আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

অভিনন্দন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী


অভিনন্দন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী !
মুহাম্মদ জকারিয়া শাহনগরী
---------------------

অভিনন্দন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী !
অবশেষে আপনি জনতাকে আপনার দরবার পর্যন্ত গমনের সুযোগ দিলেন । দেশের নাগরিক পেল আপনার সাথে সরাসরি কথা বলার অধিকার। যে সুযোগ ইতিপূর্বে কোন সরকার প্রধানের কাছ থেকে দেশের জনগণ কখনো পায়নি, সুযোগটা আপনার কাছ থেকেই জনগণর প্রথম পাওয়া। গণতান্ত্রিক সরকারের একটা নমুনা দেখিয়ে দিলেন আপনি বিচক্ষণতার সহিত জনগণকে তাদের চাহিদা সরাসরি আপনাকে জানানোর জন্য নিজের মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানা প্রদান করে । এটা দেশের নাগরিকদের জন্য দেশপ্রধানের কাছ থকে কম পাওয়া নয় । কিন্তু দেশের নাগরিকদের প্রকৃত পাওয়াটা সেদিনই হবে যেদিন নাগরিকদের আবেদনকৃত চাহিদা আপনার দ্বারা তড়িৎ গতিতে পুরণ হবে।

এভাবেই দেখেছিলাম ইন্ডিয়ান একটা ফিল্মে একজন নায়কের ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে একটা দেশের সকল অনিয়মকে নিয়মবদ্ধ করার এবং সকল দূর্নীতিকে উচ্ছেদ করে নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত করার এক দুরূহ অভিযানের সাফল্য।
কিন্তু আপনার হাতে ২৪ ঘন্টা নয়, রয়েছে মূল্যবান একটি বছরের উর্ধ্ব সময়। আর এই একবৎসর সময় খুব একটা কম সময় নয় একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতার কাছে । এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখতে হবে , নেতা কখনো অন্যের নির্দেশে চলেনা , নেতা সবসময় অন্যকে নির্দেশ দেয় । আপনার ঘরে যারা অবস্থান করছে তারা সবাই আপনার নয় , তাদের মাঝেই রয়েছে আপনাকে ধ্বংস করার ছদ্ধবেশধারী কিছু লোক , যারা আপনার সৎ নেতৃত্বকে দাবিয়ে রাখতে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে । তাই একজন যোগ্য নেতার জন্য প্রয়োজন সবদিকে তীক্ন দৃষ্টি রাখা। আর সব দকের মধ্যে রয়েছে - সামনে-পীছে-ডান-বায়-চতু্কোণ-উর্ধ্ব-নিম্ন-গুপ্তাঙ্গ-জিহ্বা-কর্ণ-নাসিকা-চোখ ইত্যাদি। আশা করছি এই একবৎসরে নিজের যোগ্য নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে দেশ গড়ার কারিগর রূপে নিজেকে দেশের একজন সফল নেতা হিসাবে প্রতিষ্টিত করে যেতে সক্ষম হবেন এবং এ সফলতার অভিযানে তীক্ষ্ন দৃষ্টি রেখে সম্পূর্ণ নিজ মনের মতামত নিয়ে এ সফলতার অভিযান পরিচালনা করবেন। আর এ সফলতার অভিযানে রইল আপনার জন্য শুভকামনা ।

যে সকল নাগরীক তাদের অভিযোগ সরাসরি দেশপ্রধানের কাছে জানাতে চান তারা এই নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানায় জানাতে পারেন -
মোবাইল - গ্রামীণ নম্বর ০১৭১১৫২০০০০ এবং একটেল (বর্তমানে রবি) নম্বর ০১৮১৯২৬০৩৭১
ইমেইল ঠিকানা - Sheikhhasina@hotmail.com
==========================

ইতিহাসে ৬ জুলাই

ইতিহাসে ৬ জুলাই

মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

-----------------------


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু ঃ ১৯৫৩ সালের এইদিনে - রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে ৷ সেদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ছিলো মাত্র ১৬১জন৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ইতরাত হোসেন জুবেরী৷

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকার দেশের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে৷ রাজশাহীতে এ সময় স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়৷ ভাষা আন্দোলনের কিছুদিন আগ থেকেই রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বেশ জোরে শোরেই শুরু হয়৷ ১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়ে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ ১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের ভূবন মোহন পার্কেরাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রথম দাবি ওঠে রাজশাহী কলেজেই৷

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শহরের সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গনে সমবেত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পাস করার দাবি তোলে৷ এই দাবি পাঠিয়ে দেয়া হয় তত্‍কালীন এমএলএ ও মন্ত্রীদের কাছে৷ পরবর্তীতে ১৩ ফেব্রুয়ারি ভূবন মোহন পার্কেই অনুষ্ঠিত হয় আরও একটি জনসভা৷ ক্রমেই তীব্র হতে থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি৷ এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন ১৫ ছাত্রনেতা৷ পরে ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি ডেলিগেশন পাঠানো হয়৷ এভাবে একের পর এক আন্দালনের চাপে স্থানীয় আইন পরিষদ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়৷ এই আন্দোলনে একাত্ব হন পূর্ববঙ্গীয় আইনসভার সদস্য প্রখ্যাত আইনজীবী মাদার বখশ৷

