আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১২

ভালোবাসার ভুত সওয়ার


ভালোবাসার ভুত সওয়ার
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------
আজ একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের চ্যাট চলছিল। প্রায় পাঁচমিনিট কথা বলার পর মেয়েটি হঠাৎ করে বললো -
" i love you " !
তখন ছেলেটি বললো - কি বললে , বুঝিনাই?
মেয়েটি এবার বাংলায় বললো - " আমি তোমায় ভালবাসি " !
ছেলেটি বললো - বুঝিয়ে বল, এখনও বুঝিনাই ?
মেয়েটি তখন বললো - " তুমি কি কানে কম শুন ? "
ছেলেটি বললো - " এইযে এতক্ষণ কথা বলে আসলাম তোমার কি মনে হয়েছে, আমি কানে কম শুনি ? "
- না, তাতো মনে হয়নি !
- তবে এখন মনে হবার কারণ ?
- সেটা তো আমিও বুঝছিনা, একটা কথা দুইবার দুইভাবে বললাম , তুমি বলছ বুঝনি।
- না বুঝলে বুঝে নাও , কেন আমি বুঝছিনা ?
- তবে কি তুমি ইচ্ছা করেই কথাটা বুঝতে পারছনা ?
- যদি বলি তাই ?
- তবে কেন ?
- তোমাদের ভালোবাসার প্রতি আমার প্রচন্ড ঘৃণা।
- কেন ?
- কেন এর উত্তর দিতে চাইনা।
- কেন ?
- এই উত্তরটা তোমার বুঝে আসবেনা।
- তুমি বল , দেখি বুঝে আসে কিনা ?
- তোমার খারাপ লাগবে।
- খারাপ লাগলে আমার লাগবে , তোমার ক্ষতি কি ?
- আমি চাইনা , তোমকে যা তা শুনাতে।
- যা তা মানে ?
- আমার মুখ ছুটলে তোমাকেও গালি দিতে হবে ।
- আমাকে গালি দিতে হবে কেন ?
- কারন , উত্তরটাই সেইরকম।
- তবে কি বলছ কাউকে ভালবাসা অন্যায় ?
- ভালবাসা অন্যায় নয়, ভালবাসার নামে ছলনা করা অন্যায় ।
- তুমি কি আমাকে ছলনাকারী ভাবছ।
- মনে কর তাই।
- তবে কি তোমার বিয়ে করার ইচ্ছে নেই ?
- সেটা কেন বলছ ?
- যখন কোন মেয়ের প্রতিই তোমার বিশ্বাস নেই , তবে বিয়ে করবে কিভাবে ?
- বিয়ে তো করেই ফেলেছি ।
- কি ?
- কি মানে ? তোমার বিশ্বাস হয়না ?
- না ।
- না হলে কি করা, বিয়ে তো আমি করেছি সেটাই সত্য।
- আমাকে নাচাচ্ছ।
- তোমাকে নাচিয়ে আমার কি লাভ ?
- সত্যিই কি বিয়ে করেছ ?
- তুমি যদি মিথ্যা মনে কর , তাতে আমার কিছু করার নেই।
- বয়স কত তোমার ?
- প্রকৃত বয়স ৪৩ বৎসর।
- মিথ্যা বলছ। তোমার ছবিতে তা বুঝায়না ।
- আমার ছবিতে কি বুঝায় ?
- তোমার বয়স ৩০শে উপরে নয় ।
- তাই ! তবে তো তোমাকে বিয়ে করতে পারি।
- সেইজন্যই তো বললাম - তোমায় ভালবাসি।
- থাক আমাকে ভালবেসে তোমার জীবন নষ্ট করতে হবেনা। আমি তিন সন্তানের জনক।
- আর নাচিওনা তো !
- তোমার যদি নাচতে ইচ্ছে হয় নাচো । কিন্তু মনে রেখো - আমি আমার সত্যটাই বলেছি।
- আমি বিশ্বাস করিনা।
- ঠিক আছে , আজ তুমি আমার প্রোফাইল ও বিস্তারিত দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিও , বিশেষ করে আমার ছবির এ্যালবামগুলো দেখতে ভুলবেনা।
- ওকে , ভাল থেকো।
- তুমিও ভাল থেকো। পারলে মাথা থেকে ভালবাসার ভুতটা তাড়িয়ে দিও।
- খোদা হাফেজ ।
- খোদা হাফেজ।
-------------

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

আমি চলার পথের অধীন


আমি চলার পথের অধীন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------

চলতে চলতে আজও রয়েছি চলার পথে
জানা হয়নি আজও এ চলার পথের শেষ যে কোথা ,
জনসমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছি অজানা লক্ষ্যে
জনৈক আমি পরিচয়হীন ,হয়নি তৈরী মোর কোন পরিচয় গাঁথা।
মানুষের মাঝে যাবেনা পাওয়া খুঁজে
এই আমার মতন অন্য কেহ,
সময়ের বিবর্তনে ক্ষয়ে ক্ষয়ে দাঁড়িয়েছে
রূপহীন জীবনের পাটাতনে আমার এই যে দেহ ।
হতাশার গ্লানী আর না পাওয়ার আক্ষেপ
জীবনকে আমার করে দিয়েছে মূল্যহীন ,
' আশাই জীবনের একমাত্র ভেলা '
হয়েছে তাই আমার জীবন এই চলার পথেরই অধীন।
======================

শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১২

‘শিয়া মতবাদের' ব্যবচ্ছেদ

UMAIA MOSQUE SIRYA - A MASJID OF SIA
‘শিয়া মতবাদের' ব্যবচ্ছেদ
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------


কেন আমার এ প্রবন্ধ লেখা ?

আমি ‘শিয়া মতবাদ’ সম্পর্কে ছিলাম সম্পূর্ণ অজ্ঞ। অর্থাৎ শিয়া নামে মুসলমানদের একটা বিতর্কিত দল আছে বিশ্বব্যাপী তা আমি জানতাম না। খবরের কাগজে দেখতাম ঢাকার বংশাল হোসেনী দালান থেকে মহররম পালনের উদ্দেশ্যে মুসলমানদের তাজিয়া মিছিল বের হচ্ছে । কিন্তু এইসব মুসলমানের আভ্যান্তরীন বিষয়ে ছিলাম সম্পূর্ণ অজ্ঞ। মনে পড়ে গেল সেই চিরন্তন কথাটি – “যে ভ্রমণ করেনি তার কিছুই জানা হলোনা”। সত্যিই তাই অনুভব করেছিলাম যেদিন বিদেশে এসে এইসব মুসলমানদের আভ্যান্তরীন বিষয়ে জানতে পারলাম। ১৬ই ডিসেম্বর ২০০০ ইং তারিখে দেশ ত্যাগ করে যখন সৌদি আরবের মদিনায় এসে কর্মস্থলে পৌঁছলাম, তখন জ্ঞান রাজ্যের দ্বার যেন মুক্ত হয়ে গেল। জানতে পারলাম এই শিয়া নামের বিতর্কিত মুসলীমের এ দলটি সম্পর্কে। বুঝতে পারলাম আমি যে স্পন্সরের হয়ে এখানে কাজ করতে এসেছি , সেই স্পন্সরই এ বিতর্কিত মুসলীমদের একজন।
২০০০ সালে যখন কর্মে যোগ দিলাম মুক্ত হতে থাকল এ দলের আভ্যন্তরিন দিক সমুহ। আমার স্পন্সরের ইসলামী আকিদা অনুসরণ আমাকে অবাক করলো, ভাবিয়ে তুলল আমায়। এ কোন ধরণের মুসলীম ? মনের অজান্তেই বের হয়ে এল এ প্রশ্ন! যাদের নামাজ পড়তে দেখি দুই ওয়াক্ত , তাও লুকিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে। তারা মুসলমানদের মসজিদে নামাজ না পড়ে মাটির নীচে লুকিয়ে নামাজ পড়ে। আরও কত কিছু দেখলাম যা সবই এই প্রবন্ধেই উল্লেখ রয়েছে । এসব দেখে আমি আমার ভিসা যার কছ থেকে কিনেছি তাকে জিজ্ঞেস করলাম – এগুলো কোন ধরণের মুসলীম । সে বললো এগুলো শিয়া মুসলীম ।এদের ইসলামী আকিদা আমাদের মত নয়। সেদিনই প্রথম জানলাম এ শিয়া মুসলীম সম্পর্কে। তারপর তাদের সম্পর্কে বিস্তারত জানার কৌতুহল জেগে উঠল মনে। সেই সুত্রেই দেশ থেকে ডাকযোগে ইসলামী ম্যাগাজিনগুলোর গ্রাহক হতে থাকি। সংগ্রহ করতে থাকি এ বিষয়ক বিভিন্ন বই–কিতাব। জানা হলো অনেক কিছু। আর এ সকল তথ্য দিয়েই এ প্রবন্ধের আয়োজন।

‘শিয়া মতবাদ’ কি ?

