আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১২

হরতাল ঃ দেশ ধ্বংসের একটা মোক্কম অস্ত্র জ্বলছে আগুন – পুড়ছে দেশ - ধ্বংস হচ্ছে দেশের ভবিষ্যত



হরতাল ঃ 
দেশ ধ্বংসের একটা মোক্কম অস্ত্র  
জ্বলছে আগুন – পুড়ছে দেশ 
ধ্বংস হচ্ছে দেশের ভবিষ্যত

মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------------- 


যারা হরতালের ডাক দেয় , ডাক দিয়েছে , ডাক দিচ্ছে , ডাক দিবে – তাদের গুদাম ভর্তি মালামাল , খাবারে তাদের টান পড়েনা , অর্থ সম্পদের ও ক্ষতি হয়না তাদের । হরতালে ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষদের , রিক্সাওয়ালাদের , দিন এনে দিন খায় যারা তাদের , গাড়ী চালিয়ে যারা পরিবারের অন্ন সংস্থানে দিনতিপাত করে তাদের , দোকান পাঠ – কলকারখানায় মজদুরী করে যারা একমুঠো অন্নের আশায় দিবারাত্র পরিশ্রম করতে থাকে তাদের । আর এই সাধারণ মানুষদের জীবন পরিচালনার সবদিক বন্ধ করে তাদেরকে তীলে তীলে মেরে তাদের মাথাপীঁছু বরাদ্ধকৃত সরকারী অর্থসম্পদ আত্মসাৎ - ভোগদখলের সুবিধার্থে তাদেরই বোকা বানিয়ে রাজনীতিবিদগণ এই হরতাল নামক দেশ ও জনগণ ধ্বংসকারী মারণাস্ত্রটি দেশ ও জনগণের কল্যানের নামে প্রয়োগ করে । আর সাধারণ মানুষ মারার এ ফন্দিতে আঁটকে যায় কিছু সাধারণ বোকা জনতা , যাদের নিয়ে এইসব সুবিধাভোগী হরতাল ডাকিয়েরা তাদের সুবিধা ভোগ করতে থাকে । এইসব সুবিধাভোগীদের দলের কর্মী রূপে সেইসব সাধারণ বোকা জনতা হরতাল ডাকিয়েদের ধন চুষে যাবে আজীবন কিন্তু কিছুই পাবেনা । তাদের ধন চুষে আরাম লাভ করা ছাড়া এই সাধারণ বোকা মানুষগুলোর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবেনা । মাঝখানে এইসব দলীয়কর্মী রূপী বোকা মানুষগুলোর বোকামিত্বের কারণেই দেশের নাগরিক জীবন ভোগান্তি সয়ে যাবে অনন্তকাল অবধি ।
আমি বুঝিনা - হরতালে কোন লাভটি হচ্ছে ? দেখতে পাচ্ছি হরতালে লাভ হচ্ছে এইযে – সাধারণ মানুষ মরছে , দেশের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে , দেশের উন্নয়নের চাকা বন্ধ থেকে দেশের অনুন্নয়ন ঘটছে , দেশের কলকারখানা বন্ধ হয়ে আর্থিক ক্ষতির পাল্লা ভারী হচ্ছে দেশের , দেশের অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস হচ্ছে , চারিদকে জ্বলছে আগুন , পুড়ছে দেশ ও দেশের সম্পদ , ধ্বংস হচ্ছে দেশের ভবিষ্যত । এসব হরতাল ডাকিয়েরা কি করে বুঝবে ? তাদের না আছে দেশের টান , না আছে পেঠের টান । তারা কি দেখছে এই হরতালের কারণে কতগুলো পরিবার অভুক্ত থাকছে ? কতগুলো জানমালের ক্ষতি হচ্ছে ?  কতগুলো নিরাপরাধ মানুষের জীবন ধ্বংস হচ্ছে ? তারা তো হরতালের ডাক দিয়েই ফুলসয্যায় স্বামী – স্ত্রী নিয়ে স্ফূর্তি শুরু করেছে , একে অন্যকে নিয়ে মধুর আলিঙ্গনে জড়িয়ে আছে । ঘরে বসেই তারা গুদাম ভর্তি মাল দিয়ে মউজ করছে , খাচ্ছে বেহেস্তী খানা , নাচ গানে মত্ত হয়ে মাতলামী করছে , নরম বিছানায় শুয়ে শুয়ে যৌনাঙ্গের সুখ নিচ্ছে । কি করে বুঝবে তারা সাধারণ মানুষদের পেঠের ব্যথা , যৌনাঙ্গের যাতনা , মনের অশান্ত দাবদাহ ?
দেশের ৪২ বৎসরের সুদীর্ঘ জীবনে এতগুলো হরতাল হয়ে গেলো , দেশের এতকিছু ক্ষতি হলো প্রতিটি হরতালে কেউ কি বলতে পারবে – কি লাভ হয়েছে এইসব হরতাল ডেকে ও সমর্থন করে ?
হরতাল তারাই ডাকে এবং তারাই সমর্থন করে – যারা কালো টাকায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে , যাদের কখনো অন্ন কষ্টে ভুগতে হবেনা , যাদের কখনো জানমালের ক্ষতি হবেনা , যাদের কখনো টাকা পয়সার টান পড়বেনা , আর যারা বিবেক বর্জিত এবং এইসব সম্পদশালীদের ধনচুষে আরাম পেতে ইচ্ছুক ।
সাধারণ মানুষদের বিবেক বুদ্ধি যেন লোপ পেয়েছে এই সব ফিরিঙ্গীবাজদের ছলকলায় । এইসব হরতাল ডাকিয়েদের ছলকলায় অন্ধ হয়ে তাদের ধন চুষে কি আরাম প্রাপ্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ , কি মজা পাচ্ছে আমার বুঝে আসেনা । আপনাদের কারো বুঝে আসে কি ?  
============================================
  

