আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১১

ও রূপসী ললনা !




ও রূপসী ললনা ! 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------------- 


ও রূপসী ! আসলে তুমি কোথা থেকে বলো ?
তোমায় দেখে মনটা আমার পাগলপারা হলো !
মন জুড়ালো তোমায় দেখে মন যে ফিরে না !
রূপে তোমার মুগ্ধ হলাম ও রূপসী ললনা ! !

ওই দিকে কি দেখো তুমি আমার দিকে দেখোনা ,
নবযৌবন অঙ্গে আমার ওদিক ফিরে থেকোনা ।
রসে ভরা টুইটুম্বর আমার দেহঘর ,
আমার দিকে দেখলে তুমি আসবে প্রেমের জ্বর !
আমার দিকে দৃষ্টি দিয়ে কেমন আমি বলোনা ?
তোমার রূপসাগরে ডুব দিয়েছি ও রূপসী ললনা ! !

ও রূপসী  দেখো একবার চোখ ফিরাতে পারবেনা !
একবার যদি দেখো আমায় সঙ্গ আমার ছাড়বেনা !
অঙ্গে তোমার ভাসবে হাসি আমায় যদি দেখো !
তোমারই ঐ রূপের সুধা আমার অঙ্গেই মেখো !
তোমার রূপ সাগরে ডুবে মরছি একটু তুলে নাওনা ,
কাছে এসে একটু দেখো ও রূপসী ললনা !!
========================================= 

রবিবার, ২৬ জুন, ২০১১

গোলাপ দিয়ে




গোলাপ দিয়ে  
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
------------------------------

গোলাপের সুন্দরে সুন্দর হতে চাই , 
আমার সকল বন্ধু কি আমাকে একটা করে গোলাপ দিয়ে 
আমাকে সুন্দর করতে পারেন ? 
গোলাপের রঙ্গে রঙ্গীন হতে চাই , 
আমার সকল বন্ধু কি আমাকে একটা করে রঙ্গীন গোলাপ দিয়ে 
আমায় রাঙ্গাতে পারেন ? 
গোলাপের সুরভী সুবাসিত হতে চাই , 
আমার সকল বন্ধু কি আমাকে গোলাপের সুরভী দিয়ে 
আমাকে সুবাসিত করতে পারেন ? 
গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা কিনতে চাই , 
আমার সকল বন্ধু কি আমার একটা করে গোলাপ নিয়ে 
আমার কাছে ভালোবাসা বিক্রি করতে পারেন ? 
গোলাপের বিনিময়ে মন বিনিময় করতে চাই , 
আমার সকল বন্ধু কি গোলাপের বিনিময়ে 
আমার কাছে মন বিনিময় করতে পারেন ? 
গোলাপ দিয়ে শান্তির পৃথিবী সাজাতে চাই , 
আমার সকল বন্ধু কি গোলাপ নিয়ে 
শান্তির পৃথিবী সাজাতে আমার সঙ্গী হতে পারেন ? 
গোলাপ দিয়ে বন্ধুত্বের বন্ধন রচনা করতে চাই , 
কেউ কি আমার গোলাপ নিয়ে 
আমার বন্ধু হতে পারেন ? 
================================================ 

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১১

আমার জীবনের দিনপঞ্জী ( পর্ব - ০০০২ )



আমার জীবনের দিনপঞ্জী
(পর্ব - ০০০২)
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

আমার এই দিনপঞ্জী লেখার কোন তারিখ নেই । জীবনের মেমোরীতে যে সকল দৃশ্য ধারণ করা আছে , সেইসব পর্যায়ক্রমে জনসম্মুখে দৃশ্যমান হবে এই দিনপঞ্জীর মাধ্যমে । জীবনের এই দিনপঞ্জী লিখতে গিয়ে হয়তো বেরিয়ে আসতে পারে কারও কারও জীবনের বাস্তব চিত্রগুলোও । তাই আমার এই লেখার মাঝে যাদের জীবনের বাস্তব চিত্র এসে যাবে তাদের কাছে অগ্রীম ক্ষমা প্রর্থনা থাকলো ।

আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের দিনপঞ্জীতে লিপিবদ্ধ থাকে অন্য মানুষদের জন্য শিক্ষাপাঠ । কারণ , জীবনের দিনপঞ্জীতে মানুষের জীবনের চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয় । মানুষের সফলতা - বিফলতা - উন্নতি - অবনতি - ভালো - মন্দ - আশা - হতাশাগুলো পরিলক্ষিত হয় এই জীবনের দিনপঞ্জীতে ।

তাই , সকলের উচিত সকলের দিনপঞ্জীতে চোখ বুলানো , যাতে উক্ত দিনপঞ্জী থেকে মানুষ নিজ জীবন পরিচালনার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে । গ্রহণ করতে পারে উপযুক্ত জীবন পরিচালনা পদ্ধতি ।

আমার ধারণা , যিনি নিজ জীবনের ডাইরী লিখে জনসম্মুখে প্রদর্শন করে যান , তিনি আর কিছু না হোন একজন মহৎ হৃদয়ের অধিকারী । কেননা , তিনি নিজ জীবনের সুখ - দুঃখ - জয় - পরাজয় - আশা - নিরাশা - আনন্দ - খুশি - সৎকর্ম - অসৎকর্ম - দোষ - গুণ ইত্যাদ জনসম্মুখে প্রকাশ করে নিজ নিজ জীবন সংশোধনের নিমিত্তে একটি মহৎ কাজের আঞ্জাম দিয়ে যান । এতে তাঁর জীবন নিয়ে মানুষ ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে , তাঁকে নিয়ে নিয়ে মানুষ কি বলবে , সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে তিনি তাঁর জীবনের সবকিছু মানুষের সামনে প্রকাশ করে যান , যাতে তাঁর জীবনের কর্মসমূহ থেকে মানুষ উৎকৃষ্ঠ পথে পরিচালিত হতে পারে । অর্থাৎ , একটা মানুষের জীবনের দৃষ্টান্ত দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সুন্দর জীবন গঠনের শিক্ষাদানের মাধ্যমই হলো - জীবন ডাইরী , জীবনী বা জীবনের দিনপঞ্জী লেখা বা প্রকাশ ।

যাঁরা নিজেদের জীবনের দিনপঞ্জী প্রকাশ করেন , তাঁরা নিজেদের জীবনের অপ্রকাশ্য বিষয় অপরকে জানানোর মধ্য দিয়ে অন্যের উপকার করনে নিজেদের জীবনকে বলিদান দেন । তাই , প্রত্যেক জীবনী লেখক এক একজন মহৎ হৃদয়ের অধিকারী ।

আমাদের সমাজে এমন কিছু লোক আছে , যারা নিজেদের জীবনকে সুন্দর রুপে বিকষিত করে তুলেছে । কিন্তু , অন্যদেরকে তারা তাদের সফলতার পথ পরিচয় করাতে চায় না । তারা মনে করে যদি সবাই সফল হয় , তবে তাদের মূল্য কি থাকবে ! তারা আবার মুখে বলে বেড়ায় তারা সভ্য সমাজের বাসিন্দা । আমি বলি , যারা সভ্য হয়ে গেছে তাদের কি অসভ্যদের সভ্য করনে কোনই চিন্তা নেই ? যদি সভ্য লোকদের অসভ্যদের সভ্য করার চিন্তা না থাকে , তবে সভ্যদের মৃত্যুর পর সভ্য সমাজের অস্থিত্ব টিকে থাকবে কি ?