সাহাবায়ে কেরামের কাল থেকেই মুসলীম উম্মাহর মধ্যে ‘শিয়া’নামক একটা দল সৃষ্টি হয়ে মুসলীম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে রেখেছে*১। মৌলিকভাবে শিয়া একটি বিভ্রান্ত দলের নাম। এদের মধ্যে অনেক দল-উপদল রয়েছে*২।
প্রথমদিকে এ ফেরকাটি সৃষ্টির পেছনের কারণ রাজনৈতিক হলেও পরবর্তীতে ইসলামের মৌলিক আকিদা বিশ্বাসের ঠিক বিপরীত ধ্যান-ধারণা দ্বারা প্রচারিত হয়েছে*৩। তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর শাসনামলে আবদুল্লাহ ইবনে সাবা নামক ইয়েমেনের এক ইহুদী পণ্ডীত মুসলমানদের ছদ্মবেশে মদিনায় এসে মুসলমানদের মধ্যে দলাদলীর সৃষ্টি করে। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পর আবদুল্লাহ ইবনে সাবার দলটিই ‘শিয়া আন্দোলনকে’ একটি ধর্মীয় ফেরকায় রূপান্তর করে*৪।
‘শিয়া মতবাদ’ হলো মূলতঃ ইহুদী মতবাদের দ্বিতীয় সংস্করন*৫।ইসলামের প্রতি এক বিদ্বেষী মতবাদের নামই হলো ‘শিয়া মতবাদ’। শিয়া আকিদা যদি সত্যি হয় তবে ইসলাম হবে মিথ্যা। আর ইসলাম যদি সত্যি হয় তবে শিয়া মতাদর্শের বাতুলতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই*৬।

‘শিয়া মতবাদ’ উৎপত্তির মূলে ঃ
শিয়ানে আলী বা আলী (রাঃ)এর প্রতি নিবেদিত প্রাণদের দলটি ছিল শুরুতে একটি রাজনৈতিক মতভেদ মাত্র। হযরত রাসূলে কারীম (সাঃ)এর ওফাতের পর মুসলমানদের খলিফা কে হবেন , তা নিয়ে সৃষ্ট মতভেদ থেকে ক্ষুদ্র একটি দল হযরত আলী (রাঃ)কে খেলাফতের বৈধ উত্তরাধীকারী এবং তাঁর পূরববর্তী তিন খলিফাকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন বলে মনে করতো। এ ভিন্নমতটিই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের সীমা অতিক্রম করে ধর্মীয় আঁকার ধারণ করে*৭।
‘শিয়া মতবাদ’ হযরত(সাঃ)এর ওফাত দিবস থেকেই নবীর সহিত উম্মতের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটাতে এবং দ্বীনের মূলোৎপাঠনে স্বচেষ্ঠ। ফলে ইসলামের মোকাবেলায় ইহুদী কর্তৃক শিয়া ধর্মের উৎপত্তি ঘটে*৮। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল ইহুদী ষড়যন্ত্র। এরপর হযরত আলী(রাঃ)এর ওফাত। এরপর শিয়া ধর্মের উৎপত্তি। ইহুদী পণ্ডীত আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদীর চিন্তা-চেতনার আলোকেই এই ‘শিয়া মতবাদ’এর উৎপত্তি*৯।
ইসলামের চিরশত্রু এ ফিৎনা সৃষ্টিকারী ইহুদীদের মূলনায়ক মুনাফিক আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদী এবং তার মদদপুষ্টরা ইসলামের প্রবাহমান স্রোতধারাকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে এবং মুসলীম ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে দেয়ার নিমিত্তে হযরত আলী(রাঃ)এর প্রেমে মুগ্ধ হবার রূপ দিয়ে শিয়া ফেরকার ভিত্তি স্থাপিত হয়*১০।

‘শিয়া মতবাদ’এর ভিত্তি রচনাকারী মূল নায়কের পরিচয় ঃ
‘শিয়া মতবাদ’এর মূল উদগাতা ছিল ইহুদী তাত্বিক আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদী। ইয়েমেনের অধিবাসী এ ধূর্ত লোকটি তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর শাসনামলে মদীনায় আগমন করে নিজেকে একজন নিষ্টাবান মুসলমান রূপে প্রকাশ করে খলিফার নৈকট্য প্রাপ্তদের মধ্যে স্থান করে নিতে স্বচেষ্ঠ হয়। কিন্তু, উসমান(রাঃ) তার গতিবিধি দেখে সন্দিহান হয়ে তাকে দূরে সরিয়ে দেন। এ ব্যক্তিই পরে এমন একটি বক্তব্য দাঁড় করায় যে , হযরত নবী করীম(সাঃ)এর পর তাঁর বৈধ উত্তরাধীকারী ছিলেন হযরত আলী(রাঃ)। কিন্তু, চক্রান্ত করে তাঁকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যক্তি হযরত উসমান(রাঃ)এর বিরুদ্ধেও নানা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে থাকে*১১। ফলশ্রতিতে হযরত উসমান(রাঃ) দুষ্কৃতকারীর হাতে শাহাদত বরণ করেন।
আর এ আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদীই প্রথম ব্যক্তি যে প্রচার করেছিল যে , হযরত আলী(রাঃ) মৃত্যুবরণ করেননি, তিনি আবার ফিরে আসবেন। শুধু ক’দিনের জন্য একটি পর্বতের অপর প্রান্তে লুকানো অবস্থায় থাকবেন। তার এ চিন্তা-চেতনায় নির্ভর করে মুসলমানদের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টির স্থায়ী রূপ দেয়া হলো তাও ইহুদীদের হাতে*১২।

‘শিয়া মতবাদ’এর জন্মদিন ঃ

ঐতিহাসিক হিট্টির মতে – ১০ই মুহররম ‘শিয়া মতবাদ’এর জন্ম হয়*১৩।


বহুধাবিভক্ত ‘শিয়া মতবাদ’এ বিশ্বাসীরা ঃ

ইহুদী তাত্বিক আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদীর চিন্তা-চেতার ধারায় শেষ পর্যন্ত শিয়ারা একটা বিরাট দলে পরিণত হয়ে যায়। কালে কালে তারা ইসলামী আকিদা বিশ্বাসের সমান্তরাল নতুন আকিদা-বিশ্বাস , এবাদত পদ্ধতি এবং চিন্তা চেতনার সৃষ্টি করে*১৪। বিচিত্র বিশ্বাসের অনুসারী হয়ে তারা পরবর্তীতে বহুধাবিভক্ত হয়ে বিভিন্ন উপদলে অস্থিত্ব লাভ করে। এমনকি ৭০(সত্তর) এরও অধিক উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়। এসব কোন কোন উপদলের বিশ্বাস এতই জগণ্য যে, তাদেরকে কোন মাপেই মুসলীম উম্মাহর অংশ রূপে গণ্য করার উপায় নেই*১৫।
শিয়াদের বহুধাবিভক্ত উপদলের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী যে দল , সেটি হলো – ‘শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়া’। বর্তমানে এ দলটিই ‘শিয়া’ নামে পরিচিত। অন্যান্য উপদলগুলোর মধ্যে – দরুজী, হুমাইরী , গোরাবী দলগুলো অন্যতম*১৬।

‘শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়া’এর বিংশ খ্রীষ্টাব্দের ইমাম ঃ

বিগত বিংশ খ্রীষ্টাব্দে ‘শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়া’র পথ প্রদর্শক ও মহান নেতা ছিল ইরানী বিপ্লবের আহ্বায়ক আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনী*১৭।

