আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

আমার আমিরে আমি হারিয়ে খুঁজি


আমার আমিরে আমি হারিয়ে খুঁজি
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

আমার আমিরে আমি হারিয়ে খুঁজি -
গিয়েছি শৈশবের বন্ধুদের কাছে ,
খুঁজেছি তারুণ্যের দূর্বার গতিতে ,
গিয়ে পড়েছি যৌবনের স্বপ্নীল রাজ্যে,
পাইনা খুঁজে কোথাও আমারে আমি !
ঘুরেছি বিত্তশালীর আলীশান বাড়ির আকাশের সীমানায়,
মিশেছি পথের পাশে পড়ে থাকা মানুষদের সাথে,
থেকেছি গরীব -ভুখাদের কুড়েঘরে ,
কোথাও এই আমারে আমি খুঁজে পাইনি !
উঁচু তলার মানুষদের খাবার টেবিলে বসেছি অনেকবার,
ফাইভ স্টার হোটেলের বলরুমের রঙীন সাম্রজ্যে মাতাল হয়েছি কয়েকবার, 
পৃথিবীর তাবৎ অপরাধ সাম্রাজ্যের সদস্য হয়েছি বারবার,
তবুও এই আমারে আমি খুঁজে পাইনি !
এই আমারে আমি হারিয়েছি শতরূপে শতবার,
চিনতে চেয়েছি নিজেকে আমি শতভাবে শতরূপে,
বুঝতে চেয়েছি আমার আমিত্বকে আমি শতদিকে ফেলে ফেলে,
হয়নি চেনা হয়নি জানা হারিয়েছি আমার আমিরে আমি সর্বখানে,
ছুটে চলেছি অনবরত দিকবিদিক নিজেরে নিজে খুঁজতে,
খোঁজার হয়না শেষ - তবু চলছি অবিরাম এই আমারে আমি খুঁজতে।
==================

অজানা আহবান

অজানা আহবান
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

কতদিন ডেকেছো তুমি
আসিনি তোমার কাছে কখনো আমি ,
আজ যখন এসেছি কাছে
মুখ ফিরিয়ে রয়েছো তুমি !!

অকারণে কেন যে করছো এমন !
মুখ ফিরিয়েই থাকবে যখন ,
কেন তবে করেছো তুমি
এই আমায় এত জ্বালাতন ?
এই ভয়ে এতদিন দেখিনি তোমায়
তোমার ডাকে সাড়া দিইনি আমি ,
আজ যখন দিয়েছি সাড়া
জানিনা কেন শুনোনা তুমি।।

কেন যে আমায় ডেকে ডেকে
করে দিলে আমার দিক ভ্রান্ত ?
কেন যে আমার পীছু নিয়ে
এতটা সময় করেছো অতিক্রান্ত ?
তোমার ডাকে কেন দিয়েছি সাড়া
বুঝিনি , জানতে কেন চাওনি তুমি !
কেন যে এসেছি তোমার কাছে
পারিনি জানাতে তাহা তোমায় আমি।।
================

বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১২

বাংলাদেশের টপ মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা


বাংলাদেশের টপ মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে নতুন পরিচয়ে পরিচয় দিয়েছেন সংসদে, আর তা হলো তিনি বাংলাদেশের জামদানী শাড়ীর মডেল হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। আর এই জামদানী শাড়ীকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে তিনি জামদানী শাড়ী পরেই বিদেশ সফরে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বেশিরভাগ সময়ই আমি জামদানি ব্যবহার করি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশীয় এ পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা। বিদেশে যখন যাই, তখনও বিশ্ববাসীর কাছে এ শাড়ি তুলে ধরতে আমি ব্যবহার করি। আমাদের লক্ষ্য জামদানি শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন করা।"
তিনি আরও বলেন, " ঢাকার জামদানি এরই মধ্যে বিশ্বের কাছে একটি ব্র্যান্ডিং হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। তবে আইনগতভাবে এটা হওয়া দরকার। আমাদের এ পণ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্থাত্ কপিরাইট আদায় করতে হবে। এজন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশও (ভারত) জামদানি শাড়িকে তাদের দেশের পণ্য হিসেবে পেটেম্লট অর্জনে আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরাও প্রতিযোগিতায় তাদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। আমরাও স্বীকৃতি অর্জনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
প্রধানমন্ত্রী নিজে মডেল হয়ে দেশের একটি উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাজারে বাজারজাতকরণের এই প্রচেষ্টা সত্যিই এক মহৎ উদ্বেগ এবং দেশের জন্য কল্যানীয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর মডেল হিসেবে উপস্থাপনে রইল শুভকামনা।
(আমার দেশের সৌজন্যে - http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/11/22/174628#.UK2dV-T5yQw)
======================

সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১২

হে মুসলীম ! ঘুমাইওনা আর


হে মুসলীম ! ঘুমাইওনা আর
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

হে মুসলীম !
আর কত ঘুমাবে তোমারা নেশায় বুদ হয়ে ?
আর কত থাকবে চুপ তোমাদের ভ্রাতার মৃত্যু দেখে ?
আর কত থাকবে বিভোর মদ - নারী নিয়ে স্ফুর্তিতে ?
আর কত করবে তোমরা ইহুদী জাতির এজেন্টগিরি ?
আর কত জ্ঞান হারাবে ইহুদীদের প্রলোভনে ?

