আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩

শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি পরম শ্রদ্ধা ও তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁর প্রতি জানাচ্ছি অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী

শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে
তাঁর স্মৃতির প্রতি পরম শ্রদ্ধা ও তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করে
তাঁর প্রতি জানাচ্ছি অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী
- মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------------

এই দিনটি ফিরে আসলেই ভাসা ভাসা একটা স্মৃতি চোখে ভেসে উঠে। তখন ছিলাম খুবই ছোট। একদিন জানতে পারলাম আগামী কাল মেজর জিয়া আসছেন আমাদের এলাকায় কুতুবছড়ি খাল খননের উদ্বোধনে। সন তারিখ জানা নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠেই রেডি হয়ে রইলাম। সকাল ১০টার দিকে শুনতে পেলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই মেজর জিয়া আসবেন। রাস্তায় নেমে পড়লাম। অনেকের সাথে সাথে আমিও যাত্রা করলাম কুতুবছড়ি খালের দিকে। আমরা যখন পৌঁছলাম, তার আধাঘন্টা পরেই মেজর জিয়া আসলেন। খালখননের উদ্বোধন করতে নেমে গেলেন তিনি । নীজে কোদাল দিয়ে মাটি খনন করে পেরগ(মাটির ঝুরি) ভর্তে লাগলেন। মাটি ভরে ঝুরিটা একজনের মাথায় তুলে দিলেন। এই স্মৃতিটা এখনও আমার মনে ভাসে।
এই সেই বাংলার সাধারণ মানুষের কান্ডারী মেজর জিয়াউর রহমান , রাস্ট্রপতি জিয়ার রহমান। যাঁর উন্নয়ন কর্ম সহ্য করতে না পেরে সুযোগ সন্ধানীরা নবগঠিত বাংলাদেশের এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে একটি ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এদেশের কিছু স্বার্থবাদী-অর্থলিস্পু বিপথগামী সেনা সদস্যদের দিয়ে এই উদীয়মান কল্যানকামী রাষ্ট্রনায়ককে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করে। শেষ হয় একটি উন্নয়মুখী বাংলাদেশ সরকারের সফলতার পাঁচ বৎসরের একটা ঐতিহাসিক অধ্যায়। তাঁর হত্যান্ডের মধ্য দিয়ে এদেশকে চিরতরে পঙ্গু করার ষঢ়যন্ত্রে সফল হয় সুযোগ সন্ধানীরা ।
আজও বাংলাদেশের জনসাধারণ এই রাষ্ট্রনায়কের সফল সব কর্মসমুহ নিয়ে গর্বে কাতর। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে তাঁকে।
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এর প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাস্ট্রপতি, স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শ্রমিক-মেহনতি মানুষদের অকৃত্রিম বন্ধু, সফল সেনা ও রাষ্ট্রনায়ক, আদর্শবান সরকারী অফিসার, আধুনীক বাংলাদেশের রূপকার বা স্থপতি, দিশেহারা বাংলাদেশী জাতির দিশারী, বাকশক্তি-ব্যক্তি-সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দানকারী, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের প্রবক্তা, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল এলাকার বাংলাদেশের অতন্দ্র প্রহরী এবং অকুতোভয় বীর, মাতৃভূমিকে শকুনদের থাবা থেকে রক্ষাকারী লড়াকু সৈনিক, ক্ষুধা-দারিদ্র-শ্রেণীবৈষম্য ও নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী আমৃত্যু যোদ্ধা, বাংলাদেশী জাতীকে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড় করানোর স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বনির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি রচনাকারক, সততা-কর্তব্যনিষ্টা-দেশপ্রেমের মহান ধারক, তেজোদীপ্ত ও প্রজ্ঞাবান সফল রাস্ট্রনায়ক, সার্কের স্বপ্নদ্রস্টা, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটা টগবগে রাস্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে পরিণতকারী এই শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহদাত বার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।
-------------------------
***আমার এই শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানোর কারণে যদি কেউ আমাকে জিয়ার আদর্শচ্যুত বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এর সমর্থক মনে করেন , তবে তারা ভুল করবেন। কারণ , আমি জিয়ার আদর্শচ্যুত বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) কে সমর্থন করিনা। আমি সমর্থনকরি সেই জিয়ার সফল কর্মসমুহকে, আমি সমর্থনকরি জিয়ার সেই আদর্শ তার ১৯ দফার আন্দোলনকে।




























বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

শান্তি-সুখের সংবিধান : মহাগ্রন্থ আল কোরআন (আল কোরআন বাংলাদেশের ভবিষ্যত সংবিধান)

শান্তি-সুখের সংবিধান
মহাগ্রন্থ আল কোরআন
(আল কোরআন বাংলাদেশের ভবিষ্যত সংবিধান)
- মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------

মসজিদেরই মিনার হতে
আজান আসে ঐ,
মুসলীম আছে সবখানেতে
মুসল্লীরা কই ??

মসজিদ আছে খালি পড়ে
মুসল্লীরা নাই !
মুসল্লীরা কোথায় গেল ?
খুঁজিয়া না পাই !!
নামে মুসলীম সবাই আছে
কর্মে মুসলীম নাই,
ইসলামেরই রূপ কোথায়
তারে খুঁজে কোথা পাই ?

মুসলীম বলে পরিচয় দিই
ইসলামের কোন রূপটি লই ?
মুসলীম আছে বিশ্বজুড়ে
ইসলাম গেল কই ??