শিয়াদের আকিদা-বিশ্বাস ঃ

• শিয়াদের মূল দল তথা ইহুদী পণ্ডীত আবদুল্লাহ ইবনে সাবার মতাদর্শীরা দাবী করে যে, খলিফা হবার অধিকারী ছিলেন হযরত আলী(রাঃ)। এটা তাঁর রাজনৈতিক অধিকার নয় , ধর্মীয় অধিকার। সাহাবায়ে কেরামের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট অংশ হযরত আলী(রাঃ)কে খলিফা রূপে মনোনীত না করে ধর্মচ্যুত হয়েছিলেন*১৮।
• শিয়াদের আরেক দল আরও একটু অগ্রসর হয়ে হযরত আলী(রাঃ) সম্পর্কে এরূপ ধারণা প্রচার করতে থাকে যে , প্রকৃত প্রস্তাবে হযরত আলী(রাঃ)ই নবী ছিলেন। ফিরিস্তা জীবরাঈল(আঃ) ভুলক্রমে ওহী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) র নিকট নাযিল করে ফেলেছিলেন*১৯।
• শিয়াদের আরেক দলের বিশ্বাস যে, কারবালার ঘটনার পর বিদ্রোহ ঘোষনাকারী নিখোঁজ হওয়া মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যাকে ইরাকের একটি পাহাড়ী অঞ্চলে সুরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। কেয়ামতের আগে দাজ্জালের মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদীর সহযোগী রূপে তাঁর আবির্ভাব হবে*২০।
• শিয়াদের উপদল সমুহের একটি বিরাট অংশের ধারণা – ইবলিশ শয়তান পৃথিবীর প্রতি ইঞ্চি জমিনে সিজদা করে সমগ্র ভূ-ভাগই নাপাক করে ফেলেছে। একমাত্র কারবালার ঐ অংশটুকুই এ অভিশাপ থেকে মুক্ত আছে, যে অংশে হযরত ইমাম হোসাইন(রাঃ) এবং আহলে বাঈতের সদস্যগণ তাবু স্থাপন করেছিলেন*২১।
• শিয়াদের ‘আকিদায়ে ইমামত’ হলো- ইসলামী আকিদা মতে একজন স্বতন্ত্র শরীয়াতধারী নবীর যে অর্থ , অবস্থান ও মর্যাদা; তাদের নিষ্পাপ ইমামেরও ঠিক একই অর্থ, মর্যাদা ও মহত্ত্ব*২২।
• শিয়াদের মতে, নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর সমগ্র সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে যাঁরা হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক(রাঃ)কে খলিফা পদে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর হাতে বাইয়াত নিয়েছিলেন , তাঁরা সকলেই কাফেরে পরিণত(নাউযুবিল্লাহ)। কেননা, তাঁরা নিষ্পাপ ইমাম হযরত আলী(রাঃ) এর হাতে বাইয়াত হন নাই। এটাই হলো শিয়াদের সাহাবায়ে কিরামের প্রতি বিদ্বেষ*২৩।
• শিয়াদের মতে, কিয়ামত পর্যন্তের জন্য নবী করীম(সাঃ) মানুষের হিদায়াতের উদ্দেশ্যে প্ররীত হয়েছিলেন- এটা সত্য নয়। নবী করীম(সাঃ) এর ওফাতের পর একদিনের জন্যও ইসলাম টিকে থাকেনি। কারণ, দীর্ঘ ২৩(তেইশ) বছরে ইসলামের যে সেনাদল তিনি নিজের ও উম্মতের মধ্যে সেতুবন্ধন রূপে তৈরী করেছিলেন, সে সেনাদলের গোটা জামাতই নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে (নাউযুবিল্লাহ)। শিয়াদের সাহাবায়ে কিরামের প্রতি বিদ্বেষের এটা আর একটা নমুনা*২৪।
• শিয়াদের মতে, কোরআন মজিদ অবিকৃত থাকেনি। বর্তমান আকারে যে কোরআন মজিদ মুসলমানদের হাতে আছে , তা নির্ভেজাল কোরান নয় বরং তা হযরত উসমান(রাঃ) কর্তৃক সংকলিত কোরআন*২৫।
• শিয়াদের প্রসিদ্ধ আলেম ও মুহাদ্দিস ‘নূরী তাবরছি’ কোরআনে কারীমের মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধনের প্রমাণের লক্ষ্যে একটি বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার নাম ‘ফছলুল খিত্বাব ফি এছবাতি তাহরীফে কিতাবে রাব্বিল আরবাব’। এ গ্রন্থে লেখা হয়েছে যে, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও রূপান্তরের ক্ষেত্রে কোরআনে কারীম তাওরাত ও যবুর , ইঞ্জিলের মতই (নাউযুবিল্লাহ)*২৬। এ কিতাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মূল কোরআনে কারীম যা নিয়ে হযরত জীবরাঈল(আঃ) রাসূলে কারীম(সাঃ) এর নিকট অবতীর্ণ হয়েছিলেন তার মধ্যে ১৭০০০(সতেরো হাজার) আয়াত ছিল। কিন্তু, বর্তমানে মুসলমানদের নিকট যে কোরআন শরীফ বিদ্যমান আছে , সে কোরআনের মধ্যে হযরত আয়শা(রাঃ) এর গণনানুযায়ী মাত্র ৬৬৬৬ (ছয় হাজার ছয়শত ছেষট্টি)টি আয়াত রয়েছে*২৭।
• শিয়ারা ইসলামের কলেমায় সন্তুষ্ট নয় বরং তারা কালেমার সহিত ‘আলী ওয়ালিউল্লাহ্ অছি রাসূলুল্লাহ ( আলী(রাঃ) রাসূল(সাঃ)এর একমাত্র ওয়ারিশ ও তাঁর সরাসরি খলিফা )’ প্রভৃতি বাক্য যোগ করে*২৮।
• শিয়ারা কারবালার ঘটনার পর থেকে মুহররম মাসের প্রথম দশ দিন শোকদিবস পালন করে*২৯।
• শিয়াদের উপদল – দরুজী, হুমাইরী, গোরাবী মতাদর্শীরা প্রচার করে যে, পবিত্র কোরানের একটি উল্লেখযগ্য অংশ হযরত ফাতেমা(রাঃ) এবং হযরত আলী(রাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছিল- সেই অংশটুকুই হচ্ছে আসল কোরআন*৩০।
• শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়্যার মতাদর্শীদের আকিদা-বিশ্বাস হলো- তারা হযরত আলী(রাঃ)কে খোদা বলে দাবী করে। সে জন্য তারা ‘ইয়া আলী মদদ’ বলে তাঁকে সম্বোধন করে এবং বলে যে – আল্লাহ তাআলা হযরত জীবরাঈল(আঃ)কে পাঠিয়েছিলেন হযরত আলী(রাঃ)কে নবী বানাতে। কিন্তু, জীবরাঈল(আঃ) ভুল করে মুহাম্মদ(সাঃ)কে নুবুওয়াত দিয়ে দেন*৩১।এদের আরো আকিদাগুলো হলো-
১। দু’একজন ছাড়া সব সাহাবীরাই কাফির (নাউযুবিল্লাহ)*৩২।
২। হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ) কাফির (নাউযুবিল্লাহ)*৩৩।
৩। হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ)কোরানের মুখালেফাত, বিরোধীতাকারী (নাউযুবিল্লাহ)*৩৪।
৪। শিয়াদের ইমামদের উপর ঈমান আনা নবীদের উপর ঈমান আনার সমান*৩৫।
৫। শিয়াদের ইমামদের হাতে জান্নাত-জাহান্নাম, তাদের ইমামরা যাকে ইচ্ছা জান্নাত ও জাহান্নামে পাঠাতে পারবে*৩৬।
৬। মুতা (কিছুক্ষণের জন্য) বিবাহ করা অনেক সওয়াবের কাজ, এটা কোন জেনা নয়*৩৭।
৭। হযরত আয়শা(রাঃ) জেনাকারিনী (নাউযুবিল্লাহ)*৩৮।
৮। বর্তমান কোরআন আসল কোরআন নয়, আসল কোরআন ৪০ পারা এবং ৬০ হাত লম্বা*৩৯।
৯। হযরত উমর(রাঃ) রাসূল(সাঃ)এর ঘরে আগুন লাগিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)*৪০।
১০। শিয়াদের প্রসিদ্ধ আলেম ও লেখক ‘বাকর মজলিসি’ তাঁর স্বীয় গ্রন্থ ‘হায়াতুল ক্বুলুব’এর মধ্যে উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়শা(রাঃ) ও হযরত হাফসা(রাঃ)কে বারবার মুনাফিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি তিনি একথাও লখেছেন যে, হযরত আয়শা(রাঃ) ও হযরত হাফসা(রাঃ) রাসূল(সাঃ)কে বিষপান করিয়ে শহীদ করে দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)*৪১।
১১। শিয়াদের প্রামাণ্য গ্রন্থ ’উসূলে কাফী’ তে কোরআনের আয়াত - ‘ওয়ালাকিন্নাল্লাহা হাব্বাবা ইলাইকুমুল ঈ’মানা ওয়াযাইয়্যানাহু ফি ক্বুলুবিকুম ওয়াকাররাহা ইলাইকুমুল কুফরা ওয়ালফুসুকা ওয়াল ইসইয়ান’- এর ব্যাখা প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে যে, আয়াতটির মধ্যে ‘ঈমান’ দ্বারা হযরত আলী(রাঃ)কে ও ‘কুফর’ দ্বারা ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর(রাঃ)কে এবং ‘ফুসক’ দ্বারা দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর(রাঃ)কে বুঝানো হয়েছে*৪২।
১২। ইসনা আশারিয়্যার বিংশ খ্রীষ্টাব্দের ইমাম খোমেনী তাঁর লিখিত ফার্সীগ্রন্থ ‘কাশফুল আসরার’ এর ধারাবাহিক আলোচনার মধ্যে প্রথম শিরোনাম স্থাপন করেন- ‘মুখালাফাতে আবু বক্কর বা নচ্ছে কোরআন’(কোরআনের সাথে আবু বক্করের বিরোধতা)। আর দ্বিতীয় শিরোনামে লিখেন - ‘মুখালাফাতে উমর বা কোরআনে খোদা (আল্লাহর কোরআনের সাথে উমরের বিরোধীতা)*৪৩।

