আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

শনিবার, ২৬ মে, ২০১২

স্বপ্ন পথের পথিক – ০০১ , ০০২ , ০০৩



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

স্বপ্ন পথের পথিক–০০১

স্বপ্ন পথের পথিক – ০০১
- মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
------------------------------


ভুমিকা ঃ -

“ স্বপ্ন পথের পথিক ” - শান্তি-সুখের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে একদল স্বেচ্ছা সেবক কর্মী বাহিনীর দেশের শান্তি রক্ষায় আত্মনিবেদিত কর্মী হিসাবে আত্মোৎস্বর্গের কল্পকাহিনী নিয়ে রচিত - একটা ধারাবাহিক উপন্যাস ।উপন্যাসটির সকল চরিত্র এবং ঘটনা সবকিছুই কল্পনা প্রসূত , বাস্তবের সাথে এ লেখার কোন মিল খুঁজে পেলে তা হবে নিতান্তই কাকতালীয় ঘটনা ।



এ লেখায় সুন্দর সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্যে লেখকের ক্ষুদ্র মস্তিস্কে ঘুরপাক খাওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চিন্তা সমষ্ঠি প্রদর্শিত হবে । সকলকে প্রতিটি পর্ব পড়ে মন্তব্য করতে অনুরোধ থাকলো । সেই সাথে রইল উপন্যাসটি ভালোই ভালোই শেষ করার লক্ষ্যে সকলের কাছে দোয়ার আবেদন ।

পর্ব – ০০১
=========

স্মার্তরক্ষা কর্মী সংঘ ( স্মারক ) এর প্রধান অফিসের গবেষণা কক্ষে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার গবেষণায় রত মামুন । এই তো চার বছর পূর্বেও এ অফিসের কোন অস্থিত্ব ছিলনা । ছিলনা স্মারক দল নামের শান্তি রক্ষা ও সমাজ সংস্কার মুলক কর্মকান্ডে নির্ভর এই সংগঠনটিও । মাত্র চার বৎসর বয়সী এ স্মারক দল আজ পায়ে পায়ে এগিয়ে গেছে বহুদূর ।


স্মারক দলের সদস্য আজ সমগ্র দেশ ব্যাপী । এমন কি দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরই আজ স্মারক দলের সদস্য । দেশের প্রতিটি জিলায় , উপজিলায় , পৌরসভায় , থানায় , ইউনিয়নে , গ্রামে , মহল্লায় , বাজারে আজ স্মারক দলের এক একটা অফিস । অফিস রয়েছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও এক একটি করে । প্রতিটি অফিসে কাজ করছেন বিপুল পরিমাণ স্মারক । প্রতিটি অফিসের অধীনে রয়েছেন স্মারক দলের লিষ্ট ও সদস্যভুক্ত প্রতিটি ঘরবাড়ীর কর্ণদারগণ ।

“ আদর্শ গণপাঠ মজলিশ ( আগম ) বা IDEAL PUBLIC READING ASSAMBLY “ ( সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার সদিচ্ছায় প্রতিষ্ঠিত আলোকিত মানুষ গড়ার মাধ্যম একটি আদর্শ জ্ঞান আহরন কেন্দ্র ) তার “ আলোকিত মানুষরাই সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার বুনিয়াদ “ এই শ্লোগান দিয়ে আগম পাঠাগার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে সমগ্র দেশব্যাপী বিস্তার লাভ করা আজকের এই “ স্মার্তরক্ষা কর্মী সংঘ ( স্মারক )” । স্মারক আজ ছোট্ট একটা লাইব্রেরী বা এসেম্বলী নয় । দেশের সর্ববৃহৎ একটা শান্তি রক্ষা কমিটি , শান্তি রক্ষার শপথধারী একটা বৃহৎ দল । যার প্রধান অফিস দেশের রাজধানী ঢাকায় ।

স্মারক দলের প্রধান অফিসের গবেষণা কক্ষে দলের প্রচার প্রসার সহ দেশ ও দেশের জনগণের শান্তি রক্ষার গবেষণায় আত্মনিমগ্ন স্মারক দলের প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ( মামুন ) । তাঁর সামনে-ডানে-বামে পরিবেষ্টিত অর্ধ গোলাকার একটা বৃহৎ টেবিল । টেবিলের দু’প্রান্তে দু’টো টবে সাজানো রয়েছে তরতাজা ফুল । ডানেরটায় দু’টি লাল গোলাপ , যেন এখনই প্রস্ফুটিত হলো সেগুলো । তার উপরে দু’ফোটা জলবিন্দু টলমান । বাম পাশের টবে রজনীগন্ধার ষ্টিকগুলো ছড়াচ্ছে সুরভী । পুরোটা কক্ষ ফুলের সুরভীতে মাতোয়ারা ।

টেবিলের ডান পাশে তরে তরে সাজানো ভিন্ন ভিন্ন রঙ্গের চার-পাচটা ঠেলিফোন সেট । সম্মুখে রাখা সেলফোন , সানগ্লাস , কম্পিউটার মনিটর , তার সাথে লাগানো একটা কী বোর্ড , একটা খাতা , পেন টবে রাখা বিভিন্ন রঙ্গের কিছু কলম ও মার্কার পেন । আর রয়েছে দু’তিনটা বই । বামদিকে রয়েছে একটি ফ্যাক্স – প্রিন্টার – স্ক্যানার – ফটোকপিয়ার মেশিন । তাঁর হাতের নীচে টেবিলের কুটুরীগুলোতে দেখা যাচ্ছে যত্তোসব ফাইলের স্তুপ । টেবিলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রন্ত পর্যন্ত নীচের কুঠুরীগুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সাইজের বিভিন্ন রঙ্গের অগুণিত ফাইল ।
উপরে রুমের সম্মুখের দেয়ালে চালু রয়েছে একটা তোশিবা রিমোট কন্ট্রোল স্প্লীট এয়ারকুলার । মাথার উপরে জিপসের ডেকোরেটেড সিলিং । নীচে বিছানো বাহারী ডিজাইনের ফ্লোরমেট । চতুর্দিকের দেয়ালগুলোয় ওয়ালমেটে সাজানো নানা রকম দৃশ্যাবলী প্রকৃতির পরিবেশকে করে রেখেছে জীবন্ত !
---------------------------

স্বপ্ন পথের পথিক–০০২


স্বপ্ন পথের পথিক – ০০২ 
- মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
------------------------------