১৯৫৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ভূবন মোহন পার্কে আরও একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাদারবখশ সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, যদি রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না হয় তবে উত্তরবঙ্গকে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ দাবি করতে আমরা বাধ্য হব৷ মাদার বখশের এই বক্তব্যে সাড়া পড়ে দেশের সুধী মহলে৷ টনক নড়ে সরকারেরও৷ অবশেষে ১৯৫৩ সালের মার্চ ৩১ প্রাদেশিক আইনসভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আইন পাশ হয়৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন মাদারবখশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য প্রফেসর ইতরাত হোসেন জুবেরীকে সঙ্গে নিয়ে৷ এ দুজনকে যুগ্ম সম্পাদক করে মোট ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়৷ আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৫৪ সাল থেকে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজে৷ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দফতর প্রতিষ্ঠা করা হয় পদ্মার তীরের বড়কুঠি নামে পরিচিত ঐতিহাসিক রেশম কুঠির ওপর তলায়৷ বড়কুঠির কাছেই তত্‍কালীন ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমিতে চিকিত্‍সাকেন্দ্র ও পাঠাগার তেরি করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীহ্মা নিয়ন্ত্রকের দফতর স্থাপন করা হয় জমিদার কুঞ্জমোহন মৈত্রের বাড়িতে৷ বড়কুঠিপাড়ার মাতৃধাম এ স্থাপন করা হয় কলেজ পরিদর্শক দফতর৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন ওসমান গনি ও প্রথম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিযুক্ত হন অধ্য আব্দুল করিম৷ শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া করা বাড়িতে গড়ে ওঠে ছাত্রাবাস৷ রাজশাহী কলেজ সংলগ্ন ফুলার হোস্টেলকে রুপান্তরিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস হিসেবে৷ বড়কুঠি এলাকার লালকুঠি ভবন ও আরেকটি ভাড়া করা ভবনে ছাত্রী নিবাস স্থাপন করা হয়৷

১৯৬১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয় মতিহারের নিজস্ব ক্যাম্পাসে৷ এই ক্যাম্পাসটি গড়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোয়ানি টমাসের স্থাপত্য পরিকল্পনায়৷ দক্ষিণ দিক দিয়ে ছুটে চলেছে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক, উত্তরের রেললাইনের মাঝে ছায়া ঢাকা সবুজ শ্যামলে ঘেরা এই ক্যাম্পাস৷ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লাইব্রেরীটি এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা এদেশের সর্বপ্রথম স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর৷ রয়েছে সাবাস বাংলাদেশ নামে একটি অপুর্ব শৈলির ভাষ্কর্য৷ আর রয়েছে গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য হিসেবে কর্মরত আছেন প্রফেসর আব্দুস সোবহান৷

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জড়িত হয়েছে বেশ কয়েকজন প্রতিথযশা ব্যাক্তিত্বের স্মৃতিতে৷ এখানে শিক্ষকতা করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত তাত্ত্বিক রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমর, প্রখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী ও সাহিত্যক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান, খ্যাতনামা ঐতিহাসিক ডেভিড কফ, নৃবিজ্ঞানী পিটার বাউচি, কারেন্স ম্যালেনি , জোহানা কর্ক প্যাট্রিক, বিশিষ্ট ঐতিহাসিক প্রফেসর আব্দুল করিম, রমিলা থামার , উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যক হাসান আজিজুল হক প্রমূখ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একমাত্র বাঙালি অকুতোভয় বীরসেনা ইন্দ্রলাল রায় ঃ ১৯১৮ সালের এইদিনে - প্রথম বাঙালি বিমান চালক, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একমাত্র ভারতীয় বৈমানিক, প্রথম মহাযুদ্ধের বিস্মৃতপ্রায় এক অকুতোভয় বীরসেনানী , ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর ১৯ বছর বয়সী তরুণ পাইলট - ইন্দ্রলাল রায় একটি জার্মান জঙ্গীবিমান ধ্বংস করার মাধ্যমে প্রথম বাঙালি ফাইটার পাইলট এবং প্রথম বাঙালি বা ভারতীয় ‘ফ্লাইং এইস’ হিসেবে আকাশযুদ্ধে প্রথম সফলতা লাভ করেন।

