আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২

ইতিহাসে ২৮শে জুন


ইতিহাসে ২৮শে জুন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------



০১। ১৯৪০ সালের এইদিনে - বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত সওদাগর পরিবারে পিতা দুলা মিয়া সওদাগর ও মাতা সুফিয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান এই ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের লামারবাজার অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে থাকতেই তেরো বছর বয়সে বয়স্কাউটের জাতীয় সমাবেশ জাম্বুরিতে যোগদানের জন্য ১৯৫৩ সালে করাচি ভ্রমন করেন। বয়স্কাউট হিসেবে ১৯৫৫ সালে কানাডা ও ১৯৫৯ সালে ফিলিপাইন ও জাপান সফর করেন। ১৯৫৫তে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়ে “ দু’পাতা ’’ নামে একটা লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদনা শুরু করেন। এ সময় তিনি কলেজের “সম্মিলিত ছাত্র প্রগতি সংঘের’’ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। এরই মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের যাবতীয় শিল্পজাত দ্রব্যের জন্য আবশ্যক প্যাকেজিং সামগ্রির পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য ১৯৬৪ সালে একটি প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন যা প্যাকেজিং সামগ্রির চাহিদা মেটাতে অনেকটা সক্ষম হয় এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৬৫ সালের মাঝামাঝি উচ্চশিক্ষার জন্য ফুলব্রাইট বৃত্তি নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান এবং ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। আমেরিকায় থাকাকালীন তিনি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় ও মধ্য টেনেসি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতায় নিযুক্ত থাকেন। এবং ১৯৭০ সালে তিনি রাশান বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক ভিরা ফোরোস্টেনকোর সাথে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি আমেরিকায মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আত্মনিয়োগ করেন এবং অর্থ সংগ্রহ, আন্দোলন, প্রচারণা ও জনমত গঠনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। “বাংলাদেশ নাগরিক সমিতির’’সচিব ও দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষে প্রকাশিত সংকলন সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দেন। এক পর্যায়ে কমিশনের দায়িত্বে ইস্তফা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে চলে যান। ১৯৭৪ সালে সৃষ্ট বাংলাদেশের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের হাত ধরেই ড. ইউনূসের চিন্তা জগতে উন্মেষ ঘটে নতুন ভাবনার। ক্ষুধায়, আহামারীতে মানুষের এতো মৃত্যু দেখে ভীষণ বিব্রত তিনি উপায় খুঁজতে গিয়ে প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে বিনাচাষে পড়ে থাকা বিস্তীর্ণ আবাদযোগ্য জমিতে প্রয়োজনীয় ফসল ফলানোর উদ্যোগ হিসেবে “নবযুগ তেভাগা খামার আন্দোলন” শুরু করেন এবং এতে সুফলও পান। পরবর্তীতে শ্রমসম্বল দরিদ্র মানুষগুলোকে মহাজনী জোঁকের হাত থেকে উদ্ধার করার নিমিত্তে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে যে বোধোদয়টি তাঁর হলো - প্রচলিত নিয়মে যাদের অর্থ আছে, জামানত দেয়ার যোগ্যতা আছে তারাই ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন, যার নেই তিনি পাবেন না। তিনি এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন এবং সদম্ভে ঘোষণা করলেন, “ঋণ মানুষের মৌলিক অধিকার।’’ কিন্তু রাষ্ট্রের এখানে কিছুই করণীয় নাই জেনে এবার নিজেই উল্টো স্রোতের কাণ্ডারি হয়ে ওঠলেন। স্থানীয় জোবরা গ্রামের ৪২টি হতদরিদ্র পরিবারকে নিজের পকেট থেকে মাত্র ৮৫৬ টাকা দৈনিক কিস্তিতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করলেন। এর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৬ সালের আগষ্ট মাসে চট্টগ্রামের বুড়িশ্চর ইউনিয়নের এই জোবরা গ্রামেই একটি প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প হিসেবে এককালে বিশ্বখ্যাত হয়ে ওঠা এই গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের শুরু। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থনে প্রকল্পটি টাঙ্গাইলের সুরুয গ্রামে সম্প্রসারণ ঘটে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)-এর আর্থিক সহায়তায় ১৯৮২ সালে প্রকল্পটি ঢাকা, রংপুর এবং পটুয়াখালী জেলায় সম্প্রসারিত হয়। সাফল্যের সাথে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার প্রেক্ষিতে ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকল্পটিকে গ্রামীণ ব্যাংক নামকরণ করে একটি বিশেষায়িত ঋণদান প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ জারি করা হয় এবং একটি স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রায় পঁচিশটি বছর, সিকি শতাব্দি। ইতোমধ্যে ড. ইউনূস হয়ে ওঠলেন বিশ্বজয়ী ক্ষুদ্রঋণের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রায়োগিক অর্থনীতির রূপকার একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিলে যাঁকে একদিন অনেকেই ‘পাগল’ সম্বোধন করতেও দ্বিধা করেনি, তারাই চোখ কপালে তুলে হাঁ করে দেখতে লাগলো কীভাবে কালে কালে ঈর্ষণীয় সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠলো ড. ইউনূসের স্বীকৃতির ঝুলি। বিশ্বের সব সেরা স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জনে বাদ না পড়া ইউনূসের সত্তরেরও অধিকটি পুরস্কার ও এওয়ার্ডের সুদীর্ঘ তালিকার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারে এমন ব্যক্তি গিনেজ বুক অব রেকর্ডসেও আর কেউ নেই। ব্যক্তিগতভাবে মাত্র ৮৫৬ টাকা দিয়ে যে স্বপ্নের শুরু, তাই কালে কালে আজ জোবরা থেকে বিশ্ব জয় করে অসলোতে গিয়ে ছুঁয়েছে তার আলো। “দুনিয়ায় কেউ গরীব থাকবে না, গরীব না থাকাই মানুষের অধিকার’’- এই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রো ক্রেডিটের জনক হিসেবে বিশ্বস্বীকৃত। তাঁর হাত ধরেই ১৯৮০ সালের পর ডিকশনারিতে যোগ হয় “micro-cradit+’’ শব্দটি। বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি দরিদ্র মানুষ সহ বিশ্বের ১৩১ টি দেশের ১২ কোটিরও অধিক মানুষ তাদের ভাগ্যোন্নয়নে বর্তমানে এই ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় এসেছে। ড. ইউনূসের এ ক্ষুদ্রঋণ তত্ত্বের সাফল্য গাঁথাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ ২০০৫ সালকে “আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্রঋণ বর্ষ’’ হিসেবেও পালন করে। ১৩ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে পুরস্কার ঘোষণার প্রাক্কালে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ওলে ডানবোল্ট মিউস তাঁর সাইটেশনে বলেন -“নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। সেদিন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ক্যামব্রিজ প্রোগ্রাম ফর ইন্ডাস্ট্রির (সিপিআই) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা তালিকায়ও বিশ্বের ৫০ জন অগ্রণী চিন্তকের অন্যতম চিন্তক হিসেবে ঘোষণা করা হলো প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নাম। ( ডঃ ইউনুসের এ তথ্যগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি - টাইমস্ আই বেঙ্গলী’র কাছে )।