হে মুসলীম !
কেন করেছ গঠন তোমরা ওআইসি সংগঠন ?
মুসলমানদের মৃত্যু দেখেও কেন তোমাদের এই নির্লিপ্ততা ?
কোথায় তোমাদের সেই বিদ্রোহ বিবেক ?

হে মুসলীম !
ইতিহাস ঘেঁটে দেখ ,কিভাবে হয়েছিল ইসলামের প্রচার প্রসার ?
শুধু মসজিদে বসে দু'হাত তুলেই দোয়ার মাধ্যমে আসেনি ইসলামের বিজয়।
রাত্রের নির্জনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আশায় আল্লাহকে সিজদা ,
আর দিনে বাতিলের বিরুদ্ধে সসস্ত্র সংগ্রামই ছিল ইসলাম বিজয়ের মুল সোপান।
নারীদেহ আর মদ-শরাব নিয়ে স্ফুর্তির মাধ্যমে অর্জিত হয়নি ইসলামের বিজয় কেতন,
ইসলামের বিজয় কেতন পত পত করে উড়েছিল জীবন দেয়া ও নেয়ার মাধ্যমেই।
মুসলীমের জীবন শুধু দেয়ার জন্যই নয় , বাতিলবাদীদের জীবন নেয়ার জন্যও।

হে মুসলীম !
তাকিয়ে দেখো , চতুর্দিকে হরণ হচ্ছে তোমাদের জান-মাল-ইজ্জত।
ইহুদীদের গুলিতে পাখির মত উড়ে উড়ে হাওয়া মিলিয়ে যাচ্ছে
তোমাদেরই সব শিশু সন্তান,
ফিলিস্তিনের আকাশ-বাতাসে উড়ছে উড়িয়ে দেয়া মুসলমানদের মৃতদেহ।
মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত ফিলিস্তিনের মাটি হারিয়েছে রক্ত চুষে নেবার ক্ষমতা,
ফিলিস্তিনের মাটি যায়না দেখা আর চারিদিকে বয়ে চলছে মুসলমানদের রক্তস্রোত।
শুধু ফিলিস্তিনই নয় , সুযোগ নিচ্ছে ইহুদী জাত পৃথিবীর সর্বত্র
মায়নামারের দিকে চেয়ে দেখো ,
শান্তির জন্য যেখানে ইহুদীরা দিয়েছে নোবেল প্রাইজ !
আর শান্তি মিশনের নামে সেখানে চলছে মুসলীম নিধনের প্রতিযোগীতা
চলছে সেথায় মুসলীম পুড়িয়ে মহাউল্লাস।

হে মুসলীম !
তোমরা না হযরত উমর - বীর সালাহউদ্দিনদের বংশধর ?
তোমরা না সেই বীর মুসলীম জাতির বিজয় পতাকাধারী ?
তোমরা না সেই বীর মুসলীমদের উত্তরাধিকারী,
যারা দিয়েছিল ইসলামের জন্য দেহদান ?
তোমরা না সেই বিরত্বগাঁথার ইতিহাসধারী ,
যারা মুসলীম ভাইদের রক্ষার জন্য করেছিল সসস্ত্র সংগ্রাম ?
তোমরা না সেই আলীর বংশধর ,
যার দ্বারা হয়েছিল খায়বারের ইহুদীদের দূর্গ পতন ?
তোমরা কি সেই মুসলীমদের অনুসারী নও ,
যাদের দ্বারা এসেছিল খন্দকযুদ্ধে বিজয় ?

হে মুসলীম !
তবে তোমরা কোন মুসলীম ,
ইসলামের ধ্বংস দেখেও তোমরা রয়েছ বধির -মুখহীন ?
তবে তোমরা কোন ইমানী আত্মীয় ,
আত্মীয়দের নিধনযজ্ঞ দেখেও তোমরা রয়েছ ঘুমে, গায়ে গণ্ডারের চামড়া জড়িয়ে ?
তবে কি তোমাদের ঈমানী বিবেক ,
মুসলীম নিধন দেখেও জাগেনা তোমাদের ঈমানী বিবেক শক্তি ?