এরপর তিনি ৮ জুলাই তারিখে চার ঘন্টায় তিনটি, ১৩ জুলাই দুইটি, ১৫ জুলাই দুইটি, এবং ১৮ জুলাই তারিখে একটি শত্রুবিমান ধ্বংস করেন। তাঁর সর্বশেষ সাফল্য আসে ১৯ জুলাই তারিখে। ১৯১৮ সালের এদিন তিনি ডগফাইটের সময় একটি জার্মান জঙ্গীবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেন। এটি ছিল তাঁর দশম শত্রু বিমান শিকার, যে কৃতিত্বের জন্য তিনি পেয়েছিলেন ‘ফ্লাইং এইস’ (Flying Ace) উপাধি। এই উপাধি পেতে যেখানে সাধারণত পাঁচটি শত্রুবিমান ঘায়েল করাই যথেষ্ট, সেখানে তিনি খতম করেছিলেন দশটি ! আকাশ যুদ্ধের সেই প্রথম যুগে, তরুন এক ফাইটার পাইলটের মাত্র তের দিনের, ১৭০ উড়াল-ঘন্টার এক অতি সংক্ষিপ্ত লড়াই জীবনের পক্ষে এটি ছিল এক অসামান্য বীরত্বপূর্ণ কৃতিত্ব , যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। । ৬ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত মাত্র তের দিনে দশটি শত্রুবিমান ঘায়েল করে তিনি ঠাঁই পেয়ে যান ইতিহাসের পাতায়।

বরিশালের এক জমিদার পরিবারের সন্তান ইন্দ্রলাল রায় ১৮৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ব্যারিস্টার পি. এল. রায় ও মাতার নাম ললিতা রায়। ১৯১১ সাল পর্যন্ত তিনি কেনিংস্টন-এর সেন্টা পল'স স্কুল-এ পড়াশোনা করেন। বৈমানিক হিসেবে যোগদানের আগে তিনি সর্বশেষ ব্যালিওল বৃত্তি লাভ করেন। এই বৃত্তি নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েপড়াশোনা করতে যান। সেখানে তিনি পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। এরপর তিনি অক্সফোর্ডে পড়ার জন্য বৃত্তিলাভ করেন। কিন্তু অক্সফোর্ডে পড়তে না গিয়ে তিনি বিমানচালনার নেশায় ১৯১৭ সালের এপ্রিল মাসে ১৮ বছর বয়সে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনী (Royal Flying Corps)-তে অফিসার ফ্লাইং ক্যাডেট হিসেবে নাম লেখান।

একই বছরের ৫ জুলাই তারিখে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। পেশাগত প্রশিক্ষণশেষে তিনি ৩০ অক্টোবর ১৯১৭ তারিখে ফ্রান্সে যুদ্ধরত রাজকীয় ৫৬ স্কোয়াড্রনে যোগ দেন। ৬ নভেম্বর ১৯১৭ তারিখে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে তাঁকে মৃত ঘোষণা করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তিনি সেখানে হুঁশ ফিরে পান। তবে তাঁকে শারীরিক কারণে গ্রাউন্ডেড করা হয়। তারপর তিনি অনেক সাধ্য-সাধনা করে, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও, আবার সক্রিয় যুদ্ধে ফিরে যান এবং তাঁকে লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। ১৯১৮ সালের ১৯ জুন তারিখে তাঁকে ফ্রান্সে যুদ্ধরত রাজকীয় ৪০ স্কোয়াড্রনে বদলি করা হয়।

ইন্দ্রলাল রায় ছিলেন ব্রিটিশ রাজ এর অধীন রয়েল ফ্লাইং কর্‌প্‌স (এপ্রিল ১৯১৭ – জুলাই১৯১৮)এর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের পক্ষ হয়ে জার্মানির বিপক্ষে মিত্রশক্তির পক্ষে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযানে অংশ নেন এবং যুদ্ধবিমান চালনায় দক্ষতার পরিচয় দেন এবং ১৮ জুলাই তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। এই সাফল্যের জন্য ইংল্যান্ড সরকার তাকে মরণোত্তর ডিস্টিংগুইশ্‌ড ফ্লাইং ক্রস (Distinguised Flying Cross-ডিএফসি) সম্মানে ভূষিত করে।

কাটাখালী যুদ্ধ সংঘটিত ঃ ১৯৭১ সালের এইদিনে - শেরপুরের রাঙ্গামাটি গ্রামের ঐতিহাসিক কাটাখালী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে ঐতিহাসিক কাঁটাখালী ব্রীজ। ৭১ এর জুলাই মাসের চার তারিখ শনিবার ভোরে কোম্পানি কমান্ডার নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে ৫৩ জনের এক মুক্তিযোদ্ধা দল অবস্থান নেন মালিঝি ইউনিয়নের রাঙামাটি গ্রামে আতর আলীর বাড়ীতে। ৫ জুলাই রাতে সফলতার সাথে অপারেশন শেষ করে মুক্তিযোদ্ধারা দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে আশ্রয় নেয় খাটুয়াপাড়ার হাজী নঈমদ্দিন ও হাজী শুকুর মামুদের বাড়িতে। বাড়ির চারপাশে দিগন্ত বির্স্তৃত বিল আর একটি নদী। মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান টের পেয়ে এলাকার জালালউদ্দিন মিস্ত্রি ও তার ছোট ভাই হক আলী শেরপুরের কামারুজ্জামানকে এবং ঝিনাইগাতী আহম্মদ নগর পাকসেনাদের ক্যাম্পে খবর দেয় এবং তাদের পথ দেখিয়ে গ্রামে নিয়ে আসে।