কোরআন আছে সবার ঘরে
কোরআন পড়িনা,
ইসলামেরই আইন আছে
সে আইন ধরিনা !
মানুষ গড়া সংবিধানে
চলছে সকল দেশ,
সে আইনে দেশ চালিয়ে
হচ্ছে ক্ষতি করছে দেশকে শেষ।
কোরআন মেনে দেখ তোমরা
মানো স্রষ্টারই বিধান,
দেশের কল্যান তাতেই আছে
সে যে স্রষ্টা দেয়া দান !
কোরআন হলো শান্তি-সুখের
আসল সংবিধান,
মানবগোষ্ঠীর কল্যানে তা
স্রষ্টা সেরা দান।।

ইসলামেরই বিধান মানো
দেখ শান্তি-সুখের সংবিধান যে ঐ,
সুখের রাজ্যে করো রে বাস
স্রষ্টার বিধান লই।।
==============

ইসলামী আইন ও নীতি অনুস্মরণ কর।
আল কোরআন ও আল হাদীসকে সংবিধান রূপে গ্রহণ কর।
তবেই তুমি সবকিছুতে পেতে পার শান্তি এবং সুখ।
***************************

FOLLOW ISLAMIC LAW , RULES AND MORALS. 

ACCEPT AL QURAN AND AL HADITH AS A CONSTITUTION.

SO, YOU CAN GET PEACE AND HAPPINESS AT ALL THINGS. 


PLEASE ACCEPT THE ISLAMIC LAW, RULES AND MORALS. 

AL QURAN IS THE LAST AND FINAL REVELATION OF ALLAH. 

AL QURAN IS THE SOLUTION OF THE PROBLEM OF MANKIND. 

AL QURAN IS FUTURE CONSTITUTION OF BANGLADESH 
=======================================

শনিবার, ২৫ মে, ২০১৩

কবির জন্মদিনে জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী - মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

কবির জন্মদিনে জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------
আজ জাতীয় কবি, সাম্য, দ্রোহ ও প্রেমের কবি 
কাজী নজরুল ইসলামের ১১৪তম জন্মবার্ষিকী। 
কবির জন্ম দিনে জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী। 
*************************

জাগরণী
কাজী নজরুল ইসলাম
-----------------

জাগো রে তরুণ জাগো রে ছাত্রদল
স্বতঃ উৎসারিত ঝর্ণাধারায় প্রায় জাগো প্রাণ-চঞ্চল
ভেদ-বিভেদের গ্লানির কারা-প্রাচীর
ধুলিসাৎ করি জাগো উন্নত শির
জবাকুসুম-সঙ্কাশ জাগে বীর,
বিধি নিষেধের ভাঙ্গো ভাঙ্গো অর্গল।
ধর্ম বর্ণ জাতির ঊর্ধ্বে জাগো রে নবীন প্রাণ
তোমার অভ্যুদয়ে হোক সব বিরোধের অবসান
সঙ্কীর্ণতা ক্ষুদ্রতা ভোলো ভোলো
সকল মানুষে ঊর্ধ্বে ধরিয়া তোলো
তোমাদের চাহে আজ নিখিল জনসমাজ
আনো জ্ঞানদীপ এই তিমিরের মাঝ,
বিধাতার সম জাগো প্রেম প্রোজ্জ্বল।
===============

ছাত্রদলের গান
কাজী নজরুল ইসলাম
------------------

আমরা শক্তি আমরা বল
আমরা ছাত্রদল।
মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান
ঊর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল।
আমরা ছাত্রদল।।

মোদের আঁধার রাতে বাধার পথে
যাত্রা নাঙ্গা পায়,
আমরা শক্ত মাটী রক্তে রাঙাই
বিষম চলার ঘাস।
যুগে যুগে রক্তে মোদের
সিক্ত হ’ল পৃথ্বীতল।
আমরা ছাত্রদল।।

মোদের কক্ষচ্যুত-ধূমকেতু– প্রায়
লক্ষ্যহারা প্রাণ
আমরা ভাগ্যদেবীর যজ্ঞবেদীর
নিত্য বলিদান।
যখন লক্ষ্মীদেবী স্বর্গে উঠেন
আমরা পশি নীল অতল!
আমরা ছাত্রদল।।

আমরা ধরি মৃত্যু রাজার
যজ্ঞ-ঘোড়ার রাশ,
মোদের মৃত্যু লেখে মোদের
জীবন–ইতিহাস!
হাসির দেশে আমরা আনি
সর্বনাশী চোখের জল
আমরা ছাত্রদল।।

সবাই যখন বুদ্ধি যোগায়
আমরা করি ভুল!
সাবধানীরা বাঁধ বাঁধে সব,
আমরা ভাঙি কূল।
দারুণ-রাতে আমরা তরুণ
রক্তে করি পথ পিছল!
আমরা ছাত্রদল।।

মোদের চক্ষে জ্বলে জ্ঞানের মশাল,
বক্ষে ভরা বাক্,
কন্ঠে মোদের কুন্ঠাবিহীন
নিত্য কালের ডাক।
আমরা তাজা খুনে লাল ক’রেছি
সরস্বতীর শ্বেত কমল।
আমরা ছাত্রদল।।

ঐ দারুণ উপপ্লবের দিনে
আমরা দানি শির,
মোদের মাঝে মুক্তি কাঁদে
বিংশ শতাব্দীর!
মোরা গৌরবেরি কান্না দিয়ে
ভ’রেছি মা’র শ্যাম-আঁচল।
আমরা ছাত্রদল।

আমরা রচি ভালোবাসার
আশার ভবিষ্যৎ,
মোদের স্বর্গ-পথের অভাস দেখায়
আকাশ-ছায়াপথ!
মোদের চোখে বিশ্ববাসীর
স্বপ্ন দেখা হোক সফল।
আমরা ছাত্রদল।।
=========

বিদ্রোহী
কাজী নজরুল ইসলাম
-----------------

বল বীর -
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমারি, নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর -
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,
খোদার আসন “আরশ” ছেদিয়া
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!
মম ললাটে রুদ্র-ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
বল বীর -
আমি চির-উন্নত শির!

আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,
মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর!
আমি দুর্ব্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃংখল!
আমি মানি নাকো কোনো আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম,
ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জ্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর!
আমি বিদ্রোহী আমি বিদ্রোহী-সূত বিশ্ব-বিধাত্রীর!
বল বীর -
চির উন্নত মম শির!

আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণী,
আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণী!
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।
আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,
আমি চল-চঞ্চল, ঠুমকি’ ছমকি’
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’
ফিং দিয়া দিই তিন দোল্!
আমি চপলা-চপল হিন্দোল!

আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’,
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,
আমি উদ্দাম, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর।
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।
বল বীর -
আমি চির-উন্নত শির!

আমি চির-দুরন্ত-দুর্ম্মদ,
আমি দুর্দ্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দ্দম্ হ্যায়্ হর্দ্দম্
ভরপুর মদ।
আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক, জমদগ্নি,
আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি!
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,
আমি অবসান, নিশাবসান।
আমি ইন্দ্রাণি-সূত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য্য,
মম এক হাতে-বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণ-তূর্য্য।
আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির।
আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।
বল বীর -
চির উন্নত মম শির।

আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক
আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক!
আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনা ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!
আমি বজ্র, আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,
আমি ইস্ত্রাফিলের শিঙ্গার মহা-হুঙ্কার,
আমি পিনাক-পাণির ডমরু-ত্রিশূল, ধর্ম্মরাজের দন্ড,
আমি চক্র ও মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ-প্রচন্ড!
আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা-বিশ্বামিত্র-শিষ্য,
আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব!
আমি প্রাণ-খোলা-হাসি উল্লাস, – আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস,
আমি মহা-প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আমি কভু প্রশান্ত, – কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,
আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্প-হারী!
আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল,
আমি উজ্জ্বল আমি প্রোজ্জ্বল,
আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল-ঊর্মির হিন্দোল্ দোল!

আমি বন্ধন-হারা কুমারীর বেণী, তন্বী-নয়নে বহ্নি,
আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম-উদ্দাম, আমি ধন্যি।
আমি উন্মন মন উদাসীর,
আমি বিধাতার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর!
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির-গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয়-লাঞ্ছিত
বুকে গতি ফের!
আমি অভিমানী চির-ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,
চিত- চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম পরশ কুমারীর!
আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা’র কাঁকন-চুড়ির কন্-কন্।
আমি চির-শিশু, চির-কিশোর,
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচলি নিচোর!
আমি উত্তর-বায়ু, মলয়-অনিল, উদাসী পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীনে গান গাওয়া!
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র রবি,
আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি! -
আমি তুরিয়ানন্দে ছুটে চলি এ কি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!
আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে
সব বাঁধ!

আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন,
আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব বিজয় কেতন!
ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া
স্বর্গ-মর্ত্ত্য করতলে,
তাজি বোরবাক্ আর উচ্চৈস্রবা বাহন আমার
হিম্মত-হ্রেস্বা হেঁকে চলে!
আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নেয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্নি, কালানল,
আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথর-কলরোল-কল-কোলাহল!
আমি তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি জোর তুড়ি দিয়া, দিয়া লম্ফ,
আণি ত্রাস সঞ্চারি ভুবনে সহসা, সঞ্চরি’ ভূমি-কম্প!
ধরি বাসুকির ফনা জাপটি’, -
ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি’!
আমি দেব-শিশু, আমি চঞ্চল,
আমি ধৃষ্ট আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!

আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,
মহা- সিন্ধু উতলা ঘুম্-ঘুম্
ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্ঝুম্
মম বাঁশরী তানে পাশরি’
আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।
আমি রুষে উঠে’ যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,
ভয়ে সপ্ত নরক হারিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!
আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!

আমি প্লাবন-বন্যা,
কভু ধরণীরে করি বরণিয়া, কভু বিপুল ধ্বংস-ধন্যা -
আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!
আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,
আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণি!
আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,
আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!

আমি মৃণ্ময়, আমি চিন্ময়,
আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়!
আমি মানব দানব দেবতার ভয়,
বিশ্বের আমি চির দুর্জ্জয়,
জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মথিয়া ফিরি এ স্বর্গ-পাতাল-মর্ত্ত্য
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!
আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে
সব বাঁধ!!
আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার,
নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!
আমি হল বলরাম স্কন্ধে,
আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।

মহা- বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব-ভিন্ন!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!

আমি চির-বিদ্রোহী বীর -
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!
=====================

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৩

হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষনার আনন্দে এক থাপ্পড়ে বন্ধুর নাক ফাটিয়ে দেয়া হল !! - মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষনার আনন্দে
এক থাপ্পড়ে বন্ধুর নাক ফাটিয়ে দেয়া হল !!
- মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
------------------------


এক লোক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তার পাশেই বসা ছিল তার এক বন্ধু। বসে থাকাটা বন্ধুটি দেখে তার ঘুমন্ত বন্ধুটি ঘুমের ভিতরেই দুহাত তুলে মুনাজাত করছে ! বসে থাকা বন্ধুটি তা দেখে অবাক ! সে আরও দেখতে পেল ঘুমন্ত বন্ধুটি বিড় বিড় করে কি যেন বলছে। হঠাৎ করেই ঘুমন্ত বন্ধুটি উত্তেজিত হয়ে উঠে তার মুখে একটা থাপ্পর মেরে দিল সর্বস্ব শক্তি দিয়ে ! সেই সাথে সে চোখ খুলে বসা বন্ধুটির দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল,তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। সে তড়িগড়ি করে উঠে বন্ধুকে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে বন্ধুটি বলল

