আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১২

ডক্টর ইউনুছের বৈদিশিক কর্মগ্রহণ এবং কিছু প্রশ্ন


ডক্টর ইউনুছের বৈদিশিক কর্মগ্রহণ এবং কিছু প্রশ্ন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
---------------------- 

মানুষ দাঁত হারানোর আগে দাঁতের মূল্য বুঝেনা
তেমনই বাংলাদেশের মানুষ ডক্টর ইউনুচের মূল্য বুঝছেনা

 
বাংলাদেশের পঁচা রাজনীতি এবং দেশের মানুষদের গোবর ভরা মন - মানষিকতার কারণে এভাবে হচ্ছে দেশের মেধা পাচার বহির্বিশ্বে । দেশের মেধাগুলো দেশে মূল্যমান হয়না , বিদেশেদীদের কাছে তাদের মূল্যায়ন তোলায় তোলায় । বাঙ্গালী এভাবেই থাকবে পড়ে পীঁছিয়ে । তাদের টেনে তোলার মানুষগুলোকে তারা যতদিন মূল্যায়ন না করবে , ততদিন বাঙ্গালীদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবেনা । বিশ্বজাতির কাছে তারা সর্বদায়ই নতমস্তকে ভিক্ষার হাত পেতে থাকবে । বিশ্বজাতির সম্মুখে সর্বদায়ই তারা পণ্য হয়ে প্রদর্শিত হতে থাকবে ।
 এভাবেই বাংলাদেশ মেধাশূণ্য হয়ে পঙ্গু হয়ে থাকবে অনন্তকাল । আর বাংলাদেশের মেধাগুলো দিয়ে বহির্বিশ্বের দেশগুলো উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হতে থাকবে ।
স্বদেশে ডক্টর ইউনুচের মত একজন বিশ্বমেধার জায়গা হয়নি , তাই বলে ডক্টর ইউনুচ মরে যাননি , তিনি বিশ্বজনতার মাথার মুকুট হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মানবতার কর্ম ।
এমনভাবে যতগুলো বাংলাদেশের মেধা স্বদেশ থেকে বিচ্যুত হয়ে বহির্বিশ্বে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে সবগুলোই উন্নতির শিখরে আরোহন করেছে । মাঝখানে ধ্বংস হয়েছে দেশের ভবিষ্যত । অবনতির করাল করাল গ্রাসে বিলীন হয়েছে দেশের জনগণের আশা আকান্খা বোঝাই বিরাট জাহাজ , হয়েছে জনগণের ভাগ্য বিপর্জয় ।
এইভাবে দেশের মেধাপাচারে মেধাগুলোর কোনই ক্ষতি হয়না , ক্ষতি হয় এসব মেধা পাচারে যাদের দুষ্ঠ চিন্তা , যাদের হাত তাদেরই ।
ডক্টর ইউনুচকে বাংলাদেশের মানুষ চিনতে পারেনি , যেদিন এদেশের মানুষ তাঁকে চিনবে সেদিন বাংলাদেশের আর কিছুই করার থাকবেনা । মানুষ দাঁত হারানোর আগে দাঁতের মূল্য বুঝেনা । তেমনই বাংলাদেশের মানুষ ডক্টর ইউনুচের মূল্য বুঝছেনা ।
 
ডক্টর ইউনুছের বিরুদ্ধবাদীদের কাছে প্রশ্ন ?