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২

বাংলাদেশ আমাদের স্বর্গভূমি



বাংলাদেশ আমাদের স্বর্গভূমি
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------------


বাংলাদেশ আমাদের স্বপ্নভূমি ,
বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি ;
বাংলাদেশ আমাদের বসতভূমি ,
বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি ।।

এই দেশেতে জন্ম নিয়ে দেখলাম এ পৃথিবী ,
এই দেশেতেই দৃষ্টি খুলে দেখলাম প্রথম রবি ।
এই দেশেরই আলো বাতাস আছে মোদের অঙ্গে মেখে ,
এই দেশরই মাঠে ঘাটে মোরা রূপ দেখেছি দৃষ্টি রেখে ।
এই দেশেরই মাটির নীচে আছে সম্পদখনি ,
এই দেশেরই পল্লী গাঁয়ে রূপের বাজার খানি ।
এই দেশেরই সহজ সরল সকল মানুষ গ্রামে বসত করে ,
এই দেশেরই পল্লী গাঁয়েই সকল সম্পদ রইছে ভরে ।

সুজলা – সুফলা – শষ্যে শ্যামলা
আমাদের এই ছোট্ট দেশখানি ,
লক্ষ লক্ষ জনতার প্রাণ দিয়ে গড়া
আমাদের এই স্বাধীন রূপের খনি ।
বাংলাদেশ আমাদের বাংলাদেশ
বাংলাদেশ আমাদের স্বপ্নভূমি ,
বাংলাদেশ আমাদের রূপের খনি
স্বাধীন এই বাংলাদেশ আমাদেরই জন্মভূমি ।।

