোরনের। ২১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে আনুমানিক ৮ কোটি গাছকে মাটির সাথে শুইয়ে দিয়েছিল এ বিস্ফোরন। এই বিস্ফোরনের মাত্রা ছিল ১০-১৫ মেগাটন টি,এন,টি’র সমান শক্তির। পারমানবিক বোমার আগে সবচে’ শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল টি,এন,টি বা ট্রাই,নাইট্রো টলুয়েন(TNT= Tri nitro toluene) আর মেগাটন সমান হল ১০ লক্ষ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ১কোটি ৫০ লক্ষ টন টি,এন,টি র সমান ছিল এর শক্তি। তাপমাত্রা উঠেছিল ৫০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এই বিস্ফোরন ছিল এ যাবৎ কালের সবচে বড় পারমানবিক বোমা রাশিয়ার “ জার বোম্বা”র তিনভাগের এক ভাগ সমান শক্তির।
২৬। ১৮৮৬ সালের এই দিনে - ন্যায়বান গভরমেন্ট দক্ষিণ সাহাবাজপুর পরগনা কোর্ট অব ওয়ার্ডসের শাষনাধীনে গ্রহণ করিয়া বাবু পিতাম্বর বন্ধ্যোপাধ্যায় মহায়শয়কে অস্থায়ী ম্যানেজার নির্ধারণ করিয়া দৌলতখায় প্রেরণ করে। দক্ষিণ সাহাবাজপুর পরগনা সাধারণত ২টি জমিদারিতে বিভক্ত। জমিদারির অন্তর্গত ১০৮টি তালুক, ২৪টি ওসত তালুক, ৪টি নিমওসত তালুক, ৩টি ইটমাম, ১৬১টি হাওলা, ২টি ওসত, ১৬টি নিমহাওলা ও ২টি ওসত হাওলা ছিল। ইলিশা নদীর উত্তর অংশ আজকের হিজলা মুলাদি এবং দক্ষিণ অংশে নতুন গড়ে ওঠা এই দ্বীপটিকে বলা হতো দক্ষিণ শাহবাজপুর। উনিশ শতকের প্রথমভাগে মেঘনার শাখা নদী ইলিশা ও তেতুলিয়া বৃহত্তর আকার ধারণ করে। ফলে ভয়ংকর কালাবাদুর নদী পাড়ি দিয়ে নৌকা পথে জেলা সদর দফতরের সাথে দক্ষিণ শাহবাজপুরের যোগাযোগ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বাকেরগঞ্জ হতে দক্ষিণ শাহবাজপুর (ভোলা) ও হাতিয়াকে নোয়াখালীর অর্ন্তভূক্ত করার। ১৮২২ সালের ২২ শে এপ্রিল জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দক্ষিণ শাহবাজপুরকে নোয়াখালীর অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করেন এবং ঐ বছর ৩রা জুলাই নোয়াখালীর জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেট এইচ পারকার দক্ষিণ শাহবাজপুরের দায়িত্ব বুঝে নেন। ১৮৪৫ সালে দক্ষিণ শাহবাজপুরকে মহকুমা করা হয়। তখন এই মহকুমা থানা ছিল মাত্র দুটি, ভোলা ও দৌলতখা। মহকুমা সদর দফতর দৌলতখায় অবস্থিত।
২৭। ১৮৫১ সালের এইদিনে – কবি এলিজাবেথ ব্যারেট ব্রাউনিং মৃত্যুবরণ করেন।
২৮। ১৭৫৭ সালের এই দিনে - নবাব সিরাজুদ্দৌলা স্বীয় পত্নী ও কন্যাসহ পালিয়ে যাবার সময় পথিমধ্যে রাজমহলে রাত কাটাতে গিয়ে ৩০শে জুন তিনি ধরা পড়েন। ২রা জুলাই রাতে সাধারণ বন্দীর মত শৃঙ্খলিত অবস্থায় সিরাজুদ্দৌলাকে নতুন নবাব মীরজাফরের সম্মুখে উপস্থিত করা হয়। ঐ রাতেই মীরজাফরের পুত্র মীরণের আদেশে মুহাম্মাদী বেগ তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বাংলার প্রাণপ্রিয় নবাব সিরাজুদ্দৌলা চিরবিদায় নেন।
২৯। ১৭২৭ নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ মৃত্যুবরণ করেন।
৩০। ৭১৩ ইমাম জয়নুল আবেদিন ইন্তেকাল করেন।
৩১। ৬৫৬ হযরত আলী (রাঃ) খেলাফত লাভ করেন।
=================