এহেন চিন্তাধারী সভ্যলোকেরা আসলেই কি সভ্য ? নাকি সভ্য সমাজের খোলস পরা এক একটা নরকের কীট ? যারা মানব সমাজের উন্নয়ন চায়না , মানবতার উন্নয়ন চায়না , তারা চায় নিজেদের সভ্য পরিচয় দিয়ে যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন মানুষের মাঝে তারা আধিপত্য বিস্তার করে নিজেদের দাপট দেখিয়ে যাবে , নিজেদের মহামূল্যবান রত্ন হিসাবে মানুষের কাছে পরিচয় প্রদান করে যাবে ! তারা মনে করে অন্যরা গোল্লায় যাক তাতে তাদের কি সমস্যা ? এই ধরণের চিন্তার ধারক - বাহকরা যতই নিজেদের সভ্য ভাবুক না কেন , তারা কখনো সভ্য নয় অসভ্যই । তারা কখনো সমাজের বাসিন্দা নয় । তারা সভ্য সমাজের সভ্য রপী এক একটা অসভ্য কীট । যারা সমাজের এক একটা দুষ্টগ্রহ ।

যারা প্রকৃত সভ্য তারা সবসময় চাইবে অসভ্য যারা তাদের সভ্য করে তোলার জন্য । সভ্য সমাজ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তাদের প্রধান কাজ তাই অসভ্যদের সভ্য সমাজের বাসিন্দা রূপে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্ঠা ।

আমাদের শিক্ষিত সমাজের অনেক শিক্ষিত আজকাল সভ্য হয়েও অসভ্যতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে । তারা অশিক্ষিতদের শিক্ষিত করে তোলা দূরে থাক , তারা অশিক্ষিতদের অশিক্ষিত - মূর্খ - গোঁয়াড় ইত্যাদিতে গালি দিয়ে যাচ্ছে । তাদের মাথার উপর হাত বুলিয়ে তাদের ঠকিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ভাবে শিক্ষিত নামধারী কুশিক্ষিতরা । অশিক্ষিত বলে তাদেরকে সমাজের বিভিন্ন কর্মকান্ড থেকে কোনঠাসা করে রাখছে কুশিক্ষিতরা । আসলে এসব শিক্ষিতরা শিক্ষিত নামের কলঙ্ক । তারা শিক্ষালাভ করেও হয়ে আছে শিক্ষিত মূর্খ রূপে , কুশিক্ষিত বা শিক্ষিত গোঁয়াড় রূপে ।

আমি জানি , আমার জীবনের দিনপঞ্জীতে এমন কোন উল্লেখযোগ্য সুন্দর ও অনুকরনীয় দৃশ্য নেই , যার মাধ্যমে কোন মানুষ উপকৃত হতে পারে । তবে আমি মনে করি , আমি মানুষ । আমারও একটা জীবন আছে । আমার জীবন সময়ে যা ঘটেছে , ঘটছে সেগুলো মানুষের অনুকরনীয় না হোক , মানুষ আমার জীবন থেকে সেই শিক্ষায়ই লাভ করবে , যা জীবনযুদ্ধে পরাজিত একজন সৈনিক কেন , কিভাবে পরাজয় বরণ করেছিল ? আর জীবনযুদ্ধে আমার মত পরজয় বরণ করতে না চাইলে তাদের কি করতে হবে ? তাদের চিন্তা শক্তিতে তা উঠে আসবে ।

আমরা জানি , ইতিহস মানুষের কোন উপকার করেনা । ইতিহাস মানুষকে শিক্ষা প্রদান করে থাকে সম্মুখে সুন্দর রূপে পথ চলার জন্য । আমার জীবন একটা ইতিহাস । এই ইতিহাস থেকে মানুষ কোন উপকার লাভ করবেনা । কিন্তু , এই ইতিহাস থেকে কোন কোন মানুষ তাদের জীবন পরিচালনার উৎকৃষ্টতম কোন পথ আবিস্কার করতে পারবে বলেই আমি মনে করি । তাই , আমার এই জীবনের দিনপঞ্জী পাঠে স্বাগতম জানাচ্ছি ।
>চলবে (পর্ব - ০০০৩) ...
=============

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১১

আমার জীবনের দিনপঞ্জী ( পর্ব - ০০০১ )



আমার জীবনের দিনপঞ্জী
(পর্ব - ০০০১)
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------