- থাপ্পর দিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়ে আবার জিজ্ঞেস করছস আমার কি হয়েছে ?
= কি ! আমি তোকে থাপ্পর দিয়েছি ? আরে আমি তো স্বপ্নের মাঝে খুশিতে টেবিলে থাপ্পড় দিয়েছি !
- তুই টেবিলে থাপ্পড় দিছস না ! দেখ এখন কি অবস্থা ? শালা ! এত খুশি কিল্লাই কস ত ?
= সরি দোস্ত ! আরে আমি কি স্বপ্ন দেখেছি তুই ত জানস না। জানলে তুই শুধু টেবিলে থাপ্পড় না, পুরা টেবিলটাই ভাইঙ্গে ফেলতি।
- তাই ! শুনি কি সেই স্বপ্ন ?
= দাঁড়া আগে তোর রক্ত পড়া বন্ধ করার ব্যবস্থা করি ([চট্টগ্রামের ভাষায়] "তুআইন্যা পাতা" পিষে রস বের করে তা নাকে লাগিয়ে দিল সে, মিনিটের মধ্যেই রক্ত বন্ধ হয়ে গেল বন্ধুর )।
- রক্ত বন্ধ হইছে এবার বল কি স্বপ্ন দেখছস, যার জন্য আমার নাকটাই ফাটাইয়্যা দিতে হল।
= আরে স্বপ্ন দেখি দেশে তত্ববধায়ক সরকার গঠন হইছে। আর হাসিনা সদলবলে গেফতার হইয়া রিম্যান্ডে গেছে। তত্ববধায়ক সরকারের প্রধান হইছে হেফাজতে ইসলামের আল্লামা আহমদ শফি সাহেব। তিনি নির্দেশ দিছেন মাওলানা হাফেজ জোনায়েদ সাহেবরে যেভাবে হাসিনা রিম্যান্ডে নিয়ে কথা আদায়ের চেষ্ঠা করেছে ঠিক সেভাবেই যেন হাসিনার মুখ থেকে কথা আদায় করা হয় যে , হাসিনার বাপকে কে মেরেছিল তা যেন সে বলে। রিম্যান্ডে হাসিনার কাছ থেকে কথা আদায়ের দায়িত্ব পড়ে নতুন সরকারের সেনা প্রধান মাওলানা হাফেজ জোনায়েদ সাহেবের উপর। এখন বুঝতে পারছস কি ঘটেছে হাসিনার উপর? শেষমেষ হাসিনা স্বীকার করতে বাধ্য হল, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে তার অর্ডারেই। হাসিনা নিজে ক্ষমতা দখলের জন্য তার বাবাকে হত্যা করতে মেজর ডালিমরে নির্দেশ দিয়েছিল। রিম্যান্ড শেষ হল। আদালতে পিতৃ হত্যার আদেশ দাতা হিসাবে হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষনা করা হল। এই ঘোষনা শুনেই তো টেবিলে থাপ্পড় দিয়েছিলাম আনন্দের ঠেলায়।

বুধবার, ২২ মে, ২০১৩

এতটুকুই ভুল - মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী


গতকাল একজনে একটা প্রেমের কবিতা লিখতে বলেছিল। কিন্তু প্রেমের কবিতা লিখতে এখন আর তেমন মন চায়না। যখন সে প্লীজ প্লীজ শুরু করল আমি আর তাকে ফিরাতে পারলামনা। বললাম ঠিক আছে লিখব। তবে প্রেম ট্রেম বুঝিনা। চিন্তায় যা আসে তাই লিখব। আবার বলতে পারবেনা আমি প্রেমের কবিতা লিখিনি। সে বলল ঠিক আছে, যা পার তাই লিখ। তাই লিখলাম এ লেখাটি -
**************
এতটুকুই ভুল
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------
এতটুকুই ছিল মোর ভুল,
যে ভুলে হারিয়েছি তোমায়
হয়ে গেছে সব ভন্ডুল।।
তুমি একদিন যেতে বলেছিলে
সেদিন আমি যেতে পারিনি,
পত্র লিখেই তা জানাতে চেয়েছি
সে পত্র লিখেও ভুলে আর ছাড়িনি।
এই-ই ছিল মোর ভুল,
আমার উপরে রাগ করেছ তুমি
গ্রহণ করনি আমার পাঠানো ফুল।।
কতবার কতভাবে ডেকেছি তোমায়,
মনে হল চলে গেছ সেই তুমি কোমায়।
জাগাতে চেয়েছি জাগনি তুমি,
বুঝাতে চেয়েছি বুঝনিও তুমি।
কোন লাভ হয়নি সেদিন তোমার কাছে গিয়ে -
তারপর আর হয়নি যাওয়া,
হয়নি আর তোমারই খোঁজ নেওয়া,
রইছি পড়ে আজও তোমার স্মৃতি নিয়ে।
জানতে চাইনি আর তোমার মনোভাব,
যদিও ছিল মোর জীবনে তোমার অভাব।
এই-ই ছিল মোর ভুল,
মুখ ফিরিয়ে নিয়েছ তুমি
ভেঙ্গে দিয়েছ মনের দুইকুল।।
=============

শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৩

১৫ বৎসর বয়সী কিশোর মনোয়ারের সাহসিকতার জন্যই ১৭দিন পর উদ্ধার পেল সাভার ট্রাজেডির ধ্বংসস্তুপের সর্বশেষ জীবিত নারী "রেশমা"