০২। ২০১১ সালের এইদিনে - ভিকারুননিসা নুন স্কুলের এক ছাত্রীর ওপর যৌন নিপীড়নের আসামী ও শিক্ষক নামধারী শিক্ষক সমাজের এক কলঙ্ক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঐ স্কুলের দশম শ্রেণীর ৪০ জন ছাত্রী অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করে।

০৩। ২০০৯ সালের এইদিনে - এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধানদের নিয়ে চারদিন ব্যাপী সম্মেলন ঢাকায় শুরু করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল আবদুল হাফিজ এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

০৪। ২০০৭ সালের এইদিনে - চট্টগ্রামে জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন।

০৫। ২০০৬ সালের এইদিনে - আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফুটবলার জিয়ানলুকা পেসোটো৷ তিনি ছিলেন ১৯৯৮ এর বিশ্বকাপের ফাইনালে ইটালির স্কোয়াডে৷ তবে এসময় তিনি কাজ করছিলেন জুভেন্টাসের টিম ম্যানেজার হিসেবে৷

০৬। ২০০২ সালের এইদিনে - কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার কাশিমপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে মোঃ শাহআলম তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে সেখানে তাঁকে পাওনা টাকা না দিয়ে হত্যা করা হয়।