[ একটা মানুষের জীবন জলাঞ্জলী দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সুন্দর জীবন গঠনের শিক্ষাদানের একটা মাধ্যমই হলো - জীবন ডাইরী , জীবনী বা জীবনের দিনপঞ্জী লেখা বা প্রকাশ । ]

এক সময় ডাইরী লিখতাম । যখন স্কুলে পড়তাম । ক্লাস ফোর থেকে আমার ডাইরী লেখার শুরু হয়েছিলো তখনকার বাংলা খাতায় ।

ডাইরী লেখার বিষয় জানতে পেরেছিলাম ক্লাস ফোর-এ যখন পদার্পন করেছিলাম । তখনকার কোন এক পত্রিকা উল্টাতে গিয়ে দেখতে পেয়েছিলাম একজন বিখ্যাত ব্যক্তির ডাইরী লেখার কাহিনী । শিখেছিলাম ডাইরী কিভাবে লিখতে হয় সেখান থেকেই । ঐ কাহিনীটা পড়েই জেগেছিলো মনে ডাইরী লেখার সাধ ।
১৯৭৯ সালের কথা । সম্ভবতঃ পত্রিকাটি ছিলো দৈনিক ইত্তেফাক । কারণ , ঐ সময় মফজল দা ( ইনি পড়শী বড় ভাই সমতুল্য , যাঁর রয়েছে একটা গল্প । একটু পরেই তাঁর গল্পটি বলতে চেষ্ঠা করবো ) পত্রিকা পড়তেন । সপ্তাহে একদিন - বৃহষ্পতিবার । তিনি প্রতি বৃষ্পতিবার তিন মাইল দূরের বিবির হাট বাজার থেকে পত্রিকা এনে পড়তেন । একমাত্র তিনিই ছিলেন ঐ সময় আমাদের এলাকায় একমাত্র পত্রিকা পাঠক । তিনি পড়তেন ইত্তেফাক পত্রিকা । যদি ইত্তেফাক না আসতো অন্য পত্রিকা পড়তেন । তাই বলতে হয় ঐ পত্রিকাটা ছিলো ইত্তেফাক । যা আমার ডাইরী লেখার অনুপ্রেরণা ।
যা হোক , মফজল দা’র কাহিনীটা না বললেই নয় । মফজল দা ছিলেন আমাদের পড়শী বড় ভাই । সেই সাথে ছিলেন আমাদের বাড়ির সম্মুখের একজন মুদী দোকান্দার । আমার জন্মের পূর্ব থেকেই তিনি আমাদের বাড়ির সামনে তাঁর নিজস্ব জায়গায় নিজ মালিকানাধীন দোকানে তাঁর ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন । খুবই সহজ সরল একজন ভালো ও উপকারী লোক হিসাবেই তিনি পরিচিত । তাঁর এ পরিচিতির প্রমাণও পেয়েছিলাম আমার বাবার কাছ থেকে ।
আমার বাবা ছিলেন তখন একজন প্রবাসী । বার্মা ( বর্তমান মায়ানামার ) ‘র রেঙ্গুন ছিল তাঁর কর্মস্থল । জাপান - বৃটিশের যুদ্ধে যখন বার্মা হলো আক্রান্ত , আমার বাবা তখন সাঁইত্রিশ হাজার টাকার সমপরিমাণ জীবনের কামাই বার্মায় ফেলে প্রাণ বাঁচাতে চলে এসেছিলেন নিজ দেশে । দেশে ফিরে বাবা হয়ে