শিয়াদের ব্যাপারে মুসলমানদের মতামত ঃ

১। যাঁরা হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ)এর চেয়ে হযরত আলী(রাঃ)কে উচ্চ মর্যাদাশীল রূপে বিশ্বাস করে, তাদেরকে কাফির বলা যাবেনা, তবে এ কারনে তারা ভুলের মধ্যে আছে*৪৪।
২। যারা মনে করে কোরআন শরীফ হুবহু নেই, কিছু বেশ কম হয়েছে এবং যারা মনে করে আল্লাহর আত্মা হযরত আলী(রাঃ)এর মধ্যে প্রবেশ করেছে- তাদেরকে মুসলমান বলা যাবেনা*৪৫।
৩। শিয়াদের ‘আকিদায়ে ইমামাত’ হযরত(সাঃ) এর খতমে নুবুওয়াতের বিরুদ্ধে এক প্রকাশ্য বিদ্রোহ এবং ইসলামের শাশ্বত বিধানের বিকৃতি সাধনে এক জগণ্য ষড়যন্ত্র। শিয়াদের এ ‘আকিদায়ে ইমামাত’ হলো ইসলামের সর্বস্বীকৃত ‘আকিদায়ে খতমে নুবুওয়াত’এর বিলুপ্তি সাধন করতঃ মিথ্যা নুবুওয়াতের চোরাপথ খোলার এক মন্ত্র রচনা। শিয়াদের ‘আকিদায়ে ইমামাত’ আদতেই দূর্বল ভিত্তির উপর প্রতিষ্টিত। যে কারনে বেশীদিন এর ভার রক্ষা করা যায়নি। ফলে তাদের ইমামগণের সিলসিলা ১২ নম্বরে সমাপ্ত করে শেষ ইমামকে এক অজানা গর্তে গায়েব করে দেয় ২৬০ হিজরীতে। তারপর সাড়ে ১১শত বছর গত হলেও এ পর্যন্ত কেহ জানেনা তাদের ১২তম ইমাম কোথায় কি অবস্থায় আছেন*৪৬।
৪। যেহেতু তিন খলিফা [হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ) এবং হযরত উসমান(রাঃ)] এর আমলে হযরত আলী(রাঃ) স্বয়ং আপন হাতে মুসলমানদের বাইয়্যাত গ্রহণের আহ্বান জানাননি, সেহেতু হযরত আলী(রাঃ)এর প্রতিও শিয়ারা ক্ষীপ্ত*৪৭।
৫। কোরআনের আয়াত – ‘আমিই এই কোরআনকে নাযিল করেছি এবং আমিই এর হিফাজতকারী’- আল্লাহর এ দৃঢ় বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ ও মিথ্যা সাব্যস্থকারী হলো শিয়াদের কোরআন বিকৃতির আকিদা*৪৮।
৬। কোরআনের আসল কপি ১২তম ইমামের সহিত অজানা গর্তে লুকিয়ে আছে, শিয়াদের এ আকিদা তাদের দু’চারজন আলেম ব্যতিত বাকি সকলরই স্বীকৃত*৪৯।
৭। ইসলামের প্রথম কালেমা ও কোরআনের প্রতি যেখানে আস্থা নেই , সেখানে তাদের মধ্যে ইসলামের কিছুই বাকি থাকতে পারেনা*৫০।
৮। যে সকল শিয়া নিম্নলিখিত আকিদায় বিশ্বাসী , তারা কাফের। আর যারা তাদের অনুসরণ করবে তারাও কাফের। কাফের সাব্যস্থকারী আকিদাগুলো হল –
ক) কোরআন পরিবর্তনের আকিদা।
খ) আল্লাহর উপর মিথ্যাচারর অপবাদ আরোপ।
গ) আম্বিয়ায়ে কিরামের প্রতি ‘তাকিয়া’ বা মুনাফেকির অপবাদ।
ঘ) হযরত আবু বক্কর(রাঃ), হযরত উমর(রাঃ) এবং হযরত উসমান(রাঃ) এর উপর কুফর ও মুনাফেকির অপবাদ আরোপ এবং তাঁদের সাহাবিত্ব ও খেলাফত অস্বীকার।
ঙ) শিয়াদের ইমামদেরকে নিষ্পাপ ও আলেমুল গায়েব রূপে বিশ্বাস পোষণ।
চ) খতমে নুবুওয়াত আকিদার অস্বীকার ইত্যাদি।
শিয়া সম্প্রদায়ের ইসনা আশারিয়্যা দলের লোকেরা উল্লেখিত আকিদাগুলো পোষণ করে বিধায় তারাও কাফের*৫১।
৯। শিয়ারা কারবালার বাইরে সিজদা করার জন্য কারবালার বিশেষ স্থানের মাটি সংগ্রহ করে এবং সেই মাটি দ্বারা ছোট ছোট চাকতি তৈরী করে চাকতীতে কপাল ঠেকিয়ে সিজদা করে। এমনকি পবিত্র মক্কার বাইতুল্লাহ শরীফ এবং মদীনার মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার সময়ও তারা সেই চাকতি ব্যবহার করে। অথচ এটা হাদীস শরীফের সুস্পষ্ট ঘোষণার বিপরীতে একটা বাড়াবাড়ি। কেননা, রাসূল(সাঃ) স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, আল্লাহ পাক সমগ্র ভূ-ভাগই আমার জন্য মসজিদ বা সেজদার স্থান সাব্যস্থ করেছেন*৫২।
১০। আবু হনিফা নামে হযরত আলী(রাঃ)এর কোন সন্তান ছিলনা। হযরত ফাতেমা(রাঃ)র ইন্তেকালের পর হানাফিয়্যা গোত্রের খাওলা বিনতে জাফর ইবনে কাইস নামীয় এক মহিলাকে হযরত আলী(রাঃ) বিয়ে করেছিলেন। এই মহিলার গর্ভে তাঁর যে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছিল তাঁর নাম ছিল মুহাম্মদ। বনি হানাফিয়্যার উক্ত মহিলাকে বিবি হানাফিয়্যা নামে ডাকা হতো বলেই তাঁর গর্ভজাত সন্তানকে মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা ডাকা হতো। কারবালার ঘটনার পর তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। এমনি এক যুদ্ধে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। শিয়া মতালম্বীরা তাঁর নিখোঁজ হবার ঘটনাটি নিয়ে নানা গল্পের সৃষ্টি করে। অথচ, ইসলামের ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য সুত্রগুলিতে এ ধরণের কোন তথ্যের উল্লেখ নাই*৫৩।

সবশেষে বলতে হয়, শিয়ারা একটা বিভ্রান্ত ফেরকা। এদের অধিকাংশই কাফের। প্রাথমিক অবস্থায় রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে বৃহত্তর মুসলীম উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও পরবর্তীতে আকিদা – বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও বড় ধরণের বিভ্রান্তিতে জড়িয়ে তারা মিল্লাতে ইসলামিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে*৫৪।
শিয়াদের মতাদর্শ সম্পর্কে পূর্ণ রূপে জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজন হবে আরও অধিক অধায়নের*৫৫।
==================

তথ্যসুতের বিবরণ ঃ

১। মাসিক মদীনা, জুলাই-২০০৩ সংখ্যা,

পৃষ্ঠা-৪৭ ,
সুত্র নং- ৪,৭,১৫,১৮,১৯,৫৪

২। মাসিক মদীনা, অক্টোবর-২০০৩ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-৪৬ ,
সুত্র নং- ১,১১,১৪,১৫,১৬,৩০

৩। মাসিক মদীনা, নভেম্বর-২০০৩ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-৫৭ ,
সুত্র নং- ২,৩,২১,৫২,

৪। মাসিক মদীনা, জুলাই-২০০৫ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-০৯ ,
সুত্র নং- ৯,১২,

৫। মাসিক মদীনা, সেপ্টেম্বর-২০০২ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-৫৯ ,
সুত্র নং-২০,৫৩

৬। দাওয়াতুল হক, মে-২০০২ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-৫৫ ,
সুত্র নং- ৪৪,৪৫

৭। দাওয়াতুল হক, অক্টোবর/নভেম্বর-২০০৩ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-৩৯,৪০,
সুত্র নং- ৬,৮,২৫,২৮,৪৬,৪৭,৪৮,৪৯,৫০

৮। দাওয়াতুল হক, নভেম্বর-২০০৩ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-৩৯ ,
সুত্র নং- ২২,২৩,২৪

৯। দাওয়াতুল হক, মার্চ-২০০৪ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-১৫,
সুত্র নং-১৩,২৯

১০। দাওয়াতুল হক, ফেব্রোয়ারী-২০০৫ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা-১২,৪০,
সুত্র নং- ৫,১০,১৬,১৭,২৬,২৭,৩১,৩২,৩৩,৩৪,৩৫,৩৬,৩৭,৩৮,৩৯,৪০,৪১,৪২,৪৩,

১১। দাওয়াতুল হক, মার্চ-২০০৫ সংখ্যা,
পৃষ্ঠা- ৩৯
সুত্র নং- ৫১

১২। ফাসলুন খিত্তাব
পৃষ্ঠা-৭০ ,
সুত্র নং-২৬,

১৩। কাশফুল আসরার
পৃষ্ঠা-১৭,১১৭,১৪৪,১৫০,১৭৬,৯৫০
সুত্র নং-৩৩,৩৪,৩৫,৩৭,৩৯,৪৩,

১৪। হায়াতুল ক্বুলুব
পৃষ্ঠা-৮৭০
সুত্র নং-৪১

১৫। উসূলে কাফী
পৃষ্ঠা-২৬৯
সুত্র নং-৪২

১৬। আহসানুল ফতোয়া
পৃষ্ঠা-৭৫
সুত্র নং-৪৪,৪৫

১৭। ফতোয়ায়ে আলমগিরীয়্যা দ্বিতীয় খন্ড
পৃষ্ঠা-২৬৩,২৬৪
সুত্র নং-৫১

১৮। সুত্র – ৫৫ এর জন্য দেখুন ঃ
ক) সুরা বাকারা , আয়াত-২
খ) সুরা হিজর, আয়াত-৯
গ) সুরা মু’মিনুন , আয়াত-৭
ঘ) মাসিক মুঈনুল ইসলাম,জুন-২০০২ইং সংখ্যা, পৃষ্টা-৪০
ঙ) মাসিক মুঈনুল ইসলাম,এপ্রিল-২০০৫ইং সংখ্যা, পৃষ্টা-৩১
চ) ফতোয়ায়ে শামী ৩য় খন্ড, ২৯৪ পৃষ্ঠা
ছ) আল মাওছুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ- ৩৫/১৪
জ) বাদায়ী- ৭/১০২,১০৩
ঝ) হাশিয়াতুস সিহাব – ৩/৩৭২,৩৭৩,৩৮৩,৩৮৪
ঞ) মিশকাত শরীফ – ১/১১
ট) গুণিয়াতুত্তালেবীন (আবদুল কাদের জিলানী রহঃ)
ঠ) তোহফায়ে ইসনা আশারিয়্যা (শাহ আবদুল আজীজ মুহাদ্দেস দেহলভী রহঃ)
=================

বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১২

অভিমানী ঝগড়া


অভিমানী ঝগড়া
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------
আজ এক মেয়ে বন্ধুর সাথে তুমুল ঝগড়া হলো । ঝগড়াটার একটা নাম দিলেই নয় । তাই নাম দিলাম " অভিমানী ঝগড়া " । ঝগড়াটা আর কিছুর জন্য নয় , নেটে এসে চ্যাটে ধরণা না দেয়ার শাস্তি ! তবে আর দেরী নয় , দেখুন আমাদের ঝগড়া।
আমি এক মিনিটের জন্য জরুরী প্রয়োজনে চ্যাট অপশনে অনলাইনে যখন আসি মেয়েটির ম্যাসেজ আসে :
- ম্যাসেজের রিপ্লায় না দিলে তোমার খবর আছে আজকে !
- এটা কোন ধরণের ম্যাসেজ ? আগে মানুষ সালাম দোয়া দেয় তারপর কিছু বলার থাকলে বলে । নেশা করে এসেছো নাকি ?
- তোমাকে সালাম দোয়া দিতাম আগে ! কাছে পাইলে চাবুক দিয়ে কসে মারতাম ।
- চাবুক কি ?
- পান্তা ভাতের ঘি ?
- বুঝেছি , আজ তুমি নশা করেই এসেছ । বড় লোকের বেটিরা এমনই হয়। নেশা চড়ে গেলে হুঁশ থাকেনা।
- হ্যাঁ আমি নেশা করেই এসেছি । তাতে তোমার কি ?
- আমার কি মানে ? তুমি আমাকে যা তা বলবে আর আমি শুনব ?
- শুনতে তো হবেই বাচাধন , শুনার মত কাজ যে কর তুমি !
- কি করেছি আমি ?
- ঈদ গেছে কয়দিন ?
- ঈদ কি ?
- তোমার মাথা ?
- আমার মাথা ঈদ হলো কেমনে ?
- কচি খোকা আমার ! সেটা বুঝনা দেখেই তো বুঝাতে চাইছি ।
- ঠিক আছে বুঝাও , আমার মাথা ঈদ হয় কেমনে ?
- প্রথমে একটা হেমার খুজে নাও ।
- তারপর ?
- তারপর হেমারটা দিয়ে তোমার মাথার উপরে জোরসে মার , বুঝবে তোমার মাথা কিভাবে ঈদ হল ।
- আমি তোমার মত নেশাখোর না, মাতাল হয়ে নিজেকে নিজেই শেষ করে দিতাম।
- ও তাই ! তবে ঈদ কি জিজ্ঞেস করলে কেন ?
- এর উত্তর দিতে গেলে তো তোমকে ভালভাবে বুঝাতে হবে ।
- ঠিক আছে বুঝাও ।
- আগে বল - অর্ধেক বুঝবে না কি পুরা বুঝবে ?
- যেটা ভাল হয় সেটা ।
- যদি তাই হয় , তোমাকে পুরাই বুঝাতে হবে ।
- ঠিক বুঝাও ।
- এভাবে কি বুঝানো যায় ?
- তবে কিভাবে বুঝানো যাবে ?
- তোমাকে আমার কাছে আসতে হবে , আমার সাথে খেতে হবে , আমার সাথে থাকতে হবে , আমার সাথে ঘুমাতে হবে । মোট কথা আমার সাথে ১২ বছর কাটাতে হবে আমার কাছে এসে ।
- ইয়ার্কী কর আমার সাথে ?
- ইয়ার্কী না সত্য বলছি ?
- তুমি না একটা ফাজিল।
- কি আমি ফাজল ? কি ফাজলামী করেছি তোমার সাথে ?
- এই যে , এগুলি যে বললে ফাজলামী ছাড়া আর কি ?
- সেটা ফাজলামী না , যা সত্য তাই বলছি । প্রবাসীদের কাছে ঈদ মূল্যহীন । তারা দেশ থেকে এসে প্রবাসী হয়ে ভুলে গেছে ঈদ কি ? আর কেন ভুলে গেছে সেটা বুঝতে হলে তোমাদের কে প্রবাসীদের সাথে জীবনযাপন করতে হবে । নয়তো বুঝবেনা। ঈদের দিনগুলোই তারা কত কষ্টে দিনযাপন করে তা তোমাদের বুঝে আসবেনা । তাই বলছিলাম - ঈদ কি ?
- সো সরি ! তোমাকে হার্ট করলাম ।
- না ঠিক আছে ।
- বল কি খবর , কেমন আছো ?
- আমরা তো ভালই , তোমার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো এসেছিলাম তোমার সাথে ঝগড়া করতে । এখন তোমার মনখুশি কিভাবে করা যায় , সে চিন্তাই করছি।
- থাক আর আমাদের জন্য চিন্তা করতে হবে না । তোমরা যারা দেশে আছ সুখেই থাক । তোমাদের সুখের মধ্য দিয়েই হোক আমাদের জীবনের পথচলা।
- দেশে এসে ঘুরে যাও ।
- আর দেশে ! ভাবছি আর দেশেই যাবোনা ।
- এমন করে বলনাতো ।
- কেমন করে বলতাম ? তুমি কি জাননা আমার খবর ?
- জানি বলেই বলেই তো বলছি , কয়েকদিন দেশে এসে মনকে ঠিক করে যাও।
- না বন্ধু , যে পরিস্থিতি মনে হয় দেশে আসা হবেনা বেশ কয়েকবছর। তবে কোরবানের পর একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারব। কোরবানের পর আমার ভিসা রেন্যুর তারিখ। ভিসা রেন্যু হলে দেশে আসার চিন্তাভাবনা করব। ভিসা রেন্যু না হলে স্পন্সর থেকে পালাতে হবে । তার পর বিশ ত্রিশ বছর যা থাকতে পারি , এখানে থেকে কিছু একটা করার চেষ্ঠা করতে হবে।
- আসলে তোমার জন্য খুব খারাপ লাগছে।
- খারাপ লেগে কি হবে ?
- তাও ঠিক , কি করতে পারব আমি , শুধুমাত্র তোমাকে শান্তনা দেয়া ছাড়া ।
- এটুকুই চাই , আর বেশী কিছু না ।
- ঠিক আছে , আমি আর থাকতে পারছিনা , নেটে আসলে ইনবক্সে ম্যাসেজ দিও। আর সম্ভব হলে ফোন করো।
- ওকে , ভাল থেকো।
- তুমিও ভাল থেকো ।
- ঈদ মুবারক ।
- ঈদ মুবারক ।
==========

অবশেষে আসলে তুমি


অবশেষে আসলে তুমি
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

[ ঘটনাটাকাল ১৯৯২ এর মাঝামাঝি সময় ]

সেঞ্চুরী মার্কেটের সম্মুখে আসার কথা ছিলো -
রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকতে কেমন যেন লাগলো;
বললাম - অপেক্ষা করবো কফি হাউসে।
সেই থেকে অপেক্ষা -
কফির কাপে চুমুচ্ছিলাম অবিরত
গুনছিলাম প্রতীক্ষার প্রহর
ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে।

অবশেষে আসলে তুমি
একটা লাল গোলাপ হাতে নিয়ে,
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো
তোমায় কাছে পেয়ে।

অপরূপা লাগছিল তোমায়
দৃষ্টিতীর নিক্ষিপ্ত হচ্ছিলো তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখে !
আলো - আঁধারির লেডিস ক্যাবিনটি
যেন আলোকিত হয়ে উঠলো হঠাৎই
তোমার প্রদীপ্ত আলোয়।
অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম
মুক্তার দানার মতো দাঁতের ফাঁক দিয়ে
বেরিয়ে আসা তোমার কথার শব্দমালার দিকে !
====================

মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১২

গোলাপেরও কাঁটা আছে


গোলাপেরও কাঁটা আছে
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

( নিজ হাতে বানানো , কাপড় দিয়ে তৈরী
কৃত্রিম গোলাপ দিয়ে প্রেম নিবেদনকারিনী
সেই “ ফারহানা ’’কে )

******************
ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে চেয়েছি সাজাতে একটা বাগান,
ধীরে ধীরে পায়ে পায়ে এনেছি বাগানের সব জোগান।
শত শত গাছ আর শত শত চারা -
সবগুলো লাগিয়ে হলাম মাতোয়ারা।
নানা গাছে নানা ফুল ফুটিয়া ভরিল,
তার মাঝে লাল গোলাপ হৃদি হরিল !
বড় দূর্বল ছিলাম আমি এ গোলাপের প্রতি,
সকাল বিকাল পানি দেয়া আর যত্ন ছিলো অতি।
ক্রমে আমার সে গোলাপ ভালো লেগে গেলো,
ভালো লাগা থেকেই তা ভালোবাসায় এলো।
ভালোলাগা ভালোবাসার সে ফুল নিয়ে
অপরকে আকর্ষণ করি হৃদয় দিয়ে।
দিনান্তে মাস আর মাসান্তে বছর এমনিই গড়িয়ে যায়,
দেখতে দেখতে জীবনের তিনটা বছর গেলো যে হারায়।
গভীর থেকে গভীর হলো ভালোবাসা তাতে,
জমে গেলো ভালোবাসা দু’জনার সাথে।
দু’জনার অদেখায় অবস্থা হয় বড় শোচনীয়,
ভালবাসার টান যে অতি লোভনীয় !
সত্যিই , এমন ভালোবেসে ফেলেছিলাম গোলাপটাকে,
ভুলেই গেলাম , গোলাপ গাছে যে কাঁটা থাকে !
মনের অজান্তে গেলাম একদিন লাল গোলাপের কাছে,
ভালোবাসার গল্পে মনকে শান্তি দেবার উদ্দেশ্যও আছে।
গোলাপ ধরতেই হঠাৎ কাঁটার আঘাত !
আমার হৃদয় তাতে জর্জরিত হলো -
এমনি ভাবেই হয় ভালোবাসায় ব্যাঘাত !
আমার তা নাহি জানা ছিলো।
============

সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১২

বাংলা গানের বিশ্বায়ন প্রসঙ্গে


বাংলা গানের বিশ্বায়ন প্রসঙ্গে
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------
আজকের একটা অভিজ্ঞতা বর্ণনা না করলেই নয়। আজকের ১০০টিরও উপরে ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পেলাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অমুসলীম ও মুসলীম শিল্পীরা ঈদের উপর যে গান গেয়েছেন তার তুলনায় আমাদের দেশের শিল্পীরা ঈদকে নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য গান পরিবেষন করেননি। আমাদের দেশের শিল্পীরা দেশকে শুধুমাত্র বস্তাপঁচা কিছু প্রেমের গান উপহার দেয়া ছাড়া জীবনমুখী কোন গান উল্লেখযোগ্যভাবে উপহার দিতে পারেননি। আর তারা দিতে পারবেনইবা কিভাবে ? যে দেশে নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করে ঈদের দিনেও রাস্তায় রাস্তায় বজ্রনিনাদ সাউন্ড সিস্টেম লাগানোর মাধ্যমে হিন্দী গান পরিবেষনে ব্যস্ত সেই দেশে এ ধরণের আশা বাতুলতা মাত্র। তবুও মনে করি আমাদের এখনও এমন কিছু শিল্পী রয়েছেন যাঁরা দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে তাদের হারানো ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চেষ্ঠা করবেন।
আমাদের দেশে আগে যে গানগুলো হতো সেগুলো ছিল গভীর অর্থবোধক জ্ঞান। অবশ্য এদিক দিয়ে অনুন্নত গান পরিবেষণে শিল্পীদের দোষ দেয়া যায় না , কারণ তারা গান রচনা করেননা , তারা অন্যদের রচিত গানে কন্ঠ দেন। কিন্তু আধুনীক যুগের বেশীর ভাগ শিল্পীরা একটা গান রচনা থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত সবকিছু নিজেরাই করেন। তাদের কাছে অনুন্নত গান পরিবেষণ কোনমতেই কাম্য নয় , অথচ সেসব শিল্পীদের কাছ থেকে অতীতের মত অর্থবোধক কোন মুল্যবান গান পরিবেষিত হচ্ছেনা , আশা করাও যাচ্ছেনা। ফলে বাংলাদেশের শিল্পীরা উন্নত বিশ্বে অনুন্নতই রয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান যুগে যারা প্রেমের গান রচনা করছেন , তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি - অতীতের প্রেমের গানগুলো দিয়ে আপনাদের প্রেমের গানগুলো বিচার করুন । তবেই বেরিয়ে আসবে আপনাদের হাত দিয়ে গানের অমরত্বতা। একজন শিল্পী মন্তব্য করেছিলেন ব্যান্ড সংগীত এসে গানের জগতকে করেছে কলুষিত। আসলেই ঠিক । ব্যান্ডের গানগুলোকে শুধুমাত্র চিল্লানী , গলা ফাটানী , অযৌক্তিক উশৃন্খলার আয়োজন ছাড়া আর কিছুই ভাবা যায় না। হয়তো মাঝে মাঝে দুই একটা গান ব্যান্ডগুলো ভাল করে। কিন্তু বেশীর ভাগই অর্থহীন চিল্লাচিল্লি রূপেই প্রদর্শিত হয়।
আজ দেশের ঈদ আয়োজনে হিন্দী গানের আয়োজন দেখে মনে হয়েছিল বাংলা গানের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে। এমন হলে দেশের বাংলা গানের শিল্পীদের গানের জগত থেকে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। অথচ বাংলা গানের শিল্পীরা এ অবস্থার বিরুদ্ধে কোন অবস্থান নিচ্ছেননা । তাতে মনে হচ্ছে হিন্দী গানের আছরে বাংলা গান বাদ দিয়ে বাংলা গানের শিল্পীরা অচিরেই হিন্দী গান গাইতে শুরু করবে। এভাবেই একদিন আত্মহত্যা করবে বাংলাগানের জগত । যেভাবে মরণ হয়েছে বাংলা সভ্য সমাজের সংস্কৃতি ।
বলছিলাম আমাদের দেশে ঈদের গান হয়না । ঈদের গান পরিচয়ে যে গানগুলো হয় , তা হচ্ছে তথা কথিত প্রেমের গান। আজ নেট ব্রাউজ করে কুমার শানুর "আজকে খুশির বাঁধ ভেঙ্গেছে , ঈদ এসেছে ভাই ঈদ এসেছে" ঈদের গানটি পেলাম । এ ধরণের গান আমাদের বাংলাদেশে কয়টি হয়েছে আমার জানা নেই। যদিও হয়ে থাকে হাতে গোনা একটি বা দুটি পাওয়া যেতে পারে। অথচ অন্যান্য দেশে এই ধরণের ঈদের গান রচিত হয়েছে অসংখ্য।
যদি আমাদের শিল্পীদের কাছ থেকে উন্নত গান প্রকাশ না হয় , তবে তারা বিশ্বমঞ্চে দাঁড়াবে ? কিভাবে হবে বাংলাদেশের বাংলা গানের বিশ্বায়ন ? এ বিষয়ে সঙ্গীতবোদ্ধাদের দৃষ্টি দেয়ার প্রয়োজন আছে কি ?
========================

ঈদ আনন্দে আমি


ঈদ আনন্দে আমি
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

বালিশটা ভিজে গেছে কান্নার জলে ,
ঈদটা জড়িয়ে গেছে কষ্টের গলে।
ঈদ আনন্দে ডুবেছি আজ ঘুমের ঢলে ,
বিছানাটা হারিয়েছে মোর সুখের তলে ।
সারাদিন শুয়েছিলাম খালি বিছানায় ,
ঈদ বলে আমার কাছে কিছু নাই ।
আজ তেইশটি ঈদ হারিয়েছি অভাবের টানাপোড়নে,
প্রবাস নীড়ে করেছি জীবন ক্ষয় সংসারের জোড়নে।
ভাবতে পারিনি ঈদের আনন্দ নিয়ে তেইশটি বছর ,
হয়নি তাই জীবনের আটহাজার তিনশত পঁচান্নব্বই দিনে সুখের দৃষ্টিগোছর।
============

শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১২

ঈদের শিক্ষা


ঈদের শিক্ষা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------

শাওয়ালেরই চাঁদ উঠেছে দেখো সবাই ঐ,
বাঁকা চাঁদটি আসলো আজি ঈদ আনন্দ লই।
খুশির দিনটি এলোরে আজ একটি বছর পর,
আনন্দেতে মাতবো সবাই আসবে যে আজ গায়ে খুশির জ্বর।
সবার ঘরে খুশির জোয়ার ভাসবে দেখো আজ,
বন্ধ হলো সবার ঘরে সবার সকল কাজ।


নতুন নতুন পোষাক পরে সাজবে ভোরে সকল,
ঈদের খুশি রাস্তাঘাটকে করবেরে কাল দখল।
ঈদগাহেতে যাবে সবাই ভোরে উঠে কাল,
ধনী গরীব থাকবেনা তায় দেখবো সবে এক মানুষের পাল।
সাম্য ঐক্যের মিলন হবে ঐ ঈদেরই মাঠে,
হিংসা বিবাদ ভুলে সবাই ঈদ বিনিময় করবে রাস্তাঘাটে।
আপন হয়ে করবে সবে পথশিশুদের দুঃখ দূর,
এতিম গরীব সকল শিশু ঈদ আনন্দে হবে বিভোর।


ঈদের শিক্ষা নবী(সঃ)’র দীক্ষা
করবে গ্রহণ আজ সবে,
কারো প্রতি কারো অবহেলা নয়
সকল মানুষ যেন হয় এক এইভবে।
--------------------------

ঈদ মুবারক


ঈদ মুবারক
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

চাঁদ চোখে পড়েছে খুশির জোয়ার এসেছে,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
আনন্দের দিন এসেছে।।
ঈদের সালাম জানায় সবে জানায় শুভেচ্ছা,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
সবার মনে জেগেছে আজ ঈদ আনন্দের ইচ্ছা।
চাঁদ দেখে সবাই আজ উল্লাসে যে মেতেছে,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
সোরগোল আজ উঠেছে।।

কালকে মোদের ঈদের দিন খুশি নিয়ে এসেছে,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
সবার মুখে ফুঠেছে।।
বড় ছোট ধনী গরীব ঈদ আনন্দে ভেসেছে,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
ঈদটা যে আজ সবার জন্য এসেছে।
মুসলমানদের ঘরগুলো আজ ঈদের সাজে সেজেছে,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
খুশির দিন আজ এসেছে।।

