আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২

ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা






ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা
নতুন আশা উদ্দীপনায় শুরু হতে যাচ্ছে আরও একটা নতুন ইংরেজী বৎসরের। ৩১ ডিসেমর দিবাগত মধ্যরাতের ১২টার কাঁটা ডানদিকে হেলতেই শুরু হয়ে যাবে এই নতুন বৎসর। 

এই ইংরেজী নতুন বৎসরে পৃথিবীর সভ্য মানুষদের কাছ থেকে অসভ্যতা যেন আর দেখা না যায়, সভ্য মানুষরা যাতে সুখ শান্তি সমৃদ্ধ একটা প্রকৃত সভ্যতার নিদর্শন এই পৃথিবীকে দেখিয়ে যেতে আত্মনিমগ্ন হয় , সেই প্রত্যাশায় সকলকে জানাই – 

ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা

রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২

থার্টি ফাস্ট নাইট সভ্য মানুষ(?)দের অসভ্য কর্মের উৎসব



থার্টি ফাস্ট নাইট সভ্য মানুষ(?)দের অসভ্য কর্মের উৎসব
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------

যে সব মেয়েরা ইতিমধ্যেই থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনের কঠোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে বসে আছেন , তাদের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় টিপস - পড়নের কাপড় ব্যতিত আরও দুই তিন সেট এক্সট্রা কাপড় নিয়ে যাবেন যাতে অনুষ্টানে বার বার দেহদানে কাপড় নষ্ট হয়ে গেলে সুন্দর ভাবেই বাড়ি ফিরতে পারেন। মায়াবড়ি অথবা জন্মনিয়ন্তন বড়ি সঙ্গে নিবেন। যাতে বার বার দেহদানের পরও অবৈধ সন্তান পেঠে আসতে না পারে। চেতনা আনায়নকারী ঔষধ সঙ্গে নিবেন যাতে দেহদানের পর চেতনা হারিয়ে ফেললে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরে মা বাবাকে ধুকা দিতে পারেন। অনুষ্টানে যদি একের অধিক বন্ধুদের দেহদানের নিমন্ত্রন পান , তবে বিরক্ত না হয়ে তাদের কথা মেনে নিন , নয়তো মেনে নিতে হবে নিজের উপর ইন্ডিয়ায় সংঘটিত সেই চলন্ত বাসে গণধর্ষণের মতো নির্মম ঘটনা।

আমি গতবৎসর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে এভাবেই লিখেছিলাম - " আজ ৩১/ ১২ / ২০১১ ইংরেজী । রাত ১২টার পর শুরু হবে নতুন বর্ষ । আর এ বর্ষবরণ শুরু হবে মদ খাওয়া মাতালদের উম্মত্ব উলঙ্গ নৃত্যের মাধ্যমে । পালন করা হবে অসভ্য মানুষদের সভ্যতার পরিপন্থি ( তথাকথিত সভ্য মানুষদের বিশ্ব বেহায়াপনার একটি উলঙ্গ প্রদর্শনীর প্রতীক - " থার্টি ফাস্ট নাইট '' !

বাংলাদেশে পালনোম্মুখ একটা বিদেশী কুরুচিপূর্ণ , বাংলার সভ্য রূপকে অসভ্যতার রূপ দিয়ে কলঙ্কিত করার বিদেশী পায়তারা । যাতে অংশ নেয় বাংলা মায়ের গর্ভ জন্ম নেয়া , নিজ মাতাকে অসম্মানকারী বিত্তশালীদের বিদেশী মদের নেশায় মাতাল সূর্যসন্তানরা । যার দেখাদেখি জড়িয়ে পড়ে বাংলা মায়ের সহজ সরল সন্তানরাও ।
দেশে কুরুচিপূর্ণ শো প্রদর্শনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী সকল সভ্য যুব-তরুন সমাজএকতাবদ্ধ হয়ে উদ্যোগ নিলে দেশের সভ্য রূপ ধ্বংসকারী আজকের এই অসভ্য কর্মসমূহ দেশের কোথাও চলতে পারবেনা । কারণ , বাংলাদেশের মানুষ যারা বিদেশী সংস্কৃতির ধারক তাদের চেয়ে বালাদেশকে নিজের মায়ের চেয়েও বেশী সম্মান দেয় এমন সভ্য সুনাগরিক অনেক বেশী । তাই সেইসব সভ্য সুনাগরিকদের প্রতি আহবান - জাগ্রত হোন বাংলার সভ্য জনগণ ও মহান দেশপ্রেমিক আজকের এই বিদেশী সংস্কৃতির প্রতীক " থার্টি ফাস্ট নাইট '' উদযাপনের বিরুদ্ধে । বাংলা মায়ের রক্ত যে সকল বালাদেশীদের শরীরে প্রবাহমান , আশা করছি তাঁরা আজকের এই বিদেশী সংস্কৃতিকে বর্জন করে , যারা না বুঝে অথবা বুঝেও গাদ্দার সেজে নিজ সভ্যতাকে পদদলিত করে বিদেশী সংস্কৃতির এই থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্টানে অংশ নিবে তাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে গর্জে উঠবেন । জাগ্রত হোক জাতীয় বিবেক - সকলকে ধন্যবাদ । "

সেই লেখা পড়ে তিনটা মেয়ে আমাকে ইমেইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ২ জানুয়ারী আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল। বলেছিল-ভাইয়া আগামী বছর যদি কিছু লেখেন তবে সভ্য মানুষ হিসাবে নয় , অসভ্য মানুষ হয়ে অশালীন ভাষায় কিছু লিখবেন। কারন সভ্য ভাষার কথা এখনকার ছেলেমেয়েরা শুনতে চায়না। আর যদি আপনি সভ্য ভাষায় লিখেন তবে তারা আপনাকে অসভ্য বানিয়ে যা তা বলে আপনকে হেনস্থা করে ছাড়বে।

তারপর তাদের এমন আবদারের কারণ জানতে চাইলাম। তারা যা বললো তা শুনে আমি সেদিন শিওরে উঠেছিলাম। শুধু এটুকুই বলছি - উক্ত তিনটি মেয়ে থার্টি ফাস্ট নাইটে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে নিজেদর জীবনকে জলাঞ্জলী দিয়েছিল।

তাদের একজন গত ১০ই জানুয়ারী আত্মহত্যা করে, একজন নেশার নীল রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে দিনাতিপাত করছে। আর অন্যজন সমাজবিচ্যুত হয়ে এখনও কলগার্ল হিসাবে লোক সমাজে বেঁচে আছে।

আমি সকল নারীকে একই পাল্লায় তুলিনি , তাই ষ্ট্যাটাসে বলেছি " যে সকল মেয়ে " । নারীদের অশ্রদ্ধা করে নয় , নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তাদের সতর্ক করণে আমার এই ষ্ট্যাটাস। আশা করছি ভুল বুঝবেননা। বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটু অশোভন ভাবেই ষ্ট্যাটাসটি দিতে হলো।

আপনারা নারী হয়ে কোন অপরাধ করেননি। তবে নারী হয়ে আপনারা যে সম্মানটি প্রাপ্য , আপনাদের নিজেদের কারণেই সে সম্মান প্রাপ্তি থেকে আপনারা বঞ্চিত হচ্ছেন সেটাই বুঝাতে চাচ্ছি। বৃহদাংশ মেয়েদের উশৃন্খল জীবন যাপনের কারনে আজ আপনারা সমগ্র নারী জাতি অসম্মানীত। সেই সম্মান প্রাপ্তির পথে আপনাদের দৃষ্টি ফেরানোর লক্ষ্যে আমার এই ষ্ট্যাটাস। আপনাদেরকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য নয়।

