আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী

সকল মহান ভাষা শহীদগণের প্রতি,
এবং ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত

সকল ভাষা সৈনিক
ও বীর বাঙ্গালীদের জানাই অশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী,
সেইসাথে সকলকে জানাই

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

বিষয় সূচী

সাহিত্য (60) অন্যান্য কবিতা (53) ভালোবাসার পদবিন্যাস ( প্রেম সম্পর্কিত রচনা বিশেষ ) (53) আমার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ (37) কবিতা (35) দেশ নিয়ে ভাবনা (33) ফিচার (33) বাংলাদেশ (29) সমসাময়িক (28) খন্ড কাব্য (26) হারানো প্রেম (22) সংবাদ (18) কাল্পনিক প্রেম (16) ইতিহাস (15) প্রতিবাদ (15) সুপ্রভাত প্রবাসী বাংলাদেশ (15) Online Money Making Links (14) দেশাত্মবোধক কবিতা (13) আমার জীবনের দিনপঞ্জী (12) ধর্ম (12) প্রেমের কবিতা (11) ব্যক্তিত্ব (11) রাজনীতি (11) ধর্মীয় আন্দোলন (10) প্রবাসের কবিতা (10) খন্ড গল্প (9) জীবন গঠন (9) বর্ণমালার রুবাঈ (9) ইসলাম (8) প্রগতি (8) মানুষ ও মানবতা (8) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (8) VIDEOS (7) আমার লেখালেখির অন্তরালে (7) ইসলামী জাগরণ (7) মানব মন (7) ট্র্যাজেডি (6) শোক সংবাদ (6) সম্প্রীতি (6) নারী স্বাধীনতা (5) প্রেমের গল্প (5) বিজয় দিবসের ভাবনা (5) মৃত্যুপথ যাত্রী (5) সংবাদ মাধ্যম (5) স্মৃতিকথা (5) ঈদ শুভেচ্ছা (4) প্রবাস তথ্য (4) রমজান (4) শুভেচ্ছা (4) Computer Programer (3) আমার ছবিগুলো (3) আমার রাইটিং নেটওয়ার্ক লিংক (3) পর্দা (3) ফটিকছড়ি (3) বাংলাদেশের সংবিধান (3) বিশ্ব ভালবসা দিবস (3) শিক্ষা (3) শিক্ষার্থী (3) স্লাইড শো (3) News (2) VERIETIES POEMS OF VERIOUS POETS (2) আষাঢ় মাসের কবিতা (2) আষাঢ়ের কবিতা (2) ইসলামী রেনেসাঁ (2) ছাত্র-ছাত্রী (2) থার্টি ফাস্ট নাইট (2) নারী কল্যান (2) নারী প্রগতি (2) নির্বাচন (2) বর্ষার কবিতা (2) মহাসমাবেশ (2) শবেবরাত (2) শরৎকাল (2) শাহনগর (2) শ্রদ্ধাঞ্জলী (2) সত্য ঘটনা (2) সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ (2) সফলতার পথে বাংলাদেশ (2) Bannersআমার ছবিগুলো (1) DXN (1) For Life Time Income (1) For Make Money (1) Knowledge (1) Student (1) অদ্ভুত সব স্বপ্নের মাঝে আমার নিদ্রাবাস (1) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (1) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত(সুন্নী) (1) উপন্যাস (1) কবি কাজী নজরুল ইসলাম (1) কোরআন - হাদিসের কাহিনী (1) গল্প (1) চট্টগ্রাম (1) চিকিৎসা ও চিকিৎসক (1) জমজম (1) জাকাত (1) তরুন ও তারুণ্য (1) নারী জাগরণ (1) পরকিয়ার বিষফল (1) ফটিকছড়ি পৌরসভা (1) বন্ধুদিবস (1) বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম (1) বিবেক ও বিবেকবান (1) বিশ্ব বাবা দিবস (1) বিশ্ব মা দিবস (1) ভ্রমণ (1) মন্তব্য (1) মাহফুজ খানের লেখালেখি (1) রবি এ্যাড (1) রমজানুল মোবারক (1) রেজাল্ট (1) রোগ-পথ্য (1) লংমার্চ (1) শহীদ দিবস (1) শুভ বাংলা নববর্ষ (1) শৈশবের দিনগুলো (1) সমবায় (1) সস্তার তিন অবস্থা (1) সাভার ট্র্যাজেডি (1) সিটি নির্বাচন (1) স্বপ্ন পথের পথিক (1) স্বাধীনতা (1) হ্যালো প্রধানমন্ত্রী (1) ২১ ফেব্রোয়ারী (1)