সবুজের সমারোহ চারিদিকে আজ ,
সুশোভিত দৃশ্যে মোদের দেশের সাজ ।
অপরূপ অঙ্গে মোদের এই স্বাধীন ঘাঁটি ,
সুন্দর মাঠ ঘাটে মোদের দেশের মাটি ।
শান্তির রূপায়নে আনন্দমুখর মোদের গ্রাম পরিবেশ ,
সুন্দর সুবাতাসে স্বাস্থ্যকর এই আমাদের দেশ ।
হিংসা বিদ্বেষে লেগে নেই আমাদের দেশের মানুষ ,
দেশপ্রেমে বিভোর সবে দেশদ্রোহী নেই কোন অমানুষ ।
আদর্শ এক দেশ রূপে গড়েছে এই আমাদের দেশ ,
শান্তির প্রতীক নিয়ে করেছে বিশ্বে প্রবেশ ।

শান্তি – সুখী – সহজ – সরল
এই দেশেরই মানুষগুলি ,
মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবেসে যায়
মানুষকে সম্মান দিয়ে মানবতার রূপকে ধরে তুলি ।
বাংলাদেশ আমাদের বাংলাদেশ
বাংলাদেশ আমাদের শান্তিভূমি ,
বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের ধ্বনি
স্বাধীন এই বাংলাদেশ আমাদের স্বর্গভূমি ।।
========================================

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২



কষ্ট দিতে চাইনি বলে ...
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------------


কষ্ট দিতে চাইনি তোমায় তবুও কষ্ট তুমি পেলে ,
নিজের দোষেই দোষী হলে সুনাম তোমার হারালে ।।

আমাকেও করলে তুমি তোমার দোষে দোষী ,
ভালোবেসে যাই তবুও করতে তোমায় খুশি ।
চিন্তা করোনি কভু দোষী তুমি হলে ,
তোমার দোষে দোষী হবো ভালোবাসি বলে ।।

তোমার দোষে দোষী হয়ে সব আমি হারালাম ,
তোমায় ভালোবেসে আমি আঁধার পথে দাঁড়ালাম ।
সুখি দেখতে চেয়ে তোমায় ভুল আমি করেছি ,
তোমার মতেই চলতে দিয়ে নিজকে আমি মেরেছি ।
বেশী ভালোবাসলাম বলে তোমায় আমি হারালাম ,
সুখী দেখতে চেয়ে তোমায় নিজকে দুঃখে ভাসালাম ।
তুমি সুখে আছো ভালো আছো আমায় দুঃখ দিয়ে ,
ধুঁকে ধুঁকে মরছি আমি তোমার কষ্ট নিয়ে ।
কষ্ট তোমার চাইনি আমি চাইছি সুখে থাকো ,
আনন্দ আর খুশির মাঝে আমায় মনে রাখো ।

সুখ তুমি পেয়েছো খুশি তুমি হয়েছো ,
দিয়েছো আমায় শুধু কষ্টে ফেলে ,
পাইনা কোন আনন্দ জীবনে নেই ছন্দ
ভালো আছো তুমি তাই মোর মনে সুখ যে মেলে ।।
=========================================


   

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

দুই নয়নে কাঁন্দো তুমি



দুই নয়নে কাঁন্দো তুমি
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------------- 


পূর্বকথন ঃ পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে , 
যারা সুন্দর সাজানো সংসার ভেঙ্গে ,
অন্যের সাথে ভেগে যায় -  
তাদেরই স্মরণে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস

*************************** 

দুই নয়নে কাঁন্দো তুমি ! কাহার লাগিয়া ?
আমার জন্যই কাঁন্দো তুমি – বললে রাগিয়া !!
হোঁছট খাইলাম তোমার কথায় , বুঝে আসেনি
প্রেম সাগরে ভাসিয়ে আমায় ভালবাসনি
এখন তবে কান্না কেন ! বুঝে আসেনা
বহুদিনের পুরান কথা মনে ভাসেনা ।
তোমায় একদিন চেয়েছিলাম মনে প্রাণে
সেই চাওয়া মিটে গেছে সময়ের বানে ।
আঠার বৎসর কেটে গেল তোমায় ভাবিয়া
পাইনি তোমায় কাছে আমি গেলে ভাগিয়া ।
এখন তবে কিসের কাঁন্দা আমায় দেখিয়া ?
যা চেয়েছ পেয়েছ তুমি সেদিন ভাগিয়া ।।
ভুলে গেছি সবকিছু ভুলে গেছি তোমাকে ,
আবার কেন আসলে কাছে ব্যথা দিতে আমাকে ?
পারবোনা যে সইতে আমি তোমার দেয়া ব্যথা আর
দোহায় তোমার ফিরে যাও দিওনা ব্যথা পূণর্বার ।
নাকি কাঁন্দা কেঁদোনা আর কাছে এসোনা
ভালোবাসার ছলনায় আমায় ধ্বংস করোনা ।
অনেক কাঁন্দা কেঁন্দেছি , অনেক কষ্ট সয়েছি
তুমি বিহীন আমি এখন অনেক ভালো রয়েছি ।
স্বর্গ সুখে সুখী আমার একেলা জীবন
খুশিতে মোর কাটছে সময় , আনন্দিত মন ।
কেন আবার দেখা দিলে না পাই ভাবিয়া
নতুন করে ভেবে মরি রাত্র জাগিয়া ।
পাইনা ভেবে কি কারনে বললে কাঁন্দিয়া
আমার কাছেই ভালো ছিলে ভুল হয়েছে ভাগিয়া ।।
======================================== 

তুমি বাশরিয়ার বাঁশীর সুর



তুমি বাশরিয়ার বাঁশীর সুর
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------------- 


বাশরিয়া বাজায় বাঁশী তোমারই স্মরণে ,
তোমারই তরে আসে সুর বাশরিয়ার মনে ।।

বাশরিয়ার সুর সেতো তোমারই স্মরণ ,
বাজে বাঁশী বাশরিয়ার সে তো তোমারই কারণ ।
বাশরিয়ার সুর শুনে সবাই পাগল হয় ,
সেই সুর তোমার কাছে যেন বিষময় !
বাশরিয়ার সুমধুর সুর প্রেমের বীজ বুনে ,
যার তরে প্রেমের চাষ দেখেনা সে নাহি সুর শুনে !!

দিবা নিশি বাজায় বাঁশী বাশরিয়া বসে ,
আঁখি যে তার টলমল প্রেমসুধা রসে ।
তোমারই প্রেমের অভিলাষে বাশরিয়ার বাঁশী
নিত্য জপে তোমারই নাম সুরের সাথে ভাসি ।
সুরে সুরে তোমায় ডাকে বাশরিয়া মনে ,
যেই সুর করে তোলপাড় সকল জন মনে ।
তোমার মন হয়না নড়চড় তবুও সকল কিছু শুনে ,
বাশরিয়ার বাঁশী বেজে যায় শুধুই প্রহর গুণে ।।

বাশরিয়ার হয়না দেখা তোমার সাথে কভু ,
তোমারই প্রেমে বাজায় বাঁশী বাশরিয়া তবু ।
বাশরিয়া আশায় থাকে শুনবে তুমি একদিন ,
তারই সাথে সুর মিলাতে আসবে তুমি সেইদিন ।
আশায় আশায় বাজায় বাঁশী বাশরিয়া একমনে ,
বাঁশীর সুর শুনবে তুমি মিলবে তুমি তার সনে ।।
========================================

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২

একটা সোনালী সকাল




একটা সোনালী সকাল
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------------