এদিন সকালে কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই গ্রামে প্রবেশের একটি মাত্র কাঁচা সড়কের দু’দিক থেকে ব্যারিকেড দেয় পাকসেনা ও রাজাকার আলবদররা। গ্রামবাসীদের অনুরোধে মুক্তিযোদ্ধারা বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মরক্ষার্থে গুলি করতে করতে পিছু হটে। এ সময় পাক হানাদারদের বেপরোয়া গোলা বর্ষণে কোম্পানি কমান্ডার ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্র নাজমুল আহসান, তার চাচাত ভাই মোফাজ্জল হোসেন ও ভাতিজা আলী হোসেন শহীদ হন। বাকি মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান পেলেও, তাদের ৬০/৭০ জনকে কোমরে দড়ি বেঁধে লাঠিপেটা করতে করতে নিয়ে যাওয়া হয় বর্তমান খাটুয়াপাড়া বেসরকারী রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। আগুন লাগিয়ে দেয় বাড়িঘরে। ধর্ষণ করে নারীদের। অমানবিক নির্যাতন করে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে ৬ জন গ্রামবাসীকে। আহত হন অনেকে। দালালদের বাঁধার মুখে সেদিন লাশও দাফন করতে পারেননি শহীদদের স্বজনরা।

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে হত্যার প্রচেষ্টা ঃ ২০১১ সালের এইদিনে - জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে হত্যার প্রচেষ্টা করা হয়। এদিন বিরোধী দলের ৪৮ ঘণ্টা হরতাল চলাকালে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে পুলিশ তাকে বুটের আঘাত ও বেধড়ক পিটিয়ে রাজপথে রক্তাক্ত করে। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সেদিন ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরছিল। জীবন বাঁচাতে একপর্যায়ে দৌড়ে তিনি এমপি হোস্টেল ন্যাম ভবনের ভেতর আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সেখানে গিয়েও পুলিশ তার ওপর হামলা চালায়। নজিরবিহীন বর্বরোচিত এ হামলায় তিনি প্রায় মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

সেদিনের এ হামলা সম্পর্কে প্রখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ “আমরা দুঃখিত ও লজ্জিত জয়নুল আবদিন ফারুক’’ শীর্ষক তার কলামে লিখেন –“বর্বর পুলিশ জাতীয় সংসদ এলাকায় তার ওপর বারবার হামলা চালায়, দফায় দফায় লাঠিপেটা করে, বুট জুতা দিয়ে তার শরীর মাড়িয়ে দেয় এবং তাকে আছাড় মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে তিনি একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সে সময় তার জিহ্বা ঝুলে পড়ে। আমরা অতীব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম যে, এ দেশে আমাদের জাতীয় সংসদ এলাকার মধ্যে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ এবং আরও কয়েকজন সংসদ সদস্য পুলিশের হাতে অকল্পনীয়ভাবে নির্যাতিত ও জখম হওয়ার পরও জাতীয় সংসদ এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করল না বা স্পিকার নিজেও উদ্যোগ নিয়ে অন্তত সদস্যদের অধিকার কমিটিকে দুঃখজনক বিষয়টি দেখতে বললেন না। আমরা হতাশ হলাম।’’

ঘটনার পরদিন অধিকাংশ জাতীয় দৈনিক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশের পৈশাচিক নির্যাতনের খবর নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। দৈনিক আমার দেশের শিরোনাম ছিল -“ফ্যাসিস্ট সরকারের উন্মত্ততা, হত্যার উদ্দেশেই ফারুকের ওপর পুলিশি আক্রমণ’’, দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম ছিল -“পুলিশের লাঠিপেটায় রক্তাক্ত ফারুক”, দৈনিক প্রথম আলোর শিরোনাম ছিল –“ফারুককে কেন্দ্র করে উত্তাপ”, দৈনিক সকালের খবরের শিরোনাম ছিল –“ফারুকের জামা খুলে লাঠিপেটা”, নয়াদিগন্তের শিরোনাম ছিল –“হরতালে বেপরোয়া পুলিশ, রক্তাক্ত ফারুক” ইত্যাদি। এই হামলার নায়ক ছিলেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা এডিসি হারুন ও এসি বিপ্লব। সরকার এদের দু’জনকে পুরস্কৃত করেছিল। দিয়েছিল পদোন্নতি।

প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ জন্মগ্রহণ করেন ঃ ১৯৪৬ সালের এইদিনে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ নিউ হ্যাভেন, কানেক্টিকাট এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হবর পুর্বে ৪৬তম টেক্সাসের গভর্নর (জানুয়ারি ১৭ ,১৯৯৫ – ডিসেম্বর ২, ২০০০) ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর অভিষেক হয় জানুয়ারি ২০, ২০০১। তিনি ২০০০ ও২০০৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের বড় ছেলে এই জর্জ ডব্লিউ বুশ । কলেজ শিক্ষা শেষে বুশ পারিবারিক তেলের ব্যবসায় যোগ দেন এবং ১৯৭৮ সালে হাউজ অফ রিপ্রেসেনটিটিভের জন্য প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করে পরাজিত হন। পরবর্তিতে টেক্সাস রেঞ্জার বেসবল দলের যৌথ মালিকানা ভোগ করেন এবং টেক্সাসের গভর্নরের জন্য প্রচারণায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে আবার রাজনীতিতে ফিরে আসেন। ১৯৯৪ সালে অ্যান রিচার্ডসকে পরাজিত করে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর নির্বাচিত হন। ২০০০সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রতিদ্বন্দ্ব্বি হিসেবে এক বিতর্কিত বিজয় অর্জন করেন। দেশব্যাপী গণভোটে সর্বোচ্চ ভোট না পেলেও ইলেক্টোরাল ভোটে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পান।

রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার কর মওকুফ করেন এবং কোন শিশু আইনের বাইরে থাকবে না শীর্ষক আইন প্রণয়ন করে বিশেষ আলোচিত হন। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর ১১তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর তিনি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তারের তালেবান সরকারকে উৎখাত করার জন্য সেদেশে আগ্রাসন চালান। মূল উদ্দেশ্য ছিল আল কায়েদা ধ্বংস করে ওসামা বিন লাদেনকে আটক করা। ২০০৩ সালের মার্চ মাসে বুশ ইরাক দখলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন সেদেশে অবৈধ গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ঘোষণা ১৪৪১-এর পরিপন্থী। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা অজুহাত দেখিয়ে ইরাক দখল করলেও সেখানে কোন গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তার ঘোষণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। নিজেকে তিনি "যুদ্ধ রাষ্ট্রপতি" অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন। ইরাক যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে অনেকটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও ২০০৪ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। ইরাক যুদ্ধ বিষয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার স্বীকার হলেও তিনি প্রতিপক্ষ জন কেরির প্রচারণাকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে সক্ষম হন।

এই নির্বাচনের পর বুশের কঠোর সমালোচনা হতে থাকে। ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পরপর যেখানে বুশের পক্ষে জনগণের অবস্থান ছিল শতকরা ৯০ ভাগ সেখানে ২০০৭ সালের জুন মাসের হিসাবে তা শতকরা ২৬ ভাগে নেমে আসে। বিগত ৩৫ বছরে কোন মার্কিন রাষ্ট্রপতির জন্য এটিই ছিল সর্বনিম্ন। এর আগে হ্যারি ট্রুম্যান এবং রিচার্ড নিক্সন এর চেয়ে কম স্কোর করেছিলেন। বাল্য জীবনে বুশ ম্যাসাচুসেটসের অ্যানডোভারে অবস্থিত ফিলিপ অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা করেন। সেখানে নিয়মিত বেসবল খেলতেন এবং সিনিয়র থাকা অবস্থায় সেখানকার অল-বয়েজ স্কুল বেসবল দলের চিয়ারলিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বুশ পরবর্তিতে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে এখান থেকে ইতিহাস বিভাগে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। কলেজে সিনিয়র থাকাকালে বুশ স্কাল অ্যান্ড বোন সোসাইটি নামক একটি সংগঠনের সদস্য ছিলেন।

১৯৬৮ সালের মে মাসে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালে এর বিশেষ গুরুত্ব বিবেচনায় অতিরিক্ত সেনা সদস্য ভর্তি করা হচ্ছিল। পাইলটদের অ্যাপটিচুড পরীক্ষার সর্বনিম্ন মানের চেয়ে কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও বুশকে টেক্সাস এয়ার ন্যাশনাল গার্ডে ভর্তি করে নেয়া হয়। ১৯৭২ সালে বুশ নিজের ইচ্ছায় আলবামা এয়ার ন্যাশনাল গার্ডে বদলি হয়ে যান। উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার একটি রিপাবলিকান সিনেট প্রচারণা অংশ নেয়া। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে তাকে টেক্সাস এয়ার ন্যাশনাল গার্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে তার ছয় বছর ব্যাপী সার্ভিস অবলিগেশন সম্পন্ন করেন। এ সময়ে বেশ কিছু বিষয়ে তিনি অনিয়ম করেছেন এবং কয়েকটি সুবিধার অপব্যবহার করেছেন বলে প্রমাণ রয়েছে। এ সময় তিনি এতোটাই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন যে তার নিজের ভাষায় এ সময়টি ছিল তার জন্য দায়িত্বজ্ঞানহীন যৌবনের নোমাডীয় যুগ।

১৯৭৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অপরাধে তাকে মেইনের কেনেবাংকপোর্টে পরিবারের নিজস্ব গ্রীষ্মকালীন আবাস স্থলের নিকট থেকে আটক করা হয়েছিল। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১৫০ ডলার জরিমানা করা হয় এবং ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মেইনে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার পর বুশ টেক্সাসে পারিবারিক তেল ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৭৭ সালে বন্ধুদের মাধ্যমে তার সাথে লরা ওয়েল্‌চের পরিচয় হয় যে স্কুল শিক্ষক এবং গ্রন্থাগারিক ছিল। তারা বিয়ে করে টেক্সাসের মিডল্যান্ডে আবাস স্থাপন। বুশ নিজ পরিবারের এপিস্কোপাল চার্চ পরিত্যাগ করে স্ত্রীর ইউনাইটেড মেথডিস্ট চার্চে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে তিনি টেক্সাসের ১৯তম কংগ্রেশনাল জেলা থেকে হাউজ অফ রিপ্রেসেনটিটিভ্‌সের জন্য প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্ব্বী কেন্ট হ্যান্স টেক্সাসের গ্রামবাসীদের সাথে বুশের কোন সম্পর্ক নেই বলে অভিযুক্ত করেন। বুশ ৬,০০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান।