০৭। ১৯৯৮ সালের এই দিনে - আরেকটি রেকর্ড গড়েন ড্যানিশ ফুটবলার এবে স্যান্ড৷ নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার মাত্র ১৬ সেকেন্ডে গোল করেন তিনি৷ একই দিনে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম গোল্ডেন গোল করেছিলেন ফ্রান্সের লরেন্ট ব্ল্যাঙ্ক৷ গোলটি হয়েছিল ১১৩ মিনিটে এবং সাথে সাথেই খেলা শেষ করার বাঁশি দিয়েছিলেন শ্রীলংকান রেফারি সামারাত্না বিক্রামাতুঙ্গে৷

০৮। ১৯৯৪ সালের এই দিনে - বিশ্বকাপের ফাইনালে পাঁচ গোল করার রেকর্ড গড়েন রুশ ফুটবলার ওলেগ স্যালেঙ্কো৷ ঐ ম্যাচে ক্যামেরুনকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল রাশিয়া৷ একই ম্যাচে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে একটি গোল করেন ক্যামেরুনের রজার মিলার৷ ঐ দিন তাঁর বয়স ছিল ৪২ বছর ৩৯ দিন৷

০৯। ১৯৯৩ সালের এইদিনে - ব্যাংক অব চায়না ইউরোপীয় বাজারে ফিরে আসে। এদিন ব্যাংক অব চায়নার ডেপুটি গভর্নর ইয়াং হুইছিউ লণ্ডনে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং গোষ্ঠীর সঙ্গে লণ্ডনের বাজারে ব্যাংক অব চায়নার ২০ কোটি মার্কিন ডলারের ইউরোপীয় বণ্ড ইস্যু করা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯৮৮ সালের পর থেকে ব্যাংক অব চায়না প্রথমবারের মতো ইউরোপের বাজারে ফিরে আসে।

১০। ১৯৯২ সালের এইদিনে - বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লাটভিয় দাবাড়ু মিখাইল তাল মৃত্যুবরণ করেন।

১১। ১৯৯২ সালের এইদিনে - চীনা বিজ্ঞানী ছিয়েন সানছিয়াং মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯২ সালের ২৮ জুন চীনের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী চীনের পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা , চীনের বিজ্ঞান একাডেমির একাডেমিশিয়ান, চীনের বিজ্ঞান সমিতির সাম্মানিক চেয়ারম্যান ছিয়েন সানছিয়াং রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

১২। ১৯৭৯ সালের এইদিনে - প্রাইড প্যারেড " ওরগুলো গে " নামে স্পেনের মাদ্রিদে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় । বর্তমানে এই উৎসব ইউরোপের বৃহত্তম প্রাইড প্যারেড। একাধিক বহুজাতিক সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও ট্রেড ইউনিয়ন এই প্যারেডে অর্থসাহায্য করে থাকে। ২০০৭ সালে ইউরোটাইড নামে ইউরোপিয়ান প্রাইড প্যারেড অনুষ্ঠিত হয় মাদ্রিদেই। ২,৫০০,০০০ মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন। এক সপ্তাহের মধ্যে ৩০০টির বেশি অনুষ্ঠানসূচি রাখা হয়। মাদ্রিদের গে ডিস্ট্রিক্ট চুয়েকা ইউরোপের বৃহত্তম গে ডিস্ট্রিক্ট। এই অঞ্চলটিই ছিল তাই উৎসবের কেন্দ্রভূমি। সেদেশের শহর, আঞ্চলিক ও জাতীয় সরকার এই উৎসবে সহায়তা করেন। এছাড়াও বার্সিলোনা, ভ্যালেনসিয়া ও সেভিল শহরেও স্থানীয় গৌরব পদযাত্রা আয়োজিত হয়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ২০০৬ সালে সাও পাওলো শহরেই বিশ্বের বৃহত্তম গৌরব পদযাত্রার আয়োজন করা হয় ; এই পদযাত্রায় অংশ নেন ২৫০০০০০ অংশগ্রহণকারী। গৌরব পদযাত্রা বা প্রাইড প্যারেড (ইংরেজি: Pride parades) নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী (এলজিবিটি) সংস্কৃতির উৎসব। অনেক সময় সমকামী বিবাহ সহ অন্যান্য আইনগত ইস্যুকে তুলে ধরার জন্যও এই জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অধিকাংশ গৌরব পদযাত্রাই বার্ষিক অনুষ্ঠান। আধুনিক এলজিবিটি অধিকার আন্দোলনের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা স্টোনওয়াল বিদ্রোহের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনেক গৌরব পদযাত্রার আয়োজন করা হয় জুন মাসে।