পূর্ব দিগন্তে লালিমাময় সূর্যের হাতছানী
জানান দেয় ঊষাকাল এখন নতুন প্রভাতের
পাখ-পাখালীর কলকাকলীতে ভেঙ্গে যায়
মানুষদের নিদ্রাজগত ,
কুয়াশার আবরন ভেদ করে
উঁকি দেয় প্রভাত রবি ,
জনমানবহীন জনপদে শুরু হয়
মানুষদের পদচারণা ,
নতুন দিনের নতুন কর্মসূচী নিয়ে
মাঠে নামে জনতা ,
নতুন দেখা স্বপ্নের বাস্তবায়নে
পদ সঞ্চালন করে স্বপ্নচারী ,
অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছবার স্বপ্ন নিয়ে
যাত্রা করে অভিযাত্রী ,
এভাবেই ধরা দেয় মানুষদের কাছে
একটা সোনালী সকাল ।  

শীতার্ত দিনের এমনই এক সোনালী সকালে
গাঁয়ের এক মেঠো পথে প্রাতঃভ্রমনে গিয়ে দেখি
কিষান – কিষাণীর যাপিত জীবন ,
দেখতে পাই –
কিভাবে দিচ্ছে তারা আমাদের খাদ্য-জোগান ?

গায়ে শুল দেয়া শীতকাতুরে সকাল ;
রাতের নীরবতা ভেদ করে সদ্য উদ্ভাসিত
কুয়াশার চাদরে ঢাকা কিষানদের আঙ্গিনা ।
পূর্ব দিগন্তে দৃষ্টি দিয়ে দেখি –
নজরে আসছেনা তখনো প্রভাত রবির ঊষাকাল ।
আলো – আঁধারীর সন্ধিক্ষণে
আঙ্গিনায় দেখা দিলো কিষাণবধুর আবছা ছায়া ।
গায়ে শুল দেয়া শীতের প্রকোপে জবুতবু কিষাণবধু ,
হালকা ছাদর গায়ে জড়িয়ে
নেমে গেছে জীবনযুদ্ধের মাঠে ,
আমাদের খাদ্য জোগানের আয়োজনে ।
গোয়াল ঘরে ডুকে বের করে নিয়ে এলো
একে একে পাঁচটা গরু !
তখনো ধনীর দুলারীরা রয়ে গেছে ঘুমে ,
লেপ-তোষকের উষ্ণ আবরনে
ঢাকা পড়েছে তাদের শীতের প্রকোপ ,
চিন্তা কি তাদের ?
রয়েছে তাদের কালো টাকার পাহাড় ,
যা দিয়ে কিনতে পারবে তারা
কিষাণ বধুর সুখ ।
যে সময় চলছে
ধনীর দুলালীদের এই স্বপ্ন দেখা ,
সে সময় নেমে গেছে মাঠে কিষাণ বধু   
তার সকল সুখ জলঞ্জলী দিয়ে !
হয়ে গেছে ব্যস্ত সে
মানুষের আহার জোগানোর আয়োজনে !

গোয়াল ঘর পরিস্কার করে বের হলো কিষাণ বধু ,
জমিন থেকে কেটে আনা ধান
উঠুন জুড়ে ছিটিয়ে দিলো
গরু গুলোকে বেঁধে দিলো একসাথে একটা রশিতে ,
দাঁড় করালো গরু গুলোকে ধানের উপর ,
সারিবদ্ধ গরু গুলোকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে
শুরু করলো ধান মাড়াই !

তখনও সবাই গভীর ঘুমে অচেতন !
পাশের ঘরে শুনা গেলো –
বৃদ্ধ - বৃদ্ধার খুক্ খুক্ করে কাশীর শব্দ
জানান দিচ্ছে তারা হয়েছে সকাল ।
নেমে এলো উঠুনে কিষানের পুরো পরিবার !
ধান মাড়াইয়ের কাজ শেষ করলো কিষান বধু ।
পূর্ব গগনে দেখা দিলো সূর্যোদয়ের রক্তীম আভা ।
আলো–আঁধারী কেটে গেলো , 
উদ্ভাসিত হলো দিনের উজ্জ্বল আলো ।

ঘরের ভিতরে চলে গেলো
পর্দানশীন কিষাণবধু ,
শুরু করলো ধান পরিস্কারের কর্ম ,  
শুনা গেলো কুলা – ডালার শব্দ !