ত্রিশ রোজা শেষ হয়েছে আজ ঈদ যে এসেছে,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
আজকে খুশির ঢল যে নেমেছে।।
ভাইয়ে ভাইয়ে মিলন হবে হিংসা বিদ্বেষ থাকবেনা,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
আজকে কেউ শত্রুতা ভেদাভেদ রাখবেনা।
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে মিলন হবার দিন এসেছে,
ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক
সবাইকে আজ এক করনে আজকের ঈদ এসেছে।।
=====================

অপরিচিতার ফোনকল


অপরিচিতার ফোনকল
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------
আজ হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে একটা অপরিচিত কল আসল দুপুরে। আমি সাধারণতঃ অপরিচিত নাম্বারের কল রিসিভ করিনা। যেসব বন্ধুবান্ধব আমার কাছে কল করেন তাদের সব নাম্বার এন্ট্রি করা আছে। আর যারা নতুন ভাবে কল করতে চান , তাদেরকে বলে দেয়া হয় আপনার নাম্বারটা আগেই বলে দিবেন যাতে কোন সময় কল করলে আমি সহজই রিসিভ করতে পারি। এ ছাড়া নতুন কোন কল আমি রিসিভ করিনা। আজকের কলটাও আমি প্রায় দশবার রিং করার পর রিসিভ করতে বাধ্য হই। রিসিভ করে তো আমি অবাক। মেয়েটি এমন ভাবে কথা বলতে শুরু করল যেন সে আমার খুব কাছের একজন চেনা জানা কেউ। পরে কথা বার্তা শেষ হলে পরিচয় পাই তার। বাড়ি সিলেট , ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী। সিলেট টাউনেই বসবাস। দেখুন তার সাথে আলাপের খতিয়ান ।
- হ্যালো !
- তুমি কোথায় বলতো !
- আমি কোথায় মানে ! আপনি কে ?
- ন্যাকামী করোনা । তোমাকে ভাল করেই চিনি । মিথ্যা বলে পার পেতে পারবেনা !
- আচ্ছা ঠিক আছে , আগে আপনার পরিচয় দিন।
- আমার পরিচয় দিতে হবেনা । প্যাঁচাল বাদ দিয়ে ঈদ মোবারক জানাতে দেরী করছ কেন বলতো !
- আচ্ছা আপনি কি পাগল নাকি উন্মাদ বলেন তো ?
- জানি তো তুমি না চেনার ভান করে এভাবেই বলবে !
- আসলে সত্যিই আপনাকে আমি চিনতে পারছিনা।
- আর চিন্তে হবেনা। আচ্ছা তুমি কি আর পরিবর্তন হবেনা !
- আশ্চর্য তো ! আপনি আপনার পরিচয়টা দিচ্ছেননা কেন ? বললামনা আমি আপনাকে চিনতে পারছিনা। এভাবে আমাকে ডিস্টার্ব করবেননা তো। আপনি আমার পরিচিত কেউ হলে পরিচয়টা দেন নয়তো আমি কল অফ করছি।
- ঠিক আছে , কল অফ করবেননা প্লীজ ।
- তাহলে বলুন আপনি কে ?
- আমি আপনার একজন ফ্যান ভাবতে পারেন। ফেইসবুকে আপনার লেখা পড়ি । ভাল লাগে ।আর আপনার লেখা ভাল লাগতে লাগতে আপনাকেও ভাল লাগতে শুরু করল। যখন দেখলাম ফেইসবুকে আপনার ঈদ শুভেচ্ছা আসেনি । তখন একটু দুষ্টামী করলাম । মনে করেছিলাম ফেইসবুকে আপনার শুভেচ্ছায় আপনাকেও ঈদ শুভেচ্ছা জানাবো । কিন্তু তা না পেরে কল করে দেখলাম আপনাকে পাই কিনা ।
- ওহ সরি ! আপনার বাড়ি কোথায় জানতে পারি ?
- ঠিক আছে , সরি বলতে হবেনা , সরি তো আপনকেই বলতে হয় , আপনাকে অনেক্ষণ ডিষ্টার্ব করলাম। সো সরি, মনে কিছু নিবেননা প্লীজ। আমার বাড়ি সিলেট।
- ও তাই ! কি করেন আপনি ?
- আমি একজন কলেজ ছাত্রী ।
- কোন কলেজে পড়েন ?
- দুঃখিত এ উত্তরটি এখন দিতে পারছিনা।
- ঠিক আছে , কোন ইয়ারে ?
- ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে।
- নাইস ।
- থ্যান্কস। ওকে অনেক ডিস্টার্ব করলাম। এখন রাখি ।
- ঈদ মোবারক তো জানালেননা এখনও।
- ও তাইতো , ঈদ মোবারক।
- আপনাকেও।
- ভাল থাকবেন।
- আপনিও ভাল থাকবেন।
- আল্লাহ হাফেজ।
- আল্লাহ হাফেজ।
===========

শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১২

যখন তুমি


যখন তুমি
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

যেদিন তুমি গেছ চলে
হারিয়ে তোমায় কষ্ট পেলাম,
হঠাৎ করেই তোমায় আজি
কাছে পেয়ে ধন্য হলাম।।

কেন যে সেদিন গেলে চলে
পারিনি বুঝতে তাহা আজও আমি ,
দিয়েছিলে বড় ব্যথা সেদিন
হঠাৎ করে চলে গিয়ে তুমি।
যাবেই যখন তুমি ডাকিনি পীঁছু
শুনবেনা বলেই সেদিন বলিনি কিছু।
আজ এসেছো তুমি কাছে আমার
বলব যে আজ সব না বলা কথা ,
হৃদয়ের ব্যথা সব ঝাড়বো যে আজ
পাও যদিও তুমি মনে ব্যাথা।

তোমায় যখন নতুন করে কাছে পেলাম
ব্যথা ভরা হৃদয়ে আজ শান্তি পেলাম।।
----------------------------

গরীবদের জাকাত গ্রহণ ধনীদের জন্য একটা কল্যানকর অর্জন


গরীবদের জাকাত গ্রহণ
ধনীদের জন্য একটা কল্যানকর অর্জন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে জাকা গ্রহণ করতে গিয়ে গরীব মানুষরা মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন।এইভাবে জাকাতের নামে বড়লোকি
দেখানো ও মানুষ মারার আয়োজন না করে , যারা প্রকৃতই জাকাত দিয়ে তাদের জীবন ও সম্পদের ভুলত্রুটি সংশোধন করে নিজেদের কলুষমুক্ত করতে চান , তাঁরা সুন্দর একটা নিয়ম নীতির আলোকে এ জাকাত প্রদান করতে পারেন।
গরীবদের জাকাত গ্রহণ ধনীদের জন্য একটা কল্যানকর অর্জন। তাই যারা বা যে সব ধনীরা গরীবদের দূর্ভাগা বা গরীব বলে তাদেরকে জাকাত প্রদানের নাম দিয়ে তাদের তামাশা দেখার আয়োজন করে সেসব ধনীদের মত দূরভাগা ও নীচুমনের মানুষ আর নেই। অথচ এ কথা বুঝেও না বুঝার ভান করে তথাকথিত ধনীরা নিজেদের সম্পদশালী রূপে প্রকাশ করার জন্য গরীবদেরকে জাকাত প্রদানের নাম করে তাদের তামাশা দেখা ও গরীব মারার আয়োজন করে।
আমি এমন কিছু আল্লাহর বান্দাদের দেখেছি যারা যাকাত দেয়ার সময় হলে ধন সম্পদের সঠিক হিসাব নির্ধারণ করে যা যাকাত আসত তা গরীবদের একটা লিষ্ট করে তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিতেন। গরীবদের গরীব হিসাবে দেখানোর জন্য ঘরের বাহিরে লাইন ধরিয়ে তাদের প্রদর্শনীর আয়োজন করতেন না। তারা যে জাকাত প্রদান করতেন অন্য মানুষরা তা দেখতে পেতনা। যা শুধু আল্লহ ও যিনি জাকাত গ্রহণ করেছেন তিনিই দেখতেন।
আর এখন ধনীরা জাকাত দেন নিজেদের জাকাত দাতা হিসাবে মানুষদের প্রমাণ দেয়ার জন্য। জানিনা এসব জাকাত দাতাদের জাকাত প্রদান আল্লাহর কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য। অবশ্য এতে জাকাত দাতাদের একটাই উপকার হচ্ছে বলে আমার ধারণা - তা হলো তারা বড়লোক বলে মানুষের কাছে প্রমাণিত হচ্ছেন। মানুষরা তাদেরকে বড়লোক মনে করে ভয়ে সালাম দিচ্ছে।
কিন্তু জাকাত প্রদানের উপকারিতা এতে অর্জন হতে পারেনা , জাকাত প্রদান এ জন্যে নয়। জাকাত প্রদান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। ধনীদের এদিকে দৃষ্টি দিয়েই জকাত প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে । তবেই হবে তাদের জাকাত প্রদানের স্বার্থকতা।
--------------------------

শরতের রূপ


শরতের রূপ
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------

বর্যা হলো শেষ এবার শুরু শরতকাল,
কাশফুলেতে সাজবে পথ দেখবো এবার শিশির মাখা সকাল।
ভাদ্র হলো শুরু আজ আসলো শরতকাল,