হে মুসলীম !
জাগো , ঘুমাইওনা আর ,
সময় হয়েছে বিবেককে জাগাবার ,
জাগো , জাগো , জাগাও তোমাদের ঈমানী শক্তি,
গা নাড়া দিয়ে উঠো , করিওনা আর ইহুদীদের ভক্তি।
পেপসী - সেভেন আপ - কোকা কোলা -ফানটা
যা আছে ইহুদীদের তৈরী ব্রাণ্ড, ছাড়ো সেসব
ধ্বংস করো তাদের উৎপাদিত পণ্যের সকল প্রতিষ্টান।
ধ্বংস করো তাদের অর্থযোগানের সকল পথ ,
ভেঙ্গে ইহুদীদের যত অত্যাচারী হাত,
উড়িয়ে দাও তাদের যত উৎপাদিত পণ্য সরবরাহের রাস্তাঘাট,
ধ্বংস করো ইহুদীদের মুসলীম নিধনে ব্যবহৃত অস্ত্র সংগ্রহের সকল দিক,
বন্ধ করো তাদের যত গমনাগমন পথ।
যোগ দাও ইহুদী নিধনে ফিলিস্তিনীদের সাথে ,
যোগ দাও মুসলীম রক্ষায় সকল জনপদে নির্যাতিত মুসলীমদের সাথে।
=============

রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১২

এক বৎসরের গ্যারন্টিযুক্ত কমদামী কম্পিউটার


এক বৎসরের গ্যারন্টিযুক্ত কমদামী কম্পিউটার
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

আমি গত তিনবৎসর আগে দেশে যেতে একটা ডেস্কটপ কম্পিউটার নিয়েছিলাম। সাথে ছিল ১৯ ইঞ্চি একটা মাল্টিমেডিয়া মণিটর ও একটা এইচপি ফেক্স-স্ক্যানার-কপিয়ার-প্রিন্টার । আমি সবকিছু নিজের ইচ্ছামত যেটা বেশ ভাল মানের সেটাই পার্টস কিনে সংযোজন করেছিলাম। যেগুলোতে আমার খরচ হয়েছিল ৩৭০০ সাউদি রিয়াল তৎকালীন বাংলাদেশী মূল্য ছিল সব মিলিয়ে প্রায় ৬৭০০০ হাজার টাকা। কেনার পর এদেশে তা ব্যবহার করেছি প্রায় সাত বৎসর। উক্ত সাত বৎসরে কোনদিন নতুন করে ফর্মেট দিতে হয়নি, কম্পিউটার ডাক্তারের কাছেও যেতে হয়নি। সে অবস্থায়ই নিয়ে গেছি দেশে। দেশে গিয়ে ব্যবহার করেছি দুইমাস। তাও কোন সমস্যা হয়নি। দুইমাস পর যখন অর্থাভাব দেখা দিল সেই সাধের কম্পিউটারটি বিক্রি করে দিবার জন্য মার্কেটে নিয়ে গেলাম। মূল্য বলা হল ১২০০০ টাকা সব মিলিয়ে। আমি আকাশ থেকে পড়লাম। যে কম্পিউটারটি তখনও সাউদি আরবে সে অবস্থায় ৩০০০ সাউদি রিয়াল বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬০০০০ (ষাট) হাজার টাকা মূল্য , তা কিনা বাংলাদেশে যাওয়ায় ১২০০০ হাজার টাকা !
অবশ্য তখন বাংলাদেশে নতুন কম্পিউটার ১৫০০০ হাজার টাকায় বিক্রির বিজ্ঞাপণ দেখতে পেলাম পত্রিকায়। চিন্তা করতে লাগলাম। এত কম দামে কম্পিউটার কিভাবে পাওয়া যায় ? অনেক চিন্তার পর বের করতে পারলাম সমীকরণ। বাংলাদেশে সব কম্পিউটারই এক বৎসরের গ্যারান্টিযুক্ত। যদিও এক বৎসরের গ্যারান্টি দেয়া হয়, খারাপ হতে দু’দিনও লাগেনা। মেইড ইন জিনজিরার মত দোকান থেকে কিনে আনার পর যে কোন সময় সেই কম্পিউটার দূর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে অচল হয়ে যেতে পারে। এখানেই হলো ৬০ হাজার টাকার অনুপাত ১২ হাজার টাকা হবার আসল গোমর। যখন দেখলাম আমার কম্পিউটারটা এখানে মূল্যহীন আর অর্থের খুবই প্রয়োজন , তখন অনেক কষ্টে ১৮ হাজার টাকায় ৮ বৎসরর প্রেমিকাকে অন্যের কছে বিক্রি করে দিলাম।
বন্ধুরা কেন এ লেখা লিখতে গেলাম হঠাৎ তা ভাবছেন তাই না ? তার একটা কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের একটা বিজ্ঞাপণ দেখলাম আজ। এক বৎসরের গ্যারান্টিযুক্ত অল্প দামে কম্পিউটার বিক্রি হচ্ছে। মনে মনে কতক্ষণ হাসলাম। সেই মেইড ইন জিনজিরার হবে হয়তো। অজান্তে বিষ খাওয়ার মতো হয়তো কিনে নেবে কেউ। যখন বিষক্রিয়া আরম্ভ হবে তখন তো খবর হবেই।
আমি বর্তমানে যে কম্পিউটারটা ব্যবহার করছি তাতে খরচ হয়েছে ২৬০০ সাউদি রিয়াল। তিন বৎসর আগে দেশ থেকে আসার পর পরই কেনা হয়েছিল। আর একই কম্পিউটার রেডিমেড পাওয়া যেত তখন ৮০০ সাউদি রিয়াল। যাতে কিডনী দুইটার জায়গায় একটা , রক্তনালী লম্বার যায়গায় বাইটা, নাকের ছিদ্র দুইটা থাকলেও একটাতে নাসা জন্মাবার কারণে সর্বদাই বন্ধ। কান দুইটা থাকলেও এক কানে শ্রবণশক্তি নেই। সামনের দাঁতগুলো মুক্তার মত উজ্জল দেখালেও ভিতরের বড়দাঁতগুলো পোকাক্রান্ত। চোখ দুইটা থাকলেও একটাতে দৃষ্টিশক্তি নেই বললেই চলে। হাত দুইটা থাকলেও মানুষ মারতে গেলে এক হাতের জন্য যুদ্ধে পরাজিত হতে হয়। পাও দুইটা থাকলেও এক পা রড লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কাপড় দিয়ে ঢেকে। মানুষের মূল্য যেমন এভাবেই কমে যায়, তেমনি কম্পিউটারের মূল্যও। বন্ধুরা , ভাবুন তো ! আপনি কম্পিউটার কিনলে বেশ দামে কিনবেন , নাকি কমদামী ? যদি কমদামে কিন্তে চান আমার কাছে আসলে একলক্ষ টাকা দামের কম্পিউটারের মতোই দেখতে একটা কম্পিউটার কিনে দেব মাত্র দশ হাজার টাকায়। মনে রাখবেন - এক বৎসরের গ্যারন্টি প্রদান করা হবে।
================