এভাবেই দেখলাম একদিন
কিষানের আঙ্গিনায় – একটা সোনালী সকাল ।
======================================



রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১২

একবার দেখতে চাই দুর্নীতি দমন কমিশনের দুঃসাহস


একবার দেখতে চাই দুর্নীতি দমন কমিশনের দুঃসাহস 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
------------------------------------- 

মন্ত্রী - দেশ প্রধান সহ সকল সরকারী কর্মকর্তাদের বেতনের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে তাদের খরচের সীমাবদ্ধতা বেঁধে দেয়া হোক , সীমার উপরে তাদের খরচের তীব্রবেগ দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে । 
এই সমস্ত পদস্থ কর্মকর্তাদের আয়ের চেয়ে ব্যয়ের ওজনভার বেশী হওয়ায় সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের মত মন্ত্রী - পদস্থ কর্মকতারা দেশ ধ্বংসী সকল অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে । টেবিলের নীচে হাত দিয়ে কালো টাকা উপার্জনের মাধ্যমে তারা তাদের হাতমেলা খরচের জোগান দিচ্ছে । বাজারের ভারসাম্যতা নষ্ট হচ্ছে এই সমস্ত কালোটাকা আয় কারীদের উচ্ছাভিলাসী বল্গাহীন ব্যয়ের কারনে । 
দেশের আর্থিক দৈন্যদশার সৃষ্টি হচ্ছে মন্ত্রী - সরকারী পদস্থ কর্মকর্তাদের লাগামহীন ব্যয়বহুল উচ্ছাভিলাসী চালচলনের কারনে । তাদেরকে যদি দেশের দূর্নীতি দমন কমিশন তাদের বেতন অনুযায়ী খরচ করার লাগাম লাগিয়ে দিয়ে জবাব দিহীতার সরকার রূপে দেশ পরিচালনায় বাধ্য করে , তবে এটা নিশ্চিত যে দেশের ভবিষ্যত আগামী পাঁচ বৎসরের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দন্ডায়মান হবে । 
তাই দূর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আবেদন , একবার দেখতে চাই দুর্নীতি দমন কমিশনের দুঃসাহস । দু'দক একবার দেশের নাগরিকদের বুঝিয়ে দিক এই কমিশন কোন সরকারের লেজুড়বৃত্তি করেনা । দু'দক দেশের কল্যানে দেশের নাগরিকদের সম্পদ রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী । কমিশন যাতে সরকার পরিচালকদের লেজুড়বৃততি না করে দেশের কল্যানে সরকার পরিচালকদের এবং সরকারী কর্মকর্তাদের বা প্রয়োজনে দেশের নাগরিকদের সহ তাদের বেতনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সকল স্তরে খরচের সীমাবদ্ধতা বেধে দিয়ে , এবং বেতনের অতিরিক্ত খরচের জবাবদিহীতা মুলক কমিশন গঠন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হোক ।
============

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১২

এসো করি নতুন শপথ





এসো করি নতুন শপথ 

নববর্যের ঊষার আলোয় 
নতুন প্রভাত উঠুক হেসে , 
নতুন দিনের নব যাত্রায় 
এসো সবাই যাই মিশে । 
হিংসা - বিবাদ ভুলে সবাই 
এসো করি নতুন শপথ , 
নতুন রূপে গড়বো স্বদেশ 
নব আঙ্গিকে উদ্বোধন হোক 
- আমাদেরই যাত্রাপথ 

---------------------

অন্ধরা একদিন আলোর মুখ দেখবেই


অন্ধরা একদিন আলোর মুখ দেখবেই 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
----------------------------------- 