তিনি আবার তেল ব্যবসায় ফিরে যান, কয়েকটি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার এবং সিনিয়র অংশীদারের দায়িত্ব পান। ১৯৮৮ সালে বাবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারণায় সহায়তা করার জন্য বুশ পরিবারের সাথে ওয়াশিংটন ডি সি-তে চলে যান। প্রচারণাকাজ শেষে টেক্সাসে ফিরি গিয়ে ১৯৮৯ সালের এপ্রিল মাসে টেক্সাস রেঞ্জার্‌স বেসবল ফ্রাঞ্চাইজের একটি শেয়ার ক্রয় করেন। বাবার নামের সাথে পার্থক্য করার জন্য বুশকে মাঝেমাঝে জর্জ বুশ জুনিয়র নামে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু বাবা এবং ছেলের নাম আসলে এক নয়। বাবার নাম জর্জ হার্বার্ট ওয়াকার বুশ, আর ছেলের নাম জর্জ ওয়াকার বুশ। তাই বুশের নামের সাথে জুনিয়র যোগ করাটা সঠিক নয়। তার অন্য একটি ডাক নাম "ডুবিয়া"। এই শব্দটি আসলে তার মধ্য নামে উপস্থিত ডব্লিউ বর্ণের পূর্ণ রূপ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে প্রচলিত। এটি দ্বারাও বাবার সাথে তার নামের পার্থক্য করা যায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক সময় তাকে "বুশ ৪৩" এবং তার বাবাকে "বুশ ৪১" নামে ডাকা হতো।

চলচ্চিত্র পরিচালক মনি কাউলের মৃত্যু ঃ ২০১১ সালের এইদিনে - ভারতের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মনি কাউল দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে নয়াদিল্লীর নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে নতুন ধারা প্রবর্তনে তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। ১৯৭৯ সালে ‘উসকি রোটি’ নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তার তৈরি প্রথম ছবি 'উসকি রোটি' সারা ভারতে আলোড়ন তোলে। এরজন্য তিনি বেস্ট ফ্লিমফেয়ার ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ড পান। তিনি ১৯৮৯ সালে ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পান ‘সিদ্ধেশ্বরী’র (১৯৮৯) তথ্যচিত্রের জন্য। তার শেষ ছবি 'অ্যা মাঙ্কিজ রেনকোট' মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। ছবি তৈরি ছাড়া চিত্রশিল্পী আর ধ্রুপদী সঙ্গীতের গায়ক হিসেবেও খ্যাতি পান মনি কাউল। আশাদ কা এক দিন, ডুভিডা ও ইডিয়ট ছবির জন্য তিনি পুরস্কৃত হন। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। পরিচালক মনি কাউল জীবদ্দশায় ৬৬ বছরে নির্মাণ করেছেন হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমা এবং ডকুমেন্টারি। তিনি খ্যাতির পেছনে না ছুটে খুঁজেছেন শিল্প।

ঔপন্যাসিক গি দ্য মোপাসাঁর মৃত্যু ঃ ১৮৯৩ সালের এইদিনে - বিখ্যাত ফরাসি কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক গি দ্য মোপাসাঁ মৃত্যুবরণ করেন। গি দ্য মোপাসাঁ (৫ আগস্ট, ১৮৫০ - ৬ জুলাই, ১৮৯৩) ১৮৬৯ সালে মোপাসঁ প্যারিসে আইন বিষয়ে লেখাপড়া শুরু করেন, কিন্তু এসময় তাঁকে ফরাসি-প্রুশীয় যুদ্ধের কারণে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয় । এরপর ১৮৭২ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত তিনি সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে ফ্রান্সের নৌ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। ১৮৮০ সালে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে তাঁর সাহিত্যজগতে পদার্পণ। মাত্র এক দশক সাহিত্যচর্চার সুযোগ পান মোপাসাঁ।

এই সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি তিনশ' ছোট গল্প, ছয়টি উপন্যাস, বেশ কিছু কবিতা এবং তিনটি ভ্রমণকাহিনী লেখেন। দুর্ভাগ্যবশত তারুণ্যের শুরুতেই তিনি সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হন, যা তাঁকে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। শেষে মারাত্মক মানসিক বৈকল্যের শিকার হয়ে ১৮৯২ সালের ২ জানুয়ারি কন্ঠনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্যারিসের একটি প্রাইভেট অ্যাসাইলামে ভরতি করা হয়, এবং সেখানেই পরের বছর( ১৮৯৩ সালের ৬ই জুলাই), ৪৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এই প্রতিভাবান সাহিত্যিক। গাই দে মোপাসাঁ ছিলেন (১৮৫০---১৮৯৩) ১৯ শতাব্দীতে ফ্রান্সের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আধুনিক সাহিত্য সমালোচকদের অন্যতম। তিনি আজীবন পরিশ্রমী রচনা লেখেন, অবশেষে অতিরিক্ত ক্লান্তির ফলে মন্তিষ্ক-বিকৃতির শিকার হয়ে পাগলা গারদে ভর্তি হন। তাঁর প্রধান রচনা হলো "চর্বি বল", "স্বাভাবিক উষ্ণ প্রস্রবণসমূহ" এবং "সুন্দরী বান্ধবী" ইত্যাদি।