APNAKE SHAGOTOM

ZAKARIA SHAHNAGARIS WRITING

সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আমরা আর বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাইনা । নিজের মাতৃভাষাকে যখন-তখন যেখানে সেখানে অবমাননা করে তৎপরিবর্তে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে অভ্যাস্থ হয়ে যাচ্ছি বা হয়ে গেছি ।
আরও একটু এগিয়ে গেলে বলতে হয় - আমরা আজ বাঙ্গালী হয়ে বাঙ্গালী জাতিসত্বা ভুলে গিয়ে ইংরেজী জাতিসত্বায় রক্তের ন্যায় মিশে গেছি !

অথচ একদিন আমরা বাঙ্গালী জাতি একতাবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দুকে ত্যাগ করে নিজেদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা তথা বাংলা ভাষাকে সর্বত্র প্রচলন করতে প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম ! ফলে বিজাতীয় ভাষা উর্দূকে অপসারন করে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলা ভাষাকে ধারন করেছিলাম । যখন আমরা বাংলার সর্বত্র বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করেছিলাম ,তখন কিন্তু বিশ্বায়নের যুগটা অনুপস্থিত ছিল তা নয় , বিশ্বায়নের যুগটা তখনও ছিল বিধায় আমরা ইংরেজী শিক্ষায় তখনও বাধ্য ছিলাম । অর্থাৎ যে জন্যে আজ আমরা ইংরেজী শিখছি সেইজন্যে তখনও ইংরেজী শিক্ষার প্রচলন ছিল । ছিল ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও । তাই বলে সে সময় বর্তমান সময়ের মত মাতৃভাষা বাংলাকে অবমাননা করা হয়নি । মানুষ সে সময় বাংলায়ই কথা বলেছিল । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই সে সময় ইংরেজী ব্যাবহার করেছিল বাঙ্গালী জাতি

conduit-banners

Powered by Conduit

ফ্লাগ কাউন্টার

free counters

MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY

PLEASE CLICK ON MY BANNERS. VISIT MY AFFILIATE SITE "MZS.ONLINE MONEY MAKING WAY ( অনলাইনে অর্থোপার্জনের একটা মাধ্যম )" I HOPE IT WILL BE HELPFUL FOR YOU. Create your own banner at mybannermaker.com!

বুধবার, ৪ মে, ২০১১

আরবে মহিলা কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে



সৌদি আরবে মহিলা কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে 
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী
-----------------------------------------------------