যাঁরা ডক্টর ইউনুছের মতো একজন বিশ্বমেধার নানাধরণের অসম্মানজনক কথায় এবং অশ্লীল ভাষায় বিরুদ্ধাচরণ করছেন , আসলে তাঁরা কি করছেন তাঁরা নজেরাও বুঝেননা। তাঁদের ঘরে মা - বোন থাকলে তাঁরা নিশ্চিত বুঝতেন , তাতে ক্ষতি কার হয় বা কার অসম্মান হয় ? যদি তাঁদের মা-বোনের ইজ্জতহানী হতো (এমন ঘটনা কখনো কাম্য নয়) আর সেই ঘটনা তারা বাইরে বলে বেড়াতেন , তবে তাঁদের কি হতো তাঁরা বুঝতেন , তাঁরা বুঝতেন নিজ ঘরের অপকর্ম বাইরে বলে বেড়ালে তাতে কার সম্মানহানী হয়।
মানলাম ডক্টর ইউনুছ সুদখোর এবং দেশের নারীদের রাস্তায় নামিয়েছেন। কিন্তু যারা ব্যাংকে ফিক্স ডেপোজিট করে ব্যাংক থেকে লাভ নিচ্ছেন , বলুনতো তারা সুদ গ্রহণ থেকে মুক্ত কি না ? যে দেশের পুরা ব্যাংক ব্যবস্থা সুদের উপর নির্ভর , সে দেশে সুদখোর কে নয় বলুন ? যাঁরা ব্যাংকে লেনদেন করেন তারা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন – তাঁরা সুদখোর নন ? বাংলাদেশে অনেক ইসলামী ব্যাংক হয়েছে , সেইসব ব্যাংকগুলোও সুদ থেকে মুক্ত নয়। কারণ , ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে গেলেই বাংলাদেশ সুদী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে ধর্ণা দিতে হয়। তাই যে ব্যাংক ব্যবস্থা সুদ থেকে মুক্ত নয় , সেই ব্যাংক ব্যবস্থায় যাঁরা লেনদেন করেন তাঁরা বলতে পারবেননা তাঁরা সুদের উর্ধ্বে।
তাছাড়া , বাংলাদেশে এমন কোন ব্যাংক নেই যা সুদ গ্রহণ ও প্রদান করেনা। বাংলাদেশে এমন কোন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়নি যা সুদগ্রহণ করবেনা বলে বণ্ড দিয়েছে (অবশ্য ইসলামী ব্যাংকগুলো সুদ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্ঠা করে যাচ্ছে)। সেই হিসাবে সুদখোর হিসাবে যদি ডক্টর ইউনুছকে দোষী সাব্যস্থ করা হয় , তবে বাংলদেশের অপরাপর ব্যাংক প্রতিষ্ঠারাও একই দোষে দুষ্ট । কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোন কথা উঠছেনা কথা উঠছে ডক্টর ইউনছের বিরুদ্ধে ।
তারও একটা কারন , ডক্টর ইউনুছের ব্যাংক ব্যবস্থা দেশের অন্যান্য সুদী ব্যাংকগুলোর জন্য হুমকী স্বরূপ । সেসব ব্যাংক মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে জনগণের কাছ থেকে মোটা অংকের সুদ গ্রহণ থেকে আস্তে আস্তে পীছিয়ে পড়বে। আর এসব ব্যাংক কখনো গ্রামের খেতে না পারা ছখিনা – রহিমাদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেনি , করবেনা।
কারন এসব বাংক জানে এই সখিনা – রহিমাদের টাকা দিলে দু’দিনেই তাদের ব্যাংক বন্ধ করে দিতে হবে । তাই যদি সুদখোর ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ডক্টর ইউনুছকে দেশত্যাগে বাধ্য হতে হয় , তবে অপরাপর ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাগণ দেশে থাকা কোন যুক্তিতে ? ডক্টর ইউনুছ একা দোষী হবেন কেন ? যদি ডক্টর ইউনুছ গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা হয়ে সামান্য সামান্য সুদ গ্রহণ করে চোর সাব্যস্থ হন , তবে অপরাপর ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতাগণ বড় বড় সুদ গ্রহণেও ডাকাত সাব্যস্থ হবেননা কেন ?
আসুন নারীদের রাস্তায় নামানোর ব্যাপারে কিছু জানি। যদি ডক্টর ইউনুছ দেশের নারীদের রাস্তায় নামিয়ে থাকেন , তবে কেন নামিয়েছেন ? আর বাংলাদেশে যারা সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে, মডেলিং করানোর নামে, গায়িকা বানানোর নামে নারীদের বস্ত্রহরণ করে নারীদের উলঙ্গ শরীর প্রদর্শনের প্রদর্শনীর আয়োজন করছে , তারা কেন এভাবে নারীদের রাস্তায় নামাচ্ছে ?
ডক্টর ইউনুছনারীদের রাস্তায় নামালেও সেটা দেশের অভ্যান্তরে, ঘরের ভিতরে। আর যারা নারীদের উলঙ্গ শরীর প্রদর্শনের আয়োজন করছে , তারা নারীদের শুধু রাস্তায়ই নামাচ্ছেনা , তারা নারীদের বিশ্ব বাজারের উম্মুক্ত ময়দানে পণ্য স্বরূপ প্রদর্শন করছে , লেলিয়ে দিচ্ছে বিশ্ব জনতাকে তাদের কোমলাঙ্গ ভক্ষনে। যদি ডক্টর ইউনুছকে নারীদের দেশের অভ্যান্তরে রাস্তায় নামিয়ে দেশত্যগে বাধ্য হতে হয়, তবে যারা দেশের নারীদের বিশ্ব বাজারের পণ্যরূপে উলঙ্গ করে শো করছে , লেলিয়ে দিচ্ছে তাদের উপর বিশ্বজনতাকে - তাদের কি করা উচিৎ ? ডক্টর ইউনুছের বিরুদ্ধবাদীরা তার জবাব দিবেন কি ?
=========== 