আপনার কথাটা পুরাপুরি মানতে পারছিনা। ভবিষ্যত ওপেন সেক্সের নগরী ঢাকাতে এখনও অনেক ভাল ও ধর্মপরায়ন নারী আছেন , যাঁদের কারনে এখনো ঢাকা ওপেন সেক্সের নগরী হিসাবে খ্যাতি পেতে পারেনি। তবে ঢাকার উদ্যানগুলোর দিকে চোখ দিলে মনে হয় ঢাকা ওপেন সেক্সের নগরী হিসাবে খ্যাতি পেতে আর বেশী দেরী নেই।

এখনকার বেশীর ভাগ মা বাবাদের বানিজ্যিক ইচ্ছায়ই তাদের মেয়েরা খারাপ ও উশৃন্খল পথে পা বাড়াচ্ছে। বেশী দূরে যেতে চাইনা । শুধু এটুকু বলতে চাই মা বাবার অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের বিশ্ববাজারে পণ্য রূপে প্রদর্শন করতে পারেননা।

মেয়েরা এ ক্ষেত্রে যতটুকু অপরাধী তার দ্বিগুন অপরাধী ছেলেরা , যারা মেয়ে দেখলেই লুলোপ দৃষ্টি হানে , পথে ঘাটে মেয়েদের উপর অহেতুক ভাবেই ছড়াও হয়। আমি এখানে সেসব উল্লেখ করতে চাইনি । আমি শুধু একটা বিশেষ দিনের সংঘটিত ঘটনার দিকে আলোকপাত করতে চেয়েছি। যাতে অধিকাংশ মেয়ে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের উপর বিপদ ডেকে আনে। তার তিনটা জলজ্যান্ত উদাহরণও দেখিয়েছি উপরের মন্তব্যে। এ ধরণের ঘটনা যাতে মেয়েরা স্বেচ্ছায় বরণ করতে বেরিয়ে না পড়ে সেদিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছি। যা আগামীকাল দিবাগত রাতে ঘটতে যাচ্ছে। যে রাতে অধিকাংশ মেয়ে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিতে যাচ্ছে তাদের আগামী দিনের দুঃসহ যন্ত্রণার যাত্রাপথ।

এখানেই তথাকথিত প্রেমের প্রতি আমাদের যুদ্ধ। যে প্রেম সুন্দর করে মানুষকে বাঁচতে শেখায়না , যে প্রেম মানুষকে অন্ধকার গলিপথে ঠেলে দেয় , সে প্রেম কখনো প্রেম হতে পারেনা। সেটা ক্ষণিকের মোহে জড়িয়ে পড়া। একজন পুরুষ সঙ্গী যদি মেয়েসঙ্গীকে যত্রতত্র নিয়ে যেতে চায় , তবে সে মেয়েটির উচিত উক্ত পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গ ত্যাগ করা । এটাই বুঝাতে চাচ্ছি। মেয়েদের যদি এতই নববর্ষ উদযাপনের প্রয়োজন হয় তবে তারা মেয়েদের সাথেই নববর্ষ উদযাপন করুক , তারা পুরুষদের মাঝে যাবে কেন ? এতো হবে কাঁটা নিয়ে খেলতে গিয়ে স্বেচ্ছায় কাঁটার আঘাত খাওয়ার মত ঘটনা , তাতে কাঁটার দোষ কি ?

গত পরশু আমি মদিনা মুনাওয়ারার একটা আবাসিক হোটেলের সভাকক্ষে ইংরেজী নববর্ষ উদযাপনের আয়োজনের উপর অনুষ্টিত "থার্টি ফাস্ট নাইট সভ্য মানুষদের অসভ্য কর্মের উৎসব" নামের একটা কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। যাতে প্রায় ১৫০ জনের মত মানুষ উপস্থিত হন তম্মধ্যে নারীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ এর উপরে। উক্ত অনুষ্টানে আমিও কিছু বলার সুযোগ পাই। অন্যান্যদের মত আমার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেও নারীদের পক্ষ থেকে আমাকে কিছু প্রশ্ন করা হয় , আমাকে তাদের সেসব প্রশ্নর উত্তরও দিতে হয় । আমার সেসব উত্তরের কিছু এখানে তুলে ধরলাম যাতে যে সকল বোন আমাকে ভুল বুঝছেন তাদের ভুল ভাঙ্গে। এসব উত্তরগুলো গতকাল আমি অন্য ষ্ট্যাটাসের উপর মন্তব্য রূপেও লিখেছিলাম। আজ এখানে এসে দেখলাম কয়েকজন বোন আমাকে ভুল বুঝে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তাই তাঁদের সেই প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই উত্তরগুলো তুলে ধরছি,অবশ্য কিছু উত্তর গতকাল এ স্ট্যাটাসের মন্তব্যের রিপ্লাই হিসাবে দিয়েছিলাম যা উপরে দেয়া আমার মন্তব্যগুলো দেখলেই বুঝা যাবে । যা হোক - আমার প্রথম উত্তরটি দিয়েছিলাম একটা কবিতা রূপে , আর সেটি হল -

" ঐখানে যেওনা কো তোমরা
খেওনা ঐ গাছেরই ফল ,
এ নির্দেশ অমান্য করোনা কভু
মান্য করোনা আইন অমান্যের দল।
এভাবেই নির্দেশ ছিলো স্রষ্টার
পৃথিবীর সেই প্রথম নর-নারীর প্রতি,
একদিন নারী ভুল করে খেয়েছিল সেই ফল
স্রষ্টার নির্দেশ অমান্য করে সে হারালো তার গতি।
নিক্ষিপ্ত হলো তৎক্ষণাৎ ঐ নর-নারী এই পৃথিবীর বুকে,
সুখের সাম্রাজ্য হারিয়ে তারা ফরিয়াদ করলো স্রষ্টার কাছে ঝুঁকে।
পেলোনা তারা আর সেই সুখের জগত
শাস্তি স্বরূপ বরণ করতে হলো তাদের এই কষ্টের দুনিয়া,
মনের খাহেশে দিল তারা জীবনের সুখ জলাঞ্জলী
শয়তানের সেই শয়তানী প্রলোভনে শুনিয়া।

এমনই আজ নারীদের মনের খাহেশ
যে খাহেশে তারা দিচ্ছে জীবন বলি ,
সাময়িক সুখ ভোগে লোভাতুর হয়ে
যাচ্ছে কেবল তারা ভুল পথে চলি । "

আমার অন্যান্য উত্তরগুলোর মধ্যে -
" পুরুষ আর নারী দুই ভাগে বিভক্ত সেই মানব জন্মের শুরু থেকে তাই মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত, এক ভাগে নারী অন্য ভাগে নর। এটাই স্রষ্টার নিয়ম। এখানে আমি কেন বিভক্ত করতে যাব ? স্রষ্টার নিয়মই বা আমি খন্ডাই কি করে ? আমি কি কখনো কোন নরকে নারী বা কোন নারীকে নর বানাতে পারব ? কখনোই না , সেটা স্রষ্টার হাতে।