১৫ বৎসর বয়সী কিশোর মনোয়ারের সাহসিকতার জন্যই
১৭দিন পর উদ্ধার পেল
সাভার ট্রাজেডির ধ্বংসস্তুপের সর্বশেষ জীবিত নারী "রেশমা"
------------------------------------

এই সেই ১৫ বৎসর বয়সী কিশোর মনোয়ার । পেশায় ছাত্র। এই মনোয়ারের কারণেই প্রথম সন্ধান মিলে সাভার ট্রাজেডির ধ্বংসস্তুপে সর্বশেষ জীবিত নারী "রেশমার"। মনোয়ারের পর একে একে মৃত্যু গহ্বরের ভিতরে ডুকে তার টিমের আরও দুই কিশোর। তারপর ডুকে ফায়ার বিগ্রেড ও সেনাবাহিনীর উদ্ধার কারী দলের সদস্যরা। কিন্তু ফায়ার বিগ্রেড ও সেনাবাহিনীর উদ্ধার কারী দলের সদস্যদের মুখে এই মনোয়ারের সাহসিকতা প্রকাশ হচ্ছেনা। 
মনে হচ্ছে এই উদ্ধারকর্মের একমাত্র ক্রেডিট তাদেরই। 
১৫ বৎসরের দুঃসাহসী কিশোরের একটি সাহসী কর্মের জন্য কোন পক্ষ থেকে একটু ধন্যবাদ দেয়া দুরে থাক, তার এই সাহসী কর্মকেই যেন ধামাচাপা দিতে তৎপর সরকারী উদ্ধারকর্মীরা !

বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৩

ফটিকছড়ির শাহনগরবাসীরা নীচের সংবাদটি লক্ষ্য করুন - মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

ফটিকছড়ির শাহনগরবাসীরা
নীচের সংবাদটি লক্ষ্য করুন।
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

আজ এস এস সির রেজাল্ট দেয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে "শাহনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়" এর শিক্ষকরা ছাত্রদের ঠেলে ঠুলে পাস করে দিয়ে অনেক গৌরান্বিত। আনন্দে আত্মবিহ্বল সবাই। কিন্তু আমি আনন্দিত নই। কারণ, আমি ফটিকছড়ির ২৫টি স্কুলের মধ্যে "শাহনগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়" খুঁজে পেলাম না। বড়ই লজ্জা। কি করছে এ স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষকরা ? আর কবে হবে এ স্কুলের মানোন্নয়ন ? যারা এ স্কুলে পড়ে বড় বড় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন, তাঁদের কি এ স্কুলের লেখাপড়ার মান দেখে একটুও লজ্জা লাগেনা ? যদি আপনদের লজ্জাই না লাগে তবে বড় বড় শিক্ষিত হবার গৌরব দাবী করেন কিভাবে ? আপনাদের কি নিজেদের স্কুলের জন্য এতটুকুও দায়িত্ব নেই ? এতটুকুও দরদ নেই নিজ স্কুলের প্রতি ? কিছুই করার নেই আপনাদের নিজেদের স্কুলের জন্য ? আর কত মেতে থাকবেন ভিলেজ পলিটিক্স নিয়ে ? ভিলেজ পলিটিক্সের মাধ্যমে অন্যের জান-মান ধ্বংস করা বাদ দিয়ে একটু স্কুলটি নিয়ে ভাবুন। কিভাবে স্কুলটির লেখাপড়ার মান উন্নত করা যায়, তার দিকে একটু দৃষ্টি দিন। অন্যের পীছনে না পড়ে গ্রাম উন্নয়নের পীছনে নিজেদের নিয়োজিত করুন। শুধু নিজেদের কল্যান নিয়ে পড়ে না থেকে অপরের কল্যানের দিকেও দৃষ্টি দিয়ে নিজেদের মানুষ রূপে গড়ে তুলুন।
স্কুলটিতে যান , কি সমস্যা পর্যবেক্ষন করুন। নাকি শিক্ষকদের ব্যবসার জন্য স্কুলে ছাত্রদের কোন পাঠদান হয়না ? শুনেছি , স্কুল শিক্ষরা প্রাইভেট পড়াতে ক্লাসে তেমন উত্তম পাঠ দিতে চান না। আমি এই স্কুলের কথা বলছিনা। কিছুদিন আগে দেখেছি, ক্লাসের বাইরে যে সব শিক্ষক প্রাইভেট পড়াচ্ছে তাদের ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। কেন ? নিশ্চয় কারণ আছে। আর সেই কারণটি তলিয়ে দেখতে হবে। আমরা মানি , শিক্ষকরা উপযুক্ত পারিশ্রমিক পান না বলে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন। তাই শিক্ষকদের আর্থিক দিকেও স্কুলের গভর্ণিংবডিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে তাদের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করতে হবে। তবেই শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদানে মনোযোগী হবেন। ক্লাসে শিক্ষকদের পাঠদান উন্নত হলে স্কুলের শিক্ষামানও উন্নীত হবে। তাই স্কুল কমিটি ও স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের মানোন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
পুরো শাহনগর গ্রামটিতে মাত্র একটি মাত্রই স্কুল। এই স্কুলটিই যদি মানসম্মত না হয়, তবে সে লজ্জা কার ? পুরো গ্রামের মানুষদেরই। সবচেয়ে বেশী লজ্জা হবে সেইসব মানুষদের, যারা উক্ত গ্রামের বড় বড় শিক্ষিত ব্যক্তি। কারণ, অন্ধজনে দেহ আলো। অন্ধদের আলোর মুখ দেখানোর দায়িত্ব আলোকিত মানুষদেরই। যে সব বড় বড় শিক্ষিত আলোকিত মানুষ গ্রামের অধিবাসী তাদের দায়িত্ব হচ্ছে অন্ধকার গ্রামকে তাদের সেই আলো দিয়ে আলোকিত করা। আশাকরছি সব আলোকিতরাই গ্রামের অন্ধকার ঘুছাতে আত্মনিয়োজিত হবেন।
************************