ইতিহাসে ৩ জুলাই


ইতিহাসে ৩ জুলাই 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
----------------------  

দশম বর্ষে এনটিভি : ২০০৩ সালের এইদিনে - “সময়ের সাথে আগামীর পথে” স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলাদেশী এবং বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি (NTV ) । আজ চ্যানেলটির দশতম জন্মবার্ষিকী । এটি বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম চ্যানেলগুলোর মধ্যে একটি। চ্যানেলটি সংবাদ, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, নাটক, রাজনৈকিত অনুষ্ঠান দেখিয়ে থাকে। সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে এনটিভি বাংলাদেশের সেটেলাইট টিভি চ্যানেল হিসেবে আইএসও সনদ লাভ করে। ২০০৭ সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায়, এনটিভি যে ভবনটিতে অবস্থিত, তাতে আগুন লেগে যায়। এতে করে চ্যানেলটির সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
NTV Satellite down-link parameters ঃ Satellite - Apstar 2R, Orbital Location- 76.5° E , Transponder - C14A , Downlink Polarization – Horizontal , Modulation – QPSK , Downlink Frequency - 4175 MHz C-Band , FEC - ¾ , Carrier Type - MPEG-2 / DVB , Symbol Rate - 4285 Kb/s ।

আলাউদ্দিন আল আজাদের মৃত্যুদিবস : ২০০৯ সালের এইদিনে - বাংলাদেশের খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার, গবেষক আলাউদ্দিন আল আজাদ শুক্রবার রাতে ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসভবন রত্নদ্বীপে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে নরসিংদীর রামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা : গাজী আব্দুস সোবহান; মাতা : মোসাম্মাৎ আমেনা খাতুন; স্ত্রী : জামিলা আজাদ। তিনি ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

তাঁর প্রথম উপন্যাস তেইশ নম্বর তৈলচিত্র ১৯৬০ সালে ছাপা হয়। তিনি ১৯৪৭ সালে নারায়ণপুর শরাফতউল্লাহ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, রায়পুরা থেকে প্রবেশিকা , ১৯৪৯ সলে ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (কলা) , ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি অধ্যাপনা পেশায় যুক্ত হন।