এই আধুনীক যুগে এসেও কোন বৈজ্ঞানীক মায়ের পেঠে জন্ম নেয়া নরকে নারী আর নারীকে নর বানাতে পারবেনা। সে ক্ষমতা স্রষ্টা মানবজাতির কোন মানুষকে দেয়নি। স্রষ্টা যেমন মানুষকে দুইভাগে বিভক্ত করে তাদের দুনিয়ায় এনেছেন , তেমনি সেই মানুষদের জীবন পরিচালনার জন্যও দুইভাবে নিয়ম করে দিয়েছেন। এই দু'টি নিয়মকে যদি মানুষ একত্র করে একটি নিয়মে পরিবর্তন করতে যায় তবে দেখা দিবে বিশৃন্খলা।

তাই তো মানুষ দিনকে রাত করতে পারেনা আবার রাতকে দিন। যেমন করতে পারেনা মানুষ স্রষ্টার নিয়ম চন্দ্র - সূর্যের পথকে এক করতে। নর ও নারীর চলার পথ ও তেমনি। যে চলার পথটি সৃষ্টি করে দিয়েছেন স্বয়ং স্রষ্টা। চন্দ্র - সূর্য - রাত - দিনের নিয়মকে যেমন একত্র করতে গেলে বিশৃন্খলা দেখা দিবে তেমন নর - নারীর চলার পথকে এক করতে গেলেও দেখা দিবে বিশৃন্খলা। নর - নারীর মধ্যে চলমান আজকের যে সব বিশৃন্খলা দেখা যাচ্ছে তা শুধু ঐ স্রষ্টার বিধিবদ্ধ নিয়ম লঙ্গনের কারণেই।

আমি নর-নারীকে আলাদা কোন বিচ্ছিন্ন প্রাণী ভাবছিনা। তাই আমিও বলি তারা একে অপরের পরিপুরক। তাদের একজন ছাড়া অন্যজন অচল। তবে তাদের সেই সঙ্গ দেয়ার নিয়মটিকেই আমি ভিন্ন ভাবে দেখছি। তাদের সেই সঙ্গ দেবার একটা মাপকাঠির পরিচিতি দিতে চাচ্ছি। আমি শুধু তাদের চলার পথের নিয়মকেই বিভক্তির দৃষ্টিতে দেখছি , যে বিভক্তি স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত।

যদি নর-নারী উভয়েই তাদের চলার পথে স্রষ্টা কর্তৃক আরোপিত বিধিবদ্ধ নিয়মানুষারে চলত , তবে আজকে দৃশ্যমান উভয়ের মধ্যকার যে বিশৃন্খলা তা কখনো পরিলক্ষিত হতোনা। যদিও মেয়েদের কোন পার্টিতে কোন পুরুষ যায়না , কিন্তু পুরুষদের পার্টিতে মেয়েদের উপস্থিতি যেন হতেই হয়। যদি মেয়েদের অনুষ্টানে পুরুষ না গিয়ে থাকতে পারে , তবে মেয়েরা কেন পুরুষদের পার্টিতে না গিয়ে থাকতে পারবেনা।

কোন পুরুষ কোন মেয়েকে যেখানে সেখানে যেতে বললেই কি যেতে হবে ? কোন পুরুষের অন্যায় আবদার মেয়েরা রক্ষা করতে যাবে কেন ? তাদের কি আত্মসম্মান বা ব্যক্তিত্ববোধ বলতে কিছুই নেই ? আজ পুরুষদের বল্গাহীন আহবানে সাড়া দিয়ে নারীদের লগামহীন ভাবে সহযাত্রার কারণে সমগ্র নারী জাতীর ইজ্জত সম্মান পদদলিত। নারীদের সম্মান যাতে এইভাবে পদদলিত না হয় সেজন্যই তাদের সতর্ক করণে ছিল আমার এই ষ্ট্যাটাস। "
====================

বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২

আমার জীবনের দিনপঞ্জী (সমাপ্ত)

আমার জীবনের দিনপঞ্জী (সমাপ্ত)
বিশেষ কারনে আমার জীবনের দিনপঞ্জী লেখা
অসমাপ্ত রেখে এখানেই শেষ করলাম
--------------------------

আমি আমার জীবনী লেখা শুরু করেছিলাম। কয়েক কিস্তি লেখার পর যখন একটা ঘটনা লিখতে মনোনিবেশ করলাম,তখন হঠাৎই আঁটকে গেলাম একটা চরিত্রের রূপদান করতে গিয়ে।
আমার জীবনী লিখতে গিয়ে অনুভব করলাম , আমার জীবনতো শুধু আমার সাথেই সম্পৃক্ত নয়। আমার চারিপাশ,আমার আত্মীয়-স্বজন,আমার পাড়া-প্রতিবেশী মোটকথা আমার চলমান জীবনের সাথে যা কিছুরই সম্পর্ক সবকিছুকে নিয়েই আমার জীবন। আমার জীবনী যদি সত্যনির্ভর করে লিখতে যাই তবে তো এ সকল কিছু নিয়েই লিখতে হবে। তবেই হবে একটা বাস্তব জীবনের চিত্র প্রদর্শন। যাতে উটে আসবে একটা জীবনের ভাল মন্দ সকল কিছুই।
মানুষ অনেকেই জীবনী লিখে। কিন্তু তাতে দেখা যায় সেই জীবনের অনেক কিছুই বাদ দিয়ে যায়, তারা নীজ জীবনের ভাল দিকগুলো তুলে ধরে কিন্তু খারাপ দিকগুলো প্রদর্শন না করে এড়িয়ে যায়। তাতে কি বুঝা যায় মানুষটা কিরূপ ? নিশ্চয় না। তাই তাদের সে জীবনী আমি জীবনীকে আমি জীবনী বলতে চাইনা , বড়জোর এটুকু বলতে পারি - সেগুলো হল লেখকদের জীবনের ভালো দিকগুলোর আলোচনা করে নিজেদের ভাল মানুষ রূপে উপস্থান করে বাহবা কুড়ানোর একটা অপ্রপ্রয়াস। আর যিনি নিজের খারাপ দিকগুলো লুকিয়ে রেখে ভালো দিকগুলো লিখে নিজেদের প্রদর্শন করেন তারা মুলতঃ মানুষকে বোকা বানিয়ে সমাজে নিজের একটা ভাল স্থান গড়ে নিতেই চেষ্ঠা করেন। মানুষদের তারা কিছু শিক্ষা দেয়ার জন্য তাদর জীবনী লিখেননা।
আমি জীবনী বলতে যা বুঝি তাহলো - জীবনী একটা মানুষের আভ্যন্তরীন দর্পণ। যাতে মানুষের ভাল মন্দের দিকগুলো প্রস্ফুটিত হয়ে অন্য মানুষদের জীবনকে সুন্দর রূপে গড়ে তুলতে শিক্ষা দেয়। একজন মানুষের ভুলগুলো অন্য মানুষ দেখে তা থেকে তারা নিজেদের শুধরে নেয়।
আমি আমার জীবনী লিখতে গিয়ে এমন একটা সমষ্যার সম্মুখীন হয়েছি , যাতে বাধ্যগত ভাবে এসে অন্যদের কালো অধ্যায়গুলো। তাই লিখতে বাধ্য হতে হয় যা অন্যরা আমকে প্রতি পদে পদে জীবনের মাঝে কষ্টকর অধ্যায়গুলো সৃষ্টি করে দিয়ে আমার জীবনকে করে তুলেছে অতীষ্ট। আর যা লিখতে গেলেই আমার অনেকে কাছের মানুষগুলো জড়িয়ে পড়বে। যা লিখতে গেলে তাদের সম্মানে হানবে আঘাত।
তাই জীবনী লিখতে গিয়ে যদি সেসব বাদ দিতেই হয় , তবে সে জীবনী লেখা আদৌ কোন জীবনী হবেনা। বড়জোর তা হবে একজন ধুঁকাবাজের ধুঁকাবাজির নামান্তর। আর তাই জীবনী লিখে অন্যদের মুখোশ উন্মোচনের চাইতে জীবনী লেখাটা বাদ দেয়াই শ্রেয় মনে করলাম।
======================

বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১২

দাবী আদায়ের জন্য "হরতাল" বর্তমান ডিজিটাল যুগে অকার্যকর একটি পদ্ধতি


দাবী আদায়ের জন্য "হরতাল"
বর্তমান ডিজিটাল যুগে অকার্যকর একটি পদ্ধতি
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

দাবী আদায়ের পদ্ধতি মান্দাতা আমলের হরতালকে এই ডিজিটাল যুগে মানায়না। তাতে মনে হয় আমরা সেই প্রাচীন যুগেই রয়ে গেছি। ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধের সময় পেরিয়ে সেই তিনশ’ বছর বা তারও আগে। এখন মিশাইল দিয়ে এক রাষ্ট্রে বসে হাজার হাজার মাইল দূরের অন্য রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার যুগ।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে হরতাল যেন দোলনার শিশুদের মুখে ফিডার লাগিয়ে দোলনায় লাগানো বেলুন নিয়ে খেলনার মত একটা বিষয়। তাই হরতাল দিয়ে যারা দেশোন্নতির চিন্তা করে , তাদের কাছ থেকে দেশোন্নতির আশা বোকামীই বটে।

তাই মান্দাতা আমলের হরতালকে ডিঙ্গিয়ে দাবী আদায়ের ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। যাতে জনগণের কোন ক্ষতি হবেনা দাবীও আদায় হবে।

এক সময় ছিল যখন হরতাল আহবান করা হলে সর্বসাধারণ সেই হরতালের আহবানে সাড়া দিয়ে দাবী আদায়কারীদের সহযোগী হত। সে সময়কার হরতালে জানমালের কোন ক্ষতি হতো না। রোডঘাটে জনাধারণের চলাচল বন্ধ থাকতো। অফিস আদালতে কোন কাজ চলতোনা। আর সে সময়কার হরতালে নিশ্চিতভাবেই দাবী আদায় করা যেত।

কিন্তু এখন সেই হরতাল যুগোপযোগী নয়। মানুষ যেমন পরিবর্তন হয়েছে তেমনি পরিবর্তন হয়েছে মানুষদের চিন্তা চেতনা। আর মানুষদের এই চিন্তা চেতনার কাছে দাবী আদায়ের সর্বশেষ মহৌষধ রূপে খ্যাত এক সময়ের হরতাল নামক শক্তিশালী অস্ত্রটি এখন অকার্যকর। যেমন অকার্যকর মিশাইল মারণাস্ত্রের কাছে এক সময়ের শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র ঢাল - তলোয়ার।

মিশাইলের কাছে যেমন ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করতে গেলে সেই অস্ত্র ও সৈনিক অকর্যকর হয়ে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে , তেমনি হরতাল দিয়ে দাবী আদায় করতে গেলে হরতাল ও হরতালকারী অকার্যকর হয়ে ধ্বংসের পাটাতনে গিয়ে দাঁড়াবে। আর এটাই স্বাভাবিক, হচ্ছেও তাই।

এ কারণে অকার্যকর হরতাল নামক প্রাচীণ অস্ত্রটি দিয়ে ডিজিটাল যুগে দাবী আদায়ের যুদ্ধে নামাটা বোকামীর নামান্তর। তাই দাবী আদায়ের লক্ষ্যে প্রাচীন অস্ত্র হরতাল বাদ দিয়ে ডিজিটাল চিন্তাভাবনায় নতুন একটি ডিজিটাল অস্ত্র প্রয়োগ একান্ত জরুরী।
================

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২

ভাল লাগার পংক্তিমালা


ভাল লাগার পংক্তিমালা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

(আমার আজকের ফেইসবুক ষ্ট্যাটাসের কয়েকটি )
------------------------------------

আজ অনেকদিন পর ছাদে উঠলাম
ভীষন ভাল লাগছে।
ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া মৃদু মৃদু দোল ,
অদূরে রেখে চোখখানি আমার দেখি মদিনার কোল।
আলো ঝলমল মসজিদে নববীর আঙ্গিনা ,
সুউচ্ছ মিনারগুলো দাড়িয়ে দেখাচ্ছে মদিনার অপরূপ শোভা।
সেই শোভায় নন্দিত আমার দু‘টি চোখ ,
মনেতে লেগেছে শীতল পরশ
অজানা সুখে হাস্যোজ্জ্বল হয়েছে আমার কষ্টমাখা মুখ।
****************************

রাত বিরাতে ঘুরি ফিরি গীটার সঙ্গে করি,
গান গেয়ে যাই তোমার জন্য
তোমার জন্যই সুরটা আমি ধরি।
*****************

বাঁশীর সুরে পাগল হইলা
মনটা দিলানা ,
কি লাভ হইল পাগল হয়ে
প্রেমে মজলেনা ?
*********

কোথায় তুমি কোথায় আমি
ব্যবধান যে অনেক দূর ,
প্রেম আকাশে ঘুরি ফিরি
না হোক দেখা - তবুও মোরা মানিকজোড়।
**********************

মন খুলেছে মনের ভুলে
কি যে এখন করি ?
প্রাণ মরেছে প্রাণের টানে
ভালোবাসার পথটা কেবল ধরি !
*****************

মন দাও নয় বিষ দাও
বাঁচিয়ে রেখে দিওনা আঘাত ,
ভালোবেসেছি বলেই করিনি দোষ
মুখ ফিরিয়ে রেখে করোনা ভলোবাসায় ব্যাঘাত।
*************************

আর কতদূর প্রেমের বাগান
কখন হবে প্রেমের দেখা ?
হাঁটতে হাটতে ক্ষয় হলো পা
যায়না দেখা প্রেমবাগানের সীমারেখা !
********************

প্রেমপুরিতে ডুকে দেখি
তোমার দেখা নাই,
লালগোলাপের ভীড়ে আমার
প্রাণটা যেন যায় !
**********

মন মজেছে মনের তরে
দোষটা কি মোর বলো ?
দোষ না খুঁজে ভালবাসায়
জড়িয়ে পড়ি চলো।
**********

প্রেম সাগরে ঝাঁপ দিয়েছি
কুলের নাগাল পাইনা ,
মরছি ডুবে প্রেম সাগরে
আর যে প্রেম চাইনা ।
************

কুহু কুহু কোকিল ডাকে
বসন্তেরই দিন ,
আমি ডাকি তোমায় নিত্য
তুমি সাড়াহীন।
*********

রূপের ঝলক দেখাইয়া
করলে পাগল আমায় ,
হারিয়ে গেলে প্রেম শিখাইয়া
পাইনা খুঁজে তোমায়।
***********

মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়ে
হরণ করলে আমার মন,
প্রেমমাখা দৃষ্টি দিয়ে
দেখলেনা মোর জ্বালাতন।
*************

পাহাড় চূড়ায় উঠেছি আজ
যদি তোমার দেখা পাই ,
বলব যে আজ মনের কথা
তোমার অতি কাছে যাই ।
**************

ভাবনার নায়ে চড়ে
তোমায় কত দেখেছি ,
তোমার রূপের ঝলক আমি
 মনে ধরে রেখেছি 
***********

তোমার জন্যেই হারিয়েছি হুঁশ
হারিয়েছি চোখের শক্তি ,
তোমার জন্যেই মরতে বসেছি
হারিয়েছি সকলের ভক্তি।
*************

সুরা পাত্রে ঢালো সাকি
প্রেমের সুধা যত ,
আমি যে কেবল প্রেমের পাগল
প্রেম পিয়াসে থাকি অবিরত।
**************

প্রেমের মাঝে মন দিওনা
গুরু জনে কয় ,
প্রেম এসে যায় সঙ্গোপনে
হয় যে মনের বাঁধন ক্ষয়।
**************

বানিয়েছি ফুলের বাগান শুধু তোমারই লাগি,
একটুখানি এসে দেখে যেও যদি হও ফুল অনুরাগী।
=====================

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

১৯৭১ এর পূর্বাবস্থায় ফিরে এল বাংলাদেশ ! প্রয়োজন নতুন একটা মুক্তির যুদ্ধ …


১৯৭১ এর পূর্বাবস্থায় ফিরে এল বাংলাদেশ !
প্রয়োজন নতুন একটা মুক্তির যুদ্ধ …
মুহা্ম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

সংবাদে দেখলাম বেশ কিছু পর্দানশীন মেয়েদের পুলিশ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গেছে। এ যেন সে ১৯৭১ এর এই জনপদের পূর্বাবস্থায় ফিরে আসা। পাকিস্তানীরা এভাবেই ঘর থেকে নারীদের ধরে নিয়ে অত্যাচার চালাতো। যে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশের মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল।

সেই মুক্তিযুদ্ধের ৪১ বছর পর আবারও সেই পাকিস্তানীদের দোষরদের হাতে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে নারীদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। যারা করছে তারাই নাকি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একমাত্র দাবিদার। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একমাত্র দাবিদারের মুখোশ পড়ে পাকিস্তানীদের এইসব চরেরা বাংলার জনপদকে ১৯৭১ এর পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে। এমন কোন ঘর বাদ যাচ্ছেনা যেখানে তাদের হাতে নারীরা লাঞ্চিত হচ্ছেনা।

পাকিস্তানীরা যে কারনে এদেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, ঠিক একই ঘটনা সমুহ ঘটিয়ে যাচ্ছে এইসব মুখোশধারী দেশপ্রেমিকরা। তারা এমন কিছুই কম করছেনা , যেগুলো পাকিস্তানীরা করেছে তার হুবহু সবকিছুই করে যাচ্ছে। আর তারাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একমাত্র দাবিদার রূপে বাংলাদেশের মানষদের ধুকা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ঘুমন্ত মানুষ নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। এই সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানীদের দোষর এইসব মুনাফিক গুপ্তচরেরা বাংলাদেশের ঘুমন্ত মানুষদের উপর অত্যাচারের খড়ক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

সময় এসেছে এসব হায়েনাদের উপর ১৯৭১ এর মত বাংলাদেশের মানুষদের ঝাঁপিয়ে পড়ার। সময় এসেছে আবাল- বৃদ্ধ - বণিতার আরও একটি যুদ্ধে উপনিত হবার। সময় এসেছে এদেশ থেকে এদের মুল উৎপাটন করে বিতাড়িত করার। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল মানুষ এক হোক, গর্জে উঠুক আর একবার - এই হোক কামনা।
============

রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২

বিশ্বসেরা বাংলাদেশের বিজয় দিবস

বিশ্বসেরা বাংলাদেশের বিজয় দিবস
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

চলার পথে সদা ভয়ে তটস্থ , দুরু দুরু বুক,
৪১ বৎসর আগের সেই স্বাধীনতার যুদ্ধে
বিজয় ছিনিয়ে এনে পাওয়া এই কি আমাদের সুখ ?

এই বুঝি আমায় নিয়ে যাবে ধরে
দেশপ্রেমিকের মুখোশধারী রাজনীতির ধারক বাহকদের নির্দেশে
গুম করে ফেলবে আমায় সেই গুম হওয়া ইলিয়াছের মত,
আমার খোঁজ না পেয়ে ছটফটাতে থাকবে আমার পরিবারের সবাই।
বিজয়ের হাসিতে উচ্ছল উৎফুল্ল হবে
সেই তথাকথিত দেশ প্রেমিক হায়েনার মুখ।
এই কি তবে বিজয়ের সুখ ?

এই বুঝি সোনার ছেলেরা
চাপাতির আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করবে আমার দেহ
বোমা মেরে ছিন্ন ভিন্ন করে উড়িয়ে দিবে আমায় বাতাসের সাথে
পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেবে আমার সর্বাঙ্গ
ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকবে
স্বাধীন রাজপথে (?) একজন নিরীহ মানুষ।
আমায় হত্যার আনন্দে
নৃত্যের তালে তালে সুখভোগ করতে থাকবে
সেইসব সোনার ছেলেরা বুক ফুলিয়ে !
সেই ৪১ বৎসর পূর্বে স্বাধীনতা যুদ্ধের এই কি আমাদের অর্জন ?

চারিদিকে লুটপাট , আগুনের লেলিহান শিখায় সকল শিক্ষাঙ্গন
ঘুমন্ত মানুষের ঘরের ছাদে বুলডোজারের সাড়াশি অভিযান
নীরিহ মানুষদের উপর মিথ্যা অভিযোগের গ্রেফতারী ফরওয়ানা জারী করে
জনপদে শান্তি বিনষ্টের নিত্য নব সরকারী সব আয়োজন
যেন সেই পাকিস্তানী হায়েনাদের অত্যাচারী ফর্মূলা ,
দেশের মানুষদের উপর আবর্তিত
নিপীড়ন-নির্যাতনের এক একটি মর্টার সেল।
এইকি তবে স্বাধীনতার যুদ্ধে ছিনিয়ে আনা আমাদের বিজয় ?