১৩। ১৯৭৮ সালের এইদিনে - পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের দেহভস্ম ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে সংরক্ষণ করা হয়।

১৪। ১৯৭৬ সালের এইদিনে - আমেরীকার বিমান বাহিনী ও কোস্টগার্ড একাডেমীতে প্রথম মহিলা ক্যাডেটদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।

১৫। ১৯৭৬ সালের এইদিনে - ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়।

১৬। ১৯৭১ সালের এই দিনে - এদেশে নিধনযজ্ঞের প্রধান হোতা ইয়াহিয়া আবারো তার মিথ্যা ভাষণ নিয়ে উপস্থিত হয় প্রচার মাধ্যমে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা না দিয়ে এদেশবাসীর উপর তখন লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় হানাদার দালালদের। সে তার ভাষণে ‘দেশ ও জাতির জন্যে কল্যাণকর পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে। এই পরিকল্পনা ছিল তাবেদার দালালদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের এবং গণহত্যার। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে সে তার ভাষণে বলে, ‘এসব মুষ্টিমেয় দুষ্কৃতকারীর হাতে নির্বাচনের ফলাফলকে নস্যাৎ হতে দেয়া যায় না।’ আর সেই উদ্দেশ্যে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সকল নির্বাচিত সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকে সে আখ্যায়িত করে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী, শঠ, বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে।এদেশের ছাত্র সমাজ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে অগ্রণী ও মুখ্য ভূমিকায়। আর তাই ঘাতকদের কাছে সবচেয়ে আতঙ্কের মানুষ ছিল সে সময়ের ছাত্রনেতারা। এজন্যে ২৮ জুন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্রনেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে তাদের অনুপস্থিতিতেই সামরিক কর্তৃপক্ষ ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। পাক-শাসকদের রোষ এতোই বেশি ছিল যে, তাদের দৃষ্টিতেও মূল ‘অপরাধ’ অর্থাৎ কথিত ‘দেশদ্রোহিতা’র বিচার না করে শুধুমাত্র আদালতে হাজির না হবার জন্যেই এ শাস্তি দেয়া হয়।

১৭। ১৯৭১ সালের এইদিনে - জেনারেল হামিদ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করে বিমান বাহিনীর সদস্যদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়ার নির্দেশ দেয়।

১৮। ১৯৭০ সালের এইদিনে - বিদ্রোহের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে গে লিবারেশন ফ্রন্ট গ্রিনউইচ ভিলেজের কর্নার উয়েইর থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্ক পর্যন্ত একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই সপ্তাহান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টের সমকামী অধিকার গোষ্ঠী লস এঞ্জেলসে একটি মিছিল ও সান ফ্রান্সিসকোতে একটি মিছিল ও 'গে-ইন'-এর আয়োজন করে। বর্ষপূর্তির ঠিক একদিন আগে, ১৯৭০ সালের ২৭ জুন,শনিবার, শিকাগো গে লিবারেশন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। এই মিছিলের আয়োজন করা হয় ওয়াশিংটন স্কোয়ার পার্ক ("বাগহাউস স্কোয়ার") থেকে ওয়াটার টাওয়ারের নিকটস্থ মিশিগান অ্যাভেনিউ ও শিকাগো অ্যাভেনিউয়ের সংযোগস্থল পর্যন্ত। তবে অংশগ্রহণকারীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে যান সিভিক সেন্টার (অধুনা রিচার্ড জে. ড্যালে) প্লাজা পর্যন্ত। দুটি কারণে এই দিনটিকে নির্বাচন করা হয়েছিল। প্রথমত, পূর্ববর্তী বছরের জুন মাসের শেষ শনিবারে স্টোনওয়ালের ঘটনাটি ঘটেছিল। দ্বিতীয়ত, উদ্যোক্তারা মিশিগান অ্যাভেনিউয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক কেনাকাটাকারীদের কাছে নিজেদের বক্তব্য পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। শিকাগোতে এরপর থেকে অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলের মিছিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে জুন মাসের শেষ রবিবার মিছিলের আয়োজন করা হতে থাকে। প্রথম বছরের “গৌরব পদযাত্রার” আয়োজন হয়েছিল ভাবগম্ভীর ও আমোদপ্রমোদমূলক পরিবেশের মধ্যে দিয়ে। সমকামী অধিকার আন্দোলনকারীদের মনে এই পদযাত্রা বিশেষ রেখাপাত করে। পরবর্তী বছরগুলির বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বার্ষিক পদযাত্রার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। নিউ ইয়র্ক ও আটলান্টা অঞ্চলে এই পদযাত্রাকে বলা হয় গে লিবারেশন মার্চ ও অনুষ্ঠানের দিনটি গে লিবারেশন ডে নামে পরিচিত ছিল। সান ফ্রান্সিসকো ও লস এঞ্জেলসের পদযাত্রা গে ফ্রিডম মার্চ ও অনুষ্ঠানের দিনটি গে ফ্রিডম ডে নামে চিহ্নিত হয়। অন্যান্য শহরে পদযাত্রা ও উৎসব শুরু হলে এই নামগুলি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৮০-এর দশকে সমকামী আন্দোলনে এক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। অপেক্ষাকৃত নরমপন্থী মনোভাবাপন্ন অধিকারকর্মীরা বিভিন্ন শহরে পদযাত্রা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে থাকেন। তাঁরা "গে লিবারেশন" বা "গে ফ্রিডম" জাতীয় শব্দ বর্জন করে "সমকামী গৌরব" বা "গে প্রাইড" শব্দটি গ্রহণ করেন।