[ আমার এ লেখাটি বায়তুশ শরফের মুখপত্র মাসিক দ্বীন দুনিয়া , সেপ্টেম্বর ২০০৩ ইং সংখ্যায় “ মধ্যপ্রাচ্যে মহিলা কর্মী নিয়োগ ঃ বাংলাদেশের নবদিগন্ত উম্মোচন -ঃ একটা জরুরী মতামত ঃ- ’’ নামে পূর্বে প্রকাশিত ।
বর্তমান সরকারের পূণরায় সৌদি আরবে মহিলা কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষীতে লেখাটির কিছুটা সংশোধন করে পুণরায় জনসম্মুখে প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হলো । ]
বর্তমান সরকারের সৌদি আরবে মহিলা কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত , বিগত সরকারের একটা ভুল সিদ্ধান্তের অনুরূপ সিদ্ধান্ত ।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে মহিলা কর্মী পাঠানোর সংবাদটি দেখে বিষ্ময় প্রকাশ ও আক্ষেপ করা ছাড়া উপায় নেই । মদিনাবাসী প্রায়ই প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের একটাই বক্তব্য - ছিঃ ! কি করতে যাচ্ছে বর্তমান সরকার ? তবে কি দেশটাকে ইজ্জত বিক্রির দেশ বা নারীর সতীত্ব রফতানীর দেশ বলে পুণরায় চিহ্নিত করতে যাচ্ছে সরকার ?
হ্যাঁ , নতুন করে সৌদি আরবে মহিলা কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানতে পেরে এ মন্তব্যটাই ছিল মদিাবাসী প্রবাসী বাংলাদেশীদের । কেউ কেউ বলছেন , চাঁদা সংগ্রহ করে দেশের প্রতিটি দৈনিক - সাপ্তাহিক - পাক্ষিক - মাসিক পত্রিকাসমুহ সহ প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে এখানকার পরিস্থিতি সমপর্কে দেশের মা-বোনদের জানিয়ে দেবে । জানিয়ে দেয়া হবে মাতৃজাতের প্রতি বৈরী মনোভাবের কথা । জানিয়ে দেবে মাতৃজাতের উপর অসম্মানের কথা ।
আর এ কথাটিই সরকারের দৃষ্টিতে ফেলার জন্যই আমার এ লেখার উপস্থাপনা । বর্তমান সরকারের সৌদি আরবে মহিলা কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত , বিগত সরকারের একটা ভুল সিদ্ধান্তের অনুরূপ সিদ্ধান্ত । কারণ , যে খরচে বিদেশে মহিলা কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে , একই খরচে দেশের লক্ষ লক্ষ বেকার পুরুষ কর্মী পাঠিয়ে দেশের অপরাধ জগতের সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই শ্রেয় মনে করছি । দেশের বেকার মহিলাদের বিদেশে না পাঠিয়ে স্বদেশেই তাদের জন্য কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে সেখানেই তাদের নিয়োগ দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করার চিন্তা করা যেতে পারে । দেশের নারীদের সম্মানের সহিত দেশেই বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিয়ে দেশে অবস্থানকারী অপরাধ জগতের লক্ষ লক্ষ বেকার ও অপরাধীদের ধরে বিদেশে পাঠিয়ে বৈদেশীক মুদ্রার্জনের চিন্তা করাই উচিত বলে মনে করি এবং এটাই বর্তমান সরকারের জন্য বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করবে ।
যতটুকু জানি , যৌন হয়রানীর অভিযোগে এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে নারী পাচার বন্ধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ ইং সালে একটি নির্বাহী আদেশ জারী করেছিলো । সে আদেশটি শিথিল করে তথাকথিত নারী পাচারের রাস্তাটি যৌন হয়রানীতে আবদ্ধ রাখার জন্য নারী কর্মী ( নারীর ইজ্জত ) রফতানীর একটি মতামত প্রকাশ হয়েছিলো বিগত সরকারের পক্ষ থেকে । উক্ত মতামতের ভিত্তিতে নাকি পঁয়ত্রিশ বৎসরের বেশী বয়সী মহিলারা তাদের স্বামীসহ ( তাদের সন্তান-সন্ততি বতিত ) বিদেশ গমন করতে পারবে । তাতে আরও মতামত ব্যক্ত করা হয়েছিলো যে , যারা যাবে তাদের বেতন পাঁচশত সৌদি রিয়াল , থাকা - খাওয়া ফ্রি ।