১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ঈশ্বর গুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পাঁচটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা এবং পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। পেশাগত জীবনে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাঁর গ্রন্থ সমুহের মধ্যে - তেইশ নম্বর তৈলচিত্র , শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন, কর্ণফুলী , ক্ষুধা ও আশা , খসড়া কাগজ , শ্যাম ছায়ার সংবাদ , জ্যোৎস্নার অজানা জীবন , যেখানে দাঁড়িয়ে আছি , স্বাগতম ভালোবাসা , অপর যোদ্ধারা , পুরানা পল্টন , অন্তরীক্ষে বৃক্ষরাজি , প্রিয় প্রিন্স , ক্যাম্পাস , অনূদিত অন্ধকার , স্বপ্নশীলা , কালো জ্যোৎস্নায় , চন্দ্রমল্লিকা , বিশৃঙ্খলা । গল্প - জেগে আছি , ধানকন্যা , মৃগনাভি , অন্ধকার সিঁড়ি , উজান তরঙ্গে , যখন সৈকত , আমার রক্ত স্বপ্ন আমার । কবিতা – মানচিত্র , ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ , সূর্য জ্বালার স্বপন , লেলিহান পান্ডুলিপি। নাটক - এহুদের মেয়ে , মরোক্কোর জাদুকর , ধন্যবাদ , মায়াবী প্রহর , সংবাদ শেষাংশ। রচনাবলী - শিল্পের সাধনা , স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা বই , ফেরারী ডায়েরী উল্লেখযোগ্য।

তিনি পুরস্কার লাভ করেন – ১৯৬৪ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার , ১৯৬৫ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার , ১৯৭৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার , ১৯৮৩ সালে আবুল কালাম শামসুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার , ১৯৮৪ সালে আবুল মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার , ১৯৮৫ সালে লেখিকা সংঘ পুরস্কার , ১৯৮৫ সালে রংধনু পুরস্কার , ১৯৮৬ সালে অলক্তা সাহিত্য পুরস্কার , ১৯৮৬ সালে একুশে পদক , ১৯৮৭ সালে শেরে বাংলা সাহিত্য পুরস্কার , ১৯৮৯ সালে নাট্যসভা ব্যাক্তিত্য পুরস্কার , ১৯৮৯ সালে কথক একাডেমী পুরস্কার , ১৯৯৪ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণ পদক ।

স্বর্ণকুমারী দেবীর মৃত্যুদিবস : ১৯৩২ সালের এইদিনে - কলকাতা, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)এ বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতজ্ঞ, সমাজকর্মী ও সমাজ সংস্কারক - স্বর্ণকুমারী দেবী মৃত্যুবরণ করেন। স্বর্ণকুমারী দেবী ২৮ অগস্ট, ১৯৫৫ সালে কলকাতা, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)এ জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৫২ সালে হানা ক্যাথরিন মুলেনস তাঁর ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত প্রকাশ করে তিনি বাংলা ভাষার প্রথম ঔপন্যাসিকের মর্যাদা লাভ করেন। তিনিই ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম উল্লেখযোগ্য মহিলা সাহিত্যিক এবং প্রথম বাঙালি মহিলা ঔপন্যাসিক । ১৮৬৮ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা আদি যুগের সক্রিয় সদস্য , ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সেক্রেটারি , নদিয়া জেলার এক জমিদার পরিবারের শিক্ষিত সন্তান "রাজা" জানকীনাথ ঘোষালের সঙ্গে স্বর্ণকুমারী দেবী বিবাহ বন্ধনে হন।

১৮৭৬ সালে স্বর্ণকুমারী দেবীর প্রথম উপন্যাস দীপনির্বাণ প্রকাশিত হয়। ১৮৭৯ সালে তিনি প্রথম বাংলা গীতিনাট্য (অপেরা) বসন্ত উৎসব রচনা করেন। ১৮৭৭ সালে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ পারিবারিক পত্রিকা ভারতী চালু করেন। এই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেনদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর সাত বছর এই পত্রিকা সম্পাদনা করে পত্রিকা সম্পাদনের ভার স্বর্ণকুমারী দেবীর উপর ন্যাস্ত করেন। ভারতী পত্রিকা প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল ব্যাপী প্রকাশিত হয়।