পড়েছিলেন দিশেহারা । পরিবারের ভরণ-পোষনের মত কোন সহায়-সম্পত্তি ছিলোনা তাঁর । এ অবস্থায় যখন বাবা চোখে ষর্ষে ফুল দেখতে লাগলেন , তখন বাবার এ দূরাবস্থা দর্শনে এগিয়ে এসেছিলেন উক্ত মফজল দা । মফজল দা’র পরামর্শে বাবা একমত হয়ে মফজল দা’র কাছ থেকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাবার ভাড়ার টাকা নিয়ে বাবা দিশেহারা জীবন নিয়ে পাড়ি জমালেন ঢাকায় । বাবার নতুন জীবন শুরু হলো তার ঢাকায় পাড়ি জমানোর মধ্য দিয়ে । একজন সরকারী লাইসেন্সধারী কনষ্ট্রাকশন ফার্মের অধিকারী হয়ে সফল মানুষ হিসাবে আত্মপ্রতিষ্ঠা করলেন তিনি । দিশেহারা একজন মানুষ মফজল দা’র সহযোগীতায় আত্মপ্রতিষ্ঠিত হয়ে দিশারী হলেন অনেক দিক হারা মানুষের । মফজল দা’র কাহিনী এটাই যে , তিনি ছিলেন বিপদে পড়া মানুষদের একজন অকৃত্রিম বন্ধু । তাঁর একটুখানি সহযোগীতায় আমাদের পরিবারটি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো ।
তাই , আমার এ দিনপঞ্জী লেখার সন্ধিক্ষণে কতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি সেই মফজল দা’কে ( যিনি বাদশাইয়া বর মফজল নামে এলাকার সর্বত্র পরিচিত ) । মহান আল্লাহ তাঁকে উত্তম প্রতিদান দান করুন - আমীন ।
যা হোক , বলছিলাম - আমার ডাইরী লেখার গল্প । কিন্তু , এসে গেলো মফজল দা’র গল্প । জীবনের ডাইরীতো এমনই হয় । সকলের সন্ধিতে সকল জীবনের আনাগোনা । মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব । সমাজে বাস করতে হলে মানুষ মানুষের সাথে সম্পৃক্ত হবেই ।
একটা জীবনের গল্প বলতে গেলেই বহু জীবনের গল্প এসে যাবেই । তাই তো , মফজল দা’র জীবনের গল্প এসে গেলো । আমার বাবার জীবনের গল্প এসে জুড়ে গেলো আমার জীবনের গল্পের সাথে । এভাবে আরও কত মানুষের জীবনের গল্প যে এসে যাবে সম্মুখে অগ্রসর হলে তার ইয়ত্ত্বা নেই । কারণ , আমিও সমাজবদ্ধ মানুষ । সমাজে মিশতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয়েছে কত জীবনের সাথে , তা একসাথে বলতে না পারলেও ধাপে ধাপে , সময়ের প্রয়োজনে , জীবনের পরিচ্ছেদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাবেই ।