১৯। ১৯৬৯ সালের এইদিনে - শনিবার অতি প্রত্যুষে নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী, রূপান্তরকামী ও জিজ্ঞাসু ব্যক্তিরা নিউ ইয়র্কের গ্রিনউইচ ভিলেজের স্টোনওয়াল ইনে পুলিশের আকস্মিক হানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। স্টোনওয়াল ইন ছিল একটি গে বার। এখানে বিভিন্ন ধরনের খরিদ্দারের আনাগোনা ছিল। তবে ক্রস-ড্রেসার, রূপান্তরকামী, মেয়েলি যুবক, যৌনকর্মী ও গৃহহীন যুবকদের মতো সমকামী সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কাছে এই বার ছিল বিশেষ জনপ্রিয়। মনে করা হয়, স্টোনওয়াল বিদ্রোহের মাধ্যমেই সূচিত হয় আধুনিক সমকামী অধিকার আন্দোলন। কারণ এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই আধুনিক ইতিহাসে এলজিবিটি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গ্রেফতারি প্রতিরোধ করে।

২০। ১৯৫৯ সালের এইদিনে - পানচানলামার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তুতি কমিটির দ্বিতীয় পূর্ণাংগ অধিবেশনে "সমগ্র তিব্বত অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সংস্কার চালানো সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত" গৃহীত হয়।

২১। ১৯৫৮ সালের এইদিনে - ৬-৩ গোলে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়েছিল ফ্রান্স৷ এটি ছিল বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা৷ এই দিনেই জাস্ট ফন্টাইন চারটি গোল করে বিশ্বকাপের ছয় ম্যাচে মোট ১৩ টি গোল করার রেকর্ড গড়েন৷ এই রেকর্ড ভাঙ্গেন ১৯৭৪ সালে জার্মান স্কোরার গেয়ার্ড ম্যুলার৷

২২। ১৯৫৭ সালের এইদিনে - কয়েকটি মুসলিম দেশের অর্থায়নে “The Islamic Center of Washington Dc" প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেন্টারটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডুইট ডি এইসেনহাওয়ার (Dwight D. Eisenhower) বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের অধিনে অন্যান্য ধর্মের ইমারাতের মতই এই কেন্দ্রটি, উপসনা করার এই জায়গাটিকেও স্বাগতম। তোমাদের নিজস্ব ধর্ম এবং নীতি অনুযায়ী উপসনা করা এবং নিজস্ব চার্চ (মসজিদ) থাকার অধিকারের ব্যাপারে আমেরিকানরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে যাবে।’’ এটিই ছিল মার্কিন যুক্টরাষ্টের ইতিহাসে প্রথম আনুষ্ঠানিক মসজিদ।

২৩। ১৯৫৪ সালের এইদিনে - জওহরলাল নেহেরু ও চৌ এন লাই ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল নীতি ঘোষণা করেন।