আমি অবাক হই এই কারনে যে , আমাদের মুসলীমদের বর্তমান সমাজের মধ্যে বেশ কিছু ইংরেজী শিক্ষিত ডক্টরেট ডিগ্রী ধারী ব্যক্তি রয়েছেন যারা ইসলামের অবমূল্যায়নের শপথ নিয়েছেন অথচ তারা ইসলামী নাম ছাড়া চলতে পারেননা । ইসলামের পরিচয় দেয়া ছাড়া তারা পরিচিত হতে পারেননা । কিন্তু অমুসলীমদের চেয়ে তারা ইসলাম বিরোধীতায় অগ্রগামী । 

এ পর্যন্ত যতগুলো পাবলিক অনলাইন ফ্ল্যাটফর্ম হয়েছে সবগুলোতেই দেখা যাবে কোন অমুসলীম নয় , মুসলীম পরিচয় ও নামধারী মানুষগুলোই ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে । কোরআন - হাদীসের আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে । যারা ইসলামের মুল আকিদা ও বিশ্বাস নিয়ে কথা বলছে তাদের পীছনে লাগিয়ে দিচ্ছে মৌলবাদী পদবী । হয়তো তারা ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করলেও মৌলবাদী শব্দটির অর্থ কি তা তারা শিখেননি । 

রামদা - চাপাতি - বোমা আধুনিক সব অস্ত্র নিয়ে জঙ্গীরা রাজত্ব করে চলেছে স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর জঙ্গী বানাচ্ছে তারা মসজিদ , মাদ্রাসার শান্তিপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থানকারী ছাত্র , শিক্ষক , ইমামদের । এ যেন -সমাজে অন্যায় করে একজন আর সামাজিক অন্যায় বিচারে চাপিয়ে দেয়া হয় নীরিহ সরল মানুষদের উপর - এমনই অবস্থা । 

আর এই মনোভাবের কারনেই ইসলামী ভাবধারার মানবহিতকর পোষ্টগুলোতে কারো মন্তব্য আসেনা । কারণ , ইসলামী ভাবধারার মানুষগুলো যেমন আজ তথাকথিত নামধারী মুসলীমদের দৃষ্টিতে মৌলবাদী ও জঙ্গী হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে , তেমনি ইসলামী ভাবধারার মানুষগুলোর পোষ্টগুলো ও মৌলতন্ত্র ও জঙ্গীনামায় পরিণত হচ্ছে । 

তারপরও বলব - ইসলামকে যারা যতবার পদদলিত করতে চেয়েছে , ততবারই তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে । ইসলামের উন্নয়নে তারা যতবারই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে , ততবারই তারা পদদলিত হয়েছে । ইসলামকে তারা যতবারই ধ্বংস করতে চেয়েছে , ততবারই তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়েছে । ইতিহাস সাক্ষী । ঝলঝল করছে ইতিহাসের পাতা ইসলামের বিজয় গাঁথা নিয়ে । 

তাই যারা ইসলামী আলোকে মানবকল্যানে লেখালেখি করছেন তাদেরকে কে বলবো - এগিয়ে যান আপনাদের লক্ষ্য পানে । আসবে বাধা , উঠবে প্রাচীর , ঠেকে যাবে দেয়ালে পীঠ । তবুও এগিয়ে যেতে হবে সত্যের মূল মন্ত্র নিয়ে অন্ধ মানুষদের কাছে আলোক বর্তিকা হয়ে ।
আপনাদের আলোকবর্তিকায় এইসব অন্ধরা একদিন আলোর মুখ দেখবেই । 
===================

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২

সভ্যতার নব রূপায়ণে এই বৈশাখ



সভ্যতার নব রূপায়ণে এই বৈশাখ
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
--------------------------------- 
এসেছে বৈশাখ শান্তি সুখের বার্তা নিয়ে –
হিংসা – বিবাদ হবে দূরীভূত ,
প্রেম-প্রীতির বন্ধন রচবে সতত ;
সাজবে নতুন করে বাংলার জনপদ ভালোবাসা দিয়ে ।