ভুমিকা ঃ -



“ স্বপ্ন পথের পথিক ” - শান্তি-সুখের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে একদল স্বেচ্ছা সেবক কর্মী বাহিনীর দেশের শান্তি রক্ষায় আত্মনিবেদিত কর্মী হিসাবে আত্মোৎস্বর্গের কল্পকাহিনী নিয়ে রচিত - একটা ধারাবাহিক উপন্যাস । উপন্যাসটির সকল চরিত্র এবং ঘটনা সবকিছুই কল্পনা প্রসূত , বাস্তবের সাথে এ লেখার কোন মিল খুঁজে পেলে তা হবে নিতান্তই কাকতালীয় ঘটনা ।

এ লেখায় সুন্দর সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্যে লেখকের ক্ষুদ্র মস্তিস্কে ঘুরপাক খাওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চিন্তা সমষ্ঠি প্রদর্শিত হবে । সকলকে প্রতিটি পর্ব পড়ে মন্তব্য করতে অনুরোধ থাকলো । সেই সাথে রইল উপন্যাসটি ভালোই ভালোই শেষ করার লক্ষ্যে সকলের কাছে দোয়ার আবেদন ।

পর্ব – ০০২
======

হঠাৎ কোন একটি ল্যান্ডফোনে রিং বেজে উঠল পুরো কক্ষের নিরবতা ভেঙ্গে ! দ্বিতীয় রিং এর অপেক্ষায় মামুন । তীক্ষ্ন দৃষ্টি টেলিফোন সেটের উপরে । হলদে সেটটায় বেজে উঠল দ্বিতীয় রিং ।

- আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ বলে মামুন রিং এর জবাব দিলেন ।
ওপাশ থেকে “ - ওয়ালাইকুমুচ্ছালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ’’ বলেই চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানার স্মারক দলের অফিসের আমীর নিজের পরিচয় দিলেন ।
মামুন আমীর সাহেবের কুশলাদি জানতে চাইলেন
– কেমন আছেন জনাব ? আপনার পরিবারের সদস্যরা ভাল তো ?

- আলহামদুলিল্লাহ্ ! আমরা সবাই আল্লাহর রহমত ও নেক দৃষ্টিতে ভাল আছি । আপনি কেমন আছেন ? অফিসের বন্ধুরা সবাই ভাল আছেন তো ? ’’ আমীর সাহেব ও কুশলাদি জানতে চাইলেন মামুনের কাছ থেকে ।
- আলহামদুলিল্লাহ্ আমরাও সবাই আল্লার রহমতে ভাল আছি । তারপর বলুন আপনার কি খবর ?

ওপাশ থেকে আমীর সাহেবের সংবাদ শুনতে উদগ্রীব হয়ে উঠলেন মামুন । 
- জনাব একটা সুখবর ! বললেন আমীর সৈয়দ তাওহীদুল আনোয়ার ।
- কি সুখবর ? বলুন ।

মামুনের আর যেন এক মিনিট ধৈর্য্য ধরার সময় নেই । রিসিভারটা ভাল করে কানের সাথে সেটে ধরলেন তিনি ।
- সিলেটের জাফলং এ স্মারকের অফিস খোলার অভিপ্রায় নিয়ে আমার এক বন্ধু এখন আমার কাছে । সে নিজেই ওই এলাকার দায়িত্ব নিয়ে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে স্মারকের কর্মী হিসাবে আত্মনিয়োগ হতে চায় । আমার ধারণা তাকে দিয়ে স্মারকের আরও এক ধাপ এগুনো যাবে । আপনার সাড়া পেলে তাকে নিয়ে আপনার কাছে আসতে চাই - বললেন আমীর সাহেব ।
- ঠিক আছে , ওনাকে নিয়ে রাতেই যাত্রা করুন । এখানে আসলে বাকি কথা হবে । ( মামুন আমীর সাহেবের আগ্রহে সম্মতি দিলেন ) ততক্ষণের জন্য বিদায় । আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ।

একটা প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠল মামুনের মুখে । রিসিভার রেখে জানালার কাঁচ ভেদ করে বাইরে দূর দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকলেন তিনি কিছুক্ষণ ।তারপর পুণরায় গবেষণায় লিপ্ত হলেন ।

খাতাটা উল্টিয়ে কলমটা হাতে নিয়ে কি যেন নোট করতে যাবেন , এমনি সময়ে মোবাইলটা সুরের ঝংকারে মেতে উঠলো । গাইতে লাগলো গান –

**********************

আমরা শান্তির পতাকা নিয়ে
ধরেছি শান্তির গান ,
শান্তির তরে মোরা দিব জীবন বলি
অশান্তির আগুন নিভাতে মোরা হয়েছি আগোয়ান ।।

অশান্তি দূর করনে মোরা নির্ভীক সৈনিক
মানবনা কোন বাধা – আসুক না যতই অশান্তির ঝড় ,
শান্তিকামী সব মানুষ নিয়ে শান্তির সব মন্ত্র দিয়ে
করব মোরা শান্ত সব অশান্ত ঘর ।

এই আমাদের পণ –
শান্তি রক্ষা করব মোরা ,
যায় যদিও মোদের তাতেই জান ;
পীঁছু হঠবোনা কখনো মোরা
অশান্তির ধ্বংস সাধনে করে যাব শান্তির কাম
গেয়ে যাব আমরা শুধুই শান্তির গান ।।

যেখানেই হবে অশান্তির কর্ম ধ্বংস
সেখানেই দেখবে মানুষ - আমরাই নিয়েছি তাতে অংশ ,
জেনে নাও , হে সব অশান্তির দানব !
খোলস পড়ে হয়ছো তোমরা যারা আজ শান্তির মানব !
অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে যদি তোমরা পেতে চাও সুখ ,
জেনে নাও , রয়েছে তোমাদের কপালে বিষ ভরা দুঃখ !