যা হোক , বিগত সরকারের মতামতের সংবাদটি না তুলে সে আঙ্গিকে কিছু অভিজ্ঞতালব্ধ মতামত পেশ করা একান্ত কর্তব্য বলে মনে করছি । নতুন করে সৌদি আরবে মহিলাকর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত , দেশের নারীদের অধিক উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন্নদেশে পাচার করে তাদেরকে দেহ ব্যবসায় ঠেলে দেয়ার শামিল হবে ।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য যে , সৌদি আরবে মহিলা কর্মী পাঠানোর পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পতি অনুরোধ করবো , বর্তমানে বিদেশের মাটিতে যে সকল বাংলাদেশী মহিলারা ( সরকারী হিসাবে ) অবস্থান করছেন , তাদের প্রবাসী জীবনের ইতিবৃত্তি জানার জন্য । বিশেষ করে যারা গৃহপরিচারিকা , নার্স ও গার্মেন্টস কর্মী তাঁদের প্রবাসের জীবনালেখ্য জানা একান্ত প্রয়োজন আছে বলে মনে করি । বিভিন্ন রিপোর্টে দেখেছি , এঁরা বিদেশে নিজেদের জন্য যেমন আলাদা একটা পরিচয় তৈরী করতে পেরেছেন , ঠিক তেমনি অবদান রেখে যাচ্ছেন দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার ক্ষেত্রে । উল্লেখিত কথাটি যদিও বাস্তব , কিন্তু তাঁরা যে একটা আলাদা পরিচয় তৈরী করেছেন , তাদের সে পরিচয়টা দেশে ঠিক কতটুকু গ্রহণীয় ?
আমরা যারা বিদেশে আছি , দেখছি বাংলাদেশী মহিলা যাঁরা নিম্নতম বেতনে গৃহপরিচারিকা , নার্স ও গার্মেন্টস কর্মী হিসাবে বিদেশে এসেছেন , তাঁরা তাঁদের আলাদা পরিচয়টা কিভাবে তৈরী করছেন । অনেক বাংলাদেশী মহিলা পাঁচশত রিয়াল বেতনে এসে খেতে না পেয়ে বারবণিতা সেজে এদেশের কঠরতম আইন ফাঁকি দিয়ে পুরুষদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে ঘুরছে । তাদের বয়স কম না হলেও ৩০ থেকে ৪০ এর কোটায় ।
আমার পার্শ্ববর্তী এক লোক তেমনি কজন মহিলাকে জিজ্ঞেস করেছিলো , তার বাড়ি কোথায় ? তার সাথে বিয়ে বসবে কিনা ? তখন মহিলাটি নাকি বলেছিলো - “ আমার বাড়ি কোথায় তা দিয়ে আপনার কাম কি ? প্রয়োজন থাকলে ভিতরে নেন , না চাইলে বলুন চলে যাই । আমি নাম-ঠিকানা বলবো , আর আপনি বাংলাদেশে গিয়ে তা প্রচার করবেন । সবাই শুনবে আমার বিরত্বগাঁথা । আমি বাংলাদেশে গেলে নিজ বাড়িতে উঠতে না পারার একটা বিহীত ব্যবস্থা হয়ে যাবে , এই তো ? ’’ কথাগুলো বলেই নাকি মহিলাটা তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিলো !
এতো গেলো বাংলাদেশী মহিলা কর্মীদের একটি দিক পরিচিতি । আর একটা দিকের কথা বলি - ইন্দোনেশিয়ার কিছু মহিলা কর্মীদের দেখা-শুনার অভিজ্ঞতা দিয়ে । ইন্দোনেশিা থেকে আসা কিছু মহিলা কর্মীর কথা জানি , যারা সৌদিদের বাসায় কাজ করে । বয়সও তাদের কম না । ৩০ / ৩৫ তো হবেই , এমনকি ৪০ / ৪৫ ও হতে পারে । যদিও ধরা যায়না তাদের বয়স । শুনেছি , এদেশে আসতে তাদেরকে জন্মনিরোধক মেয়াদী ভ্যাকসিন দিয়ে প্রবেশ করতে হয় সৌদিতে । প্রতিটি মহিলা আসেও সেরূপ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে । এখানে এসে শুরু হয় তাদের কাজ । বাসায় যদি কোন বৃদ্ধ পুরুষও থাকে তবে ঐ মহিলা কর্মী তার হাত থেকেও নিস্তার পায়না । এমনতর অবস্থা প্রায় শুনা যায় পুরুষ কর্মীদের বেলায়ও । তারা ফাঁদে পড়ে বাড়ির কচি - যুবা এমনকি মধ্যবয়স্কা মহিলারও । শেষে অতিষ্ঠ হয়ে নিজেই টাকা পয়সা ফেলে অন্যত্র চলে গেছে পালিয়ে ।