সরে যাক ঝরা , চলে যাক খরা –
দূরীভূত হোক মানব মনের মলিনতা ,
ধ্বংস হোক যত মানুষের মাঝে চলমান সহিংসতা ;
সুন্দর রূপে গড়ে উঠুক মানুষের আবাস রূপে এই বসুন্ধরা ।

হবে সকলের মন সুন্দর-সুশীল
সংকীর্ন মন হবে প্রসস্থ অনেক বড় দিল -
বিশ্বাস – নিঃশ্বাসে আসবে প্রত্যয় ,
সকলেই হবে একে অপরের সহযোগী
নাড়ীর বন্ধন নাইবা থাকুক -
বন্ধন হবে আত্মার সাথে আত্মায় ।

এই নববর্ষ আনবে সকলের মনে নতুন চমক ,
পরোয়া করবেনা কেউ কোন অসুরের ধমক ।
নতুন সভ্যতার রূপায়ণে হবে সকলেই ঐক্যমত ,
অসভ্যতার পাটাতন ধ্বংসে থাকবেনা কারো মনে দ্বৈতমত ।

সভ্যতার এই যুগে
করবেনা কেউ অসভ্যতার আয়োজন ,
অসভ্যতার ধ্বংসে প্রাণ দিবে সভ্য মানুষ
যদি হয় প্রয়োজন ।

এই বৈশাখ এসেছে এইবার
সভ্য জগতের মানবমুখে
এক দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে ,
বাংলার জনপদ , বাংলার মানুষ
করবে ক্ষমতা প্রকাশ তাদের
সভ্যতার সভ্য রূপ দেখিয়ে দিয়ে ।

নোংরামী – ভন্ডামী – লুচ্ছামী – শন্ডামী থেকে এইবার
বাংলার মানুষ আর বাংলার জনপথ হবে মুক্ত ,
এই দৃঢ়শপথ বুকে নিয়ে সকলেই
হয়েছে তারা এই নববর্ষ পালনের ভক্ত ।

এসো হে বৈশাখ এসো এসো
সাজিয়ে দাও মোদের নতুন রূপে ,
মলিনতা – কুটিলতা – হিংস্রতা মোদের ধ্বংস করো
সভ্যতার শালীন রূপ মোরা নিতে চাই লুপে ।
===========================================

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২

লাল গোলাপ ...



লাল গোলাপ ...  
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------------


তোমায় যেদিন প্রথম দেখি
হাতে ছিল এক লাল গোলাপ ,
মিষ্টি মাখা মধুর স্বরে
করছিলে তুমি বাক্যালাপ !
তোমার মুক্তোঝরা হাসিমুখে
ঝরছিল সব শব্দসুর ,
আনমনা ছিল দৃষ্টি তোমার
হানছিলে যা অল্পদূর !
অন্য একটা মেয়ের সাথে
ঘুরছিলে তুমি মলে ,
নুপুর পায়ে ছন্দ তুলে
যাচ্ছিলে মোর পাশে দিয়ে চলে ।
স্থির হল দৃষ্টি তোমার
আমার দিকে দেখে ,
হাঁটার গতি কমিয়ে দিয়ে
লাল গোলাপে দিলে চুমু এঁকে !
পীছন দিকে দেখলে তুমি
জিজ্ঞাসিত মনে ,
দৃষ্টি তোমার ধাক্কা খেল
আমার দৃষ্টি সনে !
একটু দাঁড়াও বললে তুমি
সাথের মেয়েটিকে ,
হঠাৎ তুমি ঘুরে গিয়ে
আসলে আমার দিকে !
কাছে এসে সেই তুমিই
আমার চোখে রাখলে তোমার চোখ ,
সর্বাঙ্গে মোর লাগল আগুন
কাঁপছিল মোর বুক !
আমার দিকে ফুলটি তুমি বাড়িয়ে ধরে
করলে বাক্যালাপ ,
“ তোমার জন্য – আমার হাতের
এই যে লাল গোলাপ !! ”
=============================