২৪। ১৯২৮ সালের এইদিনে - আয়ারল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী জন স্টুয়ার্ট বেল জন্মগ্রহণ করেন।

২৫। ১৯১৯ সালের এইদিনে - ভার্সাই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছিল। ভার্সাই চুক্তি একটি শান্তিচুক্তি , যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুদ্ধের মিত্রশক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহ এবং জার্মানির মধ্যে সম্পাদিত হয়।

২৬। ১৯১৪ সালের এইদিনে - বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানৎস ফার্ডিনান্ড এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত হন। সার্বিয়াকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে অস্ট্রিয়া। শুধু দায়ী করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, হত্যাকাণ্ডের মাত্র এক মাস পর ২৮ জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশটি। স্বাভাবিক কারণেই দু’দেশের বন্ধু দেশগুলোও এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইতিহাসে এই যুদ্ধই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি,তুরস্ক,বুলগেরিয়া। যাদের বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি। আর অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেনে, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও আমেরিকা। যাদের বলা হতো মিত্রশক্তি। এ যুদ্ধে জার্মানির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় শক্তি পরাজিত হয়।

২৭। ১৯০১ সালের এইদিনে - ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মণি সিং জন্মগ্রহণ করেন।

২৮। ১৮৯৪ সালের এইদিনে - ‘কল্লোল’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক গোকুলচন্দ্র নাগ জন্মগ্রহণ করেন।

২৯। ১৮৮৬ সালের এইদিনে - তেভাগা আন্দোলনের নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশ মৃত্যুবরণ করেন।

৩০। ১৮৬৭ সালের এইদিনে - নোবেলজয়ী (১৯৩৪) ইতালীয় সাহিত্যিক লুইজি পিরানদেল্লোর জন্মগ্রহণ করেন।

৩১। ১৮৪০ সালের এইদিনে - আফিম যুদ্ধ বাধে । আফিম যুদ্ধ ছিল ১৮৪০ সাল থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত চীনের ওপর ব্রিটেনের পরিচালিত এক আগ্রাসী যুদ্ধ। অষ্টাদশ শতাব্দির শেষ দিক থেকে ব্রিটেন চীনের কাছে প্রচুর আফিম রপ্তানি শুরু করে। অবিরাম ধারায় আমদানী করা আফিম শুধু যে চীনা জনগণের মনস্তাত্ত্বিক আর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তা নয়, উপরন্তু চীনের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ রূপা নিয়ে যাওয়া হয় , ফলে চীনের সরকার ও চীনা জনগণ গরীব হয়ে পড়ে । আফিমের মারাত্মক ক্ষতি উপলব্ধি করে চীনের বিচক্ষণ ব্যক্তিগণ এবং জনসাধারণ আফিম প্রতিরোধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে অপরাধমূলক আফিম ব্যবসা রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ শাসকরা প্রকাশ্যে চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আফিম যুদ্ধ চালায়।

৩২। ১৮৩৮ সালের এইদিনে - রানী ভিক্টোরিয়ার রাজ্যাভিষেক হয়।

৩৩। ১৮৩৬ সালের এইদিনে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি জেমস ম্যাডিসন জন্মগ্রহণ করেন।

৩৪। ১৭১২ সালের এইদিনে - বিশ্বখ্যাত ফরাসী দার্শনিক, বিখ্যাত লেখক ও চিন্তাবিদ জন জ্যাক রুসো সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জন্মগ্রহন করেন।

৩৫। ১৬৫৭ সালের এইদিনে - দারাশিকো অনূদিত ‘শির-ই-আকবর’ প্রকাশিত হয়।
==============

অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুনদের একটা স্বার্থক সংগ্রাম


অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুনদের একটা স্বার্থক সংগ্রাম
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
------------------------------------


অনেকে অনেক সংগঠন করে , কিন্তু এমন কোন কার্যকর সংগঠন দেখিনা যেগুলো প্রকৃতই মানবকল্যানে কর্ম করে ।