সৌদির আইনগত কারনে অনেক বিবাহযোগ্য ছেলে - মেয়ের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও তারা টাকার অভাবে বিয়ের পীড়িতে বসতে পারছেনা । কিন্তু , যৌবন কতদিন ধরে রাখা যায় ? ফল-ফ্রুটের শক্তিকে কতদিন দমন রাখা যায় ? তাই তারা পরিবারের কর্তাকে মহিলা কর্মী বা পুরুষ কর্মী সংগ্রহ করার জন্য ভিসা বের করতে চাপ সৃষ্টি করে । ঘরর ভতরগত অন্যায় কর্ম সরকার দখতে পায়না । তাইতো , কর্মী এনে ঐ কর্মীর উপর ছড়াও হতে পারে বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েরা । ঐ কর্মী জওয়ান হউক কিংবা বুড়ো , তাতে আপত্তি নেই ।
আর মহিলা কর্মীর সাথে যদি স্বামীও বিদেশ গমন করে , তবে তাতে যে ঐ মহিলা কর্মী নিস্তার পাবে তেমন আশা বৃথা বৈ কিছু নয় । একটা কথা আছে - বিদেশ হলো বি-প্যাঁচ বা পদে পদে বিপদ । তাই বলছি - কোন মহিলা কর্মীর স্বামী সাথে আসলেও সে স্বামী এখানে এসে সৌদিদের কেনা দাস বা গোলামের মতো হয়ে যায় । সৌদিদের ইচ্ছার উপরই নির্ভর করবে তাদের স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় সত্ত্বা । এক্ষেত্রে তার সামনে তার স্ত্রীর সাথে সৌদি পুরুষ যদি যা তা ব্যবহার করে করে তবে সে স্বামী নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকবে । তার কিছুই করার ক্ষমতা থাকবেনা । কিছু করতে চাইলে নয়তো তার জেল , নয়তো তার দেশ ফেরত এ দু’টির একটি নির্ধারিত ।
২০০৩ সালে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল বলে শুনেছি মক্কায় । স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই সৌদিতে কর্ম নিয়ে এসেছিলো । কিছুদিন পর এক ইন্দোনেশিয়ান মহিলা কর্মীর সাথে সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তার মালিক ঐ স্বামীকে জেলে ভরে দেয় । স্ত্রীর চিন্তায় স্বামী ঐ জেলেই মৃত্যুবরণ করে ।
বর্তমান সরকার কত বেতনে মহিলা কর্মী সৌদি আরবে পাঠাতে যাচ্ছে জানা নেই । বিগত সরকারের সিদ্ধান্তানুযায়ী যদি পাঁচশত রিয়াল বেতন নির্ধারণ করে মহিলা কর্মী পাঠায় তবে ঐ কর্মীরা যে কয়েকদিন পর বাধ্য হয়ে বিপথে পা বাড়াবে তার শতভাগ গ্যারান্টি দিতে আমাদের আপত্তি নেই । কেননা , সৌদিরা কর্মীদের যত ভালো খানাই দিক না কেন , ঐ কর্মীরা সে খানা খেয়ে জীবন ধারণ করতে সমর্থ হবেনা । সৌদিতে একজন সর্বনিম্ন বেতনধারী ব্যক্তির থাকা - খাওয়া - আনুসাঙ্গিক খরচ বাবদ নুন্যতম ৪০০ / ৬০০ রিয়াল চলে যায় । তারপর দুই বৎসর পর তার টিকেট লাগবে , লাগবে ইকামা , লাগবে ব্যগেজ ভরার খরচ , লাগবে বসন - ভুষন । এই খরচ ঐ কর্মী কিভাবে , কোথ্থেকে জোগাড় করবে ? তাই , বাধ্য হয়ে ঐ কর্মী অনৈতিক কর্মে জড়িত হয়ে যাবেই ।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ না করে পারছিনা । বাংলাদেশের শ্রমিকরা তাদের সরকারের অদূরদর্শী ও অকার্যকর বৈদেশীক শ্রম বিনিময় ব্যবস্থার কারণে বিদেশের মাটিতে এমনই অবহেলিত - পদদলিত যে , যেন তারা মানুষই নয় । যার ফলে তাদের উপর নানা রকম অত্যাচার - উৎপীড়ন করতেও বিদেশীরা ছাড়েনা । পথের কুকুর - বিড়ালও বাংলাদেশের শ্রমিকদের চেয়ে উত্তম সৌদিদের কাছে । যদি তা না হতো সৌদিরা যা না খায় , ঝুঁটা , মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার গুলো বাংলাদেশীদের খেতে বলতোনা । এখানে এসে অন্যরা যে কাজ করে ১২০০ রিয়াল বেতন পায় , সে একই কাজে ডাবল খাটুনি দিয়েও বাংলাদেশীরা পায় ২৫০ রিয়াল ( বলদিয়ার রোড ক্লিনার কর্মী ) !