> চলবে (পর্ব - ০০০২) ...
=============

বুধবার, ২২ জুন, ২০১১

আমি - তুমি - সে






আমি - তুমি - সে  

[ উৎসর্গ ঃ  আমার সহধর্মীনী সৈয়দা মমতাজ সুলতানা শিল্পী এবং
আমার হারানো প্রেমের অভিষারিনী আজমুন্নাহার ( ফারহানা ) কে ]
                  
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
---------------------------------------------------------------------------- 

পরিচিতি ঃ
আমি = লেখক নিজে
তুমি = লেখকের সহধর্মীনী
সে = লেখকের বিবাহ-পূর্বের প্রেমিকা ।
===============================  

আমি এক প্রেমিক ,
প্রেমজগতের নির্ভীক এক সৈনিক ।
আমার প্রেমজগতে নই আমি শুধুই একা ,
এসেছো তুমি , এসেছিলো সে
পেয়েছি তোমাদের দু’জনের দেখা ।
তিনটি প্রাণ প্রজাপতির মতো ভাসছে
আমার প্রেমের আকাশে ,
আমার প্রেমজগতে বিচরণ করছি
আমি - তুমি - সে !

আমার সাথে তুমি যেমন আছো মিশে ,
মিশে আছে সে ও - দিয়েছিলো যে আমায় প্রেমের দিশে ।
তুমি যেমন এখন আমার সব ,
সে ও ছিলো একদিন আমার আনন্দ - উৎসব ।
তুমি আসলে অর্ধাঙ্গিনী হয়ে আমার জীবনে ,
সে ও এসেছিলো প্রাণের নিঃশ্বাস হয়ে আমার মনে ।
তোমায় নিয়ে যেমন করেছি গঠন সংসার ,
সেই তাকে নিয়ে করেছি সৃষ্টি মনে প্রেমের বাজার ।
তুমি হলে আমার সুখ - দুঃখের সাথী ,
সে হলো আমার মনের একজন অতিথি ।
তোমায় নিয়ে ভাবি আমি জীবনের সবকিছু নিয়ে ,
সেই তাকে ভাবি মনে প্রেমের স্মৃতি দিয়ে ।
তুমিই শুধু করেছো আমার জীবনের সবকিছু দখল ,
আর সেই - শুধু আমার মনকে নিয়ে হতে চেয়েছে সফল !
=================================================== 

সোমবার, ২০ জুন, ২০১১

তোমাদের কাছে মোর প্রশ্ন ছিল



তোমাদের কাছে মোর প্রশ্ন ছিল ...
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
------------------------------------


আজ ছিলো মোর বিশেষ একটা দিন
একটা প্রশ্ন করেই তাই সকলের দৃষ্টি দিলাম থামায় !
তোমাদের কাছে মোর প্রশ্ন ছিল
ভালোবাসো কি তোমরা আমায় ?

আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছো কেহ
আর কেহ এড়িয়ে গেছো ;
বলেছো যারা ভালোবাসো আমায়
তোমরা কি আমায় নিয়ে কভু ভেবেছো ?

তোমরা কি জানোনা আমায়
যারা মোর প্রশ্ন এড়িয়ে গেছো ?
আমি কি ছিলাম না তোমাদের সাথে কোনদিন ?
যদি ছিলাম সাথে তবে কিভাবে আমায় এতটা পর করে দিয়েছো ?

এক পলকের একটু দেখায়
হতে পারে যদি প্রেম বা ভালোবাসা ,
আজ এতদিন থেকে ও তোমাদের সাথে
পাইনা কেন তবে ভালোবাসার আশা ?

কি আশায় বাঁধি খেলাঘর ?
সবাই তো হয়ে গেলে তোমরা যে পর !

কারে নিয়ে খেলবো খেলা ?
কিভাবে জমাবো মোর জীবনমেলা ?

খেলাঘরে যদি না চলে খেলা
তবে কেন এই খেলাঘর ?
জীবনের যদি না জমে মেলা
তবে সে জীবনে যে দেখা দেয় মরণজ্বর !

ভালোবাসাহীন , প্রেম - প্রীতিহীন
তেমনি এই আমার জীবন !
আশা নিয়ে বাঁধা মোর এই খেলাঘর ;
হয়না তাতে কোন খেলার আয়োজন !

মোর অতি আশায় গুঁড়েবালি
ভেঙ্গে দিতে খেলাঘর তাই চায় যে মন ,
চাই যে করে দিতে আমার আশার সমাধি
কি হবে আর ধরে রেখে আমার এই ব্যর্থ জীবন ?
==================================================  

পরাবো তোমায় প্রেমের তাজ




পরাবো তোমায় প্রেমের তাজ 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
 ------------------------------   