যদি তাই হয় তবে এসো, করি সেই বিজয় উল্লাস
রাজপথকে করি রক্তলালে রঞ্জিত বিশ্বজিৎ হত্যার মত
মানুষ হত্যার মহোৎসব পালনের মধ্য দিয়ে,
উন্নীত করি দেশকে আরও এক ধাপ
গুম - অপহরণ - ব্যভিচার - অবিচার - নির্যাতন - নিপীড়ন - সন্ত্রাস
দূর্নীতি - দুঃশাসন - ধর্ষণ - শোষণ সহ অনৈতিক সব কর্ম দিয়ে,
এইভাবেই হবে বিশ্বসেরা বাংলাদেশের বিজয় দিবস।
======================

দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা

দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা

আজ আমাদের বিজয় দিবস। আজকের এইদিনে বিজাতীয়দের এদেশ থেকে তাড়িয়ে স্বজাতীদের নিয়ে লুটপাঠের রাজত্ব কায়েমের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকের এইদিনে বিজাতীর কাছ থেকে লুটপাঠের রাজত্ব ছিনিয়ে এনে স্বাধীনভাবে লুটপাঠ করনে স্বজাতির কাছে হস্তানান্তর করে দেয়ায় সকল মুক্তিযোদ্ধা ও লাখো শহীদদের জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলী। সেই সাথে দেশের এই লুটপাঠে লুটপাঠকারীদের ভোট সমর্থন দিয়ে তাদের লুটপাঠে সহায়তা করার জন্য দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা।


আজ বিজয় নয় মুক্তিযুদ্ধের ৪১ বৎসর পূর্ণ হলো। ৪১ বৎসর পূর্বের সেই মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় দেশের মানুষদের নতুনভাবে শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে উদ্ভাসিত আজকের এই দিন।আনন্দে আত্মহারা হয়ে মুক্তিযুদ্ধের মুল লক্ষ্য থেকে বিচ্ছ্যুত হয়ে নিজেদের গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে নিতর দেহ আর নিস্তেজ প্রাণ নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আজকের এদিন স্মরণ করা নয়, আজকের এদিনটি নতুনভাবে দেশজ কল্যান ও প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য নতুন প্রত্যয় নিয়ে শোষকগোষ্ঠীর শোষনের বিরুদ্ধে লেলিহান অগ্নিশিখার মত দেশের মানুষদের জ্বলে উঠার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করার দিন।
১৯৭১ এর সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশবাসীর অন্তর - মন -মস্তিক আবারও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রজ্জ্বলিত হোক এই কামনায় - শুরু হোক আরও একটা মুক্তির যুদ্ধ।
============

এ কোন্ বিজয়ের আনন্দ !

বিজয় দিবস-২০১২


এ কোন্ বিজয়ের আনন্দ !
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------
সকলকে বিজয়দিবসের শুভেচ্ছা এবং
সকল মুক্তিযোদ্ধা ও লাখো শহীদদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলী

*******************************

এ কোন বিজয় ? কোন বিজয়ের আনন্দ আজ !
সমগ্র বাংলাদেশ পড়েছে কোন বিজয়ের সাজ ?
বিজাতির কাছ থেকে মুক্তি চেয়ে যেদিন বিজয় পেয়েছি,
স্বজাতির কাছে সেদিনই আবার নতুন করে বন্দী হয়েছি।
বিজাতির শোষণ থেকে মুক্তির জন্য
করেছিলাম যেদিন মুক্তির যুদ্ধ,
লাখো প্রাণের বিসর্জন দিয়ে মুক্তি পেয়ে সেদিন
স্বজাতির কাছে হয়ে হয়ে পড়েছি অবরুদ্ধ।
কোথায় সে স্বাধীনতা ,
যার জন্য আমাদের আজ আনন্দচিত্ত্ব ?
হয়েছে কি আমাদের বিজয় ?
শোষক গোষ্ঠীর শোষণের শিকার আমরা যে নিত্য।
শোষকদের শোষণ
যেদিন নির্মূল হবে দেশে,
সেদিনই হবে বিজয়
বিজয় মিছিল করব এই বাংলাদেশে।
আজ আনন্দ নয় , এসো করি দৃপ্ত শপথ –
নির্মূল করব সেই পাকিস্তানী দোষরদের শোষণ,
শোষক নেতাদের খতম করে
দেশপ্রেমিক নেতাদের করবো পোষণ।
================

শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১২

সফল অভিযান


সফল অভিযান
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

জেগেছে বাংলাদেশ ,
স্বপ্ন দেখার হইলো শেষ ,
এখন আর স্বপ্ন নয়
বাস্তব হবে সবই ,
করবে একদিন বিশ্বজয়।
পীছন ফিরে আর থাকানো নয়
নয় কোন কাঁদা ছোড়াছুড়ি,

চুরি নয় , ডাকাতি নয় ,
হতাশা নয় , নিরাশা নয় ,
এবার জেগেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মানুষ আর অবুঝ নয় ,
দেখেছে অনেক কিছু ,
শিখেছে সকল কিছু ,
বিশ্বজয়ের তাড়নে এবার চলছে তারা সাফল্য পীছু।
সাব্বাশ বাংলাদেশ, সাব্বাশ বাংলার টাইগার
তোমাদেরই সাফল্যের পথ ধরে
হবে বাংলাদেশের সকল সফল অভিযান।
=================

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১২

শীতার্ত দিনের শীতল মন


শীতার্ত দিনের শীতল মন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

মনে পড়ে সেইদিন সেই সোনালী রৌদ্রভেজা শীতের সকাল -
গ্রামীণ মেঠো পথ ধরে নাঙ্গা পায়ে ছুটে বেড়াতাম ,
শিশিরসিক্ত দূর্বাঘাসে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা লজ্জাবতী গাছ
যাতে হাত লাগিয়ে বলতাম - তোমার এত লজ্জা কেন ?
আমার হাতের আলতো স্পর্শে সেই লজ্জাবতী গাছ
যেন আরো লজ্জা পেয়ে যেতো ,
গুঁটিয়ে নিতো নিজেকে লাজবতী পল্লীবালাদের মতো ,
যেমন কোন প্রেমিকের ছোঁয়া পেয়ে পল্লীবালারা বলেনা কোন কথা
লজ্জায় ধারণ করে রাঙ্গা বদন , লুকিয়ে যায় মুক্তোঝরা হাসি দিয়ে।

মনে পড়ে সেই শীতার্ত সকালের রমনার পুষ্পোদ্যান -
যেখানে একজোড়া কপোত-কপোতী সূর্য উঠার পূর্বেই হাজিরা দিতো ,
প্রাতঃবিহারে করতো মন বিনিময়, রমনার লেকে ভাসাতো কাগজের নৌকা,
শিশির স্নাতা ঘাসের কার্পেটে ধাক্কা দিয়ে ফেলে একে অপরকে করিয়ে দিতো শিশিরস্নান।

চোখে ভাসে সেই শীতের সোনালী সকাল -
কিষাণ-কিষাণীদের জীবনযাত্রার শীতভাঙ্গা যাপিত জীবন,
এ যেন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তাদের জীবনে বেঁচে থাকার আপ্রাণ প্রচেষ্ঠা !
কিষাণ যায় লাঙ্গল কাঁধে আর গরুর পাল নিয়ে সারাবেলা খাটুনি দিতে ,
আর কিষাণী লেগে যায় গৃহস্থালী কর্মে।

শীতার্ত দিনের এই মনোহর রূপ আর পাইনা দেখা
যন্ত্রযানের মত চলমান এই প্রবাসী জীবনে।
শীত লাগে গায়ে , করি শীতের সাথে মাখামাখি
যদিও আহত মন অনুক্ষণ শীতের রূপের দেখা না পেয়ে।
================

শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১২

চলতে হবে বিজয় ও স্বাধীনতার মূলপথে



চলতে হবে বিজয় ও স্বাধীনতার মূলপথে

মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী

----------------------

গতকাল একটা প্রবাসী সংগঠনের আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে তাদের এক অনুষ্টানে যোগ দিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ৮০/৯০ জন তাতে অংশগ্রহণ করি। অনুষ্টানটি মুলতঃ বিজয় মাসের বরণ উপলক্ষ্যে আহবান করা হয়েছিল। যদিও আমি ঐ সংগঠনের কেউনা। তবুও দাওয়াত পেয়ে বন্ধুত্ব রক্ষার তাগিদে যেতে হয়েছিল। অনেকে অনেক ভাবে বিজয় দিবস নিয়ে এবং যুদ্ধকালীন স্মৃতির উপর আলোচনা করেন। শেষে এক বন্ধু বলে উঠল - এখানে একজন ভাই আছেন যিনি লেখালেখির সাথে যুক্ত। যদিও তিনি আমাদের সংগঠনের কেউ নন। আমার মনে হয় ওনার মুখ থেকে কিছু না শুনলে আজকের অনুষ্টানটা পরিপূর্ণ হবেনা। বুঝতে পারলামনা ঐ লোকটা কে ? আমি তখন অন্য রুমে একজনের সাথে কথা বলছিলাম।
যখন শুনলাম উপস্থাপক আমার নাম উচ্চারণ করছেন। তখন বুঝতে বাকি রইলনা এতক্ষণ কার কথা বলা হচ্ছিল। কারণ ঐ অনুষ্টানে আমার নামের সাথে মিলযুক্ত আর কেউ আসেনি। তাই মনে মনে "লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ছুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্জোয়ালিমীন" পড়তে লাগলাম। শেষ রক্ষা হলোনা। একটা লোক এসে আমাকে বলল - ভাইয়া প্লীজ একটু উঠে আসুন। আপনাকে আমাদের মাঝে কিছু বলতে হবে। আমি ওনাকে বললাম, ভাই আমি কি বলব, এসব আমার দ্বারা সম্ভব নয়, আমার একটু কলম চললেও মুখ বোমা মারলেও নড়চড় হয়না। লোকটি নাছোড়বান্দা। নিয়ে আমাকে যাবেই। শুরু করল হাত ধরে টানাটানি।

কি আর করা "যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়" এ পরিস্থিতিতে নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করব ঠিক করে নিয়ে উঠে গেলাম মঞ্চে। শুরু করলাম ওয়াজের মত করে। দেখুন আমার ভাষনটা কেমন হলো -" 

আচ্ছালামুআলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ !আলহামদুলিল্লাহিনাহমাদুহু,ওনাছতায়িনুহু,ওনাসতাগফিরহু, ওনাউযুবিল্লাহি মিন শুরুরী আনফুছিনা,ওমিন ছায়্যিআতি আ'মালিনা, ওমাইয়েহদিহিল্লাহু পালা মুদিল্লালাহ, ওমাইয়ুদলিলহু পালা হাদিয়ালাহ। ওনাশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওহদাহু লা শারিকালাহ্। ওবিযালিকা উমিরতু ওআনা আওয়ালুল মুছলিমীন। আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিইউ ওয়ালা আলি মুহাম্মদ কামা ছাল্লায়তা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলী ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম্মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিইউ ওয়লা আলি মুহাম্মদ কামা বারিকতা আলা ইব্রাহিমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম্মাজীদ।

আম্মা বাদ- আউজু বিল্লাহিমিনাশশায়ত্বানির রাজীম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ক্বালাল্লাহ তাআলা -
আলিফ লাম মীম। যালিকাল কিতাবু লা রায়বা ফিহি হুদাল্লিল মুত্তাক্বীন। আল্লাজিনা ইউ'মিনুনা বিলগাইবি ওয়ুক্বিমুনাস্সালাতা ওয়ামিম্মা রাজাকনাহুম ইউনফিকুন। ওয়াল্লাজীনা ইউ'মিনুনা বিমা উনযিলা ইলায়কা ওয়মা উনযিলা মিন ক্বাবলিকা ওয়াবিল আখিরাতিহুম ইউক্বিনুন। উলায়িকা আলা হুদাম্মিররাব্বিহীম ওয়াউলায়িকা হুমুল মুফলিহুন।ওক্বালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - ইন্নামাল আম'মালু বিন্নিয়্যাত।
উপস্থিত আজকের এই জলসার মাননীয় সভাপতি এবং প্রবাসী বন্ধুগণ আচ্ছালামু আলাইকুম ! আজ ৩০শে নভেম্বর, আগামী কাল ১ ডিসেম্বর। এই ডিসেম্বরটি মাসটি আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য এক বিশেষ স্মরণীয় মাস হিসাবে চিহ্নিত। এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর আমরা আমাদের মুক্তির যুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলাম। যে যুদ্ধে হারিয়েছিলাম আমরা আমাদের লক্ষ লক্ষ মা-বোন-ভাইদের। ডিসেম্বর মাসটি আসলেই তাদের স্মরনে আমরা বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করি। এসব কর্মসূচীর সুত্র ধরেই মুক্তিযুদ্ধের বীরদের স্মরণে আমি যতটুকু জানতে পারছি আজকের এই অনুষ্টানের আয়োজন। সে জন্য সকলকে জানাই বিজয় মাসের শুভেচ্ছা।

আমি প্রথমেই হামদ্ ও নাতের পর আলকোরান থেকে সুরা বাক্বারার পাঁচটি আয়াত এবং আল হাদীসের অগণিত হাদিস থেকে একটি হাদিস পাঠ করেছি। আপনারা হয়তো মনে মনে ভাববেন লোকটারে বলতে বললাম কি আর সে বলে কি ! তারে কইলাম বিজয় দিবসের আলোচনা করতে আর সে কিনা করে ওয়াজ ! আপনাদের মনের এই জল্পনা দূরী করণে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে আমি কি বলতে কি বলছি মোটেই জানিনা। এ ধরণের বক্তব্য দানে আমি অভিজ্ঞ নই। তাই এই অবস্থা। আশা করছি আমাকে ক্ষমা করবেন। কিছু বলতে যখন এখানে উঠেছি, কিছু না বলে নেমে গেলে সেটা শোভনীয় হবেনা। তাই চেষ্টা করব অন্তত কিছু বলতে। তার আগে শ্রদ্ধা জানাই সেইসব শহীদ - বীর মুক্তিযোদ্বাদের, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন (?)।

আমি যখন ইংরেজী শিক্ষা থেকে বের হয়ে তাবলীগে কিছুদিন সময় দিই, তখন আমাকে এক বিশেষ চিন্তার সাগরে ডুব দিতে হয়, যে চিন্তা আমাকে নিয়ে যায় মাদ্রাসা লাইনে। ভর্তি হই মাদ্রাসায়। তখন দারুন কোরান শামসুল উলুম মাদ্রাসা, চৌধুরী পাড়া, ঢাকায় হোষ্টেলে থেকেই শুরু করি আরবী পড়া। সেখানে উক্ত মাদ্রাসাসার মুহতামিম জনাব মাওলানা ইসহাক ফরিদী হজুরের তত্বাবদানে পরিচালিত হত বক্তৃতা শিক্ষার কোর্স। যাতে সকল ছাত্রকেই অংশ নিতে হত। সেই কোর্স থেকেই আমার বক্তৃতা শিক্ষা। আর তাই আমার আলোচনার শুরুটা ওয়াজের মত হয়ে গেল।