১৮৮৯ ও ১৮৯০ সালে তিনি জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে অংশ নেন। তিনিই ছিলেন প্রথম মহিলা যিনি জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রকাশ্যে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৯৬ সালে তিনি অনাথ ও বিধবাদের সাহায্যার্থে ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে স্বর্ণকুমারী দেবী "সখীসমিতি" স্থাপন করেন। ১৮৯৮ সালে ভারতী ও বালক পত্রিকায় নিম্নলিখিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় : “সখীসমিতির প্রধান উদ্দেশ্য হল অসহায় অনাথ ও বিধবাদের সহায়তা করা। এই কাজ দু'ভাবে করা হবে। যেক্ষেত্রে এই সব বিধবা ও অনাথদের কোনো নিকটাত্মীয় নেই বা থাকলেও তাঁদের ভরণপোষণের ক্ষমতা সেই আত্মীয়দের নেই, তাঁদের ভরণপোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সখীসমিতি নেবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে সখীসমিতি তাঁদের যথাসাধ্য সাহায্য করবে। সখীসমিতি যে সব মেয়েদের পূর্ণ দায়িত্ব নেবে, তাঁদের লেখাপড়া শিখিয়ে স্ত্রীশিক্ষার প্রসার ঘটাবে। তাঁরা শিক্ষা সম্পূর্ণ করে অন্যান্য মহিলাদের লেখাপড়া শেখাবেন। সমিতি এই জন্য তাঁদের পারিশ্রমিকও দেবে। এইভাবে দু'টি উদ্দেশ্য সাধিত হবে। হিন্দু বিধবারা হিন্দুধর্মের অনুমোদনক্রমেই শ্রমদানের মাধ্যমে উপার্জনক্ষম হয়ে উঠবেন’’।

সংগঠন পরিচালনা কেবলমাত্র সদস্যদের চাঁদায় সম্ভব নয় অনুভব করে, তিনি বেথুন কলেজে একটি বার্ষিক মেলার আয়োজন করেন। এই মেলায় ঢাকা ও শান্তিপুরের শাড়ি , কৃষ্ণনগর ও বীরভূমের হস্তশিল্প এবং বহির্বঙ্গের কাশ্মীর, মোরাদাবাদ, বারাণসী, আগ্রা, জয়পুর ও বোম্বাইয়ের হস্তশিল্প প্রদর্শিত হয়। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের দেশজ পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা। সেই যুগে এই মেলা কলকাতার সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ১৯০৬ সাল পর্যন্ত সখীসমিতি সক্রিয় ছিল। "সখীসমিতি" নামটি রবীন্দ্রনাথের দেওয়া। সরলা রায়ের অনুরোধে সখীসমিতির অর্থসংগ্রহের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ "মায়ার খেলা" নৃত্যনাট্যটি লিখে মঞ্চস্থ করেছিলেন।

তাঁর রচিত রচনাবলীর মধ্যে ঃ উপন্যাস - দীপনির্বাণ , মিবাররাজ , ছিন্নমুকুল , মালতী , হুগলীর ইমামবাড়ী, বিদ্রোহ , স্নেহলতা , কাহাকে , ফুলের মালা ,বিচিত্রা ,স্বপ্নবাণী , মিলনরাতি । নাটক – বিবাহ উৎসব , রাজকন্যা, দিব্যকমল। কাব্যগ্রন্থ - গাথা, বসন্ত-উৎসব, গীতিগুচ্ছ। বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধ – পৃথিবী উল্লেখযোগ্য। ১৯২৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণকুমারী দেবীকে "জগত্তারিণী স্বর্ণপদক" দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯২৯ সালে তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। (আমাদের বাংলাদেশী নারী অধিকার (সমানাধিকার) প্রাপ্ত নারীরা আশা করি এ নারীর কর্মজীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজ দেশগঠনে ভুমিকা পালনের চেষ্ঠা করবে)।