শপথ করেছি মোরা করব তোমাদের বদ
গড়ব তোমাদের দেহ দিয়ে মহাগোরস্থান ,
শান্তির মন্ত্র দিয়ে করব মোরা
তোমাদের তৈরী সব অশান্তির অবসান ।।

*************************

এই একটি মাত্র গান মামুন পুরোটা না শুনে স্বস্তি পায়না । তাই গানটির পুরোটাই রিংটোন হিসাবে বেছে নিয়ে সেট করে নিয়েছেন তিনি । গানটি শেষ হতেই কলমটা খাতার ভিতরে রেখে খাতাটা বন্ধ করে দিলেন মামুন । মোবাইলটা হাতে নিয়ে কী টিপে দেখলেন কার কল ।

“ মায়মুনা ’’! নিশ্চিত ফালতু আলাপের জন্য কল । মেয়েটির আর কোন কাজ নাই যেন ! মনে মনে বিড় বিড় করে বিরক্তির ছাঁপ ফেললেন চোখে মুখে মামুন । মোবাইলটা যথাস্থানেই রেখে দিলেন লাইনটা কেটে । ঘড়ি দেখলেন । বেলা সাড়ে বারোটা । আরও আধঘন্টা পর লাঞ্চের ছুটি ।মায়মুনার কল এই সময়ে ! ফাল্তু আলাপের জনই , নয়তো আর কি ? এ সময়ে কল করার কি দরকার ? লাঞ্চের সময় মনে করিয়ে দেবার জন্য হলেও তো কল করতো আরও আধ ঘন্টা বা চল্লিশ মিনিট পর । কলের হিসাব মিলাতে না পেরে আবারও খাতা খুলতে যাবেন এমন সময় আবারও বেজে উঠল মোবাইলটি ।
------------------


স্বপ্ন পথের পথিক–০০৩


স্বপ্ন পথের পথিক – ০০৩
- মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
------------------------

ভুমিকা ঃ -


“ স্বপ্ন পথের পথিক ” - শান্তি-সুখের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে একদল স্বেচ্ছা সেবক কর্মী বাহিনীর দেশের শান্তি রক্ষায় আত্মনিবেদিত কর্মী হিসাবে আত্মোৎস্বর্গের কল্পকাহিনী নিয়ে রচিত - একটা ধারাবাহিক উপন্যাস । উপন্যাসটির সকল চরিত্র এবং ঘটনা সবকিছুই কল্পনা প্রসূত , বাস্তবের সাথে এ লেখার কোন মিল খুঁজে পেলে তা হবে নিতান্তই কাকতালীয় ঘটনা ।

এ লেখায় সুন্দর সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্যে লেখকের ক্ষুদ্র মস্তিস্কে ঘুরপাক খাওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চিন্তা সমষ্ঠি প্রদর্শিত হবে । সকলকে প্রতিটি পর্ব পড়ে মন্তব্য করতে অনুরোধ থাকলো । সেই সাথে রইল উপন্যাসটি ভালোই ভালোই শেষ করার লক্ষ্যে সকলের কাছে দোয়ার আবেদন ।

পর্ব – ০০৩
======

মামুন মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলে কার কল । পূণরায় মায়মুনা ! এবার কথা বলতে ইচ্ছা করলেন মামুন । “ হ্যালো ’’বলতেই ওপাশ থেকে মায়মুনা “ আচ্ছালামু আলাইকুম ’’বলে প্রতিউত্তর দিলেন ।

“ ওয়ালাইকুমুচ্ছালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ’’। মামুন জানতে চাইলেন কল করার কারন ।
- এ অসময়ে কল কেন ?
- কেন ! ডিস্টার্ব করলাম নাকি ?
- ডিস্টার্ব করনি , তবে বিরক্ত করছ । আচ্ছা বল – প্রয়োজনীয় কিছু ?
- প্রয়োজনীয় কিছু বলেই তো অসময়ে বিরক্ত করা । আর তুমি মনে করছ ফালতু আলাপ – তা নয় কি ?
- আসলেই আমি প্রথম কল পেয়ে তাই মনে করেছিলাম । যখন দ্বিতীয়বার কল দিলে তখন মনে করেছি প্রয়োজনীয় কল ।
- জনাব , অসময়ে যখন আমাকে বিরক্ত করা হয় তখন কোন প্রয়োজনে জানতে পারি কি ?

কথার টোনে ধরা পড়ল আনন্দোচ্ছাস । কথাটা বলেই মায়মুনা একটু মজা লুঠতে চাইছেন । মামুন ও কম নয় । সময় না থাকলেও তিনি মায়মুনার সাথে মজা করতে ভুলেনা । তাই যেমন প্রশ্ন তেমন তেমন উত্তর দেয়া উচিৎ মনে করলেন মামুন ।
- অসময়ে তোমাকে যখন বিরক্ত করা হয় , তখন যা করা হয় , তা কি অপ্রয়োজনীয় কিছু ?

প্রশ্নটা করেই মামুন স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললেন , মুখে ভেসে উঠল তাঁর তৃপ্তির হাসি ।
- বাহ্ চমৎকার ! প্রশ্নের উত্তর প্রশ্ন দিয়ে ! তবে কি আজকের গবেষণার বিষয় এটা ছিল ?

পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মায়মুনা । মামুনও কম কি ? প্রশ্নের উত্তর তো দিতেই হয় । তাই তিনি আর দেরী করলেন না ।
- না ম্যডাম ! আজকের গবেষণার বিষয় তা ছিলনা । তবে অনুরূপ ক্যাটাগরীর ভিন্ন একটা বিষয় ছিল । জানতে চাও ?
- না , থাক । এখন জানতে চাইনা । বাসায় আসলে ভাল করে জেনে নিব । মোবাইলে তো আর ভাল করে জানা যাবেনা । ঘড়ি দেখেছ ?
- ঘড়ি দেখে কি লাভ ? তাড়াতাড়ি করতে বললে তো বলবে তোমার প্রতি আমার ভালবাসা কম । আমি তোমাকে সময় দিইনা । এক গাদা শুনিয়ে দিতে তৎপর হবে । তার চেয়ে ঘড়ি না দেখে যতক্ষণ ধরে রাখা যায় তোমাকে – তাই লাভ ।
- তাহলে আমার কথা থেকে বাঁচতেই আমার কল রিসিভ করা ! ভালবাসার টানে নয় ?