সে যাক, আমি উক্ত আয়াত ও হাদীসের আলোকে বিজয় দিবসের আলোচনাকে একটু ভিন্নতা দেয়ার চেষ্ঠা করছি। তাই বলে আমার এই আলোচনা ওয়াজ হিসেবে মনে করলে ভুল হবে। আমার পাঠকৃত আয়াত সমুহের বাংলা হলো - " আলিফ-লাম মীম। এই সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নাই, এ সাবধানীদের জন্য পথ নির্দেশক। (সাবধানী ওরাই ) যারা অদৃশ্যে বিশ্বাষ করে, সালাত কায়েম করে এবং তাদের যা দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। এবং যারা তাতে বিশ্বাষ করে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমার পুর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর পরকালের প্রতি যারা দৃঢ় আস্থা রাখে। তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই পূর্ণ সফলকাম।" আর হাদিসটির বাংলা হলো - "প্রত্যেক কর্মই নিয়তের উপর নির্ভর্শীল।"

এখন আসুন আমরা বিজয় দিবস নিয়ে কিছু আলাপ করার চেষ্ঠা করি। যদি আমরা বিজয় দিবসের আলোচনা করতে যাই তবে উঠে আসে আমাদের স্বাধীনতার কথা। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস দুটোই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না পড়লে আমরা বিজয় দিবস পেতামনা। তাই স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস একসাথেই আমাদের আলোচনায় উঠে আসে। বিজয় দিবসের কথা বলতে গেলেই বলতে হয় স্বাধীনতার কথাও।

আমরা বাংলাদেশীরা স্বাধীন জাতি। রয়েছে আমাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনের গৌরব। আমরা একটা বৃহৎ শোষক গোষ্টির পরাধীন থেকে নির্যাতন-নীপীড়নের অসহনীয় জ্বালায় অতীষ্ট হয়ে তাদের শৃন্খল থেকে নিজেদের ক্ষুদ্র শক্তি দিয়ে যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে স্বাধীন হয়েছি। এটা আমদের কম গৌরবের কথা নয়।

কিন্তু সেই বিজয়ের গৌরব সেই স্বাধীনতার স্বাদ আমরা ঠিক কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি বা আদৌ অর্জন করতে পেরেছি কিনা তা আমাদের ভাববার বিষয়। যদি এই গৌরব ও স্বাদ অর্জন করতে না পারি, তবে কেন পারলামনা - তা একটা প্রশ্নাধীন বিষয় বৈকি। আজ আমরা যদি ভাবি স্বাধীনতার তেতাল্লিশ বছর পরও দেখতে পাব আমরা কখনো স্বাধীন ছিলামনা। আমরা যে স্বাধীনতা চেয়েছি তা আমরা পাইনি। আমরা বিজয়ের গৌরবে গৌরান্বিত হতে পারিনি। এক ভিনদেশী শোষক গোষ্টির নির্যাতন সেল থেকে আমরা পরিবর্তিত হয়ে স্বদেশী শোষক গোষ্টির নির্যাতন সেলে স্থানান্তর হয়েছি। সেটা স্বাধীনতা নয়। সেটা বিজয় নয়। সেটা এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তরের মত ঘটনা মাত্র। অথবা এক কারারক্ষীর মৃত্যুর পর নতুন আসা কারারক্ষীর অধীন সেলের আমরা বন্ধী ।

সেদিন আমরা যে নিয়তে দেশ স্বাধিনের যুদ্ধে নেমেছিলাম। আমাদের সে নিয়ত ঠিক ছিলনা বিধায় আমরা আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত। যেহেতু রাসুলের হাদীস - "প্রত্যেক কর্মই নিয়তের উপর নির্ভর্শীল।" নিয়ত ঠিক থাকলে সেই স্বাদ পাওয়া থেকে আমরা বঞ্চিত থাকতামনা। সেই নিয়তটি মুলতঃ নির্যাতকদের নির্যাতনের নতুন একটা ফর্মূলা। দেশের মানুষদের মুক্তিদান সে সময়কার নেতৃত্বের বাহিরের খোলস ছিল, সেই নেতৃত্বের আভ্যন্তরে ছিল যুদ্বে পরাজিত শোষকদের ন্যায় সেইসব নেতাদের স্বার্থসিদ্ধির একটা ইচ্ছা বা নিয়ত। ফলে, আমরা আজও রয়ে গেছি সেই একই শ্রেনীর শোষকগোষ্টির পেষন যন্ত্রের বলি হয়ে।

তাছাড়া, আমরা স্বাধারণ মানুষ সেদিন আমরা ভুল পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আজও আমরা সেই ভুলপথ ধরেই হাঁটছি। ফলে আমরা আমাদের অভিষ্ঠ্য লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছিনা। আর যতদিন আমরা সেই ভুল পথ ধরে হাঁটবো, ততদিন সেই অভিষ্ঠ্য লক্ষ্যে পৌঁছা আমাদের দ্বারা সম্ভব হবেনা। কারন, মানবজাতির স্রষ্টার বিধান অমান্য করে কখনো সেই মানুষ নিদ্রিষ্ট লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে সফলকাম হবেনা। তাই স্রষ্টা তার মানবজাতি পরিচালনার বিধানগ্রন্থে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন - "এই সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নাই, এ সাবধানীদের জন্য পথ নির্দেশক। (সাবধানী ওরাই) যারা অদৃশ্যে বিশ্বাষ করে, সালাত কায়েম করে এবং তাদের যা দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। এবং যারা তাতে বিশ্বাস করে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমার পুর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর পরকালের প্রতি যারা দৃঢ় আস্থা রাখে। তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই পূর্ণ সফলকাম।"

অতএব, আমাদেরকে চলতে হবে বিজয় ও স্বাধীনতার মূলপথে। খুঁজে নিতে হবে আমাদের সেই মুলপথ। মানতে হবে সেই মুল পথের দিক নির্দেশককে এবং স্রষ্টার সর্বশ্রষ্টে, সর্বত্র ও সার্বজনীন রূপে গ্রহণযোগ্য সেই বিধানকে। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে দুনিয়ায় স্বাধীন থাকার মুল বিধানের আলোকে চলতে সহায়তা করুন। আমীন।
=================

এক মুক্তিযোদ্ধার প্রশ্ন


এক মুক্তিযোদ্ধার প্রশ্ন
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------

নয় মাস যুদ্ধ করে
যে স্বাধীনতার জন্য দিয়েছি প্রাণ
হারিয়েছি মা-বোনদের সম্ভ্রম ,

অর্জিত হয়েছে কি আজও সেই স্বাধীনতা ?
বিজয় পেয়েছি বলে করেছিলাম যেদিন উল্লাস -
জয় কি হয়েছে আমাদের
নাকি স্বীকার করেছি সেদিন
নতুন করে আর এক অধীনতা ?

আমি এক মুক্তিযোদ্ধা
কাঁধে বন্ধুক আর
অসীম সাহস নিয়ে
করেছি সেদিন মুক্তির জন্য যুদ্ধ ,
বুঝিনা কি করে নিয়েছিলাম মেনে
হয়েছিল সেদিন আমাদের মুক্তি
আমরা যে রয়ে গেছি আজও
সেই শোষক শ্রেনীর কাছে রূদ্ধ !
******************
লাল সবুজের এই পতাকা
আনলো যারা
বুকের তাজা রক্ত ঢালি ,
স্মরণ করি আজ তাহাদের
এই স্মরণ দিনে টগবগিয়ে উঠুক আবার
সকলেরই রক্ত নালী।
=========