বোরকা খুলতে বাধ্য করে মহাজোট সরকারের দিনবদলের পুলিশ : ২০০৯ সালের এইদিনে - বোরকা পরার অপরাধে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগরে ছাত্রলীগের বখাটে কর্মীদের প্ররোচনায় পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে তিন তরুণীকে গ্রেফতার করে। তারপর পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে তিন তরুণীকে ঢাকায় টিএফআই সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতারকৃত তরুণীদের বিরুদ্ধে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন অমর সিংহ। এ সময় তাদের বোরকা খুলতে বাধ্য করে মহাজোট সরকারের দিনবদলের পুলিশ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদেও কোনো জঙ্গি সংযোগের কাহিনী বানাতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাইনাল রিপোর্ট দিতে বাধ্য হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি থেকে অবশেষে তিন অসহায়, নিরপরাধ তরুণী মুক্তি পান।

চট্টগ্রামের ‘শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন বিভাগীয় স্টেডিয়াম’-এর নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ : ২০০৯ সালের এইদিনে - দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের দু’মেয়ে নূরজাহান আমিন ও রিজিয়া আমিন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ‘শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন বিভাগীয় স্টেডিয়াম’- এর নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর নামে নামকরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ।

সাংবাদিক সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি নয়, তিনি সমগ্র জাতির গৌরব। একজন জাতীয় বীরের নাম এভাবে মুছে ফেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নামে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করে আবার তা প্রত্যাহারের মাধ্যমে তার মহান কীর্তিকেই অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকায় প্রায় ৩০ একর জায়গার উপর নির্মিত এ ‘শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন বিভাগীয় স্টেডিয়াম’-এর নাম পরিবর্তন করে মহাজোট তথা আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয় ১ জুলাই , ২০০৯ বুধবার ।

পৃথিবীর নবম এবং পাকিস্তানের ২য় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ ৮১২৫ মিটার (২৬,৬৫৮ ফুট) উচ্চতার নাঙ্গা পর্বতের শীর্ষে সর্বপ্রথম : ১৯৫৩ সালের এইদিনে - পৃথিবীর নবম এবং পাকিস্তানের ২য় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ ৮১২৫ মিটার (২৬,৬৫৮ ফুট) উচ্চতার নাঙ্গা পর্বতের শীর্ষে সর্বপ্রথম একদল অস্ট্রীয় ও জার্মান অভিযাত্রী সর্বপ্রথম আরোহন করেন। নাঙ্গা পর্বত মানে "উলঙ্গ পর্বত"। আট-হাজারী পর্বতসমূহের মধ্যে এটি সবচেয়ে পশ্চিমে অবস্থিত।
১৯৫৩ সালের ৩ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে বুহল নাঙ্গা পর্বতচুড়ায় উঠার জন্য একাই বেড়িয়ে পরেন। শীর্ষে পৌঁছাতে হলে আরও ৪ হাজার ফুট পাড়ি দিতে হবে। তার সাথে অটো কেম্পারের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড ঠাণ্ডায়, ক্লান্তিতে বিষাদগ্রস্ত হয়ে তিনি ঘুমাচ্ছেন। হারমান বুহল একাই বেড়িয়ে গেলেন পর্বতচূড়ায় উঠতে। হারমান বিন নিদ্রায়, বিনা পানীয়ে, বিনা আহারে টানা ৪১ ঘণ্টা পর্বত আরোহণ করে শীর্ষে উঠলেন। এর আগে ৩১ জন একই কাজ করতে গিয়ে এখানে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সে ছিল এক অতিমানবীয় কাজ। ১৯৫৭ সালের ৩০ জুন হারমান বুহল কারাকোরাম পর্বতশ্রেণীর চোগলিসা শৃঙ্গে তুষারধ্বসে মারা যান। তার দেহ আর পাওয়া যায় নি।