শিউলী ফুল ফুটবে রাতে দূর আকাশে ভাসবে মেঘের পাল।
সোনা রোদের দিনগুলো সব লাগবে মধুর বেশ,
রূপ মনোহর তাক লাগিয়েই শরত-বিকেল শেষ।
শরত রাতের চাঁদের হাসি সুখে ভাসায় মন,
রংবেরং এর ঘুড়ির মেলায় সাজবে দিনে শরতের গগণ।
শিউলী ফুলের গাঁথবে মালা গ্রাম-কিশোরী সব,
সান্ধ্যবেলায় ঝিঁ ঝি পোকা করবে কলরব।
চিরল চিরল পাতা চিরে বাঁধবে বাসা সকল বাবুই পাখী ,
মাছরাঙ্গা বসবে ধ্যানে মাছ শিকারে তার চোখটা রাখি।
লুকোচুরি খেলা খেলবে সূয্যিমামা শরত মেঘের সাথে,
পথের ধারে জ্বলবে জোনাক অন্ধকার সব শরতের রাতে।
লাল সাদা শাপলারা সব হাসবে সবুজ পাতায় মুখটি টিপে,
ঝিরি ঝিরি বইবে বাতাস জনপদের শান্তি দ্বীপে।
শাকসব্জীর বীজ বুনবে মাঠে মাঠে সকল চাষী,
বিল ডোবাতে মিলবে দেখা কচুরিফানার ফুলের হাসি।
গ্রামবাসীরা উঠবে মেতে জ্যোৎস্না রাতের গল্পতে,
শুভ্রমেঘে চাঁদ লুকাবে মুচকি হেসে অল্পতে।
শরতের রূপ দেখবে যদি গ্রাম চলে যাও শহুরে সব,
মন পবনের নায়ে ভেসে শরতের রূপ করো অনুভব।
======================

মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১২

স্বপ্নদেবীর ভালোবাসায়


স্বপ্নদেবীর ভালোবাসায়
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------
( ভুমিকা ঃ- আজ একটা বিচিত্র স্বপ্ন দেখি – একটা চাকরীতে জয়েন্ট করার মাধ্যমে যখন মালিকের বাসায় আমাকে থাকতে দেয়া হয়, তখন মালিকের ছোট বোনের নজর পড়ে আমার উপর ! হঠাৎ রাত্রে মেয়েটি রান্না ঘরে উপস্থিত হয় একা। এটা ওটা নেয়ার ভান করে আমার সাথে কথা বলতে চায়।
উল্লেখ্য যে, ঐ রান্নাঘরটি আমাদের উভয়ের জন্যই। রান্নাঘরের সাথেই তিন রুমের একটা ঘরে আমাকে থাকতে দেয়া হয়। এই সুযোগে মেয়েটি রান্না ঘরে আসার ছল করে আমার দরজা টুকতে থাকে। দরজা খুলতেই ডুকে ড়ে আমার রুমে। আর শুরু করে আমার সাথে কথা। অনিন্দ্য সুন্দর যেন স্বপ্নদেবী এ মেয়েটির সাথে স্বপ্নে কথোপকথনের বর্ণনাই এ কবিতার উপলক্ষ্য – মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী )।
***********************

অপরূপা একটা মেয়ে স্বপ্নে দেখি আজ ,
গোলগাল মিষ্টিমাখা চেহারায় তার ছিল ভীষন লাজ !
“ক্যায়ফ আল হাল ইয়া হাবীবি ?’’*১
প্রশ্ন ছিল তার ,
“আলহমদুলিল্লাহ !’’*২
বলেই আমি জবাব দিলাম যার।
“ইন্তি ক্যায়ফ ?’’*৩
প্রশ্ন দিয়ে শুরু করলাম কথা ,
“আলহামদুলিল্লাহ,তাইয়্যাব !’’*৪
বলেই চোখগুলো তার নাচায় অযথা !
“লেইশ জি’তু ইন্দী ?’’*৫
প্রশ্ন করলাম আমি ,
“লেইশ হাজা সাওয়ালাক ?’’*৬
বলেই তার মুখটা গেল থামি !
“মাফি জ্বা’লান ইয়া হাবীবি।’’*৭
বুঝলাম তার মনে রাগ চলে এলো ,
“আনা আসফ্,ইছমা’-ইন্তি নিসা ওআনা ওয়াহেদ রিজ্বাল,ওনাহনু লাহাল।’’*৮
এ কথাতেই যেন মুখ থেকে তার মেঘটা সরে গেলো !
“লা,ইয়া হাবীবি,আনা মাফি জ্বা’লান,কালামাক সাহিহ্।’’*৯
এ কথাতেই দেখলাম তার পূর্বাবস্থা ফিরে এলো ,
“আনা হুব্বুক,জি’তু আনা জিয়ারাতাক শুয়াইয়া,মাফি সাই তানি।’’*১০
এভাবে এক নিঃশ্বাসেই সে তার ভালোবাসার কথা বলে গেলো !

এক স্বপ্নদেবীর সাথে আজ এভাবেই জড়ালাম ভালোবাসায় ,
চাকরীর জন্য ভাসলাম যেন আমি এক সর্বনাশায়।
*************************

নোটঃ- আরবীগুলোর বাংলা অর্থ
*১ – কেমন আছ বন্ধু ?
*২ – (ঐ)আল্লাহর প্রসংশা করছি (যিনি আমাকে উত্তম অবস্থায় রেখেছেন)।
*৩ – তুমি কেমন ?
*৪ – (ঐ)আল্লাহর প্রসংশা করছি (যিনি আমাকে উত্তম অবস্থায় রেখেছেন)। ভাল।
*৫ – আমার কাছে কেন এসেছো ?
*৬ – এ প্রশ্ন করছো কেন তুমি ?
*৭ – রাগ করোনা বন্ধু।
*৮ – আমি দুঃখিত। শোন-তুমি মেয়ে আর আমি একজন পুরুষ।আর এখন একা।
*৯ – না,বন্ধু ! আমি রাগ করিনি। তুমি ঠিক বলেছো।
*১০- আমি তোমায় ভালোবাসি।তোমায় একটু দেখতে এসেছি। আর কিছু নয়।
====================

রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১২

জীবনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে উপনিত হতে বে-আইনী হয়ে সৌদিতে অবস্থানের চেষ্ঠা করাই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত


জীবনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে উপনিত হতে
বে-আইনী হয়ে সৌদিতে অবস্থানের চেষ্ঠা করাই
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

আজ আমার ঘুমানোর সময়টায় ঘুমালামনা । নিমগ্ন হয়েছি নিজ জীবন ও পারিবারিক চিন্তায়। দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘন্টা বিছানায় এপাশ ওপাশ গড়াগড়ির মধ্য দিয়ে জীবনের সর্বশেষ বেঁচে থাকার লড়াইয়ে উপনিত হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর তা হচ্ছে । সৌদিতে আইনি ভাবে থেকে যখন জীবনাবস্থা পাল্টাতে পারিনি, আনতে পারিনি পারিবারিক জীবনের স্বচ্ছলতা, তাই বে-আইনি হয়ে যাব। যা হবে হউক স্পন্সরবিহীন হয়ে যাব।

স্পন্সরের কাছে ১২ বৎসর জীবনের মুল্যবান সময় কাটিয়ে দিয়ে যখন জীবন ও পরিবারের কোন কুল কিনারা হলোনা , তখন এ সিদ্ধান্তগ্রহণ ছাড়া আর কোন উপায় দেখছিনা। এখন জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার এটিই একমাত্র উপায় আমার জন্য। কারণ আমার স্পন্সরের কাছে ভবিষ্যত পুরো জীবন কাটিয়ে দিলেও আমার জীবন ও পরিবারের কোন কুল কিনারা হবেনা। তাই সর্বশেষ বেঁচে থাকার উপায় হিসাবে হজ্জের পর স্পন্সরহীন হয়ে সৌদিতে অবস্থানের চেষ্ঠা করাই উৎকৃষ্ট হবে মনে করছি।

যদিও এতে সৌদিতে অবস্থানের কোন নিশ্চয়তা নেই। আছে শত শত বিপদসঙ্কুল অবস্থার আয়োজন। যেমন যে কোনদিন ধরা পড়লে জেল কেটে দেশে চলে যেতে হবে চিরদিনের জন্য , দেশে টাকা পাঠানোর পথে প্রতিবন্ধকতা নিরন্তর , চাকরী পেতে সার্বক্ষণিক সমস্যা , ঘুমানোর জন্য বাসা ভাড়া করতে ভোগান্তি , চিকিৎসার জন্য হসপিটালে ভর্তি বা ডাক্তারের কাছে যেতে সমুহ বিপদ, বন্ধুত্বহীনতা , ছুটিতে দেশে যাওয়া যাবেনা কখনো , দেশে যাবার ইচ্ছা করলে একবারেই যাবার আয়োজন করতে হবে, ইত্যাদি হাজারো দুশ্চিন্তায় নিজেকে সার্বক্ষণিক মগ্ন রাখতে হবে।

তবুও মনে করছি আমার জন্য এ ছাড়া আর কোন পথ নেই। বে-আইনী হয়ে সৌদিতে অবস্থানের চেষ্ঠা করা ছাড়া জীবনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সর্বশেষ এইভাবে উপনিত হওয়া ছাড়া আমার আর কোন পথ খোলা নেই।
================