আমাদেশের দেশের তরুনদের দ্বারা বিদেশ থেকে শিল্পী এনে তাদের ভর্তি পেঠ ভরানোর জন্য সংগঠন সৃষ্টি করতে দেখা যায় , কিন্তু সেই তরুনদের দ্বারা দেশের সর্বহারা , অভুক্ত মানুষদের আশ্রয়দান ও খাদ্যের জোগানে কোন সংগঠন সৃষ্টি করতে দেখা যায়না , যদিও কিছু কিছু তরুনদের দেখা যায় এমন সংগঠন সৃষ্টি করতে , কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য হিসাবে দেখা যায় , কিছু ফটোসেসন আর নিজেদের বড়ত্ব প্রকাশের লক্ষ্যে থাকে তাদের ওসব কর্মসুচী , প্রকৃত ভাবে তরুনরা মানবকল্যানে কোন কাজে নামেনা ।
অথচ তরুনদের কাছেই সেই সুবর্ণ সময় অফুরন্ত , যা দিয়ে তারা মানবকল্যানে কাজ করতে পারে । আপনাদের মাঝে যারা তরুন , টগবগে রক্ত শরীরে ফুটন্ত পানির মত টগবগ করে ফুটছে , তাঁরা দেখিয়ে দিন এমন একটা সংগঠন সৃষ্টি করে , যে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে একমাত্র মানবকল্যান , পিছিয়ে পড়া মানুষদের সম্মুখে যাত্রায় সহযোগীতা করন ।
ধনীদের দ্বারা কোন কাজ হবে না , তাদের একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো সম্পদ আহরণ , সেই সম্পদ বিতরণ তাদের উদ্দেশ্য নয় । তাই লক্ষ লক্ষ ধনী দেশের অলিগলিতে বসবাস করলেও তাদের চোখে পড়েনা তাদের যাত্রাপথে পড়ে থাকা এইসব নিরন্ন - বুভুক্ষ - গৃহহীন মানুষদের । এদের দিকে যাদের চোখ পড়ে তারা হচ্ছে এদেরই মত মানুষদের ।
তাই ধনীদের আশা বাদ দিয়ে খালি হাতের তরুনদের মাধ্যমেই হতে পারে এইসব পথের মাঝে বসত করা বণিআদমদের কল্যান ।
যাঁদের নজর আজ এ দুটি শিশু দেখে থমকে গেছে - একমাত্র তারাই কিছু করতে পারে এদের জন্য , ধনীরা নয় । আজ যাঁরা এ শিশু দু'টি দেখে মনের মধ্যে ধাক্কা খেয়েছেন তারা অন্তত একটু চিন্তা করতে পারেন , তাদের নিজ নিজ সাথীদের নিয়ে এদের জন্য কি করা যায় ?
ধনীরা যতদিন এদের জন্য কিছু না করবে , ততদিন খালিহাতের তরুনরা ধনীদের কাছ থেকে ধন ছিনিয়ে নিয়ে এদের জন্য কিছু করতে পারে । এটা অন্যায় হবেনা , ধনীরা এদের জন্য কিছু না করে যে অন্যায় করে যাচ্ছে , খালি হাতের তরুনদের ধনীদের সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে এদের মাঝে বিতরণ করা হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুনদের একটা স্বার্থক সংগ্রাম ।
================

শৈশবের আষাঢ় মাস



শৈশবের আষাঢ় মাস
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------



টাপুর টুপুর বৃষ্টি ফোটায় নাচছে দেখ পুকুর পানি
তাই দেখে লুঙ্গী ফেলে বাচ্ছা দলের লাফলাফানী !
লম্ফ দিয়ে বাচ্ছারা সব পড়ছে দেখ পুকুর মাঝে ,
ন্যাংটা সে সব বাচ্ছা দেখে মেয়েরা সব মরে লাজে !


এমন মধুর সময় সে যে বৃষ্টিমাখা এই আষাঢ়ের দিন ,
বৃষ্টি ফোটায় ঝম্ ঝমা ঝম্ গান গেয়ে যায় ঘরের টিন !
বৃষ্টি ফোটা মাথায় নিয়ে মাছ ধরে যায় মানুষ সকল ,
বর্ষা দিনের আনন্দে হয় বাচ্ছাদের সব সেঁতু দখল ।


সেঁতু থেকে লাফিয়ে পড়ে আনন্দ পায় বাচ্ছা দলের সব ,
সেঁতুর নীচে গড়িয়ে পানি স্রোত বহে যায় যব !
কি মধুর শৈশবের সেই আষাঢ় মাসের বর্ষা দিন ,
খেলতাম সবে এমনি ভাবে সেই স্মৃতি আজও হয়নি মলিন !
=========================