জঙ্গে জামল বা উটের যুদ্ধ সংঘটিত : ৩৬(হিজরী) সালের এইদিনে - হযরত আলী (রাঃ )’র সৈন্য বাহিনী এবং একদল বিপথগামী ও সহিংসতাকামীর মধ্যে জঙ্গে জামাল বা উটের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে হযরত আলী(রাঃ)’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী দলটি পরাজিত হয়। বিদ্রোহী ঐ গোষ্ঠীটির নেতৃত্বে ছিল তালহা ও যুবায়ের। বর্তমান ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় বসরায় দুই পক্ষের মধ্যে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

ড: মোহাম্মদ মুয়িনের মৃত্যুদিবস : ১৩৫০(ফার্সি) সালের এইদিনে ইরানের বিখ্যাত সাহিত্যিক ও শিক্ষক ড: মোহাম্মদ মুয়িন মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ফার্সি ১২৯৩ সালে উত্তর ইরানের রাশত শহরে এক ধর্মীয় পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ড: মোহাম্মদ মুয়িনই হলেন ফার্সি ভাষা ও সাহিত্যে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জনকারী প্রথম ব্যক্তি। তিনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন বই ও অভিধান রচনায় মনোনিবেশ করেন। তিনি ছয় খন্ড বিশিষ্ট ফার্সি অভিধান রচনার মাধ্যমে ফার্সি ভাষাভাষীদের মাঝে অমর হয়ে আছেন।

ইহুদিবাদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুদিবস : ১৯০৪ সালের এইদিনে - বিশ্ব ইহুদিবাদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা থিয়োডর হার্যেল মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৮৬০ সালের এইদিনে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে জন্ম গ্রহণ করেন এবং পরে অস্ট্রিয়ায় যান। অস্ট্রিয়ায় অবস্থান কালে ইহুদিদের একত্রিত করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা তার মাথায় আসে। এরপর তিনি ১৮৯৫ সালের এইদিনে 'ইহুদি রাষ্ট্র' নামক একটি বই লেখেন এবং সেখানে ইহুদিবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এরপরই ১৮৯৭ সালে হার্জেল ও তার সহযোগীরা সুইজারল্যান্ডে এক সমাবেশের মাধ্যমে বিশ্ব ইহুদিবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। থিয়োডর হার্যেল ১৯০৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু তার সেই অন্যায় ও মানবতা বিরোধী চিন্তা ধারার আলোকেই পরে ফিলিস্তিনী ভূখন্ড জবর দখল করে অবৈধ ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা হয়।

লেখক ফ্রানয কাফকার জন্মদিবস : ১৮৮৩ সালের এইদিনে - অস্ট্রীয় কথাসাহিত্যিক, জার্মান ও চেক প্রজাতন্ত্রের বিখ্যাত উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক ফ্রানয কাফকা তৎকালীন অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের প্রাগ শহরে (বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী) একটি মধ্যবিত্ত জার্মান-ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত লেখকদের বই পড়তে পড়তে এক সময় তারও লেখার সাধ জাগে। তার বিখ্যাত গ্রন্থের মধ্যে দ্য মেটামোরফ্যাসিস, দ্য ট্রাইয়াল এবং দ্য কাসল অন্যতম। তিনি বিশ্বের সব কিছুকেই নেতিবাচক দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্লেষণ করেছেন। কাফকাকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কাফকা ১৯২৪ সালের ৩ জুন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