বুঝতে পারছেন মামুন , কথা বলতে গেলে একের পর এক ঝরতেই থাকবে কথার ফুলঝুরি । মাঝখানে ম্যাডামের অভিমানের মাত্রা বেড়ে গিয়ে একসময় কথা বলা বন্ধ করে দিবে মায়মুনা । তারপর তিন চারদিন মুখ গুমরাহ করে থাকবে । এটা কোনমতেই মানা যায়না । মেয়েদের গুমরাহ করা মুখের এ বদভ্যাস কোনমতেই মানানসই হতে পারেনা । প্রকৃত অর্থে মেয়েদের গুমরাহ মুখ মানায়না । ভাল লাগেনা মায়মুনার এ ধরণের গুমাহ মুখ । তাই মামুন কথার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ।

- কি , মোবাইলেই কথা বললে সারবে ? আমার বাসায় যাওয়া বন্ধ করতে বুঝি তোমার এই নতুন ফন্দি ? ঠিক আছে , কথা বলতে থাক । প্রয়োজনীয় কথাটা না হয় পরে শুনা যাবে । আর দুপুরের লাঞ্চটা না হয় আজ আশে পাশের কোন রেস্তোরায় সেরে নিব , কি বল ?

মামুন নিশ্চিত এ কথায় কাজ হবে । মুল প্রসঙ্গে চলে আসবে মায়মুনা । যেমন ভাবা তেমন কাজ ! 
- আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম কি জন্য কল দিয়েছিলাম ! শোন , আমার বান্ধবী মাকসুদা কিছুক্ষণ আগে চুয়াডাঙ্গা থেকে ফোন করেছে । সেখানে সে আমাদের দলের একটা ব্রাঞ্চ খুলতে চায় । সে নিশ্চিত দলের ব্রাঞ্চ খুলে সেখানে সে দলের একটা মজবুত ভিত্তি গড়ে তুলতে পারবে । সে তোমার মতামত চেয়েছে । কিছুক্ষণ পর ফোন করার কথা । তাকে কি বলব ? তা জানার জন্যই কল করেছিলাম । তাকে কি বলা যায় , বলতো ?

মায়মুার বান্ধবীর প্রস্তাবটা শুনে মামুনের শরীরে শিহরণ খেলে গেল !মায়মুনার সাথে তাঁর বিয়ের প্রায় সাত মাস পর একবার মাকসুদার সাথে তাঁর কথা হয়েছিল । সেদিনই আবিস্কার করেছিলেন মামুন মাকসুদার ভিতরের সাংগঠনিক গুণটি । যার প্রকাশ ঘটেছে তার আজকের প্রস্তাবের মাধ্যমেই !

যেদিন মামুনের সাথে মাকসুদার কথা হয়েছিল , সেদিন মামুন তার সাত মাসের দাম্পত্য জীবনের সঙ্গী মায়মুনাকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে । মামুন-মায়মুনা দুজনেই একে অপরের হাত ধরে সৈকত ছেড়ে উঠতে যাবে ঝিনুক মার্কেটে , এমন সময় মাকসুদার সথে দেখা হয়ে যায় মায়মুনার !

মাকসুদা সুদর্শন এক যুবকের হাত ধরে নামতে ছিল সৈকতে । মাকসুদার অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছিল সমুদ্র দেখার আনন্দোচ্ছাস । সেই অট্টহাসি শুনে দৃষ্টি ঘুরে যায় মামুন-মায়মুনার সেদিকে। 
- “ মাকসুদা ’’ !

বলেই মায়মুনা মামুনের হাত ছেড়ে দিয়ে দৌড় দেন তাঁদের দিকে ! মামুন হতবিহ্বল ! সাথে সাথে মামুনও মায়মুনার পীছন পীছন দৌড়াতে থকেন । অল্পসময়ের মধ্যেই তাঁরা দু’জন পৌঁছে যান তাদের নিকটে ।

*********************

চলমান > > পর্ব – ০০৪ 
==========

সাহিত্যের নবজাগরণে নবপ্রজন্মের ভুমিকা



সাহিত্যের নবজাগরণে নবপ্রজন্মের ভুমিকা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------------


পাল্টে যাচ্ছে সাহিত্যের সংজ্ঞা । মানুষ যতই আধুনীক হচ্ছে অতীতের স্বর্ণালী বিষয় মানুষের মন থেকে মুছে যাচ্ছে । অতীতে সাহিত্য বলতে মানুষ বুঝতো গল্প - উপনাস - প্রবন্ধকে প্রাধান্য দিয়ে । আর এখন মনে হচ্ছে গল্প - উপনাস - প্রবন্ধ আধুনীকিকরণের ডামাডোলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে । অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সাহিত্যের সংজ্ঞা হতে যাচ্ছে পরিবর্তিত । নতুন প্রজন্ম ঝুঁকছে শুধুই কবিতা লিখনে , কবিতার বই প্রকাশনে । উপন্যাস - প্রবন্ধ নতুন প্রজন্মের হাতে দেখা যাচ্ছেনা । লেখা হয়ে বের হচ্ছেনা তাদের হাত দিয়ে সাহিত্যের মৌল বিষয় । সম্ভবতঃ নতুন প্রজন্ম ভেবে নিয়েছে - একমাত্র কবিতাই সাহিত্যের বাহন, আর কবিতার মধ্যে শুধুমাত্র প্রেমের কবিতাই সাহিত্যের পরিচায়ক ।

আজ ফেইসবুক ঘাটলে বুঝা যায় নতুন প্রজন্ম সাহিত্য বলতে কোনটাকে বুঝে নিয়েছে । প্রতিদিন যে হারে কবিতার গ্রুপ সৃষ্টি হচ্ছে সে হারে গল্প - উপন্যাস - প্রবন্ধের কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি চোখে পড়ছেনা । সৃষ্টি হচ্ছেনা এসব বিষয়ের কোন গ্রুপ । যে হারে সাহিত্যের একটি অঙ্গ " কবিতার " প্রকাশ দেখতে পাচ্ছি , সেই হারে সাহিত্যের অনান্য অঙ্গ - " গল্প , উপন্যাস , প্রবন্ধ " ইত্যাদির প্রকাশ দেখতে পাচ্ছিনা । এমনকি সাহিত্যের এ অঙ্গগুলো নিয়ে বর্তমান প্রজন্ম ভাবছেনা বলেই চলে । বইমেলায় যদি কবিতার বই প্রকাশ হয় ১০০ টি তবে সাহিত্যের অন্যান্য অঙ্গসমুহের বই প্রকাশ হয় সব মিলিয়ে ২০টি অর্থাৎ বইমেলায় পুর্নাঙ্গ সাহিত্যের শতকরা ৮০ ভাগ বই কবিতার আর ২০ ভাগ বই সাহিত্যের অন্যান্য বিষয় সমুহের । বই মেলায় বই বিক্রিও সে রুপ - যাতে মনে হয় অবহেলা করা হচ্ছে সাহিত্যের অন্যান্ন অঙ্গ সমুহকে ।এভাবে চলতে পারেনা ।