এডিবি মহাপরিচালক কুনিও সেঙ্গা ভারতকে করিডোর দেওয়ার পরামর্শ দেন ঃ ২০০৯ সালের এইদিনে - বাংলাদেশ সফররত এডিবি মহাপরিচালক কুনিও সেঙ্গা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ভারতকে করিডোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। এডিবির মহাপরিচালক বলেছেন,‘‘ভারতকে করিডোর দিলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’’

হংকং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর প্রতিষ্ঠিত ঃ ১৯৯৮ সালের এইদিনে - হংকং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। সবচেয়ে সতেজ এবং এশিয়ার একমাত্র পদপ্রার্থী হিসেবে হংকং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর "বিংশ শতাব্দীর দশটি শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যের" অন্যতম নির্বাচিত হয়। ১৫৫ বিলিয়ন হংকং ডলার ব্যয়ে নির্মিত হংকং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের মোট আয়তন ১২৪৮ হেকটর, এটি ৮৬টি ফুটবল মাঠের সমান, অর্থাৎ পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম স্থাপত্য।

হলোপাইপার আলফা অয়েল রিগ দুর্ঘটনা ঃ ১৯৮৮ সালের এইদিনে - জুলাই সমুদ্র উপকুল বর্তী হলোপাইপার আলফা অয়েল রিগ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এটা ছিল পৃথিবীর একক বৃহত্তম তেল উৎপাদক, প্রতিদিন ৩১৭.০০০ ব্যারেল তেল উৎপাদন হত এখানে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে মেইনটেনেন্স টেকনিশিয়ানরা ১০০ টি নিরাপত্তা ভাল্বস্ সংস্কার করেন । ভুল বশত: ০১ টি ভাল্বস্‌ প্রতিস্থাপন করতে ভুলে যায় । ঐ দিন রাত ১০.০০ টার সময় তেল উৎপাদন শুরু করলে দুই ঘন্টার মধ্যে ৩০০ ফুট লম্বা এই Oil Rig ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়। যার ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৬৭ কর্মীর প্রাণনাশ এবং $৩.৪ বিলিয়ন ডলার।

চীনের মহান বিপ্লবী চু দে ঃ ১৯৭৬ সালের এইদিনে - চীনের মহান বিপ্লবী, চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, চীনা গণ-মুক্তি-ফৌজের সর্বাধিনায়ক এবং সমরবিদ্যা-বিশারদ চু দে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি চীনের গণ-বিপ্লব এবং গঠনকাজের জন্য অতুলনীয় অবদান রাখেন। ১৯১১ সালের বিপ্লবে তিনি ইউন্নানে সশস্ত্র বিদ্রোহে অংশ নেন। ১৯১৫ সালে ইউয়ান মিকাইয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেন। ১৯২৭ সালে তিনি নানছাং বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। ১৯২৮ সালে চিংকাংশান পাহাড়ে গিয়ে লাল ফৌজের চতুর্থ বাহিনীর সেনাপতি হন। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর তিনি কেন্দ্রীয় গণ সরকারের ভাইস-চেয়ারম্যান, গণ-কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, চীন গণ প্রজাতন্ত্রের মার্শ্যাল হন।

পূর্ব আফ্রিকার মোলাওয়ি বৃটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ঃ ১৯৬৪ সালের এইদিনে - পূর্ব আফ্রিকার মোলাওয়ি বৃটেন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। অতীতে এই দেশটিকে নিয়াসাল্যান্ড বলা হতো। ১৮৫৯ সালে স্কটল্যান্ডের খ্রীষ্টান মিশনারীদের একটি গ্রুপ এবং বিখ্যাত বৃটিশ আবিস্কারক ডেভিড লিভিংস্টোন মোলাওয়িতে যান। এরপর সেখানে বৃটেনের উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বৃটেন এই অঞ্চলে পর্তুগাল ও জার্মানীর হামলা প্রতিহত করেছিল। ১৯৫৩ সালে নিজ উপনিবেশ গুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এবং এই উপনিবেশ গুলোতে লুণ্ঠন সহজ করার জন্য দক্ষিণ ও মধ্য আফ্রিকায় রোডেশিয়া ও নিয়াসাল্যান্ড ফেডারেশন গঠন করে। কিন্তু স্থানীয় অধিবাসীরা এই ফেডারেশন গঠনের বিরোধীতা করে। অবশেষে ১৯৬২ সালে জনতার ব্যাপক বিক্ষোব ও সশস্ত্র বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়লে ১৯৬৩ সালে এই ফেডারেশন বাতিল করা হয় এবং গঠিত হয় মোলাওয়ি প্রজাতন্ত্র। মোলাওয়ির আয়তন এক লক্ষ ১৮ হাজার ৪৮৪ বর্গ কিলোমিটার। তাঞ্জানিয়া, জাম্বিয়া ও মোজাম্বিক দেশটির প্রতিবেশী।

কমোরো দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীনতা অর্জন ঃ ১৯৭৫ সালের এইদিনে - আফ্রিকান কমোরো দ্বীপপুঞ্জ ফরাসী দখলদারিত্ব থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। অতীতে এই দেশটি ছিল আরবদের আওতাধীন এবং ফলে সেখানকার অনেক মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ষোড়শ শতাব্দীতে পুর্তুগীজরা দেশটি দখল করে এবং ১৮৪২ সাল থেকে ফরাসী উপনিবেশবাদীরা দেশটির কিছু অংশ দখল করে। এরপর ধীরে ধীরে পুরো কমোরো ফরাসীদের দখলে চলে যায়। অবশেষে কমোরোর জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯৭৫ সালে বিজয় অর্জন করে এবং দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে। কমোরো দক্ষিণ পূর্ব আফ্রিকায় ভারত মহাসাগরে অবস্থিত। দেশটির আয়তন ১৮৬২ বর্গ কিলোমিটার।

লুই পাস্তুরের রোগ প্রতিরোধক টীকা আবিস্কার ঃ ১৮৮৫ সালের এইদিনে - বিখ্যাত ফরাসী চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক টীকা আবিস্কার করেন। তার এ আবিস্কারের ফলে বিভিন্ন জন্তু ও বিশেষ করে কুকুর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম রোগগুলো সারিয়ে তোলার পথ সুগম হয়।

কবি দান্তে আলিঘিইরির জন্ম ঃ ১২৬৫ সালের এইদিনে - ইতালীর বিশ্বখ্যত কবি দান্তে আলিঘিইরি ফ্লোরেন্স শহরে জন্মগ্রহণ করেন। একজন বড় কবি বা সাহিত্যিক হওয়া ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন রাজনৈতিক কর্মকর্তা। তার লেখা অনেক কাব্যের মধ্যে ডিভাইন কমেডী বিখ্যাত। এই কাব্য পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৩২১ সালে তিনি মৃত্যুবরণ।

আগ্রা বিধ্বস্ত ঃ ১৫০৫ সালের এইদিনে - সিকান্দার শাহ লোদির রাজত্বকালে ভয়ানক ভূমিকম্পে আগ্রা বিধ্বস্ত হয়।

বিশ্বের প্রথম বিমানের আটলান্টিক পাড়ি ঃ ১৯১৯ সালের এইদিনে - বিশ্বের প্রথম বিমান (ব্রিটিশ আর-৩৪) আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা।

কথাশিল্পী উইলিয়াম ফকনারের মৃত্যু ঃ ১৯৬২ সালের এইদিনে - নোবলেজয়ী মার্কিন কথাশিল্পী উইলিয়াম ফকনার মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর প্রধান রচনা হলো "আওয়াজ ও পাগল"। তাঁকে ইউরোপীয় ও মার্কিন সাহিত্য মহলের আধুনিক উচ্চ শ্রেণীর লেখক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি নিথেতো আলকালা-থামোরারই তর‌্রেসের জন্ম ঃ ১৮৭৭ সালের এইদিনে - স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি নিথেতো আলকালা-থামোরাই তর‌্রেস জন্মগ্রহণ করেন। নিথেতো আলকালা-থামোরাই তর‌্রেস অল্পকালের জন্য দ্বিতীয় স্পেনীয় প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং এরপর ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফেব্রুয়ারি ১৮, ১৯৪৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

জর্জ সায়মন ও'মের মৃত্যু ঃ ১৮৫৪ সালের এইদিনে - জার্মান পদার্থবিদ জর্জ সায়মন ও'ম মিউনিখে মৃত্যুবরণ করেন। জর্জ সায়মন ও'ম মার্চ ১৬, ১৭৮৯ সালে লাঙ্গেন, জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮২৬ সালে তিনি ও'মের সূত্রস্থাপন করেন।

মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত ঃ ১৯৭৯ সালের এইদিনে - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়।

ব্যকরণবিদ কুরতুবীর মৃত্যু ঃ ৮২১ সালের এইদিনে - ব্যকরণবিদ কুরতুবী মৃত্যুবরণ করেন।

লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম ঃ ১৯৫২ সালের এইদিনে - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল।

মালায়ির (ন্যায়াসাল্যান্ড) স্বাধীনতা লাভ ঃ ১৯৬৪ সালের এইদিনে - তিয়াত্তর বছর ব্রিটিশ অধিকারে থাকার পর মালায়ি (ন্যায়াসাল্যান্ড) স্বাধীনতা লাভ করে।

প্রাচ্যবিদ্যা মহার্ণব নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম ঃ ১৮৬৬ সালের এইদিনে - বাংলা বিশ্বকোষের প্রথম সংকলক প্রাচ্যবিদ্যা মহার্ণব নগেন্দ্রনাথ বসু জন্মগ্রহণ করেন।
==============