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২

তাঁর স্মরণে, যিনি সকলের মালিক



তাঁর স্মরণে, যিনি সকলের মালিক
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------

এক.
ঘুমাইনি আজ তোমায় ভেবে ভেবে
দু’চোখের পাতা পুরোটা রাত হয়নি কো বন্ধ,
তোমায় নিয়ে ভাবার শেষ হলোনা তবু
প্রভাত হতেই জেগেছে মনে তোমায় নিয়েই দ্বন্ধ !

দুই.
একটিবার যদি বলতে - ভাল হয়ে যাও
তোমার দায়িত্ব আমিই নিলাম,
বিশ্বাস কর - ছেড়ে দিতাম পৃথিবীর সকল কিছুই
বলতাম - জীবনটা আজ তোমার জন্যই কোরবানী দিলাম।

তিন.
এরপর আর কিছু বলা যায়না
যেখানে দিয়েছি পুরো জীবনটাই কোরবানী,
এখন শুধু তোমার দিকেই চেয়ে থাকা
কখন হবে তোমার মেহেরবানী ?

চার.
বিশ্বাস কর আর নাইবা কর
তোমার জন্যই করেছি আমার জান কোরবান,
তোমারই পথেই রয়েছি পড়ে
তুলে নাও আমায় খোদা তুমি যে মেহেরবান।

পাঁচ.
প্রেমে পড়েছি আমি প্রেমে পড়েছি
সাধের জীবন তারেই আমি সপে দিয়েছি,
আমার জীবন যেই দিয়েছে সেই আমার সব
নয়তো সে আর অন্য কেহ সেই যে আমার রব।

ছয়.
সূর্য উঠে সকাল হলো আঁধার টুঁটে আলো ,
তোমার দয়ায় ঘুঁছে যাবে মনের যত কালো ,
ঘুরি ফিরি তোমার দ্বারে তাইতো আমি এখন
আশাই শুধু রহমতেরই দৃষ্টি তোমার দেখন।

সাত.
প্রেমের সুধা ঢালো সাকি
দৃষ্টি এদিক রাখি ,
যতই আমি হইনা মাতাল
যাবো তোমার নামটা ধরে ডাকি।
==============

শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১২

মাথা ঘুরানীর ঔষধ


মাথা ঘুরানীর ঔষধ
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------

আজ একটা বিশেষ অভিজ্ঞতা লাভ করলাম। অবশ্য পুরানা পথের নাম পরিবর্তনের কারনেই মনে হয়েছিল নতুন অভিজ্ঞতা। যখন ভিতরে গেলাম বুঝতে পারলাম নামটা নতুন হলেও কাজটা পুরাতন। এ যেন পুরান মদের নতুন বোতলজাত হয়ে বাজারজাতের ঘটনা। আমাদের দেশে যেমন বিভিন্ন নামে মাদক বিক্রি হচ্ছে, তেমনি কিছু প্রবাসী কর্তৃক বিভিন্ন নাম দিয়ে হচ্ছে মেয়েদের শরীর বিক্রির ব্যবসা। অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের মত আমাদের দেশের প্রবাসী নাগরিকরাও এ ব্যবসা থেকে পিছিয়ে নেই। তেমনই একটা ঘটনার বিবরণ এ লেখা।