মানব শরীর যেমন একটি অঙ্গ নিয়ে চলতে পারেনা , প্রয়োজন হয় সকল অঙ্গের । তেমনি সাহিত্য শরীরও একটি অঙ্গ দিয়ে চলতে পারবেনা , প্রয়োজন হবে অন্যান্য অঙ্গেরও । কিন্ত আজ যে হারে সাহিত্যের অন্যান্য অঙ্গকে অবহেলা করে কেবল একটি মাত্র অঙ্গ নিয়েই বর্তমান প্রজন্ম ঝুকছে , তাতে মনে হয় সাহিত্য শরীর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিকল হয়ে পড়বে ।

তাই সাহিত্যকে বিকল হওয়া থেকে রক্ষা করণে ভাবতে হবে আমাদের । যাঁরা সাহিত্যবোদ্ধা তাঁদেরকে এগিয়ে আসতে হবে বর্তমান প্রজন্মের সম্মুখে সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ রূপ তুলে ধরার জন্য । নতুন প্রজন্মকে বুঝাতে শুধু কবিতা সৃষ্টি তথা প্রেমের কবিতা প্রকাশই সাহিত্য নয় । সাহিত্যিক হতে হলে ধারণ করতে হবে সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ রূপ । সাহিত্য শরীর বাঁচাতে হলে সাহিত্যের সব কয়টি অঙ্গকেও কবিতার মত একই ভাবে সচল রাখতে হবে । কবিতাকে যেভাবে রচনা ও প্রকাশ করা হচ্ছে সেইভাবে গল্প - উপন্যাস - প্রবন্ধ ইতাদি রচনা ও প্রকাশে একই ভাবে চেষ্ঠা করতে হবে ।
তবেই হবে বর্তমান প্রজন্মের মধ্য দিয়ে সাহিত্যের নবজাগরণ ।
=============================================== 

সোমবার, ২১ মে, ২০১২

আওয়ামী লীগের ভরাডুবির সময় ঘনিয়ে আসছে ... বি এন পির জয় অবশ্যম্ভাবি !


আওয়ামী লীগের ভরাডুবির সময় ঘনিয়ে আসছে ... 
বি এন পির জয় অবশ্যম্ভাবি ! 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
----------------------------------- 


দুপুরে দেশে ফোন করলাম । আমার স্ত্রী ফোন রিসিভ করল । ফোনের মাধ্যমেই শুনা গেল প্রকম্পিত মিছিলের ধ্বণি ! মনে করলাম টিভিতে খবর চলছে , তাতে দেখানো হচ্ছে মিছিলের অংশ । আমার ভুল প্রমাণিত হলো । যখন আমার ছেলে বলল – “ আম্মা আব্বুকে বলনা আমরা মিটিং এ যাচ্ছি ’’। জিজ্ঞেস করলাম – “ তোমরা এখন কোথায় ’’? মনে করেছিলাম তারা টাউনে । তাও ভুল প্রমানিত হলো , যখন শুনতে পেলাম মাইকের আওয়াজ – “ নুর বক্স কন্ট্রাক্টরের মসজিদের সামনে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে - অরাজকতা , অনাচার , অত্যাচার , অপহরণ , খুন , গুম , ধর্ষণ , ব্যভিচার , অবিচারের রাজত্ব কায়েমকারী এই দেশের দুঃশাসনের রচয়ীতা স্বৈরাচারী ও ইসলাম বিরোধী কর্মের আয়োজনকারী আওয়ামী লীগ সরকারের ভরাডুবির লক্ষ্যে বি এন পি কর্তৃক আয়োজিত এলাকা ভিত্তিক কর্মসুচীর আওতায় চম্পাতলী এলাকার বিক্ষোভ সমাবেশ ’’! 

বুঝার আর বাকী রইলনা কেন অসময়ে বাড়ী থেকে ফোন । ছেলেদের মিটিং এ যাওয়া থেকে বিরত রাখার এক ব্যর্থ চেষ্ঠার এই ফোন । আমিও জানি ছেলেদের আজ বিরত রাখা যাবেনা । কারণ ঘরের সম্মুখেই যে মিটিং এর আয়োজন , সেই মিটিং এ যাওয়া থেকে ছেলেদের বিরত রাখার চেষ্ঠা বোকামীর নামান্তর । অবুঝ শিশুরাও আজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ভাবতেই যেন গা শিহরীয়ে উঠে । আমার ছেলে দু’টোর বয়স ১৫/১৬ । কি বুঝবে তারা দেশের নোংরা রাজনীতি সম্পর্কে ? তবুও বললাম – “ আব্বু তোমরা মিটিং এ যেওনা । দূর থেকে দেখো। মিটিং এ পুলিশ আসবে । ধরে নিয়ে যাবে নীরিহ মানুষ । আমি পুলিশকে দেখেছি বড় একটা লাঠি দিয়ে ৭ বছরের একটা ছেলেকে নির্দয় ভাবে পেঠাতে । তোমরা ছোট তা পুলিশরা বুঝবেনা ’’ । এভাবেই তাদের বাধা দেবার বৃথা চেষ্ঠা চালালাম । যদিও আমি নিশ্চিত তারা তামাশা দেখার জন্য মিটিং এ যাবেই । 

যা হোক , লাইন কেটে দিয়ে ভাবলাম – যেখানে চলতো আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেদের হোন্ডা আর অস্ত্রের মহড়া , সেখানে আজ অনুষ্টিত হচ্ছে এলাকা ভিত্তিক বিক্ষুভ সমাবেশ ! যাতে যোগ দিচ্ছে আওয়ামী লীগের মাথা মোটারাও ! তবে কি আওয়ামী লীগের ভরাডুবি আসন্ন ? 

অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে – বি এন পি জেগেছে এইবার । তারা এখন রাজপথ থেকে গা ঢাকা দিয়ে নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের অরাজকতা ও স্বৈরাচারী শাসনের জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে । যদি এই হয় বি এন পির বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল , তবে নিশ্চিত যে আওয়ামী লীগ সরকারের ভরাডুবি হতে যাচ্ছে এইবার । 

মনে হয় বি এন পি বুঝে গেছে - শুধুমাত্র মহানগরে মিছিল মিটিং করে জনবল সংগ্রহ করা যাবেনা । জনবল সংগ্রহের লক্ষ্যে এলাকা ভিত্তিক তাদের কর্মসুচী নিতে হবে । করতে হবে প্রতিটি এলাকায় মিছিল মিটিং এর আয়োজন । যেতে হবে তাদের দেশের প্রতিটি এলাকায় । শুধুমাত্র নগর-মহানগরের দিকে দৃষ্টি দিয়ে তাদের বিজয় অর্জন সম্ভব নয় । তাই তাদের মফস্বল ও গাঁও-গেরামের দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে । দেশের আলোকিত জনপদ আলোকিত করনে নয় , দেশের অন্ধকার জনপদ আলোকিত করেই তাদের বিজয় অর্জনে নামতে হবে । 

বি এন পি মনে হয় বুঝে গেছে – দেশের অধিকাংশ জনগণ নগর-মহানগরে নয় , বাস করে মফস্বল ও গাঁও-গেরামে । তারা বুঝে গেছে যে , তাদের বিজয় নগর-মহানগরে নয় , তাদের বিজয় দেশের ৬৮ হাজার গ্রামে , দেশের প্রত্যান্তাঞ্চলে । তারা বুঝে গেছে ,গাঁও-গেরামের মানুষদের অবহেলা করে ক্ষমতায় আরোহন সম্ভব নয় । জিয়াউর রহমানের মত গাঁও-গেরামে গিয়ে খাল কেটে – মাটির ভার মাথায় তুলে – গ্রামের উন্নয়ন করে গাঁও-গোমের মানুষদেরকে সন্তানের মত বুকে তুলে নিতে হবে । তারা বুঝে গেছে , ভোটযুদ্ধে তারা শুধুমাত্র নগর-মহানগর দিয়ে জয়ী হতে পারবেনা , তাদের ভোট সংগ্রহ করতে মফস্ব ও গাঁ-গেরামের অন্ধকার গলিপথ থেকে । 

বি এন পি মনে হয় বুঝে গেছে – দেশের উন্নীত জনপদ উন্নত করে নয় , দেশের অনুন্নীত জনপদের উন্নয়ন করেই বিজয় অর্জন করতে হয় । অভুক্ত মানুষদের খানার বাটি ছিনিয়ে নিয়ে নয় , তাদের মুখে অন্ন তুলে দিয়েই তাদের মন জয় করতে হয় । নারী মাংস ভক্ষণ করে নয় , নারীদের ভালবেসেই তাদের কাছে টানতে হয় । দেশ ও দশের সম্পদ ভোগ দখল করে নয় , তার রক্ষক হয়েই দেশ ও দশকে হাতের মুঠোয় রাখতে হয় । তারা বুঝে গেছে , অরাজকতার রাজত্ব কায়েম করে নয় , শান্তির জনপদ তৈরী করেই করতে হবে বিজয় অর্জন । তারা বুঝে গেছে , দেশের জনগণকে মেরে নয় , তাদেরকে সাথে নিয়েই টিকে থাকতে হয় ক্ষমতার গদিতে । 

যদি এই হয় বি এন পির রাজনৈতিক নতুন কৌশল , তবে আওয়ামী লীগ সরকারের এইবার ভরাডুবি হবেই । যদি এই হয় বি এন পির ভবিষ্যত কর্মসুচী , তবে বি এন পির ক্ষমতায় আরোহনকে ঠেকিয়ে রাখবার সাধ্য নেই কারো । 
আওয়ামী লীগ সরকার তার ঘটমান কর্ম দিয়ে যেখানে জনগণের আস্থা হারাচ্ছে , সেখানে গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে ভরাডুবি হওয়া বি এন পি সরকার তাদের হারানো আস্থা জনগণ থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছে । মনে হচ্ছে – যে সব বি এন পি নেতা গা ঢাকা দিয়েছেন , তাঁরা ছড়িয়ে গেছেন দেশের সকল অন্ধকার জনপদে আলোকবর্তীকা হয়ে । অন্ধকার সব জনপদ আলোকিত করণের দীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা । তাই তাঁরা চলে গেছেন অন্ধকার জনপদের কালো গহবরে আঁটকে থাকা মানুষদের কল্যানে । তাঁরা মিশে গেছেন গাঁও-গেরামের অবহেলীত মানুষদের কাতারে । তাঁরা শামিল হয়েছেন গ্রাম-গঞ্জের পীছিয়েপড়া মানুষদের সুখ-দুঃখের সাথে । 

পরিশেষে বলতে হয় – সরকার যেই হোক , যদি সেই সরকার দেশজ কল্যানে – দেশের অন্ধকার জনপদের পীছিয়ে থাকা মানুষদের কল্যানে আত্মনিয়োগ করে , তবে সেই সরকার দেশের মানুষদের পূঁজণীয় সরকার রূপে চিরন্তন সমাসীন থাকবেই । 

বি এন পির বর্তমান কর্মসুচী – গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি এলাকার মানুষদের সাথে সম্প্রীতি – সৌহার্দ্য – বন্ধুত্বসুলভ আচরণ – সহমর্মীতা ইত্যাদি জানান দিচ্ছে , তারাই হতে যাচ্ছে দেশের ভবিষ্যত রচনার দিকপাল । 
যদি এই হয় বি এন পির পথচলার লক্ষ্য , তবে বলতে হয় – 
স্বাগতম বি এন পি , দেশ পরিচালনায় - দেশের সিংহাসনে । 
=========================

আফসোস আমার – কারো কাজে এলাম না



আফসোস আমার –
কারো কাজে এলাম না
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
----------------------------


প্রবাসে এসে গেলাম ফেঁসে
মুক্তি নেই আর এই জীবনে ,
দিয়েছি ঠেলে জীবন আমার
অন্ধকার এক পথগমনে ।
যা চেয়েছি হয়নি তাহা
হবেনা আর কোন দিন ,
জীবন সময় গেলো চলে
দেখা হয়নি সেই সুদিন ।
প্রবাস সময় শেষের পথে
চিন্তা এখন কি করি ?
বয়স গতি ভাসিয়ে নিল
কিভাবে যে কুল ধরি ?