একমাত্র বাংলাদেশীদের দ্বারাই যেমন - তেমন কর্ম আদায় করে নিতে পারে বিদেশীরা । তাছাড়া , যেখানে ইন্দোনেশিয়া , ফিলিপাইন , শ্রীলন্কা , ইন্ডিয়া , পাকিস্তান ইত্যাদি দেশের শ্রমিকরা ১০০০ রিয়ালের বেতনে চাকরী করতে আসছে , সেখানে একই কর্মে একমাত্র বাংলাদেশীরাই আসে ২৫০ / ৫০০ রিয়ালের বেতনে চাকরী করতে ! আর আসার পর বলতে বাধ্য হয় “ কেন আসলাম ’’ ? এখানে এসেই যখন পড়ে , জীবন বাঁচানোর তাগিদে হলেও যেমন তেমন কাজ করতে বাধ্য হয় । সময় মত দেশের মুখ দেখতে পারেনা । জীবন - যৌবন শেষ করে যা ও একদিন দেশে ফেরে তখন তারা পরিবারের সাথে খাঁপ খেতে পারেনা । চলে অশান্তির দাবানল সমগ্র পরিবারে । দেখা দেয় তখন বিবিধ অনাকান্খিত ঘটনাবলী । তাই , সকলের প্রতি পরামর্শ , কোন কর্মী যাতে ১২০০ রিয়ালের কম বেতনে সৌদিতে পাড়ি না জমায় ।
সবচেয়ে জরুরী একটা বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুধাবনে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে , দেশে বর্তমানে বেকার কর্মক্ষম পুরুষের সংখ্যা কত তার পরিসংখ্যান এ মুহূর্তে আমার জানা নেই । তবে এটা জানি , লক্ষ লক্ষ এমনকি দেশের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশ পুরুষই দেশের সর্বত্র বেকার ছন্নছাড়া জীবন নিয়ে পথে পথে ঘুরছে । চাকরীর আশায় বিভিন্ন অফিস আদালতে গিয়ে গিয়ে ধর্ণা দিচ্ছে , চাকরী পাচ্ছেনা । চাকরী না পেয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে অস্ত্র হাতে নিয়ে পথে দাঁড়াচ্ছে । কেড়ে নিচ্ছে পূঁজিপতিদের ধন , করছে সম্পদশালীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় , কেড়ে নিচ্ছে সুন্দর সুন্দর জীবনগুলো । কেন ? একটিই কারণ , বেকারত্বের দূর্বীসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার লক্ষ্য । তাদের জীবনকে সুন্দর রূপে বিকশিত করার অদম্য অভিপ্রায় । একমুঠো অন্নের জন্য , পিতা - মাতা - ভাই - বোন - স্ত্রী - সন্তানদের পেঠে একমুঠো অন্ন প্রদানের জন্য ।
দেশের অভ্যান্তরে এতগুলো বেকার প্রতিপালন করে ঘরের ভিতর যারা কর্মরত মহিলা তাদেরকে বিদেশ পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারের এত তোড়জোড় কেন ? তবে কি বাংলাদেশ সরকার নারীদের ইজ্জত রফ্তানীর মত আরও একটা দূর্নাম কুড়াতে স্বচেষ্ঠ হচ্ছে ? নাকি বেকার পুরুষদের দেশে বেকার করে রেখে দেশের নোংরা রাজনীতিতে তাদেরকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে এ ধরণের সিদ্ধান্ত ? এ হলো সচেতন নাগরিকদের মন আলোড়িত একটা প্রশ্ন ।
যে সিদ্ধান্তে মহিলা কর্মী বিদেশে পাঠানোর মাধ্যমে বৈদেশীক মুদ্রার্জনের লক্ষ্য নিরূপিত হচ্ছে , সে সিদ্ধান্তে দেশের বেকার পুরুষ কর্মী পাঠিয়ে সে লক্ষ্য কি অর্জন করা যায়না ? মহিলা কর্মীদের চেয়ে আরো অধিক বৈদেশীক মুদ্রার্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে স্বচল করতে স্বচেষ্ঠ হবে ।
অতএব সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ থেকে কোন মহিলাকর্মী বিদেশে না পাঠাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দেশের নাগরিক হিসাবে আমরা বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি । আশা করছি , বিদেশে মহিলা কর্মী না পাঠানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন । দেশের সম্মান রক্ষার্থে সরকার বিদেশে মহিলা কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে সুষ্ঠ ও বিবেক সম্পন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে স্বচেষ্ঠ হবেন । এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধি ও সৎবিবেক জাগ্রত হবে , এ কামনাই করছি ।
[ বিঃ দ্রঃ আমার এ লেখা আরব জাতিকে কটাক্ষ ও হেয় প্রতিপন্ন করতে নয় , আরবদেশে যা ঘটেছে , যা ঘটমান , যা ঘটিতব্য সেদিকে আলোকপাত করেই লেখা । ] 

=================================================================