ফটিকছড়িতে পাশের হার বৃদ্ধি পেয়েছে,
কমেছে জি.পি.এ-৫
মীর মাহফুজ আনাম
----------------
ফটিকছড়ি উপজেলাতে এবারের এস.এস.সি পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.৫৯। যা গতবার ছিল ৭৮.১৯।

পাশের হার বৃদ্ধি পেলেও জি.পি.এ ৫ গতবারের চেয়ে এবার অনেকাংশে কমেছে।
এবারে মোট জি.পি.এ -৫ পেয়েছে ৮৩ জন শিক্ষার্থী।২০১২সালে জি.পি.এ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর পরিমান ছিল ১০৭ জন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জনা যায়, ফটিকছড়িতে চলতি বছরে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩হাজার ৩ শত ৪৯জন ।

যেখানে পাশ করেছে ২ হাজার ৯ শত শিক্ষার্থী । উপজেলায় এক মাত্র খিরাম উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাশ করেছে।

এছাড়া উপজেলার সর্বোচ্চ জি.পি.এ ৫ পাওয়া বিদ্যালয় হচ্ছে -

01.ফটিকছড়ি করোনেশন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় । যেখানে মোট ১৪ শিক্ষার্থী জি.পি.এ ৫ পেয়েছে।
02.নানুপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(১১জন),
03.নানুপুর আবু ছোবহান উচ্চ বিদ্যালয়(৬ জন),
04.ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চ বিদ্যালয় (৫জন),
05.শান্তিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়(৫ জন),
06.ধর্মপুর উচ্চ বিদ্যালয়(৪জন),
07.মাইজভান্ডার আহমদিয়া রহমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়(৪জন),
08.রোসাংগিরী উচ্চ বিদ্যালয়(৪ জন),
09.হেঁযাকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয়(৩জন),
10.উত্তর ধর্মপুর উচ্চ বিদ্যালয়,
11.সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
12.ফটিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
13.হারুয়ালছি উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
14.ভূজপুর ন্যাশনাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
15.হইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
16.আজিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়(২জন),
17.জাহানপুর লতিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়(২ জন),
18.গজারিয়া জেবুন্নসা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়(১জন),
19.সুয়াবিল উচ্চ বিদ্যালয়(১ জন),
20.দৌলতপুর এ বি সি উচ্চ বিদ্যালয়(১ জন),
21.গুলতাজ মেমেরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ (১ জন),
22.নাজিরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়(১ জন),
23.নাজিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়(১ জন),
24.জাহানপুর আমজাদ আলী আব্দুল হাই ইনিষ্টিটিউট(১ জন)
25....................................................
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ বলেন - সার্বিক দিক থেকে জি.পি.এ-৫ গত বছরের চেয়ে কম পেলেও পাশের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।
তবে আগামীতে জি.পি.এ বৃদ্ধি পেতে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যহত রাখতে হবে।

সোমবার, ৬ মে, ২০১৩

গর্জে উঠো বাংলাদেশ ! রাস্তায় নেমে পড় সমগ্র বাংলাদেশের তৌহীদী জনতা। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো নব্য ফেরাউন ও তার দোষরদের ধ্বংস সাধনে।

আমরা শোকাহত


গর্জে উঠো বাংলাদেশ !
রাস্তায় নেমে পড় সমগ্র বাংলাদেশের তৌহীদী জনতা।
যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো
নব্য ফেরাউন ও তার দোষরদের ধ্বংস সাধনে।
----------------------------------
গর্জে উঠো বাংলাদেশ !
নিতে হবে রক্তশপথ ,
নামতে হবে ঈমান নিয়ে।
এক হতে হবে দলমত,
চলবে এবার বাংলাদেশ
আল্লাহর সব আইন দিয়ে।
***************

সরকার 
৬ইমে,২০১৩ এর 
রাতে (৫ইমে,২০১৩ ইং দিবাগত রাত) মতিঝিলের ইসলামী (শাপলা) চত্বরে
ঘুমন্ত মানুষদের উপর চালিয়েছে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ।
হেফাজতে ইসলামের প্রায় তিন হাজার কর্মী-সমর্থকদের জান নিয়েছে কেড়ে।
সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্বিচারে চালানো গুলির আঘাতে আহত
হাজার হাজার মুসলীম তৌহীদী জনতা হাসপাতালের বেডে গুনছে মৃত্যুর প্রহর।
বর্তমান নাস্তিক্যবাদী , লুঠেরা , সন্ত্রাসী ও ক্ষমতালোভী আওয়ামী সরকারের
এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চলছে এখন সমগ্র দেশব্যাপী
নির্বিচারে চালানো গুলিতে রাজপথে লুটিয়ে পড়ছে অসহায় সব নীরীহ জনতা।
বর্তমান নাস্তিক্যবাদী , লুঠেরা , সন্ত্রাসী ও ক্ষমতালোভী
আওয়ামী সরকারের এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে
হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে জেহাদের ডাক।
দেশের সকল মুসলমানদের এই জেহাদের ডাকে সাড়া দিয়ে
উপনিত হতে হবে জেহাদের ময়দানে। গর্জে উঠো বাংলাদেশ।
---------------------------------------------