যা হোক, আজ জোহরের পর ঝালমুরি কিনতে একটা মুদি দোকানে গেলাম আমি। যখন ক্যাশ কাউন্টারে টাকা দিতে গেলাম , তখন একটা লোক এসে ক্যাশিয়ারকে তার বাসায় যেতে বলল। ক্যাশিয়ার বলল তার মাথা ঘুরাচ্ছে যেতে পারবেনা। তখন লোকটি বলল - অসুবিধা নেই তার বাসায় মাথা ঘুরানীর ঔষধ আছে।
এদিকে গত দু'দিন ধরে আমিও ভীষন মাথার সমস্যায় ভুগছি। তাই কৌতুহল হলাম লোকটার কথায়। ভাবলাম ফার্মেসীর বাইরে সেক্সুয়াল ঔষধ বিক্রির এজেন্টেদের মত এরাও একটা ঔষধ কোম্পানীর এজেন্ট হতে পারে, যারা কাষ্টমার ফোন করলেই তাদেরকে ঔষধ সরবরাহ করে। এ ভাবনায় জিজ্ঞেস করলাম লোকটাকে - আমিও কি মাথা ঘুরানীর ঔষধ পেতে পারি ? সে বলল অবশ্যই পেতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের মাথা ঘুরানীর ঔষধ আমাদের কাছে আছে। আরও কৌতুহল হয়ে জানতে চাইলাম - দাম কত পড়বে ? সে বলল - ৫০ থেকে ৩০০ রিয়ালের মধ্যে মাথা ঘুরানীর ঔষধ দেয়া যাবে। বললাম - তবে তো আপনার সথে যেতেই হয়। সে বলল - ঠিক আছে চলুন।
তার বাসায় গিয়েই দেখি সাদা-কালো-বেগুনী-লাল সহ বিভিন্ন ধরণের মেয়ে বসে আছে সেখানে। এ ধরণের বাসায় এসব মেয়ে ! আশ্চর্যাম্বিত হলাম আমি। তখন অন্য রুম থেকে একজন উচ্ছস্বরে বলতে লাগল - হাবিব, রেইট বলেছিস ? কোন রেইট এ কতক্ষণ থাকতে পারবে বলেছিস তো ?
বুঝতে আর বাকি রইলনা মাথা ঘুরানীর ঔষধ কি ? অন্যরুম থেকে যে কথা বলছিল সে বেরিয়ে এল রুম থেকে। আমাকে দেখেই লোকটির চোখ ছানাবড়া। ভয় ও পেল মনে হয়। এই লোকটাকে আমি অনেকদিন থেকে চিনি। পরিচিত লোক। বিশেষ অনুরোধের কারণে পূর্ণ পরিচয় দেয়া থেকে বিরত থাকলাম। যা হোক ভয়ের চাপ তার চোখে মুখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ভয় পাওয়ারই কথা। গত পাঁচ বছর আগে ঠিক এ ধরণের অপকর্মের কারণেই এ গ্রুপের একজনকে ধরিয়ে দিয়েছিলাম পুলিশের হাতে। তখন তার অপরাধের মাত্রা এত বেড়ে গিয়েছিল যে যদি সে ৪৫ জন মেয়ে ও ১০০ এর উপর খদ্দের সহ পুলিশের হাতে ধরা খেত তবে বাংলাদেশের অবস্থান নরকের শেষ স্তরে পৌঁছে যেত। অবশ্য তখন সে একটি মেয়েসহ আমার কথায় ধরা দিতে বাধ্য হয়েছিল। তিনমাস জেলখাটিয়ে আবার আমিই তাকে শেষবারের মত জেল থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর কাজে সহযোগিতা করেছিলাম। সে সময় আজকের এ লোকটিও জড়িত ছিল। সেদিন সে পালিয়ে গিয়ে বেঁচে যায়।
সেদিন বেঁচে গেলেও মনে করেছিলাম সে এ কাজ ছেড়ে দিবে কিন্তু আজ আবার তাকে দেখে বুঝলাম সে ঐ অপকর্ম ছাড়েনি। মেয়েগুলোর দিকে ইশারা করে ওদের দুজনকে জিজ্ঞেস করলাম- এগুলোই কি আপনাদের মাথা ঘুরানীর ঔষধ ? আবার শুরু করেছেন আপনারা ? পাঁচ বৎসর আগের কথা কি ভুলে গেছেন ?
তাদের মুখ যেন আটকে দিল কেউ, কথা না বলে নীচের দিকে চেয়ে থাকল। আজ ছেড়ে দিয়ে তাদের সংশোধনের একটা সুযোগ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। বললাম- আপনি তো আমাকে চিনেন । আমি কি করতে পারি তাও জানেন। দয়া করে এ পবিত্র স্থানে এসব বন্ধ করেন। টাকা কামানোর অনেক রাস্তা আছে ,সে পথগুলো অনুসরন করেন। এই ধরণের অপকর্ম করে দেশ ও দশের ক্ষতি করবেননা। যদি না শুনে এই কাজ করে যেতে থাকেন তবে পাঁচ বৎসর আগের একই ঘটনা ঘটাতে আমি বাধ্য হব।
তারা বলল- ঠিক আছে ভাই আমরা দুদিনেই এদেরকে সেটেল করে দিচ্ছে। দুদিনের মধ্যে কিছু করবেননা দয়া করে। আজকের মত চলে এলাম ঐ লোকদের সংশোধন হবার সময় দিয়ে।
উল্লেখ্য যে, এ লোকগুলো এ অপকর্মের সংগঠন করে খরিদ্দারদের পতি জনের কাছ থেকে পায় ৫০% আর বাকী ৫০% পায় মেয়েগুলো।
=================