জেমস জিম ডগলাম মরিসন (দি লিজার্ড কিং, মি. মোজো রাইজিন) এর মৃত্যুদিবস : ১৯৭১ সালের এইদিনে - মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার, লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং কবি জেমস জিম ডগলাম মরিসন (দি লিজার্ড কিং, মি. মোজো রাইজিন) ২৭ বছর বয়সে প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন আমেরিকান রক ব্যাণ্ড দি ডোরস এর প্রধান গায়ক ও গীতিকার হিসেবে। তাকে রক সঙ্গীতের অন্যতম অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি বেশ কিছু কবিতার বই রচনা করেন এবং একটি তথ্যচিত্র, একটি স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ও তিনটি মিউজিক ভিডিওর নির্মাতা। মরিসন ৮ ডিসেম্বর, ১৯৪৩ সালে মেলবোর্ন, ফ্লোরিডা, ইউ.এস.এ-তে জন্মগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশী ক্রিকেট খেলোয়াড় সৈয়দ রাসেল (Rusty) এর জন্মদিন : ১৯৮৪ সালের এইদিনে - বাংলাদেশী ক্রিকেট খেলোয়াড় সৈয়দ রাসেল (Rusty) যশোর জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বামহাতি মিডিয়াম পেসবোলার সৈয়দ রাসেল (Rusty) । টেস্ট খেলায় তাঁর অভিষেক হয় ২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কলম্বোয় একদিনের খেলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (cap 44)। তাঁর দল ঃ ২০০১ - ২০১১ খুলনা বিভাগ, ২০১১ - বর্তমান বরিশাল বিভাগ, ২০১২(বর্তমান) – দূরন্ত রাজশাহী।

মনছবি : বাংলাদেশ ২০২৫ : ১৯৯৮ সালের এইদিনে - ‘মনছবি : বাংলাদেশ ২০২৫' রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।

আলজেরিয়ার স্বাধীনতা লাভ : ১৯৬২ সালের এইদিনে - আলজেরিয়ার স্বাধীনতা লাভ করে।

‘মাউন্টবাটেন পরিকল্পনা’ প্রকাশ : ১৯৪৭ সালের এইদিনে - ভারতবর্ষকে দুটি ডেমিনিয়নে বিভক্ত করার জন্য ‘মাউন্টবাটেন পরিকল্পনা’ প্রকাশ।

প্রথম রঙিন টিভি অনুষ্ঠান প্রচার : ১৯২৮ সালের এইদিনে - লন্ডনে জন বায়ার্ড প্রথম রঙিন টিভি অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করেন।

ট্রেড ইউনিয়নসমূহের আন্তর্জাতিক কংগ্রেস শুরু : ১৯২১ সালের এইদিনে - মস্কোয় বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়নসমূহের আন্তর্জাতিক কংগ্রেস শুরু হয়।

রঙ্গসাহিত্যিক অজিতকৃষ্ণ বসুর জন্মদিবস : ১৯১২ সালের এইদিনে - রঙ্গসাহিত্যিক অজিতকৃষ্ণ বসুর জন্মগ্রহণ করেন।

চেক সঙ্গীতস্রষ্টা লেইওস ইয়ানাচেকের জন্মদিবস : ১৮৫৪ সালের এইদিনে - চেক সঙ্গীতস্রষ্টা লেইওস ইয়ানাচেকের জন্মগ্রহণ করেন।

স্কট স্থপতি রবার্ট অ্যাডামের জন্মদিবস : ১৭২৮ সালের এইদিনে - স্কট স্থপতি রবার্ট অ্যাডামের জন্মগ্রহণ করেন।

আবদুল্লাহ আল ফারাবীর মৃত্যুদিবস : ১১৩৬ সালের এইদিনে - মুসলিম দার্শনিক আবদুল্লাহ আল ফারাবী ইন্তেকাল করেন।

মুয়াবিয়া ইবনে খোদাইজ (রা.) এর ওফাত দিবস : ৬৭২ সালের এইদিনে - সাহাবী হযরত মুয়াবিয়া ইবনে খোদাইজ (রা.) এর ইন্তেকাল করেন।

সাহল ইবন সাঈদ (রা.) এর ওফাত দিবস : ৬১০ সালের এইদিনে - সাহাবী হযরত সাহল ইবন সাঈদ (রা.) ইন্তেকাল করেন।================