অসুস্থ মোর দেহখানা
শ্রমের যোগ্য নয় – বুঝি ,
স্বদেশ গিয়ে কি হবে মোর ?
নেই কোন মোর পূঁজি ।
এমন একটা কর্ম খোঁজে
সহজে মোর আসবে রুজি ,
বিদেশ বিভুঁই বসে যে তাই
উপার্জনের সে পথ খুঁজি ।
স্বদেশ গিয়ে পাবোনা সেই
সহজ কোন আয়ের পথ ,
পূঁজিবিহীন কিভাবে মোর
চলবে সেথায় জীবন রথ ?

ভেবে – চিন্তে রইছি বসে
বিদেশ নামক জেলখানায় ,
খুঁজে যাচ্ছি আয়ের পথ সেই
অসুস্থ দেহে যা মানায় ।
স্বদেশ গমন চিন্তা আমার
আসেনা তাই মনে ,
যাকনা চলে জীবনখানি
বিদেশ নামের বৃন্দাবনে ।

এই জীবনের আশার তরী
কুলে এসে ভিড়লো না ,
ডুবছে বেলা জীবন দিনের
কিছুই করা হলোনা।
আফসোস নেই জীবনে মোর
স্বজন কাছে পেলাম না ,
আফসোস শুধু এই যে আমার
কারো কাজে এলাম না ।
========================

রবিবার, ২০ মে, ২০১২

প্রবাসী আমি –



প্রবাসী আমি –
নেই আমার কোন ঠিকানা
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
---------------------


এক বুক শূণ্যতা বয়ে বেড়াই প্রবাস জীবনে ,
হাহাকার আর্তনাদ লেগে মনের গভীরে ।
ভালবাসার কাঙ্গাল আমি পাইনা ভালবাসার ছোঁয়া ,
ধু ধু মরুভুমির বুক চিড়ে দেখি শুধুই অন্ধকার ধূঁয়া ।
দিন যায় রাত আসে , মাস গিয়ে শেষ হয় বছর ,
একাকী জীবন নিয়ে কাটিয়ে যাই দিবা রাত সর্বসময়
এমনি করেই কাটিয়ে দিলাম জীবনের বারোটি বসন্ত ।

দেখিনি সুখের বাতাস জোটেনি ভালবাসার সুখ ,
দেখেছি শুধুই তাকিয়ে বিস্তীর্ণ মরুভুমির উপরে
বয়ে যাওয়া মরুঝড় !
লাগেনি গায়ে কভু শান্তির শীতল হাওয়া ।
অশান্তির দাবদাহে জ্বলে মনের আঙ্গিনা ,
দুঃখের যাতনা কভু যায়নি দমে ,
সুখের পরশ জীবনে মোর দেয়নি ধরা ।

যাযাবর জীবন নিয়ে ঘুরি পৃথিবী ;
আপন নিবাসে যন আমি অতিথি !
প্রবাস ভুমিতে হয়েছি আমি পরগাছা ।
বুঝতে পারিনা আমি - কোনটা আমার স্বদেশ ?
আর কোনটা আমার বিদেশ ?
প্রবাসী আমি , নেই আমার কোন ঠিকানা ।
মরব কোথায় ? কোথায় হবে মোর দাফন ?
করতে পারিনা তার কোন আশা ।
হয়তো একদিন উড়ে যাব আকাশে ,
খুঁজে পাবেনা কেউ আমার দেহের ধ্বংসাবশেষ ।
====================

একমুঠো অন্নের জন্যে ...



একমুঠো অন্নের জন্যে ...
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------------



বারোটি বছর আগে করেছি দেশ ত্যাগ ,
দিয়েছি যত ভালোবাসার জলাঞ্জলী ।
ছেড়েছি প্রিয়তমার ভালোবাসার জগত ,
করেছি উপেক্ষা সন্তান-সন্ততির মায়ার বাঁধন ।
খালি করেছি বাবা-মায়র মমতার কোল ,
ছিন্ন করেছি ভাইবোনের স্নেহ মমতার জাল ;
আমার জন্য নয় , এ ত্যাগ ছিল অন্যের জন্য ,  
আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে যাওয়া মানুষদের জন্য ।

আমার একলা পেঠ ভরে যেতো হাওয়ায় হাওয়ায় ,
ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া খাদ্য দিয়ে ,
যেভাবে করে জীবিকা নির্বাহ দেশের সকল পথশিশু ।
আমার সাথে জড়িয়ে যাওয়া জীবনগুলো –
ভরতো না তাদের পেঠ হাওয়া খেয়ে ,
পাওয়া যেতো না ডাস্টবিনে তাদের খাবার ।
কতই বা মিলবে আর ডাস্টবিনে
বড়লোকদের সমাজরক্ষার ঝুঁটা খাবার ?
যেখানে লক্ষ লক্ষ পথশিশু আর অভুক্ত কুকুর – বিড়াল
দিচ্ছে নিয়ত হানা একমুঠো অন্নের জন্যে !
আমি দেখতে চাইনি -  
আমার জীবনের সাথে জড়িত যারা
হয়ে যাক তারাও পথশিশু ,  
করুক কুকুরের সাথে যুদ্ধ - শুধু একমুঠো অন্নের জন্য ।

আমি বাস্তব জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে
চলতে শিখেছি ।
আমি চুয়াত্তরের দূর্ভিক্ষে অভুক্ত থেকে
বাঁচতে শিখেছি ।
আমি বড়লোকদের খানার টেবিলে থাপ্পড় খেয়ে
নিজের খাদ্য নিজেই জুগিয়ে খেয়েছি ।
আমি সমাজের উঁচুতলার মানুষদের লাথ্থি খেয়ে
নিজেই নিজের জীবনকে সাজাতে শিখেছি ।
আমি সমাজের বড় বড় অনুষ্ঠানগুলোতে গিয়ে
হোঁছট খেয়ে খেয়ে নিজের মত করে
জীবন গঠন করতে শিখেছি ।

কিন্তু আমার সাথে জড়িয়ে যাওয়া কঁচি প্রাণগুলো –
কিভাবে বাঁচবে তাদের জীবন ?
তারা জনেনা জীবনের ধারাবাহিকতা কি ?
নেই তাদের জীবনে বেঁচে থাকার ধারণা ।
তাদের জীবনের জন্য প্রয়োজন –
অন্ন , বস্ত্র , বাসস্থান , শিক্ষা , চিকিৎসা , নিরাপত্তা ,  
আর এসবে ভার তো আমারই ।
তাদের জীবনের চাহিদা পুরণে
সকল আয়োজন করতে হবে আমারই ,
তাদের চাহিদা পুরণে নিতে হবে আমাকেই পদক্ষেপ ।

যেখানে হয়না আমার নিজ জীবনের চাহিদা পুরণ ,
সেখানে আমার সাথে জড়িয়ে পড়া জীবনের
চাহিদা পুরণ কিভাবে হবে ?