একদিন খুঁজবে আমায়


একদিন খুঁজবে আমায়
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

জানি একদিন বুঝবে তুমি,
হণ্যে হয়েই খুঁজবে আমায় -
নাগাল আমার সেদিন পাবেনা তুমি।।

ভাবিনি আমি কভু তুমি এমন হবে
আমারই কষ্ট দেখে তুমি নীরব রবে।
আসবেনা কোনদিন কাছে আমার
গলবেনা আমারই কষ্টে মনটা তোমার।
ভাবতে পারিনা আজও আমি
আমার মরণ দেখেও মুখ ফিরিয়ে রাখবে তুমি।।

ভুল ছিল আমারই তোমায় চাওয়া
ভেবেছিলাম তুমিই মোর শ্রেষ্ট পাওয়া।
সেই পাওয়া আর সেই চাওয়া
ছিল যে জীবনে এক ধাওয়া খাওয়া।
মর্মে মর্মে আজ তা বুঝছি আমি
দূরেই সরে যখন রয়েছ তুমি।
জানি একদিন খুঁজবে আমায় -
যতই আজ দূরে দূরে থাকোনা তুমি।।
================

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১২

আমি এক ভীনগ্রহের আগন্তুক


আমি এক ভীনগ্রহের আগন্তুক
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

যখন সকলের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করলাম
সবাই ভাবতে লাগলো আমি ব্যক্তিত্বহীন !
যখন সহজ সরল ভাবে চলতে লাগলাম
সবাই ভাবতে লাগল আমি ভীতুর ডিম !
যখন সৎভাবে উপার্জন করে বাঁচতে চাইলাম
তখন সবাই ভাবতে লাগল আমার অর্থোপার্জনের ক্ষমতা নেই !
যখন মারামারি থেকে বেঁচে থাকতে চাইলাম
তখন সবাই ভাবতে লাগল আমার গায়ে শক্তি নেই !
যখন লাম্পট্য থেকে নিজেকে সরাতে চাইলাম
তখন সবাই ভাবতে লাগল আমি কাপুরুষ !
যখন সবার সাথে বিনয়ের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম
তখন সবাই ভাবতে লাগল আমি তাদের ভয় করি !
যখন সকলকে সম্মান দিতে শুরু করলাম
তখন সবাই ভাবতে লাগল আমি নীচু দরজার একজন মানুষ !
যখন মেয়েদের শরীর ছোঁয়া থেকে বিরত হলাম
মেয়েরা বলতে লাগল আমি পুরুষত্বহীন !
যখন সিগারেট-মদ পান বন্ধ করলাম
তখন সবাই বলতে লাগল আমাকে পুরুষের মত লাগেনা !

এভাবেই বর্তমান তথাকথিত সভ্য সমাজের কাছে হয়ে গেছি বেমানান।
হারিয়ে ফেলেছি এই সভ্য সমাজে (?) বাস করার যোগ্যতা।
হয়ে গেছি যেন আমি এক ভীনগ্রহের আগন্তুক।
===================

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১২

রোগ বাড়ানোর ডাক্তার নয়, চাই রোগ তাড়ানোর ডাক্তার


রোগ বাড়ানোর ডাক্তার নয়,
চাই রোগ তাড়ানোর ডাক্তার
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