ফুলবাগানে ফুটলোরে ফুল
রঙ্গীন হলো ফুলবাগান ,
মনে আমার জাগলো প্রেম
তোমার জন্যই মনের টান ।
ফুলের সুবাস লাগলো নাকে
মন হলো মোর টালমাটাল ,
তোমার প্রেমের ছোঁয়া লেগে
জীবন যেন মোর আজ বেতাল ।
ফুলবাগানটি দেখতে গেলাম
মালিক দেখতে দিলোনা ,
তোমার ছোঁয়া পেতে গেলাম
তোমার দেখা মিললো না ।
বাহির থেকে দেখতে পেলাম
ফুলবাগানটি অপরূপ ,
তোমার সাড়া পেলাম আমি
হলে যখন হঠাৎ চুপ ।
বলে কয়ে দেখতে পারলাম
ফুলবাগানটি আমি আজ ,
দূর থেকে দেখতে পেলাম
মন ভুলানো তোমার সাজ ।
ফুলবাগানটি দেখতে গিয়ে
নিতে পারলাম একটা ফুল ,
তোমায় আমি দেখতে এসে
করলাম কি গো কোন ভুল ?
সেই ফুলটিই তোমার জন্য
আনলাম আমি দেখো আজ ,
ফুলটি নিতে হাতটা বাড়াও
করোনা তো এতো লাজ ।
তাজা ফুলের ঘ্রাণ নিতে
এসো কাছে তুমি আজ ,
আসবে কাছে তুমি যখন
পরাবো তোমায় প্রেমের তাজ
                ======================== =============== 

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১১

ভঙ্গুর মন



ভঙ্গুর মন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------------


ভাঙ্গে আমার মন দিনে দশবার ,
আর জোড়া লাগে একবার ,
কি যে করি ?
জীবনের গতিপথ হয়ে আসে স্তব্ধ ,
দিশেহারা আমি ,
জানি না বাঁচি না মরি ?

শূণ্য এ জীবনতরী , দিক নেই তার ,
জানিনা কোথায় ভীড়বে ?
এই আসে এই যায় , জীবনের নিশ্বাস ,
জানিনা কখন ফিরবে ?

জীবনের হিসাব পারিনা মিলাতে ,
হিসাব কষতে গিয়ে
হয়ে যাই ফেইল !
মনের মাঝে ভেসে উঠে কত কিছু ,
করিনি পরাজয়ের কাছে মাথা নীচু ,
আছে কত জমা জীবনের আশাবাদী মেইল !

নিরাশ মন , হতাশায় গেঁড়েছে আসন ,
পায়না খুঁজে বেঁচে থাকার আশা !
থমকে যাওয়া চিন্তা জগত হচ্ছেনা চালু ,
করে যায় শুধু দুরাশা !
এভাবে কি হতে পারে একটি জীবনের বসবাস ,
এই স্বচল ধরায় ?
মৃতপ্রায় এই জীবন , এই মন ,
পৃথিবীতে থাকতে তাই শুধুই ডরায় !
============================ 

তোমার জন্মদিনে [প্রেমকাননের প্রিয়াকে]



তোমার জন্মদিনে ...
[প্রেমকাননের প্রিয়াকে]
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------------