দিয়েছি তাই অন্ধ চোখে ঝাঁপ – আশার সাগরে !
একমুঠো অন্নের জন্য – জীবনের চাহিদা পুরণের জন্য
করেছি দেশত্যাগ – হয়েছি প্রবাসী ,
করেছি গ্রহণ যাযাবর জীবন ।

জগতের সব ভালোবাসা করেছি দাফন বুকের মাঝে ।
==========================================

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১২

হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!


হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী 
---------------------- 


হরতাল , হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !! 
মাতাল সব রাজনীতিবিদ দেশ তাই উথ্থাল !
মাতলামীর খেলা চলে রাজনীতিবিদ প্লেয়ার
জয় দেখেনা চোখে তাদের ডাকে তাই হরতাল ,
হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!

দেশ যাক গোল্লায় , রাজনীতিবিদ সুখে থাক
দেশের মানুষ মরবে - মরুক , সুখ - শান্তি নিপাত যাক ।
চলছে খেলা , চলতে থাক , রাজনীতিবিদ খুশি থাক
হরতালে যদি সুখ তাদের , ডাকুক তারা হরতাল ,
হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!

দাবার গুঁটি পার্টি কর্মী , চলছে চলুক লিডারদেরই চালে
ঘর - গেরস্থী চুলোয় যাক , নাচুক তারা লীডারদেরই তালে ।
পার্টি কর্মী নাচছে নাচুক , মাতাল থাকুক নাচের তালে
পীছন দিকে বাঁশ ঢুকে যাক , বলছে বলুক হরতাল !
হরতাল হরতাল ! সকাল - সন্ধ্যা হরতাল !!
==================

নীলকন্যার ভালোবাসায়



নীলকন্যার ভালোবাসায়
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------------


এমন একটা শাড়ী পড়েছিলে সেদিন
নীল আকাশের সাথে গিয়েছিলে মিশে ,
হয়েছিলে নীলাম্বরী !
নীল সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে যখন তুমি
গিয়েছিলে মিশে সাগরের নীল জলের সাথে ,
হয়েছিলে তুমি নীলকন্যা !
বাগানের নীল গোলাপের সম্মুখে দাঁড়ীয়ে যখন তুমি
মিশে গিয়েছিলে নীল ফুলের সাথে ,
হয়েছিলে তুমি নীল প্রজাপতি !
জলে ভাসা নীলপদ্ম নিয়ে যখন খেলছিলে খেলা
নীলপদ্মের সাথে তুমি গিয়েছিলে মিশে ,
হয়েছিলে তুমি নীলাঞ্জনা !
নীলরঙ্গা শাড়ীর দোকানে যখন তুমি
ঘুরছিলে শাড়ীর প্রান্ত ধরে ধরে ,
হয়েছিলে তুমি নীলপরি !
নজর লাগছিল তোমাতে সেদিন বড় বেশী ।

তাই আজ এই অভিসার রজনীতে
করেছি শুধুই নীলের আয়োজন ।
সাজিয়েছি নীলাসন তোমার তরে ,
সাজিয়েছি নীল দিয়ে আজকের অভিসার তরণী
দেখবো বলে তোমার নীলমাখা রূপ ।

সাজঘরে দেখবে শুধুই নীলের সমাহার ;
সাজাবে তোমার চোখ নীল দিয়ে ,
দেখবো আমি , নীলনয়না তোমাকে , অপলক নেত্রে ।
সাজাবে তোমার মুখ নীলরঙ্গা প্রসাধন দিয়ে ,
দেখবো আমি , তোমার নীল রূপের দ্যুতি ।
সাজাবে তোমার অঙ্গ নীল বসনে ,
দেখবো আমি , তোমার শরীরের নীলাঙ্গন ।
চড়াবে তোমার চুলে নীল চুমকী ,
আমি দেখবো , তোমার চুলে নীলের ঝলক ।

যেখানে করেছি অভিসারের আয়োজন
দেখবে শুধুই চতুর্দিক নীলের শোভায় শোভিত ।
যে পথ দিয়ে ডুকবে তুমি
বিছিয়ে দিয়েছি নীল কার্পেট ।
লাগিয়ে দিয়েছি পথের দু’পাশে  
সব নীল আলোর বাতি ।
প্রতিটি বাতির মধ্যখানে দেখবে
তোমার প্রিয় সব নীল গোলাপের টব ।
তোমার মাথার উপরে দেখতে পাবে
জ্বলছে আর নিবছে শুধুই নীল আর লাল রঙ্গা বাতি ,
যাতে ভেসে উঠছে শুধুই একটা লেখা –
“ নীলকন্যার ভালোবাসায় ’’ !
আর সব বাতির মাঝখানে উড়িয়ে দিয়েছি সব বড় বড় বেলুন ,
যেগুলোর দু’পাশে দেখতে পাবে তোমায় নিয়ে লেখা –
“ নীলকন্যা ! আমি তোমায় ভালবাসি ।
আজ আমাদের ভালোবাসার অভিসার ,
স্বাগতম তোমায় আমার ভালোবাসার ভুবনে । ’’

যেখানে পেতেছি তোমার বসার আসন
ছড়িয়ে দিয়েছি যত নীল ফুল ,
করে দিয়েছি চতুর্দিকে নীল ফুলের বাগান ।
দেখবে তুমি তোমার চারপাশে
নেচে যাচ্ছে ঘুরে ঘুরে নীল জল তোমায় দেখার আনন্দে !
মাঝখানে বসে আছি তুমি আর আমি
নীলেরা খেলছে চারিপাশে শুধুই জলকেলি !
পানির ফোয়ারার নীলজলে চতুর্দিকে ভাসছে
নীলরঙ্গা সব মৎস্য আর হংসপাল ,
আর নীল আলোতে দেখবে তুমি
ছাউনি নীচের চারিপাশের বেষ্টনীতে
শুধু দু’জন মানব-মানবীর ছায়ার অঙ্গভঙ্গী ,
চলছে যেথায় তাদের প্রেমাভিসারের ভঙ্গিমা !
======================================