৩০/৩৫ বৎসর আগে দেশে ডাক্তার ছিলেন মানুষের রোগ তাড়াতে আর এখন দেশে ডাক্তার রয়েছে মানুষের রোগ বাড়াতে। উক্ত সময়ে ডাক্তারগণ ছিলেন দেশীয় অনুন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত ছোট ছোট ডিগ্রীধারী। আর এখনকার ডাক্তারগণ বেশীর ভাগই বিদেশী উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত বড় বড় ডিগ্রীধারী। উক্ত সময়ের ডাক্তারগণের উপাধী ছিল বড় জোর চার/পাঁচটা অক্ষরের ছোট্ট পরিসরের এক একটা উপাধী। আর এখনকার ডাক্তারগণের উপাধী অসংখ্য শব্দের সমষ্টিযুক্ত বৃহৎ পরিষরের যেন মাইল মাইল লম্বা এক একটা উপাধী। সে সময়ের ডাক্তারগন ঔষধ দিতেন রোগীর শরীর পর্যবেক্ষণ করে। আর এখনকার ডাক্তারগণ ঔষধ দেন যন্ত্র উৎপাদিত কাগজ পর্যবেক্ষণ করে। সে সময়কার ডাক্তারগণ রোগ সারাতেন এক/দুই বোতল সিরাপ আর এক/দুই পাতা ট্যাবলেট দিয়ে। আর এখনকার ডাক্তার রোগ সারানোর নামে রোগ বাড়ানোর ঔষধ দেন ডজন ডজন লিকুয়িড ঔষধের বোতল আর শত শত ট্যাবলেট/ক্যাপসুলের পাতা দিয়ে। সে সময়ের ডাক্তার জ্বর সারাতেন কুইনাইন ট্যাবলেট আর এক বোতল কাগজে কাটা দা
গান্কিত লিকুয়িড পথ্য দিয়ে। আর এখনকার ডাক্তারগণ জ্বর সারানোর নামে জ্বর বাড়াতে উঠে পড়ে লাগেন ডায়াগনিস সেন্টার থেকে কমিশন নিয়ে।
সে সময়ের ডাক্তারগণের লক্ষ্য থাকতো রোগীর রোগ কিভাবে নির্মূল করা যায় সেদিকে। আর এখনকার ডাক্তারগণের লক্ষ্য থাকে কিভাবে রোগীদের রোগ দীর্ঘস্থায়ী করা যায় সেদিকে। সেসময়ের ডাক্তারগণের লক্ষ্য ছিল জনসেবা দিয়ে নিজের পেঠে অন্নদান। আর এখনকার ডাক্তারগণের লক্ষ্য হলো মানুষ বলি দিয়ে নিজেদের বিত্তশালী করনের ধ্যান।
বন্ধুরা ! ভাবছেন নিশ্চয় - কেন আমি ডাক্তারদের নিয়ে আজ লাগলাম ? তার একটাই কারণ - ডাক্তার যদি রোগী দেখে রোগই ধরতে না পারেন , তবে তিনি ডাক্তার সার্টিফিকেট নিলেন কিভাবে ? যদি ডাক্তার অনুমানের উপর ভর করে শুধুই ঔষধ দিয়ে যান আর রোগী সেই ঔষধ খেয়ে কোন উপকারই না পান তবে সে ডাক্তারকে কিভাবে ডাক্তার বলা যায় ? আগেকার কম শিক্ষিত ও উপাধীহীন ডাক্তারগণ কোন প্রকার ঠেস (টেস্ট) ছাড়াই ঔষধ দিয়ে রোগ সারাতেন। আর এখনকার উন্নত শিক্ষিত ও বড় বড় ডিগ্রীধারী ডাক্তারগণ শত শত ঠেস (টেস্ট) দিয়েও রোগ সারাতে পারছেননা, কেন ?
মূলতঃ বর্তমান ডাক্তারগণ এতই বাণিজ্যিক হয়ে গেছেন যে,রোগীদের রোগ সারানোর চেয়ে তারা রোগ বাড়াতেই রয়েছেন তৎপর, যাতে তারা রোগীদের শুয়ে রেখে তাদের রক্ত চুষতে পারে দীর্ঘমেয়াদী। তাদের কাছে ডাক্তারের মহৎ পেশাটি হয়ে গেছে একমাত্র টাকা উপার্জনের মাধ্যম , তাদের কাছে ডাক্তারের সেবা মুলক পেশাটি এখন আর সেবা হিসাবে গণ্য নয় । এখনকার ডাক্তারগণ তাই সেবক নন, হয়ে গেছেন তারা পেষক।
ডাক্তারদের এই বাণিজ্যিক ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে সেবামন নিয়ে ডাক্তারী পেশাকে ধারণ করা জরুরী। রোগীদের রোগ সারানোর ব্যবস্থা না করে দীর্ঘমেয়াদী রক্তচোষা তাদের কাছ থেকে কাম্য নয়। জরুরী ছাড়া যেন কোন রোগীকে ডায়াগনিস সেন্টারে পাঠানো না হয় সেরূপ পর্যবেক্ষণের চোখ থাকা প্রতিটি ডাক্তারের একান্ত প্রয়োজন। রোগ বাড়ানোর ডাক্তার নয়, চাই রোগ তাড়ানোর ডাক্তার। নামকরা ডিগ্রীধারী মানুষ মারার ডাক্তার চাইনা, চাই মানুষ বাঁচাবার প্রকৃত ডাক্তার।
==================

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

শুনেছিলে সেদিন হৃদয়ের কথন


শুনেছিলে সেদিন হৃদয়ের কথন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

তোমার পীছে হেঁটে হেঁটে যতই আমি করেছি হুঙ্কার
সুন্দরী বলে তুমি দেখিয়েছিল আমায় অহঙ্কার ,
এত অহঙ্কার ভালোনা যতই তোমায় বুঝিয়ে বলি
শুনেও শুনতেনা তুমি পীছনে না দেখেই যেতে তুমি চলি !