আজ সেই স্মরণীয় দিন : তোমার জন্মদিন ;
স্বার্থক তোমার জন্ম ।
সেদিন মায়ের জরায়ু থেকে বের হয়ে কেঁদেছিলে
পৃথিবীর দৈন্যদশা দেখে ।
তুমি আজ তরুনীতে রূপান্তরিত ,
সুন্দর একজন তন্বী তরুনী তুমি ।
সেই ভাঁজহীন শরীরে আজ তোমার
সাগরের ঢেউয়ের মতো মাতাল করা ভাঁজ !
আজ পৃথিবীর রূপ পাল্টাতে পারো তুমি ,
পৃথিবীর দৈন্যদশাকে
ভালোবাসার মুগ্ধ পদাবলী দিয়ে
তুমি হাসি ফোটাতে পারো ।
সুন্দর তোমার মুখাকৃতি ,
সুন্দর ভাঁজ করা শরীরের গঠন ,
সুন্দরের জয় সর্বত্র - তাই তুমি জয়ী ।
কাকতালীয় ঘটনায় আমি তোমার বন্ধু হলাম ,
তোমার সুন্দর মুখশ্রীর কাছে পরাজিত হলেও
এখন একজন বন্ধু ;
অন্যদের মতো সুন্দর না হলেও
তোমার হৃদয়ের বাইরে ভাসমান একজন বন্ধু ।
জানি , সুন্দর তো সুন্দরেরই পূঁজারী ,
তাই তোমার ভালোবাসা বিলাবার স্থান সুন্দরের কাছেই ।
তবুও মিনতি তোমায় ,
অসুন্দর ভেবে সুতীব্র ঘৃণার তীর বিদ্ধ করোনা
আমার দগ্ধিত বুকে ,
তোমার ভালবাসা পেতে আমি
এখন হিমালয়ের মতো অটল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি ।
ভুমধ্য সাগরের লিপারী দ্বীপের স্ট্রম্বলীর মতো
জীবন্ত আগ্নেয়গিরি যেন আমার হৃদয় ,
তোমার ভালোবাসার মৃদু স্পর্শে
হৃদয়ের জ্বালামুখ দিয়ে
তোমার অজান্তে
আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত হচ্ছে লাভা !
তোমার মুখপদ্মের জন্য অহন্কার করোনা ,
হিংসা করোনা আমায় কালো বলে ,
দন্ডায়মান করোনা অন্য কাউকে
তোমার হৃদয়ে - আমার বিপক্ষে ।
আমার হৃদয়কে
তোমার অহন্কার নামের এ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিবে ?
এমন পাষাণ কখনো হয়োনা ।
মূল্যবান কিছু নাইবা দিলাম ,
অন্ততঃ আজ তোমার জন্মদিনে
তোমায় একটা কবিতা দিলাম !
পরিবর্তে শুধু তুমি আমায় একটু ভালোবাসা দাও , 
হৃদয় নিংড়ানো আবেগ মিশ্রিত একরাশ ভালোবাসা ;
তোমার ভালোবাসা আমায় করবে সজীব - জীবন্ত , 
তোমার সেই ভালোবাসা আমায় করবে নতুন জীবন দান ।
বিশ্বাস করো , সুদৃঢ় বিশ্বাস -
যেমন তুমি তোমার কথাকে করো ,
তোমার অনিচ্ছায় তোমার ঐ তুলতুলে দেহখানা আমি চাইনে ,
তোমার সুন্দর মুখাবয়বের জন্য আমি কখনো লালায়িত নই ,
লুলোপ দৃষ্টিতে তোমার শরীরের প্রতিটি ভাঁজ দেখা থেকে
আমি বিমুখ থাকবো , কিন্তু তুমি
আমাকে একটা বিষয়ে কক্ষনো বাধা দিতে পারবেনা ।
যেভাবেই হোক তোমার হৃদয় আমাকেই দিতে হবে ,
আমি তোমার দেহকে নয় , হৃদয়টাকেই চাইবো ।
তোমার দেহ - সেটা বাইরের ,
তুমি বাধা দিলেও তা নিষ্পেষিত হবে অন্যের করতলে ;
আর তোমার হৃদয় - সেটা ভিতরের ,
তুমি না দিলে কারো সাধ্য নেই তাতে হাত দেয়ার ।
এখন সব তোমার ইচ্ছার উপরই নির্ভর -
দেহ অন্যকে দিতে চাও ? দাও ,
রূপ অন্যকে দেখতে চাও ? দেখাও ।
সবকিছুই দিয়ে দাও ,
আপত্তি কিছুতেই থাকবেনা আমার ।
কিন্তু , দোহায় আল্লাহর !
হৃদয়টা শুধু আমার জন্য অবশিষ্ঠ রেখো ;
সেটি কাউকে স্পর্শ করতে দিওনা ,
এমনকি সামান্যতম স্পর্শও নয় ।
আমার হৃদয়ের আকুতি তোমার হৃদয়ের কাছে -
আমি একটা দগ্ধিত ক্ষত হদয় ,
তুমি এক অক্ষত হৃদয়ের জন্য প্রতীক্ষায় আমি ;
তুমি তোমার স্থানে ফুটে থেকো একটা অক্ষত গোলাপ রূপে -
যেন একটা অক্ষত প্রস্ফুটিত লাল গোলাপ !
মনে রেখো , এমন ভাবে -
যেভাবে বুকের ওড়না খসে গেলে তুলে নাও !
এখন আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন একমাত্র তুমিই।
=======================================