দেশের ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার জনগণের কিছু মুখপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে,
সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী দখল করে নিয়েছে সেসব মুখপত্রের প্রতিষ্টান ,
লুন্ঠন করে নিয়ে গেছে সে সব প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু মূল্যবান সম্পদ সরকারী লুঠেরা বাহিনীরা।
অগুণিত সংবাদকর্মীদের রুটি-রোজগারের পথ বন্ধ করে দিয়েছে ফ্যাসিস্ট এই আওয়ামী সরকার।
পুলিশের গুলিতে রক্তাক্ত দেশের মিডিয়া জগত ও রুদ্ধ সেই সত্যের ধারক মিডিয়ার দ্বার।
**************************

COLLECTED FROM "TIMES WORLD 24.COM

সরকার সন্ত্রাসী বাহিনি ও পুলিশ দিয়ে আমাদের তৌহীদী ভাইদের নির্বিচারে হত্যা করছে।
সিমারের দোষরেরা হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়ছে মুসলমানদের উপর।চলছে লাইট নিবিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে সরকারের হত্যাযজ্ঞ।
"আজ সরকার লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে নিরস্ত্র শান্তিকামী হেফাজতে ইসলামের উপর যেভাবে গুলি চালিয়েছে , তাতে মনে হলো আজকের রাতটি ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চের সেই কালোরাত। যে রাতে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার বাঙ্গালী জাতির নিধনযজ্ঞে একটা জাতির বিনাশ সাধনে নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষদের উপর অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। চালিয়েছিল বাংলার জনপদে মহা হত্যাযজ্ঞ। প্রাণ হারিয়েছিল অগুণিত বাঙ্গালী।
আজ রাতে সরকার লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে নিরস্ত্র শান্তিকামী হেফাজতে ইসলামের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সেই কালো রাতেরই পুণঃআয়োজন করে মুসলীম নিধনযজ্ঞে অবতীর্ণ হয়েছে। সরকার এদেশ থেকে মুসলীম জাতির বিনাশ সাধনের অভিপ্রায় নিয়েই এইভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে অগুণিত হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের। চেয়েছে সরকার বাংলাদেশের মুসলমানদের বিনাশ করে এদেশকে একটা নাস্তিক্যবাদী বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে।
লাইট নিভিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে নিরস্ত্র শান্তিকামী হেফাজতে ইসলামের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ হলো - এই মুসলীম দেশকে নাস্তিক্যবাদী দেশে রূপান্তর করতে সরকারের একটা বৃহৎ পরিকল্পনা।
কিন্তু সরকারের এ অপ-পরিকল্পনা বাংলার এ মুসলীম দেশের জমিনে কখনো সফল হবেনা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তারা। যে ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ফেরাউন - নমরূদ সহ সকল আল্লাহ বিদ্রোহী মানুষেরা। যেভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ইসলাম বিরোধী আবু জাহেল - আবু লাহাবরা।"
যেন আজ রাতে পুনরায় সংগঠিত হলো সেই ইয়াহিয়া খানের দোষরদের ১৯৭১ এর ২৫শের সেই কালো রাতের ঘটনা, এভাবেই ১৯৭১ এ ২৫শে মার্চের কালোরাতে ইয়াহিয়া খানের দস্যুরা রাতের আঁধারে বাংলার নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অস্ত্র নিয়ে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল হাজার হাজার ঘুমন্ত মানুষদের। আপন জন হত্যার এই প্রতিশোধের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে বাংলার আবাল – বৃদ্ধ – বণিতা যোগ দিয়েছিল মুক্তির যুদ্ধে। সৃষ্টি হয়েছিল এই বাংলাদেশ।
আজ আবার ও সকলের কাছে উপণিত হয়েছে সেই সময়। হায়েনাদের দোষর বর্তমান সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত সমগ্র বাংলাদেশ। দেশের সকল নাগরিকদের কাছে ধরা দিয়েছে বর্তমান সরকারের স্বৈরতন্ত্রের আচরণ। ১৯৭১ এ ২৫শে মার্চের কালোরাতে ইয়াহিয়া খানের দস্যুদের নির্বিচারে বাঙ্গালী হত্য হার মানিয়েছে বর্তমান সরকারের আজকের রাতের আঁধারে হেফাজতে ইসলামের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণের মহড়া। সময় এসেছে সকলের এক হবার। সময় এসেছে দ্বিতীয় মুক্তিরযুদ্ধে অংশগ্রহণের। সময় এসেছে সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যার দাঁতভাঙ্গা জবাব দানের। গর্জে উঠো বাংলাদেশ। ঝাঁপিয়ে পড় ইয়াহিয়া খানের দোষর এই আওয়ামী সরকারের ধ্বংস সাধনে।
****************************