একদিন হয়েছিল তোমার অহঙ্কারের পতন ,
যেদিন তুমি বেরিয়েছিলে সেজে মনের মতন।
বকাটেদের সাথে তখন কিই যে তোমার ধস্তাধস্তি
পারলেনা নিজেকে বাঁচাতে ভেঙ্গেছিল তোমার পাজরের অস্থি।
যখন পৌঁছলাম আমি তোমার নিকট হয়েছিল তোমার সবকিছু শেষ ,
অজোর ক্রন্দনে ভাসিয়েছিলে আমার বুক টেনেছিলে পীছনের রেশ।
একদিন যেই তুমি তাকাওনি এই আমার দিকে
সেইদিন বলেছিলে - বুঝেছিলে ভুল আপন সেই মানুষটিকে।

বলছিলাম সেদিন তোমায় -
তাকিওনা পীছনে আর সাজাও জীবন মনের মতন ,
মনের কথা যত বলেছিলে আমায় -
শুনেছিলে সেদিন তুমি এই হৃদয়ের সকল কথন।
====================

বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১২

একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই ?


একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই ?

মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

ইন্ডিয়ানরা দোলনার শিশু থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন ব্যক্তি পর্যন্ত সকলের মুখ থেকে উচ্চারিত " আমরা বিদেশী কোন কাপড় পড়বোনা " এই শক্তিধর শ্লোগানের মধ্য দিয়েই ইন্ডিয়া বস্ত্রশিল্পের দিক দিয়ে আজ স্বনির্ভর। " গড়ে উঠেছিল এক সময় সে দেশের ঘরে ঘরে বস্ত্র ফেক্টরী। একসময় আমাদের দেশ থেকে যারা ঘরপালানো হয়ে সেদেশে যেতো তারা অন্য কোন কাজ না পেলেও ইন্ডিয়ার " ভিওয়ান্ডি " নামক স্থানে গেলেই জুটে যেতো তাদের কাজ বস্ত্রবুননের ফেক্টরীতে। ইন্ডিয়া এভাবেই তাদের বস্ত্রশিল্পকে করেছে বিশ্বদরবারে সমাদৃত।



আর " স্বনির্ভরতা অর্জনে আমরা বিদেশী পণ্য বর্জন করব " এই মহামূল্যবান সুত্র দিয়েই ইন্ডিয়া আজ তার প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতাসম্পন্ন এবং তা অর্জনে স্বচেষ্ঠ। আজও দেখতে পাই তাদের সেই দেশপ্রেম এই প্রবাসে বসে। ইন্ডিয়ানরা দেশে যাবার সময় প্রবাস থেকে তেমন কোন মার্কেটিং করেনা, কোন প্রকার বস্ত্র তো নয়-ই । এই হলো ইন্ডিয়ানদের দেশপ্রেম আর দেশের স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য তাদের প্রচেষ্ঠা।

আর আমরা দেশপ্রেমের পরিচয় দিই দেশের কলকারখানায় উৎপাদিত পণ্য বসিয়ে রেখে এবং পঁচিয়ে ফেলে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানী করে বাজারজাত করার মাধ্যমে। এই ঈদের চ্যানেল আইয়ের কৃষকের ঈদ আনন্দ অনুষ্টানে সচিত্রে দেখানো হলো তারই একটা প্রমাণ। দেশে উৎপাদিত কোটি কোটি টাকার চিনি কারখানার গুদামে বসিয়ে রেখে বিদেশ থেকে চিনি আমদানী করে দেশের চিনি শিল্পকে কিভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। দেশীয় চিনিকল ধ্বংস করে দেখানো হচ্ছে দেশপ্রেমের প্রদর্শনী। হায়রে দেশপ্রেমিক !

আমাদের নেতারা বিদেশ থেকে আমদানী করা সার্ট প্যান্ট গায়ে না জড়ালে তারা নেতা রূপে পরিচিতি পান না । আর ইন্ডিয়ার মহাত্মা গান্ধীর মত নেতারা উলঙ্গ পায়ে হেঁটে এক জোড়া সেলাইবিন কাপড় গায়ে দিয়েও পরিচিতি পান বিশ্বনেতা রূপে ! কি দারুন নেতাদের দেশপ্রেমের নমুনা !

ইন্ডিয়া আমাদের চ্যানেলগুলো সে দেশে প্রদর্শনে বন্ধ রেখেছে , আর আমাদের দেশ ইন্ডিয়ার চ্যানেলগুলো অবাধে খুলে দিয়েছে , দেশপ্রেমের নমুনা স্বরূপ ! আর বেশী কিছু তুলে ধরতে মন চাইছেনা ,তাই এখানেই ক্ষান্ত দিলাম। তবে শেষ করার আগে একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই - দেশপ্রেম কি ও কেন ?