চলছে এখনো হত্যাযজ্ঞ। সেই হত্যাযজ্ঞের শিকার লক্ষ লক্ষ তৌহীদী জনতা ও দেশের সাধারণ মানুষ। দেশের সব রাজপথ যেন ফোরাতের কুল।রণক্ষেত্রে পরিণত সমগ্র বাংলাদেশ। শুরু হয়েছে নব্য এজিদ বংশের সাথে মুসলমান ও জনসাধারণের যুদ্ধ।
চলছে সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী, পুলিশ লীগ ও নাস্তিক আওয়ামী গোষ্টির সাথে তৌহীদী জনতা ও জনসাধারণের সংঘর্ষ। এ যেন ক্ষমতাসীন লুঠেরা ও স্বৈর সরকারের সাথে নিরস্ত্র সাধারণ জনতার এক অসম যুদ্ধ।নাস্তিক্যবাদী ধর্মদ্রোহী সরকারের লালিত কুকুরদের নির্বচারে দংশন, কাঁদানে গ্যাস, রাবারবুলেট , টিয়ারসেল, ককটেল, গুলিতে ঝাঁঝড়া হচ্ছে তৌহীদী জনতা ও জনসাধারণের বুক। তবু দমছেনা তৌহীদী জনতার শহীদী পথে যাত্রা,সাধারণ জনতার যুদ্ধযাত্রা। ককটেল ও গুলির মুহূর্মুহ শব্দে প্রকম্পিত সমগ্র দেশের আকাশ। ঢাকার রাজপথে শরীরের তাজা রক্ত ঢেলে দেশে ইসলামী হুকুমাত কায়েমের ভিত্তি স্থাপনে মত্ত ইসলামী তৌহীদী জনতা আর সকল মর্দে মুজাহিদ।
ধুমায়িত সমগ্র দেশ, জ্বলছে আগুন, যাচ্ছে প্রান, লুঠিয়ে পড়ছে তৌহিদী জনতা ও জনসাধারণ দেশের সকল রাজপথে। এ যেন ১৪শত বৎসর পূর্বের ফোরাতের কুলে সংঘটিত সেই এজিদ বংশের সাথে মুসলমানদের সাথে ধর্মরক্ষার যুদ্ধ। এ যেন খায়বারের ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ। এ যেন সেই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির অত্যাচার থেকে রেহায় পেতে সেই একাত্তরের মুক্তির যুদ্ধ।
শহীদী মৃত্যু প্রাপ্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০০ জন তৌহীদী জনতা ও সাধারণ জনগণ। লক্ষ লক্ষ মুজাহিদ ও মুক্তিকামী জনতা পুলিশ ও সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর গুলিতে গুরুতর আহত। এ যেন সেই ১৪শত বৎসর পূর্বের সেই বদর প্রান্তর। এ যেন সেই ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ময়দান। বাংলাদেশের এ বদরপ্রান্তরে ধ্বণিত হচ্ছে বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদের জন্মদাতা ধর্মদ্রোহী আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক। নারায়ে তাকবির , আল্লাহু আকবার ধ্বণিতে প্রকম্পিত দেশের সকল গলিপথ। বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধের ময়দানে ধ্বণিত হচ্ছে - স্বৈরশাসক নিপাত যাবে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।
গর্জে উঠো সমগ্র বাংলাদেশের তৌহীদী জনতা, গর্জে উঠো বাংলাদেশ।
ঝাঁপিয়ে পড়ো যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই নব্য ফেরাউন ও এজিদ বংশের ধ্বংস সাধনে।
***********************




নব সেনার গান
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------
(ধর্মরক্ষা ও দেশরক্ষার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী 
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মী-সমর্থক ও 
সকল মুক্তিকামী জনতারর শক্তি হিসেবে পুনঃপ্রকাশ)
***************************
চল্ চল্ চল্ তাড়া করে চল্
আমাদের নব সেনাদল,
আহলে সুন্নাতের মশাল নিয়ে
'আল্লাহু আকবার' বজ্র কন্ঠে বল।
নবীজীর আদর্শের বিশাল এ কাফেলা,
সারি হয়ে জপ শুধু 'সাল্লি আ'লা' -
ঝড়-বাধা মানবনা হারদম-দুর্দম চল্।।
আল কোরআন ও সুন্নাহ্ -
জেনো,তার নীতি সঠিক,
ধ্বংস হতে দেবোনা, রাখবো জিন্দা,
মোরা বীর মুজাহিদ।
আমাদের আশা আর মুসলীমের স্বপ্ন
হবে গো সফল।।
সত্যের ঝান্ডাধারী মোদের এ কাফেলা,
আমাদের জান-ঈমান সেতো
রাসূল(সঃ) আর আল্লাহ তাআলা।
দ্বীপ্ত বুকে দৃঢ় হয়ে লড়বো
নিয়ে ঈমানী বল।
নাহিক বুলেট নাহিক খঞ্জর এ দলের সাথে,
শূণ্য হাতে লড়বো শুধু রাসূল(সঃ) এর পথে।
বাতিলের মোকাবেলায় লড়েছি, লড়ছি
থাকবো অবিচল।।
---------------------------

শনিবার, ৪ মে, ২০১৩

নব সেনার গান - মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

নব সেনার গান
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------
(৫ই মে'র ঢাকা অবরোধে অংশগ্রহণকারী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মী ও
সমর্থকদের শক্তি হিসেবে পুনঃপ্রকাশ)
********************

চল্ চল্ চল্ তাড়া করে চল্
আমাদের নব সেনাদল,
আহলে সুন্নাতের মশাল নিয়ে
'আল্লাহু আকবার' বজ্র কন্ঠে বল।
নবীজীর আদর্শের বিশাল এ কাফেলা,
সারি হয়ে জপ শুধু 'সাল্লি আ'লা' -
ঝড়-বাধা মানবনা হারদম-দুর্দম চল্।।
আল কোরআন ও সুন্নাহ্ -
জেনো,তার নীতি সঠিক,
ধ্বংস হতে দেবোনা, রাখবো জিন্দা,
মোরা বীর মুজাহিদ।
আমাদের আশা আর মুসলীমের স্বপ্ন
হবে গো সফল।।
সত্যের ঝান্ডাধারী মোদের এ কাফেলা,
আমাদের জান-ঈমান সেতো
রাসূল(সঃ) আর আল্লাহ তাআলা।
দ্বীপ্ত বুকে দৃঢ় হয়ে লড়বো
নিয়ে ঈমানী বল।
নাহিক বুলেট নাহিক খঞ্জর এ দলের সাথে,
শূণ্য হাতে লড়বো শুধু রাসূল(সঃ) এর পথে।
বাতিলের মোকাবেলায় লড়েছি, লড়ছি
থাকবো অবিচল।।
----------------------------
(এ লেখাটি সম্ভবত পটিয়া মাদ্রাসা থেকে প্রকাশিত
মাসিক আততাওহীদের ,মার্চ-১৯৯২ইং সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল )